ইসলামের ইতিহাসের আলোকে নবীজী (সঃ)এর দাম্পত্য জীবন , বিয়ে , পারিবারিক কলপ এবং শিয়া ও সুন্নি ধারার বিকাশের প্রাথমিক সূত্রপাতের কাহিনী :


       

      
            ইসলামের  ইতিহাসের  আলোকে  নবীজী ( সঃ) এর  দাম্পত্য জীবনের কাহিনী
                   এবং  ইসলামে  শিয়া  ও  সুন্নি  ধারার বিকাশের  প্রাথমিক  সূত্রপাতের  কাহিনী :
                                                (  ২য়  পর্ব )

     (        সুন্নি  ইসলাম :  ইসলামের  সংখ্যাগরিষ্ঠরা  যারা   পয়গম্বর   মুহাম্মদের ( সঃ ) স্বভাব    ধর্মীয়  অনুশীলনের  রীতি  বা  সুন্নাহ্   মেনে  চলে  তারাই  সুন্নি  মুসলিম  বা  সুন্নি  নামে  পরিচিত    সুন্নিরা  শিয়াদরকেও  মুসলিম  হিসেবে  মানে  কিন্তু  মুসলিম  শাসকদের  পয়গম্বর  মুহাম্মদ ( সঃ) ও  তাঁর  মেয়ের  জামাই  আলী  ইবনে  আবি  তালিবের  বংশধরদের  থেকেই  যে  মুসলিম           সম্প্রদায়ের  শাসক  নিযুক্ত  হতে  হবে  সুন্নিরা  সেটা   বিশ্বাস  করে  না  ৷ যেমন  শিয়ারা  বিশ্বাস  করে 

          শিয়া  ইসলাম :   ইসলামের  সংখ্যালঘু  গোষ্ঠি  যারা  সুন্নি  থেকে  ধর্মতত্তীয়  ভাবে  ভিন্ন ,  কিন্তু  আন্তরিক  ভাবে  বিশ্বাস  করে  যে  পয়গম্বর  মুহাম্মদের ( সঃ ) একমাত্র  বংশধরদেরই  মুসলিম  সম্প্রদায়ের  নেতূত্ব  দেয়া  উচিত    এই  চিন্তাধারার  অনুসারীদেরকে  শিয়া   বা   শিয়ামুসলিম  নামে  অভিহিত  করা  হয়    শিয়ারা  বিশ্বাস  করে  যে  খলিফাদের  নির্বাচনে  পয়গম্বরের  নিকট  পুরুষ  আত্মীয়  আলীকে  নির্বাচন  করা  উচিত  ছিল    শিয়ারা  বেশ  কয়েকজন ( ৬জন   বা  ১২  জন  ) ঈমামকে  মানে ,  যারা  আলী  বা  ফাতেমার  প্রত্যক্ষ  পুরুষ  বংশধর  বা  তাদের  মনোনিত       কোনো  ইমাম    তবে  সুন্নি    শিয়াদের  মত  পার্থক্য  সম্পূর্ণ   রাজনৈতিক  , ধর্মীয়  বিশ্বাসে   কোনো  পার্থক্য  নাই    )


    প্রথম  পর্বে  লেখা  হয়েছে  নবীজী (সঃ) প্রমানিত  ও  সর্বমহলে  স্বীকৃত  বিয়ের  সংখ্যা নিয়ে  এবং এসব  বিয়ের  সামাজিক  ও  রাজনৈতিক  প্রেক্ষাপট উল্লেখ  করা হয়েছ  ৷ তবে প্রথমদিকের  রচনায়  ঐতিহাসিকরা  নবীজীর  বিভিন্ন  গোত্রের  বিয়ের  ফলে  গোত্রে  গোত্রে যে  সামাজিক  ও  ধর্মীয়  সম্প্রিতি ও  মিত্রতা   বৃদ্ধি  পেয়েছিল  সে  দিকটা  শুধু   সামনে  এনেছেন  এবং  ভাল ভাল সব  দিকের  বর্ণনা    করেছেন  ৷  কিন্তু  নবীজীর  হারেমের  স্ত্রীদের  মতানৈক্য  যে  একপর্যায়ে  মূল  ইসলাম  ধর্মেতেই  বিভাজনের  সৃষ্টি  করেছে এবং   ইসলাম  ধর্মে  শিয়া  ও  সুন্নি  ইসলামী  ধারার  বিকাশকে  তরান্তিত  করেছে  তা  হয়ত  প্রাথমিক  পর্যায়ে  ভাবা  হয়  নি বা  গুরুত্ব  সহকারে  দেখা  হয়  নি   ৷  পর্বতীতে  যা  বাস্তবে  পরিণত  হয়েছে  ৷   এ  ছাড়া  নবীজীর  হারেম  এবং  পারিবারিক  ও  দাম্পত্য  সঙ্কট  কত  গভীর  আকার  ধারণ  করেছিল  তা  এসব  ব্যাপার  নিয়ে  পবিত্র  কোরানে  নাযিল  হওয়া  নিম্ন  লিখিত  আয়াত  থেকে  একটি  স্পষ্ট  ধারণা  পাওয়া  সম্ভব  ! নবীজী  যে  এক  পর্যায়ে  পৌঁছার পর  তাঁর  পরিবার  বা  স্ত্রীদের নিয়ে  কত  অসহায়  হয়ে  পড়েছিলেন  তা  নিম্ন  লিখিত  কোরআনের  বিভিন্ন  সুরার  বিভিন্ন  সময়ে  নাযিল  হওয়া  আয়াত  থেকে  উপলব্দি  করা  যায়   ৷ 
                 তবে  এখানে  মূল  এবং  এসব  নিয়ে  কোরানে  সরাসরি  যে  সব  আয়াত  বিভিন্ন  সুরাতে  নাযিল  হয়েছে ,  তাঁরই  উল্লেখ  করা  হয়েছে  নিম্নে  ৷    

  
            এই  পর্যায়ে  কোরআনের  ৩৩ নং  সুরা  আহজাব এর  ৪  নং  এবং  ৩৬  থেকে  ৪০ নং  আয়াত  নাযিল  হয়  ৷ 
             আয়াত নং  ৪  এ  বলা  হয়েছে -
                “ আল্লাহ্  কোনো  মানুষের  দুটু  হৃদয়  সৃষ্টি  করেন  নি  ৷  তোমাদের  স্ত্রীরা  যাদের  সাথে  তোমরা  জিহার  করেছ ( মা  বলে  ডেকেছ ) , তাদেরকে  তিনি  তোমাদের  মা  করেন  নি  ; আর  পোষ্যপুত্র  যাদেরকে  তোমরা  পুত্র  বল , আল্লাহ্  তাদেরকে  তোমাদের  পুত্র  করেন  নি  ৷  এগুলো  কেবল  তোমাদের  মুখের  কথা  ৷  সত্য  কথা  আল্লাহ্ ই  বলেন , আর  তিনিই  সরল  পথ  নির্দেশ  করেন” ৷
          আয়াত  ৩৬  এ  বলা  হয়েছে -   ‘ আল্লাহ্  ও  তাঁর  রসুল  কোনো  বিষয়ে  নির্দেশ  দিলে  কোনো  বিশ্বাসী  পুরুষ  বা  নারীর  সে-বিষয়ে  ভিন্ন  সিদ্ধান্তের  অধিকার  থাকবে  না  ৷  কেউ  আল্লাহ্  ও  তাঁর  রসুলকে  অমান্য  করলে  সে  স্পষ্টই  পথভ্রষ্ট  হবে ’   ৷
        আয়াত  ৩৭  এ  বলা  হয়েছে - “ স্মরণ  করো , আল্লাহ্  যাকে  অনুগ্রহ  করেছেন  ও  তুমিও  যাকে  অনুগ্রহ  করেছ  তুমি  তাকে  বলেছিলে , ‘ তুমি  তোমার  স্ত্রীকে  তোমার  কাছে  রাখো ,  আল্লাহ্ কে  ভয়  করো ’  ৷  তুমি  তোমার  অন্তরে  যা  গোপন  করেছিলে  আল্লাহ্  তা  প্রকাশ  ক’রে  দিচ্ছেন  ৷  তুমি  লোকভয়  করছিলে , অথচ  আল্লাহ্ কেই  ভয়  করা  তোমার  পক্ষে  অধিকতর  সংগত  ছিল  ৷  তারপর  জায়েদ  যখন (জয়নাবের  সাথে ) বিবাহ-সম্পর্ক  ছিন্ন  করল  তখন  আমি  তাকে  তোমার  সাথে  পরিণয়সূত্রে  আবদ্ধ  করলাম  যাতে  বিশ্বাসীদের  পোষ্যপুত্ররা  নিজ  স্ত্রীর  সাথে  বিবাহসূত্র  ছিন্ন  করলে  সেসব  রমণীকে  বিয়ে  করতে  বিশ্বাসীদের  কোনো  বাধা  না  হয়  ৷  আল্লাহ্ র  আদেশ  কার্যকর  হয়েই  থাকে” ৷
            আয়াত ৩৮-এ  বলা  হয়েছে - “ আল্লাহ্  নবীর   জন্যে  যা  বিধিসম্মত  করেছেন  তা  করতে  তার  জন্যে  কোনো  বাধা  নেই  ৷  পূর্বে  যেসব  নবী  অতীত  হয়ে  গিয়েছে  তাদের  ক্ষেত্রেও  এ-ই  ছিল আল্লাহ্ র  বিধান ৷  আল্লাহ্ র  বিধান  সুনির্ধারিত” ৷
             আয়াত  ৩৯ -    “ ওরা  আল্লাহ্ র  বাণী  প্রচার  করত , ওরা  আল্লাহ্  ছাড়া  আর  কাউকে  ভয়  করত  না  ৷  হিসাবগ্রহণে  আল্লাহ্ ই  যথেষ্ট  ” ৷
            আয়াত  ৪০- “ মোহাম্মদ  তোমাদের  মধ্যে  কোনো  পুরুষের  পিতা  নয় , বরং  সে  আল্লাহ্ র  রসুল  ও  শেষ  নবী  ৷  আল্লাহ্  সর্ববিষয়ে  সর্বজ্ঞ ” ৷

( প্রথম  পর্বের  লেখায়  এই  আয়াত  গুলোর  উল্লেখ  আছে, তবে  একসঙ্গে  অন্যান্য  আয়াতের  সঙ্গে  এই  আয়াতগুলো  পড়লে  ব্যক্তব্যটি  আরো  স্পষ্ট  হবে  মনে  করে  এই  আয়াত সমূহ  এই  লেখাতে  আবার  যুক্ত  করা  হয়েছে )

         আয়েশার  ব্যাপারে ( আগের  পর্বে বিস্তারিত লেখা হয়েছে )  কোরআনের  ২৪নং  সুরা  নুর  এর  ১১ নং  এ  বলা  হয়েছে - “ যারা  মিথ্যা  অপবাদ  রটনা  করেছে  তারা  তো  তোমাদেরই  একটি  দল  ৷  এই  অপবাদকে  তোমরা  তোমাদের  জন্যে  অনিষ্টকর  মনে  কোরো  না , বরং  এ  তো  তোমাদের জন্য  কল্যাণকর ৷ ওদের  প্রত্যেকের  জন্য  আছে  ওদের  কৃত  পাপকর্মের  ফল  আর  ওদের  মধ্যে যে  এ-ব্যাপারে  প্রধান  ভূমিকা  গ্রহণ  করেছে  তা  জন্যে  আছে  কঠিন  শাস্তি ”  ৷
      আয়াত  ১২ নং - “ একথা  শোনার  পর  বিশ্বাসী  পুরুষ  ও  নারীগণ  কেন  নিজেদের  বিষয়ে  ভালো  ধারণা  করে নি আর বলে  নি ,   ‘এ তো নির্জলা  অপবাদ !’
       আয়াত  ১৩  নং - “ তারা  কেন  এ-ব্যাপারে  চারজন  সাক্ষী  উপস্থিত  করে নি ? যখন  তারা  সাক্ষী  উপস্থিত  করে  নি  তখন  তারা  আল্লাহ্ র  বিধানে  মিথ্যাবাদী ”৷

          এর  পর  আয়েশা  ও  হাফসার  ব্যাপারে   ( সম্ভবত  দাসীদের  ব্যাপারে ও ! ) কোরআনের  ৬৬  নং  সুরার  ১ নং  থেকে  ৫ নং  আয়াত  নাযিল  হয়  ৷

          আয়াত নং ১ - “ হে   নবি ! আল্লাহ্  তোমার  জন্য  যা  বৈধ  করেছেন  কেন  তুমি  তা  নিষিদ্ধ  করছ  তোমাদের  স্ত্রীদের  খুশি  করার  জন্য ?  আর  আল্লাহ্  ক্ষমাশীল , পরম  দয়ালু  ৷”
          আয়াত  নং  ২  - “ আল্লাহ্ তোমাদের  শপথ  থেকে  মুক্তির  ব্যবস্থা  ক’রে  দিয়েছেন , আল্লাহ্  তোমাদের  সহায় ৷  আর  তিনি  সর্বজ্ঞ , তত্ত্বজ্ঞানী ৷”    
          আয়াত নং ৩ - “ ( স্বরণ  করো ) নবি  তার  স্ত্রীদের  একজনকে  গোপনে  কিছু  বলেছিল ৷  তারপর  সেই  স্ত্রী  তা  অন্যকে  বলে  দেয় , আর  আল্লাহ্  নবিকে  তা  তা জানিয়ে  দেন ৷  এ- বিষয়ে  নবি  সেই  স্ত্রীকে  কিছু  বলল  ও  কিছু  বলল  না  ৷  নবি  যখন  তাকে  বলল  তখন  সে  জিজ্ঞেস  করল ,  ‘ কে আপনাকে  একথা  জানাল ’ ? নবি  বলল  ‘ আমাকে জানিয়েছেন  তিনি  যিনি  সর্বজ্ঞ , যাঁর  সব  জানা ’ ৷
         আয়াত নং ৪ -  “ তোমাদের  হৃদয়  যা  কামনা  করেছিল  তার  জন্য  তোমরা  দুজন  অনুতপ্ত  হয়ে  আল্লাহ্ র  দিকে  ফিরে  যাও  ৷ তোমরা  যদি  তার (নবির) বিরুদ্ধে  একে  অপরকে  সাহায্য  কর , তবে ( জেনে  রাখো ) আল্লাহ্  তার  অভিভাবক ; জিবরাইল  ও  সৎকর্মপরায়ণ  বিশ্বাসীরা , আর  তার  ওপর  ফেরেশতারাও , তাকে  সাহায্য  করবে” ৷
         আয়াত নং ৫ - “ নবি  যদি  তোমাদের  সকলকে  তালাক  দেয় , তবে  তার  প্রতিপালক  তোমাদের  পরিবর্তে  হয়তো  তোমাদের  চেয়ে  আরও  ভালো  স্ত্রী  তাকে  দেবেন  ; যারা  মুসলিম , বিশ্বাসী , তওবা  করে , এবাদত  করে , রোজা  রাখে, অকুমারী  ও  কুমারী ” ৷
       এই সব  সতর্ককরা  আয়াত  নাযিলের  পরও  যখন  হারেমের  সামগ্রীক  অবস্থার  তেমন  উন্নতি  বা  অবস্থার  পরিবর্তন  লক্ষিত  হয়  নাই   তখন  কোরআনের  ৩৩  নং  সুরা  আহজাবের  নিম্নলিখিত  আয়াত  নাযিল  হয়  ৷  তখন  নিশ্চয়  আশা করা  হয়েছিল  এতে  অবস্থার  উন্নতি  আরো  হবে  এবং  চীরতরে  এই  বিষয়টার  সমাধান  হয়ে  যাবে  ৷  এখানে  প্রসঙ্গক্রমে  কেউ  কেউ  বলেন  যে ,  ১৪০০  বছরেরও  অধিক  কাল  আগে  যদি  নবীজীর  পরিবার  ও  স্ত্রীদের  মধ্যে  ইসলাম  ধর্ম  বিশ্বাসের  এই  রকম কম  গুরুত্ব  প্রকাশ  পেয়ে  থাকে  তবে  বর্তমান  সময়কে  তো  ইসলাম  ধর্মের  স্বর্ণযুগ  বলা  যায়  অনাআসে  ৷  সে  যাই  হউক  নিম্নে  উল্লেখিত  আয়াতের  উল্লেখ  করা  হল  পাঠকদের  সহজ  অবগতির  জন্যে  !

          ৩৩  নং  সুরা  আহজাব  আয়াত  নং  ২৮ - “ হে  নবি ! তুমি  তোমার  স্ত্রীদের  বলো ,  ‘ তোমরা  যদি  পার্থিব  জীবনের  ভোগ  ও  বিলাসিতা  কামনা  কর , তবে  এসো , আমি  তোমাদের  ভোগবিলাসের  ব্যবস্থা  করে  দিই   আর  তোমাদের  ভদ্রতার  সাথে  বিদায়  দিই ’  ৷ ( আয়াত নং ২৯ - ) “ আর  তোমরা  যদি  আল্লাহ্ , তাঁর  রসুল  ও  পরকাল  চাও , তবে  তোমাদের  মধ্যে  যারা  সৎকর্ম  করে  আল্লাহ্  তাদের  জন্য  মহাপ্রতিদান  প্রস্থুত  রেখছেন  ”  ৷
          আয়াত  নং ৩০ - “ হে  নবিপত্নীগণ !  যে- কাজ  স্পষ্টত  অশ্লীল  তোমাদের  মধ্যে  কেউ  তা  করলে  তাকে  দ্বিগুণ  শাস্তি  দেওয়া  হবে  ৷  আর  এ  আল্লাহ্ র  জন্য  সহজ  ৷
          আয়াত নং ৩১ - “  তোমাদের  মধ্যে  যে  -কেউ  আল্লাহ্  ও  তাঁর  রসুলের  অনুগত  হবে  ও  সৎকাজ  করবে  তাকে  আমি  দুবার  পুরস্কার  দেব  এবং  তা  জন্য  আমি  সম্মানজনক  জীবিকা  রেখেছি ” ৷
         আয়াত  নং  ৩২ - “ হে  নবিপত্নীগণ !  তোমরা  তো  অন্য  নারীদের  মতো  নও ৷ যদি  তোমরা  আল্লাহ্ কে  ভয়  কর , তবে  পরপুরুষের  সঙ্গে  কোমল  কণ্ঠে  এমনভাবে  কথা  বলবে  না  যাতে  অন্তরে  যার  ব্যাধি  আছে  সে  প্রলুব্ধ  হয় ৷  তোমরা  ভালভাবে  কথাবার্তা  বলবে ” ৷
          আয়াত নং ৩৩ - “ আর  তোমরা  ঘরে  থকবে ,  জাহেলিয়া ( প্রাগইসলামি ) যুগের  মতো  নিজেদের  দেখিয়ে  বেড়িয়ো  না  ৷  তোমরা  নামাজ  কায়েম  করবে  ও  জাকাত  দেবে  এবং  আল্লাহ্  ও  তাঁর  রসুলের  অনুগত  হবে  ৷  আল্লাহ্  তো  কেবল  তোমাদের  মধ্যে  থেকে  অপবিত্রতা  দুর  করতে  ও  তোমাদের  সম্পূর্ণ  পবিত্র  রাখতে  চান  ৷”
          আয়াত নৎ ৩৪ - “ আল্লাহ্ র  আয়াত   ও  হিকমতের  কথা  তোমাদের  ঘরে  যা  পড়া  হয়  তা  তোমরা  স্মরণ  রাখবে  ৷  আল্লাহ্  তো  সূক্ষ্মদর্শী , তিনি  সব  খবর  রাখেন” ৷
          এর  পরের    জননাব  ও  জায়েদ  এবং  পোষ্যপুত্রের  ব্যাপার  নাযিল  হওয়া  আয়াত   গুলো  উপরে  (সুরা  আহজাব  আয়াত নং- ৪  এবং  আয়াত নং ৩৬ থেকে ৪০ নং )  উল্লেখিত  হয়ছে  , উপরের  লেখার  অংশের  সঙ্গে  প্রাসঙ্গিক  থাকায়  তাই  এখানে  আর  উল্লেখ  করা  হল  না  ৷  তবে  এর  পরে  সুরা  আহজাবের  ই  আয়াত  নং  ৫০  থেকে  আয়াত  নং  ৫৯  পর্যন্ত  নবীজী  ও  স্ত্রীগণ  এবং  পরিবার  নেয়ে  যে সব  আয়াত  নাযিল  হয়েছে  নিচে  তাঁর  উল্লেখ  করা  হলো  ৷  ঐ  আয়তগুলোতে  দেখা  যাবে  প্রথমে  নবীজীর  আরো  কিছু  সুযোগ  সুবিধা   বাড়িয়ে  দেয়া  হয়  এবং  এতে  বোধহয়  তাঁর  পারিবারিক   জীবনে  আরো  অশান্তির  সৃষ্টি  হয়  ৷  কারো  কারো  মতে  এতে  হিজরতিদেরও  আরো  বিয়ের  প্রবণতা  বেড়ে  যায়  এবং  নানা  কথার  জন্ম  হয়  ৷  তাই  হয়ত  এই  সুরার  ৫২  নং  আয়াত নাযিল  হয়  ৷  আর  এর  পর  নবীজীর  জন্যেও  আর কোনো  স্ত্রীগ্রহণ  অবৈধ  হয়ে  যায়  ৷  এর  পরিণামে  বোধহয়  পরিস্থিতি  নবীজীর  অনুকুলে  চলে  আসে  ৷ 

          ৩৩ নং  সুরা  আয়াত ৫০ - “ হে  নবি !  আমি  তোমার  জন্য  তোমাদের  স্ত্রীদেরকে  বৈধ  করেছি  যাদেরকে  তুমি  দেনমোহর  দিয়েছ  ও  বৈধ  করেছি  তোমার  ডান  হাতের  অধিকারভুক্ত  দাসীদেরকে  যাদেরকে  আমি  দান  করেছি , এবং  বিয়ের  জন্য  বৈধ  করেছি  তোমার  চাচাতো , ফুফাতো , মামাতো , খালাতো  বোনদেরকে  যারা  তোমার  সঙ্গে  দেশত্যাগ  করেছে  আর  কোনো  বিশ্বাসী  নারী  নবির  কাছে  নিবেদন  করলে  আর  নবি  তাকে  বিয়ে  করে  বৈধ করতে  চাইলে  সে-ও  বৈধ  ৷  এ  বিশেষ  করে  তোমারই  জন্য , অন্য  বিশ্বাসীদের  জন্য  হয়  ,  যাতে  তোমার  কোনো  অসুবিধা  না  হয়  ৷ বিশ্বাসীদের  স্ত্রী ও  তাদের  দাসীদের  সম্বন্ধে  আমি  যা  নির্ধারণ  করেছি  তা  আমি  জানি  ৷  আল্লাহ্  ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ” ৷    
          আয়াত নং - ৫১- “ তুমি  ওদের  মধ্যে  যাকে  ইচ্ছা  তোমার  কাছ  থেকে  দূরে  রাখতে  পার  ও  যাকে  ইচ্ছা  গ্রহণ  করতে  পার , আর  তুমি  যাকে  দূরে  রেখেছ  তাকে  কামনা  করলে  তোমার  কোনো  দোষ  নেই  ৷  এ- বিধান  এজন্য  যে , এতে  ওদেরকে  খুশি  করা  সহজ  হবে  আর  ওরা  দুঃখ  পাবে  না , এবং  ওদেরকে  তুমি  যা  দেবে  তাতে  ওদের  প্রত্যকেই  খুশি  থাকবে  ৷  তোমাদের অন্তরে  যা  আছে  আল্লাহ্ তা  জানেন ৷  আল্লাহ্  সব  জানেন, সহ্য করেন  ” ৷
         উপরে উল্লেখিত  এই  দুইটি  আয়াত  অর্থাৎ  ৫০ ও  ৫১ নং  নাযিলের  পর  হিজরতীদের  বা  অভিবাসীদর  মধ্যে  এবং  স্ত্রীদের  মধ্যে  আবার  অসন্তোষ  আরম্ভ হয়ে  পরিস্থিতি  অবনতির  দিকে  মোড়  নেয় এবং  নবীজীর  স্ত্রীদের  সঙ্গে  পরিবারের  সদস্যদের  বাইরের  অনেকের  সঙ্গে  মেলামেশাও    বেড়ে  যায়  ৷  ৷  ফলে  ঐ  আহজাব  সুরার   ৫২  নং  এবং ৫৩ নং  আয়াত  নাযিল  হয়  বলে  ঐতিহাসিকদের  কেউ  কেউ  মনে  করেন  ৷  এবং এই  দুই  আয়াত  নাযিলের  পর  সৃষ্ট  অস্থির  পরিস্থিতি অনেকটা  নিয়ন্ত্রিত  হয়ে  যায়  সাময়িক ভাবে  ৷ 
          আয়াত নং ৫২ -“ ( মুহাম্মদ ! )  এরপর  তোমার  জন্যে  কোনো  নারী  বৈধ  নয়  আর  তোমার  স্ত্রীদের  পরিবর্তে  অন্য  স্ত্রীগ্রহণও  বৈধ  নয়  ৷  যদি  ওদের  সৌন্দর্য  তোমাকে  মুগ্ধও  করে , তবে  তোমার  ডান  হাতের  অধিকারভুক্ত  দাসীদের  ব্যাপারে  এ-বিধান  প্রযোজ্য  নয়  ৷  আল্লাহ্  সমস্ত  কিছুর  ওপর  কড়া  নজর  রাখেন ”   ৷
          আয়াত  নং  ৫৩ -“ হে  বিশ্বাসিগণ !  তোমাদেরকে  অনুমতি  না  দেওয়া  হলে ,  খাবার  তৈরির  জন্য  অপেক্ষা  না  ক’রে  খাওয়ার  জন্য  তোমরা  নবির  বাড়ির  ভিতরে  ঢুকবে  না  ৷  তবে  তোমাদেরকে  ডাকা  হলে  তোমরা  যাবে  ও  খাওয়ার  পর  চলে  আসবে  ৷  কথাবার্তায়  তোমরা  মেতে  যেয়ো  না  ; এমন (ব্যবহার ) নবির  বিরক্তি  সৃষ্টি  করে  ৷  সে  তোমাদেরকে  উঠে  যাওয়ার  জন্য  বলতে  সংকোচ  বোধ  করে  ৷ কিন্তু  আল্লাহ্  সত্য  কথা  বলতে  সংকোচ  বোধ  করেন  না ৷  তোমরা  তাঁর  স্ত্রীদের  কাছে  কিছু  চাইলে  পরদার  আড়াল  থেকে  চাইবে  ৷  এ-বিধান  তোমাদের  ও  তাদর  হৃদয়ের  জন্য  পবিত্রতর  ৷  তোমাদের  কারও  পক্ষে  আল্লাহ্ র  রসুলকে  কষ্ট  দেওয়া  বা  তাঁর  মৃত্যুর  পর  তাদের  স্ত্রীদেরকে  বিবাহ  করা  সংগত  হবে  না  ৷  আল্লাহ্ র  কাছে  এ  গুরু অপরাদ  ”৷
          আয়াত  নং ৫৪ - “ তোমরা  কোনো  বিষয়  প্রকাশই  কর  বা  গোপন  কর , আল্লাহ্  তো  সবই  জানেন  ৷”

      এর  পরের  ইতিহাস  সংক্ষিপ্ত  ৷  নবীজীর  ইন্তেকালের পর  আলীকে ইসলামী  উম্মাহ্ র  খলিফা   মনোনিত  না  করায়  নবীজীর  হারেমের  এবং  স্ত্রীদের  সহ  নবীজীর  পারিবারিক  সদস্যদের  মধ্যের  বিভাজন  আরো  ব্যাপক  আকার  ধারণ  করে  আর  আলী  ৪র্থ  খলিফা  মনোনিত  হওয়ার  পর  নিহিত  ২য়  এবং  ৩য়  খলিফাহ্ র  বিচার  করতে  না  পারায়  আয়েশা  সহ  ঊমাঈয়াদের  (কোরাইশদের )  মধ্যে  এই  বিভাজন  আরো  ব্যাপকভাবে  ছড়িয়ে  পড়ে  ৷  সিরিয়ার  গভর্নার  মুওয়াবিয়াহ্  সঙ্গে  খলিফাহ্  আলীর  আপোষ  আলোচনার  অনুষ্ঠান  থেকে  শিয়াই  আলী  বা  আলীর  দল  নামে  একদল  আলীকে  ছেড়েই  ঐ  স্থান  ত্যাগ  করে  যায়  ৷  আর  এর  কিছুদিন  পরে  আততায়ীর হাতে  খলিফাহ্ আলী  নিহিত  হলে  তাঁর  ছেলে  হাসানকে  আলীর  অনুসারীরা  খলিফাহ্  ঘোষণা  করেন  এবং তখন  থেকেই  ইসলামে  শিয়া  ও  সুন্নি  ধারা  সু-প্রতিষ্ঠিত  হয়ে  যায়  ৷  অর্থাৎ  নবীজীর  হারেমে  স্ত্রীদের  মধ্যে  যে  বিভাজনের  সৃষ্টির   প্রাথমিক   ধারা  শুরু  হয়েছিল  তারই  ধারাবাহিকতায়  খলিফাহ্  আলীর  সময়ে  এবং  তাঁর  মৃত্যুর  পরে  নবীজীর  প্রাথমিকযুগের  ইসলামের  বিভক্তি  সম্পূর্ণ  হয়ে  বর্তমান  শিয়া  ও  সুন্নি  ধারার  বিকাশ  সম্পূর্ণ  হয়েছে  ৷ 

          তবে  একজন  দাসী  সহ  নবীজীর  ১১টি  বিয়ের  ব্যাপারে  কোন  প্রশ্ন  উঠে  নি  ৷  এই  ব্যাপারে  একটি  ঐক্যমত  ও  প্রতিষ্ঠিত  হয়েছে  ৷  তবে  কোনো  কোনো  সূত্র  মতে  নবীজীর    বিয়ের  সংখ্যা  ১৯  টি  ৷    এর  মধ্যে  দাসী  ছিল  ৪  জন  ৷  আর  ৪  জনের  ডিভর্স  হয়ে  গিয়েছিল ৷  এই  ৮  জন  বাকি  ১১  জনের  সঙ্গে  যোগ  করে  কেউ  কেউ  নবীজীর  বিয়ের  সংখ্যা  ১৯টি  বলে  থাকেন  ৷  আর  বিভিন্ন  সূত্র থেকে  জানা  যায় কথাবার্ত  পর্যায়েই  ১৪টি  বিয়ে  ঠিক  না  হয়ে  ভেঙ্গে  গিয়েছিল  আর  ১০  টি  বিয়ের  প্রস্তাব  আসলেও  নবীজী  তা  গ্রহণ  করেন  নি  ৷  যারা  বিস্তারিত  আরো  তথ্যাদি  সহ  এবিয়ষে  আরো  জানতে  আগ্রহী , তারা  নিচে  যুক্ত  করা  একটি  ইংরেজি  লেখা  পড়ে  দেখতে  অনুরোধ  করা  হলো  ৷ 
  
 (মূল  সূত্র  প্রথম  উল্লেখ  করা  হয়ছে  , ২য়  পর্বের
    সূত্রও  অনুরূপ  ৷)

        

List of Muhammad's Wives and Concubines

From WikiIslam, the online resource on Islam
According to Anas ibn Malik, the Prophet Muhammad used to visit all eleven of his wives in one night; but he could manage this, as he had the sexual prowess of thirty men.[1] The historian Al-Tabari calculated that Muhammad married a total of fifteen women, though only ever eleven at one time; and two of these marriages were never consummated.[2] This tally of fifteen does not include at least four concubines. According to Merriam-Webster, a concubine is “a woman with whom a man cohabits without being married”, and has a “social status in a household below that of a wife.”[3] All of Muhammad’s concubines were his slaves. Al-Tabari also excludes from the fifteen several other women with whom Muhammad had some kind of marriage contract but who, due to legal technicalities, never became full wives. It is fairly certain, however, that none of these unions was ever consummated. They were the cultural equivalent of a broken engagement. Finally, there were several other women whom Muhammad wished to marry, or whom he was invited to marry, but for various reasons he did not.

Contents

 [hide
·                                 1 Lists
o                                        1.1 Wives and Concubines
o                                        1.2 Engagements and Broken Contracts
o                                        1.3 Refused Proposals
·                                 2 See Also
·                                 3 References

Lists[edit]

The following lists of women in Muhammad’s life are based on the Islamic sources. Because there were so many women, some of whom had only a very brief association with him, it is possible that this number still falls short of the real total.

Wives and Concubines[edit]

No.
Name
Status
Date
Details
Notable Early Sources
1
Married
July 595.
She was a wealthy merchant from Mecca who employed the 24-year-old Muhammad and then proposed marriage. She was the mother of six of his children and a key character in the earliest development of Islam. She was Muhammad's only wife as long as she lived. She died in April 620.
·                    Ibn Ishaq[4]
·                    Ibn Hisham[5]
·                    Al-Tabari[6]
·                    Ibn Sa'd[7]
2
Sawda bint Zam'a
Married, though with limited rights.
May 620.
She was a tanner who had been an early convert to Islam. Muhammad married her at a time when he was unpopular and bankrupt. He considered divorcing her when, as the oldest and plainest of his wives (described as "fat and very slow"), she no longer attracted him, but she persuaded him to keep her in the house in exchange for never sleeping with her again (she gave up her turn to Aisha).
·                    Bukhari[8]
·                    Ibn Ishaq[9]
·                    Ibn Hisham[10]
·                    Al-Tabari[11]
·                    Ibn Sa'd[12]
3
Aisha bint Abi Bakr
Married
Contracted May 620 but first consummated in April or May 623.
She was the daughter of Muhammad's best friend and head evangelist Abu Bakr. Muhammad selected the six-year-old Aisha in preference to her teenaged sister, and she remained his favourite wife. She contributed a major body of information to Islamic law and history. The paedophilic aspect of this relationship has institutionalised such marriages within Islam.
·                    Ibn Ishaq[13]
·                    Ibn Hisham[14]
·                    Al-Tabari[15]
·                    Ibn Sa'd[16]
4
Hafsa bint Umar
Married
January or February 625.
She was the daughter of Muhammad's wealthy friend Umar. Hafsa was the custodian of the autograph-text of the Qur'an, which was actually somewhat different from the standard Qur'an of today.
·                    Ibn Ishaq[17]
·                    Ibn Hisham[18]
·                    Al-Tabari[19]
·                    Ibn Sa'd[20]
5
Zaynab bint Khuzayma
Married
February or March 625.
She was a middle-class widow known as "Mother of the Poor" because of her commitment to charity work. She died in October 625.
·                    Ibn Hisham[21]
·                    Al-Tabari[22]
·                    Ibn Sa'd[23]
6
Hind (Umm Salama) bint Abi Umayya
Married
April 626.
An attractive widow with four young children, Hind had been rejected by her aristocratic family in Mecca because they were so hostile to Islam. Her tact and practical wisdom sometimes mitigated Muhammad's cruelties. She was a notable teacher of Islamic law and a partisan of Ali.
·                    Ibn Ishaq[24]
·                    Ibn Hisham[25]
·                    Al-Tabari[26]
·                    Ibn Sa'd[27]
7
Zaynab bint Jahsh
Married
March 627.
An early convert to Islam, Zaynab was the wife of Muhammad's adopted son Zayd ibn Harithah. She was also the Prophet's biological cousin. When Muhammad became infatuated with Zaynab, Zayd was pressured into a divorce. To justify marrying her, Muhammad announced new revelations that (1) an adopted son did not count as a real son, so Zaynab was not his daughter-in-law, and (2) as a prophet, he was allowed more than the standard four wives. Zaynab excelled at leather-crafts.
·                    Ibn Ishaq[28]
·                    Ibn Hisham[29]
·                    Al-Tabari[30]
·                    Ibn Sa'd[31]
8
Rayhana bint Zayd ibn Amr
Sexual slavery
May 627.
Her first husband was one of the 600-900 Qurayza men whom Muhammad beheaded in April 627. He enslaved all the women and selected Rayhana for himself because she was the most beautiful. When she refused to marry him, he kept her as a concubine instead. She died shortly before Muhammad in 632.
·                    Ibn Ishaq[32]
·                    Al-Tabari[33]
·                    Ibn Sa'd[34]
9
Juwayriyah bint Al-Harith
Married
January 628.
The daughter of an Arab chief, she was taken prisoner when Muhammad attacked her tribe. Muhammad did not make a habit of marrying his war-captives, but Aisha claimed that Juwayriyah was so beautiful that men always fell in love with her at first sight.
·                    Ibn Ishaq[35]
·                    Ibn Hisham[36]
·                    Al-Tabari[37]
·                    Ibn Sa'd[38]
10
Ramlah (Umm Habiba) bint Abi Sufyan
Married
July 628 (following a proxy wedding earlier in the year)
She was a daughter of Abu Sufyan, the Meccan chief who led the resistance against Muhammad, but she had been a teenaged convert to Islam. This marriage offset some of Muhammad's political humiliation in the Treaty of Hudaybiya by demonstrating that he could command the loyalty of his adversary's own daughter. Ramlah was devoted to Muhammad and quick to pick quarrels with people who were not.
·                    Ibn Ishaq[39]
·                    Ibn Hisham[40]
·                    Al-Tabari[41]
·                    Ibn Sa'd[42]
11
Married
July 628.
She was the beautiful daughter of a Jewish chief, Huyayy ibn Akhtab. Muhammad married her on the day he defeated the last Jewish tribe in Arabia, only hours after he had supervised the slaying of Kinana her second husband. His earlier victims had included her father, brother, first husband, three uncles and several cousins. This marriage was of no benefit to Safiyah's defeated tribe, who were banished from Arabia a few years later; its real political significance was that Safiyah's presence in Muhammad's household was an open demonstration that he had defeated the Jews.
·                    Ibn Ishaq[43]
·                    Ibn Hisham[44]
·                    Al-Tabari[45]
·                    Ibn Sa'd[46]
12
Maymunah bint Al-Harith
Married
February 629.
She was a middle-class widow from Mecca who proposed marriage to Muhammad. A placid woman who kept a very tidy house, Maymunah was completely obsessed with rules and rituals.
·                    Ibn Ishaq[47]
·                    Ibn Hisham[48]
·                    Al-Tabari[49]
·                    Ibn Sa'd[50]
13
Sexual slavery
c. June 629.
She was one of several slaves whom the Governor of Egypt sent as a present to Muhammad. He kept her as a concubine despite the objections of his official wives, who feared her beauty. Mariyah bore Muhammad a son, Ibrahim.
·                    Ibn Ishaq[51]
·                    Al-Tabari[52]
·                    Ibn Sa'd[53]
14
Mulayka bint Kaab
Divorced
January 630.
Her family resisted the Muslim invasion of Mecca. Needing to appease the conqueror, they gave him the beautiful Mulayka as a bride. When she realised that Muhammad's army had killed her father, she demanded a divorce, which he granted her. She died a few weeks later.
·                    Al-Tabari[54]
·                    Ibn Sa'd[55]
15
Fatima al-Aliya bint Zabyan al-Dahhak
Divorced
February or March 630.
She was the daughter of a minor chief who had converted to Islam. Muhammad divorced her after only a few weeks "because she peeked at men in the mosque courtyard." Fatima had to work for the rest of her life as a dung-collector, and she outlived all Muhammad's widows.
·                    Al-Tabari[56]
·                    Ibn Sa'd[57]
16
Asma bint Al-Numan
Divorced
June or July 630.
She was a princess from Yemen whose family hoped the marriage alliance would ward off a military invasion from Medina. But Muhammad divorced her before consummation after Aisha tricked her into reciting the divorce formula. Asma later married a brother of Umm Salama.
·                    Ibn Hisham[58]
·                    Al-Tabari[59]
·                    Ibn Sa'd[60]
17
Al-Jariya
Sexual slavery
After 627.
She was a domestic slave belonging to Zaynab bint Jahsh, who made Muhammad a present of her. She seems to have been an "unofficial" concubine who did not have a regular turn on his roster.
·                    Ibn al-Qayyim[61]
18
Amra bint Yazid
Divorced
c. 631.
She was a Bedouin of no political importance. Muhammad divorced her before consummation when he saw she had symptoms of leprosy.
·                    Ibn Ishaq[62]
·                    Ibn Hisham[63]
·                    Al-Tabari[64]
·                    Ibn Sa'd[65]
19
Tukana al-Quraziya
Sexual slavery
Unknown, but probably in the last months of Muhammad's life.
She was a member of the defeated Qurayza tribe whom Muhammad selected as one of his personal slaves. She appears to have been another "unofficial" concubine without a regular turn on the roster. After Muhammad's death, she married Abbas.
·                    Majlisi[66]
·                    Ibn al-Qayyim.[67]


Engagements and Broken Contracts[edit]

No.
Name
Date
Details
Notable early sources
1
Ghaziya (Umm Sharik) bint Jabir
Early 627.
She was a poor widow with dependent children. She sent Muhammad a proposal of marriage, and he agreed to the contract. However, when he met her in person, he saw that, although attractive, she was "old", and he divorced her immediately. She never remarried.
·                    Ibn Hisham[68]
·                    Al-Tabari[69]
·                    Ibn Sa'd[70]
2
Khawla bint Hudhayl
Probably mid- or late-627.
She was a princess from the powerful Christian Taghlib tribe in northern Arabia. Her uncle arranged the marriage, which was expected to be politically advantageous on both sides. Muhammad signed the contract, but Khawla died on her journey to Medina, before they met in person.
·                    Al-Tabari[71]
·                    Ibn Sa'd[72]
3
Sharaf bint Khalifa
Probably mid- or late-627.
She was an aunt of Khawla bint Hudhayl (above). After Khawla's death, the family tried to substitute Sharaf. In one tradition, Sharaf also died before consummation. In another tradition, Muhammad changed his mind and broke off the contract.
·                    Al-Tabari[73]
·                    Ibn Sa'd[74]
4
Layla bint al-Khutaym
After 627.
One of the first converts in Medina, Layla asked Muhammad to marry her so that her clan, the Zafar, would be the most closely allied to the Prophet. He agreed. However, Layla's family warned her that she was too "jealous and whip-tongued" to adapt well to polygamy, which would cause political problems for the whole community. Under this pressure, Layla broke off the engagement.
·                    Al-Tabari[75]
·                    Ibn Sa'd[76]
5
Umm Habib bint Al-Abbas
After March 630.
She was Muhammad's cousin. He saw her as a baby crawling around and remarked, "If I am alive when she grows up, I will marry her." He changed his mind when he found out that her father had been his foster-brother and died soon afterwards.
·                    Ibn Ishaq.[77]
·                    Al-Tabari.[78]
·                    Ibn Sa'd.[79]
6
Sana al-Nashat bint Rifaa (Asma) ibn As-Salt
c. April 630.
She was the daughter of a Muslim warrior who hoped to advance his career by becoming Muhammad's father-in-law. Muhammad signed the contract, but Sana died before the marriage could be consummated.
·                    Al-Tabari[80]
·                    Ibn Sa'd[81]
7
Umra bint Rifaa
c. May 630.
She was the sister of Sana (above). After Sana died, their father tried to interest Muhammad in Umra. At first he agreed, but he later changed his mind, ostensibly because Rifaa boasted that Umra "has never known a day's illness in her life."
·                    Ibn Sa'd[82]
8
Bint Jundub ibn Damra of Janda’a
Unknown.
Nothing is known about this woman except that Muhammad contracted marriage with her but divorced her before consummation.
·                    Ibn Sa'd[83]
9
Jamra bint Al-Harith
c. 631
She proposed marriage to Muhammad, and he accepted. Her father informed him that she suffered from a serious disease, whereupon Muhammad broke off the engagement. According to the Muslim chroniclers, her father arrived home only to find that she really had been afflicted with leprosy.
·                    Al-Tabari[84]
10
Al-Shanba’ bint Amr
January 632.
She was from a Bedouin tribe who appeared friendly to Muhammad but who had also been friends of the Qurayza tribe. Al-Shanba’ insulted Muhammad on the first day by implying that he was not a true prophet, and he divorced her immediately.
·                    Al-Tabari[85]
11
Qutayla (Habla) bint Qays
May 632.
She was a cousin of Asma bint Al-Numan, and the Yemenites sent her to Muhammad as a substitute bride. He signed the marriage contract but he died before Qutayla arrived in Medina. As soon as she heard that he was dead, she apostated from Islam. Soon afterwards she married an Arab chief who was a leader in the Apostasy Wars.
·                    Al-Tabari[86]
·                    Ibn Sa'd[87]
12
Mary, mother of Jesus
The Afterlife.
Muhammad said that Allah had wedded him in Heaven to the Virgin Mary, who was one of the four perfect women. The Qur'an refers several times to Mary, praising her chastity and affirming the virgin birth of Jesus. Muhammad said she lived in a beautiful jewelled palace in Paradise next to Khadijah's.
·                    Qur'an[88]
·                    Bukhari[89]
·                    Muslim[90]
·                    Majlisi[91]
13
Queen Asiya of Egypt
The Afterlife.
Muhammad said that Allah had wedded him in Heaven to Queen Asiya, who was one of the four perfect women. The Qur'an tells how Asiya rescued the infant Moses from the evil Pharaoh, and how Pharaoh later tortured his wife to death for her monotheism. Muhammad said that Asiya's palace in Heaven was on the other side of Khadijah's.
·                    Qur'an[92]
·                    Muslim[93]
·                    Ibn Kathir[94]
·                    Majlisi[95]
14
Kulthum bint Amram
The Afterlife.
Muhammad originally believed that Maryam the sister of Moses and Maryam the mother of Jesus were one and the same. When he realised his mistake, he apparently over-corrected by deciding that Moses' sister was not even named Maryam. He renamed her Kulthum ("Chubby Cheeks") and said that Allah had wedded her to him in Heaven. He did not say that she was a perfect woman or that she lived next to Khadijah.
·                    Qur'an[96]
·                    Muslim[97]
·                    Majlisi[98]


Refused Proposals[edit]

No.
Name
Date
Details
Notable early sources
1
Fakhita (Umm Hani) bint Abi Talib
before 595;
January 630;
c. 631
Muhammad proposed to his cousin Fakhita, but her father married her off to a wealthy Makhzumite poet.
Nearly forty years later, after Muhammad conquered Mecca, Fakhita's husband fled rather than convert to Islam, causing an automatic divorce. Muhammad proposed to Fakhita again, but she refused, saying she could not be equally fair to a new husband and her young children.
Later still, Fakhita came to Muhammad, saying her children had grown up and she was finally ready to marry him; but he said she was too late.
·                    Ibn Ishaq[99]
·                    Al-Tabari[100]
·                    Ibn Sa'd[101]
2
“As Many Wives as You Want”
c.618-619.
The chiefs of Mecca offered Muhammad "as many wives as you want in marriage," together with wealth, political power and the services of a competent exorcist, if only he would stop insulting their gods. Muhammad refused this offer, which was made while Khadijah was still alive.
·                    Al-Tabari[102]
3
Habiba bint Sahl
c. 623.
Habiba was a prominent member of the Najjar clan in Medina. When the chief died with no obvious heir, Muhammad proposed to Habiba. His companions warned him that the women of Medina were not used to polygamy and that the men were very jealous for the happiness of their daughters; if this marriage turned out badly, key citizens might withdraw their support from Islam. Muhammad retracted his proposal, but the Najjar clan made him their chief anyway.
·                    Ibn Ishaq[103]
·                    Ibn Sa'd[104]
·                    Abu Dawud[105]
·                    Muwatta[106]
4
Al-Ansariya
After 625.
This unnamed woman proposed to Muhammad in Hafsa's presence. Hafsa decried the shame of a woman who would throw herself at a man, but Muhammad retorted, "She is better than you because she wanted me while you only find fault." He refused the proposal, but promised the woman a reward in Paradise for asking.
In fact several ansar women are said to have proposed to Muhammad; while this example is anonymous, it clearly refers to a woman who is distinct from Layla bint Khutaym.
·                    Majlisi[107]
5
Khawla bint Hakim
After 627.
This is the same Khawla bint Hakim who arranged Muhammad's marriages to Aisha and Sawda. Her first husband was Hafsa's uncle, and their elder son fought at Badr. After being widowed, Khawla asked Muhammad to marry her, but he refused without giving a reason. However, he found her a new husband the same day.
·                    Ibn Ishaq[108]
·                    Bukhari[109]
·                    Ibn Sa'd[110]
·                    Ibn Kathir[111]
6
Dubaa bint Amir
After 627.
Dubaa was a wealthy noblewoman to whom Muhammad sent a marriage proposal when he heard about her beautiful long hair that filled a whole room when she sat down. But by the time she accepted him, he had been advised that she was “elderly” (her grown-up son had been born from her third marriage) so he retracted his proposal before he had even met her.
·                    Al-Tabari[112]
·                    Ibn Sa'd[113]
7
Izza bint Abi Sufyan
After July 628.
She was the sister of Muhammad’s wife Ramlah. Ramlah proposed Izza as a bride, "since, as I cannot be your only wife, I would like to share my good fortune with my sister." But Muhammad said he could not marry two sisters concurrently.
·                    Muslim[114]
8
Durrah bint Abi Salama
After July 628.
She was the daughter of Muhammad's wife Hind. Another wife, Ramlah, noticed that Muhammad admired Durrah and asked if he intended to marry her. He replied that he could not marry his stepdaughter; and besides, her father had been his foster-brother. On the day Muhammad died, Durrah was only six years old.
·                    Muslim[115]
9
Umama bint Hamza
After March 630.
She was Muhammad's cousin and said to be the prettiest girl in the family. Ali proposed her as a bride while she was still a child, but Muhammad said that he could not marry her because her father had been his foster-brother. She later married his stepson, Salama ibn Abi Salama.
·                    Ibn Sa'd[116]
10
Safiyah bint Bashshama
September 630.
She was a war-captive from Mesopotamia. Muhammad asked her to marry him, but when she said she wanted to return to her husband, he allowed her family to ransom her. It is said that her family cursed her for placing her personal happiness above the political needs of the tribe.
·                    Al-Tabari[117]
·                    Ibn Sa'd[118]

This page is featured in the core article, Islam and Women which serves as a starting point for anyone wishing to learn more about this topic Core part.png

See Also[edit]

·                    Lists - A hub page that leads to other articles related to Lists
·                    Muhammad's Wives - A hub page that leads to other articles related to Muhammad's wives and concubines
Translations
·                    A version of this page is also available in the following languages: Bulgarian, Italian. For additional languages, see the sidebar on the left.

References[edit]

1.                             Jump up Sahih Bukhari 1:5:268. See also Sahih Bukhari 7:62:142.
2.                             Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 126-127.
3.                             Jump up Concubine – Merriam-Webster, accessed September 28, 2011
4.                             Jump up Guillaume/Ishaq 82-83, 106-107, 111, 113-114, 160-161, 191, 313-314.
5.                             Jump up Ibn Hisham note 918.
6.                             Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 127-128; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 3-4
7.                             Jump up Bewley/Saad 8:9-12, 39, 151-152.
8.                             Jump up Sahih Bukhari 2:26:740.
9.                             Jump up Guillaume/Ishaq 148, 309, 530.
10.                          Jump up Ibn Hisham note 918.
11.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 128-130; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 169-170.
12.                          Jump up Bewley/Saad 8:39-42, 152.
13.                          Jump up Guillaume/Ishaq 116, 223, 279-280, 311, 457, 464-465, 468, 493-499, 522, 535-536, 544, 649-650, 667, 678-688.
14.                          Jump up Ibn Hisham note 918.
15.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 128-131; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 171-174.
16.                          Jump up Bewley/Saad 8:43-56, 152.
17.                          Jump up Guillaume/Ishaq 218, 301, 679.
18.                          Jump up Ibn Hisham note 918.
19.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 131-132; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 174-175.
20.                          Jump up Bewley/Saad 8:56-60, 152.
21.                          Jump up Ibn Hisham note 918.
22.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 138; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 63-64.
23.                          Jump up Bewley/Saad 8:82, 152.
24.                          Jump up Guillaume/Ishaq 146, 147, 150-153, 167-169, 213-214, 462, 529, 536, 546, 589, 680.
25.                          Jump up Ibn Hisham note 918.
26.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 132; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 175-177.
27.                          Jump up Bewley/Saad 8:61-67, 152.
28.                          Jump up Guillaume/Ishaq 215, 495.
29.                          Jump up Ibn Hisham note 918.
30.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 134; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 180-182.
31.                          Jump up Bewley/Saad 8:72-81, 152.
32.                          Jump up Guillaume/Ishaq 466.
33.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 137, 141; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 164-165.
34.                          Jump up Bewley/Saad 8:92-94, 153.
35.                          Jump up Guillaume/Ishaq 490-493.
36.                          Jump up Ibn Hisham note 918.
37.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 133; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 182-184.
38.                          Jump up Bewley/Saad 8:83-85, 152.
39.                          Jump up Guillaume/Ishaq 146, 527-528, 529, 543.
40.                          Jump up Ibn Hisham note 918.
41.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 133-134; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 177-180.
42.                          Jump up Bewley/Saad 8:68-71, 153.
43.                          Jump up Guillaume/Ishaq 241-242, 511, 514-515, 516-517, 520.
44.                          Jump up Ibn Hisham note 918.
45.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 134-135; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 184-185.
46.                          Jump up Bewley/Saad 8:85-92, 153.
47.                          Jump up Guillaume/Ishaq 531, 679-680.
48.                          Jump up Ibn Hisham note 918.
49.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 135; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 185-186.
50.                          Jump up Bewley/Saad 8:94-99, 153.
51.                          Jump up Guillaume/Ishaq 653.
52.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 137, 141; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 193-195.
53.                          Jump up Bewley/Saad 8:148-151.
54.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 39, p. 165.
55.                          Jump up Bewley/Saad 8:106, 154.
56.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 138; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 186-188. Despite the confusion over the name, she is probably also the woman referred to in Al-Tabari, Vol. 9, pp. 136-137 and the “Fatima bint Shurayh” of Al-Tabari, Vol. 9, p. 139
57.                          Jump up Bewley/Saad 8:100-101, 153.
58.                          Jump up Ibn Hisham note 918 (here he has apparently confused her with Amra bint Yazid).
59.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 39, pp. 188-191. She is mentioned in Al-Tabari, Vol. 9, pp. 128-130 but has apparently been partly confused with Amra bint Yazid.
60.                          Jump up Bewley/Saad 8:101-105, 153.
61.                          Jump up Ibn al-Qayyim, Za’d al-Ma’ad 1:114.
62.                          Jump up Ibn Ishaq, cited in Guillaume, A. (1960). New Light on the Life of Muhammad, p. 55. Manchester: Manchester University Press
63.                          Jump up Ibn Hisham note 918 (here he has apparently confused her with Asma bint Al-Numan).
64.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 139; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 187-188.
65.                          Jump up Bewley/Saad 8:100-101.
66.                          Jump up Majlisi, Hayat al-Qulub 2:52.
67.                          Jump up Ibn al-Qayyim, Zaad al-Ma’ad 1:114.
68.                          Jump up Ibn Hisham note 918.
69.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 139.
70.                          Jump up Bewley/Saad 8:111-114.
71.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 139; Al-Tabari, Vol. 39, p. 166
72.                          Jump up Bewley/Saad 8:116.
73.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 138.
74.                          Jump up Bewley/Saad 8:116-117.
75.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 139.
76.                          Jump up Bewley/Saad 8:7, 108-109, 231.
77.                          Jump up Guillaume/Ishaq 311.
78.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 140.
79.                          Jump up Bewley/Saad 8:36.
80.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 135-136; Al-Tabari, Vol. 39, p. 166.
81.                          Jump up Bewley/Saad 8:106-107.
82.                          Jump up Bewley/Saad 8:107.
83.                          Jump up Bewley/Saad 8:106.
84.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 140-141
85.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 136.
86.                          Jump up Al-Tabari, Vol. 9, pp. 138-139.
87.                          Jump up Bewley/Saad 8:105.
88.                          Jump up Qur'an 3:33-51; Qur'an 19:16-40; Qur'an 21:91; Qur'an 66:12.
89.                          Jump up Sahih Bukhari 4:55:642. Sahih Bukhari 5:58:163.
90.                          Jump up Sahih Muslim 31:5965.
91.                          Jump up Majlisi, Hayat al-Qulub 2:26.
92.                          Jump up Qur'an 28:4-13; Qur'an 66:11.
93.                          Jump up Sahih Muslim 31:5966.
94.                          Jump up Ibn Kathir, Tafsir on Qur'an 66:11.
95.                          Jump up Majlisi, Hayat al-Qulub 2:26.
96.                          Jump up Qur'an 19:27-28.
97.                          Jump up Sahih Muslim 5:326.
98.                          Jump up Majlisi, Hayat al-Qulub 2:26.
99.                          Jump up Guillaume/Ishaq 181, 184, 404-405, 551-552, 557, 689.
100.                      Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 140; Al-Tabari, Vol. 39, pp. 170-171
101.                      Jump up Bewley/Saad 8:109-110.
102.                      Jump up Al-Tabari, Vol. 6, pp. 106-107.
103.                      Jump up Guillaume/Ishaq 235.
104.                      Jump up Bewley/Saad 8:288-289.
105.                      Jump up Abu Dawud 12:2219 ; Abu Dawud 12:2220 ; Abu Dawud 12:2221 .
106.                      Jump up Al-Muwatta 20 10.31b.
107.                      Jump up Majlisi, Hayat al-Qulub 2:52.
108.                      Jump up Guillaume/Ishaq 590
109.                      Jump up Sahih Bukhari 7:62:24; Sahih Bukhari 7:62:58; Sahih Bukhari 7:62:63; Sahih Bukhari 7:62:66.
110.                      Jump up Bewley/Saad 8:114.
111.                      Jump up Ibn Kathir, Tafsir on Qur'an 33:50.
112.                      Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 140
113.                      Jump up Bewley/Saad 8:111.
114.                      Jump up Sahih Muslim 8:3412; Sahih Muslim 8:3413.
115.                      Jump up Sahih Muslim 8:3412; Sahih Muslim 8:3413.
116.                      Jump up Bewley/Saad 8:115-116.
117.                      Jump up Al-Tabari, Vol. 9, p. 140
118.                      Jump up Bewley/Saad 8:109-111.





          


       

মন্তব্যসমূহ