ঘাড় এবং কাঁধের ব্যথা ( just information from fb posting ad )


ঘাড় এবং কাঁধের ব্যথা

কাঁধের ব্যথার নানা কারন আছে। ফ্রজেন শোলডার তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান। এছাড়া আরথ্রাইটিস, বার্সাইটিস, রোটেটর কাফ টেনডিনাইটিস, স্লিপ ডিস্ক ইত্যাদি হল আরও নানা কারন।
আগে ফিসিওথেরাপি এবং স্তেরইড ইনজেকশন ছিল প্রধান চিকিতসা। নাহলে ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন।  
এখন এগুলো ছাড়াও আরও নানা অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে যা অনেক কম ঝুঁকির, কম খরচের এবং অনেক বেশি নিখুঁত । এখন কাঁধের ইঞ্জেক্সন হয় আলট্রাসনগ্রাফি-র সাহায্যে অথবা সি-আরম মেশিন -এর সাহায্যে।  স্তেরইড ছাড়াও প্লেটলেট রিচ প্লাসমা ও রেডিওফ্রিকোএন্সি দ্বারা চিকিৎসা হয়। এই চিকিৎসা কাঁধের ব্যথা পুরোপুরি সারিয়ে তোলে ।

কাঁধের ব্যথাঃ

কাঁধের ব্যথা নির্দেশ করে কোনো আঘাত,স্ট্রেইন বা অন্য কোন অসুখকে।এই ব্যথা শুরু হয় সোল্ডার জয়েন্ট বা পেশী, টেন্ডন, লিগামেন্টের চারপাশের অঞ্চল।পেট বা বুকের গঠনের ওপর এই ব্যথার প্রভাব আছে। গল ব্লাডার বা হার্ট-এর অসুখে কাঁধের ব্যথা দেখা যায়।
কাঁধের ব্যথার কারনঃ
টেনডন ইনফ্লামেসান। খেলোয়াড় মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
সোল্ডার ইন্সটেবিলিটি।
আথ্রাইটিস
ফ্রাকচার
আডহেসিভ ক্যাপ্সুলাইটিস বা ফ্রোজেন শোল্ডার।
মায়োফেসিয়াল পেইন সিন্ড্রোম।
শোল্ডার কনটিউসান এবং স্ট্রেইন।
সাবধানতাঃ
কাঁধের অত্যধিক ব্যবহার কমানো, সঠিক বডি মেকানিসম্, ওয়ার্ম আপ, পস্চার, স্ট্রেচ।
চিকিৎসাঃ
কাঁধের বিশ্রাম বা যে কারনে ব্যথা বাড়ে তা কম করা।ব্যাথার জায়গায় গরম বা ঠান্ডা দেওয়া যেতে পারে।
আনালজেসিক জাতীয় ওষুধ ব্যথা নিবারনের জন্য এবং নন স্ট্রেরয়ডাল ওষুধ ব্যথা কমানোর প্রয়োগ করা হয়। কোন ইনফেক্সান থেকে ব্যথা হলে এ্যান্টিবায়োটিক দিতে হতে পারে।
সোল্ডার পেইন এ কর্টিসান ইঞ্জেক্সান দেওয়া যায়।
ব্যথা এবং প্রদাহ কমানো্র জন্য ফিজিওথেরাপি করা যেতে পারে যা পেশীর শক্তি বাড়ায়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি্র দরকার হয়। যাকে বলে আথ্রোপ্লাস্টি বলা হয়।  


স্লিপড ডিস্ক

মেরুদণ্ডের গঠন:
স্লিপড ডিস্ক-এর সমস্যা বুঝতে গেলে আমাদের মেরুদণ্ডের গঠনটা একটু বুঝতে হবে। আমাদের মেরুদণ্ড কতকগুলি ছোট ছোট হাড় দিয়ে তৈরি। এই হাড় গুলির মধ্যে থাকে একটি করে ডিস্ক যা কুশনের মত কাজ করে। ডিস্কটি হল জেলি ভর্তি চ্যাপটা বেলুনের মত। আমাদের সুষুম্নাকাণ্ড মেরুদণ্ডের যে নালী দিয়ে মস্তিষ্ক থেকে শিরদাঁড়ার শেষ পর্যন্ত বয়ে চলেছে তা থাকে এই ডিস্কগুলির ঠিক পিছনে। এই সুষুম্নাকাণ্ড থেকেই আমাদের শরীরের প্রবাহিত সমস্ত নার্ভগুলি বের হচ্ছে ডিস্কগুলিরই দুই পাশের দুই নালী দিয়ে। অর্থাৎ ডিস্কের ঠিক পিছনে থাকে সুষুম্নাকাণ্ড এবং পিছন ভাগের দু'পাশে থাকে দু'দিকের নার্ভ রুট।
স্লিপড ডিস্ক কি ? কেমন তার লক্ষণ ?
যে কোনও কারণে ডিস্কের মধ্যের জেলি পদার্থটি যদি বেরিয়ে আসে তাকে বলা হয় স্লিপড ডিস্ক। এই জেলি সাধারনত দু'দিকের কোনও একটি বা দু'দিকেই নার্ভ রুটকে চাপ দিতে পারে অথবা ঠিক পিছনে সুষুম্নাকাণ্ডে ছাপ দিতে পারে। এর ফলে ওই নির্দিষ্ট নার্ভটি শরীরের যে অংশে প্রবাহিত হচ্ছে, সেই অংশেও ব্যথা সঞ্চারিত হবে। আমাদের মেরুদণ্ডের ঘাড় এবং কোমরই সবচেয়ে বেশি নড়াচড়া করে আর তাই স্লিপড ডিস্কও এই দুটি অংশে বেশি হয়। ঘাড়ের স্লিপড ডিস্কের জন্য ঘাড়ের ব্যথা কাঁধ ও হাতের দিকে প্রবাহিত হয় আবার কোমরের স্লিপড ডিস্কের জন্য কোমরের ব্যথা উরু ও পায়ের দিকে প্রবাহিত হয়। প্রথমদিকে স্লিপড ডিস্কের জন্য শুধুমাত্র ব্যথা থাকলেও পরবর্তীকালে ঝিন ঝিন করা, অবশ হয়ে যাওয়া, মাংসপেশীর দুর্বলতা প্রকাশ পাওয়া ইত্যাদি লক্ষণগুলি দেখতে পাওয়া যায়। এই অবস্থা যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে নার্ভগুলি নিজেরাই রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে যাকে বলা হয় নিউরোপ্যাথিক পেন। নিউরোপ্যাথি তৈরি হয়ে গেলে যে কোনও চিকিৎসাতেই সমস্যা সারানো বেশ কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়।
সমাধান:
সমস্যা তো মোটামুটি বোঝা গেল, সমাধান কি? যে কোনও চিকিৎসাতেই নার্ভের ওপর চাপ পড়া বন্ধ করাই হল সমাধানের উপায়। সেই সঙ্গে আবার যাতে জেলি পদার্থ (নিউক্লিয়াস পাল্পোসাস)  না এসে পড়ে, সেটাও নিশ্চিত করা দরকার। এর জন্য ডিস্কটিকে ছোট করে দেওয়া এবং যে নালী দিয়ে নার্ভ রুট বের হচ্ছে সেই নালীটিকে বড় করে দেওয়া বা পরিষ্কার করে দেওয়াই হল যে কোনও চিকিৎসারই প্রাথমিক লক্ষ্য।
এই লক্ষ্যপূরণ হতে পারে বিভিন্ন ধরনের অপারেশনের দ্বারা অথবা অপারেশন ছাড়া আধুনিক কিছু ইন্টারভেনশনাল পেন ম্যানেজমেন্ট দ্বারা।
অপারেশনের ভাল-মন্দ:
বিভিন্ন ধরনের অপারেশান এই সমস্যার সমাধানের জন্য করা হয়। সব ধরনের অপারেশনেই ভাল-মন্দ দুইই আছে। তবে সব অপারেশনেই ডিস্কটিকে কেটে ছোট করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নার্ভ রুটের নালীটিকে বড় করে দেওয়া হয়। আধুনিক কিছু অপারেশনে ডিস্কটিকে পরিবর্তন করে দেওয়া হয় অথবা খুব ছোট ফুটো করে এই অপারেশন করা হয়। বিভিন্ন ধরনের অপারেশনে সাফল্যের হার ৫০ শতাংশ থেকে ৯৫ % পর্যন্ত।
কিন্ত্ত যে কোনও বড় অপারেশনে অ্যানাসস্থেশিয়া ও তার আনুষঙ্গিক ঝুঁকি তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে পার্শ্ববর্তী নার্ভ বা স্পাইনাল কর্ড-এ চোট লাগা এবং তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা। কিন্ত্ত যে সমস্যা ডাক্তারবাবুদের কপালের ভাঁজ আরও বাড়িয়ে দেয় তা হল অপারেশনে ব্যর্থ হওয়া ৫ থেকে ৫০ শতাংশ রোগীর পরবর্তী চিকিৎসা। দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার অপারেশন ব্যর্থ হলে সমস্যা আরও বেশি হয় এবং এই ধরনের রোগীদের পরবর্তী জীবন নিজের এবং পরিবারের কাছে বিভীষিকাময় হয়ে ওঠে।
অপারেশন এড়ানোর উপায়ঃ 
অপারেশন এড়ানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হল ওজোন থেরাপি বা পারকিউটেনিয়াস ডিস্ক ডিকম্প্রেসন অথবা এন্ডস্কপিক ডিস্ক অপারেশন যাতে ঝুঁকি প্রচলিত অপারেশনের তুলনায় অনেক কম।
অপারেশন ব্যর্থ হওয়ার বিভিন্ন কারণের মধ্যে প্রধান কারণগুলি হল -
  • নার্ভ রুটের নালীটিকে বড়  করতে গিয়ে শিরদাঁড়ার গঠনের যে স্থায়ীত্ব ( বা স্টেবিলিটি) তা নষ্ট হয়ে যাওয়া। 
  • ডুরা নামক সুষুম্না কাণ্ডের আচ্ছাদনের নীচে ফাইব্রোসিস হয়ে নার্ভগুলোকে আরও জড়িয়ে ধরা।
  • ইতিমধ্যে নিউরোপ্যাথি শুরু হয়ে গেছে, এমন নার্ভগুলির উপর চাপ কমালেও নার্ভগুলি রোগগ্রস্ত হয়ে পরে।
  • হয়তো কোমরের ব্যথার কারন ছিল অন্য কিছু, স্লিপড ডিস্ক নয়, ফলে সমস্যার সমাধান তো হয়ইনি বরং বেড়ে গেছে। 
​এই সমস্ত ক্ষতির কথা ভাবলেও কতকগুলি ক্ষেত্রে অপারেশনের ঝুঁকি নিতেই হয়। যেমন - 
  • পায়খানা বা প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা। 
  • প্যারালিসিস তৈরি হাওয়া এবং তা বাড়তে থাকা।
  • মেরুদন্ডের হাড়ের ফ্র্যাকচার থাকা।
কিন্তু স্লিপড ডিস্কের অপারেশন সবচেয়ে বেশি হয় শুধুমাত্র ব্যথার কারণে।উপরোক্ত তিনটি কারণ ছাড়াও, শতকরা ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অপারেশন এড়ানো যেতে পারে আধুনিক কিছু চিকিৎসার দারা।
স্লিপড ডিস্ক ও ইন্টারভেনশনাল পেন ম্যানেজমেন্ট ঃ
স্লিপড ডিস্কের সমস্যার সমাধানে বেরিয়ে এসেছে বেশ কিছু আধুনিক পদ্ধতি। প্রথমেই আসি এপিডুরাল ইঞ্জেকশনের কথায়। এটি খুবই সাধারণ পদ্ধতি, যদি প্রাথমিক অবস্থাতেই করা যায় তবে সাফল্যের হার প্রায় ৮০ শতাংশের মত, এবং সমস্যা ফিরে আসার সম্ভবনাও কম থাকে। এই পদ্ধতিতে কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ সুষুম্না কান্ডের ঠিক বাইরের এপিডুরাল স্পেসের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এই ওষুধই নার্ভ রুটের নালীটিকেও স্বাভাবিক করে তুলতে পারে। সমস্যা যদি অনেক পুরানো হয় তবে সমস্যা ফিরে আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চিকিৎসা পদ্ধতিটি জটিল না হওয়ায় এবং খরচ নামমাত্র ( অপারেশনের তুলনায় ১০ থেকে ২০০ ভাগ কম ) হওয়ায় সমস্ত উন্নত দেশগুলিতে এখন এই পদ্ধতি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই পদ্ধতির ক্ষতিকারক দিক প্রায় নেই বললেই চলে এবং প্রয়োজনে বেশ কয়েকবার পদ্ধতিটির পুনঃপ্রয়োগ করা যায়।
তবে উপরোক্ত দুটি ক্ষেত্রেই ডিস্কের আয়তন কমানো যায় না আর তাই শতকরা ১০-২০ শতাংশ ক্ষেত্রে এগুলি ব্যর্থ হয়। এজন্য উপরোক্ত পদ্ধতিগুলির সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও কিছু ইন্টারভেনশন যা ডিস্কের আয়তনকে ছোট করে দেয়। এই ইন্টরভেনশনগুলির মধ্যে 'ওজোন ডিস্কেকটমি' জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
এপিডুরাল ব্লক ও এপিডুরোলাইসিস :
এপিডুরাল ব্লক হল একটি পদ্ধতি যাতে ভিন্ন ধরনের সূঁচ বিশেষ পদ্ধতিতে এই এপিডুরাল স্পেসে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওষুধের দ্বারা নার্ভরুটের প্রদাহ কমিয়ে দেওয়া হয়।
এপিডুরোলাইসিস পদ্ধতিতে নার্ভরুটের চারপাশে তৈরি হওয়া ফাইব্রোসিস বা অ্যাডহেশনসও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। এপিডুরোলাইসিস করার আগে একটি বিশেষ ডাই ইঞ্জেকশন করে নার্ভরুটের ছবি দেখে নেওয়া হয়। একে বলা হয় এপিডুরোগ্রাম। এটি হল এমন পরীক্ষা যার দ্বারা নার্ভরুটের চারপাশের ফাইব্রোসিস বা অ্যাডহেশনস বোঝা সম্ভব।
ওজোন ডিস্কেকটমি :
বিভিন্ন রকম স্লিপড্ ডিস্কের রোগীদের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসার প্রয়োগ করা হয়। এখানে বিশেষ পদ্ধতিতে রোগাক্রান্ত ডিস্কের মধ্যে ওজোন গ্যাস ঢুকিয়ে দিলে ওই গ্যাস ডিস্কের মধ্যেকার জেলিটিকে শুকিয়ে ছোট করে দেয়। ফলে, নার্ভের ওপর তৈরি হওয়া চাপ কমে যায়। এই ব্যবস্থায় সাফল্যের হার অপারেশনের সমতুল্য  অথচ অপারেশনজনিত ঝুঁকি এখানে নেই। খরচও 

ক্যান্সারের ব্যথা

ক্যান্সারের ব্যথা নিয়ে আলোচনার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা দরকার। যেমন, ভারতে প্রতি বছর ১০ লাখ নতুন করে ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। এদের মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ রোগী ধরা পরেন বেশ অ্যাডভানন্সড অবস্থায়, যাদের ক্যান্সারের আসল চিকিৎসা ( যেমন – কেমোথেরাপি, অপারেশান, রেডিওথেরাপি) করা সম্ভব হয় না। এদের ব্যথার চিকিৎসারই শুধু প্রয়োজন হয়। এইসব অ্যাডভানন্সড ক্যান্সারের রোগীর ৪০ শতাংশ মারা যান অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে। অন্তত ৬০-৮০ শতাংশ রোগীর অভিযোগ, চিকিৎসা সত্ত্বেও তাঁদের ব্যথা ঠিকমতো কমছে না। অথচ বিদেশে পরীক্ষামূলক ভাবে দেখা গেছে, ৯০% - এরও বেশী রোগীর ব্যথা মুক্তির ব্যবস্থা করা যায়।প্রশ্ন হল আমাদের দেশে ঘাটতিটা কোথায়? কেন আমাদের দেশে ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই ব্যথা কমছে না বলে অভিযোগ করছেন? এর কারণ খুঁজতে গেলে প্রথমেই যেটা নজরে আসবে, সচেতনতার অভাব। স্বাস্থ্যকর্মী, এমনকি চিকিৎসকরাও সচেতন নন কীভাবে ক্যান্সারের ব্যথা কমানো যায় (৩০% রোগী ব্যথা কমানোর ওষুধে উপকৃত হন না, এঁদের  Interventional Pain Management  প্রয়োজন)। রোগী বা তাঁদের আত্মীয়-স্বজনও সচেতন নন কোথায় এবং কীভাবে ব্যথা কমানো যায়। সরকারি স্তরে উদাসীনতাও একটা বড় কারণ। যত সংখ্যক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রয়োজন, তার ভগ্নাংশও নেই এই দেশে। অথচ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা সেভাবে করা হয় না। অন্য দিকে মরফিন জাতীয় ওষুধ যা একান্ত প্রয়োজনীয় ক্যান্সারের ব্যথায়, আইন-কানুনের বেড়াজালে তা প্রায় অমিল। 

ক্যান্সারের ব্যথায় চিকিৎসাঃ

এ ব্যপারে WHO –র নির্দিষ্ট নির্দেশিকা আছে। একে বলা যায় ব্যথা চিকিৎসার সিঁড়ি। প্রথম ধাপে আছে, মরফিন নয় এমন ওষুধ দিয়ে (যেমন প্যারাসিটামল) চিকিৎসা। দ্বিতীয় ধাপে, মরফিন শ্রেণীর দুর্বল ওষুধ, এর সঙ্গে প্রয়োজনে প্রথম ধাপের ওষুধ যোগ করা যেতে পারে। তৃতীয় ধাপে সরাসরি মরফিন বা ওই জাতীয় বেশী কার্যকর ওষুধ। চতুর্থ এবং শেষ ধাপে, Interventional Pain Management। ক্ষেত্রবিশেষে সরাসরি Interventional Pain Management – এর প্রয়োজন হতেই পারে, তবুও এ নির্দেশিকাই সারা পৃথিবীতেই মেনে চলা উচিত।

ক্যান্সারের চিকিৎসা এবং INTERVENTIONAL PAIN MANAGEMENT

আমরা আগেই আলোচনা করেছি যে, অন্তত ৩০% ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের ব্যথার চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। সচরাচর দুই ধরনের “Intervention” কার্যকরী। প্রথমটি হল নিউরোলিসিস (ব্যথা পরিবাহী নার্ভগুলিকে স্থায়ীভাবে নষ্ট করে দেওয়া), এবং দ্বিতীয়টি Implantable drug delivery system (এখানে পেসমেকারের মতো একটি যন্ত্র শরীরের মধ্যে প্রতিস্থাপিত করে স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে মরফিন জাতীয় ওষুধ ক্রমাগত ঢুকিয়ে দেওয়া হয়)। দ্বিতীয় চিকিৎসাটি বেশ ব্যয়বহুল হলেও প্রথমটির খরচ নামমাত্র, যা আমাদের মতো গরিব দেশে অত্যন্ত কার্যকর সাব্যস্ত হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এই চিকিৎসাগুলি বেশ নিরাপদ। প্রথমটির পার্শ্বক্রিয়ার সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও, দ্বিতীয়টির  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া একেবারেই নামমাত্র।
Daradia: The Pain Clinic | 92/2A Bidhan Nagar Road, Kolkata 700067, India | email: info@daradia.com | Phone: +919339657857অনেক কম। আর খুব কম সময়ের জন্যই হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হয়।










মন্তব্যসমূহ