বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এখন আর শুধু বিগব্যাঙ বা মহাবিস্ফোরণ থেকেই এই মহাবিশ্বের সূচনা হয়েছে বলে যে ধারণা এতোদিন চালুছিলো তা সঠিক নয় ! !

    শুধু   বিগব্যাঙ   বা   মহাবিস্ফোরণ   থেকেই   এই  মহাবিশ্বের  সূচনা  বা  উদ্ভূত   হয়েছে  বলে   যে   ধারণা   প্রচলিত   আছে     এখন   আর   সত্য   নয় !


         বিজ্ঞানের কোনো সিদ্ধান্তই  আজগুবি নয় ,  প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তের পেছনে একাধিক প্রমাণ ও যুক্তি থাকে  তবে বিজ্ঞানে শেষ কথা বলে কিছু নেই,  আজ যা সত্য বলে গৃহীত হয়েছে ,ভবিষ্যতে তা মিথ্যা প্রমানিত হতে পারে এবং আজ যাকে শেষ বলে মনে হয় ,তারপরও আরো থাকতে পারে আর বিজ্ঞান এই সম্ভাবনাটিকে মেনে চলে ৷ 


         ‘ বিগব্যাঙ’ তত্ত্বটি বৈজ্ঞানিক সমাজে গৃহীত হওয়ার পর ১৯৫১ সালে pope pius x11 পন্টিফিকাল একাডেমির সভায় ঘোষণা করেছিলেন ,

           যদি সৃষ্টির শুরু থাকে তবে অবশ্যই এই সৃষ্টির একজন স্রষ্টাও রয়েছে ,
                            আর সেই স্রষ্টাই হলেন  গড  বা  ঈশ্বর 


       কিন্তু এই সময় জ্যোতিবিজ্ঞানী এবং ধর্মঘাজক জর্জ হেনরি লেমিত্রি পোপকে সে সময় বিনয়ের সঙ্গে এ ধরণের যুক্তিকে ‘ অভ্রান্ত’ হিসাবে প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছিলেন  


       যখন কিছু আধুনিক কোরান এর ব্যাখ্যাকারীগণ  পবিত্র কোরানের ২১ নং সুরা আম্বিয়ার  , ৩১ ও ৩২ নং আয়াতের দ্বারা বিগব্যাঙ এর ধারণা আগ থেকেই কোরানে উল্লেখ আছে বলে তা কোরানের কথা বলে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন তখন ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসী পদার্থবিজ্ঞানী আব্দুস সালাম জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানের বিগব্যাঙ তত্ত্বকে কোরানের আয়াতের সাথে মিশাতে বারণ করে বলেছেন ;-
        

              বিগব্যাঙ  তত্ত্বের  সাম্প্রতিক  ভাষ্যটি  বর্তমান  মহাবিশ্বের  উৎপত্তির 
               সর্বোৎকৃষ্ট  ব্যাখ্যা  প্রদান  করছে   কিন্তু  আগামীকাল  যদি  এর 
               চাইতেও  কোনো  ভাল  ব্যাখ্যা  পাওয়া যায় তাহলে  কি  নতুন 
               বৈজ্ঞানিক    দৃষ্টিভঙ্গির     সাথে  তাল  মেলাতে    গিয়ে   ধর্মগ্রন্থের             
                  আয়াত  বদলে  ফেলা  হবে  ?

       Pope –x11 যা বুঝতে পারেন নাই.বিজ্ঞানী সালাম তা বুঝতে পেরছিলেন 

          কোরানে সুরা আম্বিয়ায় ৩০ থেকে ৩৩ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে;- 

      ২১: ৩০-অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যেআকাশ ও পৃথিবী ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল তারপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবান সবকিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি ওরা বিশ্বাস করবে না  ? 

       ২১ :৩১আর আমি পৃথিবীতে সুদৃঢ় পর্বত সৃষ্টি করেছি যাতে পৃথিবী ওদেরকে নিয়ে এদিকে বা ওদিকে ঢলে না যায় ,আর আমি ওর মধ্যে প্রশস্ত পথ করে দিয়েছে যাতে ওরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারে  


       ২১ :৩২আর আমি আকাশকে করেছি এক সুরক্ষিত ছাদ , তবু ওরা তার নিদর্শনসমূহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় 
        ২১ :৩৩আল্লাহ্ ই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে । প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে ৷
       (সূত্র;-কোরানশরিফ-সরল বঙ্গানুবাদলেখক-মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান )

      আসলে কি এই আয়াতগুলো আমাদের আকাশ পৃথিবীর মধ্যকার সম্পর্কে খুব প্রাচীন আর অস্পষ্ট একটা ধারণার অতিরিক্ত কিছু দেয় ? আর কোথায় এখানে বিগব্যাঙ এর উল্লেখযা থেকে ঐ সব আয়াতদ্বারা বিগব্যাঙ ধারণা প্রমানিত হয় । এমনকী আয়াতের কোথাও বিস্ফোরণের সামান্য ইঙ্গিতটুকুও নেই  । শুধু কতগুলো শব্দমালা- ‘ আকাশ ও পৃথিবী একসাথে মিশে ছিলপরে আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম’ এর থেকে বিগব্যাঙ এর কী কোনো মিল পাওয়া যায় ? পৃথিবীর জন্ম হয়েছে বিগব্যাঙ এর সাড়ে নয়শ কোটি বছর পরে । উপরন্ত্ত পদার্থবিজ্ঞানে বিগব্যাঙ স্থান-কাল অদ্বিতীয়ত্বের (space –time singularity) সাথে জড়িতপদার্থের সাথে নয় তাই নব্য ব্যাখ্যাকারীদের উল্লেখিত ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক প্রমাণিত হয় না   


          ২০০৪ সালের ২১ জুলাই ডাবলিনে অনুষ্ঠিত  ‘ জেনারেল রিলেটিভিটি এন্ড  গ্র্যাভিটেশন - এর ১৭তম সম্মেলনে  মহাবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং  ‘ ব্ল্যাক  হোল  সম্পর্কে তার  পূর্বের ধারণা পরিবর্তন করে নুতন বক্তব্য প্রদান করেন । আগে বলা হতো যে ব্ল্যাক হোলের সংস্পর্শে এলে বস্তু বা শক্তি যাই হোক না কেন তা চিরতরে লুপ্ত হয়ে যায় । হকিং এবার জানালেন যে ব্ল্যাক হোল তথ্য বেরিয়ে আসে , সেটা হারিয়ে যায় না ৷
     (সূত্র;-ছোটদের মহাবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং ,লেখক-মো. আব্দুল আজিজ ) 

    
           তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্র অনুযায়ী একটি বন্ধ সিস্টেমে মোট শক্তির পরিমান স্থির থাকলেই কেবল শক্তি এক রূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হয়  স্টিফেন হকিং এর মতে মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমান শূন্য  *  তিনি ১৯৮৮ সালে তার বিশ্ববিখ্যাত বই কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস  বা  A Brief History of Time  এ উল্লেখ করেছেন যদি এমন একটা মহাবিশ্ব ধরে নেওয়া যায় ,যেটা মহাশূন্যে মোটামুটি সমস্বত্ত্ব তাহলে দেখানো সম্ভব যে ঋণাত্নক মহাকর্ষীয় শক্তি এবং ধনাত্নক মহাকর্ষীয় শক্তি ঠিক ঠিক কাটাকাটি যায় । তাই মহাবিশ্বের মোট শক্তি থাকে শূন্য । * 


          ধনাত্নক ও ঋণাত্নক শক্তির এই ভারসাম্যের কথা নিশ্চিত করে বিগব্যাঙ তত্ত্বের বর্তমান পরিবর্ধিত রূপ  ইনফ্লেশনারি  বিগব্যাঙ  ধারণা    

               
            ইনফ্লেশন বা স্ফীতিতত্ত্বের আবির্ভাবের পর পদার্থবিজ্ঞানীরা আমাদের দেখিয়েছেন মহাবিশ্বে মোট শক্তি শূন্য মহাবিশ্বের মোট গতিশক্তি এবং মাধ্যাকর্ষণের ঋণাত্নক শক্তি পরস্পরকে নিস্ক্রিয় করে দেয় । তার মানে মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য বাইরে থেকে আলাদা কোনো শক্তি আমদানির প্রয়োজন     হয় নি । 

এ ব্যাপারে এলান গুথ এবং স্টেইনহার্ট নিউ ফিজিক্স জার্নালে (১৯৮৯) দেখিয়েছেন   যে ইনফ্লেশনের জন্য কোন তাপগতীয় কাজের দরকার পড়ে না । স্টিফেন হকিং তার সাম্প্রতিক ‘ গ্র্যান্ড ডিজাইন’ বইয়ে সুস্পষ্টভাবে মত প্রকাশ করেছেন যে ,এই মহাবিশ্ব প্রাকৃতিকভাবেই শূন্য থেকে উদ্ভূত হয়েছে ,কোন অলৌকিক কিংবা অপার্থিব সত্তার হস্তক্ষেপ ছাড়াই । অর্থাৎ মহাবিশ্বে পদার্থ ও শক্তির উপস্থিতি কোনো ধরনের প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক নয় 


        জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানী ভিকটর যে স্টেংগর একটা গাণিতিক মডেল তৈরি করে সম্পর্ণ  ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন -  আমাদের মহাবিশ্বের সূচনা হয়েছিল কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মাধ্যমে এবং কোয়ান্টাম টানেলিং নামক প্রক্রিয়ার অপর একটি মহাবিশ্ব থেকে- যেই মহাবিশ্ব অস্তিত্ব ছিল অসীম সময় পর্যন্ত অন্তত আমাদের সময় পরিমাপের দৃষ্টিকোণ থেকে । কোয়ান্টাম টানেলিং একটি প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক ধারণা


 কোনো বস্তুর একটা বাধা  অতিক্রম   করে  বা দেওয়ালের ভেতর গলে বের হয়ে যাওয়াই কোয়ান্টাম টানেলিং   একটি মহাবিশ্বে সময়ের দিক নির্ধারণ করা হয়ে থাকে এনট্রপি বৃদ্ধি বা বিশৃংখলা বৃদ্ধির দিকের সাথে  এখন অপর মহাবিশ্বের সময়ের দিক যদি আমাদের মহাবিশ্বের সময়ের দিকের ঠিক উল্টো হয় তাহলে কোয়ান্টাম টানেলিং এর মাধ্যমে মহাবিশ্বের পথচলা শুরু হতে পারে একবারে ‘ কিছু  না  থেকেই । তবে এ ব্যাপারে এমনটাই যে হয়েছে তাতে তিনি শতভাগ নিশ্চিত নন বলেও এক মন্তব্য করেছেন  । একই ধরনের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন শ্রেষ্ঠ পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংও তার গ্র্যান্ড ডিজাইন’ বইয়ে  আর বিজ্ঞান কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উৎপত্তি এবং তারপর ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বের মাধ্যমে একসময় পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি এবং বিবর্তনের  প্রাকৃতিক এবং যৌক্তিক ব্যাখ্যা ইত্যাদির   বিষয়  ,  এখন  পর্যন্ত   আবিস্কৃত   বৈজ্ঞানিক  তথাদিসহ বিভিন্ন   ব্যাখ্যা    সঠিক  ভাবেই    আমাদের দিতে পারছে   বলে সংশ্লিষ্টরা  মনে   করছেন । **
  

     কোয়ান্টাম পদার্থ-বিজ্ঞান থেকে জানা যায়-মহাবিস্ফোরণের  মুহূর্তে প্রকৃতির চারটি বল ,  যাদেরকে   নামকরণ   করা   হয়েছে --   শক্তিশালী নিউক্লিয়  বল , দুর্বল নিউক্লিয় বল তড়িৎ-চুম্বকীয় বল আর   মাধ্যাকর্ষণ বল  নামে  ,   যা  পূর্ব   থেকেই   একীভূত শক্তি’ (super force) হিসাবে প্রকৃতিতে বিদ্যমান ছিলো 

     জোতিপদার্থবিজ্ঞানী এলেন গুথ এবং আঁদ্রে লিন্ডের গবেষণার ফলাফল অনুসারে মহাবিশ্ব যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনর মধ্য দিয়ে স্থান  ও  কালের  শূন্যতার ভিতর দিয়ে আবির্ভূত হয়ে থাকে তবে এ পুরো প্রক্রিয়াটি কিন্তু একাধিকবার ঘটতে পারে এবং হয়তো বাস্তবে ঘটেছেও মাল্টিভার্স বা  ‘ অনন্ত  মহাবিশ্বের  ধারণা অনুসারে । 




কাজেইবিজ্ঞানের চোখে বিগব্যাঙই শেষ কথা নয় । কারণসাম্প্রতিক গবেষণা বলেছেবিগব্যাঙ মহাবিশ্বের শুরু নয় বরং মহাবিশ্বের শুরু হয়েছে ইনফ্লেশনের   মধ্যে  দিয়ে । অর্থাৎ বিগব্যাঙ এর পরে এবং  ইনফ্লেশনের মাধ্যমে মহাবিশ্ব তৈরি ( যা কিছুকাল আগেও সত্য বলে ভাবা হতো ) হয় নি বরং ইনফ্লেশনের ফলশ্রুতিতেই কিন্তু বিগব্যাঙ হয়েছে তারপর সৃষ্টি হয়েছে আমাদের বর্তমান এই মহাবিশ্ব । আঁদ্রে লিন্ডের  কথায় ;

           ১৫ বছর আগেও আমরা ভাবতাম ইনফ্লেশন হচ্ছে বিগব্যাঙ-এর অংশ । এখন দেখা যাচ্ছে বিগব্যাঙ-ই বরং ইনফ্লেশনারি মডেলের অংশবিশেষ 


           এই ধারণাটিকে সম্প্রসারিত করে বহু বিজ্ঞানীই আজ মনে করেন এক কারণ বিহীন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের(Quantum Flactuation) মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে  পারে যা পরবর্তীতে সৃষ্ট মহাবিশ্বকে স্ফীতির ( Inflation) দিক   দিয়ে  , আর  পরে ইহাই  পদার্থ আর কাঠামো তৈরির পথ সুগম করেছে  

      মাল্টিভার্স ধারণা অনুযায়ী ইনফ্লেশনের ফলে শুধু যে একবারই  বিগব্যাঙ বা মহাবিস্ফোরণ ঘটেছে তা কিন্তু নয় এরকম বিগব্যাঙ হাজার বার ঘটতে পারে তৈরি হতে পারে অসংখ্য ‘ পকেট মহাবিশ্ব’ । আমরা সম্ভবত এমনই একটি পকেট-মহাবিশ্বে অবস্থান করছি ,বাকিগুলোর অস্তিত্ব সম্বন্ধে জ্ঞাত না হয়ে ,’   আর  অমনিভার্স’ (Omniverse) এর ক্ষুদ্র একটি অংশ হিসাবে অবস্থানকরে  ৷

               ইনফ্লেশন বা স্ফীতি তত্ত্ব ছাড়াও আরেকটি তত্ত্ব মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে ইদানীং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে  যাকে ‘ সাইক্লিক মডেল’ হিশেবে   পরিচিতি   দেয়া   হয়েছে  ৷ আর  এর মাধ্যমে তারা দেখিয়েছেন যে ,আমাদের মহাবিশ্বের কোনো   শুরুর   কাহিনী  পল স্টেইনহার্ট এবং নেইন টুরকতাদের লেখা বই  ‘Endless Univers’ #   এতে  উল্লেখ  করে   মন্তব্য   করা  হয়েছে  যে  বাস্তবে  - একটি চক্রাকার   মহাবিশ্ব নেই ,এবং  এর  ও শেষ নেই । 
এ হচ্ছে  এক চলমান অনন্তঅফুরন্ত মহাবিশ্ব (Endless Universe) । তাদের এ বর্নণাতে  বলা   হয়েছে  -   ‘ বিগব্যাঙ’ দিয়ে স্থান-কালের (space- time) শুরু নয় বিগব্যাঙ-কে তারা কেবল একটি ঘটনা হিসাবে দেখিয়েছেন  মাত্র  ৷   আর   তাদের   মতে   - এর উদ্ভব হয়ছে  -  স্ট্রিংতাত্ত্বিকদের কথিত দুটো ব্রেনের সংঘর্ষের (collision of branes ) ফলে 

আর কেবলমাত্র একবারই এই মহাবিস্ফোরণ ঘটবে বা ঘটেছে তাও নয় বরং এ মহাবিশ্ব প্রাকৃতিক বিবর্তনের চক্রে চির চলমান । তারা গাণিতিকভাবে দেখিয়েছেনমহাবিশ্বের যত্রাপথের প্রতিটি চক্রে বিগব্যাঙ উদ্ভব ঘটায়  , উত্তপ্ত পদার্থের এবং শক্তির । কালের পরিক্রমায় ক্রমশ তা শীতল হয়ে এর থেকে তৈরি হয় গ্যালাক্সি আর তারকারাজি ,       যা  আকাশে আমরা দেখতে পাই । তাই  আজ থেকে ট্রিলিয়ন বছর পরে আবার বিগব্যাঙ ঘটবে এবং তৈরি করবে নতুন চক্রের এ   ধারণা   সংশ্লিষ্টদের  


     এ লেখার শুরুতে বলা হয়েছেবিজ্ঞানে শেষ কথা বলে কিছু নেই । বিজ্ঞান কিন্তু কোনো বিষয় সম্পর্কে পরম বা নিখুঁত জ্ঞান দিতে পারে না । আজকে আণবিক স্থানান্তর নিউক্লিয়ার্সের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বা কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মতো ঘটনার কারণ পাওয়া যাচ্ছে না- তবে ভবিষ্যতে পাওয়া যেতেই পারে । কেউই সে সম্ভাবনাকে অস্বীকার করছে না  ভবিষ্যতে পাওয়া যেতে পারে মহাবিশ্ব সৃষ্টির ‘ আদি’ কারণও ৷ আর কারণটি হতে পারে সম্পূর্ণভাবেই  ‘ প্রাকৃতিক’  


      (সূত্র;- # Endless universe; Beyond the Bing Bang-- - Rewriting Cosmic History, by Paul J.  Steinhardt and Neil , June 2008  , edition,
           **  Stephen W . Hawking , A Brief Histiry of Time : From the Big Bang to Black Holes , page 129 ,
          * মূল সূত্র;  অভিজিৎ রায় ও রায়হান আবীর - -অবিশ্বাসের দর্শন ফেব্রুয়ারি ২০১১প্রথম প্রকাশ,)

 (লিখাটি শুধু একটি বিজ্ঞান  বিষয়ের আলোচনা, কারো ধর্ম বিশ্বাসের ওপর আঘাত দেয়ার জন্যে

      লিখা হয় নাই, শুধু আগ্রহীদের জন্যে, অন্য কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না ,লেখকের
        অনুমতি ছাড়া , ধন্যবাদ । )

মন্তব্যসমূহ