বাংলা ট্রিবিউনকে এক সাক্ষাতকারে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেছেন ;-জঙ্গিরা অচিরেই দেশের গ্রামগুলো দখল করবে
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
বাংলা ট্রিবিউনকে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত
জঙ্গিরা অচিরেই দেশের গ্রামগুলো দখল করবে
গোলাম মওলা
গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে মৌলবাদী জঙ্গিত্বের রাজনৈতিক অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ৪০ বছরে মৌলবাদের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে নিট মুনাফা হয়েছে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। এর প্রায় ২০ শতাংশ বা ৪০ হাজার কোটি টাকা সরাসরি ব্যয় হয়েছে বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি কর্মকাণ্ডে। এর একটা বড় অংশ ব্যয় হয়েছে তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণে। এছাড়া কর্মীদের বেতন ভাতা ও দৈনন্দিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায়ও একই পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে। সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশে জঙ্গিদের হাতে ব্লগারসহ অনেকে নিহত হয়েছেন।কিন্তু অপরাধীদের শাস্তি হয়নি।দেশে জঙ্গিরা কতোটা সংগঠিত বলে মনে করেন?আবুল বারকাত: বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা উগ্র রূপ ধারণ করেছে। এ সাম্প্রদায়িকতা ভেতরে ও বাইরে উভয় শক্তির মাধ্যমে ‘অর্থনৈতিক ক্ষমতাভিত্তিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া’কে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে প্রয়োগ করে সুসংগঠিত জঙ্গি কার্যক্রমের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চাচ্ছে তারা।
বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশে জঙ্গিদের হাতে ব্লগারসহ অনেকে নিহত হয়েছেন।কিন্তু অপরাধীদের শাস্তি হয়নি।দেশে জঙ্গিরা কতোটা সংগঠিত বলে মনে করেন?আবুল বারকাত: বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা উগ্র রূপ ধারণ করেছে। এ সাম্প্রদায়িকতা ভেতরে ও বাইরে উভয় শক্তির মাধ্যমে ‘অর্থনৈতিক ক্ষমতাভিত্তিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া’কে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে প্রয়োগ করে সুসংগঠিত জঙ্গি কার্যক্রমের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চাচ্ছে তারা।
বাংলা ট্রিবিউন: কিভাবে তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চাচ্ছে? কোনও রূপরেখা কি আছে?
আবুল বারকাত: মৌলবাদী জঙ্গিরা মাও সেতুংয়ের মতো গ্রাম দখল করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বছর তারা ৪০০ গ্রামে একসঙ্গে ইজতেমা করেছে। তাদের টার্গেট ২০১৭ সালের মধ্যে ২০ হাজার গ্রামে ইজতেমা করার। এভাবে অচিরেই পুরো দেশের গ্রাম দখল করবে।
বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশে জঙ্গিদের সহযোগিতা করছে কারা?
আবুল বারকাত: মৌলবাদী জঙ্গিবাদের তিন বাহু। উপরের বাহুতে রয়েছে ইসলাম নামাঙ্কিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী। এর নিচের বাহুতে রয়েছে জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ ১৩২টি চিহ্নিত জঙ্গি সগঠন। আর অন্য বাহুতে রয়েছে ইসলামী ব্যাংকসহ মৌলবাদের অর্থনীতির ২৩১টি প্রতিষ্ঠান।
আবুল বারকাত: মৌলবাদী জঙ্গিরা মাও সেতুংয়ের মতো গ্রাম দখল করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বছর তারা ৪০০ গ্রামে একসঙ্গে ইজতেমা করেছে। তাদের টার্গেট ২০১৭ সালের মধ্যে ২০ হাজার গ্রামে ইজতেমা করার। এভাবে অচিরেই পুরো দেশের গ্রাম দখল করবে।
বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশে জঙ্গিদের সহযোগিতা করছে কারা?
আবুল বারকাত: মৌলবাদী জঙ্গিবাদের তিন বাহু। উপরের বাহুতে রয়েছে ইসলাম নামাঙ্কিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী। এর নিচের বাহুতে রয়েছে জেএমবি ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ ১৩২টি চিহ্নিত জঙ্গি সগঠন। আর অন্য বাহুতে রয়েছে ইসলামী ব্যাংকসহ মৌলবাদের অর্থনীতির ২৩১টি প্রতিষ্ঠান।
বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশের জঙ্গিরাও কি অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়?
আবুল বারকাত: অস্ত্র প্রশিক্ষণে অনেক টাকা ব্যয় হয়। এর বড় প্রমাণ হচ্ছে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় অভিযোগ তুলেছে- বাংলাদেশে মৌলবাদীদের ১৪৮টি অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এই অভিযোগ এখন পর্যন্ত খণ্ডন করা হয়নি।
বাংলা ট্রিবিউন: অস্ত্র কিনতে এবং প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশের জঙ্গিরা টাকা পায় কোথা থেকে?
আবুল বারকাত: গত ৪০ বছরে মৌলবাদের অর্থনীতি থেকে নিট মুনাফাগুলো যদি যোগ করা হয় তাহলে, এর অ্যামাউন্ট দাঁড়াবে ৩ লাখ কোটি টাকা। যা জাতীয় বাজেটের চেয়েও বেশি। তার ২০ শতাংশ তারা ব্যয় করেছে অস্ত্র প্রশিক্ষণসহ জঙ্গি কর্মকাণ্ডে।
বাংলা ট্রিবিউন: তাদের শক্তির উৎস কী?
আবুল বারকাত: বাংলাদেশে যারা এই মৌলবাদ জঙ্গিবাদের রাজনীতি করছে, আর যারা পৃথিবীতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করছে সে তুলনায় বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী। তারা ধর্মের মাইথোসের সঙ্গে বাস্তবের লগোজ (ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে বাস্তবতা) মিশ্রণ ঘটিয়ে অর্থনৈতিক শক্তিভিত্তিক রাজনীতি গড়ে তুলেছে। এদের হাতে রয়েছে প্রচুর অর্থ। রয়েছে প্রচুর অস্ত্র। এরা ডিসিপ্লিনও মানে। এরা মানুষের আবেগকে কাজে লাগাতে পারছে। যেটা খমেনিও পারেননি।
বাংলা ট্রিবিউন: মৌলবাদের অর্থনীতি থেকে বছরে কত টাকা নিট মুনাফা হয়?
আবুল বারকাত: ২০১৪ সালে মৌলবাদের অর্থনীতির খাত-প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বার্ষিক নিট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। এ আয়ের সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ আসছে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি সংস্থা, ট্রাস্ট, ফাউন্ডেশন থেকে আসছে ১৮.৮ শতাংশ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০.৮ শতাংশ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৯.২ শতাংশ, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে ৮.৫ শতাংশ, সংবাদমাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে ৭.৮ শতাংশ এবং পরিবহন যোগাযোগ থেকে ৭.৫ শতাংশ।
বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতি শুরু হয় কখন থেকে?
আবুল বারকাত: বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে মৌলবাদের অর্থনীতি বলে একটি জিনিস গড়ে উঠে। সেটা টের পাওয়া গেছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৩০ বছর পর। এই মৌলবাদের অর্থনীতি গড়ে উঠেছে প্রধানত ৮ খাতকে কেন্দ্র করে। এই ৮ খাতে তারা যে বিনিয়োগ করেছে, তার একটা বড় অংশ পেয়েছে ১৯৭১ সালে হরিলুটের মাধ্যমে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ১৯৭৫ পরবর্তীতে কো-আইডোলজি ইনভেস্টমেন্ট বা সম-মতাদর্শের বিনিয়োগ। আর এই সম-মতাদর্শের বিনিয়োগের বেশির ভাগই এসেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
বাংলা ট্রিবিউন: এদেশের কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জঙ্গিরা আর্থিক লেনদেন করে?
আবুল বারকাত: মূলত ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এই ব্যাংক জঙ্গি অর্থায়ন করে এর বড় প্রমাণ হলো- ২২টি চেক জঙ্গি অর্থায়নের অপরাধে তাদের শাস্তি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন ড. সালেহ উদ্দিন। জঙ্গি অর্থায়ানে ব্যবহৃত ইসলামী ব্যাংকের ২২টি চেক ধরা পড়লেও বাস্তবে ব্যবহৃত হয়েছে ২২০০টি চেক। কিন্তু প্রকাশ করা হয়েছে মাত্র ২২টি।
বাংলা ট্রিবিউন: রাষ্ট্রে বা সমাজে কি ধরনের ক্ষতি করছে মৌলবাদের অর্থনীতি?
আবুল বারকাত: মৌলবাদের অর্থনীতি ও সংশ্লিষ্ট রাজনীতি আমাদের মূল চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করছে। আমাদের সংবিধানে সাংবিধানিক চেতনার বিরুদ্ধেও কাজ করছে। সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনীতিরও বিরুদ্ধে। এসব কারণে আমি ২০০২ সাল থেকে এই মৌলবাদ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বলা শুরু করেছি।
আবুল বারকাত: অস্ত্র প্রশিক্ষণে অনেক টাকা ব্যয় হয়। এর বড় প্রমাণ হচ্ছে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় অভিযোগ তুলেছে- বাংলাদেশে মৌলবাদীদের ১৪৮টি অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এই অভিযোগ এখন পর্যন্ত খণ্ডন করা হয়নি।
বাংলা ট্রিবিউন: অস্ত্র কিনতে এবং প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশের জঙ্গিরা টাকা পায় কোথা থেকে?
আবুল বারকাত: গত ৪০ বছরে মৌলবাদের অর্থনীতি থেকে নিট মুনাফাগুলো যদি যোগ করা হয় তাহলে, এর অ্যামাউন্ট দাঁড়াবে ৩ লাখ কোটি টাকা। যা জাতীয় বাজেটের চেয়েও বেশি। তার ২০ শতাংশ তারা ব্যয় করেছে অস্ত্র প্রশিক্ষণসহ জঙ্গি কর্মকাণ্ডে।
বাংলা ট্রিবিউন: তাদের শক্তির উৎস কী?
আবুল বারকাত: বাংলাদেশে যারা এই মৌলবাদ জঙ্গিবাদের রাজনীতি করছে, আর যারা পৃথিবীতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করছে সে তুলনায় বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী। তারা ধর্মের মাইথোসের সঙ্গে বাস্তবের লগোজ (ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে বাস্তবতা) মিশ্রণ ঘটিয়ে অর্থনৈতিক শক্তিভিত্তিক রাজনীতি গড়ে তুলেছে। এদের হাতে রয়েছে প্রচুর অর্থ। রয়েছে প্রচুর অস্ত্র। এরা ডিসিপ্লিনও মানে। এরা মানুষের আবেগকে কাজে লাগাতে পারছে। যেটা খমেনিও পারেননি।
বাংলা ট্রিবিউন: মৌলবাদের অর্থনীতি থেকে বছরে কত টাকা নিট মুনাফা হয়?
আবুল বারকাত: ২০১৪ সালে মৌলবাদের অর্থনীতির খাত-প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বার্ষিক নিট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। এ আয়ের সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ আসছে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি সংস্থা, ট্রাস্ট, ফাউন্ডেশন থেকে আসছে ১৮.৮ শতাংশ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০.৮ শতাংশ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৯.২ শতাংশ, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে ৮.৫ শতাংশ, সংবাদমাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে ৭.৮ শতাংশ এবং পরিবহন যোগাযোগ থেকে ৭.৫ শতাংশ।
বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতি শুরু হয় কখন থেকে?
আবুল বারকাত: বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে মৌলবাদের অর্থনীতি বলে একটি জিনিস গড়ে উঠে। সেটা টের পাওয়া গেছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৩০ বছর পর। এই মৌলবাদের অর্থনীতি গড়ে উঠেছে প্রধানত ৮ খাতকে কেন্দ্র করে। এই ৮ খাতে তারা যে বিনিয়োগ করেছে, তার একটা বড় অংশ পেয়েছে ১৯৭১ সালে হরিলুটের মাধ্যমে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ১৯৭৫ পরবর্তীতে কো-আইডোলজি ইনভেস্টমেন্ট বা সম-মতাদর্শের বিনিয়োগ। আর এই সম-মতাদর্শের বিনিয়োগের বেশির ভাগই এসেছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
বাংলা ট্রিবিউন: এদেশের কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জঙ্গিরা আর্থিক লেনদেন করে?
আবুল বারকাত: মূলত ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এই ব্যাংক জঙ্গি অর্থায়ন করে এর বড় প্রমাণ হলো- ২২টি চেক জঙ্গি অর্থায়নের অপরাধে তাদের শাস্তি দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন ড. সালেহ উদ্দিন। জঙ্গি অর্থায়ানে ব্যবহৃত ইসলামী ব্যাংকের ২২টি চেক ধরা পড়লেও বাস্তবে ব্যবহৃত হয়েছে ২২০০টি চেক। কিন্তু প্রকাশ করা হয়েছে মাত্র ২২টি।
বাংলা ট্রিবিউন: রাষ্ট্রে বা সমাজে কি ধরনের ক্ষতি করছে মৌলবাদের অর্থনীতি?
আবুল বারকাত: মৌলবাদের অর্থনীতি ও সংশ্লিষ্ট রাজনীতি আমাদের মূল চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করছে। আমাদের সংবিধানে সাংবিধানিক চেতনার বিরুদ্ধেও কাজ করছে। সুস্থ গণতান্ত্রিক রাজনীতিরও বিরুদ্ধে। এসব কারণে আমি ২০০২ সাল থেকে এই মৌলবাদ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বলা শুরু করেছি।
বাংলা ট্রিবিউন: মৌলবাদের অর্থনীতিসহ সব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আপনার প্রস্তাব কী?
আবুল বারকাত: আমার প্রস্তাব ছিল, তারা যত ধরনের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে গড়ে তুলেছে সেসব প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় পক্ষীয় অডিট হওয়া দরকার। সেটা বাংলাদেশি অডিট ফার্ম দিয়ে না করে বিশ্বের অন্য কোনও দেশের অডিট ফার্ম দিয়ে অডিট করাতে হবে যে তারা শুধু লেনদেন কিভাবে করেছে। তাদের টাকা কোথা থেকে আসে আর টাকা কোথায় যায়। এটা করতে ৩ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। আর সেই অডিটে যদি জঙ্গি কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মেলে তাহলে সব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: জাতীয়করণ করা সম্ভব না হলে কী করা উচিত?
আবুল বারকাত: জাতীয়করণ করাও যদি সমস্যা হয়, তাহলে ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন করতে হবে। তারপর পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন করতে হবে। পর্ষদে দাড়ি-টুপিওয়ালা লোকজন রাখা যাবে, তবে যারা অসাম্প্রদায়িক তাদেরকে রাখতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে তাদেরকে রাখতে হবে। ইসলামী ব্যাংকসহ জঙ্গিদের সব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমি প্রধানত জাতীয়করণের পক্ষে। জাতীয়করণ করে এটাকে রাষ্ট্রের মালিকানায় নিয়ে আসতে হবে। মুনাফার একটা অংশ মহান মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনের কাজে ব্যয় করতে হবে। আরেকটা অংশ জঙ্গিদের হাতে যেসব ব্লগার নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের মধ্যে এবং বাকি অংশ সামগ্রিক মানব উন্নয়নে ব্যহৃত হতে পারে।
আবুল বারকাত: আমার প্রস্তাব ছিল, তারা যত ধরনের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে গড়ে তুলেছে সেসব প্রতিষ্ঠানে তৃতীয় পক্ষীয় অডিট হওয়া দরকার। সেটা বাংলাদেশি অডিট ফার্ম দিয়ে না করে বিশ্বের অন্য কোনও দেশের অডিট ফার্ম দিয়ে অডিট করাতে হবে যে তারা শুধু লেনদেন কিভাবে করেছে। তাদের টাকা কোথা থেকে আসে আর টাকা কোথায় যায়। এটা করতে ৩ মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। আর সেই অডিটে যদি জঙ্গি কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মেলে তাহলে সব প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: জাতীয়করণ করা সম্ভব না হলে কী করা উচিত?
আবুল বারকাত: জাতীয়করণ করাও যদি সমস্যা হয়, তাহলে ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন করতে হবে। তারপর পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন করতে হবে। পর্ষদে দাড়ি-টুপিওয়ালা লোকজন রাখা যাবে, তবে যারা অসাম্প্রদায়িক তাদেরকে রাখতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে তাদেরকে রাখতে হবে। ইসলামী ব্যাংকসহ জঙ্গিদের সব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমি প্রধানত জাতীয়করণের পক্ষে। জাতীয়করণ করে এটাকে রাষ্ট্রের মালিকানায় নিয়ে আসতে হবে। মুনাফার একটা অংশ মহান মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনের কাজে ব্যয় করতে হবে। আরেকটা অংশ জঙ্গিদের হাতে যেসব ব্লগার নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের মধ্যে এবং বাকি অংশ সামগ্রিক মানব উন্নয়নে ব্যহৃত হতে পারে।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন