প্রায়
৭০ বছর পূর্বে
সুসাহিত্যিক আবুল ফজল তখনকার তরুণ
প্রজন্মের উদ্দেশ্যে যা বলে ছিলেন
তা আজও আমাদের বর্তমান সমাজ ও রাষ্ট্র সমভাবে প্রযোজ্য
!
( সাহিত্যিক আবুল
ফজল তরুণ আন্দোলনের
গতি শিরোনামে যে
প্রবন্ধটি রচনা করেছিলেন , এই
লেখাটি সেই লেখার
একটি সংক্ষিপ্ত ও পরিবর্তীত রূপ )
মানব সন্তান
সহ সৃষ্টির প্রত্যেক
জিনিষের জীবনের সৃষ্টি
হয়েছে তার নিজের
কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই নিজকে
বাঁচিয়ে রাখতে ৷
ইহাই বোধহয় জীবজগতের জীবনকে প্রাকূতিক
পরিবেশে বেঁচে থাকার
একমাত্র উপায় ৷
কিত্তু যদি
কোনো স্থানে কোনো
কারণে এমনকি অকারণে
ও জীবজগতের প্রাণীর
বিশেষকরে মানুষের সৃজনশীল
সৃষ্টিকর্মকে বন্ধ করে
দেয়া হয় , তবে
সে স্থানে বা
সে সমাজে মৃত্যুকে
আলিঙ্গণ করাকে যেন
তরান্তিত করা হচ্ছে
বলা যায় ৷
মৃত্যু ব্যক্তির জীবনে
যেমন সত্য সে
ভাবে জাতির জীবনেও
ব্যাপকভাবে সত্য ৷
তাই একসসময়
নব নব সৃষ্টির
সাধনায় মানুয়ের মনোজগতে
এবং চিন্তার রাজ্যে
গ্রীক দর্শন যেমন
প্রভূত্ব করেছে তেমনি
প্রাচীন ভারতের আর্য্যসভ্যতা
মানুয়ের মনোরাজ্যে জ্ঞান
ও দর্শন পরিবেশন
করেছে ৷ অন্যদিকে
আরব ও পারস্যের
সংমিশ্রণে যে অপূর্ব
জ্ঞান ও সভ্যতার
জন্ম দিয়েছিলো তা বহু শতাব্দী
পর্যন্ত মানুষের চিন্তা চেতনাকে
নিয়ন্ত্রন করেছে ৷
কিত্তু মানুয়ের
এই নবসৃষ্টির দীপ
শিখাকে যারা বা
যে সমাজ নিত্যকালের
জন্যে ক্রিয়াশীল বা
সজাগ রাখতে ব্যর্থ
হয়েছে তারা বা
সে সমাজের সকলেরই একসময়ে
মৃত্যু অনিবার্য হয়ে উঠেছে , দেহে
না হলে মনোজগতে
তো বটেই ৷
শুধু বর্তমানে নয় , এমনকি
আজ থেকে শতবছর
আগ থেকেই ইউরোপ
ও আমেরিকা বিশ্বের
মানবজাতির মনোজগতের প্রভু
হয়ে বসে আছে
৷ ইহা তাদের
অস্ত্র বা গায়ের জোরো নয় ৷ ইহা
সম্ভব হয়েছে তাদের
নিত্য নতুন সৃষ্টিশীল
উন্মেষশালিনী প্রতিভার জোরে আর
নিত্যনতুন সৃষ্টির কারণে এবং জ্ঞান বিজ্ঞানের আবিস্কারের কল্যাণে ৷
বর্তমানে ৩য় বিশ্ব ও জ্ঞান বিজ্ঞানে কিছুটা
এগিয়ে যেতে পেরেছে বটে , তবে ঐ পুরাতন অন্ধ বিশ্বাস
থেকে যারা বেরিয়ে আসতে সক্ষম
হয়েছে তারাই ৷ যারা একসময়ে শতবাধা
বিপত্তি উপেক্ষা করে এই লক্ষ্যে
মনোনিবেশ করেছিল তরাই
কিছুটা আলোর সন্ধান
পেয়েছে ৷ তবে এখনও
জীবনের গতিপথ নির্দ্দেশের
জন্যে আমাদেরকে উন্নত
পশ্চিমা বিশ্বের দিকে
তাকিয়ে থাকতে হয় ৷ তার
অন্যতম কারণ হচ্ছে
মানুষের মনোরাজ্যে এবং
চিন্তার জগতে নতুন
কিছু সৃষ্টির জন্যে
যে মুক্তচিন্তা , অপরিসীম সাধনা
এবং যে বেদনা
ও কৃচ্ছতা সাধনের
প্রয়োজন হয় তা
করার শক্তি যেন
ক্রমান্নয়ে আমাদের থেকে
হারিয়ে গেছে ৷
তাই বোধহয় আমরা
দেহমনে দুর্বল হয়ে বেদনা সহ্য করে কাঁটা
দেয়া পথে চলতে
অপরাগ হয়ে পড়েছি
৷ অবশ্য বর্তমানে এ
সব কাজে অংশ
নেয়াদের জীবন হানীর
আশংকা ও
দেখা দিয়েছে ৷
মানুষের জীবনে
যে কয়টি জিনিষ
নতুন সৃষ্টির জন্যে
অপরিহার্য্য সেই জিনিষগুলো হচ্ছে কৌতহল
ও জানার আকাঙ্খা
, বিচার বিশ্লেষণ
, এবং জ্ঞান বিজ্ঞানের
আলোকে প্রচুর গবেষণামূলক
কাজকর্মে মনোনিবেশ করা মুক্ত ও স্বাধীন মন নিয়ে ইত্যাদি ৷ এবং সর্বোপরি কঠোর জ্ঞান ও বিজ্ঞানের সাধনা যার উপর ভিত্তি
করে পশ্চিমারা বিশ্বজয়ী
হয়েছে ৷ তাই আমরা
দেখতে পাই পশ্চিমেরা মুক্ত চিন্তার উপর ভিত্তি করে এই জিনিষগুলোর অনুশীলনের উপর
নির্ভর করেছে বলেই আজকে পশ্চিমের
সাহিত্য ,শিল্প , সঙ্গীত , বিজ্ঞান ,
দর্শন সহ নতুন
নতুন বিজ্ঞানিক আবিস্কারগুলো করতে সমর্থ হয়ে উঠেছে ৷ পশ্চিমাদের
জন্যেই আজ আমরা নিমিশেই
সমস্ত বিশ্বের খবর নিতে পারছি , যে কোনো
স্থান থেকে কথা
বলা যাচ্ছে , বিনা
মূল্যে এসবইতো সম্ভব হয়েছে পশ্চিমের
এবং বিজ্ঞানের অগ্রগতির
কল্যাণে ৷
ইসলামের আবির্ভাব
থেকে এই চৌদ্দশত
বছরে মানুষের জীবনে
অনেক উন্নতি হয়েছে
৷ তাই অতীতের
সঙ্গে আধুনিক জীবন
যাত্রার বিরুদ্ধতা অনিবার্য্য ৷
আমাদের পৃর্বের প্রজন্মের
সদস্যরা যে পথ
ঘোড়ায় বা উঠে
চড়ে দু’দিনে অতিক্রম
করেছেন আমরা আজ
যানবাহনে কয়েক ঘণ্টায় আর এরোপ্লেনে আরো
অনেক কম সময়ে
অতিক্রম করে থাকি ৷ পূর্বে
পায়ে হেঁটে , ঘোড়ায় চড়ে
বা বৃদ্ধ বয়েসের উঠে
চড়ে হজে যাওয়ার
বিধান ছিল ৷
সমুদ্র পথে জাহাজে
যাত্রাকে প্রথমে অনেকে
মেনে নিতে চান
নি ৷ মাইক্রফোনে
আজান দিতেও অনেকে
বাধা দেওয়ার চেষ্টা
করেছেন ৷ এই
সব নতুন নিয়ম
মানে চললে হয়ত
পূর্ব পূরুষের নিয়ম
বা ট্রাডিশন ভঙ্গ
করা হয় , কিত্তু
অপরাধ করা হয় না ৷ একথা আজকাল সব বিশ্বাসীরাই
মানেন ৷ তাই
এসব কর্মে এখন
আর বাধা দেয়া
হয় না ৷
আজকাল মনোবিজ্ঞানীরা
বলেন জীবন্ত ও
প্রাণবান মানুষের মন ও মস্তিষ্ক
সবসময় অনুসন্ধিৎসু থাকে ৷
তাই কোনো একটি
কিছুতে মানুষের তৃপ্তি
হয় না ৷
ফলে মানুয় সব
সময়ে সুযোগ খুঁজে বেড়ায় জীবনের এবং
প্রকৃতির সত্য ও
পরিচয় অনুসন্ধানে ৷ এতে সৃষ্টিশীল
মানুষ আনন্দই উপভোগ
করে থাকে ৷ এই
অনুসন্ধিৎসাই মানুষকে সৃজনশীল
সত্যের পথে টেনে
নিয়ে যায় ৷ দার্শনিকেরা
বলেন সংশয়
বা সন্দেহই জ্ঞান
অর্জনের আসল পথ ৷ তাই তো
জার্মান দার্শনিক নিটশে বলেছেন “ If you desire peace of soul
and happiness , believe, if you want to be a disciple of truth , search”
তাই সন্দেহ
থেকেই মানুষের মনে অনুসন্ধিৎসা জাগে ৷ সৃষ্টির
পথ সূগম হয় ৷
কিত্তু বর্তমানে
মুসলমানদের ছেলেমেয়েদের মনে
জীবনের বড় অর্জন
বা বড় কিছু সম্বন্ধে সন্দেহ
জাগতে পারে না
৷ সন্দেহ না জগতে সামাজিক পরিবেশই তাকে
বাধ্য
করে ৷ ফলে তার
জ্ঞান আহরণের সদর
দরজাই বন্ধ হয়ে
যায় ৷ পণ্ডিতগণ বলেন
আল্লাহ্ এক , আমাদের পূর্ববর্ত্তিরা তা
বলে গেছেন এবং আমাদের
তা বিশ্বাস করতে
বলেছেন ৷ ধর্ম
শাস্ত্র ও বলে
আল্লাহ্ এক ৷ আমরাও অনায়াসে
তা বিশ্বাস করে
নেই ৷ এই
হচ্ছে আমাদের জ্ঞানের পরিধি ৷আমরা নিজেরা কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠতে সমর্থ হতে পারিনা সমাজের বিধি নিষেধের কারণে ৷
এরও কিত্তু
কারণ আছে ৷
কোনো মুসলমানের ছেলে
এতে সন্দেহ প্রকাশ
করলে তার কি
কোনো রক্ষা পাওয়ার
উপায় সমাজে এখন আর অবশিষ্ট আছে ? এ
কথা কেউই
এখন আর মানতে
চান না যে ,যে কোনো জিনিষই অনুসন্ধানের মাধ্যমে সত্যে উপনিত হতে না পারলে মানুষের চিন্তার রাজ্যের
বিস্তৃতি ঘটানো সম্ভব হয় না যা মানব
সভ্যতার জন্যে একটি
অপরিহার্য্য ও প্রয়োজনীয়
বিষয় ৷
৬০ / ৭০ বছর
পূর্বে এ দেশে
হয়তো সাতশতের বেশী
মাদ্রাসা ছিল না
৷ এখন এর
সংখ্যা নাকি সত্তর
হাজারে উন্নিত হয়েছে
৷ বছর বছর
অসংখ্য ছাত্র ও ( বর্তমানে ছাত্রীও)
পাশ করে বের
হচ্ছে ৷ কিত্তু জ্ঞানের
ক্ষেত্রে এদের কোনো
অবদান নেই ৷ এমনকি শরিয়তের বিধি
নিষেধগুলোর ও যুগউপযোগী
বা আধুনিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে
পারে না ৷ কিত্তু কেন ? এর
কারণ অনুসন্ধানে জানা
যায় মাদ্রাসাতে যে
জ্ঞান বা পাঠদান
দেয়া হয় তা
ছাত্র বা ছাত্রীর মনে
চিন্তার গোড়ায় কোনো
সন্দেহ জাগাতে পারে
না ৷ তাই তারা যখন যা পড়ে
তখন তাদের মনে
এই শিক্ষা ও
সংস্কার বদ্ধমূল এবং একমাত্র সত্যে পরিণত হয়ে যায় ৷ তাই এই সব আরবী কিতাবে
বা তাদের পাঠ্য
পুস্তকে যা লেখা
আছে তা অলঙ্ঘনীয়
সত্য হয়ে তাদের মনে শিকড় গেড়ে বসে ৷পরে তাদের মনে এর
কোনো বিষয়ে তিলমাত্র
সন্দেহের স্থান থাকে না ৷ আর যার মনে এসব
নিয়ে কোনো সন্দেহ
জাগে এবং তা যদি সে প্রকাশ করে ফলে তবে তাকে গুনাগার
হিসেবে অবিহিত করে
শাস্তি প্রদান করা হয়
৷ এমনি
করে এবং এভাবেই মাদ্রাসা শিক্ষায়
ছাত্র ও ছাত্রীদের
জ্ঞন অর্জনের উৎসকে সমূলে ধ্বংস এবং রুদ্ধ করে দেয়া হয় ৷
বিশ্লেষকদের মতে
কোরানে ও হাদিসে
শুধু সাময়িক সমস্যা
সমাধানের জন্যে বহু
সুরাতে বহু আয়াত
নাজেল হয়েছে এবং বহু হাদিসের
সৃষ্টি করতে হয়েছে
৷ কিত্তু এসব
আয়াত ও হাদিস
সব সময়ে এবং
সবদেশ ও সবকালে
যে প্রযোজ্য হবে
তা কিত্তু মূল
দলিলে স্পষ্ট কারা
হয় নি ৷ আজকাল কোরানে
উল্লেখিত অনেক শব্দের
ভূল ব্যাখ্যা নিয়ে
প্রশ্ন উঠেছে ৷
কেউ কেউ ব্যাংকে
প্রচলিত সুদ আর
ইসলামের সুদ নিয়ে
অন্য ব্যাখ্যা দেয়ার
প্রয়াস পাচ্ছেন ৷ অনেকে রীবা ও ব্যংকিং খাতের সুদকে আলাদা করে দেখেন ৷ চিত্র শিল্প কে স্রষ্টার
প্রতিকৃতি মনে করে
কিছু মানুষ পুজা
আরম্ভ করেছিল অন্ধকার
যুগে ৷
আজ এর অবসান
হয়েছে , তাই চিত্রকলাকে
ক্ষেত্রবিশেষে এখন গ্রহণযোগ্য
হয়ে গেছে যেমন সঙ্গীত চর্চাও আজকাল অনেক ক্ষেতে প্রচলিত হয়ে গেছে ৷
আসলে ইসলাম
ছিল মানুষের ধর্ম , বিবেকের ধর্ম
তাই মানুষের ন্যায়
ভিত্তিক সুবিবেচনাকে ইসলাম
কখনও অস্বীকার করেনি
৷তাই চিত্র কলা , সঙ্গীত
এবং মানুষের সৃজনশীলতাকে
ইসলাম কখনও রুদ্ধ করে
দেয়নি বা এর চর্চা করতে নিষেধ করেনি ৷ তাই
ইসলামের প্রাথমিক যুগে শিল্পকলা
, সঙ্গীত , সাহিত্যের ইত্যাদি সব সৃজনশীল বিদ্যার অগ্রযাত্রা অব্যহত
ছিল ৷
কিত্তু বর্তমানে
মুসলমানদের সৃষ্টি ও
সৃজনশীলতা বন্ধ হয়ে
গিয়েছে ৷ অনেকে বলেন
গত ৫০০ বছরে
মানব সভ্যতায় মুসলমানদের
কেনো অবদান নেই
বললেই চলে ৷
তাদের মতে শুধু
শাস্ত্রের জাবর কাটলেই
আর মুসলমানদের শক্তি
ও সুদিন ফিরে
আসবে না ৷
বুদ্ধি , বিবেচনা , ও
জ্ঞান বিজ্ঞান দিয়ে আধুনিক
জীবনের প্রয়োজন অনুসারে
শাস্ত্র ও ধর্মকে
বিচার ও বিশ্লেষণ
করতে হবে ৷ শুধু
অন্ধের মত অনুসরণের
কোনো মূল্য
বর্তমানে নেই আজ আর ৷
ইসলাম যুগধর্মকে কখনই উপেক্ষা করে নাই ৷ এখনই
নতুন প্রজনমকে যুগের
পরিবর্তনকে মেনে নিয়েই
সামনের দিকে অগ্রসর
হতে হবে ৷
উদাহরণ হিসেবে এ কথাটি
উল্লেখ করা প্রয়োজন যে , শাস্ত্রমেনে হিন্দুরা যদি
আজও সমুদ্র যাত্রাকে
অধর্ম ভেবে ঘরে
বসে থাকত আথবা
খৃষ্টান যদি আঘাতের
পরিবর্ত্তে অন্য গালখানি
পেতে দিত , তবে
হয়ত তাদের মতে তাদের বিশ্বাসের স্বর্গে গমনের পথ
সহজ হতে পারত
৷ কিত্তু এই
মাটির পৃথিবীতে তাদের
ঠিকে থাকা সম্ভব
হত কী ?
মুসলমানদেরকে ও
যদি দরকার হয় এই রকম
নির্ন্মমভাবে কিছু সামাজক
বিধি নিষেধকে এখন পরিবর্তন
করতে হবে ৷
এই সঙ্গে ধর্মীয়
রাজনীতিও ত্যাগ করতে
হবে ৷
সমাজের
উন্নতির জন্যে মুক্ত
ও সৃজনশীল চিন্তার
অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেই হবে ৷ এক্ষেত্রে তরুণ
ও নতুন প্রজন্মকে
এগিয়ে আসতে হবে
৷ পূর্বে আমাদের
সমাজে কাছু না জেনেই
যারা নায়েবে রসুল
হিসেবে পরিচিত হতে
আগ্রহী ছিলেন তারা
এখন নায়েবে আল্লাহ্
হিসেবে পরিচিত হতে
সমর্থ হয়ে গেছেন
৷ তাদের মতের
খেলাপ করলে বা
তাদের স্বার্থের বিপক্ষে
কেউ দাঁড়াতে চাইলে
তাকে তাদের অমোঘ
অস্ত্র ধর্মীয় ফতোয়ায়
কাফের বা মুরতাদ
ঘোষিত হয়ে যান
৷ তরুণ প্রজন্মকে
এই ধারাকে প্রতিরোধ
করে তাদের কাঙ্খিত
পথে চলতে শিখতে
হবে ৷ তা
না করতে পারলে
সামনের প্রতিযোগীতামূলক বিশ্বে
আমরা মাথা উচু করে চলতে
পারবনা ৷ একসময়ে
এই দেশটিও অকার্যকর
তালেবানী ও অসভ্য ও অন্ধকারাছন্ন
ঊপনিবেশিক রাষ্ট্রে পরিণত
হয়ে যাবে ৷
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন