জঘন্যতম ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার আসল কারণ বিশ্লেষণ প্রসঙ্গে ৷
- শাহরিয়ার কবির
( তারিখ: ২৩/০৮/২০১৫ )
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার
পর আমি বাংলাদেশে জঙ্গী মৌলবাদের উত্থানের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ
করেছিলাম ‘জিহাদের প্রতিকৃতি’ নামে। এই
প্রামাণ্যচিত্রটি শুরু হয়েছে ২১ আগস্টের নৃশংস গ্রেনেড-বোমা হামলা এবং এর মূল
লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতকারের মাধ্যমে। হামলার
অন্যতম আসামি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানের একটি সাক্ষাতকারও রয়েছে
এই প্রামাণ্যচিত্রে। হরকাতুল জিহাদ বা সমগোত্রীয় জঙ্গী সংগঠন এ ধরনের কোন
হামলা করলে তা গোপন করে না। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী
লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে এই ভয়ঙ্কর হামলার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়া এবং তার সহযোগীরা কোরাসে বলেছেন- এর জন্য ভারত ও আওয়ামী লীগ দায়ী। এটি
প্রমাণের জন্য তখন ভারতফেরত ছাত্র পার্থ সাহা এবং আওয়ামী লীগের এক অখ্যাত কর্মী জজ
মিয়াকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছিল।
আমার প্রামাণ্যচিত্রে মুফতি হান্নান বলেছেন, কিভাবে বিএনপির সিনিয়র ভাইস
চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের অন্য শীর্ষ নেতারা হাওয়া ভবনে বসে জামায়াত, ফ্রিডম
পার্টি, হরকাতুল জিহাদ ও আল মারকাজুল ইসলামের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে হামলার
পরিকল্পনা করেছেন এবং হামলাকারীদের অর্থ ও রসদের যোগান দিয়েছেন। এই
বৈঠকে উপস্থিত সবাই এই মর্মে ঐকমত্য পোষণ করেছিলেন- শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখে
বাংলাদেশে তাদের ইসলাম অর্থাৎ মওদুদীবাদী ওয়াহাবী ইসলাম কায়েম করা যাবে না। )
( অবশ্য শাহরিয়ার কবির বলেছেন , গতকালের মুনতাসীর মানুনের লেখায় কিছু তথ্যগত ভূল রয়ছে ৷ হান্নানের সাক্ষাতকারটি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে তার সামরিক উপদেষ্টার মাধ্যমে তিনি জানাতে সক্ষম হয়েছেন ৷ পরে ডেইলি স্টার সহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এই মামলার পুনর্তদন্ত হয় ৷)
১৯৭১ সাল থেকে যারা
নিজেদের বাঙালী বলে মনে করেন এবং বাঙালী
সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন আর বাংলাদেশেকে একটি অসাম্প্রদায়িক
রাষ্ট্র পরিণত করতে চান তাদেরকে , বঙ্গবন্ধু থেকে আরম্ভ করে ব্লগার অভিজিত রায় পর্যন্ত এবং শেখ
হাসিনা থেকে আরম্ভ করে নিম্নের তৃণমূলের অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী অনেক মানুষকেই গত ৪৩ বছর হত্যা করা হয়েছে আথবা হত্যার প্রচেষ্টা গ্রহণ
করা হয়েছে ৷ কিংবা জেল-জুলুম-নির্যাতনের
মুখোমুখি করা হয়েছে ।এত কিছুর পরেও বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য পরিকল্পনায় কারা ছিল তা
উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি বা কোন তদন্ত কমিশন গঠিত হয়নি যদিও সরাসরি যারা অংশ নিয়েছিল তাদের বিচার কার্য সম্পুর্ণ হয়েছে ।
১৯৪৭ থেকে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বাঙালীদের মনোজগতে যে দ্বন্দ্বের শুরু করা হয়েছিল তার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি ৷ যদিও অনেকে ভেবেছিলেন ১৯৭১ সালে তার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে । বাঙালী মুসলমান সেই ২০০ বছর ধরে আত্মপরিচয় সঙ্কটে ভুগছে । তার সত্তা এখনও দ্বিখণ্ডিত । বঙ্গবন্ধু ২৫ বছর চেষ্টা করে বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ করে অসাম্প্রদায়িক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়েছিলেন। কেননা তিনি দূরদর্শী ছিলেন বলেই অনুধাবন করেছিলেন একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রই বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে ।
১৯৭৫ সালের পরে জিয়াউর
রহমান ঐ ঐক্য ভেঙ্গে জাতিকে দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন এবং দ্বিখণ্ডিত জাতির একাংশের হয়ে
ক্ষমতা দখল করেছেন। একই কাজ করেছেন এরশাদ। জিয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেয়ার আগেই নিহত হন।
তাই এরশাদের সময় থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টা নেয়া হয়। অর্থাৎ, জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরি রূপে আবির্ভূত হন এরশাদ । এরশাদ বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের শুধু সরকারী পদ দিয়ে সাহায্যই করে থামেন নাই , বঙ্গবন্ধুর ঘাতক ফারুককে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনেরও সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকে দেখা যাচ্ছে পুলিশ সব সময়ই নিজেদের কোড অব কনডাক্ট মানেনি। রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা প্রভাবশালী মহল যে সময়ে যা বলেছেন সেই অনুযায়ীই পুলিশ কাজ করেছে। তা না হলে শেখ হাসিনার প্রাণনাশের ২১টি প্রচেষ্টার একটিও নিষ্পত্তি হয়নি কেন এত দিন ৷ হাসিনা যখন নিজে এই সব ঘটনা নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেন এর পরে ও দেখা যায় তা কোথাও না কোথাও আটকে যায় বা কৌশলে আটকে দেয়া হয় ৷
তাই এরশাদের সময় থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টা নেয়া হয়। অর্থাৎ, জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরি রূপে আবির্ভূত হন এরশাদ । এরশাদ বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের শুধু সরকারী পদ দিয়ে সাহায্যই করে থামেন নাই , বঙ্গবন্ধুর ঘাতক ফারুককে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনেরও সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকে দেখা যাচ্ছে পুলিশ সব সময়ই নিজেদের কোড অব কনডাক্ট মানেনি। রাজনৈতিক নেতৃত্ব বা প্রভাবশালী মহল যে সময়ে যা বলেছেন সেই অনুযায়ীই পুলিশ কাজ করেছে। তা না হলে শেখ হাসিনার প্রাণনাশের ২১টি প্রচেষ্টার একটিও নিষ্পত্তি হয়নি কেন এত দিন ৷ হাসিনা যখন নিজে এই সব ঘটনা নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেন এর পরে ও দেখা যায় তা কোথাও না কোথাও আটকে যায় বা কৌশলে আটকে দেয়া হয় ৷
শাহরিয়ার কবির একটি কথা
বারবার বলে থাকেন বাংলদেশের প্রশাসনের
রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে জামায়াত। এই
কথায় সত্যতা আছে ।
গরিবরা এ রাষ্ট্র এনেছিল এবং স্বাধীন করেছিল । এখন অর্থবিত্ত ও ক্ষমতা এ রাষ্ট্রকে গ্রাস করে ফেলেছে । যে কারণে, ৭ বিলিয়ন ডলার বিদেশে থাকা প্রমাণিত হলেও সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ত্বরিত কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় না । কি জন্যে কোথায় যেন সব আটকে যায়।
প্রতিক্রিয়ার এই ধারা ১৯৪৭ সাল থেকেই এ দেশে ছিল। ১৯৭১ স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়ে ও সালে ছিল। না হয় রাজাকার , আল-বদর ইত্যাদি বহিনীর জন্ম হত না ৷ এই ধারা এখনও অব্যাহত আছে। এই ধারাকে ১৯৭৫-এর পর পুষ্ট করেছেন জিয়া , এরশাদ , আর খালেদা। এই ধারার ব্যক্তিরা প্রচুর অর্থবিত্তের এবং ক্ষমতার মালিক। তাদের কাছে মানুষ এবং রাষ্ট্র সবই এখন জিম্মি হয়ে গেছে । এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিও তাদের কাছে বাঁধা হয়ে গেছে অনেক ক্ষেত্রে। তাদের লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের ধারাকে পদানত করা ৷ আর শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে না পারলে এ ধারাকে পদানত করা সম্ভব হচ্ছে না এখনও । সবাইকে তারা কিনতে পারছে বা পারবে হয়ত , কিন্তু শেখ হাসিনাকে কিনা যাবে না এ কথা এখন তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে ৷ এ জন্যই তাঁকে হত্যা করতে হবে।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসীন হয়েই পিতার আরম্ভ করা কাজ সম্পন্ন করতে চেয়েছেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন যাতে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়। আমরা জানি এতে প্রচুর প্রতিবন্ধকতা আছে ৷ কিন্তু জানি তিনি শেখ হাসিনা যেন ফিনিক্স। কিন্তু তাঁর প্রশাসন এবং তাঁর দল সব সময় তাঁর সঙ্গে তার কাজে থাকে না।
গরিবরা এ রাষ্ট্র এনেছিল এবং স্বাধীন করেছিল । এখন অর্থবিত্ত ও ক্ষমতা এ রাষ্ট্রকে গ্রাস করে ফেলেছে । যে কারণে, ৭ বিলিয়ন ডলার বিদেশে থাকা প্রমাণিত হলেও সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ত্বরিত কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় না । কি জন্যে কোথায় যেন সব আটকে যায়।
প্রতিক্রিয়ার এই ধারা ১৯৪৭ সাল থেকেই এ দেশে ছিল। ১৯৭১ স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়ে ও সালে ছিল। না হয় রাজাকার , আল-বদর ইত্যাদি বহিনীর জন্ম হত না ৷ এই ধারা এখনও অব্যাহত আছে। এই ধারাকে ১৯৭৫-এর পর পুষ্ট করেছেন জিয়া , এরশাদ , আর খালেদা। এই ধারার ব্যক্তিরা প্রচুর অর্থবিত্তের এবং ক্ষমতার মালিক। তাদের কাছে মানুষ এবং রাষ্ট্র সবই এখন জিম্মি হয়ে গেছে । এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিও তাদের কাছে বাঁধা হয়ে গেছে অনেক ক্ষেত্রে। তাদের লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের ধারাকে পদানত করা ৷ আর শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে না পারলে এ ধারাকে পদানত করা সম্ভব হচ্ছে না এখনও । সবাইকে তারা কিনতে পারছে বা পারবে হয়ত , কিন্তু শেখ হাসিনাকে কিনা যাবে না এ কথা এখন তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে ৷ এ জন্যই তাঁকে হত্যা করতে হবে।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসীন হয়েই পিতার আরম্ভ করা কাজ সম্পন্ন করতে চেয়েছেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন যাতে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়। আমরা জানি এতে প্রচুর প্রতিবন্ধকতা আছে ৷ কিন্তু জানি তিনি শেখ হাসিনা যেন ফিনিক্স। কিন্তু তাঁর প্রশাসন এবং তাঁর দল সব সময় তাঁর সঙ্গে তার কাজে থাকে না।
তাই প্রশ্ন করা যায় , আজ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে
সব হত্যা প্রচেষ্টার বিচার কেন হলো না ? কেন যারা হত্যা প্রচেষ্টায় থাকে তারা জামিন পেয়ে যায় ? এর রহস্য কী ? কেন চট্টগ্রাম হত্যা
প্রচেষ্টার মামলার বিচার শেষ হয় না এত বছর পরে ও ? কেন গ্রেনেড হামলার বিচার এখনও ঝুলে আছে ? এ হত্যা প্রচেষ্টার
মামলাগুলোর সমন্বয় করে দ্রুত বিচার করার জন্য কি তিনি আগ্রহী নন ? না থাকলে এর কারণ কী ? তিনি কি তাঁর দল, মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের মধ্যে
কাউকে এ দায়িত্ব দিতে পারেন না কেন ?
কিত্তু এসব ২১ টি হত্যা প্রচেষ্টার মধ্যে সবচেয়ে জঘন্যতম হচ্ছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা।
কিত্তু এসব ২১ টি হত্যা প্রচেষ্টার মধ্যে সবচেয়ে জঘন্যতম হচ্ছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা।
এটা কি ভাবা যায় যে দেশের একজন
প্রধানমন্ত্রী , সরকারের
গোয়েন্দা সংস্থা এর সঙ্গে জড়িত হতে পারে ? পুলিশ এ মামলা নিয়ে কত রঙ্গতামাশাই না করেছে । এখনও কি এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় ?
মুফতি হান্নানকে
যখন বারবার রিমান্ডে আনা হচ্ছে, তখন
তিনি বলছিলেন, আমাকে
নিয়ে এত টানাহেঁচড়া করছেন কেন ? ২১শে
আগষ্টের গ্রেনেড
হামলার নীলনকশা তো হয়েছে হাওয়া ভবনে। হান্নানের এই বক্তব্যটি শাহরিয়ার কবির জানতে পারেন এবং যে
ভাবেই হোক শাহরিয়ার কবির তাঁর একটি তথ্যচিত্রের জন্য হান্নানের
এই বক্তব্যটি
রেকর্ড করতে সমর্থ
হন ৷
তখন এই ঘটনার তদন্তকারী এক অফিসারকে
শাহরিয়ার কবির জিজ্ঞেস করেন , হান্নান
বার বার
যে কথাটা
বলছে তা
তো তদন্তের
জন্য একটি
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
৷ কিত্তু আপনি
তো হান্নানের এই গুরুত্বপূর্ন
কথায় তো কোনো
গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন ? তদন্তকারী
কর্মকর্তা ক্রুদ্ধ হয়ে শাহরিয়ারকে চলে যেতে বলেন । এক পর্যায়ে বহু তর্কাতর্কির পর সেই অফিসার
শাহরিয়ার কবিরকে
বলেন
, দেখুন , আমাদের তো চাকরি করতে হবে । বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমাদের তদন্তকারীদের কি
হবে ? যদি
আমরা হান্নানের
এই বক্তব্যকে
গুরুত্ব দেই ! এই
হচ্ছে পুলিশের মনোভাব। অর্থাৎ কোনো তদন্তেই আসল কারণ বের করতে কেউ আগ্রহী হয় না ৷ তাই যে কোনো ঘটনার মামলা ও তদন্ত যুগ যুগ ধরে চলতে থাকে !
তখন পর্যন্ত আর্থাৎ শাহরিয়ার কবিরের তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজ আরম্ভ করে তা শেষ করার পরও শেখ হাসিনকে এই সত্য ঘটনাটি জানতে দেয়া হয় নি ৷ তার দলের বা যারা সব সময় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আশেপাশে ঘিরে থাকেন তারা কেউই তাকে এই সংবাদটি দেন নাই বা তারা কেউই আসল ঘটনাটিকে জানতেন ই না বা জানতেই চান নি কোনো দিন যে , কি কারণে ২১শে আগষ্টের এই গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে , ঘটনার কোনো গুরুত্ব দেয়া তো দূরের কথা ৷
২১শে আগষ্টের বোমা হামলার আসল ঘটনাটি জানার পর শাহরিয়ার
কবির কয়েকজন প্রভাবশালীর মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেন
৷ কিত্তু
প্রধান মন্ত্রীকে
কেউ এই
ঘটনাটি জানায়
নাই বা
জানাতে পারে
নাই কোনো
বিশেষ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখার কারণে ৷ এ ক্ষেত্রে শাহরিয়ার
কবির ব্যর্থ হন , কিত্তু
চেষ্টা ছাডেন
নাই ।
পরে ঘটনাটি
যখন তিনি
তাঁর একটি তথ্যচিত্রের
মাধ্যমে টিভিতে প্রদর্শিত
করার ব্যবস্থা
করেন এবং
তথ্যচিত্রটি যখন টিভিতে প্রচারিত
হয় তখন এই
ঘটনাটি জানাজানি হয় যায়
যে , এই
হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে
হাওয়া ভবন সহ আরো অনেকে জড়িত ছিল ৷ এই সময়ই আসল ঘটনাটি শেখ হাসিনা জানতে পারেন বলে অনুমিত হয় ৷ আর তখন থেকে তদন্তের মোড় ও পরিবর্তন হয় ৷ তবে বর্তমানে হান্নানের জবানবন্ধি বদলানোর চেষ্টা অব্যাহত আছে , যাতে দেশে অবস্থানকারী মূল পরিকল্পনাকারীদের রক্ষা করা যায় ৷
সূত্র;
জনকণ্ঠে প্রকাশিত মুনতাসীর মামুনের একটি লেখা
থেকে এই লেখাটি সংক্ষিপ্ত করে তৈরি করা হয়েছে ৷
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন