আস্তিক ও প্রকৃতিবাদী উভয়ের মধ্যে কর্ম প্রেরণায় বা ধর্মভাবে কোন সত্যিকার পার্থক্য নাই।
স্রষ্টাকে অবিশ্বাস করে প্রকৃতিকে যৌক্তিক গুরুত্ব দেওয়াটাই নাস্তিকদের মূল বিশ্বাস। সম্পূর্ণ ভৌত এবং প্রাকৃতিক উপায়ে প্রকৃতির ব্যাখ্যায় বিশ্বাস করেন তারা। যেহেতু তারাও একটা কিছু অনুসরণ করেন, সেহেতু তাদের অবিশ্বাসী বলা যায় না। বরং আস্তিক্যবাদের বর্জনকেই নাস্তিক্যবাদ বলা যায়। নাস্তিক্যবাদ বিশ্বাস নয়, অবিশ্বাস ও যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বাসকে খণ্ডন নয় বরং বিশ্বাসের অনুপস্থিতি এখানে মুখ্য। ইংরেজি এথিজম শব্দটি ল্যাতিন এথোস থেকে এসেছে। তারাই এথোস যারা ঈশ্বর নেই বলে বিশ্বাস করে এবং ভ্রান্ত ধারণা বলে স্বীকার করে।- কাজী মোতাহার হোসেন
ধর্ম
মানুষের বিপদে আশ্রয়, শোকে সান্ত¡না এবং সম্পদেও
আত্মবিকাশের প্রধান উপায়। মানুষ দুর্বল বলে
স্বভাবতই বিপদকালে অসীম ক্ষমতাশালী কারও কাছ থেকে সাহায্যের প্রত্যাশা করে। দারুণ শোকে নিজেকে এই বলে প্রবোধ দেয় যে, হয়ত এর ভিতরে এমন কোন গূঢ় মঙ্গল উদ্দেশ্য আছে যা আমাদের ক্ষুদ্র
বুদ্ধিশক্তির অতীত। সম্পদের সময় তার মন
অন্যের দুঃখে বিগলিত হয়, এবং সেই সহানুভূতির
সূত্রে হৃদয়ের সহিত হৃদয় যুক্ত হয়ে মানুষের আত্মিক বিকাশ হয়। সুতরাং ধর্মভাব ব্যক্তির পক্ষে যেমন স্বাভাবিক
সমাজের পক্ষে তেমনি প্রয়োজনীয়।
নানা অনুষ্ঠানের ভিতর দিয়ে ধর্মভাবের মনোহারিত্ব ফুটে ওঠে। মনে যেসব ধর্মভাব স্বভাবতই উদিত হয় অনুষ্ঠানই তার কায়াস্বরূপ। প্রত্যেকের মনের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি বা ভাব অন্যের থেকে কিছু না কিছু স্বতন্ত্র। এজন্য ঠিক যে অনুষ্ঠানটি একজনের ধর্মভাবের স্বাভাবিক প্রকাশ হতে পারে, অন্যের পক্ষে সেটা আংশিক বা সম্পূর্ণ প্রাণহীন অনুকরণ মাত্র।
তবু এক একজন বিরাট মানুষের আদর্শকে
সামনে রেখে লোকে সর্বদা চেষ্টা করে যাতে তাদের স্বাভাবিক প্রবণতাগুলো ক্রমান্বয়ে
উক্ত আদর্শের খাতে প্রবাহিত হয়। এর
সুবিধা এই যে, একটা ভাল আদর্শ চোখের সামনে পাওয়া যায়।
কিন্তু অসুবিধা এই যে, যা নিজের পক্ষে স্বাভাবিক নয় তাকে স্বাভাবিক বলে বিশ্বাস করবার বা
প্রচার করবার প্রবৃত্তি জন্মে। এর
ফলে নিজের পক্ষে যা স্বাভাবিক তাকে অবহেলা করতে করতে আত্মশক্তি ও অত্মচরিত্রে
অবিশ্বাস জন্মে।
সঙ্গে সঙ্গে
আত্মনিগ্রহের আদর্শ প্রবল হয়ে জীবন সরসতার স্থলে কৃত্রিমতায় পূর্ণ হয়। যাদের আত্মপ্রত্যয় বিরাট পুরুষের আদর্শের
চাপে একেবারে নিষ্পেষিত হয়ে যায়নি,
সংসারে
তারাই জীবন্ত ও শক্তিমান লোক।
কিন্তু লোকে তাঁদের
ক্ষমা করে না। যত বড় বড় মহাপুরুষ, ধর্ম প্রচারক, নতুন বাণী প্রচার করে
গিয়েছেন, তাঁরা সকলেই তৎকালীন জনসাধারণের কাছে
অশেষ প্রকারে লাঞ্ছিত হয়েছেন।
জনসাধারণ সমস্ত নতুন ‘আইডিয়া’ বা ভাবকেই অত্যন্ত ভয় ও সন্দেহের চোখে দেখে। এটা একদিক দিয়ে মন্দ নয়। লোকের এই দ্বিধা ও সন্দেহজনিত অত্যাচারে
নূতন ভাব বা সত্যের অগ্নিপরীক্ষা হয়ে যায়। তাতে নূতন সত্যের দ্যুতি যেমন শতগুণ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, নূতন মিথ্যারও তেমনি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়।
নূতন-পুরাতনের
ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফলে সমাজে হঠাৎ কোন আকস্মিক অগ্ন্যুৎপাত না হয়ে অধিকাংশ সময়
বহনযোগ্য দ্রুততা বা মৃদুতার সহিত পরিবর্তন ঘটে।
অধিকাংশ লোকই যে পরম নির্ভরশীলতার সহিত সৃষ্টিকর্তাকে মঙ্গলময় রূপেই ভারতে চায়, এমন কি তাঁর জাজ্জ্বল্যমান নিষ্ঠুর রূপের সম্মুখীন হয়েও সংসারকে মায়াময় মনে করে নিজের অসহ্য দুঃখেও তাঁর মঙ্গল হস্ত দেখতে ভালবাসে, তাতে আর সন্দেহ নাই। দুঃখ-চিন্তাকে ভুলে থাকাই নিরুপায় দুঃখীর উৎকৃষ্ট পন্থা। তাই সান্ত¡নার জন্য নানারূপ কাল্পনিক মোহে নিজেকে আচ্ছন্ন করে রাখা ছাড়া উপায়ন্তর নাই।
কিন্তু নিরীশ্বরবাদী
বলে বসল, ঈশ্বর মানুষের মনের সৃষ্টি, কল্পনার কারসাজি। অনাদি, অনন্ত, অবিনশ্বর, জড়-প্রকৃতিই তার অন্তর্নিহিত গুণ বলে নির্দিষ্ট নিয়মে আপনাকে আপানি
বিকশিত করতে করতে এই বিচিত্র বিশ্ব সৃষ্টি করেছে। এর জওয়াব কেউ দিতে পারল না, তর্ক করতে করতে এই পাওয়া গেল।
আস্তিক যাকে
সৃষ্টিকর্তা বলছেন, নাস্তিক তাকেই
নামান্তরে প্রকৃতি বলছে এমন কি যাঁরা বলছেন, বিশ্বের অণুপরমাণুতে
ভগবান প্রবিষ্ট হয়ে আছেন, প্রত্যেক বস্তুই
সাক্ষাত ভগবানের প্রকাশ, তাঁরাও তর্কশাস্ত্রের
দুই এক পদ এদিক-ওদিক করে ঐ একই কথা বলছেন।
পার্থক্যের মধ্যে এই যে, এরা ভগবানকে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে তাঁকে চিন্ময় পরিচালক রূপে
কল্পনা করছেন, আর প্রকৃতিবাদী বা নাস্তিক বলছেন, জড় প্রকৃতির ভিতরেই চিন্ময়ত্ব আছে, জড় ও চিৎ একই বস্তুর
দুই অচ্ছেদ্য রূপ, জড়কে চালিত করবার জন্য
জড়াতীত স্বতন্ত্র চিৎ পদার্থের বা চিন্ময় পুরুষের কল্পনা করা নিষ্প্রয়োজন।
অবশ্য যাঁরা শোকের বশে বা মদ গর্ব্বে
ঈশ্বরকে নিন্দা অভিশাপ বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন,
তাঁদের
উত্তেজিত মানসিক অবস্থা প্রায়ই সাময়িক হয় এবং তাদের সংখ্যাও নিতান্ত অল্প। সুতরাং এঁদের কথা আমাদের আলোচনার বাইরে
রাখলেও কোন দোষ নাই।
সংসার হিতে-অহিতে ভালোয়-মন্দয় মিশানো। তাই কেউ কেউ শিষ্ট ঈশ্বর ও দুষ্ট ঈশ্বরের স্বতন্ত্র কল্পনা করছেন। প্রকৃতিবাদী বলেন, ঈশ্বর বা প্রকৃতি নিরপেক্ষ নিয়ম অনুসারে কাজ করে যাচ্ছে। কারো হিত বা অহিতের দিকে লক্ষ্য করা তার ধর্ম নয়।
মানুষ স্বভাবতই
স্নেহ খোঁজে, সহানুভূতি খোঁজে, পাপের ক্ষমা চায়,
পুণ্যের
পুরস্কার চায়। আস্তিকের এইখানে
মস্ত সুবিধা। কার্য্যত: যাই হোক, হৃদয়ের শান্তির দিক দিয়ে দেখতে গেলে মানুষের দুর্বলতার
একটা শেষ আশ্রয়স্থল না থাকলে কেমন করে চলে?
তা
যদি ভুলও হয় তবু তাতে শািন্ত পাওয়া গেলে সেই ভুলকেই বরণ করতে আপত্তি কি? যারা প্রকৃতির মধ্যে ভগবানের বিশ্বরূপ দর্শন করেন, তাঁরা তো একেবারে আত্মহারা, তাঁরা অতি বড় দুঃখেও বলতে পারেন, তোমারই দেয়া প্রাণে তোমারি দেয়া দুঃখ, তোমারি দেয়া বুকে তোমারি অনুভব। সুখেও বলে থাকেন, তুমি আপন লীলা-বিকাশে নিজের মধুরস নিজেই ভোগ করছ, হে আনন্দময় আমার মধ্যে তোমারি প্রকাশ, তাইতে তো বিশ্বের যা কিছু সব এমন সুমধুর! কিন্তু
প্রকৃতিবাদী বলেন, দর্শন ও কাব্যের
মিথ্যা প্রলেপে জীবনকে মধুর আশা বা স্বপ্নের মধ্যে ডুবিয়ে রেখ না, বীর্য্যবান পুরুষের মত যা সত্য, তার নগ্নরূপের দিকে দৃষ্টিপাত কর।
প্রকৃতি তোমার
স্বপক্ষেও নয়, বিপক্ষেও নয়। যেমন কাজ করবে, বাধা নিয়ম অনুসারে তার ফল পাবে। পাপের ক্ষমা নাই, সঙ্গে সঙ্গে তার ফল
ভোগ করতে থাকবে। পুণ্য করলেও তা বিফলে
যাবে না, সঙ্গে সঙ্গে তার পুরস্কার পেতে থাকবে। ঠিক যতুটকু পাপ ততটুকু দ-, যতটুকু পুণ্য ততটুকু পুরস্কারÑ এক চুল এদিক-ওদিক হবার যো নেই! প্রকৃতি বড় কড়া বিচারক, এর কাছে দয়া-মায়ার স্থান নাই।
আগেই বলেছি, দুর্বল মানুষ কোমলতা চায়। তাই বৈজ্ঞানিকের দর্শন যদি নির্ভুলও হয়, তবু মানুষ তার কঠোর সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে বরং
আস্তিকের মধুময় ভুলের শান্তিক্রোড়েই আশ্রয় নিতে চায়।
তাঁরা বলেন, উপযুক্ত সুপ্রয়োগ দ্বারা যার অস্তিত্ব প্রমাণিত হলো না, কার্য্যক্ষেত্রে যা টিকবে কি না টিকবে তার কোনই স্থিরতা
নাই, এরূপ জিনিসের কাল্পনিক মূল্য নিরূপণ
করা নিতান্তই অর্থহীন।
ঐ শ্রেণীর সন্ন্যাসী ধার্মিকগণ অত্যন্ত কৃচ্ছ্রসাধন করতেন। দেখাদেখি গৃহীরাও আত্মপীড়নকে ধর্ম ও ধর্মভাবের একটি প্রধান অঙ্গ বলে মনে করতেন। তাদের মনে ধারণা জম্মে গিয়েছিল যে, আমাদের আত্মা ভগবানের অংশ, আর স্থূল দেহ শয়তানের খেলাঘর। কাজেই দেহ-পীড়ন করলে শয়তান নির্জ্জিত আর আত্মা পুষ্ট হবে। তাই বলে, রিপু দমন করতে গিয়ে, যা কিছু স্বভাবত: আমাদের মনকে মুগ্ধ করে, সেই সমুদয়ের বিরুদ্ধেই ‘ক্রুসেড’ আরম্ভ হয়েছিল।
এরূপে রূপ, ধন সম্পদ, যৌবন, স্বাস্থ্য,
কলানৈপুণ্য, আমোদ-প্রমোদ,
এ
সমস্তকে লোকে অত্যন্ত সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেছিল। ঊর্ধ্ববাহু সন্ন্যাসী, শরশয্যার সাধক,
কমলীওয়ালা
সুফী, এঁরাই ধার্মিকের আদর্শ ছিলেন। লোকের কাছে প্রশংসা শুনলে পাছে তপোনষ্ট হয়, এই ভয়ে এদের অনেকেই লোকের সঙ্গে যাচ্ছেতাই দুর্ব্ব্যবহার
করতেন। তাঁরা ভাবতেন, একমাত্র ভগবানের সঙ্গে আমাদের কারবার, আমরা মানুষের কোন ধার ধারি না।
কিন্তু আজকাল এই সব খেয়ালকে লোকে অদ্ভুত
বলেই মনে করে। এখন অদ্ভুত ভৌতিক
ক্রিয়া বা অলৌকিকত্ব প্রদর্শনক্ষম সাধু সন্ন্যাসীকে উচ্চ আধ্যাত্মিক আসনের গৌরব
দিতে অনেকেই দ্বিধান্বিত। বাস্তবিক, বর্তমানে জনসেবাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে পরিকীর্ত্তিত। সঙ্গে সঙ্গে নিজের কথাও ভুলে থাকলে চলবে না। স্বাস্থ্যলাভ, সৌন্দর্য্য-চর্চা, খেলাখুলা এবং
শারীরিক মানুসিক সমুদয় বৃত্তির চিরতার্থতাই আজকালকার মতে প্রকৃত ধর্মভাব।
চিরকাল জেলখানায় পুরে রেখে যার পবিত্রতা
রক্ষা করতে হয়, তার পবিত্রতার মূল্য কি? আমাদের প্রবৃত্তিগুলিকে নিগৃহীত করে সতী না বানিয়ে ছাড়া দিতে যাতে
তারা আপনা আপনি সৎ পথে চলতে পারে, তার ব্যবস্থা করাই
প্রকৃত ধর্ম সাধনা।
প্রশ্ন হতে পারে, আস্তিক যেন ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করবার জন্য, বা স্বর্গলোভে সৎকার্য্য করতে পারে, কিন্তু প্রকৃতিবাদী যার বিশ্বাস যে দেহ লোপের সঙ্গে সঙ্গেই সব শেষ, সে কিসের জন্য সৎকাজ করতে যাবে? তার মনে তো ধর্মভাবের আবির্ভাব হওয়ার কোনই কারণ দেখা যায় না।
‘ঋণং কৃত্বা ঘৃতং
পীবেৎ’ এই আদর্শ থেকে তাকে কিসে বাঁচাবে? উত্তর অতি সহজ। প্রকৃতিবাদী
আবার সঙ্গে সঙ্গে বিবর্ত্তনবাদী। তার
বিশ্বাস, প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে চলাই ধর্ম, তার বিরুদ্ধে চলতে গেলেই লাঞ্ছনার অবধি থাকে না। যেমন স্বাস্থ্যের নিয়ম পালন করা প্রকৃতি-সিদ্ধ। অনিয়ম করলেই তার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা
আছে।
এই শাস্তিই নরক। সৎপ্রবৃত্তির অভ্যাস করতে করতে মানুষ ক্রমশ
বিবর্ত্তনের উচ্চতর সোপানে আরোহণ করছে। প্রকৃতিবাদীর
কাছে এই সব সোপানই সপ্ত সর্গ।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আস্তিকের স্বর্গ-নরকের ন্যায়, বিবর্ত্তন-সোপানের উঁচু নিচু ধাপগুলিই প্রকৃতিবাদীর
সদস্য কর্মের নিয়ন্ত্রক।
আস্তিক যেমন আত্মাকে
অবিনাশী মনে করে, প্রকৃতিবাদীও তেমনি এক অখ- মানবতায়
বিশ্বাসী। এঁর মতে, মানুষ যার যার সঙ্গে কর্মসূত্রে একত্র হয়, যার যার মধ্যে নিজের ভাব ও স্বভাব সঞ্চারিত করে দেয়, তাদের ভিতর দিয়ে সে চিরকাল বেঁচে থাকে। সন্তান, শিষ্য, পরিষদ এরা সবাই মিলে লোকের ব্যক্তিত্বকে বহন করে তাকে চিরজীবী করে। কাজেই দেখা যাচ্ছে, আস্তিক ও প্রকৃতিবাদী উভয়ের মধ্যে কর্ম প্রেরণায় বা ধর্মভাবে কোন
সত্যিকার পার্থক্য নাই।
প্রকৃতিকে যারা গুরুত্ব দেন তারা বলেন প্রকৃতি ও আসলে একটি নিয়মের অধীন ৷ এ ব্যাপারে তারা যুক্তি দিয়ে বলেন যে অনেক ধর্ম গ্রন্থেও প্রকৃতি নিয়ে কথা বলা হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনের মক্কায় অবতীর্ন ৩০ নং সুরা রুম এর ৩০ নং আয়াতের উল্লেখ করেন ৷ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এর কোরানশরিফ , সরল বঙ্গানুবাদ থেকে ঐ আয়াতের বাংলা অনুবাদের উল্লেখ করা হলো ৷
এই আয়াতের ব্যাপক ব্যাখ্যা করলে প্রকৃতিবাদীদের দাবী বোধহয় মেনে নিতে হবে ৷
তাই সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারটি কে গুরুত্ব দিলে বোধ হয় ধর্মের ব্যাখ্যা নতুন ভাবে করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে ৷
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন