প্রাক-ইসলামী যুগের কা’বা গূহ এবং
এর আশে পাশের অধিবাসীদের জীবন প্রণালীর বর্ণনা : ( সামাজিক , আধ্যাত্মিক , অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ও ধর্মীয়
কারণ
বিশ্লেষণ সহ )
ইসলামের প্রতিষ্ঠার
আগে দক্ষিণ আরবের এই অঞ্চলটি
মৌসমী বৃষ্টির কারণে উর্বর জমির সঙ্গে প্রাচীন
ও উন্নত সংস্কৃতির
অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল ৷ তবে অন্য অংশের অবাধ্য আরবদের
মরুপ্রান্তরে ছিল ভয়ঙ্কর
রকম বনো স্বভাবের
এক মানব গোষ্ঠির
বসবাস ৷ তাদেরকে
বাইরের লোকরা তাঁবুবাসী
হিসেবে চিনত ৷ এই এলাকাটাকে
তখন ঈশ্বর বিহীন অঞ্চল বলে গণ্য করা হত ৷
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এখানেই
জন্মগ্রহণ করেন ৷ এই অঞ্চলে
তখন মনোফিজিটিজম নামে পরিচিত খৃস্টধর্মের
একটি বিকৃতরূপ গড়ে উঠে ছিল ৷ উঠের দুধ আর শিকারিদের শিকারকরা
পশুর মাংশ খেয়ে বেঁচে থাকতে হত তাদের ৷ তাই ঐ যাযাবর
ও বেদুইনদের প্রয়োজন
ছিল কৃষিজীবীদের সহায়তার
৷ দক্ষিণ অঞ্চলের কৃষিজীবীরা
তাদেরকে কিছু গম ও খেজুর সরবরাহ করত আর এর বিনিময়ে যাযাবররা
দূর-দূরান্তর থেকে রসদপত্র
ও অন্যান্য পণ্যসামগ্রী
কৃষিজীবীদের কাছে পৌঁছে দিত ৷ পরবর্তীকালে একসময় যাযাবর তাঁবুবাসীরা
ফার্টাইল ক্রিসেন্ট ও আরবীয় পেনিনসুলার
মরু এলাকায় প্রবেশ
করতে সমর্থ হয় ৷ তখন তারা কৃষিজীবীদের
সহায়তায় মরুদ্যান সমূহকে
সুজলা সুফলা ক’রে তোলে ৷ যাযাবররা তখন দক্ষ যোদ্ধা
হিসেবে কৃষকদের উৎপাদিত
পন্যের একটি নির্দিষ্ট
অংশের বিনিময়ে বসতি গড়ে তোলা সহ আরবদের
নিরাপত্তার ব্যবস্থা করত ৷ তবে মরু প্রান্তরের
জীবন খুবই অনিশ্চিত
থাকত ৷ ফলে মরুবাসীরা সবসময় অভাবগ্রস্থ থাকতে হত ৷ এরই প্রক্ষিতে
তারা পরস্পরের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায়
লিপ্ত থাকতে হত ৷ আর এভাবে একাকী বেঁচে থাকাও সম্ভব ছিলনা ৷ তাই তারা রক্তের
সম্পর্ক আর আত্মীয়তার
ভিত্তিতে নিজেদের মধ্যে স্বায়ত্বশাসিত বিভিন্ন
দল বা গোত্র গড়ে তোলে ৷ পশ্চিমের
ক্লোন বা ট্রাইব
এর অনুকরণে আরবরা ও কৌওম প্রতিষ্ঠা করে এর নাম দিত বণী আসাব , বণী কাল্প ইত্যাদি
নামে ৷ আর সব কিছুই পরিচালিত হত গোত্রের স্বার্থে
আর গোত্রপ্রধানের নির্দেশ
সবাইকে বিনা প্রশ্নে
পালন করতে হত ৷ কারণ গোত্রকে এবং এর সদস্যদের
রক্ষা করার দায়িত্ব
থাকত গোত্রপ্রধানের ওপর ৷ আর প্রত্যেকটা আঘাতের
বদলা নিতে প্রস্তুত
থাকতে হত প্রত্যেক
গোত্রের এবং গোত্র প্রধানের ৷ কোনো কৌওম তার গোত্রের
আঘাতের বদলা নিতে ব্যর্থ হলে সেই কৌওমকে
কেউ আর শ্রদ্ধা
করত না ৷ তখন হত্যার
বদলা হত্যা করা কোনো অপরাদ ছিল না ৷ আত্মীয়সজন
বা সহযোগিদের ছাড়া অন্য কারো সম্পদ ছিনিয়ে
নেয়া ও অনৈতিক কাজ হিসেবে গণ্য করা হত না ৷ তাই লুটপাট
করা বা ঘাযু হামলা করে সম্পদ আহোরণ করা তাদের অন্যতম কাজ ছিল ৷ তবে অনেক পরিবর্তনের পরও তাদের সামাজিক
মূল্যবোধ বুনোই থেকে গিয়েছিল ৷ তাই বোধহয় পবিত্র কোরানের একটি আয়াতে মরুবাসীকে
কপট প্রকৃতির মানুষ বলে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷
তবে যাযাবর
ও বেদুইন বলে খ্যাত আরবদের
আধ্যাত্মিক জীবন ও ছিল ৷ আর আধ্যাত্মিক জীবনের
গুরুত্ব তাদের কাছে ছিল অপরিশীম
৷ তাদের উপসনালয়
গৃহ ও ছিল ৷ যে গুলোতে নির্দিষ্ট
প্রাচীন দেবতার অধিষ্ঠান
ছিল ৷ উপসনালয়ে সেসব অধিষ্ঠিত দেবতাদেরকে
কেন্দ্র করে পূজা-আর্চণা
করা হত ৷
এসব উপসনাগৃহের
মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কা’বা গৃহ ৷ পবিত্র
যমযম কুয়োর কাছে এর অবস্থান
৷ চৌকা গ্রানিট
বাক্সের মত উপাসনালয়টি
ছিল অত্যন্ত প্রাচীন
৷ অনেকটা ধ্বংস হয়ে য়াওয়া অন্যান্য সৌধ আর উপসনালয়ের
মত দেখতে ছিল এটা ৷ এর পূর্ব কোণে স্থাপিত
ছিল একটি কৃষ্ণপাথর
৷ ধারণা করা হয় সম্ভবত
কোনো এক সময়ে মহাকাশ থেকে ছুটে আসা উলকাপিণ্ড বা তার অংশ বিশেষ ইহা ৷ যাযাবরদের কাছে এই পাথরটি
দুনিয়া এবং স্বর্গের
যোগসুত্রের প্রতীক হিসেবে
প্রতিষ্ঠিত ছিল ৷
একবার নাকি হযরত আলী (রাঃ) বলেছিলেন নবীজী (সঃ) কে
এই কালো পাথরে চুমো খেতে না দেখলে তিনি এটাকে সাগরে ফেলে দিতেন ৷ হয়ত নবীজী আরবদের পুরাতন
ঐতিহ্য রক্ষা করতে ও প্রাক-ইসলামিক ধারা অব্যাহত রাখতে এর কোনো পরিবর্তন করেন নি ৷ প্রাক-ইসলামী যুগে কা’বাগৃহ আনুষ্ঠানিক
ভাবে দেবতা হুবালের
জন্যে নির্দিষ্ট করা ছিল ৷ এই দেবতা হুবালকে জর্ডানের
নাবাতিয়ান রাজ্য থেকে কা’বাগৃহের জন্য আমদানি করা হয়ে ছিল ৷ মক্কার
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী
ধারণা করা হত যে এই কা’বা
উপাসনালয়টি প্রকৃতপক্ষে আরবদের
পরম ঈশ্বরের নামে নিবেদিত ছিল , যদিও তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে হুবাল দেবতার
পূজা আর্চণা করত ৷
কা’বার চারপাশে
একটি বৃত্তাকার এলাকা রয়েছে যেখানে
তীর্থযাত্রীরা তাওয়াফ করার উদ্দেশ্যে
জড়ো হত
৷ আর সূর্যের
দিকে মূখ করে উপসনালয়টিকে সাতবার
প্রদক্ষিণ করাকে তাওয়াফ
বলা হত ৷ যা এর ইসলামীকরণ করার পর অন্যভাবে
ঐ একিই কাজ করা হচ্ছে বর্তমানেও
৷
তবে তখন উপসনালয়ের
চারপাশে আরো ৩৬০ টি
মূর্তি দেবী প্রতিমা স্থাপিত ছিল ৷ যা নির্দিষ্ট মাসে এখানে উপসানার
উদ্দেশ্যে আগত বিভিন্ন
পূর্বেকার যাযাবর ও তাঁবুবাসী গোত্রের
টোটেম বা প্রতীক ছিল ৷
মক্কার চারপাশের
ভূমি যা কা’বাকে
কেন্দ্র করে বিশমইল
ব্যাসার্ধের এলাকাকে পবিত্র
হিসেবে গণ্য করে সবার জন্যে সেখানে সব ধরনের সহিংসতা
ও সংঘাত ছিল নিষিদ্ধ ৷ আজও তা অব্যহত আছে ৷ তবে সৌদি রাজপরিবার
নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে শুধু এখন ইহার ব্যবহার করেন বলে শুনা যায় ৷
কা’বা গৃহকে প্রদক্ষিন করার উপাসনা আরবদের পূণ্য
অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মাতিক ও মনোস্তাত্তিক প্রয়োজন
মেটাত ৷ তাই হয়ত
হযরত
মুহাম্মদ (সঃ) নবুওয়াত প্রাপ্তির
আগেই সবসময় কা’বার
প্রতি রহস্যময় আকর্ষণ
বোধ করছেন ৷ আবার আরবরা সারাদিন ক্লান্তিকর
শিকার শেষে বাড়ি ফেরার আগে আনন্দের সঙ্গে একবার কা’বাগৃহকে
ঘিরে এক চক্কর দেয়ার পরই ঘরে ফিরত ৷
ঐতিহাসিকদের বিশ্লষণে
জানা যায় এই উপাসনাগৃহটি সেমেটিক
বিশ্বের জন্যে এক সাধারণ ব্যাপার
ছিল ৷ কারণ অনুসন্ধানে জানা যায় বৃত্ত ও চারকোন
বিশিষ্ট উপাসনালয় গৃহ
, যার চারপাশ
ঘিরে আছে ৩৬০ প্রতীকি মুর্তি
বা প্রতিমা তা সম্ভবত প্রাচীন
সুমেরিয়ান ধর্ম থেকে এসেছে ৷ সুমারিয়ানরা ৩৬০ দিনে বছর গণনা করত ৷ আর সূর্য বছরের বাকি ৫ দিন ছুটির দিন হিসেবে স্বর্গ-নরক প্রাপ্তি সম্পর্কিত
বিশেষ অনুষ্ঠান পালনের
মধ্যে দিয়ে শেষ করত ৷ আর আরবেরা
এই পাঁচটি দিন হজ্জ পালনের
অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ
করত ৷ তবে বছরে একবারই এই অনুষ্ঠান পালিত হত ৷ পেনিনসুলার বিভিন্ন
স্থান থেকে আগত আরবরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নিত ৷ কা’বাগৃহে শুরু হওয়া হজ্জের
অনুষ্ঠান মক্কানগরীর বাইরের
বিভিন্ন উপাসনালয়ে ও ছড়িয়ে পড়েছিল
সে সময়ে ৷ সূর্য ছাড়া অন্যান্য দেবতার
উদ্দেশ্যে ও এসব অনুষ্ঠান
নিবেদিত হত ৷ তখন শরৎকালে
হজ্জের অনুষ্ঠান হত ৷ তাই সে সময়ের মুমূর্ষু সুর্যকে রাজি
করিয়ে শীতের বৃষ্টির
আগমনকে ত্বরান্নিত করতে এ অনুষ্ঠান
করা হত ৷ মক্কা থেকে প্রায়
ষোলমাইল
দূরে তীর্থযাত্রীরা মাযদালিকার গহ্বরে
তাদের বিশ্বাস অনুসারে
বজ্রদেবতার আবাসে হাজির হয়ে আরাফাত
পর্বত পর্যন্ত স্থানে
সারা রাত জেগে পর্যবেক্ষণ চালাত ৷ ইহা ছাড়াও তীর্থযাত্রীরা
মিনায় অবস্থিত তিনটি পবিত্র
স্তম্ভের উদ্দেশ্যে পাথর ছুড়ত এবং সর্বশেষে পশু কোরবাণী দিয়ে এই অনুষ্ঠানটির
সমাপ্তি করত ৷ বর্তমানে কিছু পরিবর্তিত নিয়মে এই ধারাই অব্যাহিত রাখা হয়েছে ৷ তবে পৌত্তলিকতার
এই ধারা পরবর্তীকালে
চালু রাখার ব্যাপারে
কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায় নি ৷ পূর্বে
ও এর তাৎপর্য কি ছিল তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট ছিল না
৷ এই ধর্মীয়
অনুষ্ঠানের সময় বাৎসরিক
বানিজ্যিক মেলা ও অনুষ্ঠিত হত , তা এখনও হয় ৷ অন্যদিকে তাওয়াফ
বা হজ্জ এর আচার অনুষ্ঠান
এক ধরনের শিল্প দক্ষতা অর্জন করেছিল ৷ যার মধ্যে দিয়ে তারা ঈশ্বরকে পর্যবেক্ষণ
করতে পারত বলে একটি ধারণা প্রচলিত ছিল সে সময়ে ৷
এখন ও
অনেকের বিশ্বাস ফরজ ধর্ম পালনের
সঙ্গে সঙ্গে এই অনুষ্ঠানের
অংশগ্রহণকারীদর সকল পাপ কার্য্য
মোচন যায় ৷
একটি চৌকো কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসা চারটি কোন বিশিষ্ট উপাসনাগৃহটি
সম্ভবতঃ পৃথিবীর প্রতীক
ছিল ৷ আর বৃত্তটা অন্তহীনতার
প্রতীক রূপে গণ্য হত ৷ অর্থাৎ কা’বাগৃহটি
যেন বিশ্ব ও মনন এর এক আদর্শগত
রূপ যা স্থান ও সময় এর সামগ্রিকতাকে
বোঝায় ৷ এ যেন যে যেখান থেকে শুরু করে সেখানেই বার বার ফিরে আসার এক আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ৷ তাই বৃত্তের
কেন্দ্রে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর
স্থির ক্ষুদ্র বিন্দুটি
অনন্ত , ও পরম অবর্ণনীয় অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ৷ আর চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে তীর্থযাত্রীরা
যেন নিজেকে পুনরুজ্জীত
করে তুলে আর নিজের এবং পূথিবীর কেন্দ্রের
দেখা পায় ৷ ফলে প্রদক্ষিণ
প্রক্রিয়াটি ধ্যানের একটি পদ্ধতিতে পরিনত হয়েছে ৷
তখন
কা’বাগৃহ ছাড়া অন্য উপাসনালয়ও ছিল ৷ তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
তিনটি উপাসনালয় ছিল মক্কার খুব কাছে যেগুলো
আল্লাহ্ র কথিত তিন কন্যা বা বানাত আল্লাহ্ র
জন্যে নিবেদিত ছিল ৷
প্রাচীর ঘেরা তায়েফ নগরীতে
ছিল আল-লাতের মন্দির
৷ আল-লাতের অর্থ হচ্ছে ‘ দেবী ’ ৷ আরবের সাকিফ নামের একটি গোত্র এই দেবীর পূজা করত এবং এই দেবীকে সার্বভৌম
দেবী বলে তারা মনে করত ৷
নাখলাহ্ য় নামক স্থানে আল-উয্ যার’র
মন্দির ছিল ৷ তিন দেবতার
মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয়
এই দেবীর নামের অর্থ ছিল ‘ শক্তিমতী
’ ৷ তিনি হয়ত শক্তি প্রযোগে অসূর বা নষ্টকে
বধ বা ধ্বংস করতে পারতে ৷
সাগরের তীরে অবস্থিত কুদাইদ
নামক স্থানের মন্দিরটি
ছিল মানত বা নিয়তি নামক দেবীর ৷
এই তিন দেবীকে
ঈশ্বরের কন্যা বলে আখ্যায়িত করলেও আরবরা এই দেবতাদের স্বর্গীয়
চরিত্রের প্রতীকীরূপে কোনো কিংবদন্তী গড়ে তোলেনি ৷ তাই উপাসনাগূহে
মানবাকৃতির প্রতিমা বা চিত্র দ্বারা
এদের উপস্থাপিত করার বদলে খাড়াভাবে
রাখা পাথরের সাহায্যে
উপস্থাপন করা হত ৷
আরবরা এই সব পাথরের
প্রতিমাকে সম্মান জানাত কিন্তু সহজ এবং অপরিণত
উপায়ে উপাসনা না করে এগুলোকে
তারা স্বর্গীয় অস্তিত্বের
কেন্দ্র হিসেবে দেখত
৷ ঐতিহাসিক গবেষণায়
জানা গেছে এই তিন দেবীর সঙ্গে সেমেটিক
সভ্যতার উর্বরতার দেবী আনাত এবং ইশতারের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল ৷ তাই দেখা যাচ্ছে
আরবেরা যাযাবর জীবন শুরু করার আগেই হয়ত তাদের উপাসনা
শুরু হয়েছিল যখন তারা সমতলে বসবাস করে কৃষিকাজে নিয়োজিত
ছিল ৷
হিজাজের বেদুঈন
সহ আরবরা আল-লাত
, আল- উয্ যা এবং মানত কে প্রতিমা রূপে পূজা না করলে ও এদেরকে অত্যান্ত
সম্মানের চোখে দেখত ৷ এই জন্যে তারা এই তিন দেবতার অবস্থানের
স্থান - নাখলাহ্
, তায়েফ , এবং কুদাইদকে ও পবিত্র স্থান এবং পবিত্র
উপাসনার গৃহ মনে করে সেই সবে নিজেদের
অস্তিত্বের খোঁজ পেত ৷ পবিত্র
কোরানে এই তিন কন্যার ব্যাপারে
একটি আয়াত নাজিল হয়েছে ৷ অনেকের মতে কোরানে এই তিন দেবীকে
স্বীকৃতি দেয়া একটি নাজিলকৃত আয়াত পরে জিরাইল (আ) এর মাধ্যমে নাজিল হয় নাই প্রমানিত হওয়ায় তা প্রত্যাহার
করা হয় ৷
কিন্তু ষষ্ট শতকে তাদের জীবন যাত্রা
বদলে যায় ৷ ফলে জাহিলিয়াহ্ র
শেষদিকে আরবে একধরনের
আধ্যাত্মিকতা , অস্থিরতা ও মানসিক অসুস্থতা
দেখা দেয় ৷ ফলে আরবের কোনো কোনো গোত্রের ও বিভিন্ন
অঞ্চলের আরবরা প্রাচীন
ধর্মের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ৷ তখন কিছু আরব ইয়াথরিয়ের মরুদ্যানে
ইয়াহদী গোত্রসমূহের আসে পাশে বসতি গড়ে তুলে কৃষি কাজ আরম্ভ করে ভাল ফল পায় ৷ তত দিনে মক্কায় কুরাইশ
গোত্র সম্পদ ও শক্তিতে সবচেয়ে
শক্তিশালী গোত্রে পরিণত হয়ে যায় ৷ ৫৭০ খৃস্টাব্দে মোহাম্মদ (সঃ)
এই কুরাইশ গোত্রে
জন্মগ্রহণ করেন ৷ আর জীবনযাত্রা
বদলে গিয়ে সম্পদশালী
হয়ে য়াওয়া আরবদের
কাছে তখন তাদের পুরনো ধ্যান-ধারণা ও বদলে যায় ৷ তখন তারা নতুন অন্য বিশ্বাসের
অনুসন্ধান আরম্ভ করে ৷
পঞ্চম শতকের শেষের দিক থেকে কুরাইশরা
মক্কায় বসতি গড়ে তুলে
৷ ওদের পূর্বপুরুষ
কুসাঈ ও তাঁর ভাই যুহরা এবং চাচা তাঈম কা’বাগৃহের
পাশে মক্কা উপত্যকায়
বসতি স্থাপন করেন ৷ তাদের
সঙ্গে অন্য আর এক চাচার ছেলে মাখযুম
ও তার চাচাতো
ভাই জুমাহ্ ও সাহ্
ম ও
কুসাঈয়ের সঙ্গে ছিলেন এই বসতিতে
৷ তখন তাদেরকে
কুরাইশ অব দ্যা হলো নামের পরিবার নামে ডাকা হত ৷ কুসাঈয়ের
আত্মীয়রা তখন আশপাশের
গ্রামাঞ্চলে বসতি গড়ে তোলে ৷ তখন তারা কুরাইশ অব দ্যা আউটস্কার্টস
নামে
পরিচিতি পায় ৷
এই কুসাঈ একবার সিরিয়া ভ্রমনে
গিয়ে সেখান থাকে আল্লাহ্
র তিন
কন্যা নামে খ্যাত আল-লাত
, আল-উযযা আর আল-মানাত
নামের তিন দেবীকে
হিজাজে নায়ে আসেন ৷ আর কুসাঈ ই নেবিতীয় দেবতা হুবলকে কা’বাগৃহে
স্থাপন করেন ৷
(Mohammed confirmed that the origin of the Kaabah's faith was Yemeni.
(Mohammed confirmed that the origin of the Kaabah's faith was Yemeni.
The role of
Yemeni religious paganism in building the temple at Mecca , and its
religious nature, cannot be hidden. Even Mohammed recognized the origin of the
religious system of Mecca as Yemeni.
Mohammed uttered many Hadiths about the Yemeni origin of the Kaabah
faith. Such teachings are
reported in the authoritative Hadith, the book of al-Bukhari, in which Mohammed
says: “the faith is Yemeni and the wisdom is Yemeni.” In another Hadith, he
says: “the doctrine and jurisprudence is Yemeni.”[xv][15] Therefore, not just the Rukuns, the sacred
stones in the Kaabah, were from Yemen , but also
religious laws, doctrine and faith are Yemeni. It is undeniable proof that the temple of Mecca was
constructed by a Yemeni leader according to a Yemeni pagan style and
specification. He established Yemeni religiosity at Mecca , and it
was known in other parts of Arabia . How,
then, could Abraham have built the Kaabeh, if what we have learned about its
construction is true? How did the Black Stone come from heaven, and how did
Abraham sacrifice on it, and build the Kaabah around it, if the stone was not
in Mecca before the 5th century
A.D.? How could
Mohammed’s teaching come from Allah
through the angel Gabriel and still be of Yemeni origin?) By Dr. Rafat Amari
শক্তি আর কৌশলের লড়াইয়ে
কা’বার পুরাতন হেফাযতকারী
গোত্র খুযা’অহকে , কুরইশরা
মক্কা থেকে বহিষ্কার
করে তারা মক্কার
নিয়ন্ত্রন লাভ করে ৷ এর পর কুসাঈয়ের
মৃত্যু হলে তাদের বংশধরদের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত
হয় এবং অনেক ঝগড়ার পর তাদের উত্তরাধীকারীরা বিবাদ মিটিয়ে মৈত্রী
ভাব ফিরিয়ে আনে ৷ তবে মুহাম্মদ(
সঃ) এর জন্ম পর্যন্ত
এর প্রভাব ছিল ৷ তখন পশু পালনের
প্রাচীন পেশার পাশাপাশি
ব্যবসা বানিজ্যও শুরু করেছিল কুরাইশরা
৷ কা’বার সম্মান
ও মার্যাদা প্রতীক , হজ্জ উপলক্ষে বহু আরবের সমাবেশ
হত প্রত্যেক বছর মক্কায় ৷ মক্কা তখন ব্যবসায়িক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে যায় ৷ তার সুবিধাজনক
অবস্থানের কারণে ৷ ফলে কুরাইশরা আর্থিকভাবে অত্যান্ত
সফল হয়ে উঠে ৷ দক্ষ যোদ্ধা বেদুঈনদের
সঙ্গে অংশীদারীর মাধ্যমে
কুরাইশরা সুসম্পর্ক স্থাপন
করে নগরীর নিরাপত্তা
নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছিল ৷ এই সময়ে হিলম নামে পরিচিত এক চতুর হিসাবী
রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা কৌশল চর্চার মাধ্যমে
ষষ্ঠ শতকে কুরাইশরা আরবের মহাশক্তিতে পরিণত হয় ৷ তবে ৫৬০ খৃস্টাব্দে বাইযনটাইনদের
সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে ৷ কা’বা ধ্বংস করতে আসা সেনাবাহিনী মক্কা নগরীর দ্বারপ্রান্তে
আসামাত্র এক মহাব্যধিতে
আক্রান্ত হয়ে পশ্চাদপসারণে
বাধ্য হয় ৷ এই নাটকীয়
রক্ষাপ্রাপ্তি পৌত্তলিক কুরাইশদের
চোখে অলৌকিক ঘটনা হিসাবে প্রতিভাত
হয় ৷ আবিসিনিয়রা এই
আক্রমনের মালামাল বহন করতে
তাদের
সঙ্গে একটি হাতি নিয়ে এসেছিল
৷
পরবর্তীকালে বলা হয় হাতিটি
নগরীর বাইরের পবিত্র
এলাকায় পৌঁছার পর হঠাৎ হাতিটি
হাঁটু গেড়ে বসে পড়লে তাকে আর সামনে নেয়া যায়নি ৷ অন্যদিকে
উপকূল থেকে এক ঝাঁক পাখি এসে আবিসিনিয়দের
ওপর বিষাক্ত পাথর নিক্ষেপ করে তাদেরকে পর্যদস্থ
করে ব্যর্থ করে দেয়
সে আক্রমন ৷ এই ঘটনাটি
কুরাইশদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ
হয়ে উঠে ৷ আর অলৌকিক
এই ঘটনার পর বেদুঈনরা কুরাইশদের
শ্রদ্ধার চোখে দেখতে শুরু করে ৷ তখন তারা কুরাইশদের
ঈশ্বরের জাতি মনে করতে
শুরু করে
৷ কারণ স্বয়ং ঈশ্বর কুরাইশদের
পক্ষে পাখি পাঠিতে
লড়াই করেছন বলেই তারা শত্রুপক্ষকে
পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছে
বলে বেদুঈনরা বিশ্বাস
করেছে ৷
কিন্তু কোরান নাজিল হওয়ার পূর্বে এক পৌত্তলিক সম্প্রদায়কে
আল্লাহ্ কি ভাবে সাহায্য করতে পারেন ? সে প্রশ্ন থেকেই যায় ৷ হাতির গল্প মুহাম্মদ
(সঃ)কেও আলোড়িত করছে ৷ তাই কোরানের ১০৫ নং সুরা ফিল এর মোট ৫টি আয়াতের সব আয়াতেই এই যুদ্ধের বর্ণনা
দেয়া হয়েছে ৷ এই যুদ্ধের
ঘটনাটি ৫৬০ খৃস্টাব্দের
আর নবীজী (সঃ) এর জন্ম হয়েছে ৫৭০ খৃস্টাব্দে , পবিত্র কোরান নাজিল আরম্ভ হয়েছে ৬১০
খৃস্টাব্দে ৷ তাই একটি প্রশ্ন
অবশ্যই থেকে যায় ৷ তবে কী পৌত্তলিক
কুরাইশরা ইসলাম ধর্ম আবির্ভাবের পূর্ব থেকেই ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য সম্প্রদায়
বা প্রহণযোগ্য গোত্র ছিল ? তবে সঙ্গতকারণে
এই ব্যাপারটি পাঠকদের
কাছে ছেড়ে দেয়া হল কোনো মন্তব্য ছাড়াই ৷
এই ঘটনার পর কুরাইশরা
তাদের স্বাধীনতা বজায় রাখার ব্যাপারে
অত্যন্ত যত্নবান হয়ে ওঠে ৷
তবে হঠাৎ
ক’রে সম্পদশালী হয়ে য়াওয়ায় তাঁরা বোধহয় সম্পদ আর পুঁজিববাদেই তাদের মুক্তি দেখতে পায় ৷ আর এর কারণ
হিসেবে তাঁরা একটি ধর্মীয় মূল্যবোধ
পেতে শুরু করে ৷ আর বিশ্বাস
করা আরম্ভ করে যে এসবের পেছনে নিশ্চয় ঈশ্বরের
অনুগ্রহ আছে ৷ তবে এই সময়ে তাদের মধ্যে গডে উঠে বলগাহীন
লোভ আর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ ৷ ফলে তাদের বিভিন্ন ক্ল্যান
এ তীব্র প্র্রতিযোগিতা
শুরু হয় ৷ মুহাম্মদ
( সঃ) যখন কিশোর তখন তারা প্রধান
দুটো দলে ভাগ হয়ে যায় ৷ দুর্বল
হাশিমের ক্ল্যানে মুহাম্মদ ( সঃ) অন্তর্ভূক্তি হয়েছিল ৷ প্রাচীন গোত্রীয়
মূল্যবোধ অনুযায়ী সমভাবে
সম্পদ ভোগ করার পরিবর্তে ব্যক্তি
পর্যায়ে সম্পদ গড়ে উঠতে শুরু করেছিল ৷ এতিম আর বিধবাদের অধিকার
হরণ করে এদের সম্পদ কুক্ষিগত
করা সহ অনেক অনৈতিক কাজ শুরু হয় তখন ৷ অর্থাৎ
নব অর্জিত সমৃদ্ধি
প্রচলিত মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কচ্যুতি ঘটায় কিছু ব্যর্থ
কুরাইশরা এক ধরনের ভ্রান্তি ও সর্বস্বান্ত বোধে আক্রান্ত হয়ে যায়
৷ তখন
তরুন প্রজন্মের অনেকে নগরীর এই অসুস্থ আর অস্থির আধ্যাত্মিক
ও রাজনৈতিক অবস্থার
বিপরিত অবস্থান নেয় এবং নতুন এক সমাধান
খুঁজা আরম্ভ করে ৷
কোরানের বাণীকে
দুটো প্রাচীন গোত্রীয়
নীতিমালা প্রভাবিত করেছে
বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন ৷
কিন্তু
দুর্বৃত্ত পুঁজিবাদ আর বিপুল সমৃদ্ধির
পরিবেশে মক্কার আরবরাই
প্রথম নতুন ধর্মকে
গ্রহণ করেছে ৷ অন্য সকল মহান কনফেশনাল
ধর্ম ও গ্রীসের দার্শনিক
যুক্তিবাদের মত ইসলাম ধর্মও নগরীরই
সৃষ্ট ধর্ম ৷ হিন্দুধর্ম
, জৈনধর্ম , কুনফুসিয়ানবাদ - সবই বানিজ্য
এলাকায় বিকশিত হয়েছে ৷ কিন্তু
ইসরাইলের মহান পয়গম্বররাও
এমন এক সময়ে বিভিন্ন নগরে ধর্মপ্রচার করেছেন
, ইসরাইলীরা যখন মাত্র যাযাবর
জীবনকে পরিত্যাগ করা শুরু করেছিল ৷
এই বিশ্ব ধর্মগুলো
নাগরিক জীবনের বানিজ্যিক
আবহে গড়ে উঠতে আরম্ভ করেছে এমন এক সময়ে যখন ব্য্যবসায়ীরা
একসময়ের রাজা , অভিজাত মহল আর পুরহিত
সমাজের হাতে থাকা ক্ষমতার একটি অংশ কেড়ে নিতে শুরু করেছে
৷
তখন সমাজের ধনী ও গরীব ও সামাজিক
ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে বৈষম্যের
ব্যবধান বেড়ে যায় ৷ ফলে সকল ধর্মীয়
নেতা ও পয়গম্বররা
এই ব্যাপারটার সমাধানের
চিন্তা করেছেন এবং নিজস্ব বিশেষ সমাধানের উপায় ও বলেছেন
৷ সপ্তম সতকের প্রথম দিকে কুরাইশ এবং অন্যান্য কিছু আরব যখন যাযাবর জীবন পরিত্যাগ করে স্থায়ী
বসতি স্থাপন করার পর
উদ্ভূত বিভিন্ন সামাজিক
সমস্যাদি সম্পর্কে সচেতন
হয়ে উঠতে আরম্ভ করে ৷ ঠিক সেই সময়ে ইসলামের
পয়গম্বর মুহাম্মদ ( সঃ) আরবদের কাছে এক নতুন ধর্মের বাণী নিয়ে উপস্থিত
হন ৷
আরবের মানুষেরা
তাদের সামমাজিক ও জীবনযাত্রার
পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পুরাতন
ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন
ঘটেছে ৷ তখন তারা
তখনকার ধর্মীয় বিশ্বে প্রচলিত
একেশ্বরবাদী একটি ধর্মের
প্রয়োজনিয়তা অনুভব করা শুরু করে ৷ এই পর্যায়ে পয়গম্বর
মুহাম্মদ ( সঃ) ইসলাম ধর্মের বাণী তাদের কাছে উপস্থাপন করেন ৷ তাই মানুসিকভাবে অনেক আরবই এই নতুন ধর্মের
ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ
করতে থাকে এবং কেউ কেউ এই নতুন ধর্ম গ্রহণ করা শুরু করে দেয় ৷ তখন তারা কা’বাগৃহের
হুবাল দেবতার ব্যাপায়ে
নতুন তথ্য যোগ করে বলতে আরম্ভ করে যে আসলে হুবালকে কা’বায়
স্থাপন করা হয়েছে পৌত্তলিক আরবদের
সর্ববোচ্চ দেবতা আল-ল্লাহ্ র
উদ্দেশ্যে নিবেদিত হিসেবে
৷ এই সময়ে আরবদের কাছে একেশ্বরবাদ ও আল্লাহ্ অতীতের
চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব হয়ে ওঠেন ৷ ফলে পরম ঈশ্বর আল্লাহ্ আরবদের
কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেন ৷ তাই বোধহয়
কোরানের
২৯ নং সুরা আনকাবুত এর আয়াত ৬১-৬৩ তার
স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে ৷ এর পরও কিন্তু আরবেরা
তাদের পূর্বের দেবতাদের
, যেমন আল-লাত , আল-উয্ যা এবং মানাতেরও উপাসনা
করত ৷
কিন্তু কঠিন সঙ্কটকালে আবার আল্লাহ্
র শরাণাপন্ন হয়ে প্রার্থনায় বলত যে তাদের বিপদ আপদে সাহায্য করতে পারেন শুধু আল্লাহ্
ই ৷
পরবর্তি পর্যায়ে তারা বিশ্বাস
স্থাপন করে যে তাদের পরম ঈশ্বর আল্লাহ্
ই ক্রিশ্চান ও ইয়াহুদীদের উপাস্য
ঈশ্বর একই জন ৷ কোনো কোন ঐতিহাসিকদের
( সযোমেনাস ) মতে পঞ্চম শতকের শেষ থেকে আরবদের
কেউ কেউ আব্রাহামের
ধর্মকে পুনারাবিষ্কার করে সেই আমলের মত করে ধর্মীয় অনুশীলন
শুরু করে ৷ কারণ আব্রাহাম
মোজেসের ( মূসা (রঃ) আগে এসেছিলেন ৷ তাই তিনি ইয়াহুদী বা ক্রিশ্চান ছিলেন না ৷ তাই এটা প্রমানিত
সত্য যে মুহাম্মদ (সঃ)
যখন প্রত্যাদেশ পাচ্ছিলেন
সেই সময়ে আরবে কিছু সংখ্যক
আরব আব্রাহামের ধর্ম পালন করছিল ৷ কুরাইশদের
চারজন সদস্য এর অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল
বলে তথ্য পাওয়া গেছে যাদের তিনজন পরবর্তিকালে
মুহাম্মদ (সঃ) সঙ্গে মিশে যান এব তাঁর সহচরে পরিনত হয়ে যান
৷ তবে এই নতুন ধর্মও তাদের আশা আকাঙ্খা মেটাতে
তাদের মতে ব্যর্থ
হওয়ায় তারা আবার তাদের মত পরিবর্তন
করে এই নতুন ধর্ম ত্যাগ করেন
৷
এর পর পর ই নানা ঘাত প্রতিঘাতের
মধ্যে দিয়ে আরবে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠা লাভ করে ৷ যার ধারা আজও অব্যাহত
আছে বিশ্বের
অন্যান্য মুসলিম দেশেও এ ধারা আজও চলছে ৷
এই হচ্ছে
মোটামোটা আরবের তথাকথিত
জাহিলিয়াহ্ আমলের ইতিহাস
৷
( সূত্র ; মুহাম্মদ
মহানবীর (সঃ) জীবনী
ক্যারেন আর্মস্ট্রং
অনুবাদ ; শওকত হোসেন
৪র্থ অধ্যায়ের
সংক্ষিপ্ত রূপ )
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন