বাংলাদেশের বর্তমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং সন্ত্রাসী আন্দোলনের পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করার গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রসঙ্গে :
বাংলাদেশের বর্তমান
রাজনৈতিক আন্দোলন সূচনার
প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে ;-
জিজ্ঞাসাবাদে মান্না বলেছেন, বিএনপির নেতারাই তাকে (মান্না) বলেছেন, লন্ডনে বসে সরকার উৎখাতের নীলনকশা তৈরি করেছে লন্ডনে অবস্থারত বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ আছে নিউইয়র্কে অবস্থানরত সাদেক হোসেন খোকার। লন্ডন থেকে তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশনা দেয়, সেভাবেই বিএনপির চেয়ারপার্সন তার মা বেগম খালেদা জিয়া নির্দেশ দিচ্ছেন ঢাকায়। এ কারণেই বিএনপির যত সিনিয়র নেতাই হোক না কেন দলে তাদের পরামর্শের কোন মূল্য নেই। গ্রেফতারের আগে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে আক্ষেপের সুরে এই ধরনের কথাবার্তা শুনেছেন মান্না। এ জন্য মান্নার সহযোগিতাও চেয়েছেন বিএনপির নেতারা।
মান্না জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, সরকার উৎখাতের জন্য তিনটি ফ্রন্ট লাইন খোলা রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিন ফ্রন্ট লাইনের একটি হচ্ছে, অনির্দিষ্টকালের অবরোধ-হরতাল যে সফল হবে না তারা এটা জানেন। এ জন্যই পেট্রোলবোমার সহিংসতায় দেশব্যাপী আতঙ্ক, অস্থিরতা সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
দ্বিতীয় ফ্রন্ট লাইন সম্পর্কে মান্নার কাছে বিএনপির নেতারা বলেছেন, পেট্রোলবোমার সহিংস সন্ত্রাস ও নাশকতার মধ্যে সরকার কিছুটা বেকায়দায় পড়তে পারে। তখনই বিদেশী প্রভাবশালী দেশ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করানো হবে। বাইরের প্রভাবশালী দেশসমূহের কূটনীতিক, রাজনীতিক, এনজিও, মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদ মাধ্যম দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারলে পরিস্থিতি বিএনপি-জামায়াতের অনুকূলে চলে আসতে সহায়ক হবে বলে তারা জানিয়েছেন মান্নাকে। ( সৌজন্য জনকণ্ঠ )
তৃতীয় ফ্রন্টলাইনটি সম্পর্কে মান্না বলেছেন, সেনা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে সেনা বিদ্রোহের জন্য উস্কানি দিতে হবে। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে হবে খুবই সতর্কতার সঙ্গে। সেনা বিদ্রোহের মাধ্যমে সরকারকে উৎখাত করাটা খুবই সহজ হবে। এ জন্যই খোকার সঙ্গে তার (মান্না) ফোনালাপে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে।
জিজ্ঞাসাবাদে মান্না বলেছেন, বিএনপির নেতারাই তাকে (মান্না) বলেছেন, লন্ডনে বসে সরকার উৎখাতের নীলনকশা তৈরি করেছে লন্ডনে অবস্থারত বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ আছে নিউইয়র্কে অবস্থানরত সাদেক হোসেন খোকার। লন্ডন থেকে তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশনা দেয়, সেভাবেই বিএনপির চেয়ারপার্সন তার মা বেগম খালেদা জিয়া নির্দেশ দিচ্ছেন ঢাকায়। এ কারণেই বিএনপির যত সিনিয়র নেতাই হোক না কেন দলে তাদের পরামর্শের কোন মূল্য নেই। গ্রেফতারের আগে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে আক্ষেপের সুরে এই ধরনের কথাবার্তা শুনেছেন মান্না। এ জন্য মান্নার সহযোগিতাও চেয়েছেন বিএনপির নেতারা।
মান্না জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, সরকার উৎখাতের জন্য তিনটি ফ্রন্ট লাইন খোলা রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিন ফ্রন্ট লাইনের একটি হচ্ছে, অনির্দিষ্টকালের অবরোধ-হরতাল যে সফল হবে না তারা এটা জানেন। এ জন্যই পেট্রোলবোমার সহিংসতায় দেশব্যাপী আতঙ্ক, অস্থিরতা সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
দ্বিতীয় ফ্রন্ট লাইন সম্পর্কে মান্নার কাছে বিএনপির নেতারা বলেছেন, পেট্রোলবোমার সহিংস সন্ত্রাস ও নাশকতার মধ্যে সরকার কিছুটা বেকায়দায় পড়তে পারে। তখনই বিদেশী প্রভাবশালী দেশ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করানো হবে। বাইরের প্রভাবশালী দেশসমূহের কূটনীতিক, রাজনীতিক, এনজিও, মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদ মাধ্যম দিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারলে পরিস্থিতি বিএনপি-জামায়াতের অনুকূলে চলে আসতে সহায়ক হবে বলে তারা জানিয়েছেন মান্নাকে। ( সৌজন্য জনকণ্ঠ )
তৃতীয় ফ্রন্টলাইনটি সম্পর্কে মান্না বলেছেন, সেনা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে সেনা বিদ্রোহের জন্য উস্কানি দিতে হবে। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে হবে খুবই সতর্কতার সঙ্গে। সেনা বিদ্রোহের মাধ্যমে সরকারকে উৎখাত করাটা খুবই সহজ হবে। এ জন্যই খোকার সঙ্গে তার (মান্না) ফোনালাপে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে।
বর্তমান বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসী
আন্দোলনের নীলনক্সার নাকি (!) একমাত্র উদ্দেশ্য
হচ্ছে সন্ত্রাসী আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের
চেতনা ধারনকারী বাংলাদেশকে
ধ্বংস করে এবং বাংলাদেশকে
একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে
রূপান্তরিত করা এবং পরে বর্তমান
সরকারের পতন ঘটিয়ে
একটি ধর্মীয় ও
সাম্প্রদায়িক মুসলিম রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠার পথ প্রস্তুত
করা ? এই জন্যে
নাকি (!) নিষিদ্ধ ঘোষিত দেশের
উগ্র ধর্মীয় গ্রুপগুলোকেও
এই সন্ত্রাসী আন্দোলনে
শর্তসাপেক্ষা নিয়োজিত করা হয়েছে
!!
বিশ্বস্থ
সূত্র এবং ১০
ফেব্রয়ারীর দৈনিক জনকণ্ঠ
পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে
জানা যায় যে ,
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা সহ
জামাতের বিরুদ্ধে বর্তমান
সরকার যে বিভিন্ন
পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বা
ভবিষ্যতে আরো পদক্ষেপ
গ্রহণের উদ্দেশ্যে কাজ
আরম্ভ করেছে তা
বানচাল করতেই জামাত
দীর্ঘ মেয়াদী একটি আন্দোলনের
সূচনা করেতে চেয়েছিল ৷ আর বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ
রাষ্ট্রে পরিণত করে এবং
পরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকে পতন করে ধর্মীয় ও পাকিস্তানী ভাবধারার একটি সরকার প্রতিষ্ঠার জন্যে কিভাবে একটি
আন্দোলন পরিচালনা করতে
হবে তার একটি
নীলনক্সা তৈরি করেছিল
৷ কিত্তু তা আরম্ভ
করে কার্যকারী করার
কোনো সুযোগ খুজে পাচ্ছিল
না ৷
কারণ জনমত জামাতের পক্ষে যাচ্ছিল না অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করে ও টাকা পয়সা খরচ করার পরও ৷ তবে এই লক্ষে জামায়াত মিডিয়া কর্মী ও সুশীল সমাজ বলে পরিচিত এর কিছু লোককে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল ৷ কিছু আন্তর্জাতিক লবিষ্ট ফার্মকে এই সন্ত্রাসী আন্দোলনের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করতেও জামায়াত মোটাটাকা খরচ করার সংবাদও বিভিন্ন সময়ে মিডিয়াতে বের হয়েছে ৷ তবে দেশের জনগণের মধ্যে এর কোনো প্রভাব জামায়াত তৈরি করে দারুনভাবে ব্যর্থ হয় ৷
কারণ জনমত জামাতের পক্ষে যাচ্ছিল না অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করে ও টাকা পয়সা খরচ করার পরও ৷ তবে এই লক্ষে জামায়াত মিডিয়া কর্মী ও সুশীল সমাজ বলে পরিচিত এর কিছু লোককে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল ৷ কিছু আন্তর্জাতিক লবিষ্ট ফার্মকে এই সন্ত্রাসী আন্দোলনের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করতেও জামায়াত মোটাটাকা খরচ করার সংবাদও বিভিন্ন সময়ে মিডিয়াতে বের হয়েছে ৷ তবে দেশের জনগণের মধ্যে এর কোনো প্রভাব জামায়াত তৈরি করে দারুনভাবে ব্যর্থ হয় ৷
এক পর্যায়ে জামায়াত এই সন্ত্রাসী আন্দোলনের নীলনক্সাটিকে একটি
রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তরিত
করার উদ্দেশ্যে বর্তমানে
লন্ডনে অবস্থানরত জামায়াতের
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে
একটি বিশেষ দায়িত্ব
প্রদান করে ৷
ব্যারিস্টার রাজ্জাক এই
দায়িত্ব পেয়ে লন্ডনে
অবস্থানরত জামায়াতের সদস্য
আরো দু’জন ব্যারিস্টারের
মাধ্যমে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত
বি এন পি এর সিনিয়র
ভাইস চেয়ারম্যান তারেক
রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ
স্থাপন করেন ৷ তাকে এই সন্ত্রাসী আন্দোলনে যোগ দিয়ে তা সফল করতে পারলে ভবিষ্যতে যে বি এন পি ও ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সূগম হবে তা তারেক রহমানকে বুঝাতে চেষ্টা করা আরম্ভ করে এবং এই তিন জামায়াত পন্থী ব্যারিস্টার তাদের কাজে সফল হয়েছে বলে জানা গেছে ৷
অন্যদিকে আবার জামায়াতের ব্যারিস্টার বাজ্জাক ছাড়া বাকি দু’জন ব্যারিস্টার বর্তমানে তারেক রহমানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের ও সদস্য নিযুক্ত হয়েছেন ৷ তাই ব্যারিস্টার রাজ্জাকের এ কাজটি আরম্ভ করতে কোনো অসুবিধায় পড়তে হয় নি ৷ তিন ব্যারিস্টার প্রথমে তারেক রহমানকে জামায়াতের আন্দোলনের নীলনক্সাটি হস্তান্তর করেন ৷
অন্যদিকে আবার জামায়াতের ব্যারিস্টার বাজ্জাক ছাড়া বাকি দু’জন ব্যারিস্টার বর্তমানে তারেক রহমানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের ও সদস্য নিযুক্ত হয়েছেন ৷ তাই ব্যারিস্টার রাজ্জাকের এ কাজটি আরম্ভ করতে কোনো অসুবিধায় পড়তে হয় নি ৷ তিন ব্যারিস্টার প্রথমে তারেক রহমানকে জামায়াতের আন্দোলনের নীলনক্সাটি হস্তান্তর করেন ৷
এই
নীলনক্সার আন্দোলনে তারেক
রহমানকে সংযুক্ত করতে
গত ৬ জানুয়ারীর
আগে ও পরে
কয়েক দফা বৈঠক
করেন তারা চারজন ৷ তারেক রহমান
নাকি তার এবং
বি এন পি এর ভবিষ্যত রাজনৈতিক স্বার্থে
জামাতের এই নীলনক্সার সন্ত্রাসী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন
জ্ঞাপন করেন ৷
এবং পরে এই
আন্দোলন পরিচালনা করার
দায়িত্ব তিনি নিজেই গ্রহণ
করেছেন ৷
কারণ তারেক রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নন ৷ তাই বি এন পির রাজনীতি বর্তমানে জামায়াত এবং পাকিস্তানের ধারায় এবং তাদের রাজনৈতিক স্বার্থেই পরিচালিত হচ্ছে ৷ তাদের দেশে অবস্থান কারী সমর্থকগণ তাই এই সন্ত্রাসী আন্দোলনকে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং গণতন্ত্র উদ্দারের আন্দোলন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে প্রচার চালাচ্ছেন ৷আর মিডিয়ার বিএনপি পন্থীরা এই আন্দোলনটি কে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন নাম দিয়ে এর ব্যাপক প্রচার আরম্ভ করেছেন ৷
তবে বি এন পির অনেক সিনিয়র নেতা নাকি ( !) এই আন্দোলনের ব্যাপারে অবহিত ছিলেন না বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে ৷ তাই দেশে জানুয়ারীর পূর্ব পর্যন্ত তারা একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ হঠাৎ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক সেক্টার উন্নয়নের সূচক প্রতিবেশী দেশগুলোকে অতিক্রম করে ফেলেছে এই সংবাদ প্রকাশিত হয় ৷ যা প্রতিবেশী দেশগুলোও ভাল চোখে দেখছে না বলে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে ৷ তাই পাকিস্তান বা আই এস আই আর ছাড়াও এইমুহূর্তে আরো কিছু রাষ্ট্রের সহযোগীতা পাওয়া যাবে এই নীলনক্সার আন্দোলনে তা আন্দোলনকারীরা নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের নিযোগকৃত লবিষ্টদের মাধ্যমে ৷
আর বর্তমানে তারেক রহমান ইনটারনেটের কথা বলার বিভিন্ন এপলিক্যাশনের মাধ্যমে জামায়াতের নেতাদের এবং তার নিজের দলের তৃনমূল পর্যায়ের তার বিশ্বস্থ নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশও প্রদান করছেন ৷ আর সত্যই এই সন্ত্রাসী আন্দোলনের চাবীকাঠি যে বর্তমানে তারেক রহমানের হাতে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে গতকাল আইন মন্ত্রীর একটি বক্তব্যে ৷ এই অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রী বলেছেন , তারেক রহমানের বাংলাদেশে অশুভ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে ব্রিটেন সরকার কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে ৷ এতে বুঝা যাচ্ছে উপরের উল্লেখিত ঘটনার সত্যতা অবশ্যই আছে ৷
কারণ তারেক রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নন ৷ তাই বি এন পির রাজনীতি বর্তমানে জামায়াত এবং পাকিস্তানের ধারায় এবং তাদের রাজনৈতিক স্বার্থেই পরিচালিত হচ্ছে ৷ তাদের দেশে অবস্থান কারী সমর্থকগণ তাই এই সন্ত্রাসী আন্দোলনকে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং গণতন্ত্র উদ্দারের আন্দোলন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে প্রচার চালাচ্ছেন ৷আর মিডিয়ার বিএনপি পন্থীরা এই আন্দোলনটি কে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন নাম দিয়ে এর ব্যাপক প্রচার আরম্ভ করেছেন ৷
তবে বি এন পির অনেক সিনিয়র নেতা নাকি ( !) এই আন্দোলনের ব্যাপারে অবহিত ছিলেন না বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে ৷ তাই দেশে জানুয়ারীর পূর্ব পর্যন্ত তারা একটি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ হঠাৎ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক সেক্টার উন্নয়নের সূচক প্রতিবেশী দেশগুলোকে অতিক্রম করে ফেলেছে এই সংবাদ প্রকাশিত হয় ৷ যা প্রতিবেশী দেশগুলোও ভাল চোখে দেখছে না বলে জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে ৷ তাই পাকিস্তান বা আই এস আই আর ছাড়াও এইমুহূর্তে আরো কিছু রাষ্ট্রের সহযোগীতা পাওয়া যাবে এই নীলনক্সার আন্দোলনে তা আন্দোলনকারীরা নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের নিযোগকৃত লবিষ্টদের মাধ্যমে ৷
আর বর্তমানে তারেক রহমান ইনটারনেটের কথা বলার বিভিন্ন এপলিক্যাশনের মাধ্যমে জামায়াতের নেতাদের এবং তার নিজের দলের তৃনমূল পর্যায়ের তার বিশ্বস্থ নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশও প্রদান করছেন ৷ আর সত্যই এই সন্ত্রাসী আন্দোলনের চাবীকাঠি যে বর্তমানে তারেক রহমানের হাতে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে গতকাল আইন মন্ত্রীর একটি বক্তব্যে ৷ এই অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রী বলেছেন , তারেক রহমানের বাংলাদেশে অশুভ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে ব্রিটেন সরকার কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে ৷ এতে বুঝা যাচ্ছে উপরের উল্লেখিত ঘটনার সত্যতা অবশ্যই আছে ৷
আর অন্যদিকে হঠাৎ করে
নতুন বছরের আগমনের সঙ্গে
সঙ্গে লাগাতার আন্দোলনের
সূচনার একটি প্রেক্ষাপট তৈরি হয়ে যায়
৷ এর পূর্বে অবশ্য তারেক রহমান জাতির
জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে
বিভিন্ন অসম্মানজনক মন্তব্য
প্রকাশ করে এই প্রতিপক্ষটি তৈরি করতে সক্ষম হন ৷
বুঝে
হউক বা
না বুঝে হউক সরকারের
সহযোগী একটি ছাত্র সংঘটন তারেক
রহমানের প্রস্তুত করা
ফাঁদে পা দিয়ে আন্দোলন আরম্ভ করার
ক্ষেত্র প্রস্তুন
করে দেয়ার পর
থেকে এই নীলনক্সার
আন্দোলন আরম্ভ হয়ে
গেছে ৷
তাই রাজনৈতিক ভাবে এবং জনগণের ব্যাপক অংশ গ্রহণ ছাড়া শুধু বল প্রয়োগে এই আন্দোলন দমন করা সম্বব কি না তা ভেবে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া এখন জরুরী হয়ে পড়েছে ৷
অন্যদিকে বাংলাদেশের জনগণের একাংশ মনে করেন এই আন্দোলনের সমাপ্তি ও এর সমাধান দেশের রাজনৈতিকদেরই করা উচিত !তারা বলেন এটা দেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে আমাদের বর্তমান সংকট আমাদের রাজনীতিবিদেরাই সমাধান করতে না পারায় সেগুলো এখন বিদেশিদের আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আমরা কি নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য রাস্তা খুলে দিচ্ছি? এর সঠিক উত্তর কে দেবেন জানি না। তবে আন্দোলনকারীদের কাছে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম নিশ্চয় একদিন এর জবাব চাইতে পারে ৷ তাই দেশের এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থেই দেশের রাজনৈতিকরাই আমাদের এ সমস্যার সমাধান করা উচিত।
আন্দোলনকারীরা যদি এর সমাধান করতে বিদেশিদের সুযোগ করে দেন এবং বিদেশীদের উপর এর সমাধানের দায়িত্ব দিতে চান তবে তা আমাদের দেশের জন্য বিপদের রাস্তা খুলে দেওয়াই হবে বলেই অনেকে মনে করেন ৷
এই লেখার সঙ্গে জনকণ্ঠে প্রকাশিত স্বদেশ রায়ের একটি লেখার কিছু অংশ যুক্ত করা হলো ৷
বাংলাদেশে বর্তমানে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে যে সন্ত্রাস চলছে তা আইএস, বোকো হারাম ও তালেবানের একটি সম্মিলিত রূপ।
বাংলাদেশে বিএনপির ছায়ায় বসে জামায়াত, হিযবুত তাহরীর, ব্রাদারহুড, জেএমবি দীর্ঘদিন ধরে এর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। এই ক্ষেত্রটি যে আন্তর্জাতিক ইসলামিক জঙ্গী গোষ্ঠীর পৃৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হচ্ছে তাও কিন্তু পরিষ্কার। কারণ, তারেক রহমানের আতিথেয়তায় একবার ও জামায়াতে ইসলামীর আতিথেয়তায় আরেকবার লাদেনের সেকেন্ড ইন কমান্ড জাওয়াহিরি বাংলাদেশে অবস্থান করে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছে, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর জাওয়াহিরি বাংলাদেশ-ভারত ঘিরে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর আন্দোলন শুরু করার নির্দেশ দেয়। বেগম জিয়া এখন সেই নির্দেশই পালন করছেন। তবে এ ক্ষেত্রটি একদিনে তৈরি হয়নি। এর জন্যে দীর্ঘ সময় লেগেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে আন্তর্জাতিক শক্তি বিশেষ করে পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা কিছু দেশের আর্থিক সুবিধা নিয়ে এ কাজ হচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বে থেকে নামে বেনামে একশ’র ওপর সংগঠন গড়ে এই ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। অন্যদিকে এই ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে বিশাল ভূমিকা রেখেছে তথাকথিত মাদ্রাসা শিক্ষা। ব্রিটিশ ভারতে ৯৭ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে ব্রিটিশ সরকার যে প্রতিবেদন তৈরি করেছিল সেখানে বলা হয়েছিল, গত ৯৭ বছর সেখানে জিহাদ ছাড়া অন্য কোন শিক্ষা দেয়া হয়নি।
ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাসা শিক্ষা তৎকালীন পূর্ববাংলা অর্থাৎ বর্তমানের এই বাংলাদেশকে ঠিক ওইভাবে স্পর্শ করতে পারেনি। কারণ, পূর্ববাংলার মানুষের জীবন অনেকটা সহজিয়া ও লোকাচারের ভেতর দিয়ে বেড়ে ওঠা। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে যে মাদ্রাসা শিক্ষা বাংলাদেশে ব্যাপক ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে অন্যতম শিক্ষা কিন্তু জিহাদ। তাই ছোট হোক, বড় হোক বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গীদের সন্ত্রাসের ক্ষেত্র একটি আছে। বেগম জিয়া সেই ক্ষেত্রটি কাজে লাগাচ্ছেন।
এখন প্রশ্ন, বেগম জিয়া ভোটের রাজনীতিতে ছিলেন। তিনি কেন হঠাৎ এই ইসলামিক জঙ্গী সন্ত্রাসের নেতৃত্ব গ্রহণ করলেন। কিছু বিএনপি নেতার সঙ্গে কথা বলে যা জানা যায় তা হলো, শেখ হাসিনাকে যদি পাঁচ বছর শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে দেয়া হয় তাহলে তিনি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান বদলে দেবেন। পদ্মা সেতু শেষ করে অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে যদি তিনি এগিয়ে যান তাহলে বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক অবস্থা অনেক উন্নত হয়ে যাবে। তখন মানুষ শেখ হাসিনার বিকল্প আর কিছু চিন্তা করবে না।
তাই এ মুুহূর্তে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড - স্তব্ধ করে না দিতে পারলে শেখ হাসিনাকে ঠেকানোর কোন পথ নেই। এ কারণে যে কোন মূল্যে হোক দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে হবে। তাহলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ঠেকানো যাবে। তবে তারা অর্থনীতি ধ্বংস করছে এবং গণহত্যাও চালাচ্ছে।
অন্যদিকে আরেকটি সূত্রে পাওয়া একটি তথ্য আছে এ সন্ত্রাস সম্পর্কে। লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর উর্ধতন ব্যক্তিবর্গের আলোচনাক্রমে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তাদের সিদ্ধান্ত, আইএসআই অর্থ, ট্রেনিং ও অস্ত্রসহ সার্বিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটাবে। শেখ হাসিনার পতনের জন্যে তারেক রহমানকে দুটি কাজ করতে হবে। এক. সকল প্রতিকূলতার মাঝে থেকেও তার দলকে আইএসআই-এর নির্দেশ অনুযায়ী কর্মসূচী দিতে হবে। আর হাসিনা সরকারের পতনের পর যে সরকার হবে ওই সরকারকে অবশ্যই পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন গঠন করতে বাধ্য করতে হবে।
তারেক এই দুটিতেই সম্মতি দিয়েছে। যে কারণে আইএসআই তারেক রহমানের মাধ্যমে লন্ডন থেকে একের পর এক কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছে বিএনপির নামে।
যে কর্মসূচী বিষয়ে বিএনপি নেতারাও কিছু জানেন না। কর্মসূচীগুলো যে কোন রাজনৈতিক নয়, কেবল জঙ্গী তৎপরতা চালানোর সুবিধার জন্যে তা মনে হয় গত এক মাসের বেশি সময়ে দেশের মানুষের বুঝতে বাকি নেই। আইএসআই জঙ্গী তৎপরতার সপক্ষে কর্মসূচী দিচ্ছে তার কারণও এখন স্পষ্ট, তারা চায় এই তৎপরতার ভেতর দিয়ে যেন শেখ হাসিনার সরকারের পতন এমনভাবে ঘটে যাতে যখন হাসিনার সরকারের পতন ঘটবে তখন রাষ্ট্রের সকল নিয়ন্ত্রণ ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশটাকে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় জঙ্গীরা দখল করতে পারে। অনেকটা আইএস-এর মতো। তাহলে তাদের সম্মিলিত প্রতিনিধির সঙ্গে পাকিস্তানের কনফেডারেশন করা সহজ হবে। অসমাপ্ত
পাঠকদের অবগতির জন্যে আজকে প্রকাশিত জনকণ্ঠের একটি প্রতিবেদন যুক্ত করা হলো ৷ (সৌজন্যে দৈনিক জনকণ্ঠ )
শংকর কুমার দে
তাই রাজনৈতিক ভাবে এবং জনগণের ব্যাপক অংশ গ্রহণ ছাড়া শুধু বল প্রয়োগে এই আন্দোলন দমন করা সম্বব কি না তা ভেবে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া এখন জরুরী হয়ে পড়েছে ৷
অন্যদিকে বাংলাদেশের জনগণের একাংশ মনে করেন এই আন্দোলনের সমাপ্তি ও এর সমাধান দেশের রাজনৈতিকদেরই করা উচিত !তারা বলেন এটা দেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে আমাদের বর্তমান সংকট আমাদের রাজনীতিবিদেরাই সমাধান করতে না পারায় সেগুলো এখন বিদেশিদের আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আমরা কি নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য রাস্তা খুলে দিচ্ছি? এর সঠিক উত্তর কে দেবেন জানি না। তবে আন্দোলনকারীদের কাছে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম নিশ্চয় একদিন এর জবাব চাইতে পারে ৷ তাই দেশের এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থেই দেশের রাজনৈতিকরাই আমাদের এ সমস্যার সমাধান করা উচিত।
আন্দোলনকারীরা যদি এর সমাধান করতে বিদেশিদের সুযোগ করে দেন এবং বিদেশীদের উপর এর সমাধানের দায়িত্ব দিতে চান তবে তা আমাদের দেশের জন্য বিপদের রাস্তা খুলে দেওয়াই হবে বলেই অনেকে মনে করেন ৷
এই লেখার সঙ্গে জনকণ্ঠে প্রকাশিত স্বদেশ রায়ের একটি লেখার কিছু অংশ যুক্ত করা হলো ৷
বাংলাদেশে বর্তমানে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে যে সন্ত্রাস চলছে তা আইএস, বোকো হারাম ও তালেবানের একটি সম্মিলিত রূপ।
বাংলাদেশে বিএনপির ছায়ায় বসে জামায়াত, হিযবুত তাহরীর, ব্রাদারহুড, জেএমবি দীর্ঘদিন ধরে এর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। এই ক্ষেত্রটি যে আন্তর্জাতিক ইসলামিক জঙ্গী গোষ্ঠীর পৃৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হচ্ছে তাও কিন্তু পরিষ্কার। কারণ, তারেক রহমানের আতিথেয়তায় একবার ও জামায়াতে ইসলামীর আতিথেয়তায় আরেকবার লাদেনের সেকেন্ড ইন কমান্ড জাওয়াহিরি বাংলাদেশে অবস্থান করে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছে, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর জাওয়াহিরি বাংলাদেশ-ভারত ঘিরে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর আন্দোলন শুরু করার নির্দেশ দেয়। বেগম জিয়া এখন সেই নির্দেশই পালন করছেন। তবে এ ক্ষেত্রটি একদিনে তৈরি হয়নি। এর জন্যে দীর্ঘ সময় লেগেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে আন্তর্জাতিক শক্তি বিশেষ করে পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা কিছু দেশের আর্থিক সুবিধা নিয়ে এ কাজ হচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বে থেকে নামে বেনামে একশ’র ওপর সংগঠন গড়ে এই ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। অন্যদিকে এই ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে বিশাল ভূমিকা রেখেছে তথাকথিত মাদ্রাসা শিক্ষা। ব্রিটিশ ভারতে ৯৭ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে ব্রিটিশ সরকার যে প্রতিবেদন তৈরি করেছিল সেখানে বলা হয়েছিল, গত ৯৭ বছর সেখানে জিহাদ ছাড়া অন্য কোন শিক্ষা দেয়া হয়নি।
ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাসা শিক্ষা তৎকালীন পূর্ববাংলা অর্থাৎ বর্তমানের এই বাংলাদেশকে ঠিক ওইভাবে স্পর্শ করতে পারেনি। কারণ, পূর্ববাংলার মানুষের জীবন অনেকটা সহজিয়া ও লোকাচারের ভেতর দিয়ে বেড়ে ওঠা। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে যে মাদ্রাসা শিক্ষা বাংলাদেশে ব্যাপক ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে অন্যতম শিক্ষা কিন্তু জিহাদ। তাই ছোট হোক, বড় হোক বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গীদের সন্ত্রাসের ক্ষেত্র একটি আছে। বেগম জিয়া সেই ক্ষেত্রটি কাজে লাগাচ্ছেন।
এখন প্রশ্ন, বেগম জিয়া ভোটের রাজনীতিতে ছিলেন। তিনি কেন হঠাৎ এই ইসলামিক জঙ্গী সন্ত্রাসের নেতৃত্ব গ্রহণ করলেন। কিছু বিএনপি নেতার সঙ্গে কথা বলে যা জানা যায় তা হলো, শেখ হাসিনাকে যদি পাঁচ বছর শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে দেয়া হয় তাহলে তিনি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান বদলে দেবেন। পদ্মা সেতু শেষ করে অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে যদি তিনি এগিয়ে যান তাহলে বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক অবস্থা অনেক উন্নত হয়ে যাবে। তখন মানুষ শেখ হাসিনার বিকল্প আর কিছু চিন্তা করবে না।
তাই এ মুুহূর্তে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড - স্তব্ধ করে না দিতে পারলে শেখ হাসিনাকে ঠেকানোর কোন পথ নেই। এ কারণে যে কোন মূল্যে হোক দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে হবে। তাহলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ঠেকানো যাবে। তবে তারা অর্থনীতি ধ্বংস করছে এবং গণহত্যাও চালাচ্ছে।
অন্যদিকে আরেকটি সূত্রে পাওয়া একটি তথ্য আছে এ সন্ত্রাস সম্পর্কে। লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর উর্ধতন ব্যক্তিবর্গের আলোচনাক্রমে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তাদের সিদ্ধান্ত, আইএসআই অর্থ, ট্রেনিং ও অস্ত্রসহ সার্বিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটাবে। শেখ হাসিনার পতনের জন্যে তারেক রহমানকে দুটি কাজ করতে হবে। এক. সকল প্রতিকূলতার মাঝে থেকেও তার দলকে আইএসআই-এর নির্দেশ অনুযায়ী কর্মসূচী দিতে হবে। আর হাসিনা সরকারের পতনের পর যে সরকার হবে ওই সরকারকে অবশ্যই পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন গঠন করতে বাধ্য করতে হবে।
তারেক এই দুটিতেই সম্মতি দিয়েছে। যে কারণে আইএসআই তারেক রহমানের মাধ্যমে লন্ডন থেকে একের পর এক কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছে বিএনপির নামে।
যে কর্মসূচী বিষয়ে বিএনপি নেতারাও কিছু জানেন না। কর্মসূচীগুলো যে কোন রাজনৈতিক নয়, কেবল জঙ্গী তৎপরতা চালানোর সুবিধার জন্যে তা মনে হয় গত এক মাসের বেশি সময়ে দেশের মানুষের বুঝতে বাকি নেই। আইএসআই জঙ্গী তৎপরতার সপক্ষে কর্মসূচী দিচ্ছে তার কারণও এখন স্পষ্ট, তারা চায় এই তৎপরতার ভেতর দিয়ে যেন শেখ হাসিনার সরকারের পতন এমনভাবে ঘটে যাতে যখন হাসিনার সরকারের পতন ঘটবে তখন রাষ্ট্রের সকল নিয়ন্ত্রণ ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশটাকে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় জঙ্গীরা দখল করতে পারে। অনেকটা আইএস-এর মতো। তাহলে তাদের সম্মিলিত প্রতিনিধির সঙ্গে পাকিস্তানের কনফেডারেশন করা সহজ হবে। অসমাপ্ত
পাঠকদের অবগতির জন্যে আজকে প্রকাশিত জনকণ্ঠের একটি প্রতিবেদন যুক্ত করা হলো ৷ (সৌজন্যে দৈনিক জনকণ্ঠ )
শংকর কুমার দে
পেট্রোলবোমার
চেয়েও বড় ধরনের ভয়ঙ্কর নাশকতার ছক কষা হচ্ছে লন্ডনে। এ ধরনের
নাশকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে জঙ্গীগোষ্ঠী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আনা হয়েছে
নাশকতার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিধ্বংসী বোমা। প্রস্তুত
করা হচ্ছে আত্মঘাতী (সুইসাইড স্কোয়াড) দলের সদস্য। এ ধরনের
নাশকতা হতে পারে খুবই ব্যাপক প্রাণঘাতী, সম্পদহানিকর, ব্যাপক ও
বিস্তৃত।
গোয়েন্দা
সংস্থা সূত্র জানায়, চলমান
অবরোধ-হরতালে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই আন্দোলনের
ভয়ঙ্কর নতুন ছক কষছে বিএনপি-জামায়াত জোট। বড় ধরনের শোডাউনের কথা মাথায়
রেখেছে তারা। বিএনপি-জামায়াত জোটের এ চক্রান্তের আড়ালে সংগঠিত হচ্ছে
জঙ্গীগাষ্ঠী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যে স্টাইলে খাগড়াগড়ের জঙ্গী সংগঠন জেএমবির
সঙ্গে হিযবুত তাহরীর মিলিত হয়ে হামলার চক্রান্ত করেছিল, সেই একই স্টাইলে তাদের লক্ষ্যবস্তু হবে বড় মাপের রাজনৈতিক
ব্যক্তিত্ব, স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান
ও স্থাপনা। এই ধরনের হামলা নৃশংসতার দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল
কায়েদা বা আইএসের চেয়েও বিপজ্জনক হতে পারে।
সূত্র
জানায়, দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনগুলোর সঙ্গে গোপন যোগাযোগ অব্যাহত
আছে। অবরোধ-হরতালের চলমান সহিংসতায় আরও ধ্বংসাত্মক কর্মকা- পরিচালনার
জন্য এবার ইমপ্রোভাইস এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসও (আইইডি বোমা) আনা হচ্ছে। ভারতে তৈরি
এসব আইইডি বোমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। এসব আইইডি
বোমা এনেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ের ঘটনায় পলাতক জেএমবি জঙ্গীরা। তাদের দলে
আছে আত্মঘাতী দলের সদস্যরাও। আত্মঘাতী দলে থাকছে মহিলা সদস্যও। এ ধরনের
আইইডি বোমা ব্যবহারের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ব্যাপক ও ভয়াবহ। আত্মঘাতী
দলের মহিলা ও পুরুষ সদস্যদের সুযোগ বুঝে কাজে লাগানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে
গোয়েন্দা সংস্থা।
সূত্র
জানায়, বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ-হরতালের
নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতা দিনে দিনে কমে আসতে শুরু করেছে। সহিংস
সন্ত্রাস চালিয়েও আন্দোলনের ফসল ঘরে উঠছে না তাদের। বাধ্য হয়েই
নাশকতার মাত্রা বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছে বিদেশী প্রভাবশালী মহল ও সংস্থা। এ জন্য
ভারতের জঙ্গীদের হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। দুই
জঙ্গীগোষ্ঠী মিলে অবরোধ-হরতাল, সমাবেশের
শোডাউন ইত্যাদির অন্তরালে নাশকতার কাজে মাঠে নেমে পড়ার নীলনক্সা তৈরি করেছে। সম্প্রতি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইউনিট জিজ্ঞাসাবাদে আটক জঙ্গী ক্যাডাররা এসব তথ্য জানায়। ভারত থেকে
তাদের জঙ্গীগোষ্ঠীর সহযোগীরা দেশে প্রবেশ করেছে বলে তথ্য দিয়েছে।
সূত্র মতে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ-হরতালের পেট্রোলবোমার আগুনে
পুড়িয়ে মারার মধ্যে ঘি ঢেলে দিয়েছে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় ঘোষণা। যুদ্ধাপরাধীদের
বিচারে রায়ে ফাঁসির আদেশে তারা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে। পেছন থেকে
যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীকে মদ যোগাচ্ছে বিদেশী প্রভাবশালী মহল ও সংস্থা। অবরোধ-হরতালের
নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতার কৌশলটি জঙ্গীগাষ্ঠিরই। এখন আবার এই
জঙ্গীগোষ্ঠীর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উন্নত ধরনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিধংসী বোমা
ব্যবহারের নীলনকশা করা হয়েছে।
গোয়েন্দা
সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যারিস্টার
পরিচয়ের এক যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের এক কেন্দ্রীয় নেতা যুক্তরাষ্ট্রে রহস্যজনক
ভূমিকা পালন শেষে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। লন্ডনে
অবস্থানরত অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতার নীলনকশার
ছক কষতে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে যুদ্ধাপরাধী দলের এক ব্যারিস্টার নেতা। লবিস্ট
নিয়োগের মাধ্যমে বিদেশী রাজনীতিক, আইনজীবী, মানবাধিকার
সংস্থা, সংবাদ মাধ্যম সবকিছু মিলিয়েও
সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে না পেরে এখন বড় ধরনের ভয়াবহ নাশকতার ছক কষছে তারা। লন্ডন থেকে
রিমোট-কন্ট্রোলে দেশের ভেতরে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানো হতে
পারে বলে আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা সংস্থা।
উৎসঃ জন
কণ্ঠ
টার্গেট চট্টগ্রাম বন্দর, ইস্টার্ন রিফাইনারিসহ গোটা অয়েল বেল্ট
তারিখ: ২০/০২/২০১৫
মোয়াজ্জেমুল হক/হাসান নাসির ॥
২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ ও বিক্ষিপ্ত হরতালে দেশজুড়ে নাশকতা, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা, যানবাহনে আগুন, রেললাইন বিচ্ছিন্ন করাসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমালের অব্যাহত ভয়ানক ক্ষতির মাঝে এবার টার্গেট করা হয়েছে দেশের বৃহত্তম বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর ও জ্বালানি তেলের স্থাপনাসমূহ ও দেশে জ্বালানি তেলের পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিসহ পতেঙ্গা পুরো অয়েল বেল্টকে। গোয়েন্দা রিপোর্টসহ সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এ ধরনের আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করার পর বুধবার রাত থেকেই পুরো এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পতেঙ্গা বিমানবন্দরগামী সড়ক সংলগ্ন অয়েল বেল্ট ও পুরো বন্দর এলাকায় যানবাহন চলাচলে নিরাপত্তা কার্যকর করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চলমান অবরোধে নাশকতামূলক কার্যক্রমে জড়িত থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর জামায়াত শিবিরসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের পক্ষে পুলিশের কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীর ওপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিকভাবে বুধবার রাত থেকে নিরাপত্তা জোরদারে নিয়োগ করা হয়েছে বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যদের। নাশকতার আশঙ্কায় ইস্টার্ন রিফাইনারি, জ্বালানি তেলের স্থাপনা, সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, সার কারখানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিñিদ্র নেয়া হয়েছে। বুধবার রাত থেকে প্রায় ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশ্ঙ্খৃলা রক্ষাকারী বাহিনী। স্থাপন করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট। ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলও সীমিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ কড়াকড়ি আরোপের পর সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে আপাতত স্বস্তি এসেছে। তবে বিভিন্ন ধরনের উড়ো হুমকি অব্যাহত রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এর আগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে দেশে জ্বালানি তেল মজুদের বৃহত্তম স্থাপনা পতেঙ্গার গুপ্তখাল এলাকায় অবস্থিত পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ডিপো, জ্বালানি তেলের একমাত্র পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লি. (ইআরএল), লুব অয়েল ব্ল্যান্ডিং কারখানা ইএলবিএল এবং এসএওসিএল, জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি যমুনা মবিল লিমিটেড (জেবিএল) এ নাশকতা চালানোর আশঙ্কা ব্যক্ত করে নিরাপত্তা চাওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বিপিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে পুরো অয়েল বেল্টে এ সব স্থাপনা ছাড়াও বেসরকারী মালিকানার বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থাপনাসমূহ ও সংলগ্ন বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপরই রাতের মধ্যে তা কার্যকর করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপত্তা বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেনÑ বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বন্দরের সদস্য (হারবার এ্যান্ড মেরিন) কমোডর শাহজাহান, সদস্য (ইঞ্জিনিয়ারিং) কমোডর জুলফিকার আজিজ, পুলিশের ডিসি (পোর্ট) হারুনুর রশীদ হাজারী, বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল আলমগীর কবির এবং চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইস্টার্ন রিফাইনারি, পদ্মা অয়েল কোম্পানি, যমুনা অয়েল কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), কোস্টগার্ড, চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল), কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (কাফকো) শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বৈঠকে তারা দেশে বিরাজমান বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে নিজ নিজ সংস্থায় নিরাপত্তা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়।
পুলিশের ডিসি (পোর্ট) হারুনুর রশীদ হাজারী জানান, জ্বালানি ডিপোতে নাশকতার ঘটনা ঘটানো হতে পারে এমন তথ্য থাকায় গত বুধবার বিকেল থেকেই ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো শুরু হয়। রাত থেকে সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়। প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে। বিশেষ করে সিমেন্ট ক্রসিং থেকে জ্বালানি তেলের স্থাপনার কাছ দিয়ে যাওয়া সড়কে মোটরবাইক ও অটোরিক্সা চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে বাসসহ গণপরিবহন চলাচলে বাধা নেই। পতেঙ্গা এলাকায় বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কোন যানবাহন বা কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলে তল্লাশি করা হচ্ছে। এ ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কেপিআইতে (কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন) নাশকতামূলক তৎপরতা চলতে পারে এমন একটি তথ্য ছিল গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। বিষয়টি জানানো হয় বন্দর কর্তৃপক্ষসহ ওই এলাকায় অবস্থিত সংস্থাগুলোকে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার থেকেই তৎপর হয় পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো। রাতে এতটাই কড়াকড়ি আরোপ করা হয় যে, সাধারণ মানুষের মাঝে অজানা উদ্বেগ তৈরি হয়। তবে নাশকতাকারীদের প্রশাসনের কড়া উদ্যোগে নস্যাত হয়ে গেলেও অত্যন্ত গুরুত্ব বিবেচনায় জ্বালানি স্থাপনা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলবৎ রাখা উচিত বলে অভিমত পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের।
২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ ও বিক্ষিপ্ত হরতালে দেশজুড়ে নাশকতা, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা, যানবাহনে আগুন, রেললাইন বিচ্ছিন্ন করাসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমালের অব্যাহত ভয়ানক ক্ষতির মাঝে এবার টার্গেট করা হয়েছে দেশের বৃহত্তম বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর ও জ্বালানি তেলের স্থাপনাসমূহ ও দেশে জ্বালানি তেলের পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিসহ পতেঙ্গা পুরো অয়েল বেল্টকে। গোয়েন্দা রিপোর্টসহ সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে এ ধরনের আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করার পর বুধবার রাত থেকেই পুরো এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পতেঙ্গা বিমানবন্দরগামী সড়ক সংলগ্ন অয়েল বেল্ট ও পুরো বন্দর এলাকায় যানবাহন চলাচলে নিরাপত্তা কার্যকর করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চলমান অবরোধে নাশকতামূলক কার্যক্রমে জড়িত থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর জামায়াত শিবিরসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের পক্ষে পুলিশের কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীর ওপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিকভাবে বুধবার রাত থেকে নিরাপত্তা জোরদারে নিয়োগ করা হয়েছে বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যদের। নাশকতার আশঙ্কায় ইস্টার্ন রিফাইনারি, জ্বালানি তেলের স্থাপনা, সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, সার কারখানাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিñিদ্র নেয়া হয়েছে। বুধবার রাত থেকে প্রায় ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশ্ঙ্খৃলা রক্ষাকারী বাহিনী। স্থাপন করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট। ওই এলাকায় যানবাহন চলাচলও সীমিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ কড়াকড়ি আরোপের পর সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে আপাতত স্বস্তি এসেছে। তবে বিভিন্ন ধরনের উড়ো হুমকি অব্যাহত রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এর আগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে দেশে জ্বালানি তেল মজুদের বৃহত্তম স্থাপনা পতেঙ্গার গুপ্তখাল এলাকায় অবস্থিত পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ডিপো, জ্বালানি তেলের একমাত্র পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লি. (ইআরএল), লুব অয়েল ব্ল্যান্ডিং কারখানা ইএলবিএল এবং এসএওসিএল, জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি যমুনা মবিল লিমিটেড (জেবিএল) এ নাশকতা চালানোর আশঙ্কা ব্যক্ত করে নিরাপত্তা চাওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বিপিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে পুরো অয়েল বেল্টে এ সব স্থাপনা ছাড়াও বেসরকারী মালিকানার বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থাপনাসমূহ ও সংলগ্ন বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এরপরই রাতের মধ্যে তা কার্যকর করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপত্তা বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেনÑ বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বন্দরের সদস্য (হারবার এ্যান্ড মেরিন) কমোডর শাহজাহান, সদস্য (ইঞ্জিনিয়ারিং) কমোডর জুলফিকার আজিজ, পুলিশের ডিসি (পোর্ট) হারুনুর রশীদ হাজারী, বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল আলমগীর কবির এবং চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইস্টার্ন রিফাইনারি, পদ্মা অয়েল কোম্পানি, যমুনা অয়েল কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), কোস্টগার্ড, চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল), কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (কাফকো) শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বৈঠকে তারা দেশে বিরাজমান বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে নিজ নিজ সংস্থায় নিরাপত্তা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়।
পুলিশের ডিসি (পোর্ট) হারুনুর রশীদ হাজারী জানান, জ্বালানি ডিপোতে নাশকতার ঘটনা ঘটানো হতে পারে এমন তথ্য থাকায় গত বুধবার বিকেল থেকেই ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো শুরু হয়। রাত থেকে সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়। প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে। বিশেষ করে সিমেন্ট ক্রসিং থেকে জ্বালানি তেলের স্থাপনার কাছ দিয়ে যাওয়া সড়কে মোটরবাইক ও অটোরিক্সা চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে বাসসহ গণপরিবহন চলাচলে বাধা নেই। পতেঙ্গা এলাকায় বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কোন যানবাহন বা কাউকে সন্দেহভাজন মনে হলে তল্লাশি করা হচ্ছে। এ ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কেপিআইতে (কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন) নাশকতামূলক তৎপরতা চলতে পারে এমন একটি তথ্য ছিল গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। বিষয়টি জানানো হয় বন্দর কর্তৃপক্ষসহ ওই এলাকায় অবস্থিত সংস্থাগুলোকে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার থেকেই তৎপর হয় পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো। রাতে এতটাই কড়াকড়ি আরোপ করা হয় যে, সাধারণ মানুষের মাঝে অজানা উদ্বেগ তৈরি হয়। তবে নাশকতাকারীদের প্রশাসনের কড়া উদ্যোগে নস্যাত হয়ে গেলেও অত্যন্ত গুরুত্ব বিবেচনায় জ্বালানি স্থাপনা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলবৎ রাখা উচিত বলে অভিমত পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের।
শাপলা চত্বরের সেই কৌশলে মাঠে নামতে চায় বিএনপি জোট
তারিখ: ২০/০২/২০১৫
- গোয়েন্দা রিপোর্ট
শংকর কুমার দে ॥ ‘সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল রাজপথে অবস্থান করার হেফাজতের সেই পরিকল্পনা’ নিয়ে রাজধানীতে সভা-সমাবেশের নামে শোডাউন করার পরিকল্পনা নিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত জোট। এই পরিকল্পনাতে নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার আপত্তির কারণে অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতা বন্ধ না করলে তাদের আপাতত বড় ধরনের কোন সভা-সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃপক্ষ। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার দুর্বৃত্ত চক্রকে নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারের উচ্চপর্যায় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলাম মতিঝিল শাপলা চত্বরে সন্ধ্যা পর্যন্ত সভা-সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সরকারের পতন না ঘটা পর্যন্ত অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে মতিঝিলসহ রাজধানীজুড়ে গাছ উপড়ে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালায়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাতের আঁধারে কমান্ডো স্টাইলে অভিযান চালিয়ে হেফাজতের সভা-সমাবেশ উচ্ছেদ করে রাজধানীর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনে। হেফাজতের সমাবেশ রাতের আঁধারে ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনা নিয়ে তখন কল্পিত হতাহতের চিত্র দেশ-বিদেশে প্রচার করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। এখন আবার বিএনপি-জামায়াত জোটও অনুরূপ কৌশলের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। এ ধরনের পরিকল্পনায় নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করে গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন দিয়েছে।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ’১৩ সালের হেফাজতের পরিকল্পনাটি ছিল আসলে বিএনপি-জামায়াত জোটেরই। হেফাজতের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে অর্থবল, জনবল, খাওয়া-দাওয়া, অবস্থানকালীন নাশকতাসহ সবকিছুর সংস্থান ও যোগান দিয়েছে। হেফাজতের সমাবেশ থেকে সেদিন বায়তুল মোকাররমের সামনের দোকানে পবিত্র কোরআন শরীফের দোকানে আগুন দিয়ে শত শত কোরআন শরীফ পুড়িয়ে, ভবনে আগুন দিয়ে, গাছ উপড়ে, ভাংচুর করে নাশকতার মাধ্যমে সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালায়। হেফাজতের সে সময়ের পরিকল্পনাটি যে আসলেই বিএনপি-জামায়াত জোটের পরিকল্পনা ছিল গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের উত্তরে দেয়া জবানবন্দীতে পরিষ্কার করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী। পুলিশের কাছে বাবুনগরীর দেয়া জবানবন্দীতে জানা যায়, তখনকার ১৮ দলীয় জোটের নেতৃত্বে ছিল বিএনপি-জামায়াত। এখন আবার সেই পরিকল্পনাটি নিয়েই এগোনোর চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত জোট।
সূত্র জানায়, টেস্ট কেস হিসেবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। কিন্তু কোন নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি প্রকাশ্যে। দলের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, ১৮ জায়গায় ঝটিকা মিছিল হয়েছে। বাস্তবে ঝটিকা মিছিলেরও কোন অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতা চালিয়েও টানা অবরোধ-হরতালে প্রাণসঞ্চার করতে পারেনি তারা। টানা অবরোধের সঙ্গে প্রায় ৯ দফায় হরতাল ডেকে আগুনে পুড়িয়ে মারাসহ শতাধিক মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এখন আর হত্যাযজ্ঞের অবরোধ-হরতালের পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতায় হালে পানি না পাওয়ায় চোরাগোপ্তা অবস্থা থেকে প্রকাশ্যে এসে বড় ধরনের ছক কষতে চাইছে বিএনপি-জামায়াত জোট। গত ১৪ ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভ মিছিলের টেস্ট কেসটি ব্যর্থ হওয়ার পর এখন আবার আত্মগোপনে থেকেই প্রেস রিলিজ দিয়ে সভা-সমাবেশ ডাকার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট যতদিন অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতা বন্ধ না করবে ততদিন তাদের প্রকাশ্যে কোথাও বড় ধরনের কোন সভা-সমাবেশের নামে শোডাউন করতে দেয়া হবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতায় জড়িত সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত ও তাদের অর্থদাতা, হুকুমদাতাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা ধরে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতাকারী এই চক্রকে কঠোরহস্তে দমন করা হচ্ছে। যে পর্যন্ত এই চক্রকে দমন করা শেষ না হবে সে পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অভিযান অব্যাহত রাখা অবস্থায় দিন দিনই আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সরকারের উচ্চপর্যায় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলাম মতিঝিল শাপলা চত্বরে সন্ধ্যা পর্যন্ত সভা-সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সরকারের পতন না ঘটা পর্যন্ত অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে মতিঝিলসহ রাজধানীজুড়ে গাছ উপড়ে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালায়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাতের আঁধারে কমান্ডো স্টাইলে অভিযান চালিয়ে হেফাজতের সভা-সমাবেশ উচ্ছেদ করে রাজধানীর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনে। হেফাজতের সমাবেশ রাতের আঁধারে ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনা নিয়ে তখন কল্পিত হতাহতের চিত্র দেশ-বিদেশে প্রচার করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। এখন আবার বিএনপি-জামায়াত জোটও অনুরূপ কৌশলের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। এ ধরনের পরিকল্পনায় নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করে গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন দিয়েছে।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ’১৩ সালের হেফাজতের পরিকল্পনাটি ছিল আসলে বিএনপি-জামায়াত জোটেরই। হেফাজতের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে অর্থবল, জনবল, খাওয়া-দাওয়া, অবস্থানকালীন নাশকতাসহ সবকিছুর সংস্থান ও যোগান দিয়েছে। হেফাজতের সমাবেশ থেকে সেদিন বায়তুল মোকাররমের সামনের দোকানে পবিত্র কোরআন শরীফের দোকানে আগুন দিয়ে শত শত কোরআন শরীফ পুড়িয়ে, ভবনে আগুন দিয়ে, গাছ উপড়ে, ভাংচুর করে নাশকতার মাধ্যমে সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালায়। হেফাজতের সে সময়ের পরিকল্পনাটি যে আসলেই বিএনপি-জামায়াত জোটের পরিকল্পনা ছিল গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের উত্তরে দেয়া জবানবন্দীতে পরিষ্কার করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী। পুলিশের কাছে বাবুনগরীর দেয়া জবানবন্দীতে জানা যায়, তখনকার ১৮ দলীয় জোটের নেতৃত্বে ছিল বিএনপি-জামায়াত। এখন আবার সেই পরিকল্পনাটি নিয়েই এগোনোর চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত জোট।
সূত্র জানায়, টেস্ট কেস হিসেবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। কিন্তু কোন নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি প্রকাশ্যে। দলের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, ১৮ জায়গায় ঝটিকা মিছিল হয়েছে। বাস্তবে ঝটিকা মিছিলেরও কোন অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতা চালিয়েও টানা অবরোধ-হরতালে প্রাণসঞ্চার করতে পারেনি তারা। টানা অবরোধের সঙ্গে প্রায় ৯ দফায় হরতাল ডেকে আগুনে পুড়িয়ে মারাসহ শতাধিক মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এখন আর হত্যাযজ্ঞের অবরোধ-হরতালের পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতায় হালে পানি না পাওয়ায় চোরাগোপ্তা অবস্থা থেকে প্রকাশ্যে এসে বড় ধরনের ছক কষতে চাইছে বিএনপি-জামায়াত জোট। গত ১৪ ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভ মিছিলের টেস্ট কেসটি ব্যর্থ হওয়ার পর এখন আবার আত্মগোপনে থেকেই প্রেস রিলিজ দিয়ে সভা-সমাবেশ ডাকার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এবং চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট যতদিন অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতা বন্ধ না করবে ততদিন তাদের প্রকাশ্যে কোথাও বড় ধরনের কোন সভা-সমাবেশের নামে শোডাউন করতে দেয়া হবে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতায় জড়িত সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত ও তাদের অর্থদাতা, হুকুমদাতাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকা ধরে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতাকারী এই চক্রকে কঠোরহস্তে দমন করা হচ্ছে। যে পর্যন্ত এই চক্রকে দমন করা শেষ না হবে সে পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অভিযান অব্যাহত রাখা অবস্থায় দিন দিনই আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন