আমার কালের কথা (১৯৬৪ -১৯৬৮ সালের আমার দেখা সিলেট শহর ; প্রসঙ্গ যানবাহন ) এর আগে আমার এক লেখায় ১৯৬৪ সালের কিছু স্মিতিচারন করেছি ।
with new update ;-
আমার কালের কথা (১৯৬৪ -১৯৬৮ সালের আমার দেখা সিলেট শহর ; প্রসঙ্গ যানবাহন )
এর আগে আমার এক লেখায় ১৯৬৪ সালের কিছু স্মিতিচারন করেছি ।
আজ অন্য বিষয়ে লিখছি । ব্যাপারটি সিলেট শহরের যানবাহন নিয়ে । সম্ভবতঃ ১৯৬৮ সালের দিকে দেশে ইন্জিনিয়ারদের সংখ্যা কম ছিল না । আহসান উল্লাহ ইন্জিনিয়ারিং কলেজের পাশে করা ইন্জিনিয়ার ছাড়া ও ইন্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ করা অনেক ইন্জিনিয়ার ছিলেন । লন্ডন থেকে অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারিং পাশ করে অনেকেই দেশে ফিরেছেন তখন । কিন্তু মোটর ড্রাইভিং শিক্ষার উপর কেউই কোনো বই কেউ লিখেছেন বলে জানা যায় নি । একটি বই ১৯৬৮ সালের দিকে প্রথম লিখেছেন এম সি কলেজের কেমেষ্টির বিভাগের প্রধান ডঃ সফিকুর রহমান । এই বইটি লিখেছেন তার খালা শাশুড়ি কে ড্রাইভিং শিখাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে । তার খালু ডক্টর ইউনুস সিলেটের সিভিল সার্জন ছিলেন । তিনি নিজের জন্যে একটি টয়োটা করটিনা কার ক্রয় করেন । তখন তার স্ত্রী নিজে চালাতে গিয়ে ডঃ সফিকুর রহমানের মাধ্যমে ড্রাইভিং শিখতেন । কিন্তু তিনি আগের দিনের শেখা পরের দিন ভূলে যেতেন । তাই তিনি একটি মোটর ড্রাইভিং শিখার একটি বইয়ের প্রয়োজনিতা অনুভব করেন ।
তাই শেষ পর্যন্ত ডঃ সফিকুর রহমান আমার মাধ্যমে সিলেটের পলিটেকনিক কলেজের অটোমোবাইল এর উপর লেখা তিনটি বই সংগ্রহ করে নিজেই এক মাসের মধ্যেই একটি বই লিখে তার একশত বইয়ের কপি প্রকাশ করে ফেলেন ।বইটির নাম ছিল সহজ মোটর ড্রাইভিং শিক্ষা বা এই ধরনের একটি নাম ।আমরা তখন তার পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলাম । এর আগে সিলেট শহরে মহিলা দের একজন এবং বিখ্যাত বই " প্রবাসী বই 'এর লেখক নুরুল ইসলাম সাহেবের
স্ত্রী রিজীয়া ইসলাম ( নার্গিস ইসলাম ) কে কার ড্রাইভিং শিখাতে পেরেছেন কোনো বই ছাড়া ই । তার একটি ফক্সাগন কার ছিল । ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন । তখন পাকিস্তানি আর্মী তার কুমার পাড়ার ভাড়েটে বাসায় তাকে না পেয়ে ২৫ মার্চ রাত্রেই তার কারটি নিয়ে যায় । তিনি ২৫ মার্চ বিকাল ৫ টায় ঢাকা থেকে সংবাদ পরে একঘণ্টার মধ্যেই বাসা ছেড়ে শহরের বাহিরে চলে যান তিনি তার স্ত্রী সহ । তার স্ত্রী তখন মহিলা কলেজের জি এস ও ছিলেন এবং বি এর ফাইনের
ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন । প্রসঙ্গক্রমে এই তথ্যটি এই লেখায় যুক্ত করতে চাই ঐ বাসার মালিক ছিলেন ভাদেশ্বর নিবাসী জনাব মোদরিস চৌধুরী সাহেবের । তিনি তখন অবসরপ্রাপ্ত ম্যাজিসষ্টেট ছিলেন ।তার বড় ছেলে জনাব তসোদ্কুক আহমেদ লণ্ডনে বিখ্যাত গঙ্গা রেষ্টুরেন্টের মালিক ছিলেন । তিনি বামধারার চিন্তার একজন বুদ্ধিজীবি ছিলেন । ১৯৬০ শতকে যারা বাংলা দেশকে স্বাধীন করতে যে গোপন আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তিনি তার অন্যতম সংগঠক ছিলেন । তিনি এবং তার কয়েকজন অনুসারি মিলে লণ্ডন শহরে ইষ্টবেঙ্গল হাউস নামে একটি অফিস এবং ছোট মিলনায়তন বা সভাগৃহ ও পরিচালিত করতেন এবং অনেক প্রবাসী বাঙ্গালীদের এই আন্দোলনে যুক্ত করতে পেরেছিলেন । যারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূরণ্ ভূমিকা পালন করেন । জনাব নুরুল ইসলামও তাদের একজন ছিলেন । পরে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চই শহর থেকে বের হয়ে লক্ষিপাশায় রাত কাটিয়ে পরের দিন করিমগন্জ হয়ে কলিকাতায় গিয়ে প্রবাসী সরকারে যোগদান করেন । দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি কুমিল্লা ও বৃহত্তর সিলেট প্রসাশন অঞ্চলের সেক্রেটারী পদে নিযুক্তি পেয়েছিলেন । তখন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদের ও নুতন টয়োটা কার থাকতো ।
যেমন ছিল মদনমোহন কলেজের তখন কার প্রিন্সিপ্যালের ছেলে সাবেক ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও মামা অধ্যাপক আব্দুল আজিজের বিশেষ বন্ধুর । তখন ব্যাঙ্কের ডেভেলামেন্ট অফিসারদের ও সুন্দর সুন্দর কার থাকতো ।
তখনকার সিলেটের প্রাইভেট কার সীমিত সংখ্যক লোকজনের ছিল । তখনকার দিনে ৬০০সিসির ইটালিয়ান ফিয়াট কার অনেকের ছিল । প্রিন্সিপাল সলমান চৌধুরীর একটি ফিয়াট কার ছিল । তিনি যখন অবসরে যাওয়ার পরে সে কারটি তার কলেজের কেমিস্ট্রির প্রধান গোলাম রসুলের কাছে সম্ভবতঃ চার হাজার টাকায় বিক্রি করেন এবং নিজের জন্যে একটি টয়োটা কার ক্রয় করেন । আর আওয়ামী লীগের নেতা সাহাদাত খানের একটি ফিয়াট কার ছিল অন্যান্য নেতাদের উইলি টাইপের পুরাতন জীপ ছিল । সম্ভবতঃ আওয়ামী লীগের ট্রেজারার মসূদ চৌধুরীর একটি কার ও একটি জীপ ছিল । তখনকার দিনে লন্ডন ফেরত ডাক্তার ও অধ্যাপক রা ডিগ্রী শেষে একটি কার নিয়ে দেশে ফিরেছেন অনেকেই । যেমন ডঃ সফিকুর রহমান সাহেব ১৩০০সিসির মরিস অক্সফোর্ড কার আনেন লন্ডন থেকে পি এইচডি পাশ করে দেশে ফেরার সময়ে ।
তখন সিলেটে মাত্র দুই টি মরিস অক্সফোর্ড কার ছিল । অন্যটি ছিল হাবিব ব্যাঙ্ক এর ম্যানেজার জনাব ইউসুফ চৌধুরীর । পরে তিনি ঠান্ডা এলার্জি এর জন্য বিলাত ফেরত এক লোকের কাছে তার ঐ কারটি বিক্রি করে টয়োটা করলা কার ক্রয় করেন । ঐ লোক পরে ভাড়ায় ঐ কার চালাতো
। আমরা একবার রায়নগর থেকে সিলেট এয়ারপোর্ট যেতে আসতে মাত্র ৫০টাকা ভাড়া দিয়ে হয় প্রায় ৪ঘণ্টা এয়ারপোর্ট অবস্থান করা সত্বেও । তখন প্রফেশনাল ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার ও আইনজীবীদের বিশেষ বিবেচনায় কার ক্রয়ের জন্যে টেক্স ফ্রী পারমিটের ব্যবস্থা ছিল । অনেকেই ১২/১৩হাজার টাকায় ফক্সাগন ইটালিয়ান ১৩০০সিসির কার ক্রয়ের সুযোগ গ্রহণ করছেন । কিন্তু সিলেটে তখন হাতে গোনা কয়েকটি কার ছিল । বিদেশ থেকে অধ্যাপক ড়ক্টর বা ইন্জিনিয়ারা পড়া শেষে দেশ ফেরার সময়ে ৫/৬ হাজার টাকার টেক্স ফ্রী ১১০০সিসির মরিস মাইনর কার নিয়ে দেশে ফিরতেন ।
সিলেটের সম্ভবতঃ প্রথম টয়োটা করোলা কার ক্রয় করেন ভাটিপাড়া নিবাসী দরগাহ মহল্লার
আবুল হাসানাত সাহেব ।তার ব্যবসায়ী ছেলে চট্রগ্রামে তার জাকির হোসেন রোডের ভাডাটে বাসায়
কথায় কথায় আমাকে এটি বলেছেন । তিনি অর্থাৎ আনহার চৌধুরী আমাকে এ ও বলেছেন যে তিনি ১৬বছর বয়সেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সমর্থ হয়েছেন । যদিও এর বয়স সীমা ১৮ বছর নির্ধারিত ছিল ।
সিলেটের প্রথম এক্সরে মেসিনের মালিক ডাক্তার আহমেদ সাহেব বন্দর বাজার তার সিলেট ফার্মেসির ভিতরে একটি এক্স-রে মেশিনটি স্থাপন করে ছিলেন । এটিই তখন সিলেট শহরের একমাত্র প্রাইভেট এক্স রে মেসিন ছিল । তিনি আম্বরখানা নিবাসী ছিলেন । আওয়ামী লীগের বর্তমান সিলেটের নেতা এডভোকেট জনাব মিসবাহ উদ্দিন সিরিজ সাহেবের শশুড় ও তিনি। তার একটি জেপার নামের আন কমন কার ছিল । আর কার ছিল ডাক্তার জমসেদ বক্স সাহেবের । তিনি জল্লার পারের বাসিন্দা ছিলেন । আর চুড়কাইয়ের বাসিন্দা আম্বরখানার আলতাফ চৌধুরীর একটি টয়োটা কার ছিল । আর এডভোকেট জয়নুল আবেদীন এর একটি টয়োটা কার ছিল । তিনি নির্বাচনে সুরঞ্জিত বাবুর কাছে পরাজিত হয়ে পাকিস্তানের শেষের দিকে কেইস করে শেষ কয়েক মাস এম এন এ নির্বাচিত হয়েছিলেন । তিনি মুসলিম লীগের সিলেট সুনামগঞ্জ এলাকার নেতা ছিলেন। আমার জানার বাইরে ও সিলেট শহরের আরো অনেকই কার ও জীপের মালিক ছিলেন ।তাই এই লেখায় সবার তথ্য দেয়া হয় নাই । যুগভেরী ও ইষ্টান্ড হেরাল্ড পত্রিকার মালিক আমিনুর রসিদ চৌধুরী পরিবারের কয়েকটি কার ও জীপ ছিল । দরগা মহল্লার সুন্নত চৌধুরীর ও কার ও জীপ ছিল । জিতু মিয়ার ও রাজনীতি বিদ আজমল আলীর ও কার ও জীপ ছিল ।
। তখন সিলেটে বিখ্যাত টি প্লেনটার নিমুলেন্দু চৌধুরীর একটি জাগোওয়ার কার ছিল কিন্তু সিলেটের ছোট রাস্তায় ঐ কার চালাতে পারতেন না । তাই শিব গঞ্জের একটি মোটর গেরেজেই ঐ কার কি থাকতো ।এই কারটি ব্রিটিশ রানী এলিজাবেথ এর ছোট বোন প্রিন্সেস এন্নীর ঢাকা সফরে আসার আগে তার বাহনের জন্যে ক্রয় করা হয় । পরে নরসিংদীর এক কাপড়ের ব্যবসায়ী এটি নিলামে সরকারের কাছ থেকে ক্রয় করেন ।পরে নির্মুলেন্দু চৌধুরী এটি তার কাছ থেকে কিনে ছিলেন। তখন ঢাকায় আর একটা জাগোওয়ার কার ছিল বিটিভির উপস্থাপন জনাব ফজলে লোহানীর । তিনি সরাসরি লন্ডন থেকে ড্রাইভিং করে মধ্যে প্রাচ্য , আফগানিস্তান ও পাকিস্তান এবং ভারত হয়ে ঢাকায় আসেন কারটি নিয়ে । সঙ্গে তার ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজাবেথ লোহানী ও ছিলেন । দুই জনে ড্রাইভিং করে বেশ কয়েকটি মাসে ঢাকা পৌঁছেন । হবিগঞ্জের জনাব সাইদুর রহমান ও নির্মুলেন্দু চৌধুরী কে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে পাকিস্তানের আর্মিরা তুলে নিয়ে যায় । পরে তাদের আর কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায় নি । ব্র্যাকের ফজলে আবেদ তার আত্মীয় সম্ভবতঃ ।
সিলেটে তখনকার দিনে ছোট ছোট বাস রাস্তায় চলাচল করতো । ছোট খাটো ২৯ সিটের বাস ও ৫ টন ক্ষমতার বেশী
ট্রাক রাস্তায় চলাচল তেমন ছিল না ।
ফোর্ড কোম্পানির এবং ব্রেড ফোর্ড এর ট্রাক রাস্তায় চলাচল করতো বেশি । অনেকেই পুরাতন ট্রাকের চেচিজে বা ফ্রেমে স্থানীয় ভাবে কাট দিয়ে তৈরী বাসের বডি বসিয়ে বাসে রূপান্তরিত করে বাস তৈরী করে রাস্তায় চালতেন । তখন শুধু বাস বা ট্রাকের ফ্রেম লন্ডন ব্রেড ফোর্ড কোম্পানি থেকে আমদানি করে স্থানীয় ভাবে বডি তৈরি করতেন মালিকেরা । ছোট পাবলিক গাড়ি ছিল ইটালিয়ান ভেসপা কোম্পানির দুই ষ্টক বিশিষ্ট তিন চাকার অটোরিকশা । যা এখন সি এন জি অটোরিকশা হিসেবে পরিচিত । তখন এটিকে বেবি টেক্সী ও ডাকা হত । এটি মাত্র ১৫০ সিসি ক্ষমতার অটোরিকশা ছিল এটি । সিলেটে কেউ কেউ ফেব্রিকেশন করে পিছনের চেচিস লম্ভা করে বাসের মত বডি লাগিয়ে ৬ জন লোকের বসার সিট তৈরী করে রাস্তায় চালাতেন । পরে এটি বাতিল করা হয় যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যে । এখন এটি টেম্প নাম এ রূপান্তরিত হয়েছে যা চীন থেকে ফ্রেম আমদানি করে এটি তৈরী করা হয় দেশেই।
এখন ভারতের মারতি কোম্পানির তিন চাকার অটোরিকশা ভেসপা কোম্পানির আটোরিকশা এবং মোটর সাইকেল বদলা প্রতিস্থাপিত হয়েছে । আর টঙ্গীতে হুোন্দা মোটর সাইকেল তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন সেখানে এখন মোটর সাইকেল সংযোজন করা হয় জাপানের তৈরী ৪ স্টোক বিশিষ্ট ইন্জিনে স্থানীয় ভাবে তৈরী ফিটিংস দিয়ে ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুসলিম লীগের এক এম পি নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া উত্তরা মোটরস নামে একটি প্রতিষ্ঠান চট্রগ্রামে খুলেন । পরে ভারতের তৈরী মারতি ও সুযুকি কার ও ৩ চাকার অটোরিকশার ডিলারশিপ পেয়েছিলেন মারতি কোম্পেনী থেকে । তার বড় ছেলে মখলিসুর রহমান কম বয়সে ইন্তেকাল করেন কেনসার রোগে । এখনও তার ছোট ছেলে ও নাতিরা এটা চালান । বর্তমানে এটি সি এন জি অটোরিকশা প্রাকরিতৃক রূপান্তরিত হয়েছে । এটিই এখন বাংলাদেশে সস্তা পাবলিক বাহন ।
১৯৬৫সালের ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধের পর প্রাইভেট কারের পারমিট ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয় । তখন চিটাগাং এর ফৌজদার হাটে পাকিস্তানের ধনী পরিবারের সদস্য হাবিব উল্লাহ খান গান্ধারা অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা করেন । এবং ৪১ সিটের বাস ও ভক্সসোল ২০০০সিসির কার এসেম্বলিং আরম্ভ করা হত এই প্রতিষ্টানে । তখন নাভানা ট্রেডার্স নাম দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ধনী ব্যক্তি জহুরুল ইসলামের বড়ভাই আফতাব আহমেদ সীমিত পরিমান টয়োটা কার আমদানির সুযোগ পান । এখন তারা আফতাব অটোমোবাইল কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান ফৌজদার হাটে গড়ে তুলেছেন ।
তখন ও রিকন্ডিশন্ড গাড়ি জাপান থেকে আমদানির প্রচলন আরম্ভ হয় নি । বর্তমানে গান্ধারা অটোমোবাইল ইন্ড্রাষ্টি নামকে প্রগতি ইন্ড্রাষ্টি নাম করণ হয়েছে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে । এখন
প্রগতি অটোমোবাইল ইন্জিনিয়ারিং কোম্পানি নামে বিভিন্ন যানবাহন এসেম্বলিং করে বাজারজাত করতেছে প্রগতি ইন্ড্রাষ্টি ।কিছুদিন আগ থেকে এখন পাজারো টাইপের জীপ ও সংযোজন করে বাজারজাত করছে প্রগতি ইন্ড্রাষ্টি ।
তখন প্রায় সব প্রশাসনে উইলী টাইপর জীপ ব্যবহৃত হত । একমাত্র জেলা জজ ও ডিসিরা কার ব্যবহার করতেন । প্রত্যেক জেলার ডিসি দের একটি করে মার্সিডিজ বেন্জ ব্রেন্ডের কার থাকতো কোনো ভিআইপি জেলা সদরে আসলে তারা ঐ কার ব্যবহার করতেন । অন্যান্য সময়ে ডিসিরা ও ঐ কার অফিসের কাজে ব্যবহার করতেন । তবে তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্যে অন্য কার ও ছিল । পি আই এ বা পিকিস্তান এয়ার লাইনের মাইক্রবাস ও এয়ারপোর্টে যাত্রীদের আনা নেয়ার জন্য একটি আধুনিক বাস ছিল । ম্যানেজারের কারও সম্ভবতঃ ছিল ।
সিলেটের ১৯৬৯ সালের এডিসি লেহারী সাহেব তার নিজস্ব কার ব্যবহার করতেন । তিনি পাকিস্তানের ধনী ২২পরিবারের সদস্য ছিলেন । তিনি পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন এবং এক সময় ভাঙ্গা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও হয়েছেন । আজ এই পর্যন্তই । কিছু তথ্য গত ভুল ত্রুটি থাকতে পারে । কারণ কোনো রেফারেন্স ছাড়া শুধু আমার নিজের স্মৃতির উপর নির্ভর করে এই লেখাটি লিখতে হয়েছে । পরে ভূল ধরা পড়লে ঠিক তথ্য দেয়া হবে , আর কিছু বানান বা শব্দ ভূল কি বোর্ডের জন্য থেকেই গেল ।
্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন