গাজায় গণহত্যার প্রেক্ষাপট ও হামাস এর জন্ম কাহিনী !


 
                            গাজায়  গণহত্যার  প্রেক্ষাপট  ও  হামাস  এর  জন্ম  কাহিনী  !!

          আরববিশ্বে  একটা  কথা  প্রচলিত  আছে  যে  ,  মধ্যপ্রাচ্যে  সৌদি  রাজপরিবার  আমেরিকার  প্রধান  লাঠিয়ালের  ভূমিকা  পালন  করে  থাকে  ৷  আর  আরব  বিশ্বের  ধর্মনিরপেক্ষ  জাতীয়তাবাদী  নেতাদের  হত্যা  করতে  বা  ক্ষমতাচ্যুত  করতে  মার্কিনীরা  সবসময়  সৌদিআরবকে  ব্যবহার  ক’রে ৷
          তাই  বর্তমান  ইসরাইলের  হামলার  ব্যাপারে  সে  দেশের  প্রতিরক্ষা  মন্ত্রী  বলেছেন ,  হামাস  এর  সুড়ঙ্গপথ  ও  ঘাঁটি  ধ্বংস  না  করা  পর্যন্ত  ইসরাইলের  আক্রমন  অব্যাহত     থাকবে  ৷  আমেরিকা  তাদের  দু’মূখো  নীতি  অব্যহত  রেখেছে  ৷  প্রেসিডেন্ট  ওবামা  যুদ্ধবিরতির  আহ্বান  জানিয়েছেন   আর  তার  পররাষ্ট্রমন্ত্রী  জন  কেরিকে  দিয়ে  বলিয়েছেন  যে  ,  ইসরাইলের  আত্মরক্ষার  অধিকার  আছে  ৷  The  World  Post  এর  মেগাজিন    Middle  East  Eye  এর  সম্পাদক  ডেভিট  হার্স্ট  তার  লেখা  “এটাক  অন  গাজা  বাই  সৌদি  রয়েল  এপয়েন্টমেন্ট ” শিরোনামে  লিখেছেন , ইসরাইল  গাজায়  আক্রমনের  আগে  সৌদি  রাজ  পরিবার  থেকে  অনুমোদন  নিয়েছে  ৷

          “ হরকত  আল- মুকাওযামা  আল- ইসলামিয়া ”  যাকে  সংক্ষেপে  হামাস  নামে  অবিহিত  করা  হয়  এবং  এই  আরবী  নামের  বাংলা  করলে  দাঁড়ায় - ইসলামী  প্রতিরোধ  আন্দোলন   ৷  এই   হামাস  নামক  দলটি   মূলতঃ  মিশরের  “ ইখওয়ানুল  মুসলেমিন ”  বা  মুসলিম  ব্রাদারহুড  এর  প্যালেস্টাইনীয়  শাখা  ৷  আশির  দশকে    মুসলিম  বিশ্বে  আমেরিকার  সহায়তায়  যে  ভাবে  আল-কায়দা  , তালেবান  সহ  অন্যান্য  জঙ্গী  সংগঠনের  উথ্থান    ঘটেছে ,  ঠিক  সে  ভাবেই  হামাস   ও  ঘটিত  হয়েছে  ৷  প্রথমে  হামাস  প্রচার  করেছে  যে  তারা প্যালেস্টাইনের  উন্নয়নমূলক  কাজ  করতে   এই  প্রতিষ্ঠানটির  জন্ম  দিয়েছে  ৷  কিন্তু  কিছুদিনের  মধ্যেই  এটা  স্পষ্ট  হয়ে  যায়  যে  আসলে  হামাসের  প্রতিষ্ঠা  হয়েছে প্যালেস্টাইনের  মাটি  থেকে  সকল  ইহুদী  এবং  ইসরাইল  নামক   রাষ্ট্রটিকে  উৎখাত  করে  একটি  ওয়াহাবী  পন্থী  ইসলামী  রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠা  করতে   ৷  তাই  প্যালেস্টাইনের  গাজা  অঞ্চলে  হামাস  তাদের  প্রধান  কেন্দ্র  স্থাপন  করেছে  ৷    প্রথম  দিকে  আরব  বিশ্ব  ছাড়াও  ইউরোপীয়  ইউনিয়ন  এবং  আমেরিকা  হামাসকে  তাদের  সামাজিক  উন্নয়নের  কার্যক্রমে  আর্থিক  সাহায্য  করেছে  ৷  আর  সৌদি  আরব  হামাসকে  সাহায্য  করেছে  ইয়াসির  আরাফাতের  নেতৃত্বাধীন  পি এল ও কে  ধ্বংস  করতে  ৷  কারণ  ধর্মনিরপেক্ষ  ও  জাতিয়তাবাদীদের  প্রতি  ইয়াসির  আরাফাতের  সমর্থন  আছে  তা  ততদিনে    স্পষ্ট  হয়ে  উঠেছিল আমেরিকা  ও   সৌদিদের  কাছে  ৷  তাই   যে  কারণে  আফগানিস্তানে  আল-কায়দা  ও  তালেবানকে  আমেরিকা  ও  সৌদিআরব  সমর্থন  করে  আর্থিক  ও  সামরিক  সহায়তা  প্রদান  করেছে  , একই  ভাবে  পি এল ও  এর  বিরুদ্ধে  দাঁড়  করাতে  হামাসকে  আমেরিকা  ও  সৌদিআরব  সাহায্য  সহায়তা  করেছে  ৷ 
          কিন্তু  বর্তমানে    আল-কায়েদার  মত  হামাস  ও  সৌদি  রাজপরিবার  ও  আমেরিকার আদেশ  ও  নির্দেশ  আগের  মত  মানছে  না  ৷  হামাস  এখন  নিজেরাই  ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন দানবরূপে  আত্মপ্রকাশ  করেছে  ৷  তাই  বর্তমানে  হামাস  সৌদিআরব  ও  আমেরিকার  স্বার্থের  বিপক্ষে  অবস্থান  নিয়েছে  ৷  তারা  এখন  প্যালেস্টাইন  অঞ্চলে  ওয়াহাবী  থেকে  ও  কঠোর  মৌলবাদী ও একটি  জঙ্গী  রাষ্ট্র  গঠন  করতে চায়  ৷ প্যালেস্টাইনে  এই  রকম  কোনো  রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠায়  হামাস  সক্ষম  হলে  সৌদি  ও  আমেরিকার  স্বার্থ  বিঘ্নিত  হবে  ৷  তাই  স্বাভাবতই  হামাসকে  এখনই  ধ্বংস  করতে  হবে  ৷  তাই   আমেরিকার  সঙ্গে  সঙ্গে  হামাসকে  ধ্বংস  করতে  সৌদিরাজপরিবারও  এখন  ইসরাইলের  সঙ্গে  গোপনে  হাত  মিলিয়েছে  ৷
main  report for  interested readers;-

Attack on Gaza by Saudi Royal Appointment

Posted: Updated: 
Print Article


There are many hands behind the Israeli army's onslaught on Gaza. America is not unhappy that Hamas is getting such a beating. As footage of the scenes of carnage on the streets of Shejaiya was coming through, John Kerry said on NBC's Meet the Presson Sunday that Israel had every right to defend itself and the US ambassador Dan Shapiro told Israel's Channel 2 news that the US would seek to help moderate forces become stronger in Gaza, meaning the Palestinian Authority.
Nor is Egypt overcome with grief. Its foreign minister Sameh Shoukry held Hamas responsible for civilian deaths after their rejection of the ceasefire.
Neither matter to Netanyahu as much as the third undeclared partner in this unholy alliance, for neither on their own could give him the cover he needs for a military operation of this ferocity. And that can come not from a handwringing but impotent parent like the US. Such permission can only come from a brother Arab.
The attack on Gaza comes by Saudi Royal Appointment. This royal warrant is nothing less than an open secret in Israel, and both former and serving defense officials are relaxed when they talk about it. Former Israeli defense minister Shaul Mofaz surprised the presenter on Channel 10 by saying Israel had to specify a role for Saudi Arabia and the United Arab Emirates in the demilitarization of Hamas. Asked what he meant by that, he added that Saudi and Emirati funds should be used to rebuild Gaza after Hamas had been defanged.
Amos Gilad, the Israeli defense establishment's point man with Mubarak's Egypt and now director of the Israeli defense ministry's policy and political-military relations department told the academic James Dorsey recently : "Everything is underground, nothing is public. But our security cooperation with Egypt and the Gulf states is unique. This is the best period of security and diplomatic relations with the Arab."
The celebration is mutual. King Abdullah let it be known that he had phoned President Abdel-Fattah El-Sisi to approve of an Egyptian ceasefire initiative which had not been put to Hamas, and had the Jerusalem Post quoting analysts about whether a ceasefire was ever seriously intended.
Mossad and Saudi intelligence officials meet regularly: The two sides conferred when the former Egyptian president Mohamed Morsi was about to be deposed in Egypt and they are hand in glove on Iran, both in preparing for an Israel strike over Saudi airspace and in sabotaging the existing nuclear program. There has even been a well sourced claim that the Saudis are financing most of Israel's very expensive campaign against Iran.
Why do Saudi Arabia and Israel make such comfortable bedfellows? For decades each country has had a similar feeling in their gut when they look around them: fear. Their reaction was similar. Each felt they could only insure themselves against their neighbors by invading them (Lebanon, Yemen) or by funding proxy wars and coups (Syria, Egypt, Libya).They have enemies or rivals in common - Iran, Turkey, Qatar, Hamas in Gaza, and the Muslim Brotherhood. And they have common allies, too - the US and British military industrial establishments, Fatah strongman and US asset Mohammed Dahlan who tried to take over Gaza once, and will probably be at hand when next required.
The difference today is that for the first time in their two countries' history, there is open co-ordination between the two military powers. Abdullah's nephew Prince Turki has been the public face of this rapprochement, which was first signaled by the Saudi publication of a book by an Israeli academic. The prince flew to Brussels in May to meet General Amos Yadlin, the former intelligence chief who has been indicted by a court in Turkey for his role in the storming of the Mavi Marmara.
It could be argued that there is nothing sinister about Prince Turki's wish to overcome ancient taboos that his motives are both peaceful and laudable. The prince is a staunch supporter of a laudable peace initiative proposed by the Saudi King Abdullah. The Arab Peace Initiative supported by 22 Arab States and 56 Muslim countries would indeed have been a basis for peace had Israel not ignored it some 12 years ago.
Prince Turki waxed lyrical about the prospect of peace in an article published by Haaretz. In it he wrote:
And what a pleasure it would be to be able to invite not just the Palestinians but also the Israelis I would meet to come and visit me in Riyadh, where they can visit my ancestral home in Dir'iyyah, which suffered at the hands of Ibrahim Pasha the same fate as Jerusalem did at the hands of Nebuchadnezzar and the Romans.
Its the means, not the end, which expose the true cost of this alliance. Prince Turki's promotion of the Arab Peace Initiative comes at the cost of abandoning the kingdom's historical support of Palestinian resistance.
The well connected Saudi analyst Jamal Khashogji made this very point when he talked in coded language about the number of intellectuals who attack the notion of resistance:
Regrettably, the number of such intellectuals here in Saudi Arabia is higher than average. If such a trend continues it will destroy the kingdom's honorable claim to support and defend the Palestinian cause since the time of its founder, King Abd Al-Aziz Al-Saud.
Peace would indeed be welcome to everyone, not least Gaza at the moment. The means by which Israel's allies in Saudi Arabia and Egypt are going about achieving it, by encouraging Israel to deal Hamas a crippling blow, calls into question what is really going on here. Turki's father King Faisal bin Abdulaziz would be turning in his grave at what the son is putting his name to.
This Saudi Israeli alliance is forged in blood, Palestinian blood, the blood on Sunday of over 100 souls in Shejaiya.
 (সূত্র ;-জনকণ্ঠে  প্রকাশিত  শাহরিয়ার  কবিরের  একটি
          লেখা  থেকে  তথ্যাদি  নেয়া  হয়েছে  ৷ )
       

মন্তব্যসমূহ