একুশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি র উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলামের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ~~~
একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রথম দাবি ওঠে ১৯৯৭ সালে, ভাষাশহীদ আবদুল জব্বারের জন্মস্থান ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন গফরগাঁও থিয়েটার ওই দাবির পক্ষে শোভাযাত্রা করে দেয়াল ও বাস-ট্রেনে পোস্টার সেঁটে দেয়। দুই বছর পর তাদের একুশের সংকলনেও স্লোগান ছাপে-বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস চাই! একুশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই!'
১৯৯৮ সালের ৯ জানুয়ারি কানাডাপ্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে ১৯৫২ সালে ভাষাশহীদদের অবদানের কথা উল্লেখ করে একুশে ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
সে সময় জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত হাসান ফেরদৌসের নজরে আসে চিঠিটি। তিনি ১৯৯৮ সালের ২০ জানুয়ারি রফিককে অনুরোধ করেন জাতিসংঘের অন্য কোনো সদস্য রাষ্ট্রের কারো কাছ থেকে একই ধরনের প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করতে। এরপর আরেক কানাডাপ্রবাসী আবদুস সালামকে সঙ্গে নিলেন রফিক। তাঁরা 'অ্যা গ্রুপ অব মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ওয়ার্ল্ভ্র' নামে একটি সংগঠন দাঁড় করান।
১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ কফি আনানকে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে লেখা একটি চিঠিতে প্রস্তাব করেন, যার উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে, �The Bengali have played a very important role in protecting their Mother Language from serious crisis related to its existence. In today's world there are many nations and/or communities still facing serious crisis and threat against their Mother Languages.�
প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন সাতটি ভাষার ১০ জন প্রতিনিধি। তাঁরা হলেন অ্যালবার্ট ভিনজন ও কারমেন ক্রিস্টোবাল (ফিলিপিনো), জ্যাসন মোরিন ও সুসান হজিন্স (ইংরেজ), ড. কেলভিন চাও (ক্যান্টনিজ), নাজনীন ইসলাম (কাচ্চি), রেনাটে মার্টিনস (জার্মান), করুণা জোসি (হিন্দি) এবং রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম (বাংলা)।
এর জবাবে জাতিসংঘ জানায়, এসব সাংস্কৃতিক বিষয় দেখভাল করে ইউনেসকো। সুতরাং দাবিটা ওখানে পাঠাতে হবে। ১৯৯৯ সালের মাঝামাঝি সময় হাসান ফেরদৌস রফিক ও সালামকে উপদেশ দেন ইউনেসকোর ভাষা বিভাগের জোসেফ পডের সঙ্গে দেখা করতে। জোসেফের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি বলেন, ইউনেসকোর আনা মারিয়ার সঙ্গে দেখা করতে। এই আনা মারিয়া নামের ভদ্রমহিলা রফিক-সালামের কথা মন দিয়ে শুনে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চিন্তাটা বেশ যুক্তিযুক্ত, তবে কোনো সংগঠনের দাবি তারা আমলে আনতে পারেন না। জাতিসংঘের কোনো সদস্য রাষ্ট্র প্রস্তাব পাঠালে তবেই একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে।
এবার রফিকুল ইসলাম চিঠি লিখলেন আমাদের দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝে তাড়াতাড়ি একটি প্রস্তাব বানিয়ে পাঠিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক দ্রুত পদক্ষেপ নিলেন। শিক্ষাসচিব কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক কফিলউদ্দিন আহমেদ, মসিউর রহমান (প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তৎকালীন পরিচালক), সৈয়দ মোজাম্মেল আলী (ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত), ইকতিয়ার চৌধুরী (কাউন্সেলর), তোজাম্মেল হকসহ (ইউনেসকোর সেক্রেটারি জেনারেলের শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা) অন্য অনেকেই এতে জড়িত হন। তাঁরা দিনরাত পরিশ্রম করে আরো ২৯টি দেশকে প্রস্তাবটির পক্ষে নিয়ে আসেন। অন্য বাংলাদেশি ও প্রবাসীদের কাছে ব্যাপারটা অগোচরেই ছিল। কয়েকজন ছাড়া কেউ টের পেল না, বাংলা ভাষাকে গৌরবান্বিত করতে পর্দার অন্তরালে কী ধুন্ধুমার কাজ চলছে।
১৯৯৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনেসকোর কাছে প্রস্তাব উত্থাপনের শেষ দিন। তখনো প্রস্তাব এসে পৌঁছায়নি। শেষ পর্যন্ত কি স্বপ্নটি অধরাই থেকে যাবে? রফিক-সালাম তখন নাওয়া-খাওয়া ভুলে গেছেন। টেলিফোনের সামনে বসে আছেন, কখনো চোখ রাখছেন ই-মেইলে। কই, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তো কোনো সাড়াই আসছে না! আসলে লিখিত প্রস্তাবটিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর সইটাই বাকি ছিল। আর প্রধানমন্ত্রী তখন পার্লামেন্টে। ওদিকে পার্লামেন্টের সময়সূচির পর ইউনেসকোতে প্রস্তাব উত্থাপনের সময়সীমা পার হয়ে যাবে। সব পরিশ্রম বোধ হয় জলেই গেল! প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে অনুরোধ করা হলো, তিনি যেন দ্রুত প্রস্তাবটিতে সই করেন। এরপর ফ্যাক্স করতে হবে ইউনেসকোর দপ্তরে। না হলে শেষরক্ষা আর হবে না। সময়সীমা শেষ হওয়ার মাত্র এক ঘণ্টা আগে ফ্যাক্সবার্তা পৌঁছাল ইউনেসকোর অফিসে। আহ্, শান্তি! প্যারিসে, ইউনেসকোর সদর দপ্তরে ১৬ নভেম্বর বসল ৩০তম সম্মেলন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বহুল প্রত্যাশিত প্রস্তাবটি সেখানে উত্থাপিত হলো না। রফিক-সালামরা আরো একটি হতাশ দিন পার করলেন। দেখা যাক, পরদিন কী হয়!
১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সভার শুরুতেই প্রস্তাবটি উত্থাপন করল বাংলাদেশ ও সৌদি আরব। অন্য ২৫টি দেশের সদস্যরা সেটিকে অনুমোদন করেন। এমনকি ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার মূলোৎপাটনের ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত হয়েছিল, সেই পাকিস্তানও একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সমর্থন জানায়।
২০০০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ইউনেসকোর পর জাতিসংঘও একুশে ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এখন কিন্তু দিনটি আর শুধু আমাদের নয়, সমগ্র বিশ্বের। বিশ্বের সব জাতির মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার দিন- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ইংরেজ-ফরাসি-চাকমা-সাঁওতাল- সবাই যাতে তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারে, গর্ব করতে পারে, সে লক্ষ্যেই জাতিসংঘ এ দিবসটি করেছে। পাশাপাশি সবাই জানতে পারবে- এই দিনেই বীর বাঙালিরা প্রাণ দিয়ে দাম দিয়েছিল মাতৃভাষার।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি !
সকল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা ! দুঃখ হয় , তার জীবদ্দশায় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন না। এর চেয়ে হতাশার আর কী আছে!! সবশেষে বাংলাদেশ সরকার এবং সুধী সমাজের কাছে প্রত্যাশা তারা যেন বাংলার বীর সন্তান কৃতি সন্তান রফিকুল ইসলাম এর অবদানের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেন!!
১৯৯৮ সালের ৯ জানুয়ারি কানাডাপ্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে ১৯৫২ সালে ভাষাশহীদদের অবদানের কথা উল্লেখ করে একুশে ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
সে সময় জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত হাসান ফেরদৌসের নজরে আসে চিঠিটি। তিনি ১৯৯৮ সালের ২০ জানুয়ারি রফিককে অনুরোধ করেন জাতিসংঘের অন্য কোনো সদস্য রাষ্ট্রের কারো কাছ থেকে একই ধরনের প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করতে। এরপর আরেক কানাডাপ্রবাসী আবদুস সালামকে সঙ্গে নিলেন রফিক। তাঁরা 'অ্যা গ্রুপ অব মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য ওয়ার্ল্ভ্র' নামে একটি সংগঠন দাঁড় করান।
১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ কফি আনানকে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে লেখা একটি চিঠিতে প্রস্তাব করেন, যার উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে, �The Bengali have played a very important role in protecting their Mother Language from serious crisis related to its existence. In today's world there are many nations and/or communities still facing serious crisis and threat against their Mother Languages.�
প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন সাতটি ভাষার ১০ জন প্রতিনিধি। তাঁরা হলেন অ্যালবার্ট ভিনজন ও কারমেন ক্রিস্টোবাল (ফিলিপিনো), জ্যাসন মোরিন ও সুসান হজিন্স (ইংরেজ), ড. কেলভিন চাও (ক্যান্টনিজ), নাজনীন ইসলাম (কাচ্চি), রেনাটে মার্টিনস (জার্মান), করুণা জোসি (হিন্দি) এবং রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম (বাংলা)।
এর জবাবে জাতিসংঘ জানায়, এসব সাংস্কৃতিক বিষয় দেখভাল করে ইউনেসকো। সুতরাং দাবিটা ওখানে পাঠাতে হবে। ১৯৯৯ সালের মাঝামাঝি সময় হাসান ফেরদৌস রফিক ও সালামকে উপদেশ দেন ইউনেসকোর ভাষা বিভাগের জোসেফ পডের সঙ্গে দেখা করতে। জোসেফের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি বলেন, ইউনেসকোর আনা মারিয়ার সঙ্গে দেখা করতে। এই আনা মারিয়া নামের ভদ্রমহিলা রফিক-সালামের কথা মন দিয়ে শুনে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চিন্তাটা বেশ যুক্তিযুক্ত, তবে কোনো সংগঠনের দাবি তারা আমলে আনতে পারেন না। জাতিসংঘের কোনো সদস্য রাষ্ট্র প্রস্তাব পাঠালে তবেই একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে।
এবার রফিকুল ইসলাম চিঠি লিখলেন আমাদের দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝে তাড়াতাড়ি একটি প্রস্তাব বানিয়ে পাঠিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক দ্রুত পদক্ষেপ নিলেন। শিক্ষাসচিব কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক কফিলউদ্দিন আহমেদ, মসিউর রহমান (প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তৎকালীন পরিচালক), সৈয়দ মোজাম্মেল আলী (ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত), ইকতিয়ার চৌধুরী (কাউন্সেলর), তোজাম্মেল হকসহ (ইউনেসকোর সেক্রেটারি জেনারেলের শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা) অন্য অনেকেই এতে জড়িত হন। তাঁরা দিনরাত পরিশ্রম করে আরো ২৯টি দেশকে প্রস্তাবটির পক্ষে নিয়ে আসেন। অন্য বাংলাদেশি ও প্রবাসীদের কাছে ব্যাপারটা অগোচরেই ছিল। কয়েকজন ছাড়া কেউ টের পেল না, বাংলা ভাষাকে গৌরবান্বিত করতে পর্দার অন্তরালে কী ধুন্ধুমার কাজ চলছে।
১৯৯৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনেসকোর কাছে প্রস্তাব উত্থাপনের শেষ দিন। তখনো প্রস্তাব এসে পৌঁছায়নি। শেষ পর্যন্ত কি স্বপ্নটি অধরাই থেকে যাবে? রফিক-সালাম তখন নাওয়া-খাওয়া ভুলে গেছেন। টেলিফোনের সামনে বসে আছেন, কখনো চোখ রাখছেন ই-মেইলে। কই, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তো কোনো সাড়াই আসছে না! আসলে লিখিত প্রস্তাবটিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর সইটাই বাকি ছিল। আর প্রধানমন্ত্রী তখন পার্লামেন্টে। ওদিকে পার্লামেন্টের সময়সূচির পর ইউনেসকোতে প্রস্তাব উত্থাপনের সময়সীমা পার হয়ে যাবে। সব পরিশ্রম বোধ হয় জলেই গেল! প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে অনুরোধ করা হলো, তিনি যেন দ্রুত প্রস্তাবটিতে সই করেন। এরপর ফ্যাক্স করতে হবে ইউনেসকোর দপ্তরে। না হলে শেষরক্ষা আর হবে না। সময়সীমা শেষ হওয়ার মাত্র এক ঘণ্টা আগে ফ্যাক্সবার্তা পৌঁছাল ইউনেসকোর অফিসে। আহ্, শান্তি! প্যারিসে, ইউনেসকোর সদর দপ্তরে ১৬ নভেম্বর বসল ৩০তম সম্মেলন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বহুল প্রত্যাশিত প্রস্তাবটি সেখানে উত্থাপিত হলো না। রফিক-সালামরা আরো একটি হতাশ দিন পার করলেন। দেখা যাক, পরদিন কী হয়!
১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সভার শুরুতেই প্রস্তাবটি উত্থাপন করল বাংলাদেশ ও সৌদি আরব। অন্য ২৫টি দেশের সদস্যরা সেটিকে অনুমোদন করেন। এমনকি ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার মূলোৎপাটনের ষড়যন্ত্রে যারা লিপ্ত হয়েছিল, সেই পাকিস্তানও একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সমর্থন জানায়।
২০০০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো পালিত হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ইউনেসকোর পর জাতিসংঘও একুশে ফেব্রুয়ারিকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এখন কিন্তু দিনটি আর শুধু আমাদের নয়, সমগ্র বিশ্বের। বিশ্বের সব জাতির মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার দিন- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ইংরেজ-ফরাসি-চাকমা-সাঁওতাল- সবাই যাতে তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারে, গর্ব করতে পারে, সে লক্ষ্যেই জাতিসংঘ এ দিবসটি করেছে। পাশাপাশি সবাই জানতে পারবে- এই দিনেই বীর বাঙালিরা প্রাণ দিয়ে দাম দিয়েছিল মাতৃভাষার।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি !
সকল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা ! দুঃখ হয় , তার জীবদ্দশায় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন না। এর চেয়ে হতাশার আর কী আছে!! সবশেষে বাংলাদেশ সরকার এবং সুধী সমাজের কাছে প্রত্যাশা তারা যেন বাংলার বীর সন্তান কৃতি সন্তান রফিকুল ইসলাম এর অবদানের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেন!!
- সুমি খান
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন