১৯৭১ সালে আমার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ ; (২য় পর্ব )
এবার এই পর্বে ও শীবের গীত দিয়ে লিখাটি আরম্ভ করতে হচ্ছে
! কারণ তখনকার টেকনিক্যাল শিক্ষার কিছু অজানা বা কম জনা ইতিহাসের দিকে আলোকপাত করতে আমার ব্যক্তগত কিছু অভিজ্ঞাতার আলোকে
ইতিহাসের বর্ণনার চেষ্টা করছি ।কারণ আমিতো সরাসরি ইতাহাস লেখার উপযুক্ত লেখক নই । তাই
আমার ব্যক্তি জীবনের ঘটনায় যতটুকু ইতিহাস ফুটিয়ে তুলা যায় সে চেষ্টাই করব এই লেখায়
। এর পরের পর্বে ৭১ সালের অভিজ্ঞতা লিখতে চেষ্টা করবো
আমি ১৯৬৫ সালে মদনমোহন কলজে আই কমের ২য় বর্ষের
ছাত্র । তখন মদনমোহন কলেজে অনার্স কোর্স ছিল না । শুধু খুবভাল ছাত্র হলে এমসি কলেজে
অর্থনীতিতে অনার্স কোর্সে ভর্তির সুযোগ ছিল । আমার স্কুলের ও ক্লাসমিট পুলিন বিহারী দাস ভর্তি হয়ে
পরে বিসিএস পাশ করে সিভিল সার্ভিসে চাকুরী করছে ।কিন্তু আমার সে সুযোগ ছিল না । তাই
আমি বিলেতে অটোমবাইল ইন্জিনীয়ারিং পড়তে কি
করা দরকার জানতে ঢাকা ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে একটি গাইডলাইন
সংগ্রহ করে দেখি ঐ কোর্সে ভর্তি হতে কমপক্ষে এসোশিয়েট ইন্জিনীরার হতে হবে । তখন ঢাকা
পলিট্যাকনিক কলেজ থেকে একটি প্রসপেক্টাস সংগ্রহ করে করে দেখতে পাই মেকানিক্যাল ও ইলেক্ট্রিকেল এবং অটোমবাইল ইন্জীনিয়ারিং এক সঙ্গে সংযুক্ত করে এসোশিয়েট পাওয়ার ইন্জীনিয়ারিং
নামে একটি নতুন কোর্স চালু হয়েছে ঐ বছরেই । এবং তা সিলেট পলিটেকনিক কলেজেও পড়ানো হয়
।
সিলেট পলিটেকনিক থেকে জানতে পাই ৬ সিমেষ্টারে ৪২ টা বিষয় পড়তে হবে এবং ১ম সিমেষ্টারে এইএসসির সাইন্সের সব বিষয় ৬ মাসেই সংক্ষেপে ভাবে পড়তে হবে এবং পরের ৫ সিমেষ্টারে ইন্জীনিয়ারিং এর ছাত্রদের পড়ানো বিষয়ের অনেক বিষয় সংক্ষেপে পড়তে হবে তাদের ইন্জীনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেক্টকরা পুস্তক থেকে ।
কিন্তু তখন ক্লাস আরম্ভ হয়ে ৩ মাস পড়ানো শেষ হয়ে গেছে এবং ১ম সিমেষ্টারের ৮০ সিটের সব সিটও শেষ হয়ে গেছে । আমার বড় চাচার বন্ধু জল্লারপার নিবাসি মুহিবুর রহমান একজন স্ক্রাপ্ট ইনস্ট্রাকটার ছিলেন সিলেটে । আর প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক সাহেব বিশেষ পারমিশনে যে ২টি সিট ড্রাইরেকটার থেকে ২ জনের অনুরোধে অনুমোদন করিয়ে এনেছিলেন । তার একটিতে গোটাটিকরের সিলেট ট্রেজারী অপিসের হেডক্লার্কের ছেলে আখতার আহমেদ ভর্তি হয়েছিল এক সিটে অন্যজনের অভিবাবক সিলেট থেকে বদলি হয়ে গেল সে আর ভর্তি হননি ।
মহিবুর রহমার সাহেরের অনুরোধে আমাকে ভর্তি করা হয় কিন্ত ১ম তিন মাসে যা পড়া হয়ে গিয়েছিল তা আমাকে পড়তে হয় নিজে নিজেই । তাই আই কম ফাইনেল পরীক্ষা দিতে না পারলেও পরে সকারের এক নির্বাহী আদেশে ড়িপ্লোমা পাশদের আইএসসি পাশের সম মার্যাদা দিয়ে চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইন্সে অনার্স কোর্সে ভর্তির সুযোগ দেয়া হলে আমার আর এই কম ফাইনেল পরীক্ষা দেয়া লাগেনি । এর পর ২য় বছরের ২ সিমেষ্টার ভাল ভাবেই শেষ হয় । ৫ম সিমেষ্টারের প্রথমে চট্রগ্রামে একজন ছাত্র একজন শিক্ষককে দুতালা থেকে নিচে ফেলে আহত করে তাকে পরীক্ষায় নকল করতে না দেয়ায় । এবং বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় পূর্বপাকিস্তানের ৬টি পলিটেকনিক কলেজের
নতুন বিল্ডিং তৈরির কারণে ক্লাস রুমের সংকটে ছিল ।
ছাত্রের এই অন্যায় কাজে শিক্ষকরা ধর্মঘট আরম্ভ করেন তখন ড্রাইরেক্টার ড: ওয়াকার আহমেদ ঐ দুই কারণকে কাজে লাগিয়ে প্রায় একবছরের জন্যে পূর্বপাকিস্তানের সব পলিটেকনিক কলেজ বন্ধ করে দেন ।
তখন আওয়ালী লীগের ৬ দফার এবং ছাত্রদের ১১ দফার আন্দোলন দেশে চলছিল । তখন টেকনিক্যালের ছাত্ররা নিজেদের উচ্ছশিক্ষার সুযোগ করে দেয়া এবং ইন্জিনীয়ারদের প্রথম শ্রণীর গেজেটেড অফিসার পদে উন্নিত করায় তাদের ইমিডিয়েট নীচের স্কেলের চাকুরীজীবি হিসেবে ২য় শ্রেণীর পদমার্যদা দেয়া সহ টেকনিক্যাল কলেজগুলো খুলে ক্লাস আরম্ভ করা সহ আরো কিছু দাবী নিয়ে ছাত্রদের ১১ দফা এবং আওয়ামী লীগের ৬ দফা আন্দোলনে যোগ দেয় ।
ফলে সরকার নূর খাঁন শিক্ষা কমিশন ঘটন করে টেকনিক্যাল ছাত্রদের অন্দোলন বন্ধ করতে চেষ্টা করে ।
এবং তড়িঘড়ি করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় । ফলে আমাদের পূরোনো ছাত্রদের অনেক সময় নষ্ট সহ অতিরিক্ত কিছু বিষয় পড়তে হয় এবং ১ম পার্ট ও ২য় পার্ট করা হয় ৫ম ও ৬ষ্ট সিমেষ্টারকে । আর দুইটি ফাইনেল পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় ।
আর নতুন ছাত্র যারা পরে ভর্তি হবে তাদের জন্যে আই টেক , বি টেক এবং এম টেক ডিগ্রীর ব্যবস্থা করা হয় এবং ছয় বছরের কোর্স শেষে যারা এম টেক পাশ করবে তাদেরকে বিএসসি ইন্জীনিয়ার ডিগ্রীর সমমার্যাদা দেয়া হয় যা এখনও পাকিস্তান ও ভারতে চালু আছে ।
আর পুরানো ছাত্রদের ইন্জীনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বর্ষে ভর্তির সুযোগ করে দেয়া হয় যারা আরো পড়তে আগ্রহী তাদেরকে সীমিত সিটে । আর বাকিদের চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইন্সে অনার্স কোর্সে ভর্তির পারমিশন দেয়া হয় নতূন সিষ্টেম সম্পূর্ণ চালু করার আগ পর্যন্ত । কিন্তু ছাত্রদের সবাই এটা মেনে না নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে ।
এই পর্যায়ে দেশে রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটে যায় এবং এহিয়া খাঁনের সামরিক শাসন কায়েম হয় । টেকনিক্যাল ছাত্রদের অভিবাহক যারা সরকারী চাকুরে ছিলেন তাদেরকে চিঠি দিয়ে তাদের ছেলেদের বা আত্মিয়দের ক্লাসে যোগদানে বাধ্য করা হয় । তখন ধীরে ধীরে ছাত্ররা ক্লাসে ফিরা আরম্ভ করে এবং ফাইনেল ১ম পার্টের পরীক্ষার তারিখ ঘোষিত হয় । তাই বাধ্য হয়ে আমাকেও পরীক্ষায় বসতে হয় । এর কিছুদিন পরে ২য় পার্টের ফাইনেল পরীক্ষার তারিখ ঘোষিত হয় এবং ১৯৬৯ সালের শেষে এবং ১৯৭০ সালের জানুয়ারীতে ২য় পার্টের পরীক্ষা ও সমাপ্ত হয় ।
এর পর শিক্ষকরাও আবার তাদের কিছু দাবীর আন্দোলন আরম্ভ করেন এবং পরীক্ষার খাতা দেখা থেকে বিরত থাকেন । তাই ১৯৭১ সালে প্রায় পরীক্ষার এক বছর পর রিজাল্ট বের হয় । আমি পরীক্ষায় এপিয়ার্ড হিসেবে চাকুরীর চেষ্টা করলে দাউড পেট্রলিয়ামে পাশ করা সাপেক্ষে ৮০০ টাকা বেতনের জুনিয়র ফিল্ড ইন্জীনিয়ার পদে সিলেক্ট হই । ( বর্তমানে এটি পদ্ধা পেট্রলিয়াম অয়েল ) কিন্তু রিজাল্টের পরে পরেই স্বাধীনতা যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ায় আমি চট্রগাম গিয়ে নিয়োগ পত্র সংগ্রহ করতে সাহস করিনি । পরে যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে বর্তমান বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ডে সাবএসিষ্টেন্ট ইন্জীনিয়ার সিলেকশন গ্রেড পোষ্টে ৩৫০ টাকা বেতনে সরাসরি চাকুরিতে সিলেক্ট হই এবং কুমিল্লা থেকে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয় । কিন্তু মুক্তি যুদ্ধাদের আহ্ববানে সরকারকে কোনো সয়যোগিতা না করতে বলায় ৭১ এর আগষ্ট মাসে কুমিল্লা গিয়ে আর নিয়োগ পত্র সংগ্রহ করি নি । পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রেলওয়ের ওয়ার্কসপ লাইনে চাকুরী পাই । আর বিলেত গিয়ে অটোমবাইল ইন্জীনিয়ারিং আর পড়া হয় নি । তবে চাকুরী থেকে ব্রিটিশ কাউন্সিলে
পরীক্ষা দিয়ে স্কলারশীপ লাভ করে ৯ মাসের জন্যে বিলাতে যাই ১৯৮৫-৮৬ সালে এবং ওয়ার্কসপ ম্যানেজমেন্ট , ফাউন্ড্রি ইন্জীনিয়ারিং , মেটেলারজিক্যাল ইন্জীনিয়ারিং এবং বার্নিংহাম ইউনিভার্সিতে ইনভেষ্টমেন্ট কাষ্টিং সহ মোট ৪ টি সর্ট কোর্স সমাপ্ত করি এবং ওয়েষ্ট মিডলান্ডের অনেকগুলো ইনড্রাষ্টিতে প্রাকটিক্যাল ক্লাসে অংশ নেই ব্রটিশ কাউনসিলের অধীনের ইনড্রাষ্টিয়েল ও ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনিং বোর্ডের সুপারভিশনে । উপরে উল্লেখিত কারণে সিলেট শহরে কাছ থেকে মুক্তযুদ্ধের শুরু ও শেষ দেখেছি ১৯৭১ সালে যা ৩য় পর্বে লিখার ইচ্ছা । বাংলা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নুর খাঁন শিক্ষাকমিশনের রিপোর্ট বাতিল হয় আর পরে ছাত্ররা আরো
আন্দোলন করে জয়দেবপুরে ডিপ্লোমা পাশদের জন্য আলাদা একটি ইন্জীনিয়ারিং বিএসসি ডিগ্রীর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ডিপ্লোমা এন্জীনিয়ারিং কোর্সে ৮ মিমেষ্টারে ৪ বছর মেয়াদের কোর্স ও চালু করা হয়েছে । এর পরও তাদের বেতন এক গ্রেড নিচ থেকে কমিয়ে বিএসসি ইন্জীনিয়ার থেকে ২ গ্রেড নিচে নামিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকার ।
বি:দ্র : প্রথমে কিছু আমার ব্যাক্তিগত এবং কিছুটা রাজনৈতিক কারণে কাছু কথা আমি বাদ দিয়েছিলান । এখন আমার প্রাক্তন সহকর্মীদের অনুরোধে তা আবার লিখতে হচ্ছে । এটি উল্লেখ না করলে নাকি ৮০ শতকের ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়াদের বেতনের ইতিহাস অসমাপ্ত থেকে যাবে ।
১৯৭৭ /৭৮ সালে আমি কয়েক মাসের জন্যে রেলওয়ে ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়ার রেলওয়ের কেন্দীয় কমিটির সেক্রেটারির পদের দায়েত্বে ছিলাম । ১৯৭৭ সালের পে কমিশনে রেলওয়ের ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়াদের পে ১৪ নং এবং ১৫ এবং ১১ নং স্কেলে স্থাপন করা হয় । তখন রেলওয়ে বোর্ড ছিল এবং খুবই অভিজ্ঞতা পূর্ণ ইন্জীনিয়ার ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান । তার কছে আমরা প্রায় চট্রগ্রামে কর্মরত ৩০০ জন সদস্য তার অফিসে সাক্ষাত করে একটি অভিযোগনামা পেশ করি । তিনি খুবই মানবিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন প্রশাসক ছিলেন এবং নাম ছিল জনাব ইন্জীনিয়ার মকবুল আহমেদ। তার রেলওয়ের চীপ পারসোন্যাল অফিসার ইন্জীনিয়ার শামসুর রহমান ও একজন ভাল অফিসার ছিলেন , পরে বিদেশে স্থায়ী ভাবে চলে গেছেন । পে কমিশনের সদস্যদের ভূল ভাঙ্গাতে তখন তারা অর্থমন্ত্রলায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং চীপ পারসোন্যেল অফিসার সহ আমাদের সমিতির ২ জন কেন্দীয় কমিটির সদস্যের একটি সাক্ষাতকারের দিন নির্ধারণ করতে সমর্থ হন । আমাদের একদিন রাতে ৮ টায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ও তারিখ জানিয়ে ঐ দিনই তাদের অফিসিয়েলী রিজার্ভকরে রাখা দুইটি সিটে
রাত সাড়ে দশটার ১ আপ ঢাকার ট্রেইনে আমি এবং সমিতির প্রেসিডেন্ট আসরাফ আহমেদকে ঢাকা যাইতে হবে পিয়ন মারফত জানিয়ে দেন স্বয়ং চেয়ারম্যান সাহেব ।
আমরা কিছু ডকুমেন্ট এবং পে কমিশনের গেজেটের কপি সহ পরদেন চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে আমরা ২ জন অর্থমন্ত্রনালনের মন্ত্রীর চেম্বারের সামনে উপস্থিত হই । এই সময়ে প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে মন্ত্রী সাইফুর রহমান সাহেব আমাদের ৪ জনকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেন । আমরা ঢোকার পর চেয়ারম্যান সাহেব এবং মন্ত্রিকে এর একটি গ্রহনযোগ্য সমাধান বের করতে আদেশ দিয়ে প্রেসিডেন্ট সাহেব টঙ্গিতে শ্রমিকদের এক মিটিংয়ে যোগদিতে তিনি চলে যান ।
মন্ত্রী সাহেব আমাদের ২ ঢেকে নিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রথমে কথা বলেন আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ডকুমেন্ট গুলো পড়ে তার কাছে রেখে আমাদেরকে বাইরে বসতে বলেন । সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যান ও চীপ পারসোন্যেল অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন । ১ ঘন্টা পরে আমাদের ২ জনকে আবার ঢেকে ভিতরে নিয়ে বলেন যে আমাদের ১২নং এবং ১১ নং স্কেলে ২য় শেণীর গেজেটেড অফিসার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে ।
পরে রেলওয়ের অথরটি ৫০ % পোষ্টে ১২ নং এবং ১১নং পোষ্টে বাকি ৫০ % এ পোষ্টিং করে চাকুরের ৩ বছর মেয়াদ পরে বাকিদের ও ১১নং স্কেল দেয়া হয় । এর পর প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান বিশ্বাস সবাইকে ১৯৯৩ সালে ১১নং স্কেলে নিতে এবং নতুনদের সরাসরি ১১নং স্কেলে নিয়োগের বিধান রেখে ১০নং স্কেলকে ৩ বছরের পরে সিলেকশন গ্রেড পোষ্ট ঘোষণা করে ডিপ্লোমা বা এসোশিয়েট ইন্জীনিয়ারদের ডিগ্রী ইন্জীনিয়ারদের এক স্কেল নিচে স্থাপন করে দীর্ঘ ১৯৬৮ সালের পর থেকে চলা ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়ারদের আন্দোলনের সমাপ্তি করেছিলেন ।
কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাশীল সরকার গত পে কমিশনে আবার ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়ারদের এর চাকরীর এন্ট্রিস্কেল ডিগ্রী ইন্জীনিয়ারদের ১ স্কেল নিচ থেকে ২ স্কেল নিচে নামিয়ে স্থাপন করেন এবং তাদেরকে আবার আন্দোলনের পথে ঠেলে দিয়েছেন । যদিও ভোটারের সংখ্যা ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়ারদের অধিক , ডিগ্রী ইন্জীনিয়ারদের থেকে । এই পর্বের সমাপ্তি । ( এই লেখায় যে তারিখের উল্লেখকরা হয়েছে বা যে পে স্কেলের উল্লেখ করা হয়েছে তার কিছু হেরফের হতে পারে কারণ এটি আমার স্মৃতি থেকে কোনো লিখিত তথ্য ছাড়াই লিখেছি , ঐ সব অনিচ্ছাকৃত ভূলের জন্যে আমি দুঃখিত )
সিলেট পলিটেকনিক থেকে জানতে পাই ৬ সিমেষ্টারে ৪২ টা বিষয় পড়তে হবে এবং ১ম সিমেষ্টারে এইএসসির সাইন্সের সব বিষয় ৬ মাসেই সংক্ষেপে ভাবে পড়তে হবে এবং পরের ৫ সিমেষ্টারে ইন্জীনিয়ারিং এর ছাত্রদের পড়ানো বিষয়ের অনেক বিষয় সংক্ষেপে পড়তে হবে তাদের ইন্জীনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেক্টকরা পুস্তক থেকে ।
কিন্তু তখন ক্লাস আরম্ভ হয়ে ৩ মাস পড়ানো শেষ হয়ে গেছে এবং ১ম সিমেষ্টারের ৮০ সিটের সব সিটও শেষ হয়ে গেছে । আমার বড় চাচার বন্ধু জল্লারপার নিবাসি মুহিবুর রহমান একজন স্ক্রাপ্ট ইনস্ট্রাকটার ছিলেন সিলেটে । আর প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক সাহেব বিশেষ পারমিশনে যে ২টি সিট ড্রাইরেকটার থেকে ২ জনের অনুরোধে অনুমোদন করিয়ে এনেছিলেন । তার একটিতে গোটাটিকরের সিলেট ট্রেজারী অপিসের হেডক্লার্কের ছেলে আখতার আহমেদ ভর্তি হয়েছিল এক সিটে অন্যজনের অভিবাবক সিলেট থেকে বদলি হয়ে গেল সে আর ভর্তি হননি ।
মহিবুর রহমার সাহেরের অনুরোধে আমাকে ভর্তি করা হয় কিন্ত ১ম তিন মাসে যা পড়া হয়ে গিয়েছিল তা আমাকে পড়তে হয় নিজে নিজেই । তাই আই কম ফাইনেল পরীক্ষা দিতে না পারলেও পরে সকারের এক নির্বাহী আদেশে ড়িপ্লোমা পাশদের আইএসসি পাশের সম মার্যাদা দিয়ে চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইন্সে অনার্স কোর্সে ভর্তির সুযোগ দেয়া হলে আমার আর এই কম ফাইনেল পরীক্ষা দেয়া লাগেনি । এর পর ২য় বছরের ২ সিমেষ্টার ভাল ভাবেই শেষ হয় । ৫ম সিমেষ্টারের প্রথমে চট্রগ্রামে একজন ছাত্র একজন শিক্ষককে দুতালা থেকে নিচে ফেলে আহত করে তাকে পরীক্ষায় নকল করতে না দেয়ায় । এবং বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় পূর্বপাকিস্তানের ৬টি পলিটেকনিক কলেজের
নতুন বিল্ডিং তৈরির কারণে ক্লাস রুমের সংকটে ছিল ।
ছাত্রের এই অন্যায় কাজে শিক্ষকরা ধর্মঘট আরম্ভ করেন তখন ড্রাইরেক্টার ড: ওয়াকার আহমেদ ঐ দুই কারণকে কাজে লাগিয়ে প্রায় একবছরের জন্যে পূর্বপাকিস্তানের সব পলিটেকনিক কলেজ বন্ধ করে দেন ।
তখন আওয়ালী লীগের ৬ দফার এবং ছাত্রদের ১১ দফার আন্দোলন দেশে চলছিল । তখন টেকনিক্যালের ছাত্ররা নিজেদের উচ্ছশিক্ষার সুযোগ করে দেয়া এবং ইন্জিনীয়ারদের প্রথম শ্রণীর গেজেটেড অফিসার পদে উন্নিত করায় তাদের ইমিডিয়েট নীচের স্কেলের চাকুরীজীবি হিসেবে ২য় শ্রেণীর পদমার্যদা দেয়া সহ টেকনিক্যাল কলেজগুলো খুলে ক্লাস আরম্ভ করা সহ আরো কিছু দাবী নিয়ে ছাত্রদের ১১ দফা এবং আওয়ামী লীগের ৬ দফা আন্দোলনে যোগ দেয় ।
ফলে সরকার নূর খাঁন শিক্ষা কমিশন ঘটন করে টেকনিক্যাল ছাত্রদের অন্দোলন বন্ধ করতে চেষ্টা করে ।
এবং তড়িঘড়ি করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় । ফলে আমাদের পূরোনো ছাত্রদের অনেক সময় নষ্ট সহ অতিরিক্ত কিছু বিষয় পড়তে হয় এবং ১ম পার্ট ও ২য় পার্ট করা হয় ৫ম ও ৬ষ্ট সিমেষ্টারকে । আর দুইটি ফাইনেল পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় ।
আর নতুন ছাত্র যারা পরে ভর্তি হবে তাদের জন্যে আই টেক , বি টেক এবং এম টেক ডিগ্রীর ব্যবস্থা করা হয় এবং ছয় বছরের কোর্স শেষে যারা এম টেক পাশ করবে তাদেরকে বিএসসি ইন্জীনিয়ার ডিগ্রীর সমমার্যাদা দেয়া হয় যা এখনও পাকিস্তান ও ভারতে চালু আছে ।
আর পুরানো ছাত্রদের ইন্জীনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বর্ষে ভর্তির সুযোগ করে দেয়া হয় যারা আরো পড়তে আগ্রহী তাদেরকে সীমিত সিটে । আর বাকিদের চট্রগাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইন্সে অনার্স কোর্সে ভর্তির পারমিশন দেয়া হয় নতূন সিষ্টেম সম্পূর্ণ চালু করার আগ পর্যন্ত । কিন্তু ছাত্রদের সবাই এটা মেনে না নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে ।
এই পর্যায়ে দেশে রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটে যায় এবং এহিয়া খাঁনের সামরিক শাসন কায়েম হয় । টেকনিক্যাল ছাত্রদের অভিবাহক যারা সরকারী চাকুরে ছিলেন তাদেরকে চিঠি দিয়ে তাদের ছেলেদের বা আত্মিয়দের ক্লাসে যোগদানে বাধ্য করা হয় । তখন ধীরে ধীরে ছাত্ররা ক্লাসে ফিরা আরম্ভ করে এবং ফাইনেল ১ম পার্টের পরীক্ষার তারিখ ঘোষিত হয় । তাই বাধ্য হয়ে আমাকেও পরীক্ষায় বসতে হয় । এর কিছুদিন পরে ২য় পার্টের ফাইনেল পরীক্ষার তারিখ ঘোষিত হয় এবং ১৯৬৯ সালের শেষে এবং ১৯৭০ সালের জানুয়ারীতে ২য় পার্টের পরীক্ষা ও সমাপ্ত হয় ।
এর পর শিক্ষকরাও আবার তাদের কিছু দাবীর আন্দোলন আরম্ভ করেন এবং পরীক্ষার খাতা দেখা থেকে বিরত থাকেন । তাই ১৯৭১ সালে প্রায় পরীক্ষার এক বছর পর রিজাল্ট বের হয় । আমি পরীক্ষায় এপিয়ার্ড হিসেবে চাকুরীর চেষ্টা করলে দাউড পেট্রলিয়ামে পাশ করা সাপেক্ষে ৮০০ টাকা বেতনের জুনিয়র ফিল্ড ইন্জীনিয়ার পদে সিলেক্ট হই । ( বর্তমানে এটি পদ্ধা পেট্রলিয়াম অয়েল ) কিন্তু রিজাল্টের পরে পরেই স্বাধীনতা যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ায় আমি চট্রগাম গিয়ে নিয়োগ পত্র সংগ্রহ করতে সাহস করিনি । পরে যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে বর্তমান বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ডে সাবএসিষ্টেন্ট ইন্জীনিয়ার সিলেকশন গ্রেড পোষ্টে ৩৫০ টাকা বেতনে সরাসরি চাকুরিতে সিলেক্ট হই এবং কুমিল্লা থেকে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয় । কিন্তু মুক্তি যুদ্ধাদের আহ্ববানে সরকারকে কোনো সয়যোগিতা না করতে বলায় ৭১ এর আগষ্ট মাসে কুমিল্লা গিয়ে আর নিয়োগ পত্র সংগ্রহ করি নি । পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রেলওয়ের ওয়ার্কসপ লাইনে চাকুরী পাই । আর বিলেত গিয়ে অটোমবাইল ইন্জীনিয়ারিং আর পড়া হয় নি । তবে চাকুরী থেকে ব্রিটিশ কাউন্সিলে
পরীক্ষা দিয়ে স্কলারশীপ লাভ করে ৯ মাসের জন্যে বিলাতে যাই ১৯৮৫-৮৬ সালে এবং ওয়ার্কসপ ম্যানেজমেন্ট , ফাউন্ড্রি ইন্জীনিয়ারিং , মেটেলারজিক্যাল ইন্জীনিয়ারিং এবং বার্নিংহাম ইউনিভার্সিতে ইনভেষ্টমেন্ট কাষ্টিং সহ মোট ৪ টি সর্ট কোর্স সমাপ্ত করি এবং ওয়েষ্ট মিডলান্ডের অনেকগুলো ইনড্রাষ্টিতে প্রাকটিক্যাল ক্লাসে অংশ নেই ব্রটিশ কাউনসিলের অধীনের ইনড্রাষ্টিয়েল ও ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনিং বোর্ডের সুপারভিশনে । উপরে উল্লেখিত কারণে সিলেট শহরে কাছ থেকে মুক্তযুদ্ধের শুরু ও শেষ দেখেছি ১৯৭১ সালে যা ৩য় পর্বে লিখার ইচ্ছা । বাংলা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নুর খাঁন শিক্ষাকমিশনের রিপোর্ট বাতিল হয় আর পরে ছাত্ররা আরো
আন্দোলন করে জয়দেবপুরে ডিপ্লোমা পাশদের জন্য আলাদা একটি ইন্জীনিয়ারিং বিএসসি ডিগ্রীর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ডিপ্লোমা এন্জীনিয়ারিং কোর্সে ৮ মিমেষ্টারে ৪ বছর মেয়াদের কোর্স ও চালু করা হয়েছে । এর পরও তাদের বেতন এক গ্রেড নিচ থেকে কমিয়ে বিএসসি ইন্জীনিয়ার থেকে ২ গ্রেড নিচে নামিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকার ।
বি:দ্র : প্রথমে কিছু আমার ব্যাক্তিগত এবং কিছুটা রাজনৈতিক কারণে কাছু কথা আমি বাদ দিয়েছিলান । এখন আমার প্রাক্তন সহকর্মীদের অনুরোধে তা আবার লিখতে হচ্ছে । এটি উল্লেখ না করলে নাকি ৮০ শতকের ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়াদের বেতনের ইতিহাস অসমাপ্ত থেকে যাবে ।
১৯৭৭ /৭৮ সালে আমি কয়েক মাসের জন্যে রেলওয়ে ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়ার রেলওয়ের কেন্দীয় কমিটির সেক্রেটারির পদের দায়েত্বে ছিলাম । ১৯৭৭ সালের পে কমিশনে রেলওয়ের ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়াদের পে ১৪ নং এবং ১৫ এবং ১১ নং স্কেলে স্থাপন করা হয় । তখন রেলওয়ে বোর্ড ছিল এবং খুবই অভিজ্ঞতা পূর্ণ ইন্জীনিয়ার ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান । তার কছে আমরা প্রায় চট্রগ্রামে কর্মরত ৩০০ জন সদস্য তার অফিসে সাক্ষাত করে একটি অভিযোগনামা পেশ করি । তিনি খুবই মানবিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন প্রশাসক ছিলেন এবং নাম ছিল জনাব ইন্জীনিয়ার মকবুল আহমেদ। তার রেলওয়ের চীপ পারসোন্যাল অফিসার ইন্জীনিয়ার শামসুর রহমান ও একজন ভাল অফিসার ছিলেন , পরে বিদেশে স্থায়ী ভাবে চলে গেছেন । পে কমিশনের সদস্যদের ভূল ভাঙ্গাতে তখন তারা অর্থমন্ত্রলায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং চীপ পারসোন্যেল অফিসার সহ আমাদের সমিতির ২ জন কেন্দীয় কমিটির সদস্যের একটি সাক্ষাতকারের দিন নির্ধারণ করতে সমর্থ হন । আমাদের একদিন রাতে ৮ টায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ও তারিখ জানিয়ে ঐ দিনই তাদের অফিসিয়েলী রিজার্ভকরে রাখা দুইটি সিটে
রাত সাড়ে দশটার ১ আপ ঢাকার ট্রেইনে আমি এবং সমিতির প্রেসিডেন্ট আসরাফ আহমেদকে ঢাকা যাইতে হবে পিয়ন মারফত জানিয়ে দেন স্বয়ং চেয়ারম্যান সাহেব ।
আমরা কিছু ডকুমেন্ট এবং পে কমিশনের গেজেটের কপি সহ পরদেন চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে আমরা ২ জন অর্থমন্ত্রনালনের মন্ত্রীর চেম্বারের সামনে উপস্থিত হই । এই সময়ে প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে মন্ত্রী সাইফুর রহমান সাহেব আমাদের ৪ জনকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেন । আমরা ঢোকার পর চেয়ারম্যান সাহেব এবং মন্ত্রিকে এর একটি গ্রহনযোগ্য সমাধান বের করতে আদেশ দিয়ে প্রেসিডেন্ট সাহেব টঙ্গিতে শ্রমিকদের এক মিটিংয়ে যোগদিতে তিনি চলে যান ।
মন্ত্রী সাহেব আমাদের ২ ঢেকে নিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রথমে কথা বলেন আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ডকুমেন্ট গুলো পড়ে তার কাছে রেখে আমাদেরকে বাইরে বসতে বলেন । সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যান ও চীপ পারসোন্যেল অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন । ১ ঘন্টা পরে আমাদের ২ জনকে আবার ঢেকে ভিতরে নিয়ে বলেন যে আমাদের ১২নং এবং ১১ নং স্কেলে ২য় শেণীর গেজেটেড অফিসার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে ।
পরে রেলওয়ের অথরটি ৫০ % পোষ্টে ১২ নং এবং ১১নং পোষ্টে বাকি ৫০ % এ পোষ্টিং করে চাকুরের ৩ বছর মেয়াদ পরে বাকিদের ও ১১নং স্কেল দেয়া হয় । এর পর প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান বিশ্বাস সবাইকে ১৯৯৩ সালে ১১নং স্কেলে নিতে এবং নতুনদের সরাসরি ১১নং স্কেলে নিয়োগের বিধান রেখে ১০নং স্কেলকে ৩ বছরের পরে সিলেকশন গ্রেড পোষ্ট ঘোষণা করে ডিপ্লোমা বা এসোশিয়েট ইন্জীনিয়ারদের ডিগ্রী ইন্জীনিয়ারদের এক স্কেল নিচে স্থাপন করে দীর্ঘ ১৯৬৮ সালের পর থেকে চলা ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়ারদের আন্দোলনের সমাপ্তি করেছিলেন ।
কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাশীল সরকার গত পে কমিশনে আবার ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়ারদের এর চাকরীর এন্ট্রিস্কেল ডিগ্রী ইন্জীনিয়ারদের ১ স্কেল নিচ থেকে ২ স্কেল নিচে নামিয়ে স্থাপন করেন এবং তাদেরকে আবার আন্দোলনের পথে ঠেলে দিয়েছেন । যদিও ভোটারের সংখ্যা ডিপ্লোমা ইন্জীনিয়ারদের অধিক , ডিগ্রী ইন্জীনিয়ারদের থেকে । এই পর্বের সমাপ্তি । ( এই লেখায় যে তারিখের উল্লেখকরা হয়েছে বা যে পে স্কেলের উল্লেখ করা হয়েছে তার কিছু হেরফের হতে পারে কারণ এটি আমার স্মৃতি থেকে কোনো লিখিত তথ্য ছাড়াই লিখেছি , ঐ সব অনিচ্ছাকৃত ভূলের জন্যে আমি দুঃখিত )
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন