ইসলামের ইতিহাসের আলোকে আল্লাহ্ র তিন কন্যা (বানাত অল-ল্লাাহ্ ) আল-লাত, আল-উযযা , এবং মানাত এর কাহিনী :
ইসলামের ইতিহাসের আলোকে আল্লাহ্ র তিন কন্যা ( বানাত আল-ল্লাহ্ ) -আল-লাত, আল-উয্ যা এবং মানাত এর কাহিনী :
মক্কার কা’বাগৃহ ছাড়াও আরব অঞ্চলে তখন অন্য অনেক উপাসনালয়ও ছিল ৷ তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উপাসনালয় ছিল মক্কার খুব কাছে যেগুলো আল্লাহ্ র কথিত তিন কন্যা বা বানাত আল-আল্লাহ্ নামে পরিচিত তিন দেবতা বা তিন দেবীর উপসনার জন্যে নিবেদিত ছিল ৷
প্রাচীর ঘেরা তায়েফ নগরীতে ছিল আল-লাতের মন্দির ৷ আল-লাতের অর্থ হচ্ছে ‘ দেবী ’ ৷ আরবের সাকিফ নামের একটি গোত্র এই দেবীর পূজা করত এবং এই দেবীকে সার্বভৌম দেবী বলে তারা মনে করত
৷
নাখলাহ্ নামক
স্থানে আল-উযয’র
মন্দির ছিল
৷ তিন দেবতার মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই দেবীর নামের অর্থ ছিল ‘ শক্তিমতী ’ ৷ তিনি হয়ত শক্তি প্রযোগে অসূর বা নষ্টকে বধ বা ধ্বংস করতে পারতে ৷
আর সাগরের তীরে অবস্থিত কুদাইদ নামক স্থানের মন্দিরটি ছিল মানত বা নিয়তি নামক দেবীর ৷ তাকেও গুরত্ব দেয়া হত ৷
এই তিন দেবীকে ঈশ্বরের কন্যা বলে আখ্যায়িত করলেও আরবরা এই দেবতাদের স্বর্গীয় চরিত্রের প্রতীকীরূপে
কোনো
কিংবদন্তী গড়ে তোলেনি ৷ তাই উপাসনাগূহে
মানবাকৃতির প্রতিমা বা চিত্র দ্বারা এদের উপস্থাপিত করার বদলে খাড়াভাবে রাখা পাথরের সাহায্যে উপস্থাপন করা হত ৷
আরবরা এই সব পাথরের প্রতিমাকে
সম্মান জানাত কিন্তু সহজ এবং অপরিণত উপায়ে উপাসনা না করে এগুলোকে তারা স্বর্গীয় অস্তিত্বের কেন্দ্র হিসেবে দেখত ৷
ঐতিহাসিক
গবেষণায় জানা গেছে এই তিন দেবীর সঙ্গে সেমেটিক সভ্যতার উর্বরতার দেবী আনাত এবং ইশতারের সঙ্গে সম্পর্কিত
ছিল
৷
তাই
দেখা
যাচ্ছে আরবেরা যাযাবর জীবন শুরু করার আগেই হয়ত তাদের উপাসনা শুরু হয়েছিল ৷ যখন তারা সমতলে বসবাস করে কৃষিকাজে নিয়োজিত হয়ে ছিল তার অনেক আগেই পূজা- আর্চায় অভ্যস্থ ছিল তারা ৷
হিজাজের বেদুঈন সহ আরবরা আল-লাত , আল- উয্ যা
এবং
মানত
কে
প্রতিমা রূপে পূজা না করলে ও এদেরকে অত্যান্ত সম্মানের চোখে দেখত ৷ এই জন্যে তারা এই তিন দেবতার অবস্থানের
স্থান
- নাখলাহ্ , তায়েফ , এবং কুদাইদকে ও পবিত্র স্থান এবং পবিত্র উপাসনার গৃহ মনে করে সেই সবে নিজেদের অস্তিত্বের
খোঁজ
পেত
৷
পবিত্র কোরানে এই তিন কন্যার ব্যাপারে একটি আয়াত নাজিল হয়েছে ৷ অনেকের মতে কোরানে এই তিন দেবীকে স্বীকৃতি দেয়া একটি
নাজিলকৃত আয়াত পরে জিরাইল (আ) এর মাধ্যমে নাজিল হয় নাই প্রমানিত হওয়ায় তা প্রত্যাহার
করা
হয়
৷
ইবনে সা’দ এবং তাবারি লিখিত ইতিহাস থেকে জানা যায় যে একবার শয়তান ঐশী বা প্রাত্যাদেশ
অবতরণের সময়ে হস্তক্ষেপে সক্ষম হয়েছিল ৷ কোরানের ৫৩ নং সুরা নজম অবতীর্ণ হওয়ার সময় এমন দুটি আয়াত উচ্চারণের
প্রেরণা লাভ করেছিলেন মুহাম্মদ (সঃ ) যেখানে আল-লাত , আল-উয্ যা এবং মানতকে ঈশ্বর ও মানুষের মাঝে মাধ্যম হিসেবে শ্রদ্ধা করা যাবে , এমন ঘোষণা ছিল ৷ কুরাইশরা যেহেতু বানাত আল-ল্লাহ্ কে স্বর্গীয় সত্তা বলে বিবেচনা করত ৷ তাই তারা ভূলবশতঃ বিশ্বাস করে বসেছিল যে কোরান এবং মুহাম্মদ (সঃ) ঐ তিন কন্যাকে ঈশ্বরের সমমর্যাদায় স্থান দিয়েছেন অবশেষে ৷ তাই তাদের মধ্যেকার তিক্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে বলে ধারণা জন্মে যায় কুরাইশদের
মনে
৷
কিন্তু মূল গল্পটা ছিল এমন যে , মুহাম্মদ ( সঃ) এর পর যে প্রত্যাদেশ লাভ করেন তাতে এমন ইঙ্গিত প্রদান করা হয় যে বানাত আল-ল্লাহ্ র বিশ্বাসকে
মেনে
নিয়ে আয়াত নাজিল হওয়ার ব্যাপারটি
আসলে
শয়তানের অনুপ্রেরণায় ঘটেছে ৷
এর পরিণামে পরবর্তিতে
কোরান
থেকে
ঐ
তথাকথিত দুটো আয়াত এক্সপাঞ্জ করা হয় ৷ এবং তার স্থলে নিম্নলিখিত আয়াত প্রতিস্থাপিত
হয়
৷
সেখানে ঘোষিত হয় ; ঐ তিন কন্যা বা দেবী আরবদের কস্পনামাত্র এবং তারা উপসনার কোনো যোগ্যতাই রাখে না ৷ তবে মুসলিমরা এগল্পকে অপ্রামাণিত
এবং
অসত্য
গল্প বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ৷
মক্কায় অবতীর্ণ ৫৩ নং সুরা নজ্ ম এর ১৯ নং থাকে ২৩ নং আয়াত বলা হয়েছে -
“ ১৯- তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও উজ্জা সম্বন্ধে ,
২০- আর মানাত সম্বন্ধে ?
২১ - তোমরা কি মনে কর তোমাদের জন্যে পুত্রসন্তান
আর
আল্লাহ্ র জন্য কন্যাসন্তান
?
২২ -এরকম ভাগ তো অন্যায় ৷
২৩ - এগুলো তো কেবল কতকগুলো নাম যা তোমাদের পূর্বপুরুষেরা
ও
তোমরা
রেখেছ
৷
আর
এর
সমর্থনে আল্লাহ্ কোনো দলিল প্রেরণ করেন নি ৷ তোমরা তো অনুমান ও নিজেদের স্বভাবেরই অনুসরণ কর , যদিও তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের তরফ থেকে পথনির্দেশ এসেছে ৷ (* )
ঐতিহাসিক
তথ্য মতে
এবং মুহাম্মদ (সঃ)
এক নিকট
আত্মীয় উরওয়াহ
বিন আল-যুআয়ের
ভাষ্য থেকে
জানা যায়
যে প্রথমদিকে
কুরাইশরা মহাম্মদ (সঃ)
কে মেনেই
নিয়েছে ৷
তিনি যতক্ষণ
দরিদ্র এবং
অভাবীদের জন্যে
দরদ মেশান
আল্লাহ্ র ধর্ম
প্রচার করেছেন
ততক্ষণ মক্কার
প্র্রত্যেকে প্রাচীন পরম
ঈশ্বরের পরিবর্তিত
ধর্ম গ্রহণ
করতে প্রস্তুত
ছিল ৷
কিন্তু যেই
তিনি ঘোষণা
দিলেন যে
আল্লাহ্ র উপাসনা
করার পূর্বশর্ত
হিসেবে অন্যান্য
প্রাচীন দেবতার
অর্চনা বাদ
দিতে হবে
৷ তখনই
কুরেইশরা তাঁর
এবং তাঁর
অনুসারীদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত
হয়ে ওঠে
৷ আর
এদের মধ্যে
বেশিরভাগ ছিল
যাদের সম্পত্তি
আল-লাত দেবতার
শহর তায়েফে
ছিল সেই
সব কুরাইশরা
৷ তবে
আব - আলিয়াহ্ র বক্তব্য
থেকে জানা
যায় যে
কুরাইশরা একটা
আপোস রফায়
আসতে চেয়েছে
যদি মুহাম্মদ
(সঃ) তিন
বানাত আল-ল্লাহ্
সম্পর্কে কিছু
ভাল মন্তব্য
করেন ৷ আর
এর জন্যে
কুরাইশরা মুহাম্মদ ( সঃ) কে
মক্কার ক্ষমতার
কেন্দ্রবিন্দুতে ঢোকার অনুমতি
দেবে ৷
সে অনুযায়ী
বলা হয়ে
থাকে যে
, হয়ত
মুহাম্মদ (সঃ) আল-লাত
, আল-উযযা
এবং মানাতের
ব্যাপারে প্রশংসাসূচক
দুটো আয়াত
আবৃত্তি করেছেন
আর তাদের
বৈধ মধ্যস্থতাকারী
হিসেবে বর্ণনা
করেছেন ৷
ঐতিহাসিক তাবারির
মতে মুহাম্মদ (সঃ)
সত্যিকার এবং
সৃজনশীল একটা
সমাধানের চেষ্টায়
থাকাকালিন সময়ে
একদিন কা’বায়
ধ্যানরত অবস্থায়
৫৩ নং আয়াতের
দুটো আয়াতের
আবৃত্তি করেছেন
৷ তখন
কা’বায় উপস্থিত
কুরাইশরা তা শুনতে
পেয়ে অন্যদেরকে
ও জানায়
৷ ঐ
দুটো আয়াত
বলা হয়-যে
“ তোমরা কি
ভেবে দেখেছ
লাত ও
উযযা সম্মন্ধে , আর
তৃতীয়টি মানাত
সম্বন্ধে ,
এরা মহিমান্বিত পাখী (যারানিক
) যাদের
মধ্যস্থতা স্বীকৃত ” ৷
ঘটনার এই বিবরণ অনুযায়ী , এই আবৃত্তিকে নতুন এক প্রত্যাদেশে
মনে করে কুরাইশরা
অত্যন্ত খুশি হয়ে উঠে ৷ এবং ইহা সারা শহরে রটিয়ে দিয়ে বলে যে মুহাম্মদ
( সঃ) কুরাইশদের তিন দেবতার
সম্পর্কে চমৎকার কথা বলেছেন যাতে দেবতাদের কে মহামান্বিত যারনিক
উল্লেখ করে তাদের মধ্যস্থতার অনুমোদন
দিয়েছেন ৷
এর পর মুহাম্মদ
( সঃ) যখন শুনলেন
তাঁর উচ্চারিত আয়াতগুলোতে
শয়তানের প্ররোচনা ছিল ৷ তিনি তখন বিপর্যস্ত
হয়ে পড়েন ৷ তখন ঈশ্বর সঙ্গে সঙ্গে একটা প্রাত্যাদেশ
পাঠানোর মাধ্যমে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন
৷ যেখানে বলা হয়েছে অন্য পয়গম্বরগণও একই রকম “ শয়তানি ভ্রান্তি’র”
শিকার হয়েছেন ৷ কারণ ঈশ্বর সবসময় বাতিলযোগ্য
আয়াতের চেয়ে অনেক উন্নতমানের আয়াত নাজিল করে অবস্থার উন্নতি
ঘটান ৷ এই ব্যাপার নিয়ে
নাজিল কৃত ২২ নং সুরা হজ এর ৫১ , ৫২
এবং ৫৩ নং আয়াতের
উল্লেখ করা হল নিম্নে ৷
২২ নং সুরা হজ (মক্কায়
অবতীর্ন ) আয়াত ৫১ ; আর যারা প্রবল হওয়ার উদ্দেশ্যে আমার আয়াতকে নাস্যাৎ
করার চেষ্টা করে তারাই জাহান্নামে
বাস করবে ৷
৫২ নং আয়াত ; আমি
তোমার পুর্বে যেসব নবি ও রসুল পাঠিয়েছিলাম
তারা যখনই কিছু আবৃত্তি করত তখনই শয়তান তাদের আবৃত্তিতে
বাইরে থেকে কিছু ছুড়ে ফেলত ৷ কিন্তু
শয়তান যা বাইরে থেকে ছুড়ে ফেলে আল্লাহ্
তা দূর করে দেন ৷ তারপর আল্লাহ্
তাঁর আয়াতগুলোকে সুসংবদ্ধ
করেন ৷ আর আল্লাহ্ তো সর্বজ্ঞ তত্ত্বজ্ঞানী
৷
৫৩ নং আয়াত ; এজন্য
যে , শয়তান যা বাইরে থেকে ছুড়ে ফেলে তা দিয়ে তিনি পরীক্ষা করেন তাদেরকে যাদের অন্তরে ব্যাধি
রয়েছে , এবং যারা পাষাণহৃদয়
৷৷ সীমালঙ্ঘনকারীরা অশেষ মতভেদে রয়েছে ৷
(*) ( সূত্র - কোরানশরিফ , সরল বঙ্গানুবাদ ,
অনুবাদক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান )
কুরাইশদের সঙ্গে চূড়ান্ত বিচ্ছেদের
ঠিক পরে ১১২ নং সুরা ইখলাস অবতীর্ন
হয় ৷ যাতে বলা হয়েছে
-
“ ১ ) বলো , তিনি
আল্লাহ্ ( যিনি) অদ্বিতীয় ৷
২) আল্লাহ্ সবার নির্ভরস্থল
৷
৩ ) তিনি কাউকে জন্ম দেন নি ও তাঁকেও কেউ জন্ম দেয় নি ৷
৪ )আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই ’ ৷
কোরানে এ পর্যায়ে কিছুটা
নিরাপোস ভঙ্গির আবির্ভাব
ঘটে ৷ আর এটাও পরিষ্কার
হয়ে যায় কুরেইশরা
একবারে ইসলামের ব্যাপারে
বিপরীত মেরুতে অবস্থান
নিয়েছে ৷ অনেক যুদ্ধ বিগ্রহ ও ঘটনা পর এক পর্যায়ে
অববরোধ শুরু হয় মুসলমানদের পক্ষ হতে
৷
তখন সমাধানের
আশায় ছোট ছোট দল মুহাম্মদ (সঃ)
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৷ এক পর্যায়ে একটি শক্তিশালী প্রতিনিধি
দল তাঁর সঙ্গে দেখা করে একটি আপোসরফার
প্রস্তাব দেয় ৷ এই প্রতিনিধি
দলে ছিলেন মাখযুম
গোত্রের সম্মানীয় ওয়ালিদ , আর
ছিলেন সাহ্ ম , আসাদ এবং জুমাহ্
গোত্রের নুতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা
৷ তাদের প্রস্তাব
ছিল যে মুসলিমরা
তাদের ধর্মানুযায়ী আল্লাহ্ র
উপাসনা করতে পারবে এবং অন্যরা
অন্যরা আল-লাত , আল-উযযা
এবং মানাতের উপাসনা
অব্যাহত রাখতে পারবে ৷ কিন্তু
মুহাম্মদ (সঃ) এই প্রস্তাব
বাতিল করে দেন ৷ পরে ১০৯
নং সুরা
কাফিরূনের সাহায্যে প্রতিনিধিদলকে
তাঁর পক্ষের জবাব
দেন ৷ যেখানে
স্পষ্ট বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া হয় ৷
১০৯ নং সুরা কাফিরুন
( মক্কায় অবতীর্ন ) বলা হয়ছে -
১ ) বলো , হে অবিশ্বাসীরা !
২ ) আমি তার উপাসনা
করি না যার উপাসনা তোমরা কর
,
৩ ) আর তোমরাও
তাঁর উপসনাকারী নও যাঁর উপাসনা
আমি করি ৷
৪ ) আর আমি উপাসনাকারী
হব না তার যার উপপাসনা
তোমরা করেে আসছ ;
৫ ) আর তোমরাও
উপসনাকারী হবে না তাঁর যাঁর উপাসনা আমি করি ৷
৬ ) তোমাদের ধর্ম তোমাদের
, আমার
ধর্ম আমার ৷
( * )
এর পর আল্লাহ্
র তথাকথিত তিন কন্যা বা বানত আল-ল্লাহ
এর কানিহীর সমাপ্তি
ঘোষিত হয় ৷ ধীরে ধীরে ইসলামের শুভ দিনের সূচনা আরম্ভ হয় ৷
এই প্রসঙ্গে
এই লেখার সঙ্গে সংঘতিপূর্ণ একটি লেখা ইনটারনেট
থেকে সংগ্রহ করে এই সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে অধিক তথ্যাদি জানতে আগ্রহীদের জন্যে ৷ লেখাটি
ইংরেজিতে ৷
Daughters of Allah:-
It is an undeniable fact of history that before Muhammed was born, in the Pagan Arabian religion,Allah was the name of the principal
deity in Mecca who had three daughters (S53:19/20): Uzzah; Lat;
Manat. According to their traditions they acted as Allah's INTERCESSORS.
The Goddesses Al-Uzza, Al-Lat and
Manat formed a triad in pre-Islamic
Arabia .
The three were worshipped as uncut aniconic stones. They were
widely worshipped: from Nabatean Petra in the North to the legendary
Kingdoms of Arabia Felix in the South, including Saba, the Biblical
Sheba; as far east as Iran and Palmyra; and the three of them were very
popular Goddesses in Mecca at the time of Muhammad.
Sometimes the three of them are referred to as the daughters of Allah; sometimes Manat and Al-Lat are considered daughters of Al-Uzza.
Al-Uzza, "the Strong One", "The
Most Mighty", "The
Mighty One" was as
mentioned earlier, a pre-Islamic
Arabian goddess, the virgin
warrior and youngest in the triad of goddesses was one of the most venerated Arab Deities, and the Goddess of the morning and
evening star, the planet Venus and was a blood-thirsty goddess which requires sacrifices; both animal
and human.
Her idol was situated in a valley in Nakhlat al-Sha'miyah. She had a
temple at Petra (though which one that was has not been determined), and may well
have been the patron Goddess of that city. Isaac of Antioch (a writer of the 5th century CE) calls her Beltis ("Lady", a title shared by many other Semitic
Goddesses), andKaukabta, "the Star". He also says that
women would invoke Al-Uzza from the rooftops, a form of
worship appropriate to a Star
Goddess.
St. Epiphanius of the 4th century CE calls her
the mother of Dusares, the local mountain god, calling her by the title Chaamu or Chalmous, meaning "young girl or virgin".
She has connections with the acacia tree, and her sanctuary at Nakhlah had three acacias in which she was believed to descend.
She has much in common with Ishtar and Astarte as Morning and Evening Star goddesses — they all have aspects
of both Love and War goddess, and big cats were sacred
to them. She is shown here armed as a bellatrix, standing before an acacia
tree, with a caracal, or desert lynx. She was associated by the Greeks with their Aphrodite Urania, "Heavenly
Aphrodite".
Originally Sabean (the culture of the Kingdom of Saba or Sheba in the south of Arabia , present-dayYemen),
worship of Al-Uzza spread all over Arabia . She had a
sanctuary in a valley on the road fromMecca, comprising three acacia trees in which she was said to descend. Some scholars believe she may
even have been the patron deity of Mecca itself.
The Quraish of Mecca paid much reverence to Allat
and al-`Uzza, most of all to the latter. TheQuraish were the tribe to which Muhammad belonged
Al-Lat, whose name is a contraction of al-Illahat, "the
Goddess", is mentioned by Herodotus asAlilat, whom he identifies
with Aphrodite. She is
sometimes also equated with Athene,
and is called "the Mother of the Gods", or "Greatest of
All". She is a goddess of Springtime and Fertility, the Earth-Goddess who
brings prosperity. She and Al-Uzza were sometimes confused, and it seems that
as one gained in popularity in one area the other's popularity diminished.
The sun in Arabia was called Shams and considered feminine, and may represent an aspect of Al-Lat.
She had a sanctuary in the town of Ta'if , east of Mecca , and was known from Arabia to Iran . Her symbol is the crescent moon (sometimes shown with the sun
disk resting in its crescent), and the gold necklace she wears is from a
pendant identified to her. As a Fertility-Goddess she bears a sheaf of wheat;
and in her hand she holds a small lump of frankincense, as her emblem is found
carved on many incense-holders.
Al-Manat or Manawayat derives her name from Arabic maniya, "fate,
destruction, doom, death", or menata,
"part, portion, that which is alloted", "Time", the Death
or Fate goddess. She is a very ancient Deity and her cult may precede both
Al-Uzza's and Al-Lat's. Her cult was widespread, though she was particularly
worshipped as a black
stone at Quidaid, near Mecca .
She is connected with the great pilgrimage, as her sanctuary was
the starting point for several tribes. She is known from Nabatean inscriptions, and tombs were placed under her protection, asking
her to curse violators. She is accordingly a Goddess of Death, and Maniya
(Death personified) is mentioned in poetry as actively bringing a person to his
or her grave, holding out the cup of death.
She is shown as an old woman with a cup, and the symbols at the
bottom of her gown spell her name in Sabaic (which does not use vowels and is written
right to left), M-n-t. The waning moon is shown over her head
as the symbol of the Crone-Goddess of Death.The Aus and Khazraj tribes of Madina were the most prominent worshipers of Manat.
It is an uncontestable fact that Muhammad was born of pagan parents. His father, Abdullah and his mother, Amina were both pagans and they used to
worship many idols. His entire childhood (probably up to his teen) was spent in
paganism. To day, many Muhammadans will find it extremely hard to digest
this fact. However, Muhammad's pagan origin is disclosed by Hisham ibn al-Kalbi, writes:
'We have been told that the Apostle of Allah once mentioned al-Uzza saying, "I have offered a white sheep to al-'Uzza, while I was a follower of the religion of my people."
(Hisham al-Kalbi, Kitab al-Asnam (Book of Idols) , p.17)
In the statement above Muhammad clearly admits his past adherence to
paganism-the then religion of the Quraysh.
As Muhammad grew weary from evangelizing his new
religion with little success and to bring an end to his quarrel with his people
the Quraysh, Muhammad, in a moment of
weakness, made the ultimate concession in the Quran, that of ISHRAK/POLYTHEISM, to the effect that his followers,
the'Muslims' were allowed
to venerate the daughters of Allah as Allah's intercessors, hence instantly
compromising his originally strict monotheism.
The pagan female trinity was immediately accepted without dissent and the passage was considered part of the revealed Quran.
Muhammad later retractred/abrogated this enormous error and denied his culpability in the matter by conveniently accusing Satan of having put the offending words in his mouth.
Muhammad got the
usual 'Made to Order' 'revelation' from Allah, sanctifying theremoval of the offending verse. After repenting his error, Muhammad was comforted by Allah.
Hisham ibn al-Kalbi writes:
The Quraysh were wont to circumambulate the Ka'bah and say:
By Allat and al-'Uzza,
And Manah, the third idol besides.
Verily they are the most exalted females
Whose intercession is to be sought.
These were also called "the
Daughters of Allah," and
were supposed to intercede before Allah. When the Apostle of Allah was sent, Allah revealed unto him [concerning them]
the following:
53.19 Have ye seen Lat. and 'Uzza,
20 And another, the third (goddess), Manat?
21 What! for you the male sex, and
for Him, the female?
22 Behold, such would be indeed a
division most unfair!
23 These are nothing but names
which ye have devised,- ye and your fathers,- for which Allah has sent down no authority
(whatever). They follow nothing but conjecture and what their own souls desire!-
Even though there has already come to them Guidance from their Lord!
(Hisham ibn
al-Kalbi, 'Kitab
al-Asnam,' p.17)
The historical information confirming the "Satanic Verses" is so vast and sure, only the desperate and unbendingly
blind 'Muslim' believer would refuse to
accept the evidence.
Undeniably factual information regarding the Satanic Verses comes from respected Muhammadanscholars like at-Tabari and Ibn Sa’d who wrote biographical and historical
accounts of the life ofMuhammad.
The following is an indubitably authentic story since it is almost
impossible to imagine a Muhammadan
Muslim inventing such a tale
as that of the notorious "Satanic verses" to belittle and insult Muhammad.
(Tabari, Annals 1.1192-1193 = Tabari vi: 108-109)
"When the Messenger of Allah saw how his tribe turned their
backs on him and was grieved to see them shunning the message he had brought to
them from Allah, he longed in his soul that something would come to him from
Allah that would reconcile him with his tribe.
With his love for his tribe and his eagerness for their welfare,
it would have delighted him if some of the difficulties which they made for him
could have been smoothed, and he debated with himself and fervently desired
such an outcome. Then Allah revealed (Sura
53) ... and when he came
to the words "Have you
thought al-Lat and al-Uzza and Manat, the third, the other?" (VV. 19-20) Satan cast on his tongue - because of his inner debates and what he
desired to bring to his people - the words: "These are the high-flying cranes; verily their intercession is
to be hoped for."
When the Quraysh heard this, they rejoiced and were happy
and delighted at the way in which he had spoken of their gods, and they listened
to him, while the Muslims, having complete trust in their
Prophet with respect of the message which he brought from Allah, did not suspect him of error,
illusion or mistake.
When he came to the prostration, having completed the Sura, he prostrated himself and the Muslims did likewise.... The polytheists of
the Quraysh and others who were in the mosque [that is, the Meccan Haram]
likewise prostrated themselves because of the reference to their gods which
they heard, so that there was no one in the mosque, believer or unbeliever, who
did not prostrate himself ... Then they all dispersed from the mosque. The
Quraysh left delighted at the mention of their gods."
Many prominent Muhammadan
scholars actually reject and
deny the whole "Satanic
Verses" story as untrue
in spite of the overwhelming evidence shown here. Their mind set of DENIAL should be easily understood
since they, as 'TRUE MUSLIMS' cannot possibly conceive of ANY ERROR in the Quran, no matter what any evidence, logic and facts are produced to them.
Despite the 'Islamization' of pagan Arabian religion, the 'Muslim' version of Allah did not escape his two
daughters al Lat and al Uzza since they appear on top of almost
every mosque and on the flags of several 'Muslim' countries. These are the Crescent (al Lat) and the Star/ Planet
(al Uzza).
Muhammad, in the final
analysis, had no choice but to keep almost 99% of pagan
Arabiantraditions and fetishes and only
succeeded in destroying all the other rock gods and goddesses associated with Allah.
The same followers of Muhammad who rage against the pagans and Christians as idolators, are actually
idolators 'par excellence' themselves, since they still venerate the same Arabian
pagan symbols of their ancestors whom Muhammad and his Quran so assiduously insulted and
consigned to Hell and Perdition.
20: 109 On that Day shall no intercession avail except for
those for whom permission has been granted by (Allah) Most Gracious and whose
word is acceptable to Him.
In Arabian paganism, the idea of subordinate
divine beings acting as mediators and intercessors withAllah is a recorded fact. That Muhammad actually once thought of the three
goddesses as interceding angels is shown by his later addition
to the aforementioned
Sura
53.26-29:
53: 26 How many so ever be the angels in the heavens their intercession will avail nothing except after Allah has given leave for whom He
pleases and that he is acceptable to Him. Verily it is they who believe not in the
life to come, who name the angels with names of females: But herein they have
no knowledge: they follow a mere conceit; and mere conceit can never take the
place of acceptance of truth.'
Here Muhammad implies, that the goddesses are in
reality angels, to whom the pagans in their ignorance have given feminine names (comp. 37, 149-50:
43.18). He also recognizes, albeit with strict reservations, the right
of the angels to make intercession.
Exactly what are
the Satanic verses?
Here is how the Quran once read with
the Satanic Verses:
53.19 Have ye seen Lat. and 'Uzza,
53.20 And another, the third (goddess), Manat?
53.21 These are the exalted cranes (intermediaries) ---[Words deleted from theQuran]
53.22 Whose intercession is to be hoped for.
---[Words deleted from theQuran]
Here is how it reads
today in the Quran(al-Najm):
53.19 Have ye seen Lat. and 'Uzza,
53.20 And another, the third (goddess), Manat?
53.21 What! for you the male sex, and for Him, the female?---[Words replaced in the Quran]
53.22 Behold, such would be indeed a division most unfair! ---[Words
replaced in the Quran]
Like King David of the Bible admonishing himself of his own
adultery in Psalms 51,
here are two passages in the Quran that comment on Muhammad's ""Satanic
Verses"" scandal:
Quran
17:73-75 "And their purpose was to tempt thee away from that which We
had revealed unto thee, to substitute in our
name something quite different; (in that case), behold! they would certainly have made thee
(their) friend! And had We not given thee strength, thou wouldst nearly have
inclined to them a little. In that case We should have made thee taste an equal
portion (of punishment) in this life, and an equal portion in death: and
moreover thou wouldst have found none to help thee against Us!"
Quran
22:52-53 "Never sent We a messenger or a prophet before thee but when He recited (the message) Satan proposed (opposition)
in respect of that which he recited thereof. But Allahabolisheth
that which Satan proposeth. Then Allah establisheth His
revelations. Allah is Knower, Wise; That He may make that which the devil
proposeth a temptation for those in whose hearts is a disease, and those whose
hearts are hardened - Lo! the evil-doers are in open schism"
Later Muhammadan
scholars explained the case
according to the principle of nasikh and mansukh, abrogating and abrogated verses, by means of which Allah revokes and alters the announcements
of his will; this results in the cancellation of a verse and the substitution
of another for it-
Quran 2:106 " Such of our revelation as we abrogate or cause to be forgotten, we bring (in place) one better or the like thereof"
*** The absolute belief in the INCORRUPTIBILITY of the Quran is totally
unfounded and imaginary because the Muhammadan records themselves
in the Hadiths, prove beyond a
shadow of a doubt, that the Quran that we have today
has little resemblance to whatMuhammad had in mind in his days.
If Satan could be accused
of having been able to deceive Muhammad in this particular
instance, an inquiring mind should ask, why would Satan - the enemy of humanity - stop at deceiving Muhammad this one time ONLY?
Why only once?
If so, how many other verses were inserted by Satan in the Quran that we do
not know about? ***
বি : দ্র :
( সূত্র; ক্যারেন
আর্মস্ট্রং এর
মুহাম্মদ , মহানবীর (সঃ)
জীবনী এর
অধ্যায় -৩ এবং ৬ অধ্যায়ের কিছু তথ্য দিয়ে
এই লেখা তৈরি হয়েছে ,
বইটি অনুবাদ
করেছেন -শওকত হোসেন )
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন