গড হেলমেট
তৈরির ইতিহাস :
গড হেলমেটের
নাম প্রথমে ছিল করেন হেলমেট
( Koren Helmet ) ৷ কানাডার লাউরেনটিনা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ষ্টেইনলি করেন ( Stenley Koren ) প্রথমে ইহা তৈরি করেন এবং তার নামানুসারে এটার নাম রাখা হয়েছিল
করেন হেলমেট ৷ তবে ঐ করেন
হেলমেট
বা গড হেলমেটের
স্পেসিফিকেশন করেছিলেন এই প্রজেক্টের পরিচালক
ডা: মাইকেল পেরসিনগার ( Dr. M.A,
Persinger ) ৷
তবে মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে এর পূর্ব ইতিহাস জানা প্রয়োজন
৷ ইংল্যান্ডের ওয়েষ্ট
ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও মনোবিজ্ঞানী
সুসান ব্ল্যাকমোর মানুষের
মরণ-প্রান্তিক ( near death
Experiences ) বিষয়ে অনেক গবেষণা করেন এবং এই বিষয়ে তিনি অনেক অভিজ্ঞতা ও অর্জন করেন ৷
ফলে এক পর্যায়ে তিনি ঈশ্বর বিশ্বাস
, অলৌকিকতা , ধর্মবিশ্বাস এবং পরজগত বা পৌরলৌকিকতা ইত্যাদি
সম্বন্ধে সংশয়ী হয়ে ওঠেন ৷ তখন তিনি এই সব বিষয় নিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে অনুসন্ধান
করেন এবং এই সব বিষয়ে তার প্রাপ্ত
অভিজ্ঞতা এবং তথ্যাদি
তিনি তখন তার রচিত বই - ডাইং
টু লিভ , এন সার্চ অব দ্যা লাইট
, মীম মেশিন নামক বিভিন্ন বইয়ে লিপিবদ্ধ করেন ৷
তিনি ১৯৯৩ সালে তার প্রকাশিত বই - ডাইং
টু লিভ: নিয়ার ডেথ , এক্সপেরিয়েন্স
গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন
যে , সত্ত্বর দশকে তিনি যখন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন সে সময়ে তিন বন্ধুর সঙ্গে মিলে
তিনি মারিজুয়ানা নামক ড্রাগ সেবন করেন ৷ এর ফলে তিনি কল্পনায়
আউট অব বডি হয়ে যান এবং নতুন এক অভিজ্ঞতা
অর্জন করেন ৷ তিনি তখন দেখেন একটা ট্যানেলের মধ্যে দিয়ে তিনি ভেসে যাচ্ছেন
৷ পরে তিনি অক্সফোরর্ডের বিল্ডিং
এর ভেতর থেকে ভেসে বাহিরে
চলে আসেন এবং এইভাবে ভাসতে ভাসতে একবারে
আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্কে
পৌঁছে যান ৷ তার পর ড্রাগের এফেক্ট
চলে যায় এবং তিনি আবার নিজ দেহে ফিরে আসেন ৷
এরপর পরবর্তীকালে
তিনি স্নায়ু- রাসায়ন , শরীর বিজ্ঞান
এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে অনেক গবেষণা
করেন ৷ আর এর ফলাফল জানাতে
গিয়ে তিনি এইসবের একটি বিশ্লেষণ তৈরি করে জানান যে
, মরন
প্রান্তিক ( near death experience
) অভিজ্ঞতাগুলোতে কোনো পরকালের
অস্তিত্বের প্র্রমান মেলে না
৷
ইহা শুধু মানুষের বা ব্যক্তি বিশেষের
মস্তিষ্কের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া মাত্র ৷ যখন এই ব্যাপার
নিয়ে যারা গবেষণায়
নিয়োজিত ছিলেন তাদেকে
প্রশ্ন করা , তবে কেন
near death Experience বা মরণ প্রান্তিক অভিজ্ঞতা
প্রাপ্তরা কেবল ট্যানেল
বা সুরঙ্গ পথ দেখেন ? এর জবাবে মনোবিজ্ঞানিরা বলেন যে
, সুরঙ্গ দর্শন আসলে কোনো মরণ প্রান্তিক ব্যাপার
নয় ৷ ইহা ইহজগত ও পরজগতের সংযোগ পথও নয় ৷ নয় কোন অপার্থিব এর ইঙ্গিত ৷৷ তারা বলেন মৃগী রোগীরা যখন মাইগ্রেনের ব্যাথায়
ভোগেন তখন অনেকে সুরঙ্গ পথ দেখে থাকেন ৷ এর কারণ হিসেবে
বলা হয় একজন মানুষের মস্তিষ্ক
যখন খুবই ক্লান্ত
ও শান্ত থাকে অথবা যখন কেউর চোখের উপর অত্যাধিক
চাপ পড়ে কোনো কারণে , তখন যে কেউ এরকম দৃশ্য দেখে থাকতে পারেন ৷ আবার কিছু ড্রাগ , যেমন- এল, এস , ডি , সাইলোকিবিন বা মেসকালিনের
মতো ড্রাগ কেউ যখন সেবন করে তখন এর প্র্রতিক্রিয়ায় এই রকম অভিজ্ঞতা
অনেকে সেবনকারীর হতে পারে ৷
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ু- জীব বিজ্ঞানী জ্যাক কোয়েন
( Jack Cowan ) ১৯৮২ সালে এই পুরা প্রক্রিয়াটিকে একটি চিত্রের
মাধ্যমে
এবং গাণিতিক মডেলের
সাহায্যে ব্যাখ্যা করেন ৷ তার এই ব্যাখ্যা
থেকে জানা যায় যে , কর্টেক্সে ডোরা দাগ থাকলে তা আমাদের
চোখে অনেকটা spiral
বা কুণ্ডলি আকারে রূপ নেয় ৷ তখন যে কোনও বক্ররেখাকে কুণ্ডলি
আকার বলে বিভ্রম
হয় , যদিও বক্ররেখাগুলো
এক একেকটি বৃত্তের
আকারে থাকে ৷ তাই তার মতে মরণ প্রান্তিক
বা নিয়ার ডেথ অভিজ্ঞতা ও প্রায় একই রকম বিভ্রমের
জন্ম দেয় মস্তিষ্কের
মধ্যে যে রকম বক্ররেখার ক্ষেত্রে
হয়েছে ৷ তাই ড্রাগ সেবননের
ফলে , কিংবা অত্যাধিক মানুষিক
টেনশনে অথবা কোনো কারণে রক্তে অক্সিজেনের পরিমান
কমে গেলে ভিজুয়েল
কর্টেক্সের গতিপ্রকৃতি বাধা প্রাপ্ত হয়ে থাকে ৷ আর ঐ সময়ে কেউ কেউ নিজের অজান্তেই
ট্যানেল সাদৃশ প্যাটার্নের
সুড়ঙ্গ পথের দর্শন পেয়ে থাকেন ৷ আর ইহাই
মরণ
প্রান্তিক বা নিয়ার ডেথ অভিজ্ঞতার
সময় সুরঙ্গ বা ট্যানের
সাদৃশ দৃশ্য দেখার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
৷
আর দেশ কাল ও সমাজ ও সাংস্কৃতির কারণে বিভিন্ন জনে ভিন্ন ভিন্ন দিব্য্ দর্শন
পেতে পারেন ৷ তাই খ্রিস্টিয়
সমাজে যারা বড় হয়েছেন তারা হয়ত যিশুখ্রিস্টের
দেখা পাবেন বা খ্রিস্টধর্ম বিশ্বাসের
বর্ণনা পাবেন ৷ এই রূপ হয়ত হিন্দুরা
তাদের ধর্মের কিছুর দিব্য দর্শন পাবেন ৷ মুসলিমরাও অনুরূপ
কিছুর দিব্য দর্শন লাভ করবেন ৷ তাই এরকম দিব্য-দর্শন
বা সুরঙ্গ দর্শন এমনকি ঈশ্বর দর্শন কোন সত্য বা বাস্তব ঘটনা নয় ৷ গবেষণায় বৈজ্ঞানিকেরা
প্রমাণ করেছেন এ সব ঘটনার উৎস আসলে মানুষের মস্তিষ্কই
, অন্য কিছু নয় ৷
এই সব বৈজ্ঞানিক গবেষণার
ধারাবাহিকতায় ১৯৫০ সালের দিকে উইন্ডার
পেন ফিল্ড নামের এক নিউরো- সার্জেন মানুষের
মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোবে যখন ইলেক্ট্রোড
ঢুকিয়ে মস্তিষ্কের এই অৎশকে ইলেক্ট্রিকেলী
উদ্দীপ্ত করতেন এবং লক্ষ্য রাখতেন
রোগীরা কি করেন বা কি বলেন
৷ তখন তাকে কেউ কেউ বলেছেন তারা নাকি এই সময়ে নানা ধরনের গায়েবি
আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন
৷ যা উপরে উল্লেখিত দিব্য-দর্শনের
অনুরূপ ৷ এরপর ১৯৭৫ সালে বস্টোন ভেটেরান্স
এডমিনিষ্টেশন হসপিটালের স্নায়ু
বিশেষজ্ঞ নরমান গেইচ উইন্ড এক গবেষণায় দেখতে পান যে , এপিলিপসি
রোগ বা মৃগী রোগের সঙ্গে মামুষের মস্তিষ্কের
টেম্পোরাল লোবের একটা সম্পর্ক আছে ৷ টেম্পোরাল
লোবকে তিনি বিদ্যুতিকভাবে
উদ্দীপ্ত করে তিনি এটা জানতে পারেন বলে তিনি জানান ৷
পরবরর্তিতে এরই ধারাবাহিকতায়
ক্যালিফোরনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুররোগ
বিশেষজ্ঞ ভিলায়ানুর এস রামাচান্দন তার এক গবেষণায়
প্রকাশ করেন যে , কোনো
মৃগীরোগীর মস্তিষ্কের টেম্পোরাল
লোবকে বৈদ্যুতিকভাবে উদ্দীপ্ত
করতে কেউ সক্ষম হলে ঐ রোগী তখন দব্য-দর্শন
, ঈশ্বর দর্শন বা গায়েবী
ওহী প্রাপ্তির মতো ধর্মীয় অভিজ্ঞতার
আস্বাদন কেউ কেউ পেয়ে থাকে ৷
এই ধরনের গবেষণার ফলাফল দেখে কানাডার
লরেন্টিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
মাইকেল পারসিঙ্গার এই ব্যাপারটি নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন ৷ তিনি চিন্তা
করে ঠিক করেন যে
, যদি
মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোবকে বৈদ্যুতিকভাবে উদ্দীপ্ত
করে এবং বিদ্যুত
প্রবাহের পরিমানের তারতম্য
সৃষ্টি করে মানুষের
মস্তিষ্কে ধর্মীয় আবেগের
বা প্রণোদনার সৃষ্টি
করা মম্ভব হয় , তবে উল্টোভাবে
এই টেম্পোরাল লোবকে উদ্দীপ্ত করে কৃত্রিম ভাবে মানুষের মস্তিষ্কে ধর্মীয় প্রণোদনার আবেগ সৃষ্টি করা সম্ভব ৷
তাই অনেক গবেষণা
ও প্রচেষ্টার পর তিনি মস্তিষ্কের
টেম্পোরাল লোবকে
কৃত্রিমভাবে উদ্দীপ্ত করে ধর্মীয় আবেগ এবং দিব্য দর্শন বা গায়েবী অভিজ্ঞতা
লাভের উদ্দেশ্যে যে ডিভাইস তৈরি করেন তাকে প্রথমে তার নামানুসারে করেণ হেলমেট নাম দেয়া হয় ৷
পরে যখন মানুষের
মস্তিষ্কে God Spot আবিষ্কৃত হয় এবং ইহার পরিক্ষা নিরিক্ষার
কাজে এই হেলমেটের
ব্যবহার আরম্ভ করা হয় তখন
থেকে করেন হেলমেটকে
গড হেলমেট বলা হচ্ছে ৷
এই
হেলমেট ব্যবহার করে মানুষের মস্তিষ্ক ধর্মের
ব্যাপারে কি ভূমিকা
পালন করে বৈজ্ঞানিকেরা
তা জানতে চেষ্টা
করেছেন ৷ তাই এই হেলমেটকে গড হেলমেট
( God Helmat ) নামে নাম করণ করা হয়েছে এখন
৷
করেন হেলমেটে
কিছু ম্যাগনেটিক সিগন্যাল ব্যবহার
করা হয়েছে ৷ যে ব্যক্তির মস্তিষ্কে
এই গড হেলমেট
ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বসানো হবে তখন ঐ ম্যাগনেটিক
ফিল্ড ইল্কেট্রিক্য্যাল ফিল্ডে
রূপান্তরিত হয়ে ব্যবহারকারীর
মস্তিষ্কের তথ্যাবলী সংগ্রহ
করতে সক্ষম হবে এই হেলমেট
ব্যবহারের কারণে ৷ তবে অন্ধকার এবং নিশ্চুপ রুমে এটি ব্যবহার
করতে হয় ৷ আর মানুষের
মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোবের সঙ্গে
যে পয়েন্টে পারিয়েটেল
লোব এর যুক্ত হয়েছে ঠিক সেই পয়েন্টের
বা স্থানের উপর হেলমেটকে বসাতে হয় ৷
এই হেলমেট মাথায় পরে বসলে ব্যবহার কারির একটি রিলিজিয়াস
এক্সপেরিয়েন্স আহরণ করা নাকি সম্ভব হয় ! এখন পর্যন্ত
প্রায়
৫/৬ শত লোকের উপর
এই হেলমেট মাথায় বসিয়ে পরীক্ষা
চালানো হয়েছে ৷ তাদের মধ্যের
৮০ শতাংশের মধ্যেই
নাকি এক ধরনের অপার্থিব
অনুভূতি লক্ষিত হয়েছে বলে গবেষকরা
জানিয়েছেন ৷ এক মহিলা বলেছেন
তিনি তার মৃত মায়ের সাক্ষাত
পেয়েছেন ৷ কেউ কেঊ বলেছেন
তারা অনুভব করেছেন এক অশরীরী
স্পিরিট যেন তাদের উপর নজরধারী
করতেছিল তাদের হেলমেট
পরিহিত অবস্থায়
৷ অনেকে আবার মূত আত্মিয়দের
সঙ্গে দেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন
৷ এক ব্রিটিশ
সাংবাদিক আয়ান কটন বলেছেন ঐ পুরো সময়টাই
নাকি তিনি একজন তিব্বতীয় ভিক্ষু
ছিলেন বলে তার বিভ্রম হয়েছিল
৷ আর বিজ্ঞানী
সুসান ব্ল্যাকমোর বলেছেন
তিনি যখন হেলমেট
মাথায় দিয়ে বসেন তখন তার মনে হয়েছে কেউ যেন তাকে পা ধরে টানছে এর পর তাকে ধাক্কাদিয়ে
দেওয়ালের ওপর ফেলে দেয় ৷ তখন তিনি ভীত হয়ে পড়েছিলেন ৷ এই রকম অনেক অভিজ্ঞতার
অর্জন করতে অনেকে সক্ষম হয়েছেন
বলে পরীক্ষাকারীদের জানিয়েছেন ৷
এই পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করার পর বৈজ্ঞানিক
পারসিঙ্গার মন্তব্য করেছেন যে , ঈশ্বর মানুষের
মস্তিষ্ক তেরি করেন নি , বরং মানুষই সৃষ্টি
করেছে শক্তিমান ঈশ্বরের
৷ ২০০২ সালে নাইট মেগাজিন
পত্রিকায় তার এই গবেষণার ফল ও মন্তব্য
প্রকাশিত হয়েছে ৷ এর পরে ও আরো অনেক
গবেষণা হয়েছে ৷ এদের মধ্যের দু’জন বলেছেন তারা যিশুখ্রিস্ট এবং গডকে উপলব্দি
করতে পেরেছেন ৷ এখন ও
আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা
চলছে , হয়ত ভবিষ্যতে
আরো নতুন নতুন তথ্য
জানা
যাবে ৷
সূত্র; অভিজিত রায় ও রায়হান আবীর রচিত গ্র্রন্থ
অবিশ্বাসের দর্শন বইয়ের পঞ্চয় অধ্যায় থেকে এবং
ইনটারনেট থেকে ঐ লেখার ধারণা ও তথ্যাবলী
সংগ্রহ করা হয়েছে ৷
( SOME MORE INFORMATION ; )
more information from internet ;
BioEd Online reports on the scientific study that
failed to replicate Persinger's claims:
A group of Swedish researchers has now repeated the work, but
they say their study involves one crucial difference. They ensured that neither
the participants nor the experimenters interacting with them had any idea who
was being exposed to the magnetic fields, a 'double-blind' protocol. Without
such a safeguard, "people in the experimental group who are highly
suggestible would pick up on cues from the experimenter and they would be more
likely to have these types of experiences," says Pehr Granqvist of Uppsala University , who led the research team.
Beyond the double-blind aspect, Granqvist says the nuts and
bolts of the experiment mirrored those conducted in the past. He and his
colleagues tested 43 undergraduate students by exposing them to magnetic fields
that ranged from 3 to 7 microtesla and were aimed just above and in front of
the ears, to target the temporal lobes.
They also tested a control group of 46
volunteers who wore the helmet but were not exposed to the magnetic field. The
volunteers were then asked to complete questionnaires about what they
experienced during each session. The researchers report their results online in Neuroscience
Letters.
In contrast to the results from Persinger and others, the team
found that the magnetism had no discernible effects. Two out of the three
participants in the Swedish study that reported strong spiritual experiences
during the study belonged to the control group, as did 11 out of the 22 who
reported subtle experiences.
Granqvist acknowledges that this seems to be quite a high level
of spiritual experiences overall, but says that it matches the level that
Persinger saw in his control groups.
The researchers say they do not know what neurological mechanism
could be generating the experiences. However, using personality tests they did
find that people with an orientation toward unorthodox spirituality were more
likely to feel a supernatural presence, as were those who were, in general,
more suggestible.
It seems obvious that further research needs to be done before
we attribute the results in Persinger's lab to magnetic pulses. It may well be
the case that changes in the brain lead people to have what they describe as
"mystical" experiences. These changes may be due to magnetic or
electrical pulses, desires, thoughts, suggestions, or a host of other factors,
including drugs and neurochemicals.
The god helmet, however, won't deserve its name until much more
substantial evidence is provided by researchers other than Michael Persinger,
who is not really the most unbiased person in the room.
If the reader is wondering why Persinger would think stimulating the temporal
lobes would induce a "spiritual" experience, it is probably because
there have been many reports of those with temporal lobe epilepsy experiencing such things as
"oneness with everything ( for more .. interested readers may click this TEMPORAL LOBE EPILEPSY ) more information from internet ;
|
|
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন