(1. Introduction
Prophet Yusuf (AS) was the son of Prophet Ya'qub (AS). In the Bible he is referred to as Joseph son of Jacob. The Holy Qur'an has mentioned his story in a beautiful chapter entitled "Surah Yusuf". Prophet Yusuf (AS) had 11 brothers. He was one of the youngest and possessed excellent character and manners. His father loved him dearly.
Prophet Yusuf (AS) once dreamt that eleven stars and the sun and moon were prostrating to him. He related the dream to his father. Prophet Ya'qub (AS) realised that the dream outlined his son's destiny and greatness and cautioned him not to tell his brothers about the dream.
His brothers were jealous of the favour that he enjoyed in their father's eyes and planned to somehow get rid of him. Whenever they took their goats out for grazing they would ask their father if Yusuf (AS) could accompany them. Prophet Ya'qub (AS) always refused, saying that the boy was too young. When Prophet Yusuf (AS) reached the age of 16, his brothers insisted that he was now old enough to accompany them. With reluctance, their father agreed to let them take him with them.
As soon as they were far enough from home, they began to plot about how to dispose of Prophet Yusuf (AS). Then, they came across a dry well. They removed Prophet Yusuf's (AS) shirt, and threw him into the well. Ignoring their young brother's pleas, they heartlessly left him to die of hunger.
On the way back, they slaughtered a goat and stained Prophet Yusuf's (AS) shirt with its blood. They arrived home weeping and told their father that while they were grazing their sheep, a wolf came and ate their brother. He did not believe their story and could do nothing but remain patient and wait for Allah to reunite him with his beloved son.
Meanwhile a caravan of traders passing by the well stopped to draw some water. They were surprised to see Prophet Yusuf (AS) come up holding the bucket. They hid him with their merchandise and sold him to some slave traders for a few pieces of silver.)
( source; Sibtayn International Foundation ) His brothers were jealous of the favour that he enjoyed in their father's eyes and planned to somehow get rid of him. Whenever they took their goats out for grazing they would ask their father if Yusuf (AS) could accompany them. Prophet Ya'qub (AS) always refused, saying that the boy was too young. When Prophet Yusuf (AS) reached the age of 16, his brothers insisted that he was now old enough to accompany them. With reluctance, their father agreed to let them take him with them.
As soon as they were far enough from home, they began to plot about how to dispose of Prophet Yusuf (AS). Then, they came across a dry well. They removed Prophet Yusuf's (AS) shirt, and threw him into the well. Ignoring their young brother's pleas, they heartlessly left him to die of hunger.
On the way back, they slaughtered a goat and stained Prophet Yusuf's (AS) shirt with its blood. They arrived home weeping and told their father that while they were grazing their sheep, a wolf came and ate their brother. He did not believe their story and could do nothing but remain patient and wait for Allah to reunite him with his beloved son.
Meanwhile a caravan of traders passing by the well stopped to draw some water. They were surprised to see Prophet Yusuf (AS) come up holding the bucket. They hid him with their merchandise and sold him to some slave traders for a few pieces of silver.)
কোরআনের আলোকে একজন
সাধারণ ইউসুফ এর হযরত
ইউসুফ নবী ( আঃ ) হয়ে ওঠার বর্ণনা , সুরা
ইউসুফের বর্ণনা অনুসারে :
( সাধারণত ধর্ম গ্রন্থ থেকে নীতি কথা এবং নৈতিকতা
শিক্ষা দেয়া হয় এবং অন্যান্য
উপদেশাবলী ও বিভিন্ন আদেশ ও নির্দেশ ইত্যাদি ধর্মগ্রন্থে
লিপিবদ্ধ করা থাকে ৷ এটাই তো স্বাভাবিক ! কিন্তু কোনো কোনো ধর্মগ্রন্থে
মানষকে চালাকি ও শিক্ষা দেয়া হয় ৷ চালাকির মাধ্যমে
কি ভাবে কাউকে ফাঁদে ফেলে নিজ কার্য সিদ্ধি করা যাবে সে পথ ও দেখানো হয় ৷ নিম্নের
সুরা ইউসুফের বর্ণনাতে
এরকমের কিছু দৃষ্টান্ত
আমরা দেখতে পাব ৷ মূলতঃ এই জিনিষটা পাঠকের কাছে তুলে ধরতেই এই লেখার প্রয়াস ৷ )
কোরআনের ১২ নং সুরার ১০২ নং
আয়াতে বলা হয়েছে - “ ( হে মুহাম্মদ ! ) এ-কাহিনী অদৃশ্যলোকের
খবর যা আমি তোমাকে প্রাত্যাদেশের
মাধ্যমে জানিয়েছি ৷ তুমি তো উপস্থিত ছিলে না যখন ওরা
( ইউসুফের ভাইয়েরা ) একজোট হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল”
৷
২৭ নং সুরা বনি-ইসরাইল (মক্কায় অবতীর্ণ)
আয়াত-৮৯;- আমি মানুষের জন্যে এ-কোরান বিভিন্ন উপমা দিয়ে আমার বাণী বিশদভাবে বর্ণনা করেছি , কিন্তু অধিকাংশ মানুষই অমান্য না ক’রে ক্ষান্ত
হয় না ৷
সুরা আল-ইমরান এর ৭ নং আয়াতে কোরানের আয়াতগুলোকে স্পষ্ট আয়াত এবংঅস্পষ্ট বা রূপক আয়াতে ভাগ করার বর্ণনা করা হয়েছে ।
তাই ৭নং আয়াতে বলা হয়েছে -“ তিনিই তোমাদের
প্রতি এই কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার মধ্যে মজবুত আয়াতগুলো উম্মুল
কিতাব ( কিতাবের মূল অংশ ) অন্যগুলো রূপক ( বা
কিচ্ছা কাহিনী ) ৷ যাদের মনে বিকৃতি তারা ফিৎনা
( বিরোধ ) সৃষ্টি ও কদর্থের উদ্দেশ্যে
যা রূপক তা অনুসরণ করে ৷ আল্লাহ্
ছাডা অন্য কেউ এর ব্যাখ্যা
জানে না ৷ আর যারা জ্ঞানী তারা বলে
, ‘ আমরা এতে বিশ্বাস
করি ৷ সবই আমাদের প্রতিপালকের
কাছ থেকে এসেছে ’ ৷
আর বোধশক্তি সম্পন্ন
ব্যক্তিরা ছাড়া কেউ উপদেশ গ্রহণ করে না ” ৷
তাই সুরা ইউসুফ কে আমরা উপরে উল্লেখিত
আয়াতের আলোকে বিশ্লেষণ
করে এ সুরার কাহিনীর বর্ণনা
করব আমাদের নিম্নের
লেখায় ৷ অর্থাৎ
এই সুরার আয়াতগুলো
রূপক আয়াতের অন্তর্ভূক্ত
মনে করা যেতে পারে ৷ তবে এ লেখার ক্ষেত্র বিশেষে
কিছু আয়াতের সরাসরি
উল্লেখ করা হয়েছে আর কিছু আয়াতের
বিষয় বস্তুর উল্লেখ করা হয়েছে ৷
অর্থাৎ এই আয়াত অনুসারে
নবী ইউসুফের যে কিচ্ছা বা কাহিনী কোরআনে
বর্ণিত হয়েছে তা নবীজী
(সঃ) কে পূর্বেই ওহীর মাধ্যমে জানানো
হয়েছে ৷
এ কেচ্ছার
সূত্রপাত হয়েছে স্বপ্নের
ব্যাখ্যা জানানোর উদ্দেশ্যে
৷ ইউসুফ শৈশবে একটি স্বপ্ন
দেখেন ৷ পরে ইউসুফ কি স্বপ্নে দেখেছেন
তা তার পিতাকে
জানাতে গিয়ে বলেন যে
, তিনি
স্বপ্নে দেখেছেন - এগারোটি নক্ষত্র , সূর্য ও চন্দ্র তাকে সিজদা করছে ৷ এই স্বপ্নের বিবরণ শুনে তার পিতা বুঝতে পারেন
যে এতে
নিশ্চয় কোনো গায়েবী
রহস্য আছে ! তাই তিনি ইউসুফকে
বলেন যে , সে যেন এই স্বপ্নের
কথা তার অন্যান্য
ভাইদের না জানায় ৷ কারণ ইহা জানলে তার ভাইয়েরাও
শয়তানের প্ররোচনায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
করবে ৷ যদিও আমরা জানি আল্লাহ্
সর্বশক্তিমান , তবুও সতর্ক থাকলে দোষ কি
? তাই
বোধহয় এই উপদেশটি ইউসুফকে
তার পিতা দিয়েছিলেন
৷
কিন্তু ইউসুফ তার ভাইদের
স্বপ্নের ব্যাপারে কিছু না বললে ও হঠাৎ করে
তাদে পিতা স-ভাই ইউসুফকে
অতিরিক্ত আদর যত্ন করছেন দেখে ভাইয়েদের মনে হিংসার জন্ম হয় ৷ ফলে ভাইয়েরা
ইউসুফকে হত্যা করতে বা নির্বাসনে
পাঠাতে সিন্ধান্ত নেয় নিজেদের মধ্যে পরামর্শ
করে ৷ ( আল্লাহ্ কী মুসলিমদের
মনে জন্ম থেকেই হিংস্যার বীজ বপন করে রাখেন ? যেখানে আপন ভাই নিরাপদ
নয় ! সেখানে অন্য সম্প্রদায়
কীভাবে নিরাপদে থাকবে ? যদি কেউ এ প্রশ্ন
ক’রে তবে কি তা ভূল হবে
? )
এরপর ইউসুফের
ভাইয়েরা তাদের ষড়যন্ত্রের
অংশ হিসেবে পিতার কাছ থেকে কৌশলে অনুমতি
নিয়ে ইউসুফকে বাডির বাইরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় ৷ যদিও পিতা তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে , যদি ইউসুফকে
তারা ভালভাবে নজরে না রাখে তবে বনের নেকড়ে বাঘ তাকে খেয়ে ফেলতে পারে !
ভাইয়েরা তাকে ভালভাবে
দেখে রাখবে এই আশ্বাস
পিতাকে দিয়ে ইউসুফকে নিয়ে দূরে চলে য়ায় ৷ পরে ভাইয়েরা
নিজেদের মধ্যে আলোচনা
করে ঠিক করে যে , তাকে হত্যা না করে এক পানির কুপে ফেলে দিতে হবে, তাহলে তারা মানুষ হত্যার
দায় থেকে রক্ষা পাবে
এবং সে
অনুসারে ভাইয়েরা তাকে রাস্তার ধারের একটি কুপে ফেলে দেয় ৷ আর রাতে কাঁদতে কাঁদতে
বাড়ি ফিরে পিতাকে
বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে বলে যে তারা শত চেষ্টায়ও ইউসুফকে
রক্ষা করতে পারে নি
, বনের নেকড়ে বাঘ সত্যিই
তাকে
খেয়ে ফেলেছে ৷ প্রমাণ হিসেবে পিতাকে তারা ঝুটা রক্ত লাগানো ইউসুফের
জামাটি ফেরত দেয় ৷ একথা শুনে পিতা তাদের কথা বিশ্বাস
না করে বলেন যে , এতো তোদের মন
গড়া মিথ্যা কাহিনী ও হতে পারে ! তবে আমি আল্লাহ্
র উপর
ভরসা করে ধৈর্য ধরে থাকব এবং এ ব্যাপারে আল্লাহ্ র
ফয়সালার জন্যে অপেক্ষা করব ৷
অন্যদিকে , এই রাস্তা দিয়ে যাত্রা করা একদল
যাত্রি তাদের এক সঙ্গিকে ঐ কুপ থেকে পানি সংগ্রহ
করতে পাঠায় ৷ সে কুপ থেকে পানি তুলতে গিয়ে ইউসুফকে পেয়ে যায় ৷ সে দলের লোক থেকে
ইউসুফকে লুকিয়ে রাখে এবং সূযোগ বুঝে
পরে তাকে
খুব অল্প মূল্যে
বিক্রি করে দেয় ৷
একজন মিশরের
লোক ওকে ক্রয় করে বাড়ী নিয়ে যায় এবং তার স্ত্রীকে আদেশ করে বলে সে যেন ওকে ভালভাবে
দেখাশুনা করে ৷ কারণ বড় হলে তাদের উপকারে লাগবে এবং ইচ্ছা হলে ওকে পরে তারা পালক পূত্র হিসেবে
ও গ্রহণ
করতে পারবে ৷
সুরা ইউসুফের
২১ নং আয়াতে দেখা যায় যে , আল্লাহ্ ইউসুফকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা
শিক্ষা দেবার জন্যে সে দেশে প্রতিষ্ঠা করেন ৷ পাঠকদের
বুঝার সূবিধার্থে নিম্নে
কিছু আয়াতের সরাসরি
উল্লেখ করা হল ৷
সুরা ইউসুফ- আয়াত নং ২১;-
মিশরের যে-লোক ওকে কিনেছিল সে তার স্ত্রীকে
বলল, ‘একে ভালোভাবে
রাখো, হয়তো সে আমাদের উপকারে আসবে বা আমরা ওকে ছেলে হিসাবেও নিতে পারি’ । আর এভাবে আমি ঈউসুফকে ঘটনার (বা স্বপ্নের) ব্যাখ্যা শিক্ষা দেবার জন্য সেদেশে
প্রতিষ্ঠিত করলাম । সকল কাজেই আল্লাহ্ র অপ্রতিহত ক্ষমতা , কিন্তু অনেক
মানুষ তা জানে না ।
আয়াত ;-২২,-
সে (ইউসুফ) যখন পুরো সাবালক হল তখন আমি তাকে হিকমত ও জ্ঞান
দান করলাম । আর এভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদের পুরস্কৃত করি।
আয়াত-২৩;
- সে যে-মহিলার বাড়িতে ছিল সে তার চরিত্র নষ্ট করার জন্য তাকে ফুসলাতে লাগল ও সকল দরজা বন্ধ করে বলল, ‘ এসো’ । সে বলল, ‘ আমি আল্লাহ্ র স্মরণ নিচ্ছি, আমার প্রভু, যিনি তিনি আমাকে সম্মানের সাথে থাকতে দিয়েছেন । যারা সীমালঙ্ঘন করে তারা অবশ্য সফলকাম হয় না ’ ।
আয়াত-২৪;-
সেই মহিলা তার প্রতি আসক্ত হয়েছিল , আর সেও তার
প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ত যদিনা সে তার প্রতিপালকের নিদর্শন প্রত্যক্ষ করত। তাকে মন্দ কর্ম ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখার
জন্য আমি এভাবে নিদর্শন দেখিয়েছিলাম । সে ছিল অবশ্যই আমার বিশুদ্ধচিত্ত দাসদের একজন ।
আয়াত-২৫;-
ওরা দুজনে দৌড়িয়ে দরজার দিকে গেল । আর স্ত্রীলোকটি পেছন থেকে তার জামা ছিঁড়ে
ফেলল। স্ত্রীলোকটির স্বামীকে তারা দরজার কাছে দেখতে পেল । স্ত্রীলোকটি বলল, ‘ যে তোমার পরিবারের সাথে কুকর্ম কামনা করে তার জন্য তাকে কারাগারে পাঠানো বা অন্য কোনো
দারুণ শাস্তি ছাড়া আর কী শাস্তি হতে পারে’ ?
আয়াত-২৬;-
ইউসুফ বলল, ‘ সে-ই আমার কাছ থেকে কুকর্ম কামনা করেছিল ’ । স্ত্রীলোকটির পরিবারের একজন সাক্ষ্য দিল, ‘ যদি ওর জামার সামনের দিক ছেঁড়া থাকে তবে
স্ত্রীলোকটি সত্য কথা বলেছে , ইউসুফ মিথ্যা বলেছে;
আয়াত-২৭;
-কিন্তু ওর জামা যদি পিছন দিকে ছেঁড়া থাকে তবে
স্ত্রীলোকটি মিথ্যা কথা বলেছে,
ইউসুফ সত্য কথা বলেছে ।
আয়াত-২৮
গৃহস্বামী যখন দেখল যে তার জামা পেছন দিক
থেকে ছেঁড়া তখন সে বলল, ‘এ
তোমাদের নারীদের ছলনা ! তোমাদের ছলনা তো কঠিন। হে ইউসুফ !
আয়াত-২৯;-
তুমি এ-বিষয়ে কিছু মনে কোরো না । আর হে নারী ! তুমি তোমার অপরাদের জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তুমি অপরাধী’ ।
আয়াত-৩০;-
শহরের মহিলারা বলল, ‘ আজিজের স্ত্রী তার জওয়ান চাকরটাকে খারাপ করার
জন্য ফুসলাচ্ছে , প্রেমে পাগল পাগল হয়ে গেছে , আমরা তো দেখছি সে বড় ভুল করছে’ ।
আয়াত-৩১;-
সে (আজিজের স্ত্রী) যখন ওদের ষড়যন্ত্রের কথা
শুনল তখন সে ওদেরকে নিমন্ত্রণ করল এক ভোজসভায় । ওদের প্রত্যেককে সে একটি করে ছুরি দিল (সালাদ
বা খাবার কাটার জন্য) আর ইউসুফকে বলল, ‘ ওদের
সামনে এসো’ ।
তারপর ওরা যখন তাকে দেখল তখন তার রূপ-মাধুর্যে অভিভূত হলো
এবং নিজেদের হাত কেটে ফেললো ,
তারা বললোঃ অদ্ভুত আল্লাহ্র
মাহাত্ম্য, এতো মানুষ নয় এতো এক মহিমান্বিত ফেরেশতা !
আয়াত-৩২;-
সে বলল,ইনিই তিনি যার
জন্য তোমরা আমার নিন্দা করছ ! আমি তাকে খারাপ করার জন্য ফুসলাবার চেষ্টা
করেছি , কিন্তু সে তো নিজকে পবিত্র রেখেছে । আমি তাকে যা বলি সে যদি তা না করে তবে সে
কারাগারে যাবেই এবং তাকে অপমান করা হবে’ ।
আয়াত-৩৩ ;-
ইউসুফ বলল, ‘ হে আমার প্রতিপালক ! এই মহিলারা আমাকে যার দিকে ডাকছে তার চেয়ে
কারাগার আমার অনেক প্রিয় । আপনি যদি ওদের ছলনা থেকে আমাকে রক্ষা না করেন তবে আমি ওদের
দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং জাহেল ব’নে যাব’।
আয়াত-৩৪ ;-
তারপর তার প্রতিপালক তার ডাকে সাড়া দিলেন ও
তাকে ওদের ছলনা থেকে রক্ষা করলেন । তিনি তো সব শোনেন, সব জানেন ।
আয়াত
৩৫ ;
- লক্ষণ দেখে ওদের মনে হল যে , তাকে কিছু সময়ের জন্যে করাগারে পাঠাতেই হবে ৷
পরবর্তী বর্ণনা থেকে জানা যায় ইউসুফের সঙ্গে আরো দুজনকে অন্য অপরাদে কারাগারে প্রেরণ করা হয় ৷ তাদের দুজনেই দুটু স্বপ্ন দেখেছিল ৷ আর তারা ইউসুফের কাছে স্বপ্নের অর্থ জানতে চায় ৷ তাদের একজনের স্বপ্ন ছিল সে আঙ্গুর নিংড়ে রস বার করছে ৷ অন্যজন দেখেছে সে তার মাথায় রুটি বইছে , আর একটি পাখি তার মাথা থেকে তা খাচ্ছে ৷ এর জবাবে তখন ইউসুফ তাদেরকে ধর্মের ব্যাপারে উপদেশ দিয়ে বললো সে তার পিতৃপুরুষ ইব্রাহিম , ইসহক ও ইয়াকুবের ধর্ম ও সামাজিক নির্দেশ পালন করে থাকে ৷ তাই সে একমাত্র স্রষ্টা আল্লাহ্ র সাথে অন্য কাউকে শরিক করে না ৷ তাই এই দুই বন্দীকে ইউসুফ তাদের বহু ঈশ্বরবাদী
উপাসনা ত্যাগ করে এক আল্লাহ্ র উপাসনা করতে আহ্বান জানায় ৷ পরে সে তাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা বর্ণনা করে বলে যে , প্রথম জনের স্বপ্নের ব্যাখ্যা হল- সে তার প্রভুকে মদ্য পান করাবে আর ২য় জনের ব্যাখ্যা হল সে নিজে শূল বিদ্ধ হবে আর পাখি তার মাথা থেকে আহার গ্রহণ করবে ৷
যে মুক্তি পাবে তাকে ইউসুফ অনুরোধ করে বলে যে , সে যেন তার মনিবকে দিয়ে ইউসুফের কারামুক্তির
ব্যাপারে সাহায্য করে ৷ কিন্তু মুক্তির পর কারাবন্দী লোকটি ইউসুফের কথা ভূলে যায় ৷ কারণ শয়তান তাকে সে কথা ভূলিয়ে দেয় ৷ তাই ইউসুফকে আরো অনেকদিন করাবন্দী থাকতে হয় ৷ এর পরের ঘটনার ব্যাপারটি
সরসরি সুরা ইউসুফের
৪৩ নং আয়াতের উল্লেখ
করে বর্ণনা করা হল ৷
আয়াত নং
৪৩
“ রাজা
বলল , ’ আমি স্বপ্নে দেখলাম
সাতটি শুঁটকো গাই
সাতটা মোটাসোটা গাইকে
খেয়ে ফেলেছে , আর
দেখলাম সাতটি সবুজ
শিষ ও বাকি
সাতটি শুকনো ৷ হে প্রধানগণ ! যদি
তোমরা স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে
পার তবে আমার
স্বপ্নের সম্বন্ধে বিধান
দাও ’ ৷
আয়াত নং ৪৪
ও ৪৫ ;-
“ ওরা
বলল , ‘ এ অর্থহীন স্বপ্ন এবং অর্থহীন স্বপ্ন ব্যাখ্যা করার অভিজ্ঞতা আমাদের নেই ’ ৷
আয়াত নং ৪৫ -
“ দুই বন্দীর মধ্যে যে মুক্তি পেয়েছিল তার দীর্ঘকাল পরে ইউসুফের কথা স্মরণ হল ৷ সে বলল , ’ আমি এর অর্থ তোমাদেরকে
জানিয়ে দেব ৷ তোমরা আমাকে যেতে দাও’ ৷
সে তখন ইউসুফের কাছে গিয়ে স্বপ্নের অর্থ জানতে চায় ৷ ইউসুফের জবাব সরাসরি
আয়াত নং ৪৭ এ বর্ণনা করা হয়েছে -
“
ইউসুফ বলল ,
‘ তোমরা সাত বছর
একটানা চাষ
করবে
, তারপর তোমরা
যে-শস্য সংগ্রহ
করবে ওর
মধ্যে যা
তোমরা খাবে
তা ছাড়া
সব শিষসমেত
রেখে দিবে ৷
আয়াত ৪৮ -এ
বর্ণনা করা
হয়েছে
-
“ আর তারপর আসবে সাতটি কঠিন বছর ৷ এই সাত বছর তোমরা যা জমিয়ে রেখেছ লোকে তা খেয়ে ফেলবে
, সামান্য কিছু ছাড়া যা তোমরা বাঁচিয়ে রাখবে ৷
আয়াত-৪৯;-বলা
হয়েছে -
“ আর তারপর আসবে এক বছর
, সে-বছর
মানুষের জন্য প্রচুর
বৃষ্টি হবে আর সে-বছর মানুষ ( ভালই ) আঙুর পিষবে ( ভোগ-উপভোগ করবে )
রাজার কাছে স্বপ্নের ব্যাখ্যা
পৌছার পর রাজা ইউসুফকে তাঁর কাছে
ডেকে আনেন এবং তখন তার কাছ
থেকে তার কারাবাসের কারণ জানতে পারেন ৷ এর পর তিনি আজিজের স্ত্রী
ও ঐ হাতের
আঙ্গুল
কেটে যাওয়া দুই মহিলা জিঙ্ঘাসা
করেন এবং সত্য ঘটনা
কি ছিল
তা রাজা জানতে পারেন
৷ আজিজের
স্ত্রী নিজেই বলেছে যে , সে ইউসুফকে
খারাপ কাজের জন্যে ফুসলিয়েছে ৷ কিন্তু ইউসুফ এই অনৈতিক
কাজে সাড়া না দেয়ায় তাকে ষড়যন্ত্র করে কারাগারে প্রেরণ
করা হয়েছিল
৷ তখন রাজাকে ইউসুফ বলে যে , আল্লাহ্
বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্র সফল করেন না ৷
এই কথা শুনে রাজা ইউসুফকে তার দপ্তরে নিয়ে আসেন এবং ইউসুফের
ইচ্ছায় তাকে তাঁর রাজ্যের কোষাধক্ষ
নিযুক্ত করেন ৷
এই প্রসঙ্গে আয়াত নং
৫৬ তে বলা হয়ছে
-
“ এভাবেই
আমি ইউসুফকে সেদেশে
প্রতিষ্ঠিত করলাম ৷ সেদেশে
সে যথেচ্ছ বসবাস করত ৷ আমি যকে ইচ্ছা তার প্রতি দয়া করি ৷ আমি সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল
নষ্ট করি না ” ৷
আয়াত নং ৫৭;তে বলা হয়েছে -
-“ যারা বিশ্বাসী
ও সাবধানি তাদের জন্যে পরলোকের
পুরস্কার উত্তম ” ৷
রাজা ইউসুফকে তাঁর রাজ্যের
ব্যবসা বানিজ্যের কাজ পরিচালনার একক দ্বায়িত্ব দেন ৷ এরই মধ্যে একদিন ইউসুফের
সৎ-ভাইয়েরা রসদ এবং মালামাল
নিতে আসে ইউসুফের
কাছে বানিজ্যের উদ্দেশ্যে ৷ ইউসুফ তাদের চিনতে পারে , তাই তাদের চাহিদামত মালামাল
তাদেরকে দেয় এবং বলে দেয় পরের বার আসার সময় যেন তাদের সৎ-
ভাইকেও সঙ্গে নিয়ে আসে ৷ আর সৎ- ভাইকে
নিয়ে তারা না আসলে তখন আর তাদেরকে কোনো রসদ দেয়া হবে
না ৷ তখন ভাইয়েরা
জবাব দেয় যে , তাদের পিতাকে
রাজি করিয়ে পরের বার সৎ-ভাই
সহই রসদ নিতে আসবে ৷ অন্যদিকে তাদেরকে
ফিরত আসতে অনুপ্রানিত
করতে ইউসুফ তার নিজের কর্মচারিদের
দিয়ে তার ভাইদের
মালামালের সঙ্গে দামও লুকিয়ে ফিরত দিয়ে দেয় এই আসায় যে , মালামলের
সঙ্গে দামও ফিরত পেলে নিশ্চয়
তারা আবার সং-ভাইকে
নিয়ে আসবে ৷
তারা মালামল ও রসদ সহ পিতার কাছে এসে সমস্ত ঘটনার বর্ণনা করে ৷ আর রসদের মধ্যে দাম ফিরত পেয়ে তাদের আস্থা ও লোভও বেড়ে যায় আবার যাওয়ার ব্যাপারে
৷ তখন পিতা ও আল্লাহ্ র
উপর বিশ্বাস স্থাপন
করে বলেন যে , তোমরা যদি আল্লাহ্ র
নামে শপথ করে বল যে তাকে আমার কাছে ফিরত এনে দিবে তবে আমি তাকে তোমাদের
সঙ্গে যেতে দিব ৷ তখন ওরা প্রতিজ্ঞা
করে এবং বলে যে , তারা ব্যর্থ হলে আল্লাহ্
র বিচার
মেনে নেবে ৷ তখন পিতা তাদের বলেন যে
, তোমরা একান্ত অসহায় হয়ে পড়লে অন্য কথা ! তবে সতর্কতার
জন্যে রাজার বানিজ্যের দরবারে
এক দরজা প্রবেশ
না করে ভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে ইত্যাদি কিছু উপদেশও আল্লহ্ র
নামে বলে দেন তাদেরকে
৷
কিন্তু আল্লাহ্ র পূর্বনির্ধারিত বিধানের
বিরুদ্ধে পিতার নির্দেশ
পালন করে ও কোনো ফল পেল না তারা ৷ তবে ইয়াকুবের
অন্তরের অভিপ্রায় সে পূর্ণ করে নেয়
৷ কারণ আল্লাহ্ যাকে যে শিক্ষা
দেন তা অন্য কেউ জানে না ৷
ওরা ইউসুফের
সামনে উপস্থিত হলে সে তখন তার আপন ভাইকে নিজের কাছে
রাখে এবং ভাইকে বলে তুমি আমার ভাই , ওদের ব্যবহারে
দুঃখিত হয়েও না ৷
তারপর অপর সৎ-ভাইদের রসদ ও মালামালের ব্যবস্থা
করে দেয়া হয় ৷ আর ইউসুফের গোপন নির্দেশে রাজার পানপাত্রটি ও রসদের মধ্য লুকিয়ে রাখা হয় ৷ এর পর রাজার এক নকিব চিৎকার
করে বলে যে যাত্রীদের মধ্যে নিশ্চয় চোর আছে
, রাজার
পানপাত্র পাওয়া যাচ্ছে
না ৷ এদের মধ্যের
কেউ ইহা চুরি করেছে ৷ তখন ইউসুফ বলল , যে রাজার পান পাত্র এনে দিবে আমি তাকে এক উট মাল দিব এবং আমি জামিন থাকব ৷
তখন ভাইয়েরা
বলে যে তারা চোর নয় এবং চুরিও করে নি ৷ রাজার
লোকেরা বলে তখন তল্লাশিতে যার মালপত্রে পাত্রটি
পাওয়া যাবে তাকে সীমালঙ্ঘনকারী হিসেবে
চিহ্নিত করে তাকে দাসত্বের শাস্তি
দেয়া হবে ৷
এর পর সরাসরি সুরা ইউসুফের ৭৬ নং আয়াতে কি আছে আমরা দেখে নিব ৷
আয়াত নং ৭৬
;-
“ তারপর ইউসুফ তার আপন ভাইয়ের
মালপত্র তাল্লাশির পুর্বে
ওদের মালামাল তল্লাশি
করতে লাগল , পরে সহোদরের
মালপত্রের মধ্য থেকে পাত্রটি বার করা হল ৷ এভাবে আমি ইউসুফকে
শিখিয়েছিলাম ৷ আল্লাহ্
ইচ্ছা না করলে রাজার আইনে তার আপন ভাইকে সে দাস করতে পারত না ৷ আমি যাকে ইচ্ছা মর্যাদায় বড় করি ৷ প্রত্যেক জ্ঞানী
লোকের ওপর আছে আরও বড় জ্ঞানী লোক ” ৷
ইউসুফ
ব্যাপারটি নিজের মনে গোপন রাখে ৷ আর ভাইয়েরা রাজার কাছ থেকে ক্ষমা পেতে বা ঐ ভাইয়ের পরিবর্তে
তাদের একজন ঐ শাস্তি
ভোগ করতে চাইলেও
রাজা তা আল্লাহ্ র
নাম নিয়ে এবং তাঁর বিধান অনুসারে রাজি হন নাই ৷ তখন ওরা নির্জনে গিয়ে পরামর্শ করতে লাগল আর ফিরে গিয়ে তাদের
পিতাকে কি বলতে হবে তা চিন্তা করতে লাগল
৷ তখন সঙ্গের
বয়োজ্যেষ্ঠ জন ফিরর না গিয়ে এখানেই অপরাদী ভাইয়ের
সঙ্গে থেকে গেল আর বাকিরা
ফিরত গিয়ে সম্পৃর্ণ
ব্যাপারটি তাদের পিতাকে বলল ৷ তিনি পূর্বের মত তাদেরকে বিশ্বাস
না করেই বলেন যে তোমরা ইউসুফের মত এবার ও মিথ্য বলছো ৷ আমি নিশ্চয় এবারও ধর্য ধরে আল্লাহ্
র ওপর
ব্যাপারটি ছেড়ে দিব ৷ কারণ তিনি তো সর্বজ্ঞ
তত্ত্বজ্ঞানী ৷ যদিও আমি অন্ধ ও মৃতপ্রায়
এবং মানসিক কষ্টে আছি এবং আরও বলল যে , “ আমার
অসহ্য বেদনা ও দুঃখ আমি আল্লাহ্
র কাছে
নিবেদন করছি ৷ আর আমি আল্লাহ্
র কাছ
থেকে যা জানি তোমরা তা জান না ৷ আল্লাহ্ র
আশীর্বাদ সম্পর্কে নিরাশ না হয়ে
তোমারা ইউসুফ ও তার ভাইয়ের
খোঁজ করো ৷
ওরা ফিরত গিয়ে কিছু ইউসুফের কাছে অনেক কাকুতি
মিনতি করার পর ইউসুফ বলল , “ তোমরা
কি জান তোমরা ইউসুফ ও তার সহোদরের
ওপর কেমন ব্যবহার
করেছিলে যখন তোমাদের
জ্ঞান ছিল না ?” তখন ওরা বুঝতে পারে যে সেই ইউসুফ ৷ তাই তাদের প্রশ্নের জবাবে বলে “ আমিই
ইউসুফ আর আর এ আমার ভাই
, আল্লাহ্ আমাদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন
…….আল্লাহ্ তো সৎকর্মশীলদের
শ্রমফল নষ্ট করেন না
”
৷ সে আরো বলল
, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে
কোনো অভিযোগ নেই ৷ আল্লাহ্ তো
দয়ালু , তিনি তোমাদের
মঙ্গল করবেন ৷ ইউসুফ আর বলে যে আমার এই জামাটি তোমরা
নিয়ে গিয়ে আমার পিতার মুখের রাখলে তিনি সুস্থ হয়ে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন ৷ তখন তাকে আমার কাছে নিয়ে
এসো ৷
এদিকে ইউসুফের
খুঁজে যখন লোকজন তার পিতা নিয়ে বেরিয়ে
পডেছে পথে তখন পিতা ইউসুফের গন্ধ পাচ্ছেন বলেন ৷ তখন সঙ্গিরা তা বিশ্বাস করতে চায়
নাই ৷ ঠিক তখনই ইউসুফকে
পাওয়ার সংবাদদাতা তাদের
কাছে পৌঁছে যায় এবং তার মুখের ওপর ইউসুফের জামাটি
রাখে, সঙ্গে সঙ্গে তার দৃষ্টিশক্তি
ফিরে আসে ৷ তখন ইউসুফের
পিতা বলেন , “ আমি কি তোমাদের বলি নি যে , আমি আল্লাহ্ র
কাছ থেকে যা জানি তোমরা তা জান না
? ”
তখন ভাইয়েরাও আল্লাহ্
ও পিতার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় ৷ তারপর ওরা যখন ইউসুফর
কাছে উপস্থত হয় এবং সকলে পিতামাতকে কোলাকুলি
করে বলে যে এখন আল্লাহ্ র
ইচ্ছায় নিরাপদে মিশরে ঢোকেন ৷
‘
এর পরের কাহিনী সরাসরি
এই সুরার আয়াত নং ১০০
থেকে ১০৪
নং আয়াতের উল্লেখ
করে এই কাহিনীর
শেষ করা হবে ৷ তবে সুরা ইউসুফের বাকি ১০৫ থেকে ১১১
নং আয়াত
এই কাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকায় এই লেখাতে
এই সব আয়াতের
উল্লেখ করা হয় নাই ৷
আয়াত নং ১০০ ;-
“ আর ইউসুফ তার পিতামাতকে উচ্চাসনে
বসাল আর ওরা সকলে তার জন্যে নমিত হয়ে সিজদা করল
( আল্লাহ্ র কাছে ) ৷ সে বলল , ‘ হে আমার পিতা
! এই আমার আগের স্বপ্নের ব্যাখ্যা
৷ আমার প্রতিপালক
তা সত্যে পরিণত করেছেন ৷ আর তিনি আমাকে কারাগার
থেকে মুক্ত করেছেন
ও শয়তান আমার আর আমার ভাইদের
সম্পর্ক নষ্ট করার পরও আপনাদের
মরুভূমি থেকে এখানে এনে দিয়ে আমার ওপর অনুগ্রহ করেছেন
৷ আমার প্রতিপালক
যা ইচ্ছা করেন তা সূক্ষভাবে
করেন ৷ নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ
তত্ত্বজ্ঞানী ’ ৷”
আয়াত নং ১০১
;-
‘ হে আমার আমার প্রতিপালক
! তুমি
আমাকে রাজ্য দান করেছ ও স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দিয়েছ ৷ হে আকাশ ও পৃথিবীর
স্রষ্টা ! তুমিই ইহলোক ও পরলোকে আমার অভিভাবক
৷ তুমি
আমাকে আত্মসমর্পণকারীর মৃত্যু
দাও ও আমাকে সংকর্মপরাহণদের অন্তর্ভুক্ত
করো ’ ৷
সুরার ১০২
নং আয়াতে
বলা হয়েছে
- “ ( হে মুহাম্মদ ! ) এ-কাহিনী অদৃশ্যলোকের
খবর যা আমি তোমাকে প্রাত্যাদেশের
মাধ্যমে জানিয়েছি ৷ তুমি তো উপস্থিত ছিলে না যখন ওরা
( ইউসুফের ভাইয়েরা ) একজোট হয়ে ষড়যন্ত্রে
লিপ্ত ছিল” ৷
আয়াত নং ১০৩;-
“ তুমি যতই চাও-না
কেন বেশির ভাগ লোকই
বিশ্বাস করার কথা নয়”
৷
আয়াত নং ১০৪;-
অথচ তুমি তাদের কাছে কোনো পারিশ্রমিক দাবি করছ না ৷ এ তো বিশ্বজগতের
জন্যে উপদেশ ছাড়া ” ৷
( সূত্র ;- কোরআনের আয়াতগুলোর অনুবাদ
নেয়া হয়েছে -
কোরানশরিফ , সরল বঙ্গানুবাদ
থেকে ৷
অনুবাদক ; মুহাম্মদ হাবিবুর
রহমান ৷ )
‘
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন