বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং কবি জীবনানন্দ দাশ কে নিয়ে লেখক ও গবেষক আব্দুল মান্নান সৈয়দের একটি আলোচনামূলক লেখা ৷
কাজী নজরুল ইসলাম | লিখেছেন -
আবদুল মান্নান সৈয়দ | ২৫ মে ২০০৯ ১:২৬ অপরাহ্ন
সাকি,
কোথায় তোমার চিঠি? এদিকে তোমার বান্ধবীর চিঠির তোড়ে আমি তো প্রায় ভেসেই যাচ্ছি। রবীন্দ্রনাথকে চিঠি লেখায় না-হারিয়ে ছাড়বে না মনে হচ্ছে। আমিও ছাড়বার পাত্র নই। তুমি জানো কিনা জানি না, রবীন্দ্রনাথ এন্ডরুজ সাহেবকে একবার সাহেব মহোদয় বিদেশ থেকে ফিরলে একতাড়া চিঠি তাঁর হাতে অর্পণ করেন। আমিও সেই আদর্শে তোমার উদ্দেশে এই চিঠি লেখা শুরু করলাম। রবীন্দ্রনাথের মতো অবসর নেই তো আমার—ফলে একগোছা পত্র রচনা করতে একটু সময় নেবে হয়তো। কিন্তু রবীন্দ্রাদর্শ ভুলছি না। বলতে পারো, এই চিঠি তার শুভসূচনা।
আজকে তোমার সঙ্গে নজরুল নিয়ে একটু গল্প করি।—নজরুলের সঙ্গে অগ্রজ শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথ আর পরবর্তী শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দের সম্পর্কের দ্বন্দ্বসমাস। ওটা অনিবার্য। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দের কালে আমি থাকলে নিশ্চিতভাবে তাঁদের সঙ্গে আমার ভালো-মন্দ সম্পর্কের একটা গাঁটছড়া পড়তই। আমার আকঙ্ক্ষক্ষা নীরবতা। কিন্তু আমার বিধিলিপি একেবারে উল্টোটা।
থাকগে, মূল প্রসঙ্গে আসি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১)
থেকে কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯ - স্তব্ধতা ১৯৪২ - ১৯৭৬)
আর জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) বয়সে বছর চল্লিশের ছোট।
রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরও নজরুল এবং জীবনানন্দের চেয়ে বছর দশেকের ছোট।
বিশের ও ত্রিশের দশকে এই তিন কবিই একসঙ্গে কাজ করেছেন।
সেদিক থেকে বয়েসের দুস্তর ফারাকে কোনো আসে যায় না।
একদিক থেকে তাঁরা তিনজনই সমসাময়িক।
দূরবর্তিতাও একেবারে বিস্মৃত হয়ো না। রবীন্দ্রনাথের প্রথম কবিতাগ্রন্থ কবিকাহিনী বেরিয়েছিল ১৮৭৮ সালে;
নজরুলের প্রথম কবিতাগ্রন্থ অগ্নিবীণা প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালে;
আর জীবনানন্দের প্রথম কবিতাগ্রন্থ ঝরা পালক ১৯২৭ সালে।
কবিকাহিনী-র সঙ্গে তিলমাত্র মিল নেই অগ্নিবীণা-র।
এমনকি যে-রবীন্দ্রনাথ তাঁর কালে ব্যপকতম প্রভাব বিস্তার করেছিলেন অগ্নিবীণা তা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।
অগ্নিবীণা নামটি কিন্তু রবীন্দ্রনাথ থেকেই গৃহীত।
নজরুল ‘রবীন্দ্রসংগীতের হাফেজ’ ছিলেন, কিন্তু নজরুলসংগীতও রবীন্দ্রসংগীত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
তবে রবীন্দ্রপ্রভাব নজরুলের অনেক ক্ষেত্র থেকেই দেখানো যেতে পারে। মনে পড়ছে, ১৯৭০ সালে
রবীন্দ্রসংগীতকে ওয়াহিদুল হক একবার তাঁর বাসভবনে এমন-কিছু নজরুলসংগীত শুনিয়েছিলেন আমাদের, যা রবীন্দ্রসংগীতের আদলে তৈরি।
কিন্তু তাতে কোনো আসে যায় না: সামগ্রিক নজরুল ইসলাম সামগ্রিক রবীন্দ্রনাথ থেকে একেবারেই বিভিন্ন।
দ্যাখো না, রবীন্দ্রনাথের মাত্র বছর চল্লিশেক বয়সে তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর বিয়োগবেদনা সহ্য করতে হলো
তাঁকে; রবীন্দ্রনাথ স্মরণ নামে একটি কবিতাগ্রন্থ লিখলেন, সম্ভবত কয়েকটি গানও।
কাছাকাছি বয়েসে তাঁকে পুত্রকন্যার অকালমৃত্যুতে অপরিসীম শোকও সহ্য করতে হলো; কনিষ্ঠ পুত্র শমী-র (শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর) মৃত্যু তাঁকে বিচলিত করল বটে, কিন্তু সেও অসম্ভব মনোবলে সামলে নিলেন যেন।
আর নজরুলেরও ওই বছর চল্লিশেক বয়েসে স্ত্রী প্রমীলা কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়াতেই যেন তাঁর অসুখ সারানোর জন্যে ব্যাকুল হয়ে উঠলেন, এমনকি নিজে অসুস্থ হয়ে গেলেন।
পুত্র বুলবুলের একেবারে অকালমৃত্যুতে নজরুল সম্পূর্ণ মুষড়ে পড়েছিলেন—তাঁর গান মরমীলোকে প্রবেশ করেছিল।
এদিকে জীবনানন্দের এরকম প্রিয়জনের শোকবেদনা সহ্য করতে হয়নি।
আর দ্যাখো, নজরুল প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন—তাও ভিন্ন ধর্মে।
অন্যপক্ষে, রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দের স্ত্রী ছিলেন তাঁদের পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় নির্বাচিত।
রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী বিয়োগের পর তিনি স্মরণ কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছিলেন; তারপর তাঁর রচনা ও কর্মপ্রবাহে তিলমাত্র যতি পড়েনি।
নজরুলের স্ত্রী অশুস্থ হওয়ার পর তিনি তাঁকে সুস্থ করে তোলবার সম্ভব-অসম্ভব সবরকম চেষ্টা করেছেন,
প্রমীলার আগেই তিনি অসুস্থ ও জমকা নির্বাক হয়ে যান, তাঁর স্তব্ধতার মধ্যেই তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর মৃত্যু ঘটে,
তিনি বুঝতেও পারেন না কিছু, তারপরও দীর্ঘকাল বেঁচে থাকেন।
মৃণালিনী ও প্রমীলা ছিলেন পতিব্রতা।
লাবণ্য দাশের অনেক অভিযোগ ছিল জীবনানন্দের প্রতি।
সরাসরি বলব: রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল সংসারজীবনে ছিলেন সুখী, জীবনানন্দ তা ছিলেন না।
আরএক দিকেও জীবনানন্দ ছিলেন হতভাগ্য:
রবীন্দনাথ ও নজরুলকে বাস্তুচ্যুতির বেদনা বহন করতে হয়নি।
দেশভাগের ফলে, দেশভাগের আগেই, ১৯৪৬ সালে, তাঁর প্রিয় বরিশাল ছেড়ে চিরকালের মতো তাঁকে চলে যেতে হয়েছিল কলকাতায়—এবং যে-কয়েক বছর বেঁচে ছিলেন ঠিক নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি।
আরেকদিক থেকেও এই মহাকবি বঞ্চিত ছিলেন—
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল দেশবাসীর কাছে যে- সম্মাননা পেয়েছিলেন জীবনানন্দ তার কণামাত্র পাননি তার জীবৎকালে।
নজরুলকে কেন্দ্রে রেখে অগ্রসর হওয়া যাক।
১৯১৯ সালে সাহিত্যে প্রবেশ করেছিলেন সমবয়সী দুই কবি—নজরুল ও জীবনানন্দ।
দুজনেরই—তদানীন্তন প্রায়-সকলেরই কর্মক্ষেত্র থেকে—এঁদেরও—কিন্তু ১৯১৯ সালে দুই স্থান থেকে:
নজরুল করাচি থেকে লেখা পাঠিয়ে ছিলেন কলকাতার সওগাত পত্রিকায় আর জীবনানন্দের কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল বরিশাল থেকে প্রকাশিত ব্রহ্মবাদী পত্রিকায়।
সওগাত ছিল অনগ্রসর মুসলমান সমাজের পত্রিকা, ব্রহ্মবাদী ছিল একটেরে ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র—
জীবনানন্দের পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন যার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। কিন্তু শেষপর্যন্ত নজরুল ও জীবনানন্দ মুসলমান বা ব্রাহ্মসমাজে আটকা থাকেননি—বৃহত্তর বাঙালির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে স্নেহ করতেন, সস্নেহে ‘তুই-তোকরি’ করতেন, নজরুলকে সাবধানও করেছেন, যে-সাবধানবাণী নজরুল শোনেননি, নজরুল যখন জেলে তখন তাঁকে বই উৎসর্গ করেছেন, নজরুলের দুটি পত্রিকাতেই—ধুমকেতু আর লাঙলে—কবিতায় আশির্বাণী পাঠিয়েছেন।
অন্যপক্ষে নজরুল রবীন্দ্রনাথকে তাঁর শ্রেষ্ঠ কবিতাসংগ্রহ সঞ্চিতা উৎসর্গ করেছেন, রবীন্দ্রনাথের জীবৎকালে কবিতা ও গদ্য লিখেছেন তাঁকে নিয়ে, ১৯৪১ সালে রবীন্দ্রনাথের মহাপ্রয়াণের পর কবিতা লিখেছেন ও আবৃত্তি করেছেন, গান লিখেছেন ও সুর করেছেন ও গেয়েছেন।
তবে একটি শব্দ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নজরুলের বাহাস্ হয়েছিল: রবীন্দ্রনাথ তাঁর মন্তব্য থেকে সরে যাননি, নজরুলও তাঁর বক্তব্যে স্থিরদৃঢ় ছিলেন। শব্দটি ‘খুন্’—রক্ত অর্থে।
‘কাণ্ডারী হুঁশিয়ারে’ শব্দটি আছে—‘উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পুনর্বার।’ কবিতাটি ১৯২৬ সালে
কলকাতায় হিন্দু-মুসলমানের দাঙ্গার পটভূমিতে রচিত।
রবীন্দ্রনাথ একটি ভাষণে শব্দটি ব্যবহারের বিরুদ্ধে বলেছিলেন, এবং তাঁর জীবনের শেষ বছর পর্যন্ত শব্দটি স্বীকার করে নিতে পারেননি—সাক্ষ্য তাঁর চিঠিপত্র।
অন্যপক্ষে, নজরুল রবীন্দ্রনাথের ভাষণের মন্তব্যের বিরুদ্ধে এক ক্রোধী-কিন্তু-উন্মোচক প্রবন্ধ লিখেছিলেন ‘বড়র পিরীতি বালির বাঁধ’।
আবার, এই প্রবন্ধটি ছিল একক-কিছু নয়—রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আধুনিক তথা ‘অতিআধুনিক’ লেখকদের যে-বিরুদ্ধতা হয়েছিল—যার অগণন সাক্ষ্য আছে সেকালের পত্র-পত্রিকায়—তারই অন্যতম। শরৎচন্দ্র থেকে বুদ্ধদেব বসু (যাঁরা আবার ছিলেন পরস্পরের বিরুদ্ধে) সকলেই রবীন্দ্রনাথের বিপক্ষ দলের লেখক ছিলেন।
এঁরা সবাই—নজরুল সমেত—রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, কিন্তু তাঁদের শ্রদ্ধা অকণ্টক ছিল না
পূর্বজ ও সমসাময়িক অধিকাংশের মতো।
আবার, একটা বিষয় লক্ষ্য করো: রবীন্দ্রনাথ নজরুলের প্রতি যেটুকু স্নেহপরায়ণ ছিলেন, জীবনানন্দের প্রতি তার একটুও নয়।
জীবনানন্দের প্রতি রবীন্দনাথ প্রায় ভর্ৎসনা করেছেন তাঁর কবিতার মুদ্রাদোষের জন্যে—সেই রবীন্দ্রনাথ, যিনি প্রায় সবাইকে প্রশংসা বিতরণে অকৃপণ ছিলেন—সম্ভবত চিঠিটি জীবনানন্দের প্রথম কবিতাগ্রন্থ ঝরা পালক পাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ পাঠিয়েছিলেন।
জীবনানন্দের দ্বিতীয় কবিতাগ্রন্থ ধুসর পাণ্ডুলিপি ও সমালোচনার জন্যে তাঁর কাতর প্রার্থনার উত্তরে রবীন্দ্রনাথ দুই ছত্রের একটি পত্র প্রেরণ করেছিলেন।
একই কালের জাতক দুই কবি নজরুল ও জীবনানন্দের পরস্পরের প্রতি কী ধারণা ছিল শুনবে?
জীবনানন্দের প্রথম কবিতাগ্রন্থে এবং প্রাথমিক কবিতাগুচ্ছে নজরুলের স্পষ্ট প্রভাব ছিল।
পরে জীবনানন্দের কবিতা আমূল বদলে যায়। নজরুলের অকাল অসুস্থতার (১৯৪২) পরে জীবনানন্দ দুটি প্রবন্ধ লিখে ছিলেন—যেখানে সমালোচনা ছিল, প্রশস্তিও ছিল।
আধুনিক সাহিত্যের এক প্রধান সাময়িকপত্র কালিকলম অফিসে জীবনানন্দ নজরুলকে প্রথম দেখেছিলেন,
একটি চিঠিতে জীবনানন্দ তা উল্লেখ করেছেন। জানো, সওগাত-সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন আমাকে জানিয়েছিলেন, জীবনানন্দ মাঝে মাঝে সওগাত অফিসে যেতেন, সেখানেও নজরুলের সঙ্গে দেখা হতে পারে তাঁর। খানিকটা আশ্চর্য হয়েই দেখেছি কমরেড মুজফ্ফর আহমদ সম্পাদিত গণবাণী পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই জীবনানন্দের একটি কবিতা প্রকাশিত হয়।
সেদিক থেকে গণবাণী অফিসেও নজরুলের সঙ্গে দেখা হতে পারে। কথাবার্তা হয়েছে কিনা জানি না। অগ্রজ কবি কালিদাস রায়-যতীন্দ্র মোহন বাগচীকেও যখন নজরুল ঝরা পালক পাঠিয়েছিলেন, তখন নজরুলকেও পাঠাবেন স্বাভাবিক, কিন্তু নজরুল-পরিবার প্রায় কিছুই রক্ষা করেননি—
এত বড় দুর্ভাগ্য রবীন্দ্রনাথ বা জীবনানন্দ কারোরই কিন্তু হয়নি।
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ তিনজনই প্রবাসী, কল্লোল—এরকম সেকালীন পত্রিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
জীবনানন্দ, নজরুল, রবীন্দ্রনাথ তিনজনই সেকালের আধুনিকতার অল্পপরিচিত একটি বাহক ধূপছায়া-য় অবতীর্ণ হয়েছিলেন, একই সংখ্যায় এঁদের লেখা দেখেছি বলে মনে হচ্ছে, তা না হলেও একই বর্ষে বটেই।
নজরুল আর জীবনানন্দ ওই পত্রিকায় ছিলেন আধুনিকতার প্রতিভূ, আর ওই পত্রিকাতেই যদ্দুর মনে পড়ছে ‘স্পর্ধা’ নামে একটি কবিতায় রবীন্দ্রনাথ আধুনিকতার উদ্দেশে তির্যক বাণ নিক্ষেপ করেছিলেন।
আমরা এখন, সাকি, ওঁদের শতাব্দী পার হয়ে এসেছি। বিংশ শতাব্দী।
শতাব্দীপার থেকে দেখছি তিন মহাকবিকে—এঁদের একজন সম্পূর্ণ আত্মবৃত, জীবনানন্দ; একজন পুরো-খোলা, নজরুল; অন্যজন নির্জন না সামাজিক নাকি দুইই তা আজো আমি বুঝে উঠতে পারলাম না—রবীন্দ্রনাথকে।
রবীন্দ্রনাথের সংস্পর্শিত নারীদের নাম আমরা জানি—কাদম্বরী দেবী, ইন্দিরা দেবীচৌধুরানী, রানু (লেডি রানু মুখার্জি), ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো প্রমুখ;
নজরুলের নারীরাও অচেনা নয় আমাদের—রানু সোম, উষা মৈত্র, মিস ফজিলতুন্নেসা, জাহানারা বেগম চৌধুরী প্রমুখ;
এতকাল পরে জীবনানন্দের ডায়েরিতে উন্মুক্ত হলো তাঁর জীবনে অন্তত একটি মোহিনীর আবির্ভাব। এঁরা সব কোথায়?—
কিন্তু এঁরা সব জাগ্রত আছেন রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-জীবনানন্দের কবিতায়-গানে।
রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-জীবনানন্দ ওঁরাও তো মিশে গেছেন পঞ্চভূতে, কিন্তু রয়ে গেছে ওঁদের অক্ষর-শব্দ-বাক্য।
এই যে অক্ষর-শব্দ-বাক্য বসিয়ে, তোমার উদ্দেশে এই চিঠি বাতাসে ভাসিয়ে দিলাম, এই বুনোহাঁসটিকে—
দ্যাখো তো—তোমার নীড়ে বাঁধতে পারো কিনা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন