ধর্মান্ধতার স্বৈরাচার না রাষ্ট্রীয় স্বৈরাচারে পতিত হয় গেছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনকারী বাংলাদেশ ?
ধর্মান্ধতার স্বৈরাচার
বাংলাদেশের রাজনীতি ক্রোধ তৈরি করতে পেরেছে
কিন্তু স্বাধীন সমাজব্যবস্থা তৈরি করতে পারেনি। তাই এই ক্রোধ মানুষ বিশেষ করে রাজনৈতিকদের ক্ষমতার দিকে দৌড়েতে সাহায্য করছে আর ক্ষমতা হয়ে উঠেছে মানুষকে ক্ষুদ্র আর হেয় প্রতিপন্ন করার একটি কৌশল। রাজনীতির ক্ষেত্রে
দাপিয়ে বেড়িয়েছে
সমাজের ও রাষ্ট্রের ক্ষুদ্র মানুষরা ৷ অন্যদিকে এই ক্ষুদ্র মানুষরা
ফের তৈরি করেছে
সমাজে ও
রাষ্ট্রে আরও ক্ষুদ্র মানুষদের। গান্ধীজি থেকে ঢোঁরাই তৈরি হয়েছেন । ঢোঁ
আলো ছড়িয়েছেন আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঢোঁরাইদের ভেতর। একেই তো বলে আলো দিয়ে আলো জ্বালা। শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হতে পেরেছেন ক্ষুদ্র
মানুষদের ভেতর স্বাধীনতার আলো জ্বেলে দিয়ে।
১৯৭৫ সালের পরের পাকিস্তান পন্থি রাজনৈতিকরা এবং সেনা শাসকরা বলে বেড়িয়েছেন যে , রাজনীতিতে টাকার
অভাব হবে
না । এই এক ঘোষণার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের রাজনীতিতে টাকার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। রাজনীতিতে টাকার অনুপ্রবেশের অর্থ সমাজে ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটা । রাষ্ট্র পরিচালনায় দুর্নীতিকে যত শক্তিশালী করা হয়েছে এর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লাদিয়ে রাজনীতির আগের আদর্শও উধা হয়ে গেছে ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে টাকার খেলা শক্তিশালী করেছে রাষ্ট্রের
নির্যাতনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষমতাকে এবং এই অন্যায় পদক্ষেপ রাষ্ট্রকে নিয়ে গেছে রাষ্ট্রীয় অন্যায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার দিকে ও সশস্ত্রবাহিনী এর আমলাতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে গেছে রাষ্ট্রীয়
স্বৈরাচারের দিকে। তখন রাজনীতিতে একদিকে টাকার খেলা
শুরু করা
হয়েছে এবং অন্যদিকে সামরিক ও অসামরিক আমতান্ত্রিক সশস্ত্র শক্তির স্বৈরাচার প্রবল করা হয়েছে ও রাষ্ট্র কর্তৃত্বকে জবাবদিহিমূলক সংস্কৃতির উর্ধে পৌঁছে দেয়া হয়েছে ৷ এইভাবে রাজনীতিকে বিকিকিনির
বিষয়ে
পরিণাত করা হয়েছে ৷ এর
অনিবার্য ফল হিসেবে মানুষের স্বরূপও বিকিকিনির পর্যায়ের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়েছে ৷ এভাবে মানুষের
স্বরূপের মধ্যে তখনকার পাকিস্তান পন্থি ও বালাদেশের মুক্তি যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী রাজনৈতিক ও সেনা শাসকরা জনগণের মেজরিটি অংশের মনে ঢুকিয়ে দিয়েছেন অজ্ঞতা , মানসিক অলসতা, কুসংস্কার, ফ্যান্টাসি ইত্যাদি ৷ এবং রাজনীতি থেকে ঝেটিয়ে বিদায় দিয়েছেন রাজনৈতিক এথিকস এবং নৈতিকতা ৷ আর সাদরে গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রের অযৌক্তিক এবং নির্যাতনমূলক আইনী ব্যবস্থাকে । দেশ থেকে বিদায় করেছেন অর্থনৈতিক পলিসি ও যুক্তির শাসন , অন্যদিকে শক্তিশালী করেছেন রাজনৈতিক ও নৈতিক ইনজাস্টিস এবং রাজনৈতিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ধর্মজ
সন্ত্রাস । যার
ধাবাহিকতায়
বাংলাদেশের
রাজনীতিতে
ধর্মীয় সন্ত্রাস বর্তমানে প্রবল আকার ধারণ করেছে ৷
ইহা ছাড়াও তখনকার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের রাজনৈতিক ও সেনাশাসক এবং আমলারা বাংলাদেশের মানুষকে ইতিহাসের আশ্রয় থেকে ও নিরাপত্তা থেকে বের করে এনে তাদের অধিনে নিতে ও সমর্থ হয়েছেন ৷ এই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ধারার দ্বীজাতিতত্ত্বের ইতিহাসের কাছে টেনে এনেছেন এবং এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে কাজে লাগানো হয়েছে সামরিকবাহিনীকে ৷ জন্ম দেয়া হয়েছে পাকিস্তানী ভাব ধারার একটি রাজনৈতিক দলের ৷ আর সামরিক বাহিনীর তত্ত্বা বধানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটির এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশিদার করা হয়েছে বাংলাদেশে অবস্থানকরা সাময়প্রদায়িক শক্তি পাকিস্তানী জামায়াতে ইসলামীকে এবং সশস্ত্র শক্তির এবং আমলাতন্ত্রের একাংশকে।
এখান থেকেই শুরু হয়েছে পাকিস্তানী দ্বীজাতিতত্ত্বের ও সাম্প্রদায়িকতার ধারার বিএনপির
রাজনীতিচর্চা
ও ইতিহাসচর্চা এবং
রাষ্ট্রচর্চা। বিএনপির
রাজনীতিচর্চার মধ্যে তাই কোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নেই ৷ তবে ইতিহাসচর্চার মধ্যে কদর্য সাম্প্রদায়িকতা আছে
এবং রাষ্ট্রচর্চার মধ্যে ক্ষমতার জবরদস্তি দখল করার প্রক্রিয়ার উপস্থিতি আছে।
বিএনপির বর্তমান রাজনীতি এই তিনটি ধারার মধ্যে সংযুক্ত হয়ে পড়েছে ৷ যা প্রথম বিশ্লেষণ
থেকে শেষ বিশ্লেষণ পর্যন্ত শুধু ক্ষমতা দখরের বিভিন্ন প্রক্রিয়া মাত্র । রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্য ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্র
জিয়াউর রহমানের চরিত্র নষ্ট করেছে, তেমনি বর্তমানে তাঁর স্ত্রীর চরিত্রও ভ্রষ্ট
হয়েছে। অনেকে বলেন এ জন্য জিয়াউর রহমান
মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ করেননি এবং একই কারণে খালেদা জিয়া
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের ক্যান্টনমেন্টে জীবনযাপন করতে দ্বিধা করেননি।
এ দুটি তিক্ত তথ্যের
বিশ্লেষণের ওপর নির্ভর করছে একদিকে জিয়াউর রহমানের চরিত্র, অন্যদিকে খালেদা জিয়ার চরিত্র। চরিত্রহীনতার কারণে তাঁদের প্রণীত জাতীয়তাবাদের মধ্যে একটা মিথ্যা
ঘণ্টা অনবরত বাজতে থাকে। কী তাঁদের বক্তব্য, কী তাঁরা বলতে চান, কোথায় তাঁদের গন্তব্য
: কোনকিছু
এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁরা ধর্মপরায়ণ নন, কিন্তু ক্ষমতার স্বার্থে ধর্ম ব্যবহার করেছেন। নিজেদের রাজনীতির নিরাপত্তার কারণে ধর্ম নিয়ে
খেলেছেন।
তাই জামায়াতে ইসলামের রাজনীতি এভাবে বিএনপির রাজনীতি হয়ে উঠেছে। নিজেদের স্বার্থে জামায়াতের রাজনীতি বিএনপি একদিকে রক্ষা করেছে , অন্যদিকে শক্তিশালী করেছে। জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া জামায়াতকে রক্ষা করার রাজনীতি করেছে দীর্ঘ দীর্ঘদিন ধরে। জামায়াতকে রক্ষা করার অর্থ নিজেদের স্বার্থরক্ষা করা। তারা জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী কখনই স্বীকার করেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে জামায়াতের ভূমিকা মেনে নিয়েছে তারা এবং বাংলাদেশে ধর্মজ রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বীকার করে নিয়েই তাদের রাজনীতি সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এখন । এই স্বীকারের অর্থ এবং ব্যবহারের অর্থ একদিকে পাকিস্তানের জল্লাদি ভূমিকার প্রয়োজন মেনে নেয়া , অন্যদিকে নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যে অপরাধ এই সত্য ইতিহাস থেকে উধাও করে দেয়া। এই কারণে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্বন্ধে টালবাহানা করেছে এবং বিচার আরম্ভ হলে তারা সে বিচারও মানতে চাচ্ছে না ৷ ন্যুরেমবার্গ বিচার সম্বন্ধে জার্মানদের কুণ্ঠা ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশে জামায়াতী এবং বিএনপির যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির কুণ্ঠা আছে। এখানেই নিহিত খালেদা জিয়ার চরিত্র ও ইতিহাসবোধ, এখানেই নিহিত বিএনপির চরিত্র ও ইতিহাসবোধ। জিয়াউর রহমানের প্রেতাত্মা এভাবেই শক্তিশালী হয়েছে বিএমপির রাজনীতিতে ৷
তাই জামায়াতে ইসলামের রাজনীতি এভাবে বিএনপির রাজনীতি হয়ে উঠেছে। নিজেদের স্বার্থে জামায়াতের রাজনীতি বিএনপি একদিকে রক্ষা করেছে , অন্যদিকে শক্তিশালী করেছে। জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া জামায়াতকে রক্ষা করার রাজনীতি করেছে দীর্ঘ দীর্ঘদিন ধরে। জামায়াতকে রক্ষা করার অর্থ নিজেদের স্বার্থরক্ষা করা। তারা জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী কখনই স্বীকার করেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে জামায়াতের ভূমিকা মেনে নিয়েছে তারা এবং বাংলাদেশে ধর্মজ রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বীকার করে নিয়েই তাদের রাজনীতি সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এখন । এই স্বীকারের অর্থ এবং ব্যবহারের অর্থ একদিকে পাকিস্তানের জল্লাদি ভূমিকার প্রয়োজন মেনে নেয়া , অন্যদিকে নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যে অপরাধ এই সত্য ইতিহাস থেকে উধাও করে দেয়া। এই কারণে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্বন্ধে টালবাহানা করেছে এবং বিচার আরম্ভ হলে তারা সে বিচারও মানতে চাচ্ছে না ৷ ন্যুরেমবার্গ বিচার সম্বন্ধে জার্মানদের কুণ্ঠা ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশে জামায়াতী এবং বিএনপির যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির কুণ্ঠা আছে। এখানেই নিহিত খালেদা জিয়ার চরিত্র ও ইতিহাসবোধ, এখানেই নিহিত বিএনপির চরিত্র ও ইতিহাসবোধ। জিয়াউর রহমানের প্রেতাত্মা এভাবেই শক্তিশালী হয়েছে বিএমপির রাজনীতিতে ৷
৷
বাংলাদেশে দুই উৎস থেকে ভায়োলেন্স এবং টেরোরিজম শক্তিশালী হয়েছে। একটি হচ্ছে টোটালিটারিয়ান ধর্মজ ঐতিহ্য। অপরটি হচ্ছে অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তগত করার সশস্ত্র ঐতিহ্য । দুই ঐতিহ্যই গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি বৈরী , পরিবর্তীতে বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে এতে যুক্ত করা হয়েছে তাদের ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে ।
বাংলাদেশে দুই উৎস থেকে ভায়োলেন্স এবং টেরোরিজম শক্তিশালী হয়েছে। একটি হচ্ছে টোটালিটারিয়ান ধর্মজ ঐতিহ্য। অপরটি হচ্ছে অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তগত করার সশস্ত্র ঐতিহ্য । দুই ঐতিহ্যই গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি বৈরী , পরিবর্তীতে বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে এতে যুক্ত করা হয়েছে তাদের ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে ।
টেরোরিজম ও
ভায়োলেন্সের পেছনে ধর্মজ মতাদর্শের মদদ এবং টেরোরিজম ও ভায়োলেন্সের পেছনে
অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তগত করার সশস্ত্র মতাদর্শের মদদ :
টেরোরিজম ও ভায়োলেন্সের বিপদ থেকে দেশকে মুক্ত করেনি। জামায়াতে ইসলামী প্রথম ঐতিহ্য ইনহেরিট করেছে। বিএনপি দ্বিতীয় ঐতিহ্য ইনহেরিট করেছে। এই দুই ঐতিহ্য কি পরস্পরবিরোধী ? না । ভায়োলেন্স
এবং টেরোরিজমের সম্পর্ক গণতন্ত্রের মধ্যকার সামাজিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে রেখেছে। জামায়াত প্রথম থেকেই সেক্যুলার বাংলাদেশকে
ধ্বংস করার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই লক্ষে
ব্যবহার করেছে তার অস্ত্র ভায়োলেন্স
ও টেরোরিজমকে । বিএনপি প্রথম থেকেই জিয়াউর রহমানকে শ্রেষ্ঠ
করার মাধ্যম হিসেবে অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তগত করার সশস্ত্র
মতাদর্শকে শক্তিশালী করেছে।
ক্ষমতা দখল করার
অস্ত্র : ভায়োলেন্স ও টেরোরিজম, জিয়াউর রহমানের
ক্ষেত্রে ক্যুর পর ক্যু এর জন্ম দিয়েছে । এভাবেই রাজনীতির ভাবনা এবং ভায়োলেন্সের ভাবনা
পরস্পর প্রবিষ্ট হয়েছে। (সেনা শাসন
গণতান্ত্রিক শাসনের চেয়ে বাংলাদেশে দীর্ঘকালীন হওয়ার দরুন বাংলাদেশের পক্ষে
লিবারেল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হওয়া দুরূহ হয়ে ওঠে)। টেরোরিজম এবং ভায়োলেন্স যেমন ব্যক্তির
ক্ষেত্রে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে, তেমনি যুদ্ধের সময় ও
যুদ্ধপরবর্তী সময় জামায়াতে ইসলামী প্রতিটি বাংলা ভাষাভাষী ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভয় ও
নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে। এ
কথা জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে সত্য, অসংখ্য ক্যু সমাজে ও সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি
করেছে। যুদ্ধের সময় জামায়াতে
ইসলামীর এথনিক ক্লিনসিং এবং হত্যাকান্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সেনাবাহিনী
ক্লিনসিং ও হত্যাকান্ডের মিল পাওয়া যায়। দু’ক্ষেত্রে এথনিক ক্লিনসিং, সেনাবাহিনী ক্লিনসিং ও হত্যাকান্ডের কোন বৈধতা নেই। তার দরুন বৈধতাহীন এথনিক ক্লিনসিং ও সেনাবাহিনী
ক্লিনসিং এবং হত্যাকান্ড - ভায়োলেন্স ও
টেরোরিজমের
একটি স্পষ্ট উদাহরণ। টেরোরিজম
হচ্ছে ভায়োলেন্সের আইনবহির্ভূত ও নৈতিকতাহীন ফর্ম। এই ফর্মকে আদর্শ মনে করে রাজনীতির ক্ষেত্রে
অগ্রসর হওয়ার অর্থ রাজনৈতিক কমিউনিটিকে ধ্বংস করে ফেলা । সে
কাজটি কি জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপি (হেফাজতে ইসলামের সহযোগে) যৌথভাবে করছে৷
এথনিক ক্লিনসিং ও সেনাবাহিনী ক্লিনসিংয়ের মধ্যে থেকে বিএনপি বলে থাকে সেনাবাহিনীতে চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা একটি অবদমিত অপরাধবোধ কাজ করছে। এই অপরাধবোধ সযত্নে রক্ষা করার কারণে তাদের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক প্রয়োজন স্বীকার করা সম্ভব হয় না। সে জন্য টেরর এবং ভায়োলেন্স, সে জন্য তাদের ক্যাডার বাহিনী টেররের ডিসকোর্সের মধ্যে বাড়তে থাকে (মুক্তবুদ্ধির মানুষজনকে হত্যা করা তার নজির)। জামায়াত নিষিদ্ধ হয় না, হেফাজত নিষিদ্ধ হয় না, বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতের আস্ফালন শেষ হয় না। মুক্তবুদ্ধির মানুষজনের হত্যা নির্বিঘ্নে চলতে থাকে। রাজনীতির মধ্যে এভাবে একটি সুররিয়ালিস্টিক বাস্তবতা তৈরি হয়। এই সুররিয়ালিস্টিক বাস্তবতা অত্যান্ত ভয়ঙ্কর।
এথনিক ক্লিনসিং ও সেনাবাহিনী ক্লিনসিংয়ের মধ্যে থেকে বিএনপি বলে থাকে সেনাবাহিনীতে চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা একটি অবদমিত অপরাধবোধ কাজ করছে। এই অপরাধবোধ সযত্নে রক্ষা করার কারণে তাদের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক প্রয়োজন স্বীকার করা সম্ভব হয় না। সে জন্য টেরর এবং ভায়োলেন্স, সে জন্য তাদের ক্যাডার বাহিনী টেররের ডিসকোর্সের মধ্যে বাড়তে থাকে (মুক্তবুদ্ধির মানুষজনকে হত্যা করা তার নজির)। জামায়াত নিষিদ্ধ হয় না, হেফাজত নিষিদ্ধ হয় না, বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতের আস্ফালন শেষ হয় না। মুক্তবুদ্ধির মানুষজনের হত্যা নির্বিঘ্নে চলতে থাকে। রাজনীতির মধ্যে এভাবে একটি সুররিয়ালিস্টিক বাস্তবতা তৈরি হয়। এই সুররিয়ালিস্টিক বাস্তবতা অত্যান্ত ভয়ঙ্কর।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় বিএনপি ও জামায়াত এবং হেফাজত মানুষ হত্যা করার
লাইসেন্স পেয়ে গেছে। রাষ্ট্র আধুনিক হতে
পারছে না ৷ রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে একটি গর্জনগাদী প্রক্রিয়া। মুক্তবুদ্ধির বদলে ধর্মান্ধরা রাষ্ট্র ও
সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্মান্ধতা
হচ্ছে সংবিধানহীন ক্ষমতা ৷ আর সংবিধান নষ্ট করার ক্ষমতার
লোভ সর্বগ্রাসী হয় । শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের রুখে দাঁড়াবার সময়
এসেছে। নয়তো ধর্মান্ধতার
স্বৈরাচারে দেশ রাষ্ট্র সমাজ ডুবে যাবে।
- ( সূত্র;- বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর এর জনক্ণঠে প্রকাশিত একটি লেখা অনুকরণ ও সংক্ষেপ করে এই লেখাটি তৈরি করা হয়েছে ৷ )
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন