ইসলামের ইতিহাসের আলোকে নবীজী (সঃ)এর দাম্পত্য জীবন , বিয়ে , পারিবারিক কলপ এবং শিয়া ও সুন্নি ধারার বিকাশের প্রাথমিক সূত্রপাতের কাহিনী :
ইসলামের ইতিহাসের
আলোকে নবীজী ( সঃ) এর দাম্পত্য জীবনের কাহিনী
এবং ইসলামে
শিয়া ও সুন্নি
ধারার বিকাশের প্রাথমিক সূত্রপাতের
কাহিনী :
( ২য় পর্ব )
( সুন্নি ইসলাম : ইসলামের সংখ্যাগরিষ্ঠরা যারা পয়গম্বর
মুহাম্মদের ( সঃ ) স্বভাব ও ধর্মীয় অনুশীলনের রীতি বা সুন্নাহ্ মেনে চলে তারাই সুন্নি মুসলিম বা সুন্নি নামে পরিচিত ৷ সুন্নিরা শিয়াদরকেও
মুসলিম হিসেবে মানে কিন্তু মুসলিম শাসকদের পয়গম্বর মুহাম্মদ
( সঃ) ও তাঁর মেয়ের জামাই আলী ইবনে আবি তালিবের বংশধরদের থেকেই যে মুসলিম সম্প্রদায়ের শাসক নিযুক্ত হতে হবে সুন্নিরা সেটা
বিশ্বাস করে না ৷ যেমন শিয়ারা বিশ্বাস করে ৷
শিয়া ইসলাম :
ইসলামের সংখ্যালঘু গোষ্ঠি যারা সুন্নি থেকে ধর্মতত্তীয় ভাবে ভিন্ন , কিন্তু আন্তরিক ভাবে বিশ্বাস করে যে পয়গম্বর মুহাম্মদের ( সঃ ) একমাত্র বংশধরদেরই মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতূত্ব দেয়া উচিত ৷ এই চিন্তাধারার অনুসারীদেরকে শিয়া বা
শিয়ামুসলিম নামে অভিহিত করা হয় ৷ শিয়ারা বিশ্বাস করে যে খলিফাদের নির্বাচনে পয়গম্বরের নিকট পুরুষ আত্মীয় আলীকে নির্বাচন করা উচিত ছিল ৷ শিয়ারা বেশ কয়েকজন
( ৬জন বা ১২ জন ) ঈমামকে মানে , যারা আলী বা ফাতেমার প্রত্যক্ষ
পুরুষ
বংশধর
বা
তাদের
মনোনিত কোনো ইমাম ৷ তবে সুন্নি ও শিয়াদের মত পার্থক্য সম্পূর্ণ
রাজনৈতিক , ধর্মীয় বিশ্বাসে
কোনো
পার্থক্য নাই ৷ )
প্রথম
পর্বে লেখা হয়েছে নবীজী
(সঃ) প্রমানিত ও সর্বমহলে
স্বীকৃত বিয়ের সংখ্যা নিয়ে এবং এসব
বিয়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করা হয়েছ
৷ তবে প্রথমদিকের রচনায় ঐতিহাসিকরা
নবীজীর বিভিন্ন গোত্রের
বিয়ের ফলে গোত্রে
গোত্রে যে সামাজিক ও ধর্মীয়
সম্প্রিতি ও মিত্রতা বৃদ্ধি
পেয়েছিল সে দিকটা শুধু
সামনে
এনেছেন এবং ভাল ভাল সব
দিকের বর্ণনা করেছেন
৷ কিন্তু নবীজীর
হারেমের স্ত্রীদের মতানৈক্য
যে একপর্যায়ে মূল ইসলাম ধর্মেতেই
বিভাজনের সৃষ্টি করেছে এবং ইসলাম ধর্মে শিয়া ও সুন্নি
ইসলামী ধারার বিকাশকে
তরান্তিত করেছে তা হয়ত প্রাথমিক
পর্যায়ে ভাবা হয় নি বা গুরুত্ব
সহকারে দেখা হয় নি ৷ পর্বতীতে
যা বাস্তবে পরিণত হয়েছে ৷ এ ছাড়া নবীজীর হারেম এবং পারিবারিক
ও দাম্পত্য সঙ্কট কত গভীর আকার ধারণ করেছিল তা এসব ব্যাপার
নিয়ে পবিত্র কোরানে
নাযিল হওয়া নিম্ন লিখিত আয়াত থেকে একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব
! নবীজী যে এক পর্যায়ে পৌঁছার পর
তাঁর পরিবার বা স্ত্রীদের
নিয়ে কত
অসহায় হয়ে পড়েছিলেন
তা নিম্ন লিখিত কোরআনের বিভিন্ন
সুরার বিভিন্ন সময়ে নাযিল হওয়া আয়াত থেকে উপলব্দি করা যায়
৷
তবে এখানে মূল এবং এসব নিয়ে কোরানে
সরাসরি যে সব আয়াত বিভিন্ন
সুরাতে নাযিল হয়েছে ,
তাঁরই উল্লেখ করা হয়েছে নিম্নে
৷
এই পর্যায়ে
কোরআনের ৩৩ নং সুরা আহজাব
এর ৪
নং এবং ৩৬ থেকে ৪০ নং আয়াত নাযিল হয় ৷
আয়াত নং ৪ এ বলা হয়েছে
-
“ আল্লাহ্ কোনো মানুষের দুটু হৃদয় সৃষ্টি
করেন নি ৷ তোমাদের স্ত্রীরা
যাদের সাথে তোমরা জিহার করেছ ( মা
বলে ডেকেছ ) , তাদেরকে তিনি তোমাদের মা করেন নি ; আর পোষ্যপুত্র
যাদেরকে তোমরা পুত্র বল
, আল্লাহ্ তাদেরকে তোমাদের
পুত্র করেন নি ৷ এগুলো কেবল তোমাদের
মুখের কথা ৷ সত্য কথা আল্লাহ্
ই বলেন , আর তিনিই সরল পথ নির্দেশ করেন” ৷
আয়াত ৩৬ এ বলা হয়েছে
- ‘ আল্লাহ্ ও তাঁর রসুল কোনো বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোনো বিশ্বাসী
পুরুষ বা নারীর সে-বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অধিকার
থাকবে না ৷ কেউ আল্লাহ্
ও তাঁর রসুলকে
অমান্য করলে সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট
হবে ’ ৷
আয়াত ৩৭ এ বলা হয়েছে
- “ স্মরণ করো , আল্লাহ্ যাকে অনুগ্রহ করেছেন
ও তুমিও যাকে অনুগ্রহ করেছ তুমি তাকে বলেছিলে
, ‘ তুমি তোমার স্ত্রীকে
তোমার কাছে রাখো ,
আল্লাহ্ কে ভয় করো ’ ৷ তুমি তোমার অন্তরে
যা গোপন করেছিলে
আল্লাহ্ তা প্রকাশ
ক’রে দিচ্ছেন ৷ তুমি লোকভয় করছিলে
, অথচ আল্লাহ্ কেই ভয় করা তোমার পক্ষে অধিকতর
সংগত ছিল ৷ তারপর জায়েদ যখন
(জয়নাবের সাথে ) বিবাহ-সম্পর্ক ছিন্ন করল তখন আমি তাকে তোমার সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ করলাম যাতে বিশ্বাসীদের পোষ্যপুত্ররা
নিজ স্ত্রীর সাথে বিবাহসূত্র ছিন্ন করলে সেসব রমণীকে বিয়ে করতে বিশ্বাসীদের
কোনো বাধা না হয় ৷ আল্লাহ্
র আদেশ
কার্যকর হয়েই থাকে” ৷
আয়াত ৩৮-এ বলা হয়েছে
- “ আল্লাহ্ নবীর জন্যে
যা বিধিসম্মত করেছেন
তা করতে তার জন্যে কোনো বাধা নেই ৷ পূর্বে
যেসব নবী অতীত হয়ে গিয়েছে
তাদের ক্ষেত্রেও এ-ই ছিল
আল্লাহ্ র বিধান ৷ আল্লাহ্ র
বিধান সুনির্ধারিত” ৷
আয়াত
৩৯ - “ ওরা আল্লাহ্ র
বাণী প্রচার করত , ওরা
আল্লাহ্ ছাড়া আর কাউকে ভয় করত না ৷ হিসাবগ্রহণে
আল্লাহ্ ই যথেষ্ট ” ৷
আয়াত ৪০- “ মোহাম্মদ তোমাদের
মধ্যে কোনো পুরুষের
পিতা নয় , বরং সে আল্লাহ্
র রসুল
ও শেষ নবী ৷ আল্লাহ্
সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ ” ৷
( প্রথম পর্বের লেখায় এই আয়াত গুলোর উল্লেখ
আছে, তবে একসঙ্গে অন্যান্য
আয়াতের সঙ্গে এই আয়াতগুলো পড়লে ব্যক্তব্যটি আরো স্পষ্ট হবে মনে করে এই আয়াত সমূহ
এই লেখাতে আবার যুক্ত করা হয়েছে
)
আয়েশার
ব্যাপারে ( আগের পর্বে বিস্তারিত লেখা
হয়েছে ) কোরআনের ২৪নং সুরা নুর এর ১১ নং এ বলা হয়েছে
- “ যারা মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে তারা তো তোমাদেরই একটি দল ৷ এই অপবাদকে
তোমরা তোমাদের জন্যে অনিষ্টকর মনে কোরো না , বরং
এ তো তোমাদের জন্য
কল্যাণকর ৷ ওদের প্রত্যেকের জন্য আছে ওদের কৃত পাপকর্মের
ফল আর ওদের মধ্যে
যে এ-ব্যাপারে প্রধান
ভূমিকা গ্রহণ করেছে তা জন্যে আছে কঠিন শাস্তি
” ৷
আয়াত ১২ নং - “ একথা শোনার পর বিশ্বাসী
পুরুষ ও নারীগণ
কেন নিজেদের বিষয়ে ভালো ধারণা করে
নি আর বলে নি , ‘এ তো নির্জলা অপবাদ !’
আয়াত ১৩ নং
- “ তারা কেন এ-ব্যাপারে
চারজন সাক্ষী উপস্থিত
করে নি ? যখন তারা সাক্ষী
উপস্থিত করে নি তখন তারা আল্লাহ্
র বিধানে
মিথ্যাবাদী ”৷
এর পর আয়েশা ও হাফসার ব্যাপারে ( সম্ভবত দাসীদের
ব্যাপারে ও ! ) কোরআনের ৬৬ নং সুরার ১ নং থেকে ৫ নং আয়াত নাযিল হয় ৷
আয়াত নং ১ - “ হে নবি ! আল্লাহ্ তোমার জন্য যা বৈধ করেছেন
কেন তুমি তা নিষিদ্ধ করছ তোমাদের স্ত্রীদের
খুশি করার জন্য ?
আর আল্লাহ্ ক্ষমাশীল , পরম দয়ালু ৷”
আয়াত নং ২ - “ আল্লাহ্ তোমাদের শপথ থেকে মুক্তির
ব্যবস্থা ক’রে দিয়েছেন , আল্লাহ্ তোমাদের
সহায় ৷ আর তিনি সর্বজ্ঞ
, তত্ত্বজ্ঞানী ৷”
আয়াত নং ৩ - “ ( স্বরণ করো ) নবি
তার স্ত্রীদের একজনকে
গোপনে কিছু বলেছিল ৷
তারপর সেই স্ত্রী
তা অন্যকে বলে দেয়
, আর আল্লাহ্ নবিকে তা তা জানিয়ে
দেন ৷ এ- বিষয়ে নবি সেই স্ত্রীকে
কিছু বলল ও কিছু বলল না ৷ নবি যখন তাকে বলল তখন সে জিজ্ঞেস করল , ‘ কে আপনাকে
একথা জানাল ’ ? নবি বলল ‘ আমাকে
জানিয়েছেন তিনি যিনি সর্বজ্ঞ
, যাঁর সব জানা ’ ৷
আয়াত নং ৪ - “ তোমাদের
হৃদয় যা কামনা করেছিল তার জন্য তোমরা দুজন অনুতপ্ত
হয়ে আল্লাহ্ র দিকে ফিরে যাও ৷ তোমরা যদি তার
(নবির) বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর , তবে ( জেনে রাখো ) আল্লাহ্ তার অভিভাবক
; জিবরাইল ও সৎকর্মপরায়ণ
বিশ্বাসীরা , আর তার ওপর ফেরেশতারাও
, তাকে সাহায্য করবে” ৷
আয়াত নং ৫ - “ নবি যদি তোমাদের সকলকে তালাক দেয় , তবে
তার প্রতিপালক তোমাদের
পরিবর্তে হয়তো তোমাদের
চেয়ে আরও ভালো স্ত্রী তাকে দেবেন ; যারা
মুসলিম , বিশ্বাসী , তওবা করে , এবাদত করে , রোজা
রাখে, অকুমারী ও কুমারী ” ৷
এই সব
সতর্ককরা আয়াত নাযিলের
পরও যখন হারেমের
সামগ্রীক অবস্থার তেমন উন্নতি বা অবস্থার পরিবর্তন
লক্ষিত হয় নাই তখন কোরআনের
৩৩ নং সুরা আহজাবের নিম্নলিখিত
আয়াত নাযিল হয় ৷ তখন নিশ্চয় আশা করা
হয়েছিল এতে অবস্থার
উন্নতি আরো হবে এবং চীরতরে
এই বিষয়টার সমাধান
হয়ে যাবে ৷ এখানে প্রসঙ্গক্রমে
কেউ কেউ বলেন যে
, ১৪০০
বছরেরও অধিক কাল আগে যদি নবীজীর পরিবার
ও স্ত্রীদের মধ্যে ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসের এই রকম
কম গুরুত্ব প্রকাশ
পেয়ে থাকে তবে বর্তমান সময়কে তো ইসলাম ধর্মের স্বর্ণযুগ
বলা যায় অনাআসে
৷ সে যাই হউক নিম্নে
উল্লেখিত আয়াতের উল্লেখ
করা হল পাঠকদের
সহজ অবগতির জন্যে !
৩৩
নং সুরা আহজাব আয়াত নং ২৮ -
“ হে নবি ! তুমি তোমার স্ত্রীদের বলো , ‘
তোমরা যদি পার্থিব
জীবনের ভোগ ও বিলাসিতা কামনা কর
, তবে এসো , আমি তোমাদের
ভোগবিলাসের ব্যবস্থা করে দিই আর তোমাদের ভদ্রতার
সাথে বিদায় দিই ’ ৷
( আয়াত নং ২৯ - ) “ আর তোমরা যদি আল্লাহ্ , তাঁর রসুল ও পরকাল চাও
, তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্ম
করে আল্লাহ্ তাদের জন্য মহাপ্রতিদান
প্রস্থুত রেখছেন ” ৷
আয়াত
নং ৩০ - “ হে নবিপত্নীগণ ! যে- কাজ
স্পষ্টত অশ্লীল তোমাদের
মধ্যে কেউ তা করলে তাকে দ্বিগুণ শাস্তি
দেওয়া হবে ৷ আর এ আল্লাহ্
র জন্য
সহজ ৷
আয়াত নং ৩১ - “ তোমাদের
মধ্যে যে -কেউ আল্লাহ্ ও তাঁর রসুলের
অনুগত হবে ও সৎকাজ করবে তাকে আমি দুবার পুরস্কার
দেব এবং তা জন্য আমি সম্মানজনক জীবিকা
রেখেছি ” ৷
আয়াত
নং ৩২ - “ হে নবিপত্নীগণ !
তোমরা তো অন্য নারীদের মতো নও
৷ যদি তোমরা আল্লাহ্ কে
ভয় কর , তবে পরপুরুষের
সঙ্গে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বলবে না যাতে অন্তরে
যার ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ
হয় ৷ তোমরা ভালভাবে
কথাবার্তা বলবে ” ৷
আয়াত নং ৩৩ - “ আর তোমরা ঘরে থকবে ,
জাহেলিয়া ( প্রাগইসলামি ) যুগের মতো নিজেদের
দেখিয়ে বেড়িয়ো না ৷ তোমরা নামাজ কায়েম করবে ও জাকাত দেবে এবং আল্লাহ্
ও তাঁর রসুলের
অনুগত হবে ৷ আল্লাহ্ তো কেবল তোমাদের
মধ্যে থেকে অপবিত্রতা
দুর করতে ও তোমাদের সম্পূর্ণ
পবিত্র রাখতে চান ৷”
আয়াত নৎ ৩৪ - “ আল্লাহ্ র আয়াত ও হিকমতের
কথা তোমাদের ঘরে যা পড়া হয় তা তোমরা স্মরণ রাখবে ৷ আল্লাহ্ তো সূক্ষ্মদর্শী
, তিনি সব খবর রাখেন”
৷
এর
পরের জননাব ও জায়েদ এবং পোষ্যপুত্রের ব্যাপার
নাযিল হওয়া আয়াত গুলো উপরে (সুরা আহজাব আয়াত
নং- ৪ এবং আয়াত নং ৩৬ থেকে ৪০ নং ) উল্লেখিত
হয়ছে , উপরের লেখার অংশের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক থাকায় তাই এখানে আর উল্লেখ
করা হল না ৷ তবে এর পরে সুরা আহজাবের
ই আয়াত নং ৫০ থেকে আয়াত নং ৫৯ পর্যন্ত
নবীজী ও স্ত্রীগণ
এবং পরিবার নেয়ে যে
সব আয়াত
নাযিল হয়েছে নিচে তাঁর উল্লেখ
করা হলো ৷ ঐ আয়তগুলোতে
দেখা যাবে প্রথমে
নবীজীর আরো কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেয়া হয় এবং এতে বোধহয় তাঁর পারিবারিক জীবনে আরো অশান্তির
সৃষ্টি হয় ৷ কারো কারো মতে এতে হিজরতিদেরও আরো বিয়ের প্রবণতা
বেড়ে যায় এবং নানা কথার জন্ম হয় ৷ তাই হয়ত এই সুরার ৫২ নং আয়াত নাযিল
হয় ৷ আর এর পর নবীজীর জন্যেও
আর কোনো স্ত্রীগ্রহণ অবৈধ হয়ে যায় ৷ এর পরিণামে বোধহয় পরিস্থিতি নবীজীর
অনুকুলে চলে আসে ৷
৩৩ নং
সুরা আয়াত ৫০ - “ হে নবি ! আমি তোমার জন্য তোমাদের
স্ত্রীদেরকে বৈধ করেছি যাদেরকে তুমি দেনমোহর দিয়েছ ও বৈধ করেছি তোমার ডান হাতের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে
যাদেরকে আমি দান করেছি
, এবং বিয়ের জন্য বৈধ করেছি তোমার চাচাতো , ফুফাতো , মামাতো , খালাতো বোনদেরকে
যারা তোমার সঙ্গে দেশত্যাগ করেছে আর কোনো বিশ্বাসী নারী নবির কাছে নিবেদন করলে আর নবি তাকে বিয়ে করে বৈধ করতে
চাইলে সে-ও বৈধ ৷ এ বিশেষ করে তোমারই জন্য , অন্য
বিশ্বাসীদের জন্য হয়
, যাতে তোমার কোনো অসুবিধা
না হয় ৷ বিশ্বাসীদের
স্ত্রী ও তাদের দাসীদের
সম্বন্ধে আমি যা নির্ধারণ করেছি তা আমি জানি ৷ আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ” ৷
আয়াত নং - ৫১- “ তুমি ওদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তোমার কাছ থেকে দূরে রাখতে পার ও যাকে ইচ্ছা গ্রহণ করতে পার
, আর তুমি যাকে দূরে রেখেছ তাকে কামনা করলে তোমার কোনো দোষ নেই ৷ এ- বিধান এজন্য যে
, এতে ওদেরকে খুশি করা সহজ হবে আর ওরা দুঃখ পাবে না , এবং
ওদেরকে তুমি যা দেবে তাতে ওদের প্রত্যকেই
খুশি থাকবে ৷ তোমাদের
অন্তরে যা আছে আল্লাহ্
তা জানেন ৷ আল্লাহ্
সব জানেন, সহ্য করেন ” ৷
উপরে উল্লেখিত এই দুইটি আয়াত অর্থাৎ ৫০ ও ৫১
নং নাযিলের পর হিজরতীদের বা অভিবাসীদর মধ্যে এবং স্ত্রীদের
মধ্যে আবার অসন্তোষ
আরম্ভ হয়ে পরিস্থিতি অবনতির
দিকে মোড় নেয় এবং
নবীজীর স্ত্রীদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের
বাইরের অনেকের সঙ্গে মেলামেশাও বেড়ে যায় ৷ ৷ ফলে ঐ আহজাব সুরার ৫২ নং এবং ৫৩ নং আয়াত নাযিল হয় বলে ঐতিহাসিকদের
কেউ কেউ মনে করেন ৷ এবং এই দুই আয়াত নাযিলের
পর সৃষ্ট অস্থির পরিস্থিতি
অনেকটা নিয়ন্ত্রিত হয়ে যায় সাময়িক ভাবে ৷
আয়াত নং ৫২ -“ ( মুহাম্মদ ! ) এরপর তোমার জন্যে কোনো নারী বৈধ নয় আর তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে
অন্য স্ত্রীগ্রহণও বৈধ নয় ৷ যদি ওদের সৌন্দর্য তোমাকে
মুগ্ধও করে , তবে তোমার ডান হাতের অধিকারভুক্ত দাসীদের
ব্যাপারে এ-বিধান প্রযোজ্য
নয় ৷ আল্লাহ্
সমস্ত কিছুর ওপর কড়া নজর রাখেন
” ৷
আয়াত
নং ৫৩ -“ হে বিশ্বাসিগণ ! তোমাদেরকে
অনুমতি না দেওয়া হলে
, খাবার
তৈরির জন্য অপেক্ষা
না ক’রে খাওয়ার
জন্য তোমরা নবির বাড়ির ভিতরে ঢুকবে না ৷ তবে তোমাদেরকে ডাকা হলে তোমরা যাবে ও খাওয়ার পর চলে আসবে ৷ কথাবার্তায়
তোমরা মেতে যেয়ো না ; এমন (ব্যবহার ) নবির বিরক্তি
সৃষ্টি করে ৷ সে তোমাদেরকে
উঠে যাওয়ার জন্য বলতে সংকোচ বোধ করে ৷ কিন্তু আল্লাহ্
সত্য কথা বলতে সংকোচ বোধ করেন না ৷ তোমরা তাঁর স্ত্রীদের কাছে কিছু চাইলে পরদার আড়াল থেকে চাইবে ৷ এ-বিধান
তোমাদের ও তাদর হৃদয়ের জন্য পবিত্রতর ৷ তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহ্ র
রসুলকে কষ্ট দেওয়া বা তাঁর মৃত্যুর পর তাদের স্ত্রীদেরকে
বিবাহ করা সংগত হবে না ৷ আল্লাহ্ র
কাছে এ গুরু অপরাদ ”৷
আয়াত
নং ৫৪ - “ তোমরা কোনো বিষয় প্রকাশই কর বা গোপন কর
, আল্লাহ্ তো সবই জানেন ৷”
এর
পরের ইতিহাস সংক্ষিপ্ত
৷ নবীজীর ইন্তেকালের পর
আলীকে ইসলামী উম্মাহ্ র খলিফা মনোনিত না করায় নবীজীর হারেমের
এবং স্ত্রীদের সহ নবীজীর পারিবারিক
সদস্যদের মধ্যের বিভাজন
আরো ব্যাপক আকার ধারণ করে আর আলী ৪র্থ খলিফা মনোনিত হওয়ার পর নিহিত ২য় এবং ৩য় খলিফাহ্ র
বিচার করতে না পারায় আয়েশা সহ ঊমাঈয়াদের
(কোরাইশদের ) মধ্যে এই বিভাজন আরো ব্যাপকভাবে
ছড়িয়ে
পড়ে ৷ সিরিয়ার
গভর্নার মুওয়াবিয়াহ্ সঙ্গে খলিফাহ্ আলীর আপোষ আলোচনার
অনুষ্ঠান থেকে শিয়াই আলী বা আলীর দল নামে একদল আলীকে ছেড়েই ঐ স্থান ত্যাগ করে যায় ৷ আর এর কিছুদিন পরে আততায়ীর
হাতে খলিফাহ্ আলী নিহিত হলে তাঁর ছেলে হাসানকে
আলীর অনুসারীরা খলিফাহ্
ঘোষণা করেন এবং তখন
থেকেই ইসলামে শিয়া ও সুন্নি
ধারা সু-প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় ৷ অর্থাৎ নবীজীর
হারেমে স্ত্রীদের মধ্যে যে বিভাজনের
সৃষ্টির প্রাথমিক ধারা শুরু হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় খলিফাহ্
আলীর সময়ে এবং তাঁর মৃত্যুর
পরে নবীজীর প্রাথমিকযুগের
ইসলামের বিভক্তি সম্পূর্ণ
হয়ে বর্তমান শিয়া ও সুন্নি
ধারার বিকাশ সম্পূর্ণ
হয়েছে ৷
তবে
একজন দাসী সহ নবীজীর ১১টি বিয়ের ব্যাপারে
কোন প্রশ্ন উঠে নি ৷ এই ব্যাপারে
একটি ঐক্যমত ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৷ তবে কোনো কোনো সূত্র মতে নবীজীর বিয়ের সংখ্যা
১৯ টি ৷ এর মধ্যে দাসী ছিল ৪ জন ৷ আর ৪ জনের ডিভর্স হয়ে গিয়েছিল
৷ এই
৮ জন বাকি ১১ জনের সঙ্গে যোগ করে কেউ কেউ নবীজীর
বিয়ের সংখ্যা ১৯টি বলে থাকেন ৷ আর বিভিন্ন সূত্র থেকে
জানা যায় কথাবার্ত পর্যায়েই
১৪টি বিয়ে ঠিক না হয়ে ভেঙ্গে গিয়েছিল
আর ১০ টি বিয়ের প্রস্তাব
আসলেও নবীজী তা গ্রহণ করেন নি ৷ যারা বিস্তারিত
আরো তথ্যাদি সহ এবিয়ষে আরো জানতে আগ্রহী , তারা
নিচে যুক্ত করা একটি ইংরেজি
লেখা পড়ে দেখতে অনুরোধ করা হলো ৷
(মূল সূত্র প্রথম উল্লেখ
করা হয়ছে , ২য় পর্বের
সূত্রও অনুরূপ ৷)
List
of Muhammad's Wives and Concubines
From WikiIslam, the
online resource on Islam
According to Anas ibn Malik, the Prophet Muhammad used
to visit all eleven of his wives in
one night; but he could manage this, as he had the sexual prowess of thirty men.[1] The
historian Al-Tabari calculated
that Muhammad married a
total of fifteen women, though only ever eleven at one time;
and two of these marriages were never consummated.[2] This
tally of fifteen does not include at least four concubines. According to
Merriam-Webster, a concubine is “a woman with whom a man cohabits without being
married”, and has a “social status in a household below that of a wife.”[3] All
of Muhammad’s concubines were his slaves.
Al-Tabari also excludes from the fifteen several other women with whom Muhammad
had some kind of marriage contract but who, due to legal technicalities, never
became full wives. It is fairly certain, however, that none of these unions was
ever consummated. They were the cultural equivalent of a broken engagement.
Finally, there were several other women whom Muhammad wished to marry, or whom
he was invited to marry, but for various reasons he did not.
Contents
[hide]
·
1 Lists
Lists[edit]
The following lists of women in Muhammad’s life are based on
the Islamic sources. Because there were so many women, some of whom had only a
very brief association with him, it is possible that this number still falls
short of the real total.
Wives and Concubines[edit]
No.
|
Name
|
Status
|
Date
|
Details
|
Notable Early Sources
|
1
|
Married
|
July 595.
|
She was a
wealthy merchant from
|
·
Ibn Ishaq[4]
·
Ibn Hisham[5]
·
Al-Tabari[6]
·
Ibn Sa'd[7]
|
|
2
|
Sawda bint
Zam'a
|
Married, though
with limited rights.
|
May 620.
|
She was a tanner
who had been an early convert to Islam. Muhammad married her at a time when
he was unpopular and bankrupt. He considered divorcing her when, as the
oldest and plainest of his wives (described as "fat and very
slow"), she no longer attracted him, but she persuaded him to keep her
in the house in exchange for never sleeping with her again (she gave up her
turn to Aisha).
|
·
Bukhari[8]
·
Ibn Ishaq[9]
·
Ibn Hisham[10]
·
Al-Tabari[11]
·
Ibn Sa'd[12]
|
3
|
Aisha bint Abi
Bakr
|
Married
|
Contracted May 620
but first consummated in April or May 623.
|
She was the
daughter of Muhammad's best friend and head evangelist Abu Bakr. Muhammad
selected the six-year-old Aisha in preference to her teenaged sister, and she
remained his favourite wife. She contributed a major body of information to
Islamic law and history. The paedophilic aspect of this relationship has
institutionalised such marriages within Islam.
|
·
Ibn Ishaq[13]
·
Ibn Hisham[14]
·
Al-Tabari[15]
·
Ibn Sa'd[16]
|
4
|
Hafsa bint Umar
|
Married
|
January or
February 625.
|
She was the
daughter of Muhammad's wealthy friend Umar. Hafsa was the custodian of the autograph-text
of the Qur'an, which was actually somewhat different from the standard Qur'an
of today.
|
·
Ibn Ishaq[17]
·
Ibn Hisham[18]
·
Al-Tabari[19]
·
Ibn Sa'd[20]
|
5
|
Zaynab bint
Khuzayma
|
Married
|
February or
March 625.
|
She was a
middle-class widow known as "Mother of the Poor" because of her
commitment to charity work. She died in October 625.
|
·
Ibn Hisham[21]
·
Al-Tabari[22]
·
Ibn Sa'd[23]
|
6
|
Hind (Umm
Salama) bint Abi Umayya
|
Married
|
April 626.
|
An attractive
widow with four young children, Hind had been rejected by her aristocratic
family in
|
·
Ibn Ishaq[24]
·
Ibn Hisham[25]
·
Al-Tabari[26]
·
Ibn Sa'd[27]
|
7
|
Zaynab bint
Jahsh
|
Married
|
March 627.
|
An early
convert to Islam, Zaynab was the wife of Muhammad's adopted son Zayd ibn Harithah.
She was also the Prophet's biological cousin. When Muhammad became infatuated
with Zaynab, Zayd was pressured into a divorce. To justify marrying her,
Muhammad announced new revelations that (1) an adopted son did not count as a
real son, so Zaynab was not his daughter-in-law, and (2) as a prophet, he was
allowed more than the standard four wives. Zaynab excelled at leather-crafts.
|
·
Ibn Ishaq[28]
·
Ibn Hisham[29]
·
Al-Tabari[30]
·
Ibn Sa'd[31]
|
8
|
Rayhana bint
Zayd ibn Amr
|
Sexual slavery
|
May 627.
|
Her first
husband was one of the 600-900 Qurayza men whom Muhammad beheaded in April
627. He enslaved all the women and selected Rayhana for himself because she
was the most beautiful. When she refused to marry him, he kept her as a
concubine instead. She died shortly before Muhammad in 632.
|
·
Ibn Ishaq[32]
·
Al-Tabari[33]
·
Ibn Sa'd[34]
|
9
|
Juwayriyah bint
Al-Harith
|
Married
|
January 628.
|
The daughter of
an Arab chief, she was taken prisoner when Muhammad attacked her tribe.
Muhammad did not make a habit of marrying his war-captives, but Aisha claimed
that Juwayriyah was so beautiful that men always fell in love with her at
first sight.
|
·
Ibn Ishaq[35]
·
Ibn Hisham[36]
·
Al-Tabari[37]
·
Ibn Sa'd[38]
|
10
|
Ramlah (Umm
Habiba) bint Abi Sufyan
|
Married
|
July 628
(following a proxy wedding earlier in the year)
|
She was a daughter
of Abu Sufyan, the Meccan chief who led the resistance against Muhammad, but
she had been a teenaged convert to Islam. This marriage offset some of
Muhammad's political humiliation in the Treaty of Hudaybiya by demonstrating
that he could command the loyalty of his adversary's own daughter. Ramlah was
devoted to Muhammad and quick to pick quarrels with people who were not.
|
·
Ibn Ishaq[39]
·
Ibn Hisham[40]
·
Al-Tabari[41]
·
Ibn Sa'd[42]
|
11
|
Married
|
July 628.
|
She was the beautiful
daughter of a Jewish chief, Huyayy ibn Akhtab. Muhammad married her on the
day he defeated the last Jewish tribe in
|
·
Ibn Ishaq[43]
·
Ibn Hisham[44]
·
Al-Tabari[45]
·
Ibn Sa'd[46]
|
|
12
|
Maymunah bint
Al-Harith
|
Married
|
February 629.
|
She was a
middle-class widow from
|
·
Ibn Ishaq[47]
·
Ibn Hisham[48]
·
Al-Tabari[49]
·
Ibn Sa'd[50]
|
13
|
Sexual slavery
|
c. June 629.
|
She was one of
several slaves whom the Governor of Egypt sent as a present to Muhammad. He
kept her as a concubine despite the objections of his official wives, who
feared her beauty. Mariyah bore Muhammad a son, Ibrahim.
|
·
Ibn Ishaq[51]
·
Al-Tabari[52]
·
Ibn Sa'd[53]
|
|
14
|
Mulayka bint
Kaab
|
Divorced
|
January 630.
|
Her family
resisted the Muslim invasion of
|
·
Al-Tabari[54]
·
Ibn Sa'd[55]
|
15
|
|
Divorced
|
February or
March 630.
|
She was the
daughter of a minor chief who had converted to Islam. Muhammad divorced her after
only a few weeks "because she peeked at men in the mosque
courtyard."
|
·
Al-Tabari[56]
·
Ibn Sa'd[57]
|
16
|
Asma bint
Al-Numan
|
Divorced
|
June or July
630.
|
She was a
princess from
|
·
Ibn Hisham[58]
·
Al-Tabari[59]
·
Ibn Sa'd[60]
|
17
|
Al-Jariya
|
Sexual slavery
|
After 627.
|
She was a
domestic slave belonging to Zaynab bint Jahsh, who made Muhammad a present of
her. She seems to have been an "unofficial" concubine who did not
have a regular turn on his roster.
|
·
Ibn al-Qayyim[61]
|
18
|
Amra bint Yazid
|
Divorced
|
c. 631.
|
She was a
Bedouin of no political importance. Muhammad divorced her before consummation
when he saw she had symptoms of leprosy.
|
·
Ibn Ishaq[62]
·
Ibn Hisham[63]
·
Al-Tabari[64]
·
Ibn Sa'd[65]
|
19
|
Tukana
al-Quraziya
|
Sexual slavery
|
Unknown, but
probably in the last months of Muhammad's life.
|
She was a
member of the defeated Qurayza tribe whom Muhammad selected as one of his
personal slaves. She appears to have been another "unofficial"
concubine without a regular turn on the roster. After Muhammad's death, she
married Abbas.
|
·
Majlisi[66]
·
Ibn al-Qayyim.[67]
|
Engagements and Broken Contracts[edit]
No.
|
Name
|
Date
|
Details
|
Notable early sources
|
1
|
Ghaziya (Umm Sharik)
bint Jabir
|
Early 627.
|
She was a poor
widow with dependent children. She sent Muhammad a proposal of marriage, and
he agreed to the contract. However, when he met her in person, he saw that,
although attractive, she was "old", and he divorced her immediately.
She never remarried.
|
·
Ibn Hisham[68]
·
Al-Tabari[69]
·
Ibn Sa'd[70]
|
2
|
Khawla bint
Hudhayl
|
Probably mid-
or late-627.
|
She was a
princess from the powerful Christian Taghlib tribe in northern
|
·
Al-Tabari[71]
·
Ibn Sa'd[72]
|
3
|
Sharaf bint
Khalifa
|
Probably mid-
or late-627.
|
She was an aunt
of Khawla bint Hudhayl (above). After Khawla's death, the family tried to
substitute Sharaf. In one tradition, Sharaf also died before consummation. In
another tradition, Muhammad changed his mind and broke off the contract.
|
·
Al-Tabari[73]
·
Ibn Sa'd[74]
|
4
|
Layla bint
al-Khutaym
|
After 627.
|
One of the
first converts in
|
·
Al-Tabari[75]
·
Ibn Sa'd[76]
|
5
|
Umm Habib bint
Al-Abbas
|
After March
630.
|
She was
Muhammad's cousin. He saw her as a baby crawling around and remarked,
"If I am alive when she grows up, I will marry her." He changed his
mind when he found out that her father had been his foster-brother and died
soon afterwards.
|
·
Ibn Ishaq.[77]
·
Al-Tabari.[78]
·
Ibn Sa'd.[79]
|
6
|
|
c. April 630.
|
She was the
daughter of a Muslim warrior who hoped to advance his career by becoming
Muhammad's father-in-law. Muhammad signed the contract, but
|
·
Al-Tabari[80]
·
Ibn Sa'd[81]
|
7
|
Umra bint Rifaa
|
c. May 630.
|
She was the
sister of
|
·
Ibn Sa'd[82]
|
8
|
Bint Jundub ibn
Damra of Janda’a
|
Unknown.
|
Nothing is
known about this woman except that Muhammad contracted marriage with her but divorced
her before consummation.
|
·
Ibn Sa'd[83]
|
9
|
Jamra bint
Al-Harith
|
c. 631
|
She proposed
marriage to Muhammad, and he accepted. Her father informed him that she
suffered from a serious disease, whereupon Muhammad broke off the engagement.
According to the Muslim chroniclers, her father arrived home only to find
that she really had been afflicted with leprosy.
|
·
Al-Tabari[84]
|
10
|
Al-Shanba’ bint
Amr
|
January 632.
|
She was from a
Bedouin tribe who appeared friendly to Muhammad but who had also been friends
of the Qurayza tribe.
Al-Shanba’ insulted Muhammad on the first day by implying that he was not a
true prophet, and he divorced her immediately.
|
·
Al-Tabari[85]
|
11
|
Qutayla (Habla)
bint Qays
|
May 632.
|
She was a
cousin of Asma bint Al-Numan, and the Yemenites sent her to Muhammad as a
substitute bride. He signed the marriage contract but he died before Qutayla
arrived in
|
·
Al-Tabari[86]
·
Ibn Sa'd[87]
|
12
|
Mary, mother of
Jesus
|
The Afterlife.
|
Muhammad said
that Allah had wedded him in Heaven to the Virgin Mary, who was one of the
four perfect women. The Qur'an refers several times to Mary, praising her
chastity and affirming the virgin birth of Jesus. Muhammad said she lived in
a beautiful jewelled palace in
|
·
Qur'an[88]
·
Bukhari[89]
·
Muslim[90]
·
Majlisi[91]
|
13
|
Queen Asiya of
|
The Afterlife.
|
Muhammad said
that Allah had wedded him in Heaven to Queen Asiya, who was one of the four
perfect women. The Qur'an tells how Asiya rescued the infant Moses from the
evil Pharaoh, and how Pharaoh later tortured his wife to death for her
monotheism. Muhammad said that Asiya's palace in Heaven was on the other side
of Khadijah's.
|
·
Qur'an[92]
·
Muslim[93]
·
Ibn Kathir[94]
·
Majlisi[95]
|
14
|
Kulthum bint
Amram
|
The Afterlife.
|
Muhammad
originally believed that Maryam the sister of Moses and Maryam the mother of
Jesus were one and the same. When he realised his mistake, he apparently over-corrected
by deciding that Moses' sister was not even named Maryam. He renamed her
Kulthum ("Chubby Cheeks") and said that Allah had wedded her to him
in Heaven. He did not say that she was a perfect woman or that she lived next
to Khadijah.
|
·
Qur'an[96]
·
Muslim[97]
·
Majlisi[98]
|
Refused Proposals[edit]
No.
|
Name
|
Date
|
Details
|
Notable early sources
|
1
|
Fakhita (Umm
Hani) bint Abi Talib
|
before 595;
January 630;
c. 631
|
Muhammad
proposed to his cousin Fakhita, but her father married her off to a wealthy
Makhzumite poet.
Nearly forty years later,
after Muhammad conquered
Later still, Fakhita came to
Muhammad, saying her children had grown up and she was finally ready to marry
him; but he said she was too late.
|
·
Ibn Ishaq[99]
·
Al-Tabari[100]
·
Ibn Sa'd[101]
|
2
|
“As Many Wives
as You Want”
|
c.618-619.
|
The chiefs of
|
·
Al-Tabari[102]
|
3
|
Habiba bint
Sahl
|
c. 623.
|
Habiba was a prominent
member of the Najjar clan in
|
·
Ibn Ishaq[103]
·
Ibn Sa'd[104]
·
Abu Dawud[105]
·
Muwatta[106]
|
4
|
Al-Ansariya
|
After 625.
|
This unnamed
woman proposed to Muhammad in Hafsa's presence. Hafsa decried the shame of a woman
who would throw herself at a man, but Muhammad retorted, "She is better
than you because she wanted me while you only find fault." He refused
the proposal, but promised the woman a reward in
In fact several ansar women are said to have proposed to
Muhammad; while this example is anonymous, it clearly refers to a woman who
is distinct from Layla bint Khutaym.
|
·
Majlisi[107]
|
5
|
Khawla bint
Hakim
|
After 627.
|
This is the
same Khawla bint Hakim who arranged Muhammad's marriages to Aisha and Sawda.
Her first husband was Hafsa's uncle, and their elder son fought at Badr.
After being widowed, Khawla asked Muhammad to marry her, but he refused
without giving a reason. However, he found her a new husband the same day.
|
·
Ibn Ishaq[108]
·
Bukhari[109]
·
Ibn Sa'd[110]
·
Ibn Kathir[111]
|
6
|
Dubaa bint Amir
|
After 627.
|
Dubaa was a
wealthy noblewoman to whom Muhammad sent a marriage proposal when he heard
about her beautiful long hair that filled a whole room when she sat down. But
by the time she accepted him, he had been advised that she was “elderly” (her
grown-up son had been born from her third marriage) so he retracted his
proposal before he had even met her.
|
·
Al-Tabari[112]
·
Ibn Sa'd[113]
|
7
|
Izza bint Abi
Sufyan
|
After July 628.
|
She was the sister
of Muhammad’s wife Ramlah. Ramlah proposed Izza as a bride, "since, as I
cannot be your only wife, I would like to share my good fortune with my
sister." But Muhammad said he could not marry two sisters concurrently.
|
·
Muslim[114]
|
8
|
Durrah bint Abi
Salama
|
After July 628.
|
She was the
daughter of Muhammad's wife Hind. Another wife, Ramlah, noticed that Muhammad
admired Durrah and asked if he intended to marry her. He replied that he
could not marry his stepdaughter; and besides, her father had been his
foster-brother. On the day Muhammad died, Durrah was only six years old.
|
·
Muslim[115]
|
9
|
Umama bint
Hamza
|
After March
630.
|
She was
Muhammad's cousin and said to be the prettiest girl in the family. Ali proposed
her as a bride while she was still a child, but Muhammad said that he could
not marry her because her father had been his foster-brother. She later
married his stepson, Salama ibn Abi Salama.
|
·
Ibn Sa'd[116]
|
10
|
Safiyah bint
Bashshama
|
September 630.
|
She was a
war-captive from
|
·
Al-Tabari[117]
·
Ibn Sa'd[118]
|
This
page is featured in the core article, Islam and Women which serves as a starting point for anyone
wishing to learn more about this topic
See Also[edit]
·
Lists - A hub page that leads to other
articles related to Lists
·
Muhammad's Wives - A hub page that leads to other
articles related to Muhammad's wives and concubines
Translations
·
A version of this
page is also available in the following languages: Bulgarian, Italian.
For additional languages, see the sidebar on the left.
References[edit]
13.
Jump up↑ Guillaume/Ishaq 116, 223, 279-280, 311,
457, 464-465, 468, 493-499, 522, 535-536, 544, 649-650, 667, 678-688.
56.
Jump up↑ Al-Tabari, Vol. 9, p. 138; Al-Tabari, Vol. 39, pp.
186-188. Despite the confusion over the name, she is probably also
the woman referred to in Al-Tabari, Vol. 9, pp.
136-137 and
the “Fatima bint Shurayh” of Al-Tabari, Vol. 9, p. 139
59.
Jump up↑ Al-Tabari, Vol. 39, pp.
188-191. She is mentioned in Al-Tabari, Vol. 9, pp.
128-130 but
has apparently been partly confused with Amra bint Yazid.
62.
Jump up↑ Ibn Ishaq, cited in Guillaume, A. (1960). New Light on the Life of Muhammad, p. 55. Manchester: Manchester University
Press
109.
Jump up↑ Sahih Bukhari 7:62:24; Sahih Bukhari 7:62:58; Sahih Bukhari 7:62:63; Sahih Bukhari 7:62:66.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন