ইতিহাস ও সংস্কৃতি হচ্ছে কোনো জাতি বা রাষ্ট্রের বাস্তবতার বিজ্ঞান



                                 ইতিহাস ও সংস্কৃতি  হচ্ছে কোনো জাতি বা রাষ্ট্রের                                                                 বাস্তবতার বিজ্ঞান :         

             পণ্ডিত  ব্যক্তিরা বলেন যে,  ইতিহাস হচ্ছে বাস্তবতার বিজ্ঞান  । এই  বাস্তব  বিজ্ঞান সরাসরি মানুষের ওপর  এবং  রাষ্ট্র ও মানব সভ্যতার ওপর  প্রতিক্রিয়া বিস্তার করে থাকে । যা মানুষকে এবং তার   চেতনাকে   গভীরভাবে সরাসরি  নাড়া দেয়  ।  তখন মানুষ সমাজকে বাধ্য করে ,  সমাজের প্রচলিত  চেতনার দিকে তাকে মনোনিবেশ করতে সূযোগ সৃষ্টি  করে  দিতে  এবং তখন সমাজ ও এই কাজের পরিবেশ সৃষ্টির সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে ।

          এটা  একমাত্র বিজ্ঞান যা মানুষকে সঠিক পথে চলাফেরা করতে বাধ্য করে  মানুষের সমগ্র উপলব্ধি ও জাগতিক  বোধকে  সঙ্গে নিয়ে। তাই  ইতিহাসের ছত্রছায়ায় সমাজের মানুষ  শুধু অতীতকেই বুঝে না ৷ মানুষ তখন  সাধারণভাবে সব ঘটনার দিকে ফিরে তাকতে  বাধ্য হয় ৷ এই জন্যেই  ইতিহাস মানুষের সমাজ ও সভ্যতার  বর্তমানকেও  ইতিহাসের  অন্তর্ভুক্ত করে নেয়  

          আর মানুষ ও তার সময়কার কৃষ্টি ও  সংস্কৃতি হচ্ছে-  মানুষ সমাজের সে সময়ের  ইতিহাস, সাহিত্য, ভূগোল  সহ  সব সামাজিক  উপাদান  সম্বন্ধে সচেতন হয়ে উঠা ।  সংস্কৃতি  থেকে জন্মনেয়া  বা সংস্কৃতি থেকে উত্থিত ধর্মবোধ কিংবা ধর্মীবিশ্বাসের  সংস্কৃতি হচ্ছে আধুনিকতা বিষয়ের সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টির পটভূমির ক্ষেত্র তৈরি করা ৷

          আধুনিতা বা উত্তর-আধুনিকতা যেমন একটা সমাজের বা রাষ্ট্রের জন্যে শেষ কথা হতে পারে   না ৷ তেমনি রাষ্ট্রক্ষমতা বা যে কোনো সভ্য সমাজের দিক থেকে হউক বা   যুক্তির  দিক থেকে হউক না  কেন  তা  নির্দিষ্ট  মানুষের   ধর্মবোধ বা ধর্মবোধের একটি নির্দৃষ্ট বিশ্বাস কোনো জাতির মানুষ ও তার রাষ্ট্রের ওপর চাপিয়ে দেয়া যায় না ৷ তাই  একটি সমাজের বা রাষ্ট্রের ওপর একটি নির্দষ্ট  ধর্মবোধ  চাপিয়ে দেয়াকে কখনই সে সমাজের ইতিহাস ও সংস্কৃতি  মেনে নেয় না , মেনে নিতে পারে না ৷

        এটা একটা সাময়িক ব্যবস্থা হতে পারে যা একসময়ে অনেক জান-মাল ধ্বংসের পর সঠিক ইতিহাস ও সংস্কৃতির পূনঃস্থাপনের মধ্যে দিয়ে এই ব্যবস্থার সমাপ্তি বা মৃত্যু ঘটে ৷ এটাই ইতিহাসের পূর্বনির্ধারিত একমাত্র পথ  ৷ যারা এর ব্যতিক্রমের দিকে অগ্রসর হয় তারা সে জাতি বা রাষ্ট্রের ধ্বংস  ডেকে  আনু শুধু ৷ মধ্যপ্রাচ্যের দেড়হাজার বছর পূর্বের এবং বর্তমান ইতিহাস এর বাস্তব প্রমাণ নয় কী ! ধর্মবিশ্বাস মধ্যপ্রাচ্যের  ইতিহাস ও তাদের পূর্বের  সংস্কৃতি ব্যহত করে ঠিকে থাকতে ব্যর্থ হয়েছে ৷ তাই কিছুদিন  পরপর শাসকদেরকে  ধর্মিবশ্বাসের পুরাতন  ধারা পরিবর্তন করে নতুন ধারা সংযোজনে সদা সথেষ্ট থাকতে  হয় ৷ 








মন্তব্যসমূহ