মানুষের সৃজনশীল কল্পনাই কি জন্ম দিয়েছে কাল্পনিক এক ধর্মবিশ্বাসের ?


  
                মানুষের  সৃজনশীল  কল্পনাই  কি  জন্ম  দিয়েছে  ধর্মবিশ্বাসের  ?

       (জীবনের শেষপ্রান্তে এসে রবীন্দ্রনাথ তাঁর মানবধর্ম মতবাদ সম্পর্কে মোহাবিষ্ট হয়ে পড়েন।
ফলে কলকতায় অনুষ্ঠিত ১৯৩৭ সালের ৩ মার্চ বিশ্বধর্ম সম্মেলনের তৃতীয় দিনের অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে জ্ঞানগর্ভ ভাষণে তিনি বলেন-
“সমগ্র মানবজাতির একটিমাত্র ধর্ম থাকবে, একই বিশ্বজনীন পদ্ধতিতে সকলে উপাসনা করবে এবং একই আদর্শে সকলের ধর্ম পিপাসা তৃপ্তি লাভ করবে, আমি এমন কথা বলি না। যে রূঢ় সাম্প্রদায়িক মন বিনা কারণে নামমাত্র কারণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, সূক্ষ্ম বা স্থূলভাবে অত্যাচার করে, তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে যে, কবিতার ন্যায় ধর্মও কোনও আদর্শবাদ নয়, উহা অভিব্যক্তি মাত্র। সৃষ্টির বিচিত্রতার মধ্যেই ঈশ্বরের বহুমুখীন আত্মপ্রকাশ; অনন্ত সম্পর্কে আমাদের আদর্শও তদ্রুপ ব্যক্তিত্বের নিরবচ্ছিন্ন এবং অনমনীয় বিচিত্রতার মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে। কোনও ধর্ম যখন সমগ্র মানবজাতির উপর তার শিক্ষা চাপিয়ে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে, তখন উহা আর ধর্ম থাকে না,
তখন উহা হয়ে পড়ে স্বৈরাচার, ইহাও একপ্রকার সাম্রাজ্যবাদ। অধিকাংশ স্থানেই এ জন্যই দেখতে পাই, পৃথিবীর ধর্মজগতেও চলছে ফ্যাসিজমের তাণ্ডব, অনুভূতিবিহীন পদভারে উহা মানবাত্মাকে দলিত-মথিত করছে।”
( সূত্র; ব্লগ লেখন মি: বীরেন্দ্রের বিজ্ঞানী আইনষ্টাইন এবং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়ে একটি লেখার অংশ )
কবির দীর্ঘদিন আগের বাস্তব অভিজ্ঞতার উপলব্দির বাস্তবতা এখন আরো যে বেশী সত্য তা বলার অপেক্ষারাখে না ৷ তাই কথাটি নতুনভাবে এখন বোধহয় আমাদের সকলের মনে রেখে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া আবশ্যিক !)

     বর্তমান  বিশ্বের  আধুনিক  মানুষরা  যখন  ঊনবিংশ  শতাব্দীর  সূচনায়  পৌছেছিল  তখন  থেকে  তাদের  চিন্তা  ও  চেতনায়  একটি  বিরাট  পরিবর্তনের  শুরু  হয়  ৷    এই  পরিবর্তনের  সূচনা  যারা  করতে  সক্ষম  হয়ে  ছিলেন  তাদের  অন্যতম  ছিলেন  দার্শনিক  লুদভিগ  ফয়েরবাদ  ,  কার্ল  মার্ক্স  ,  চালর্স  ডারউইন  , ফ্রেডারিখ  নিৎশে  ও  সিগমুন্ড  ফ্রয়েড  সহ  অন্যান্যরা  ৷  

          তাঁরা  বিজ্ঞান  ও  প্রযুক্তির  অগ্রযাত্রার  বাস্তবতায়  বিশ্বজগতের   এক  নতুন  দর্শন  ও  বৈজ্ঞানিক  ব্যাখ্যা  এবং  বিশ্লেষণ  প্রণয়ন  করেন  বিশ্বমানুষের  জন্যে  ৷  বিশ্বজগতের  এই  নতুন  ব্যাখ্যায়  তাঁরা   বিশ্বের  মানুষের  জন্যে  তাদের  ধর্মবিশ্বাস  সহ  ঈশ্বরের  বিশ্বাসের   ধারণার  কোনো  স্থান  রাখেন  নি ৷
       কারণ  তাদের  কাছে  প্রাচীনকালের  অবিকাশিত  মস্তিষ্কের  আদিম  মানুষের মনের  মধ্যে   লালিত ও  পালিত   ধর্ম    বিশ্বাস  ও  ঈশ্বরের  ধারণা  এবং  হাজার  হাজার  বছরের  অন্যান্য   অন্ধ  বিশ্বাস  ও    কুসংস্কার  আর  গোঁড়ামি  ইত্যাদি  অনেক  কিছুই   তাদের  পর্যবেক্ষণে  ভ্রান্ত বলে   প্রমাণিত  হয়ে  পড়ে  ৷ বিশ্ব  সভ্যতার  পরবর্তীত    পরিস্তিতিতে      তাদের  মধ্যে  জন্ম  নেয়া    যৌক্তিক  মতবাদের  উথ্থান এর  কারণেই   ইহা   তাদের  কাছে   সম্ভব  হয়েছে  ৷   

            যার  পরিনামে  তাদের  মধ্যে    নব  জন্মনেয়া  এই   বিশ্বাস ও   দর্শন    তখনকার  সময়ের  সমসাময়িক  রোমান্টিক  আন্দোলনের  কবি ,  উপন্যাসিক  ও  দার্শনিকদের  মনে  এক  বিরাট ধরণের  প্রতিক্রিয়া  সৃষ্টি  করে  এবং  তারা  সমাজে  তাদের  প্রতিক্রিয়া  কলমের  মাধ্যমে  প্রকাশ  শুরু  করেন  ৷  যার   ফলে    নব্য  সভ্য  ও যুক্তিবাদী   আধুনিক  মানুষের  কাছে  তাদের  নিজেদের   বিশ্বাসের  পুনর্নির্মিত  ধর্মতত্ত্ব ,  নরক  , স্বর্গ , পুনর্জন্ম  ও অলৌকিক  উদ্ধারপ্রাপ্তি   লাভের  প্রাচীন  থিমসমূহ  অগ্রহণযোগ্য  হয়ে  পড়ে  ৷

          এই  রকম  একটি  অবস্থায়   আমেরিকান  সাহিত্য  সমালোচক  এম , আর , আব্রাহামস  প্রাচীন  মানুষের  এইসব  প্রাচীন  বিশ্বাস  ও  ধারণাকে  মানুষের  এক  ধরনের  “ সৃজনশীল  কল্পনার  রূপ  ”  বলে  আখ্যায়িত  করেন    ৷  আব্রাহামের  মতে  আদিম  মানুষের  এইরূপ  কল্পনা  মানুষকে  বাহ্যিক  এক  সত্তার   সঙ্গে  সম্পর্কিত  করতে  সক্ষম  করে  তুলে  যার  ফলে  মানুষের  মনে  এক  নতুন  সত্যের  জন্ম     দেয়  ৷   তাই  তিনি  মানুষের  সৃজনশীল  কল্পনাকে  একটি  গুণ  এবং  একটি  বিশেষ  বৈশিষ্ট্য  হিসেবে  দেখেছেন  ৷

     এই  ব্যাপারটিকে  ইংরেজ  কবি  জন  কীটস (১৭৯৫- ১৮২১)  অন্য  ভাবে  দেখেছেন  ৷
 (VJohn Keats (/ˈkts/; 31 October 1795 – 23 February 1821) was an English Romantic poet. He was one of the main figures of the second generation of Romantic poets along with Lord Byron and Percy Bysshe Shelley, despite his work having been in publication for only four years before his death.[1] )

 তিনি  অল্পকথায়  বলেছেন  মানুষের  কল্পনা  হচ্ছে  এমন  একটি  অনুভূতি  এবং  ধারণা  যা  আদমের  স্বপ্নের  মতো  ৷ কারণ  কবি   মিল্টনের  প্যারাডাইস  লষ্টের  আদমের  মত   ঘুম  থেকে জেগে  উঠে  আদম  তাঁর  ঘুমের  মধ্যের  স্বপ্নকে  সত্য  বলে  আবিস্কার  করেছিলেন   ৷  অর্থাৎ  কবি  কীটস  এখানে  মিল্টনের  প্যারাডাইস  লস্টের  ঈভের  সৃষ্টির  দিকে  ইঙ্গিত  করে  এই  তুলনা  করেছেন !
   (John Milton was an English poet, polemicist, man of letters, and a civil servant for the Commonwealth of England under Oliver Cromwell.)

 প্যারাডাইস  লস্টে  কবি  মিল্টন  সৃষ্টিই  হয়নি  এমন  এক  সত্তাকে  ঘুমের  মধ্যে   স্বপ্নে  দেখেন  এবং     ঘুম  থেকে  জেগে  উঠে  তার  সামনে  অবস্থানরত  এক  নারীর  মাঝে  সেই  স্বপ্নের  নারীর বাস্তব  রূপে    দেখা  পেয়ে  যান  আদম  ৷  তাই  কবি  কীটসও  মানুষের  কল্পনাকে  এক  পবিত্রতম  গুণ  বা  এক  বৈশিষ্ট্য  হিসেবে  বর্ণনা  করেছেন  তার  লেখায়  ৷

          কবি  কীটস  মনে  করতেন  মানুষ  তার  হৃদয়ের  টানেই  পবিত্রতা  ও  কল্পনাকে  নিজেই  যাচাই  করে  নিতে  সক্ষম  ৷  তাই  তিনি  বলেছেন  তিনি  যখন  কোনো  ঘটনার  ব্যাপারে  নিশ্চিত  হতে  পারতেন  না ,  তখন  তিনি  তার  কল্পনায়  যাকে  সুন্দর  বলে  মনে  হত   তাকেই  তিনি  সত্য  বলে  গ্রহণে  বাধ্য  হতেন ,   যার  বাস্তবতা  সত্যিকার  ভাবে  আগে  থাকুক  বা  নাই ই থাকুক  ৷  কারণ  তার  মতে  মানুষের  সৃজনশীল  প্রক্রিয়ার  কাছে  যুক্তির  ভূমিকা  খুবই  সীমিত  ৷ ( সুত্র ; লেটার  অব  জন  কীটস , ২য় খণ্ড , পৃষ্টা  ১৮৪-৮৫ , ১৯৮৫ সাল )

            তিনি  মানুষের  মনের  নেতিবাচক  ক্ষমতার  কথাও  উল্লেখ  করেছেন  এবং  বলেছেন  মানুষ  সত্যি  ও  যুক্তির  দিকে  অগ্রসর  না  হয়ে  অনিশ্চয়তা , রহস্য ও  সন্দেহের  পর্যায়ে অবস্থান  নিতে  বেশি  আগ্রহী  ৷  অর্থাৎ  দেখা  যাচ্ছে  কবিরাও  সুফি  বা  অতিন্দ্রীয়বাদীদের মতো  যুক্তি  ও  তর্কের  উর্ধ্ধে  উঠে  নীরব  ও  প্রতীক্ষায়মান  মনোভাব  নিয়ে  নিজকে  ধরে  রাখতে  চান  একটি  নির্দিষ্ট  বৃত্তের বা  বিশ্বাসের  মধ্যে  ৷

        কবি  উইলিয়াম  ওঅডর্সঅর্থ  (১৭৭০-১৮৫০)  স্বয়ং  অতিন্দ্রীয়বাদী  ছিলেন  ৷

 (William Wordsworth was a major English Romantic poet who, with Samuel Taylor Coleridge, helped to launch the Romantic Age in English literature with their joint publication Lyrical Ballads.)

তার  রচিত  সেরা  কবিতাগুলোতে  তিনি  মানুষের  মন  ও  প্রকৃতি  জগতের  মৈত্রীর  জয়গান  গেয়েছেন   এবং  বলেছেন   যারা  দৃশ্য  ও  অর্থ  সৃষ্টির  লক্ষ্যে  পরস্পর  পরস্পরের  ওপর  ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া  করে তিনি   তা  তিনি  প্রকাশ  করেছেন  তার  কবিতায়  ৷ ( দ্যা  প্রিলিউড 11, পৃষ্টা ২৫৬-৬৪ )  কিন্তু  কবি  কীটস  এবং   তাঁর  এক  সহযোগী  স্যামুয়েল  কোলরিজের ( ১৭৭২-১৮৩৪ )

  (Samuel Taylor Coleridge (/ˈkoʊləˌrɪdʒ/; 21 October 1772 – 25 July 1834) was an English poet, literary critic and philosopher who, with his friend William Wordsworth, was a founder of the Romantic Movement in England and a member of the Lake Poets. He wrote the poems The Rime of the Ancient Mariner and Kubla Khan, as well as the major prose work Biographia Literaria. His critical work, especially on Shakespeare, was highly influential, and he helped introduce German idealist philosophy to English-speaking culture. He coined many familiar words and phrases, including the celebrated suspension of disbelief. He was a major influence on Emerson, and American transcendentalism.)

সঙ্গে  মিলিতভাবে  রোমান্টিক  আন্দোলনের  সূচনাকারী  কবি  উইলিয়াম  ওঅডর্সঅর্থের  সমালোচনা  করেছেন  যদিও  তাঁরাও  এই  কবির  কল্পনা  সম্পর্কে  অনুরূপ  দৃষ্টিভঙ্গি  পোষণ  করেছেন ৷

             কবি  ওঅডর্সঅর্থের  প্রকৃতি  সম্পর্কিত  বোধ  মানুষের  ঈশ্বর  অনুভূতির  অনুরূপ  ছিল   ৷  তাই  কবি  তাঁর রচিত কবিতা - লাইন্স  কস্পোজড  এ  ফিউ  মাইলস  এবাভ  টিনটার্ন  আবিতে  যে    মনোগ্রাহী  অবস্থার  বর্ণনা  দিয়েছেন  যা পরে বাস্তবতার  এক  মোহাবেশের  রূপ  নিয়েছে  ৷ কবি  বলেছেন  কবিতায়  বর্ণনা  করা  দৃশ্য  তাঁর  হৃদয়  আর  আবেগ  থেকে  এসেছে  ,    তাঁর  বুদ্ধিমত্তা  থেকে  আসে    নাই  ৷  কবির  মতে  মানুষের  বুদ্ধি  এক  বিশ্লেষণী  ক্ষমতা  ধারণ  করে  যা  এই  ধরনের  আবেগ  ও  অনুভবকে  নষ্ট  করে  দিতে  পারে  ৷ তাই কবির  মতে  মানুষের  জ্ঞানগর্ভ  বই  ও  তত্ত্বের  প্রয়োজন  নেই , মানুষের  প্রয়োজন  এক  “ প্রাজ্ঞা  নিষ্ক্রিয়তা ” এবং  দর্শক  ও  গ্রাহক  হৃদয়ের  ৷  কবির  মতে  মানুষের  অন্তরের  অনুভূতি  থেকে  মানুষের  অন্তর্দৃষ্টি  সূচিত  হয়  ,  তবে  প্রাজ্ঞা  হতে  হবে  সম্পূর্ণ  অনুপ্রেরণাবিহীন ,  তবে  সেই  সঙ্গে   তা  কিন্তু আত্মমগ্ন  অবস্থায়  নয়  ৷   কবি  জন  কীটস  ও  বলেছেন  ,  যতক্ষণ মানুষ আবেগে  তাডিত  হয়ে  প্রাণবন্ত  অবস্থায় তার  হৃদস্পন্দনে সে অনুভূতর  সৃষ্টি  না হয়  ততক্ষণ   হৃঁদয়ের  উপলব্ধি     পুরোপুরি  সত্যে  পরিণত  হতে  পারে  না   ৷  তাই  ওঅর্ডসঅর্থ  ও  এমন  একটি  চেতনার  উপলব্ধি  করেছেন  যা  যুগপৎ  প্রাকৃতিক  ঘটনাবলীতে  পরিব্যাপ্ত  ,  আবার  তা  প্রাকৃতিক  পরব্যাপ্ত  থেকে  বিচ্ছিন্ন  ও  বটে  ৷   তবে  কবি  তার  অনুভূতি  বোধকে  ধর্মীয়  ব্যাখ্যায়  যুক্ত  করেন  নি  ৷ 

      কবি  উইলিয়াম  ব্লেক ( ১৭৫৭-১৮২৭ )
  (William Blake (28 November 1757 – 12 August 1827) was an English painter, poet and printmaker. Largely unrecognised during his lifetime, Blake is now considered a seminal figure in the history of the poetry and visual arts of the Romantic Age. His prophetic poetry has been said to form "what is in proportion to its merits the least read body of poetry in the English language".[2] His visual artistry led one contemporary art critic to proclaim him "far and away the greatest artist Britain has ever produced".[3] In 2002, Blake was placed at number 38 in the BBC's poll of the 100 Greatest Britons.[4] Although he lived in London his entire life (except for three years spent in Felpham),[5] he produced a diverse and symbolically rich oeuvre, which embraced the imagination as "the body of God"[6] or "human existence itself".)[7]))
    তার  প্রথমদিকের  রচনায়  দ্বান্দ্বিক  পদ্ধতির  প্রয়োগ  করেছেন  ৷  তিনি  তার  কবিতায়  ছন্দোবন্ধ  রীতির  বৈশিষ্ট্যকে  অর্থাৎ  ভারসাম্য  পূর্ণ  এন্টিথিথিসকে  ব্যক্তিগত  ও  অন্তর্গত  দৃশ্যকল্প  সৃষ্টির  পদ্ধতিতে  রূপান্তরিত  করেছেন  ৷    মানুষ  যতক্ষণ  না  তার  পতিত  অবস্থাকে  স্বীকার  করেছে  ততক্ষণ পর্যন্ত  একজন  মানুষের  প্রকৃত  দিব্যদর্শন  আসতে  পারে  না  বলে  তিনি  মত  প্রকাশ  করেছেন  ৷  সত্যকে  পদ্ধতির  অধীনে  নিয়ে  আসার  বিপক্ষে  তার  অবস্থান  ছিল  ৷ 

      কবি ব্লেক  ঈশ্বরকে  পৃথিবী  থেকে  বহুদূরবর্তী  এক  গভীর  স্থানে  প্রেরণ   করেন  এবং  আকাশকেও  দূরবর্তী  একটি  কিছু  বলে  অবহিত  করেন  ৷  তিনি  মনে  করতেন  বিশ্বজগতের  স্রষ্টা  সম্পূর্ণ  ভিন্ন  এক  ঈশ্বর  , মানুষের  প্রচলিত  বিশ্বাসের  ঈশ্বর  নয়  ৷  তিনি  তার  কবিতাকে  বিভিন্ন  পরিবর্তনের  ভেতর  দিয়ে  সামনের  দিকে  নিয়ে  গেছেন  ৷  তিনি  তার  কবিতায়  বহুদূরের  ঈশ্বরকে  পৃথিবীতে  পতিত  করেছেন  এবং  পরে  ঐ  ঈশ্বরকে  ব্যক্তি  জেসাসের  রূপ  দিয়েছেন  যে  জেসাসকে  পরে  মৃত্যুবরণ  করতে  হয়েছে  ৷  তিনি  তার  কবিতায়  মৃত  জেসাসকে  মানবতার  শত্রু  স্যাটানে  পরিণত  ও  করেছেন  ৷  পরবর্তী  পর্যায়ে  কবি  ব্লেক  ঈশ্বরকে  একজন  স্বাধীন  উপাস্যের  আসন  থেকে  বিসর্জ্জন  দিয়েছেন   , আর  বলেছেন  ঈশ্বর  সেচ্ছায়  জেসাসের  মাঝে  একিভূত  হয়ে  মৃত্যুবরণ  করেছেন  ৷  তাই  এখন  আর  বিশ্বজগতে  কোনও  দুর্জ্ঞেয়  ও  দূরবর্তী  ঈশ্বরের  অস্তত্ব  বিদ্যমান  নাই  ৷ 

     ১৭৯৯  সালে  কবি  ওঅর্ডসঅর্থ  ও  কোলরিজ  ইংল্যান্ডে  লিরিক্যাল  ব্যালাডস  প্রকাশ  করার  পর  জার্মানিতে  ফ্রেইডারিথ  শ্লেইয়ারম্যাশার  ( ১৭৬৮-১৮৩৪ )
Friedrich Daniel Ernst Schleiermacher (German: ʃlaɪɐmaxɐ]; November 21, 1768 – February 12, 1834) was a Germantheologian, philosopher, and biblical scholar known for his attempt to reconcile the criticisms of the Enlightenment with traditionalProtestant Christianity. He also became influential in the evolution of Higher Criticism, and his work forms part of the foundation of the modern field of hermeneutics. Because of his profound impact on subsequent Christian thought, he is often called the "Father of Modern Liberal Theology" and is considered an early leader in liberal Christianity. The Neo-Orthodoxy movement of the twentieth century, typically (though not without challenge) seen to be spearheaded by Karl Barth, was in many ways an attempt to challenge his influence.)

      তার  রচিত  ইশতেহার  অন  রিলিজিয়ন , স্পিচেস  টু  ইটস  কালচার্ড  ডেসপাইজার্স  প্রকাশ  করেন  ৷
  
     তিনি  তার  বক্তব্যে  বলেন   ধর্মের  ডগমাসমূহ  স্বর্গীয়  সত্য  নয়  ৷ এতে  তিনি  স্পষ্ট  করে  দেন  যে   এই  সব  ধারণা  এবং   ধর্মীয়  বিশ্বাস  শুধু  ভাষায়  প্রকাশ  করা  ক্রিশ্চান  ধর্মীয়  দুর্বলতার  বিবরণাদি  মাত্র   ৷  তিনি  আরো  বলেছেন  যে , মানুষের  মনে  ধর্মীয়  বিশ্বাস  প্রতিষ্ঠা  করতে  হলে  প্রয়োজন  হয়    এক  আবেগ  নির্ভর  উপলব্ধি  ও  মনের  অভ্যন্তরীণ  আত্মসমর্পণের  চিন্তার  সৃষ্টি  করা   ৷  যা  যুক্তির  মাধ্যমে  প্রতিষ্ঠা  করা  সম্ভব  হয়  না  ৷  তার  মতে  মানুষ  যখন  যুক্তির  শেষ  সীমানায়  পৌঁছে  যায়  তখন  মানুষ  এক  অনুভব  করতে  পারা  পরম  সত্তার  দিকে  যাত্রা  সম্পূর্ণ  করতে  সমর্থ  হয়ে  উঠে  ৷  শ্লেইয়ারম্যাশার  কাছে  অনুভব  এর  অর্থ  ছিল  অসীম  এবং  গুরুত্বপূর্ণ   ৷  তাই  তিনি  বলেছেন  অনুভব  মানবীয়  যুক্তির  বিরোধী  নয়  কারণ  অনুভবই  মানুষকে  এক  কল্পনা  নির্ভর  নৈস্বর্গীক  উপলব্ধির  দিকে  নিয়ে  যেতে    পারে  মানুষকে  ৷ তার  মতে  এই  প্রক্রিয়ায়  মানুষের  মনে  অর্জিত  ঈশ্বরের  অনুভূতি  প্রতিটি  মানুষের  ভিতরের  গভীর  থেকে  উঠে  আসে , যা  কোনো  বস্তুগত  সত্যের  সঙ্গে  সংঘাত  সৃষ্টির  ফলে   উঠে     আসে  না  ৷  তবে  তিনি  এ ও  বলেছেন  যে , অনুভূতিই  শেষ  কথা    নয়  , কারণ একমাত্র  অনুভূতি  আবার   ধর্মের  পূর্নাঙ্গ  ব্যাখ্যা  দিতে  পারে  না  ৷  ফলে  যুক্তি  ও  অনুভব  উভয়ই  তাদের  অতীত  এক  বর্ণনাতীত  সত্তার  দিকে  নিয়ে  যায়  ৷  সর্বশেষে  শ্লাইমারম্যাশার  ধর্মের  মূল  সুরকে  এক  পরম   আত্ম-নির্ভরতার  অনুভূতি  হিসেবে  সংজ্ঞায়িত  করে  তার  বক্তব্য  শেষ  করেছেন  ৷
 

( সুত্র ; -  Schleiermacher: On Religion: Speeches to its Cultured Despisers (Cambridge Texts in the History of Philosophy)...

Apr 26, 1996
by Friedrich Schleiermacher and Richard Crouter


 
    

             ঈশ্বর  সম্পর্কিত  এইসব  পুরোনো  ধারণা  ত্রুটিপূর্ণ  ও  অপূর্ণ  বলে  ক্রমবর্ধমান  হারে  নিন্দিত  হচ্ছিল  ৷  তাই  দেখা  যায়  উনবিংশ  শতাব্দীর  প্রধান  দার্শনিকেরা  ঈশ্বরের  প্রচলিত  ধারণাকে  এক  চ্যালেঞ্জের  মূখে  স্থাপন  করেন  ৷ এইসব  দার্শনিকগণ  বোঝাতে  চেয়েছেন    কোনো  এক  সময়ে  ঈশ্বরকে  পরমসত্তা  না  বলে   “ কিছুই  না ” হিসেবে  বর্ণনা  করাই  সঠিক  হবে   ৷  যেহেতু  মানুষের  বোধগম্য  উপায়ে  ঈশ্বর  আর  এখন  অস্তিত্বমান  নয়  ৷  কারণ  পশ্চাত্যের  মানুষ  দীর্ঘ  দিনের  পথ  পরিক্রমার  ফলে  প্রাপ্ত  অভিজ্ঞতায়  এখন  বুঝেছেন  যে , ঈশ্বর  সংক্রান্ত  কল্পনা- নির্ভর  পূর্বের  ধারণাটি  বর্তমানে   হারিয়ে  গেছে  ৷

     জর্জ  উইলহেম  হেগেল ( ১৭৭০-১৮৩১ )

   (  (Georg Wilhelm Friedrich Hegel (German: [ˈɡeɔɐ̯k ˈvɪlhɛlm ˈfʁiːdʁɪç ˈheːɡəl]; August 27, 1770 – November 14, 1831) was a German philosopher, and a major figure in German Idealism. His historicist and idealist account of realityrevolutionized European philosophy and was an important precursor to Continental philosophy and Marxism.)
    

      ইহুদিবাদকে  অত্যান্ত  হীন  একটি  ধর্ম  বলে  বিবেচনা  করেছেন  ৷  তিনি  বলেছেন  প্রাচীন  বিশ্বে  ইশ্বরকে  বিশ্বাস  করাতে  মানুষ  সমাজে  যে  মহাভ্রান্তি  ঘটানো  হয়েছিল  তার  জন্যে  একক  ভাবেই  ইহুদিবাদ  দায়ী  ছিল  ৷  তিনি  আরো  বলেছেন  যে , ইহুদিদের  বিশ্বাসের  ঈশ্বর  আসলে  এক  স্বৈরাচারী  শাসক  ঈশ্বর , যে  ঈশ্বর  মানুষকে  এক  অসহনীয়  নিয়ম  ও  আইনের  মাধ্যমে  তার  ওপর  বিশ্বাসী  মানুষকে  প্রশ্নাতীত  ভাবে  তাঁর  কাছে  বশ্যতা  স্বীকারে  বাধ্য  করেছেন  ৷  তাই  সম্ভবত  ক্রিশ্চিয়ানদের  জেসাস  সমাজের  নারী  ও  পুরুষকে  এই  নীচতা  থেকে  উদ্ধারের  চেষ্টা     করেছিলেন  ৷    কিন্তু  ক্রিশ্চানরাও ইহুদি বিশ্বাসে  আস্থা  স্থাপন  করে   ইহুদিদের  মতো  এক  স্বর্গীয়  শাসকের  ধারণাকে  পুনঃপ্রতিষ্ঠিত  করে  ফেলেছে  ৷

      তার  মতে  এখন  সময়  হয়েছে  এইসব  বর্বর  ও  আদিম  উপাস্যকে  একপাশে  ছুঁড়ে  ফেলে  দিয়ে  মানুষের  এখন  মানবীয়  এবং  অধিকতর  আলোকিত  যুক্তিবাদী  ও  বাস্তবধর্মী  দৃষ্টিভঙ্গি  গ্রহণ  করা  এবং  তা  মানব  সমাজে  প্রতিষ্ঠা  করা  ৷  তখন  মানুষ  ও  আত্মা , সসীম  ও  অসীমকে  একই  সত্যের  দুটি  অংশ  হিসেবে  বিবেচনা  করতে  সক্ষম  হবে ,  আর   ইহা  পরস্পরের  সঙ্গে  ব্যাপকভাবে  নির্ভরশীল  ও  আত্ম-উপলব্ধির  একই  প্রক্রিয়ার  সঙ্গে  যুক্ত  হওয়া  সম্ভব  করে  তুলবে  ৷ তাই  হেগেল  কল্পনার  চেয়ে  যুক্তিকে  বেশি  গুরুত্ব  দিয়েছেন  ৷  তিনি  ঈশ্বরকে  মানুষ্যত্বেরই  একটি  আলাদা  মাত্রা  হিসেবে  বিবেচনা  করেছেন  ৷

      আর্থার  শোপেনহঅর  ( ১৭৮৮-১৮৬০ )  * হেগেলের  এই  দর্শনকে  গ্রহণযোগ্য  মনে  করেন  নি  ৷  আর্থার  মনে  করেন  পরম  সত্তা , ঈশ্বর  বা  আত্মা  বলে  এখন  আর  কোনো  কিছুই  বর্তমান  জগতে  ক্রিয়াশীল  নেই  ৷    আছে  শুধু  কেবল  বেঁচে  থাকার  মানুষের  এক  অদম্য  এবং  আদিম  ইচ্ছা ৷  ( দ্যা  ওয়ার্ল্ড  এজ  উইল  এন্ড  আইডিয়া )  তার  মতে  যেহেতু  মানুষকে  রক্ষা  করার  জন্যে  কোনো  ঈশ্বর  নেই  ,  তবে প্রয়োজন  আছে এমন  এক  শিল্পকলা , সঙ্গিত , এবং  নিস্বার্থ  আত্মত্যাগ  আর  সমবেদনার এক  অনুশীলন ,  যা  মানুষের  মাঝে  এক  অটল  ও অচঞ্চল  বোধ  জাগাতে  পারে  ,  অন্য  কোনো  উপায়ে  তা  করা  সম্ভব  নয়  একবারেই  ৷
* (Arthur Schopenhauer (German: [ˈaʁtʊʁ ˈʃɔpənˌhaʊ̯ɐ]; 22 February 1788 – 21 September 1860) was a German philosopher best known for his book, The World as Will and Representation (German: Die Welt als Wille und Vorstellung), in which he claimed that our world is driven by a continually dissatisfied will, continually seeking satisfaction. Influenced by Eastern philosophy, he maintained that the "truth was recognized by the sages of India";[2] consequently, his solutions to suffering were similar to those of Vedantic andBuddhist thinkers (e.g., asceticism). The influence of "transcendental ideality"[3] led him to choose atheism.[4][5][6][7]
At age 25, he published his doctoral dissertation, On the Fourfold Root of the Principle of Sufficient Reason, which examined the four distinct aspects[8] of experience in the phenomenal world; consequently, he has been influential in the history of phenomenology. He has influenced many thinkers, including Friedrich Nietzsche,[9] Richard Wagner, Otto Weininger, Ludwig Wittgenstein, Erwin Schrödinger, Albert Einstein,[10] Sigmund Freud, Otto Rank, Carl Jung, Joseph Campbell, Leo Tolstoy, Thomas Mann, and Jorge Luis Borges, among others )

      ডেনিশ  দার্শনিক  সোরেন  কিয়ের্কেগার্দ  ( ১৮১৩-৫৫ ) *  বলতে  বাধ্য  হয়েছেন  যে , মানুষের  প্রাচীনকালের  বিভিন্ন  অবাস্তব  বিশ্বাস  ও  মতবাদ  এক  পর্যায়ে  প্রতিমায়  পরিণত  হয়েছে   এবং   যা  পরে  ঈশ্বরের  এক  অনির্বচনীয়  সত্তার  বিকল্প  রূপ  নিয়ে  মানুষের  সামনে  আবির্ভূত  হয়েছে  ৷

* (Søren Aabye Kierkegaard (/ˈsɔrən ˈkɪərkəɡɑrd/ or /ˈkɪərkəɡɔr/; Danish: [ˈsɶːɐn ˈkiɐ̯ɡəɡɒːˀ] ( )) (5 May 1813 – 11 November 1855) was a Danish philosopher, theologian, poet, social critic, and religious author who is widely considered to be the first existentialist philosopher.[1] He wrote critical texts on organized religion, Christendom, morality,ethics, psychology and philosophy of religion, displaying a fondness for metaphor, irony and parables. Much of his philosophical work deals with the issues of how one lives as a "single individual", giving priority to concrete human reality over abstract thinking, and highlighting the importance of personal choice and commitment.[2] He was a fierce critic ofidealist intellectuals and philosophers of his time, such as Swedenborg,[3] Hegel, Goethe,[4] Fichte, Schelling, Schlegel, and Hans Christian Andersen.)


          জার্মান  দার্শনিক  লুদভিগ  আন্দ্রিয়াস  ফয়েরবাথ ( ১৮০৪-৭২ ) *  তার  রচিত  গ্রন্থ  দ্যা  এসেন্স  অভ  ক্রিশ্চানিটি ( প্রকাশ -১৮৪১ )  তে  তিনি   যুক্তি  সহকারে  বলেছেন যে , আসলে  ঈশ্বরের  ধারণা   স্রেফ  এক  মানবীয়  অভিক্ষেপ  ছাড়া  অন্য  কিছু  নয়  ৷  তাই    ঈশ্বরের  ধারণা  মানুষকে  তার   মানবীয়  অক্ষমতা  ও  দুর্বলতার  বিপরিতে  অন্য  এক  বিশ্বাসের  অসম্ভব  সম্পূর্ণতাকে  প্রতিস্থাপন  করেছে  ৷  যা  মানুষকে  তার  নিজস্ব  স্বভাব  বা  প্রকৃতি  থেকে  সম্পূর্ণভাবে  বিচ্ছিন্ন  করে  ফেলেছিল এই  বলে  যে ,   ঈশ্বর  হচ্ছেন  অসীম  আর  মানুষ  হচ্ছে  সসীম  :  ঈশ্বর  হচ্ছেন  সর্বশক্তিমান ,  আর  মানুষ  হচ্ছে  দুর্বল  ; অন্যদিকে  ঈশ্বরকে  পবিত্র  হিসেবে  আখ্যায়িত  করে   মানুষকে  পাপী  হিসেবে  চিহ্নিত  করা  হয়েছে    ৷ কারণ  পশ্চিমে  অগাস্তিনের  সময়  থেকে ঈশ্বরের ধর্মে  অপরাদ  ও  পাপ  ওপর  জোর  দেয়া  আরম্ভ  হয়েছিল  ৷  তাই  দার্শনিক  ফয়েরবাথ  এবং  দার্শনিক  অগাস্ত  কোতে ( ১৭৯৮-১৮৫৭ ) এর  মতো  অন্যান্য  দার্শনিক গণ  ও  একটি  যুক্তিক ও বিজ্ঞানবিত্তিক  ইতিবাচক  দৃষ্টিভঙ্গি  গ্রহণ  করেন  এবং  তাদের  নিজস্ব  মতামত  প্রকাশ  করে  বলেন  যে  , মানুষের  অতীতের  ব্যাপক  আস্তাহীনতা    সৃষ্টির  মূল  কারণ হচ্ছে        ধর্ম  ও  ঈশ্বরে  যুক্তিহীনভাবে  বিশ্বাস  স্থাপন  ,  যা  এখন  পরিত্যাগ  করার  সময়  হয়েছে  ৷   

* (Ludwig Andreas von Feuerbach (July 28, 1804 – September 13, 1872) was a German philosopher and anthropologist best known for his book The Essence of Christianity, which provided a critique of Christianity which strongly influenced generations of later thinkers, including both Karl Marx and Frederich Engels.
An associate of Left Hegelian circles, Feuerbach advocated liberalism, atheism and materialism. Many of his philosophical writings offered a critical analysis of religion. His thought was influential in the development of dialectical materialism,[1] where he is often recognized as a bridge between Hegel and Marx ).[2]

     মানব  সভ্যতার  এই  পর্যায়ে   বিভিন্ন  বৈজ্ঞানিক  আবিস্কার  মানুষকে  তাদের  পুরোনো  ধারার  ঈশ্বর  বিশ্বাসকে  প্রশ্নের  সম্মূখিন  করে  তোলে  ৷ 

        দার্শনিক  কার্ল  মার্ক্স  ( ১৮১৮-১৮৮৩ ) * মানুষের  ধর্মবিশ্বাসকে  আফিন  সেবনকারীর  সঙ্গে  তুলনা  করেছেন   ৷  তিনি  বলেন  ধর্ম  বিশ্বাস  সাধারণ  মানুষকে  তাদের  দুঃখ  ও  দূর্দশায়  পড়া  অবস্থা  থেকে  বের হয়ে  আসতে  না  দিয়ে  তাদেরকে তাদের  দুঃখ  দুর্দশার  প্রতি  সহনশীল  করে  তোলে  ৷  আর এই  ধর্মবিশ্বাস  যা  সাধারণ মানুষের   এই  অবস্থার  জন্যে যারা  দায়ী   সে  সব    স্বার্থবাদী  মানুষকে    দায়ী  না  করে  এর  দায়িত্ব  ঈশ্বরের  উপর  ফেলে  দিয়ে  সমাজের  সুবিধাভোগী  ও  স্বার্থবাদীদের  রক্ষা  করে  ৷  মার্ক্স  ঈশ্বর  বিশ্বাসকে  মানুষের  জন্যে  অপ্রাসঙ্গিক  বলে    এই  বিশ্বাসকে  নাকচ   করে  দিয়েছেন  ৷  তিনি  আরো  বলেছেন  যে , ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার  বাইরে  বিশ্বজগতে  অন্য  কিছুর  মূল্য  নেই , নেই  কোনো  তাৎপর্য  এমনকি  এর  কোনো  উদ্দেশ্যও  নেই  ৷  তাই  ঈশ্বরের  ধারণা  মানুষের  কোনো  উপকারে  আসতে  পারে  না  ৷  
   * (Karl Heinrich Marx (German pronunciation: [ˈkaɐ̯l ˈhaɪnʀɪç ˈmaɐ̯ks]; 5 May 1818 – 14 March 1883) was a German philosopher,economist, sociologist, historian, journalist, and revolutionary socialist. Marx's work in economics laid the basis for the current understanding of labour and its relation to capital, and has influenced much of subsequent economic thought.[4][5][6][7] He published numerous books during his lifetime, the most notable being The Communist Manifesto (1848) and Das Kapital (1867–1894).
Born into a wealthy middle-class family in Trier in the Prussian Rhineland, Marx studied at the University of Bonn and the University of Berlin where he became interested in the philosophical ideas of the Young Hegelians. After his studies he wrote for a radical newspaper in Cologne and began to work out the theory of the materialist conception of history. He moved to Paris in 1843, where he began writing for other radical newspapers and met Friedrich Engels, who would become his lifelong friend and collaborator. In 1849 he was exiled and moved to London together with his wife and children, where he continued writing and formulating his theories about social and economic activity. He also campaigned for socialism and became a significant figure in the International Workingmen's Association.)


    এই  সময়ে  চার্লস  লিয়েলের  প্রিন্সিপালস  অভ  জিওলজি ( ১৮৩০-৩৩ ) * এবং  বিবর্তনবাদী  চার্লস  ডারউইনের **  রচিত  গ্রন্থ  দ্যা  অরিজিন  অভ  স্পিসিস ( ১৮৪৯ )  প্রকাশিত  হয়  ৷   ফলে  যুক্তিবাদীদের  ধর্মীয়  বিশ্বাসের  ধারণাকে  পাল্টে  দেয়  ৷  কারণ  অধুনিক  ও  যুক্তিবাদী  এবং  বৈজ্ঞানিক  সৃষ্টিতত্ত্ব  ঈশ্বর  বিশ্বাস  ও  ধর্ম  বিশ্বাসের  ধারণার  ওপর  মারাত্মক  আঘাত  হানে  ৷    
    
  • (Sir Charles Lyell, 1st Baronet, FRS (14 November 179722 February 1875) was a British lawyer and the foremost geologist of his day. He is best known as the author of Principles of Geology, which popularised James Hutton's concepts of uniformitarianism – the idea that the Earth was shaped by the same processes still in operation today. Principles of Geology also challenged theories popularized by George Cuvier, which were the most accepted and circulated ideas about geology in England at the time.[1] Lyell was also one of the first to believe that the world is older than 300 million years, on the basis of its geological anomalies. Lyell was a close and influential friend of Charles Darwin.)

  ** (Charles Robert Darwin, FRS (/ˈdɑrwɪn/;[1] 12 February 1809 – 19 April 1882) was an English naturalist and geologist,[2] best known for his contributions to evolutionary theory.[I] He established that all species of life have descended over time from common ancestors,[3] and in a joint publication with Alfred Russel Wallace introduced his scientific theory that this branching pattern ofevolution resulted from a process that he called natural selection, in which the struggle for existence has a similar effect to theartificial selection involved in selective breeding.[4]
Darwin published his theory of evolution with compelling evidence in his 1859 book On the Origin of Species, overcoming scientific rejection of earlier concepts of transmutation of species.[5][6] By the 1870s the scientific community and much of the general public had accepted evolution as a fact. However, many favoured competing explanations and it was not until the emergence of the modern evolutionary synthesis from the 1930s to the 1950s that a broad consensus developed in which natural selection was the basic mechanism of evolution.[7][8] In modified form, Darwin's scientific discovery is the unifying theory of the life sciences, explaining thediversity of life.)

      ১৮৮২  সালে  দার্শনিক  ফ্রেডেরিথ  নিৎশে * রূপকের  আশ্রয়  গ্রহণ  করে  এক  পাগলের  মূখ  দিয়ে  ঈশ্বরের  প্রতীকি  মৃত্যু  ঘোষণা  করে  বসেন  এবং   এক  অতি  মানবের  জন্ম  দিয়ে মৃত  ঈশ্বরের  স্থান  পূর্ণ  করেন  ৷  তার  এই  ঘোষণা  যেন  মানবজাতিকে  এক শূন্য মহাবিশ্বে  ছুঁড়ে  দিল  আর  মানুষের  এতদিনের ঈশ্বরিক  দিক  নির্দেশনা ও  ঈশ্বরের সঙ্গে   হারিয়ে  গেল  ৷        তিনি  বলেন যে ,   যেহেতু  এখন  আর  ঈশ্বরের  অস্থিত্ব  বিদ্যমান  নেই  তাই  এই  বাস্তব  পৃথিবীই এখন  ঈশ্বরের  স্থান  পূর্ণ  করবে  ৷  তিনি  এক্ষেত্রেও  রূপকের  সাহায্য  নিয়ে  বলেছেন  , যা  কিছু  বিদায়  নেয়  , আবার  তা  ফিরে  আসে  ; যা  কিছুর  মৃত্যু  হয় , আবার  তার  জন্ম  হয়  ৷  যা  কিছু  ভাঙ্গে  তা  আবার  জোড়া  লাগে  ৷  তাই  এই  পৃথিবীই  একসময়  চিরন্তর  ও  স্বর্গীয়  রূপ  গ্রহণ  করবে ,    পূর্বে যা  ছিল  কেবল  এক  দূরবর্তী  ও  দুর্জ্ঞেয়  ঈশ্বরের  অধীনে  ৷   নিৎশে  বলেন  ক্রিশ্চান  ঈশ্বর  ছিলেন  অবাস্তব  ও  করুণার  যোগ্য ,  জীবনের  বিরুদ্ধে  এক  অপরাদের  স্বরূপ  ৷  যে  ঈশ্বর  মানুষের  আপন  দেহ , আবেগ  ও  যৌনতাকে  ভয়  করতে  নির্দেশ  দিয়েছে , ইত্যাদি  অনেক  কিছু  বলেছেন  তার  দ্যা  এম্টি  ক্রাইস্ট  ……গ্রন্থে  ৷ 
 * Friedrich Wilhelm Nietzsche (/ˈntʃə/[2] German: [ˈfʁiːdʁɪç ˈvɪlhɛlm ˈniːt͡sʃə]; 15 October 1844 – 25 August 1900) was a Germanphilologist, philosopher, cultural critic, poet and composer. He wrote several critical texts on religion, morality, contemporary culture, philosophy and science, displaying a fondness for metaphor, irony and aphorism.
Nietzsche's key ideas include the Apollonian/Dionysian dichotomy, perspectivism, the Will to Power, the "death of God", theÜbermensch and eternal recurrence. One of the key tenets of his philosophy is the concept of "life-affirmation," which embraces the realities of the world in which we live over the idea of a world beyond. It further champions the creative powers of the individual to strive beyond social, cultural, and moral contexts.[3] Nietzsche's attitude towards religion and morality was marked with atheism,psychologism and historism; he considered them to be human creations loaded with the error of confusing cause and effect.[4] His radical questioning of the value and objectivity of truth has been the focus of extensive commentary, and his influence remains substantial, particularly in the continental philosophical schools of existentialism, postmodernism, and post-structuralism. His ideas of individual overcoming and transcendence beyond structure and context have had a profound impact on late-twentieth and early-twenty-first century thinkers, who have used these concepts as points of departure in the development of their philosophies.[5][6] Most recently, Nietzsche's reflections have been received in various philosophical approaches which move beyond humanism, e.g.transhumanism.
Nietzsche began his career as a classical philologist—a scholar of Greek and Roman textual criticism—before turning to philosophy. In 1869, at age twenty-four, he was appointed to the Chair of Classical Philology at the University of Basel, the youngest individual to have held this position. He resigned in the summer of 1879 due to health problems that plagued him most of his life.[7] In 1889, at age forty-four, he suffered a collapse and a complete loss of his mental faculties. The breakdown was later ascribed to atypical generalparesis due to tertiary syphilis, but this diagnosis has come into question.[8] Re-examination of Nietzsche's medical evaluation papers show that he almost certainly died of brain cancer.[9] Nietzsche lived his remaining years in the care of his mother until her death in 1897, after which he fell under the care of his sister Elisabeth Förster-Nietzsche until his death in 1900.
As his caretaker, his sister assumed the roles of curator and editor of Nietzsche's manuscripts. Förster-Nietzsche was married to a prominent German nationalist and antisemite, Bernhard Förster, and reworked Nietzsche's unpublished writings to fit her own ideology, often in ways contrary to Nietzsche's stated opinions, which were strongly and explicitly opposed to antisemitism and nationalism (see Nietzsche's criticism of antisemitism and nationalism). Through Förster-Nietzsche's editions, Nietzsche's name became associated with German  )

      সিগম্যান্ড  ফ্রয়েড ( ১৮৫৬-১৯৩৯ ) * মানুষের  ঈশ্বরে  বিশ্বাসকে  এক  ভ্রান্তিবোধ  হিসেবে  বিবেচনা  করেছেন  এবং  আরো  বলেছেন  যে , পরিণত  বয়সের  নারী  ও  পুরুষদের  ঈশ্বরে  বিশ্বাস  করার  এখন  আর  প্রয়োজন  নেই  ৷ তিনি  মনে  করেন    মানুষের  ঈশ্বরের  ধারণা  সম্পূর্ণ  মিথ্যা  এবং  কাল্পনিক  একটি  ব্যাপার  যা  মানুষের  অবচেতন  মনের  এক  কৌশল  ভিন্ন  অন্য  কিছু  নয়  ৷  যাকে  আগেই  মনস্তত্ত্ব  দিয়ে  সরিয়ে  দেয়া  উচিত  ছিল  ৷  কারণ  ঈশ্বরের  আকাঙ্ক্ষা  মানুষের  এক  অভিক্ষেপ  মাত্র  ৷  মানুষ  প্রাকৃতির  কাছে  তার  অসহায়ত্বের  অনুভূতির  কারণে  ঈশ্বরের  উপাসনা  করে  ৷  ধর্ম  বিশ্বাস  ও  ঈশ্বর  বিশ্বাস  মানব  জাতির  শৈশবের  ব্যাপার    ছিল  ৷  যেহেতু  এখন  মানব  জাতি  পরিণত  হয়ে  ওঠেছে , তাই  এখন  এইসব  শৈশবের  বিশ্বাস  এবং  ধারণা  এবার  ত্যাগ  করা  উচিত  ৷  বর্তমানে  নয়া  যুক্তিবাদী  লোগোস- বিজ্ঞান  পুরোনো  ঈশ্বরের  স্থান  অধিকার  করতে  সমর্থ  ৷  তাই  এখন  মানুষের  উচিত  নৈতিকতার  নতুন  সংজ্ঞা  রচনা  করা  যা  মানুষকে  তার  মনের  আত্মঙ্কের  মোকাবেলায়  সাহায্য  করবে  ৷ 
    *  (  Sigmund Freud (German pronunciation: [ˈziːkmʊnt ˈfʁɔʏ̯t]; born Sigismund Schlomo Freud; 6 May 1856 – 23 September 1939) was an Austrian neurologist who became known as the founding father of psychoanalysis.
Freud qualified as a doctor of medicine at the University of Vienna in 1881,[2] and then carried out research into cerebral palsy, aphasia and microscopic neuroanatomy at the Vienna General Hospital.[3] He was appointed a university lecturer inneuropathology in 1885 and became an affiliated professor (professor extraordinarius) in 1902.[4][5]
In creating psychoanalysis, a clinical method for treating psychopathology through dialogue between a patient and a psychoanalyst,[6] Freud developed therapeutic techniques such as the use of free association and discovered transference, establishing its central role in the analytic process. Freud’s redefinition of sexuality to include its infantile forms led him to formulate the Oedipus complex as the central tenet of psychoanalytical theory. His analysis of dreams as wish-fulfillments provided him with models for the clinical analysis of symptom formation and the mechanisms of repression as well as for elaboration of his theory of the unconscious as an agency disruptive of conscious states of mind.[7] Freud postulated the existence of libido, an energy with which mental processes and structures are invested and which generates erotic attachments, and a death drive, the source of repetition, hate, aggression and neurotic guilt.[8] In his later work Freud developed a wide-ranging interpretation and critique of religion and culture.
Psychoanalysis remains influential within psychotherapy, within some areas of psychiatry, and across the humanities. As such, it continues to generate extensive and highly contested debate with regard to its therapeutic efficacy, its scientific status, and whether it advances or is detrimental to the feminist cause.[9] Nonetheless, Freud's work has suffused contemporary Western thought and popular culture. In the words of W. H. Auden's poetic tribute, by the time of Freud's death in 1939, he had become "a whole climate of opinion / under whom we conduct our different lives".  ) 

     তবে  বহু  পাশ্চাত্যবাসীর  মতো  ফ্রয়েডও  মানুষের  অন্তরের  ঈশ্বর  সম্পর্কে  যথেষ্ট  সজাগ  বা  সচেতন  ছিলেন  না  ৷ এর  পরও  তিনি বলেছেন  হঠাৎ  করে  মানুষের  ধর্মবিশ্বাস  ধ্বংস   হলে  তা  মানুষের  জন্যে  বিপদজ্জনক হতে  পারে   বলে  তিনি  এক  বৈধ  এবং  বুদ্ধিগ্রাহ্য  যুক্তি  দেখিয়েছেন    তিনি  আরো  বলেছেন  যে  , মানুষকে  এক  স্বাভাবিক  প্রক্রিয়ায়  মাধ্যমে  যথাসময়ে ঈশ্বরকে  অতিক্রম  করতে  হবে     মানুষ  মানষিক  ভাবে  প্রস্তুত  হওয়ার  আগে  জোর  করে  মানুষের  দীর্ঘদিনের  বিশ্বাস  ভঙ্গ  করার  চেষ্টা  করলে   সমাজে    এক  অস্যাস্থ্যকর    ভয়ানক  উত্তেজক  পরিস্থিতির  সৃষ্টির  আশংকা  প্রকাশ  করেছেন  তিনি     

       এই  প্রসঙ্গে  দার্শনিক  আলফ্রেড  এডলার  (১৮৭০-২৯৩৭ ) *  ঈশ্বর  সম্পর্কে  ফ্রয়েডিয়  দৃষ্টিভঙ্গির  সঙ্গে  একমত  পোষন  করেও  বলেছেন  ধর্মীয়  ও  ঈশ্বরে  বিশ্বাস  মানুষের  জন্যে  এখনও  উপকারী   এবং  অসাধারণ  ও  কার্য্যকর  প্রতীক  হয়ে  সমাজে  বিদ্যমান  আছে  ৷
  * (Alfred W. Adler[1] (February 7, 1870 – May 28, 1937) was an Austrian medical doctor, psychotherapist, and founder of the school of individual psychology.[2] His emphasis on the importance of feelings of inferiority[3]—the inferiority complex—is recognized as isolating an element which plays a key role in personality development.[4] Alfred Adler considered human beings as an individual whole, therefore he called his psychology "Individual Psychology" (Orgler 1976).
Adler was the first to emphasize the importance of the social element in the re-adjustment process of the individual and who carried psychiatry into the community. )
     

      সি . জি. জংয়ের  ( ১৮৭৫-১৯৬১ ) কাছে  ঈশ্বর  অতিন্দ্রীয়বাদীদের  ঈশ্বরের  মতই  এক  মনস্তাত্ত্বিক  সত্য  ছিল  যিনি  প্রত্যেক  বিশ্বাসীদের  অন্তরে  অনুভূত  হয়ে  থাকেন  বলে  তিনি  বিশ্বাস  করতেন  ৷ তাই  তিনি  বলেছেন  যে , সত্তার  গভীরে  রহস্যময়  ভাবে  মানুষর  অস্তিত্বের  সঙ্গে  মিশে  থাকা  একজন  অভ্যন্তরীণ  ঈশ্বর  সাইকোএনালিস্টিক  বিজ্ঞানের  মুখেও  ঠকে  যেতে  পারেন ৷   অন্যদিকে  প্রকৃতই  চিরন্তর  অপরিপক্কতাকে  উৎসাহিতকারী    অধিকতর  মানবীয়  গুণাবলী  সম্পূর্ণ ( Anthropomorphic )   উপাস্য   নাও  টিকতে  পারে  বলেও  তিনি  মন্তব্য     করেছেন  ৷     

      সংশয়বাদী  ভিক্টোরিয়ান  কবি  আলফ্রেড  লর্ড  টেনিসন  *  তার  রচিত  কবিতা- ইন  মেমোরিয়া, লিড  এ  বলেছেন  তার  বিশ্বাস  ভেঙ্গে-চুরে  যাচ্ছে  আর  তিনি  স্বয়ং  পরিণত  হয়েছেন -
                             “ রাতে  ক্রন্দনরত  শিশুতে ;
                                 আলোর  জন্যে  ক্রন্দনরত  শিশু
                                 কান্না  বাদে  আর  কোনো  ভাষা  নেই” ৷  
* (Alfred Tennyson, 1st Baron Tennyson, FRS (6 August 1809 – 6 October 1892) was Poet Laureate of Great Britain and Ireland during much of Queen Victoria's reign and remains one of the most popular British poets  )

              আর  কবি  ম্যাথু  আরনল্ড  * মানবজাতিকে  অন্ধকারাছন্ন অবস্থা  বিস্তারে  দিশেহারা  অবস্থায়  ছেড়ে  দেওয়া  বিশ্বাসের  সাগরের  অপ্রতিরোধ্য  প্রত্যাহারের  বিলাপ  করেছেন তা  ডোভার বীচ  করিতায়  ৷
   * (Matthew Arnold (24 December 182215 April 1888) was an English poet and cultural critic who worked as an inspector of schools. He was the son of Thomas Arnold, the famed headmaster of Rugby School, and brother to bothTom Arnold, literary professor, and William Delafield Arnold, novelist and colonial administrator. Matthew Arnold has been characterised as a sage writer, a type of writer who chastises and instructs the reader on contemporary social issues)
     
      উপরের  আলোচনায়  একটি  বিষয়  স্পষ্ট হয়েছে  যে , দোদূল্যমানতা  ও  বিশ্বাস  পরিত্যাগের  অস্পষ্ট  বোধ  বিংশ  শতাব্দীর  কবি , সাহিত্যিক  ও  দার্শনিকদের  তাড়া  করে  বেরিয়েছে  ৷  আর  এর  পরিত্যক্ত  ভূমির  ইমেজারির  জন্যে  মানুষের  প্রতিক্ষা  নিয়ে ,  যিনি  আর  কখনও  আবির্ভূত  হতে  হবে  না  , এই  বিশ্বাস  মানুষের  মনে  জন্মেছে  ৷
 



  (  সূত্র; ক্যারেন  আর্মস্ট্রং  রচিত  এবং  শওকত  হোসেনের  অনুবাদ  করা
       স্রষ্টার  ইতিবৃত্ত  বইয়ের  দশম  অধ্যায়ের  কিছু  অংশ  অবলম্বনে  এই
              লেখাটি  তৈরি  করা  হয়েছে  এবং  লেখকদের  পরিচিতি  Wikipedia  থেকে
         সংযুক্ত  করা  হয়েছে  )

 





মন্তব্যসমূহ