The History & Origin of Durga Puja
( শ্রীরামকৃষ্ণের ভাষায়- যিনি ব্রহ্ম তিনি শক্তি, শক্তি ব্রহ্ম থেকে অভিন্ন নয়। তাঁর কৃপা পেতে হলে আদ্যাশক্তিরূপিণী তাঁকে প্রসন্ন করতে হবে। তিনি মহামায়া বা যোগমায়া। জগতকে মুগ্ধ করে সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয় করছেন। তিনি অজ্ঞান করে রেখে দিয়েছেন। সেই মহামায়া দ্বার ছেড়ে দিলে তবে অন্দরে যাওয়া যায়। সে আদ্যাশক্তির ভেতর বিদ্যা ও অবিদ্যা দুই আছে- অবিদ্যা মুগ্ধ করে; বিদ্যা যা থেকে ভক্তি, দয়া, জ্ঞান, প্রেম-ঈশ্বরের পথে লয়ে যায়। সে অবিদ্যাশক্তিকে প্রসন্ন করতে হবে। তাই শক্তির পূজা পদ্ধতি।’ ব্রহ্ম আর শক্তি অভেদ। পরম সত্যের এ যে ধারণা পরিপূর্ণভাবে রূপ নিতে বহু সময় লেগেছে, যদিও যত্রতত্র কোন কোন সাধক বা ঋষি সে সম্বন্ধে কিছু কিছু ধারণা বা আভাস-ইঙ্গিত পেয়েছিলেন।
হিন্দুর
পূজা পদ্ধতি মূলত ব্রহ্মসাধনেরই একটি সহজতর প্রক্রিয়াবিশেষ। স্বতঃবিক্ষিপ্ত মনকে
একটি ক্রিয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে এককেন্দ্রিক করার সুচতুর কৌশল ভিন্ন
অন্য কিছুই নয়। শাস্ত্রে আছে- ‘দেবো
ভূত্বা দেবং যজেৎ’- দেবতা পদবাচ্য হয়ে দেবতার পূজা করতে
হয়। পূজা পদ্ধতির ক্রমিক অনুশীলন সাধককে সামান্য স্তর থেকে তাকে দেবত্বের স্তরে
উন্নীত করে। মনকে সাময়িক বিষয় উপকরণের ওপর থেকে সরিয়ে নিয়ে বিষয় বিশেষে নিবদ্ধ
করে। মনের এ নির্মল বা শুদ্ধ স্তরে পরমাত্মার প্রতিবিম্ভ পড়ে। শাস্ত্র বলেছে- সেই
সদ্বস্তু শুদ্ধমনের গোচর, সেই শুদ্ধমন, শুদ্ধবুদ্ধি শুদ্ধআত্মা একই।)
সূত্র;-স্বামী অবিচলানন্দ এর জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি লেখার অংশ ৷
( দূর্গাপুজা-বাঙালীর কলোনিয়াল হ্যাংওভার!
বর্তমানের দূর্গাপূজার জনপ্রিয়তার শুরু বাবু নবকৃষ্ণের পুজো (১৭৬৫) দিয়ে যা সেকালে পরিচিত ছিল কোম্পানীর পূজো বা আজ শোভাবাজার রাজবাড়ির পূজো বলে টিকে আছে। পলাশীর যুদ্ধের পর, যারা ক্লাইভের সহযোগী ছিলেন, তাদের জন্যে ক্লাইভ পার্টি দিতে চাইলেন কোলকাতায়। এদিকে কোলকাতায় কোন বড় গীর্জা ছিল না সেকালে। নবকৃষ্ণ ক্লাইভের সেই সংকট জানতে পেরে, উনাকে জানালেন, দূর্গাপূজার মাধ্যমে ক্লাইভ একদিন না চারদিনের পার্টি দিতে পারবেন। ক্লাইভ, বললেন, বাবু আমরা খৃষ্ঠান-তোমাদের জাত যাইবে! বাবু নবকৃষ্ণ বলেছিলেন, টাকা দিয়ে বাঙালীকে ম্যানেজ করা এমন কি কঠিন ব্যাপার! বাঙালীর সব প্যানপ্যানানি ধাপানিসা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা যায়। এ জাতি মেরুদন্ডহীন!
( দূর্গাপুজা-বাঙালীর কলোনিয়াল হ্যাংওভার!
লিখেছেন
দূর্গাপুজা
সে অর্থে কোন কালেই আধ্যাত্মিক গুরু গম্ভীর ধর্মীয় উপাসনা ছিল না। বরাবরের জন্যে
এ শারদ উৎসব।শারদিয়া, আমোদ, খানাপিনা। সপ্তদশ শতকে কৃষ্ণনগরে ভবানন্দের
জমিদারিতে এর শুরু হলেও, অষ্টাদশ শতকেও বাঙালীর জীবনে দুর্গোৎসব বলে
কিছু ছিল না। দূর্গাপুজোর জনপ্রিয়তার মূল কারন বৃটিশ এবং তার কলোনিয়াল ইতিহাস!
বর্তমানের দূর্গাপূজার জনপ্রিয়তার শুরু বাবু নবকৃষ্ণের পুজো (১৭৬৫) দিয়ে যা সেকালে পরিচিত ছিল কোম্পানীর পূজো বা আজ শোভাবাজার রাজবাড়ির পূজো বলে টিকে আছে। পলাশীর যুদ্ধের পর, যারা ক্লাইভের সহযোগী ছিলেন, তাদের জন্যে ক্লাইভ পার্টি দিতে চাইলেন কোলকাতায়। এদিকে কোলকাতায় কোন বড় গীর্জা ছিল না সেকালে। নবকৃষ্ণ ক্লাইভের সেই সংকট জানতে পেরে, উনাকে জানালেন, দূর্গাপূজার মাধ্যমে ক্লাইভ একদিন না চারদিনের পার্টি দিতে পারবেন। ক্লাইভ, বললেন, বাবু আমরা খৃষ্ঠান-তোমাদের জাত যাইবে! বাবু নবকৃষ্ণ বলেছিলেন, টাকা দিয়ে বাঙালীকে ম্যানেজ করা এমন কি কঠিন ব্যাপার! বাঙালীর সব প্যানপ্যানানি ধাপানিসা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা যায়। এ জাতি মেরুদন্ডহীন!
বাবু বা রাজা
নবকৃষ্ণকে নিয়ে কিছু বলা প্রয়োজন। পলাশীর যুদ্ধের প্রাক্কালে ইংরেজি জানা বাঙালী
ছিল বিরল। বাবু নবকৃষ্ণ ছিলেন পেশায় মুন্সি এবং তজ্জন্যে আরবী,ফার্সী সংস্কৃত সহ অনেক ভাষা জানতেন। ফলে
ইংরেজিটাও শিখে নিলেন দ্রুত। পলাশী চক্রান্তে মূলত ইনিই ক্লাইভের দোভাষী হিসাবে
কাজ করেছিলেন। এই বাবুটি না থাকলে ক্লাইভ এত সহজ ভাবে এবং দ্রুত দেশীয় জমিদার ও
রাজাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারতেন না। বৃটিশ অকৃতজ্ঞ না। পলাশীর যুদ্ধের পর
বৃটিশরা মুর্শিদাবাদের ৫০ কোটি টাকা লুন্ঠন করে। ভাগের বাটোয়ারা অনুযায়ী বাবু
নবকৃষ্ণ পেলেন আট কোটি টাকা। ছিলেন মুন্সি। বৃটিশদের সহযোগিতা করার জন্যে হয়ে
গেলেন রাজা। এবার রাজ্যপাট নেই, রাজ সেনা নেই-সেব বৃটিশদের হাতে। হাতে আছে
শুধু টাকা। সুতরাং রাজকীয় ব্যাপার স্যাপার দেখাবার জন্যে দরকার বিরাট বারোয়ারী
পার্টি। দূর্গাপুজোর জনপ্রিয় হবার কারন সেটাই। এই পুজো চারদিন ব্যাপী হওয়াতে, ব্যাপক জাঁকজমক এবং পার্টি দেওয়ার সুযোগ
থাকত।
সেই থেকে
শুরু হল শোভাবাজারের পূজো যা কোলকাতায় তথা বঙ্গে সব থেকে বড় রকমের জাঁকজমকপূর্ন
পূজো। এই পূজোতে হোস্ট ছিলেন স্বয়ং লর্ড ক্লাইভ। রাজন্য বর্গের জন্যে সুরা বাইজি
এবং বারবাণিতাদের অবাধ আয়োজন। সাথে সাহেবদের জন্যে গোমাংস সহযোগে ডিনার। মুসলিম
বাবুর্চিরা রান্না করত। এবং এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা না- উনবিংশ শতকে বাবু নবকৃষ্ণের
দেখা দেখি সব বাবুর পুজোতেই মদ্যপান, নারী এবং গোমাংস সহযোগে উদ্যোম পার্টি হত
সাহেব সুবোদের নিয়ে। দুর্গাপুজোর জনপ্রিয়তার এটাই মূল কারন যে তা বৃটিশদের
পিষ্ঠপোষকাতে তাদের উমেদার দের জন্যেই জনপ্রিয় হয়েছে। ১৮৪০ সাল পর্যন্ত এই
ট্রাডিশন বজায় ছিল। অনেক সাহেব নিজেরাই পুজো দিতেন-পার্টি দিতেন। শেষে পুজোর সময়
বারবানিতা এবং বাইজিদের নিয়ে এত টানাটানি এবং টানাটানি থেকে রেষারেশি,মারামারি হতে লাগল, কোম্পানী আইন করে, বৃটিশদের দূর্গাপুজো থেকে বিরত করে। সুতরাং
এ পুজো না- এটিকে উৎসব, পার্টি বলাই ভাল। এতেব আমার মতে দূর্গাপুজো
হচ্ছে বাঙালীর জন্যে পার্টি টাইম। খাসি, গোমাংস এবং পানীয় সহযোগে নৃত্য করুন! এই
পূজোতে গোমাংস সহযোগে উদ্দাম পানীয় পার্টি না করা হলে, ইতিহাসের অবমাননা হবে!
source; muktomona.com )
·
দূর্গাপুজা-
দূর্গাপুজা-বাঙালী
Durga
Puja Mythology: Rama's 'Akal Bodhan'
Durga Puja is celebrated every year in the Hindu month of Ashwin
(September-October) and commemorates Prince Rama's
invocation of the goddess before going to war with the demon king Ravana. This
autumnal ritual was different from the conventional Durga Puja, which is
usually celebrated in the springtime. So, this Puja is also known as
'akal-bodhan' or out-of-season ('akal') worship ('bodhan'). Thus goes the story
of Lord Rama, who first worshipped the 'Mahishasura Mardini'
or the slayer of the buffalo-demon, by offering 108 blue lotuses and lighting
108 lamps, at this time of the year.
The
First Durga Puja in Bengal
The first grand worship of Goddess Durga in recorded history is said to
have been celebrated in the late 1500s. Folklores say the landlords or zamindar of Dinajpur and Malda initiated the
first Durga Puja in Bengal . According to another source, Raja Kangshanarayan of
Taherpur or Bhabananda Mazumdar of Nadiya organized the first Sharadiya or Autumn Durga Puja in Bengal
in c 1606.
The
'Baro-Yaari' Puja and Beginning of Mass Celebration
The origin of the community puja can be credited to the twelve friends
of Guptipara in Hoogly, West Bengal, who collaborated and collected
contributions from local residents to conduct the first community puja called
the 'baro-yaari' puja or the 'twelve-pal' puja in 1790. The baro-yaari puja was
brought to Kolkata in 1832 by Raja Harinath of Cossimbazar, who performed the
Durga Puja at his ancestral home in Murshidabad from 1824 to 1831, notes
Somendra Chandra Nandy in 'Durga Puja: A Rational Approach' published in The Statesman Festival,
1991.
Origin
of 'Sarbajanin Durga Puja' or Community Celebration
"The baro-yaari puja gave way to the sarbajanin or community puja in 1910, when the
Sanatan Dharmotsahini Sabha organized the first truly community puja in
Baghbazar in Kolkata with full public contribution, public control and public
participation. Now the dominant mode of Bengali Durga Puja is the 'public'
version," write M. D. Muthukumaraswamy and Molly Kaushal in Folklore, Public Sphere, and
Civil Society. The institution of the community Durga Puja in the
18th and the 19th century Bengal contributed vigorously to the development of Hindu
Bengali culture.
British
Involvement in Durga Puja
The research paper further indicates that "high level British
officials regularly attend Durga Pujas organized by influential Bengalis and
British soldiers actually participate in the pujas, have prasad, and even
salute the deity, but 'the most amazing act of worship was performed by the
East India Company itself: in 1765 it offered a thanksgiving Puja, no doubt as
a politic act to appease its Hindu subjects, on obtaining the Diwani of
Bengal'. (Sukanta Chaudhuri, ed. Calcutta : the Living City , Vol. 1: The Past) And
it is reported that even the Company auditor-general John Chips organized Durga
Puja at his Birbhum office. In fact, the full official participation of the
British in the Durga Puja continued till 1840, when a law was promulgated by
the government banning such participation."
Durga
Puja Comes to Delhi
In 1911, with the shifting of the capital of British India to Delhi , many Bengalis migrated to the city to work in
government offices. The first Durga Puja in Delhi was held in c. 1910, when it was performed by
ritually consecrating the 'mangal kalash,'
symbolizing the deity. This Durga Puja, which celebrates its centennial in
2009, is also known as the Kashmere Gate Durga Puja currently organized by the
Delhi Durga Puja Samiti in the lawns of Bengali Senior Secondary
School , Alipur Road , Delhi .
Evolution
of the 'Pratima' and the 'Pandal'
The traditional icon of the goddess worshiped during the Durga Puja is
in line with the iconography delineated in the scriptures. In Durga, the Gods
bestowed their powers to co-create a beautiful goddess with ten arms, each
carrying their most lethal weapon. The tableau of Durga also features her four
children - Kartikeya,Ganesha, Saraswati and Lakshmi.
Traditional clay image of Durga or pratima made
of clay with all five gods and goddesses under one structure is known as
'ek-chala' ('ek' = one, 'chala' = cover).
There are two kinds of embellishments that are used on clay - sholar saaj and daker saaj. In the former, the pratima is traditionally decorated with the
white core of theshola reed which grows within marshlands. As
the devotees grew wealthier, beaten silver (rangta) was used.
The silver used to be imported from Germany and was delivered by post (dak). Hence the name daker saaj.
The huge temporary canopies - held by a framework of bamboo poles and
draped with colorful fabric - that house the icons are called 'pandals'. Modern
pandals are innovative, artistic and decorative at the same time, offering a
visual spectacle for the numerous visitors who go 'pandal-hopping' during the
four days of Durga Puja.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন