- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
একটি দেশের একটি অংশ কে শুধুরাজনৈতিক একটি ঘোষণা দিয়ে সেটিকে স্বাধীন করা যায় না বর্তমান বিশ্বে । যেমনটি কাতালিয়েনার ব্যাপারে ঘটেছে । বাংলাদেশে ও তাই হত যদি না এর ব্যাখ্যা করার মতো কারণ না থাকতো । আর তার একটি ব্যাখ্যা মুজিব নগর সরকারের দিতেই হয়েছে । দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ঘোষণা দিয়ে একটি স্বাধীনতার ইস্তেহার প্রকাশ করে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হয়েছে । যাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইস্তেহার বলা হয় ।আর ১৯৭১সালের ১৭ইএপ্রিল কুষ্টিয়ায় বৈদ্যনাত এলাকার বাংলাদেশ এলাকার ভিতরে ই তার প্রকাশ করতে হয়েছে । যাকে স্কুলের পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করলে ই অনেক বিতর্কের অবসান হয়ে যেত ।
ইস্তেহার এর সারমর্ম ছিল নিম্নরূপ ;- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র । " যেহেতু ১৯৭০সালের ৭ই ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১সালের ১৭ইজানুয়ারী পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্যেশ্যে গণপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়েছিল -যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ উক্ত অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় ১৬৭টিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিলেন -যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খানে১৯৭১সালের ৩রা মার্চ তারিখে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্যেশ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন ও যেহেতু আহুত এই পরিষদ স্বেচ্ছাচার এবং বেআইনি ভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন _যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করার পরিবর্তে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের সাথেই পারস্পরিক আলোচনাকালে ন্যায়নীতি বহির্ভূত এবং বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের উদ্ভুত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জণগনের আত্মনিয়ন্ত্রণাথিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১সালের ২৬,শেষ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখন্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জণগনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান , যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনা করছে এবং এখনো বাংলাদেশের বেসামরিক ও নিরস্ত্র
জণগনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে , যেহেতু পাকিস্তান সরকার আন্যায় যুদ্ধ পরিচালনা করছে এবং এখনো বাংলাদেশের বেসামরিক ও নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে , যেহেতু পাকিস্তান সরকার অন্যায় যূদ্ধ ও গণহত্যা এবং নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার পরিচালনা দ্বারা বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের একত্রিত হয়ে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব করে তুলেছে -যেহেতু বাংলাদেশের জনগণের বীরত্ব , সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর তাদের কার্যকারী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই হেতু সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন সেই ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে বাংলাদেশের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ গঠনের কথা ঘোষণা করছি এবং এই ঘোষণা দ্বারা ামরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্বে যে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন , সেই পবিত্র ঘোষণাকে অনুমোদন করছি এবং এতদ্বারা আমরা আরো অনুমোদন করছি ও সিন্ধান্ত ঘোষণা করছি যে শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্টপ্রধান হিসেবে কাজ করবেন । রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্রবাহিনী সমুহের সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন , রাষ্ট্রপ্রধান ই সর্বপ্রকার প্রশাসন ও আইন প্রনয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন , তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রয়োজন বোধে মন্ত্রী সভার অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ করতে পারবেন । আমরা আরো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে , বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তেছে যথাযথভাবে আমরা পালন করবো । আমরা আরো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১সালের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকারী বলে গণ্য হবে । আমরা আরো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে , আমাদের এই কার্যকরী করার জন্য আমরা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউসুফ আলীকে যথাযথভাবে ও নিয়মানুগ উপায়ে রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্টপ্রধানের শপথ গ্ৰহন অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে তাকে এই কাজের জন্য নিযুক্ত করলাম । স্বাক্ষর ( এম ইউসুফ আলী ) সূত্র : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে , পৃ:৩০০-৩০১) এবং অধ্যাপক আব্দুল আজিজ (বই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সর্বাধিনায়ক ওসমানী পরিশিষ্ট -৪, পৃষ্ঠা ১২২-১২৩ )।
ইস্তেহার এর সারমর্ম ছিল নিম্নরূপ ;- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র । " যেহেতু ১৯৭০সালের ৭ই ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১সালের ১৭ইজানুয়ারী পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্যেশ্যে গণপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়েছিল -যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ উক্ত অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় ১৬৭টিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিলেন -যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খানে১৯৭১সালের ৩রা মার্চ তারিখে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্যেশ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন ও যেহেতু আহুত এই পরিষদ স্বেচ্ছাচার এবং বেআইনি ভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন _যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করার পরিবর্তে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের সাথেই পারস্পরিক আলোচনাকালে ন্যায়নীতি বহির্ভূত এবং বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের উদ্ভুত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জণগনের আত্মনিয়ন্ত্রণাথিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১সালের ২৬,শেষ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখন্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জণগনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান , যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনা করছে এবং এখনো বাংলাদেশের বেসামরিক ও নিরস্ত্র
জণগনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে , যেহেতু পাকিস্তান সরকার আন্যায় যুদ্ধ পরিচালনা করছে এবং এখনো বাংলাদেশের বেসামরিক ও নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে , যেহেতু পাকিস্তান সরকার অন্যায় যূদ্ধ ও গণহত্যা এবং নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার পরিচালনা দ্বারা বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের একত্রিত হয়ে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব করে তুলেছে -যেহেতু বাংলাদেশের জনগণের বীরত্ব , সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর তাদের কার্যকারী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই হেতু সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন সেই ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে বাংলাদেশের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ গঠনের কথা ঘোষণা করছি এবং এই ঘোষণা দ্বারা ামরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্বে যে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন , সেই পবিত্র ঘোষণাকে অনুমোদন করছি এবং এতদ্বারা আমরা আরো অনুমোদন করছি ও সিন্ধান্ত ঘোষণা করছি যে শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্টপ্রধান হিসেবে কাজ করবেন । রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্রবাহিনী সমুহের সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন , রাষ্ট্রপ্রধান ই সর্বপ্রকার প্রশাসন ও আইন প্রনয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন , তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রয়োজন বোধে মন্ত্রী সভার অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ করতে পারবেন । আমরা আরো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে , বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তেছে যথাযথভাবে আমরা পালন করবো । আমরা আরো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১সালের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকারী বলে গণ্য হবে । আমরা আরো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে , আমাদের এই কার্যকরী করার জন্য আমরা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউসুফ আলীকে যথাযথভাবে ও নিয়মানুগ উপায়ে রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্টপ্রধানের শপথ গ্ৰহন অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে তাকে এই কাজের জন্য নিযুক্ত করলাম । স্বাক্ষর ( এম ইউসুফ আলী ) সূত্র : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে , পৃ:৩০০-৩০১) এবং অধ্যাপক আব্দুল আজিজ (বই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সর্বাধিনায়ক ওসমানী পরিশিষ্ট -৪, পৃষ্ঠা ১২২-১২৩ )।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন