মস্তিষ্কের God Spot কি মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদ উথ্থানের কারণ ? ( God spot of human Brain & Fundamentalism )



   
                             মানুষের  মস্তিষ্কের  একটি  অংশ  যাকে  আজকাল  “ GOD  SPOT ” নামে  অবিহিত  করা  হচ্ছে  সেই  God  spot কি  বর্তমান  বিশ্বের  ধর্মীয়  মৌলবাদ  ও  জঙ্গীবাদ  উথ্থানের  জন্যে  দায়ী  !

          লেখাটির  সূত্রপাত  করার  আগে  ইসলাম  ধর্মের  সুফিবাদ  এবং  প্রাচীন  ভারতীয়  যোগ ব্যায়ামের  কিছু  তথ্য  লেখাটি  বুঝার  জন্যে   আমাদের  জানতে  হবে  ৷ লেখাটির  শেষে  উপসংহারে  আবার  সুফিবাদ  এবং  যোগ ব্যায়ামের  উল্লেখ  করার  প্রয়োজন  হতে  পারে  লেখার  ব্যক্তব্যটা  স্পষ্ট  করতে  ৷ এই  সঙ্গে  কিছু  বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানিক  তথ্যও  পরবর্তি  পর্যায়ে  সংযুক্ত  করা  হবে  বক্তব্যটির  প্রমাণার্থে  ৷

     ১ .      ইসলামে  সুফিবাদ  বা  তাসাউফহ্  ( Tasawwuf ) কে    সংক্ষেপে  সুন্নি  ইসলামপন্থীদের    অতীন্দ্রিয়বাদী  ঐতিহ্য  হিসেবে  বর্নণা  করা  হয়  ৷  আরবী  শব্দ  তাসাউফহ্  থেকে  সুফিবাদের  উদ্ভব  হয়েছে  ৷

২ .    বাতিনী    ;  যাকে  অস্তিত্ব  ও  ধর্মের  “ গোপন”  মাত্রা  হিসেবে  উল্লেখ  করে  বলা  হয়  যে  সাধারণত:  ইন্দ্রিয়  বা  যৌক্তিক  ভাবনা  দিয়ে  যাহা  উপলব্ধি  করা  যায়  না  তাকে  অতীন্দ্রিয়  এবং  সজ্ঞামূলক  অনুশীলনের  মাধ্যমে  আয়ত্ত্ব  করা  বা  শনাক্ত  করা  অথবা  অনুভব  করা  যায়  ৷  যার  মাধ্যমে  সুফিরা  চলমান  ঘটনার  পরিবর্তে  নিজেদের  আপন  সত্তার  গভীরে প্রবেশ  করে  আল্লাহ্’র  বা  স্রষ্টার  অনুসন্ধান  করে   থাকেন  ৷ 

৩  .  জাহিরি  বা  প্রকাশিত  তথ্য  :  আল্লাহ্’র  বা  স্রষ্টার  বাহ্যিক  জগতসংসারকে  জাহিরি  কার্যক্রমের  অন্তর্ভূক্ত  ৷  যাহা  বাতিনীর  বিপরিত  অবস্থান হিসেবে  ধরা  হয়  ৷ সুফিবাদীদর মতে  জাহিরি  বলতে সাধারনতঃ   কোরানের  সাধারণ  এবং  আক্ষরিক  অর্থের  প্রয়োগকে  বুঝায়  ৷

৪  . আলম  আল-মিতাল  ;  যাকে  তাসাউফহ্  পন্থীরা  খাঁটি  কল্পনার  জগত  হিসেবে  অবিহিত  করেন  ৷ ইহা  ইসলামের  অতীন্দ্রিয়বাদী  দিব্যদর্শনের  উৎসস্থল  ,   যাহা  মানুষের তার মানুষিক  অবস্থার  এক  বিশেষ  পর্যায়  এবং  সৃজনশীল  কল্পনার  এক  মনোজগত ৷  একজন  অতিন্দ্রিয়বাদী  নারী  বা  পুরুষ  নিজকে  সুফি  অনুশীলনের  মাধ্যমে  জাগতিক  অস্তিত্বের  অভ্যন্তরীণ  স্বরূপ  প্রত্যক্ষ  করার  জন্যে  প্রশিক্ষিত  করে  তোলে  ৷   মুসলিমরা  যাকে   আলম  আল-মিথাল    বলেন ৷  আর  এই  আলম  আল- মিথাল  বা " খাঁটি  প্রতিবিম্বের  জগত " বা  The  World  of  pure  images এ  প্রবেশ  করে  এমন  এক  অনুভূতি  গড়ে  তুলতে সমর্থ  হন ,  যা  নশ্বর  এই  জগত  আর  আল্লাহ্ র  মাঝে  বিরাজমান  বলে  তাঁরা  মনে  করতেন  ৷  তবে  তাদের  এই  বিশ্বাস  বাস্তব  না  মনোজগতে  সৃষ্ট  কোনো  কল্পনা  তার  কোনো  বাস্তব  প্রমাণ  রাখেন  নাই  ৷ 

        এমনকি তাদের  বিশ্বাস  ছিলো ,  যারা  প্রশিক্ষিত  অতিন্দ্রিয়বাদী  নয়  তারাও  নিদ্রিত  অবস্থায়  বা  ঘোরে  থাকার  সময়ে  স্বপ্ন  বা  হিপনোগোগিক  ইমেজারিতে  এই  জগত  সম্পর্কে  সচেতন  হয়ে  উঠতে  পারে ৷  সুফি  সুহরাওয়ার্দি  বিশ্বাস  করতেন  , যখন  কোনো  পয়গম্বর  বা  অতীন্দ্রিয়বাদী  কিছু  প্রত্যক্ষ  বা  vision  করেন ,  তখন  তিনি  অন্তস্থঃ  জগৎ  সম্পর্কে  সজাগ  হয়ে  ওঠেন ,   এখন  যাকে  অবচেতন  মনের  প্রতিক্রিয়া  বলা  হয়  তার  অনুরূপ ছিলো  তাদের  সে  অনুভূতি  ৷


  জিকির  : মানুষের  চৈতন্যের  বিকল্প  অবস্থা  সৃষ্টির  উদ্দশ্যে  মন্ত্রের  মত  আল্লাহ্’র  নাম  সমূহের  উচ্চারণের  মাধ্যমে  মানুষের মানুষিক  অস্থিত্ব  বিশেষ  এক  স্তরে  বা  এক  পর্যায়ে  নিয়ে  গিয়ে  দ্রিব্য  দর্শনের  বা  অলৌকিক  জগতের  উপলব্ধি লাভ  করার  বিশেষ  এক  পদ্ধতি  ৷  যাকে   জিকিরের  মাধ্যমে আল্লাহ্ র  দর্শন  পাওয়াকে  ও  বুঝানো  হয় ৷

          ইসলাম  ধর্মে  সুফিবাদে  বিশ্বাসীরা  উপরে  উল্লেখিত   ৫টা  পদ্ধতি  বা ধারাকে  ব্যাপক  ভাবে  অনুশীলনের  মাধ্যমে  আয়ত্ত্ব  করে  মাতাল  সুফি  , স্থির  সুফি  বা  ডাঙ্ককেন  সুফিতে  পরিণত   হতে  পারতেন ৷  এই  বিশেষ  অনুশীনের  মাধ্যমে  তারা  নিজেদের  মস্তিষ্কের  এক  অংশের  কর্মতৎপরতা  বৃদ্ধি  করেই  একাজে  সফল  হতেন  ৷ তবে  ইহা  কাল্পনিক  কোনো  জগত  না  বাস্তবে জগতের  সঙ্গে  সম্পর্কিত  কিছু  ,  এর কোনো  অস্থিত্ব  আছে কি না  তার  কোনো  প্রমাণিক  তথ্য  পাওয়া  যায়  না  ৷  এই  ধারনা  মানুষের  কিছু  পৌরাণিক  বিশ্বাস  থেকে  সৃষ্টি  হয়েছে  বলে  সংশ্লিষ্টরা  মনে  করেন  ৷  ইহা  মিথ  বা  মিথোস  থেকে  উৎপত্তি  হয়েছে  বলে  এখন  প্রমাণিত  হয়েছে  অনেক  বৈজ্ঞানিক  গবেষণার  পর  ৷

          নিম্নে   ইসলামের  ইতিহাসে  প্রতিষ্ঠিত  কয়েকজন  সুফির  সাথে  পরিচিত  হব  যারা  ইসলামে  সুফিবাদ  বিশ্বাসের  সূত্রপাত  করে  এর  প্রতিষ্ঠা  করে গেছেন  ৷

   ১ .  আবু  ইয়াযিদ  আল-বিসতামি ( মৃত্যু- ৮৭৪  সালে )  যিনি  “ মাতাল  সুফি” দের  অন্যতম  পুরোধা  হিসেবে  প্রতিষ্ঠা  পেয়েছেন  ৷  সম্ভবতঃ  তিনি  প্রথমে  আল্লাহ্ তে  বিলীন  বা  ফানাহ্  হওয়ার  মতবাদ  প্রতিষ্ঠা  করেছেন  ৷  তার  মতে  এক  দীর্ঘ  অতীন্দ্রিয়বাদী  অনুশীলনের  পর  একজন  মানুষ  তার  নিজের  আপন  সত্তার  গভীরতম  স্তরে  পৌঁছাতে  পারলেই সে  তখন অলৌকিক  জগতের  সন্ধান  পায়  ৷  তিনি  এইভাবেই  অলৌকিক  জগতের  সন্ধান  পেয়ে  সেখানে  পৌছাতে  সক্ষম  হয়েছিলেন  দাবী  করেছেন  ৷  কিন্তু  তার  এই  জগত  কতটা  বাস্তব  আর  কতটা  মনোজগতের  কল্পনাভিত্তিক  উপলব্ধি তার  কোনো  প্রমান  রেখে  যান  নি  তিনি  ৷

   ২  .  বাগদাদের  জুনায়েদ  ( মৃত্যু -৯১০  সালে )  তিনিই  সুফি  জগতের  প্রথম  “ স্থির  সুফি” বা  সোবার  সুফি  ৷ তিনি  জোর  দিয়ে  বলেছেন  মানুষ  যদি  তার  নিজের  সত্তাকে  সঠিক  নিয়মে  আত্মনিয়ন্ত্রণ  করতে  পারে  তবে  সে  গায়েবের  অর্থাৎ  আল্লাহ্  দর্শনের  অভিজ্ঞতা  উপলব্ধি করতে  পারবে  ৷  কারণ  মানুষের সত্তার বর্ধিত  আত্মনিয়ন্ত্রণ    গায়েবের  বা  আল্লাহ্ র  অভিজ্ঞতায়  বিরাজিত  থাকে ৷  তিনি  সুফিদের  মাতাল  অবস্থাকে  প্রথম  স্তর  উল্লেখ  করে  বলেছেন  প্রকৃত  অতীন্দ্রবাদ  আরো  গভীরে  যা  মাতাল  সুফিরা আরো  কিছু  অনুশীলন  করলে  তবেই  তারা  পরের  স্তরে  পোঁছাবেন   তখন  তারা  গায়েবের  বা  আল্লাহ্ র     উপলব্ধি আরো  স্পষ্টভবে  বুঝতে  পারবেন   ৷  তিনিও  এর  বাস্তব   কোনো  তথ্যাদি  রেখে  যান  নাই  ৷  তাই  ইহা  বাস্তব  না মস্তিষ্কজনিত    কল্পকাহিনি  তাহা  অমিমাংশিতই  রয়ে  গেছে  ৷

       

   ৩ . হুসেইন  আল-মনসুর  ( যাকে  আল  হাল্লাজ  ও  বলা  হত  )   তিনি  একজন  পূর্ণাঙ্গ  “ ড্রাঙ্কেন   সুফি ”  ছিলেন  ৷  তিনি  অনুশীলন  করে  তার  মস্তিষ্কের  বিশেষ  অংশর  আত্মনিয়ন্ত্রনে  সক্ষম  হয়ে  তিনি  তার  নিজের  সত্তার  গভীরে  প্রবেশ  করেছিলেন  ৷  তাই     তিনি       নিজকে  “  আনা  আল  হাক্কা  ”  বা  “ আমিই  সত্য  ”  বলে  ধ্যানে  মগ্ন  থাকা  অবস্থায়   মধ্যে  মধ্যে  চেঁচিয়ে  উঠতেন  ৷  তবে  তাকে  ৯২২  সালে  ধর্মদ্রোহের  অপরাধে  মৃত্যুদণ্ডে  দণ্ডিত  করা    হয়  ৷  ইসলামী  পণ্ডিতগণ  তার  এই  বক্তব্যকে  ব্যাখ্যা  করে  বলেছিলেন  আল  হাল্লাজ  নিজকে  আল্লাহ্  বা  স্রষ্টা  দাবী  করছেন  ৷  তাই  তিনি  ধর্মদ্রোহী  ৷  তবে  পরবর্তিকালে  তার  এই  কথার  অন্য  ব্যাখ্যা  করে  বলা  হয়  তিনি  আসলে  বলেছেন  অনুশীলনকরে  নিজকে তিনি আল্লাহ্ র  মাঝে  বিলীন  করতে  পেরেছেন  ৷  এই  কথাটি  বলেছেন  ,  তিনি  নিজকে  আল্লাহ্  বা  স্রষ্টা  দাবী  করেন  নাই  ৷ 

          এখানে  দু’টু  ব্যাপার  স্পষ্ট  হয়েছে  যে  কোনো  ধার্মিক  ব্যক্তি  তপস্যা  করে  আল্লাহ্ র  বা  স্রষ্টার  নৈকট্য  লাভ  করতে   পারছেন  বলে  তার  উপলব্ধিতে  আসতে  পারে  একপর্যায়ে ৷ তবে  ইহা  কল্পমনোজগত   না  অন্যকিছু   তার  প্রমাণ     নাই   ৷  তাই  ইহা  সত্য  না  কোনো  বায়বীয়  কল্পনা  যা  তার  মনোজগতে  সৃষ্টি  হয়েছে  তার   একনিষ্ঠ  ধ্যান ,  তপস্যা  এবং বিশেষ  শারীরিক  ও  মানুষিক  অনুশীলনের  ফলে  ,   তাহা  কিন্তু  এতে  বুঝা   যায়  না ৷  অন্যদিকে   স্রষ্টার দেখা  পেয়েছেন  না  ইহা  তাঁর  মস্তিষ্কের  কোনো  ক্রিয়ার  ফলে  তার  এক  বিশেষ উপলব্ধি   প্রাপ্তী  ঘটেছিল ৷ তার  বাস্তবভিত্তিক  কোনো  তথ্য    ও  প্রমান  পাওয়া  যায়     না  ৷ এটা  নিছক  একটা  বিশ্বাস   ছাড়া  অন্যকিছু  নাও  হতে  পারে  ৷ তবে এই  আলোচনার পরের পর্যায়ে  বুঝা  যাবে  যে  ইহা একটা অনুভূতি  ছিল  মাত্র  অন্য  কিছু  নয়  ৷  অনেকটা  নিস্পল  এবাদতের  ফল  তিনি  উপলব্ধি  করেছেন  যা  না  করতে  পারলেও  তার  কোনো  লাভ  বা  ক্ষতি  হত  না  ৷  ইহা  সরাসরি  মানুষের  সামাজিক  অবস্থার  কোনো  ভাল  বা  মন্দের  সঙ্গে  জড়িত  ছিল  না ৷  ইহা  একজন  ব্যক্তির  তার  নিজস্ব  একটি  বিশেষ  আত্ম-উপলব্ধি  ছাড়া  অন্য  কিছু  ছিল না বলে  পরবর্তীতে  যুক্তিবাদী  সমাজ  বা  লোগোস  পন্থীরা  মনে  করেছেন ৷ 

                   আর  যদি  আল  হাল্লাজ  সত্যই  স্রষ্টার  নৈকট্য  লাভ  করে  থাকেন  তবে স্রষ্টা তার  কোনো  ক্ষতি  নিশ্চয়  হতে  দিতে  পারেন  না  ৷  যেমন  একজন  মা   ( পশু  পাখি সহ )  তার  সন্তানকে  তার  সর্বশক্তি  দিয়ে  বিপদে  রক্ষা  করতে  চায়  ৷  নিশ্চয়  স্রষ্টাও  তার  নৈকট্যে  অবস্থান  নেয়া তাঁরপ্রতি  অনুগত   প্রিয়জনকে  রক্ষা  করতেন  ৷  কিন্তু  হাল্লাজকে  যখন  অন্যায়ভাবে তার আত্ম-উপলব্ধিতে পাওয়া  কথার  ভূল  ব্যাখ্যা  করে  মৃত্যুদণ্ড  দেয়া  হয়  তখন  কেউ  তাকে রক্ষা  করতে  এগিয়ে  আসে  নাই    ৷   ইহাতে  আবার  প্রমাণিত  হয়  যে  স্রষ্টার  অস্তিত্ব  শুধু  মানুষের  মনোজগতে  এবং কল্পনার  জগতে  ,  বাস্তবে  নয়  !  তাই এই  প্রশ্ন  যে  কারো  মনে  উদিত  হলে  তাকে  দোষ  দেয়া  যাবে  না  নিশ্চয়  !  

   ৪ . ইয়াহিয়া  সুহ্ রাওয়ার্দি  ( মৃত্যু - ১১৯১ ) যিনি  একজন  দার্শনিক  সুফি    ছিলেন  ৷  কিন্তু  তিনি  ইসলাম  ধর্ম  প্রবর্তনের  পূর্বে  প্রাক- ইসলামী  ইরানি  অতীন্দ্রিয়বাদের  ভিত্তিতে  আলোকন  বা  ইশরাক  মতবাদের  প্রতিষ্ঠা  করেন  ৷  তাহলে  দেখা  যায়  ইসলাম  ধর্মের  পূর্বেই  মানুষ  বিশেষ  অনুশীলন  করে  এইজগত  সংসারের  বাইরে  অদৃশ্যমান  কোনো  এক  অলৌকিক  জগতে  প্রবেশের  উপলব্ধি  লাভ  করতে  পারত  ৷  তবে  ঐ  অলৌকিক  জগতকে  বর্তমানের  মত  গায়েবি  এবং  ঈশ্বরের  বাতিনী  জগত  বলা  হত  না  ৷  ইসলামী  সুফিরা  যাকে  আপন  সত্তার  গভীরে  প্রবেশ  করে  ঈশ্বরের  দর্শনলাভ করা বলেছেন  ৷  তবে  ইসলামিক  শাসকগণ  ইয়াহিয়া  সুহ্ রাওয়ার্দিকে  ধর্মদ্রোহীতার  দায়ে   মৃত্যুদণ্ডে  দণ্ডিত  করেছন  ৷  কারণ  তার  গবেষণা  এবং  কর্মের  ভিত্তির  ফলে  এটা  প্রতিয়মান    হয়ে  পডেছিল  যে  ইসলাম  ধর্ম  প্রবর্তনের  পূর্বেই  সুফিধারার  অস্থিত্ব  অগ্নিউপাসক  সমাজে  প্রচলিত  ছিল  ৷  ইসলাম  অলোকিক  জগতের প্রবেশ  করে  তা  মানুষিকভাবে  উপলব্ধি  করার  পুরাতন  ঐতিহ্য  ফিরিয়ে  এনেছে  এবং  ইহাকে  ইসলাম  ধর্মের  অন্তর্ভূক্ত  করেছে  ৷   

     উপরে  উল্লেখিত  বিষয়াদি  এবং  ব্যক্তিদের  আচরণ  বিশ্লষণ  করলে  এটা  প্রতিয়মান  হয়  যে  ইসলামী  বা  প্রাগ-ইসলামী যুগের  সুফিবাদী বা আলোকন চর্চা  একটি  বিশেষ  শারীরিক  ও  মানুষিক  অনুশীলন  মাত্র  এর  সঙ্গে  কোনো  ধর্ম  বিশ্বাসের  প্রয়োজন  পড়ে  না  ৷  যে  কেউ  উক্ত  নিয়ম  অনুসরণ  করে  নিজের  আপন  সত্তার  গভীরে  প্রবেশ  করে  আল্লাহ্’র  বা  গায়েবের  অস্তিস্থ  অনুভব  করতে  পারে  ৷ তবে   ইহা  বাস্তব   না     কল্পনা   তা   না  বুঝতে  পেরে   একটি  মিথোলজিক্যাল  বিশ্বাসের  উপর   নির্ভর  করে   এটা   করা  হয়ে  থাকতে    পারে  ৷  এতে কিন্তু  ঈশ্বরের  অস্থিত্ব  আছে  বা  নাই  তা  প্রমাণিত  হয়  না  ৷

             এখন  আমরা  প্রাচীন  ভারতীয়  যোগ  ব্যায়ামের  ব্যাপারে  একটু  আলোকপাত      করছি  ৷    ভারতীয়  যোগ  ব্যায়ামের  অনেকগুলো  আসন  আছে  ৷      একজন  মানুষ নাকি যোগ  ব্যায়ামের  মাধ্যমে তার  শারিরিক  ও  মানুষিক  দুঃখ  কষ্ট  থেকে  মুক্তি  পেতে  পারে  ৷  ভারতীয়  যোগীদের   মতে  এই  বিশ্বের  সমস্ত  কিছুর  মূলে “ এক  পরমাত্মা ”  ( Universal  spirit ) ৷ আর  মানুষ  হচ্ছে সেই পরমাত্মার  অংশ ,  যাকে  তারা “ জীবাত্মা” ( Individual spirit )  হিসেবে  গণ্য  করেন  ৷  তারা  বলেন  যখন  জীবাত্মার  সঙ্গে  পরমাত্মার  মিলন  ঘটে  ,  তখন  জীবাত্মার  মোক্ষ (!) লাভ  ঘটে  ৷  তাই  যোগ  ব্যায়ামের  আসনগুলোকে  ধ্যানাসন  এবং  স্বাস্থ্যাসন  এই  দুই  ভাগে  ভাগ  করা  হয়েছে  ৷  পদ্মাসন  নামক  অসনটি  ধ্যানাসনের  শ্রণীভূক্ত  ৷  অনেকগুলো  ধ্যানাসন  আছে  ৷  কিন্তু  পদ্মাসনের  কার্যফল  আলাদা  ৷    ভারতীয়  যোগীদের  মতে  মানুষের  মস্তিষ্কের  প্রধান  ৩টি  অংশ  আছে  ৷  ১ , গুরুমস্তিষ্ক (Cerebrum)  , ২  . লঘুমস্তিষ্ক  ( Cerebellum ) এবং  ৩ . সুষুম্মাশীর্ষক  ( Medulla  oblongata )  ৷  কিন্তু  শুধু  গুরু  মস্তিষ্ক  মানুষের  দৈহিক  ও  মনুষিক  ক্রিয়াকে  নিয়ন্ত্রণ  করে  মানুষের  অনুভূতি , চিন্তা , কল্পনা , বুদ্ধি  প্রভৃতি  সমস্ত  ক্রিয়াকলাপ  নিয়ন্ত্রণ  করে  ৷  আর  পদ্মাসনে  বসে  ধ্যান  করলেই  শুধু  এই  কার্যগুলো  চমৎকার  ভাবে  নিয়ন্ত্রণ  করা  সম্ভব হয় ৷  এই  সঙ্গে  পদ্মাসনের  বসে  ধ্যানে  মগ্ন  ব্যক্তিরা    নাকি  অলৌকিক  জগত  বা  গায়েব  এবং  ঈশ্বরের  সঙ্গে  যোগাযোগ  স্থাপন  করতে  পারেন বলে  তারা  বিশ্বাস  করেন ,  অনেকটা সুফিবাদী  ধারার বা প্রাগ-ইসলামী যুগের  ইশরাক পদ্ধতির  অনুরূপ  বিশ্বাসের  মত  ৷  তবে  এর  জন্যে  প্রয়োজন  হয়  সঠিক  নিয়মে  বিশেষ  একটি  অনুশীলন  সম্পর্কে  শিক্ষা  গ্রহণ  করা  ৷  যারা  শুধু  এই অনুশীলনের শিক্ষা  আয়ত্ত্ব  করতে  পারেন ,  তারাই    এই  পরলৌকিক  অভিজ্ঞতা  অর্জন  করতে  পারেন  ৷  তাই  ভারতীয়  যোগীরা  বলেন  “ অষ্টাঙ্গ  যোগের  বিভিন্ন  অঙ্গের  পরিক্রমণের  মাধ্যমে  আত্ম-উপলব্ধি  এবং  অলৌকিক  জগতে  মানুষের  প্রবশ  করা  সম্ভব” ৷  সুফিবাদীরা  যেমন  বলেন  জিকিরের  মাধ্যমে  আপন  সত্তার  গভীরে  প্রবেশ  করে  আল্লাহ্’র  এবং  গায়েব  দর্শনের  অনুভূতি  লাভ  করা  যায়  ৷

          উপরে  উল্লেখিত  সুফিবাদী  অনুশীলন  ও  প্রগ-ইসলামী  যুগের ইশরাক  বা  আলোকন পদ্ধতি  এবং  যোগ  ব্যায়ামের  বিশেষ  এক  প্রক্রিয়া  অনুশীলন  করে  একজন  মানুষ  তার  মস্তিষ্কের  একটি  অংশের  কর্মতৎপরতা  বৃদ্ধি  করে    ঐ  অংশর উপর তার  আপন  আত্ম-নিয়ন্ত্রণ  স্থাপন  করা  সম্ভব  ৷  তবে  ইহা   কাল্পনিক   না  বাস্তব  কিছু   না শুধু  মস্তিষ্কজনিত  কোনো  অনুভূতি  প্রাপ্তি  তা    প্রমাণ  সাপেক্ষ  ব্যাপার  ৷   গৌতম  বুদ্ধের  অনেক  ছবিতে  তাঁকে  পদ্মাসনে  বসা এবং  ধ্যানরত অরস্থায়  দেখা  যায়  ৷  কি  জন্যে  তিনি  পদ্মাসনে  বসে  ধ্যান  করতেন  তা  উপরের  আলোচনা  থেকে  সহজেই  বুঝা  যায়  ৷

         এই  লেখার  পরবর্তি  পর্যায়ে  বিজ্ঞানভিত্তিক  একটি গবেষণা  মূলক  একটি  লেখার কিছু  দৃষ্টান্তের  উল্লেখ  করা  হবে  যার  সঙ্গে  ইসলামী  সুফিবাদী  ধারনার  সঙ্গে  কিছু  মিল  পাওয়া  যাবে ৷  তাই  ইসলামী  সুফিবাদের  আরো  কিছু  বিবরণ  উল্লেখ  করা  হল  ৷

          সুফিবাদ  এর  আরবী  নাম  তাসাউফহ্  যাকে  অনেকে  “ Fragrances  of inner Knowledge ”   বলে  মনে  করেন  ৷  আবার  কেউ  কেউ  “ Inner  spiritual  dimension  of Religion”  বলেন  ৷  তবে  এর  জন্যে  ব্যক্তির   ৪টা  স্তর  অতিক্রমের  প্রয়োজন  হয় ৷  স্তরগুলো  হচ্ছে ;

 ১ . শরিয়ত  ,  ইসলাম  ধর্মে  বিশ্বাস  স্থাপনকারীরা  ইসলাম  ধর্ম  গ্রহণের  সঙ্গে  সঙ্গে  তাসাউফেহ্ এর  এই  প্রাথমিক  স্তরে  অবস্থান  করেন  ৷  যাকে  ইসলাম  ধর্ম  বিশ্বাসের  Lower stage এ  অবস্থানকরা  বুঝায়  ৷

 ২ .  মারিফত  ,  এটা  ২য়  স্তর  ;  নিজের  আপন  সত্তার  গভীরে  প্রবেশের  লক্ষে  কিছু  নিয়ম  কানুন  শিক্ষা  গ্রহণ  করতে  হয়  এই  স্তরে  ৷

 ৩  . তরিকত  ;  ৩য়  স্তরকে  তরিকত  বা  তরিকা  বলা  হয়  ৷  ব্যক্তি  নিজে  এই  স্তরে  পৌঁছাতে  পারে  না  ৷  বিশেষ  ভাবে  প্রশিক্ষিত  পীরেরা   বা  সুফিরা  একটি  নির্দিষ্ট  তরিকা  বা  নিয়মে  ব্যক্তিকে  এই   স্তরে  পৌঁছার  প্রশিক্ষণ  দেয়ে  থাকেন  ৷

 ৪  . হকিক্ ত ; এটি ৪র্থ  এবং  শেষ  স্তর  ৷  বিশেষ   প্রক্রিয়া  এবং  বিশেষ  শারীরিক  ও  মানুষিক  অনুশীলনের  মাধ্যমে  এই  স্তরে  পৌছা  গেলেও,  এই  স্তরে  পৌছে  গেলে  কেউ  আর জগত সংসার  ধর্মে  ফিরতে  পারে না  মনে  করা  হয়  ৷  কারণ  এই  পর্যায়ে  পৌঁছার  পরে  ঐ  ব্যক্তির    আত্মা  অলৌকিক  এবং  পরলৌকিক  জগতে  বিলীন  হয়ে  যায়  ৷ এ  অবস্থায়  যে  পৌঁছাতে  সক্ষম  হয়  তখন  তাকে  পূর্ণাঙ্গ  সুফি  বলা  হয়  ৷  এই  স্তরকে  ধর্মবিশ্বাসের  Higher stage ও বলা  হয়  ৷  তবে  যে  কর্ম  মানুষকে  তার  জগত  সংসার  ও  সমস্ত  ইহলৌকিক  কার্যকলাপ  থেকে  বিচ্ছিন্ন  করে  ফেলে  সে  কর্ম  মানুষ  কেন  করতে  চায়    ?  নিশ্চয়  এর  কোনো  কারণ  আছে  আর  কারণটি  হচ্ছে  মানুষের  মস্তিষ্কের  ৪৩   টা  আলাদা  আলাদা  অংশের  একটি  অংশর  অতিরিক্ত  কর্ম-তৎপরতা  বা  কার্যকারিতা  বৃদ্ধি  পাওয়া  ৷  মানুষের  মস্তিষ্কের  এই  অংশের  নাম  দিয়েছেন  নিউরো-বিজ্ঞানীরা  মস্তিষ্কের  “ GOD  SPOT”  ৷

                  এর  ব্যাখ্যা  ও  বৈজ্ঞানিক  অনুসন্ধানে  বেরিয়ে  এসেছে  ৷  মস্তিষ্ক হচ্ছে  মানুষের  দেহের  সবচেয়ে  জটিল  অঙ্গ  ৷    মানুষের  করোটির   ভিতরে  প্রায়  দেড়  কেজে  ওজনের  একটি  থকথকে  ধূসর  পদার্থ আছে  ৷  যার  মধ্যে  গাদাগাদি  করে  লুকিয়ে  আছে  প্রায়  ১০  হাজার  কোটি  নিউরন  আর  কোটি  কোটি  স্যায়ান্যাপসেস  ;   এবং  সেইসাথে  আছে  সেরিব্রাম  ,  সেরিবেলাম  ,  ডাইসেফেলন  আর  ব্রেইনষ্টেমে  বিভক্ত  হয়ে  তৈরি  করেছে  জটিলতম  সব    কাঠামোর  ৷

                    নিউরো-বিজ্ঞানীরা  মানুষের  মস্তিষ্ক  বিশ্লেষণ  করে  ৪৩/৪৪  টা  আলাদা  আলাদা  অংশ  পেয়েছেন  এবং  সেগুলোর  বিদঘুটে  নামও  দিয়েছেন  ৷ আমাদের  চিন্তাভাবনা  ,  কর্মকাণ্ড  ,  চালচলন  এবং  প্রাত্যহিক  অভিজ্ঞতা  অনেকাংশেই  মস্তিষ্কের  এই  বিদঘটে  নামধারী  প্রত্যঙ্গগুলোর  সঠিক  কর্মকাণ্ডের  এবং  তাদের  কাজের  সমন্বয়ের  উপর  নির্ভরশীল ৷  

                 গবেষণায়  নিউরো- বিজ্ঞানীরা  দেখেছেন  মস্তিষ্কের  কোনো  অংশ  আঘাতপ্রাপ্ত  হলে  কিংবা  অন্য  কোনো  প্রক্রিয়ার  কারণে  মস্তিষ্কের  কোনো  অংশের  স্বাভাবিক  কাজকর্ম  বাধাগ্রস্থ  হলে মস্তিষ্কের  ভেতর  নানারকমের  অদ্ভুত  , অবাস্তব  এবং  অতীন্দ্রিয়  অনুভুতির  সৃষ্টি  হয়  ৷      তাই  ধর্মীয় ‘ দিব্য  দর্শন’ বা  গায়েবের  উপলব্ধি  কোনো ‘ সার্বজনীন  সত্য ’ বিষয়   নয়  ৷  তাই  দিব্য  দর্শনে  প্রাপ্ত  তথ্য  বা  উপলব্ধি  মানুষের  নিজ নিজ সমাজের  এবং  ধর্মবিশ্বাসের  আজন্ম  লালিত  বিশ্বাস  ৷ তাই  নিজ  নিজ  সংস্কৃতির  আলোকে  ব্যক্তিবিশেষে  এক এক  জনে  এক  এক  রকম  দিব্য  দর্শন  লাভ  করেন  ৷  বৈজ্ঞানিক  গবেষণায়  প্রমানিত  হয়েছে  মানুষের  মস্তিষ্কের  কিছু  অংশকে  বিশেষ  পদ্ধতিতে  উত্তেজিত  করলে  মানুষের  তখন  ভূত , প্রেত , ড্রাকুলা  থেকে  শুরুকরে  শয়তান ,  ফেরেশতা  এমনকি  আল্লাহ্  বা   জগত  সংসারের বাহিরের যে  কোনো  কল্পিত  স্রষ্টাকে  দর্শন  করা  সম্ভব  ৷  এর  জন্যে  মানুষের  মস্তিষ্কের  যে  অংশটিকে  দায়ী  করা  হয় তার  নাম  টেম্পেরাল  লোভ   : যাকে  এখন  নিউরো- বিজ্ঞানীরা  নাম  দেয়েছেন  ,  মানুষের  মস্তিষ্কের  ‘গড  স্পট’ ?   

          এইসব  বিষয়  নিয়ে  গবেষণারত  বিজ্ঞানীরা   সন্দেহ  করতেন  যে মানুষের  গায়েব  দর্শন  অর্থাৎ  ঈশ্বর  দর্শন , দিব্যদর্শন  আথবা  ওহিপ্রাপ্তির  মতো  ধর্মীয়  অভিজ্ঞতাগুলো  স্রেফ  মস্তিষ্কসজ্ঞাতজাত  ক্রিয়াকলাপ  মাত্র  , অন্য  কিছু  নয়  ৷  যা  এখন  প্রমাণিত  হয়েছে  কিভাবে  তা  নিচের  আলোচনায়  স্পষ্ট  হয়ে  যাবে  অনেকটা  ৷ 

                     অনেকদিন আগ  থেকেই  এই  বিষয়  নিয়ে  গবেষণা  আরম্ভ  করেন  বৈজ্ঞানিকরা  ৷  ১৯৫০  সালে নিউরোসার্জেন   উইনল্ডার  পেনফিল্ড      রোগীর  মস্তিষ্কে  অস্ত্রপ্রচার  করার  সময়  তার  ব্রেনের  মধ্যে  ইলেকট্রোড  ঢুকিয়ে  মস্তিষ্কের বিভিন্ন  অংশকে  বৈদ্যুতিকভাবে  উদ্দীপ্ত  করে  রোগীর প্রতিক্রিয়া  জানতে  চাইতেন  ৷ সাধারণত কেউ  তেমন  কোনো  কিছু   বলতে  পারতো  না  ৷  কিন্তু  যখন  কোনো  রোগীর  মস্তিষ্কের   ‘  টেম্পোরাল  লোব’ অংশকে  অনুরূপভাবে  উত্তেজিত  করা  হতো  তখন  রোগীরা  নানা  ধরনের  ‘ গায়েবি  আওয়াজ’  শুনতে  পেত ,   যা  অনেকটা  ‘ দিব্য  দর্শনের’  অনুরূপ  ৷  এরই  ধারাবাহিকতায়  ১৯৭৫  সালে  স্নায়ু-বিশেষজ্ঞ  নরম্যন  গেইস  উইন্ড  এবং    ক্যালিফোর্নিয়া  বিশ্ববিদ্যালয়র  স্নায়ু  বিশেষজ্ঞ  ভিলায়ানুর  এস  রামাচান্দ্রন  তাদের  গবেষনায়  দেখালেন যে মস্তিষ্কের টেম্পেরাল  লোব  উত্তেজিত  করে  ঈশ্বর  দর্শনের  অনুভূতি  লাভ  করা  সম্ভব  ৷  আর তারা মস্তিষ্কের  এই  অংশর  সঙ্গে  এপিলেপ্সি  বা  মৃগীরোগের  একটি  সম্পর্ক  ও  খুঁজে    পান  ৷  এ  নিয়ে  আরো  অনেক  গবেষণার  পর  এ  ব্যাপেরে  নিশ্চিত  হয়ে  নিউরো- বিজ্ঞানীরা  ব্রেইনের  টেম্পেরাল  লোব  কে  এখন  GOD  SPOT নামে  অবিহিত  করেছন ৷  আর  বর্তমান  বিশ্বে  মৌলবাদীরা  বিশেষ  প্রক্রিয়ায়  কম  শিক্ষিত  এবং  একমূখী  ধর্মীয়  শিক্ষায়  শিক্ষিতদের  মস্তিষ্কের  ঐ  গড  স্পট অংশকে  অতিরিক্ত উত্তেজিত  করে  এবং  তার  মস্তিষ্ককে  বিশ্বাসের  ভাইরাস  দ্বারা  সংক্রামিত করে  মৌলবাদী  ও  জঙ্গীবাদীতে  পরিণত  করে  আত্ম-ঘাতী  জঙ্গী  হিসেবে  তাদেরকে কাজে  লাগাচ্ছে  ৷  
            আর বিশ্বাসের  ভাইরাসে  আক্রান্তরা    আনন্দের  সঙ্গে  ঐ  সব  অপারেশনে  অংশ  গ্রহণ  করে  ৷  কারণ  তারা  বিশ্বাস  করতে  বাধ্য  হয় যে,  ভাইরাসে  আক্রান্তের  কারণে   যদি  অংশগ্রহণকারী কেউ   আত্মঘাতী  হামলায়  মারা  যায় তবে  শহীদ  হয়ে সে সরাসরি  বেহেশ্ তে   চলে  যাবে  আখেরাতের  শেষ  বিচারের   আগেই  ৷  আর  জীবিত  থাকলে  গাজী  হয়ে  তাদের  স্বপ্নের  কল্পরাজ্য  প্রতিষ্ঠিত  হলে  অঢেল  সম্পদ  ও  ক্ষমতার  অধিকারী  হতে  পারবে  ৷ তাদেরকে  আবার  চাকুরেজীবিদের  মত  মাসিক  বেতন-ভাতাও  দেয়া  হয়  যাতে  তারা  অন্যকাজে  চলে  না যায়  ৷ এ  ব্যাপারে  নিচের  লেখা  থেকে  আরো  কিছু  বৈজ্ঞানিক  তথ্য  পাওয়া  যাবে  ৷ 

               তথ্যগুলোতে  সুফিবাদের  ধর্মঅনুশীলনের  চার  স্তরের  পরিবর্তে  ৫  জন আলাদা  আলাদা  God  বা  ঈশ্বসের  নাম  পাওয়া  যাবে  ৷  ধর্ম  বিশ্বাসের  lower stage  এবং  upper stage নিয়ে  কিছু  তথ্যও  পাওয়া  যাবে ৷  আর  মৌলবাদীরা  ধর্ম  বিশ্বাসী  যারা  lower stage এ অবস্থান  করেন  তাদেরকে  মৌলবাদীরা  বেশীকরে  তাদের  কাজে  ব্যবহার  করে  বলেও  আন্দাজ করা  হয়েছে  ৷  তাদের  মস্তিষ্কে  বিশ্বাসের  ভাইরাসে  আক্রান্ত  করাও  নাকি  তুলনামূলকভাবে সহজ ৷

N B : বর্তমানে  একটি  গবেষণায়  দেখা  গেছে  মানুষের  মস্তিষ্কের  God  spot ছাড়াও  অন্যান্য  কিছু  অংশেও  একই  অনুভূতি  পাওয়া  সম্ভব ৷  এ  ব্যাপারে  একটি  গবেষণার  সারাংশ  paste করা  হলো ৷
     Date:
April 19, 2012
Source:
University of Missouri-Columbia
Summary:
Scientists have speculated that the human brain features a "God spot," one distinct area of the brain responsible for spirituality. Now, researchers have completed research that indicates spirituality is a complex phenomenon, and multiple areas of the brain are responsible for the many aspects of spiritual experiences .


          ২০০৯ সালে “The  Oxford  hand  book of Religion and Science”   এ  একটি  গবেষেণা  প্রবন্ধ  প্রকাশিত  হয়েছে  ৷    এ  থেকে  জানা  যায়  যে  কিছু  নিউরো  বিজ্ঞানীগবেষক  মানুষের  মস্তিষ্কের  বিভিন্ন  অংশ  পরিক্ষা  করে “ human GOD spot”  নামে  একটি  অংশের  অস্থিত্ত্ব  পেয়েছেন  ৷  ধর্মীয়  মৌলবাদীরা  মানুষের  ঐ  গড  স্পট  কে  কাজে  লাগিয়ে  জঙ্গীবাদ  ও  মৌলবাদের  বিস্তার  ঘটাচ্ছে  ৷ মৌলবাদীরা  মিথোস  ও  লোগোস  এর  সমন্নয়  সাধন  করে  মানুষের  মস্তিষ্কের  গড  স্পট  কে  বিশেষ  পদ্ধতিতে  উত্তেজিত  করে  এসব  কাজ  করাছে  ৷  নিম্নে  ঐ  প্রবন্ধের  এবং  অন্য  একটি  বৈজ্ঞানিক    ধর্মগ্রন্থ  বিষয়ের গবেষণার   কিছু  অংশকে  সরাসরি  পেষ্ট  করে  দেয়া  হলো  যাতে  ঐ প্রবন্ধের  বক্তব্যটা  বুঝতে  পাঠকদের  সুবিধা  হয়  ৷  

        WASHINGTON DC – USA – Scientists at the Institute of Historical Research have finally released their findings after five years of dedicated research.


                                The scientists, headed by Doctor Julius Sanreso, welcomed the research findings and said that it would be in the interests of those who believe in such nonsense as organised religion or creationism to accept the fact that religious books were written by men as a control system.

                            “Just think for one second, if ‘God’ or a ‘messenger of God’ had written that particular religious book/bible, how come the writings only occur within a very limited period in human history? Also, consider the fact, that a human writing on a piece of paper, or a few pieces of paper, is not the word of ‘God’. If they were really written by a universal God or entity, the books would not be limited to some pre-medievel costume drama but would encompass all universality, history, the future and science. Language is something created by man, not an all-seeing, all encompassing entity. God would presumably be universal and timeless as well as all-knowing, as is the universe, therefore these man-written books and scriptures, are just that, man-written linguistically created nonsense used to control men and women thousands of years ago. Why would ‘God’ write anything anyway? One must consider the fact that, even now, there are religious zealots and ordinary people still entrenched in a control belief system that is so far removed from reality that it borders on madness. There is no rational or scientific way that organised religions can have a modicum of truth or factual reality because of the very reason that these books are entombed in the time that they were written. These books should therefore simply be viewed as limited parables and historical fiction, as well as a lesson in how millions of people can be so easily controlled.”

                           The research paper also came to the conclusion that reward/punishment religions, as control systems, were losing their grip on most of the population of the world and only a few die-hard fanatics and delusional maniacs were carrying on with the flame of idiocy.

                “      The game is up for all religions, how long can this sham carry on, with their ridiculous outdated ceremonies? The priests are deceivers, and they need to come up with some pretty radical solutions to their thousand year old magic trick. People aren’t as dumb or easily swayed as they used to be thousands of years ago, they actually have reasoning powers and can see through the utter nonsense of organised control systems like religion.”
The problem for the world’s political leaders, is that slowly, humans who were controlled for so many years by fictitious writings, may suddenly lose their controlled ‘faith’. This could be quite dangerous, because it would mean that these people would suddenly wake up and realise that they have been fooled for so long by being communally hypnotised. 
“We must ensure that the people who have been fooled for so long by fictitious belief systems utilised to control humans do not get too angry when they realise that what they believe in is nonsense written by humans utilising human created language. This could be dangerous for society, so we must either let them carry on believing their fiction or try to somehow support them when they realise the truth,” Dr Sanreso said.
The research paper will be published in its entirety in 2015.





        Integral Religion
There are few areas that have as many different associations, connotations, and definitions as religion and spirituality. This diversity of meaning highlights the important role that religion and spirituality play in people's lives and communities and explains why there is so much disagreement in this area. In a general sense ‘religion’ tends to refer to LL cultures of meaning, symbolism, and theology about God or Spirit. ‘Spirituality’, on the other hand, usually refers to UL direct felt experiences of insight, love, wisdom or compassion, presence, and grace of the Absolute or the Divine. Interestingly, in terms of levels of psychological development, ‘religion’ is more often associated with traditional values, whereas ‘spirituality’ is often connected with post conventional values. And modern values find both suspect—though there are attempts at providing rational proofs for the existence of God.11 Additionally, Integral Theory has identified nine different, often exclusive, meanings of ‘religion’ and five distinct uses of ‘spirituality’.12 Each of these uses is legitimate—we are free to define religion and spirituality any way we wish, and clearly we have—but we must specify that meaning. Many scholars and practitioners of both religion / spirituality and science have several implicit but often very different definitions in mind, and they slip between them in a way that generates pseudoconclusions. The AQAL model recognizes the context in which each definition is accurate and meaningful, and allows each and every one of those definitions to have its place in the interface between science and religion.
In addition to sorting through the multiple uses of terms like ‘religion’ and ‘spirituality’, the AQAL model provides a space for Integral Religion (and Spirituality) to emerge. It does so by identifying a number of key issues that have dogged religion for some time. Each quadrant contains phenomena that are crucial for a more comprehensive, balanced, and Integral approach to reality, to the universe, to God and Goddess, and to Spirit. In effect, the four quadrants represent the four hands of God in the manifest realm—leave any one of them out, and one compromises one's relationship with Radiant Spirit.
Let us unpack the different developmental understandings of God, as it is a defining element of Integral Religion. To integrate science and religion, it is necessary to recognize that there is no single God of which religion speaks and which spirituality experiences.
 A leading developmental theorist, Jean Gebser (1985), found that human beings evolve through at least five major levels of development, which he called archaic, magic, mythic, mental, and integral. If we accept that those stages are more or less right, then there is an archaic God, a magic God, a mythic God, a mental God, and an integral God (with possible higher stages and experiences of God to come).
An archaic God sees divinity in strongly instinctual forces. A magic God locates divine power in the human ego and its magical capacity to change the animistic world with rituals and spells. A mythic God is located not on this earth but in an otherworldly heavenly paradise, entrance to which is gained by living according to the covenants and rules given by this God to his chosen peoples. A rational God is a demythologized Ground of Being that underlies all forms of existence. And an integral God is one that transcends and embraces all of the above. Thus Integral Religion recognizes that there are multiple versions of God, and that all of them are worthy of worship and devotion (in their healthy expressions). All of these understandings of God are important because they each capture an irreducible dimension of the Divine in its multidimensional glory. Each ‘higher’ stage of development actually builds upon and includes the lower, so the lower stages are more fundamental, whereas the higher stages are more significant. Exclude or repress any one of them, however, and one is in trouble. As a result, one ends up with a broken picture of God while claiming that the part one is holding in one's hand is what deserves a nice frame. Tracing that development—while honouring each and every stage as an equally crucial component of that development—is an important part of any Integral approach to religion and spirituality13 Moreover, this understanding is crucial for bringing science and religion together under the postmetaphysical umbrella.
Unlike traditional religion's embrace of various metaphysics, Integral Religion embraces an Integral postmetaphysics. This is essential for integrating science and religion, because both science and postmodern theory have produced some devastating critiques of premodern metaphysics. As a result, Integral Postmetaphysics replaces perceptions with perspectives. Thus, for example, the Whiteheadian and Buddhist notion—that each moment is a momentary, discrete, fleeting subject that apprehends dharmas or momentary occasions—is itself a thirdperson generalization of a firstperson view of reality in a first person (3p × 1p × 1p). Each moment is not a subject prehending an object; it is a perspective prehending a perspective—with Whitehead's version being a truncated version of that multifaceted occasion, a version that actually has a hidden monological metaphysics (Wilber 1995, 1997, 2000a). Integral Postmetaphysics can thus generate the essentials of Whitehead's view, but without assuming Whitehead's hidden metaphysics.
The same is true for the central assertions of the great wisdom traditions: an Integral Postmetaphysics can generate their essential contours without assuming their extensive metaphysics. The incredibly important truths of the great traditions could not easily withstand the powerful critiques offered by both modernity and postmodernity. Modernist epistemologies demanded evidence, which the pre modern traditions were ill prepared to provide, even though traditional contemplative practices offered ample verifiable evidence in favour of claims about Spirit (contemplation was always a modern epistemology ahead of its time in a premodern world). Concluding that no evidence was available to support truth claims about spiritual reality, modernist epistemologies rejected premodern religious traditions more or less in their entirety.
Not that it mattered too much, because postmodernity rejected both pre modernity and modernity. The truth advanced by postmodernist epistemologies is that all perceptions are actually perspectives, and that all perspectives are embedded in bodies and cultures, and not just in economic and social systems (which modernist epistemologies from Marx to systems theory had already asserted). If modernity flinched and recoiled in face of these postmodern critiques, one can imagine how the premodern traditions fared.
IMP highlights an array of fundamental perspectives, some of which the postmodernist epistemologies would emphasize. In particular, AQAL insists that every occasion hasa LowerLeft quadrant (intersubjective, cultural, contextual), and that the quadrants ‘go all the way down’.14 In simpler terms, all knowledge is embedded in cultural or intersubjective dimensions. Even transcendental knowledge is a fourquadrant affair: the quadrants do not just go all the way down; they go all the way up as well.
Modernity focused on the RightHand quadrants of objective exterior evidence, while postmodernity focused on the LowerLeft quadrant of intersubjective truth and the social construction of reality. But there was one area that the great traditions specialized in, an area not yet understood, or even recognized, by modernity and postmodernity, and that was the interior of the individual—the UpperLeft quadrant with all its states and stages of consciousness, realization, and spiritual experiences. By situating the great wisdom traditions in an Integral framework, we can salvage their UpperLeft experience and wisdom. Virtually the entire Great Chain of Being fits into the UpperLeft quadrant. Shorn of its metaphysical structures, the wisdom of the premodern traditions fits into an Integral framework that allows room for modern and postmodern truths as well.
Just as a Postmetaphysics approach and IMP broaden and deepen narrow science into Integral Science, so they also broaden and deepen narrow religion into Integral Religion, while honouring all the partial truths in between. Like Integral Science, Integral Religion recognizes that religion can be understood as a data domain(such as the LeftHand quadrants), as a method (such as those approaches that use the three strands of valid knowledge), and as a level of understanding such as a traditional (ethnocentric) worldview or a transrational (theocentric) worldview.
Previously we tracked the expansion from narrow science to broad science to Integral science and the ways in which each of those moments contributed (or did not contribute) to an integration with religion. Likewise, when we examine this progression in the context of religion, we see a similar pattern.
Narrow religion, often considered religious fundamentalism, is an all too prevalent understanding of religion. This ethnocentric (and sometimes egocentric) expression of religion has the same psychological developmental structure as scientism!15 Integration of science and religion in this context occurs only to the extent that science is placed in service of dogmatic views of understanding divine law. Second, there are rational and worldcentric understandings of religion, where someone recognizes that all religious traditions can liberate people from selfishness and provide a context for an intimate relationship with God. It is within this broader understanding of religion that people often attempt to use modern science to prove the Torah, or use brain imaging to map mystical states, and so on. They emphasize the RightHand correlates of LeftHand dimensions. Next, postmodernism interprets religion and science as a series of power / truth claims and places them all on an equal footing (thereby negating development and depth), but does very little to integrate them.
A more inclusive view sees religion as an esoteric core to the great traditions— often called the Great Chain of Being or the perennial philosophy. All too often, in the context of this understanding of religion, science turns to quantum physics to demonstrate the underlying quantum grid of reality. Unfortunately, this is a disaster, a reduction of Spirit in the worst sense (Wilber 1982, 1983a, 1984). Finally, Integral religion recognizes the validity of these previous understandings of religion through a postmetaphysical embrace. In addition to jettisoning the unnecessary ontological pregivens of traditional metaphysics, this embrace uses IMP to legitimate reproducible spiritual experience and knowledge so that they can be scrutinized by the appropriate community of the adequate (those who have the necessary training in any particular methodology or set of methods). At this level of understanding, science is satisfied that religion is not saddled with unnecessary ontological structures and that religion is following the three strands of valid knowledge.
Integrating Science with Religion
Having provided an Integral overview of both science and religion, we can now turn our attention to the salient issues involved in integrating them. One key to understanding these various attempts is to recognize that different worldviews have different versions of science and religion, and thus have a different way of trying tointegrate them (Wilber 1998). Thus, each worldview discloses a different valid understanding of both science and religion and their relationship (see Figure 31.7).
With different understandings, different attempts at integration occur. Within a magical worldview science and religion are undifferentiated, and local ‘folk’ understandings of science, such as causal relationships and taxonomies, support local religious practices (voodoo, witchcraft). The boundary between science and religion is largely absent. A mythic worldview unites science and religion through dogmatism, as in creation science, in which religion accounts for science. In rational world views, logic and rationality integrate science and religion. Here God becomes a proof. Now science proves religion / God. The postmodern worldview emphasizes plurality in both science and religion, through interdisciplinary research and interfaith dialogue respectively. Transpersonal worldviews have not emerged on any large cultural scale, but to the extent that they exist, science and religion are integrated in trans rational knowing. It is only with Integral perspectivalism that all these forms of integration are recognized and included, integrating science and religion in their methodological nature (see Figure 31.8).
If we start with traditional religion and modern science and then look at the zones of inquiry of IMP, we notice that all the zones that involve a thirdperson perspective are represented by science, and the two zones that involve a firstperson perspective are often viewed as the domain of religion. In other words, science is often associated with those methods that examine the outsides of the exteriors, and religion is usually associated with those methods that deal with the insides of the interiors. In this sense these two disciplines hold opposite methodological poles. No wonder they are often at odds with one another (see Figure 31.9).
Fig. 31.7. Levels of science and religion and some examples.
Fig. 31.8. Levels of integration between science and religion.
Fig. 31.9. Typical methodological domains of science and religion.
It becomes clear with the IMP approach that while religion has often been confined to the insides of interiors for individuals and collectives (Phenomenology of Religion and Hermeneutics of Religion) there are scientific (i.e. thirdperson) disciplines that take religion as object of investigation in all the other methodological zones. Thus, all eight methodological families can investigate religion. Let us startwith the outsides of exteriors and move toward the insides of interiors. One of the main fields that studies the outside of the individual exteriors is Neurotheology, or what is sometimes called Neuroreligion, which documents the neurological basis of spiritual experience (e.g. McKinney 1994;Austin 1998; Newberg, d’Aquili, and Rause 2001). There are also genetic and biological approaches (e.g. Alper 2001;Pearce 2002; Hamer 2004). The main field associated with the outside of the collective exteriors is Sociology of Religion, which often focuses on institutional dimensions (e.g. Lenski 1963; Wilber 1983b; Weber 1993; Durkheim 1995). The inside of individual exteriors is investigated by the field of Cognitive Science of Religion, which looks at the cognitive mechanisms underlying religion (e.g. Andresen 2001; Pyysiainen 2003). Within this approach there are those who situate cognitive mechanisms within an evolutionary context (Boyer 1994;Atran 2004, also Chapter 25 above). At the collective level,Niklas Luhmann's (2000) work on religion and communication explores the inside of collective exteriors. Moving to the Left Hand quadrants we find the fields of Psychology of Religion (e.g. Fowler 1981; Wilber, Engler, and Brown 1986) and Anthropology of Religion (e.g. Eliade 1958; LéviStrauss 1963;Berger 1969; Geertz 1976; Wilber 1981; Foucault 1986), both of which study the outside of individual and collective interiors to identify structural patterns of personal experience and cultural meanings of the Divine. This leaves the fields of Phenomenology of Religion (e.g. Bettis 1969; Twiss 1992;Waardenburg 2001) and the Hermeneutics of Religion (e.g. Osborne 1991; Gadamer 1999; Kearney 2001;Phillips 2001), both of which focus on the insides of the interiors, exploring the individual experience and mutual understanding of the sacred. These last two are empirical in the broad sense of following the three strands of valid knowledge (see Figure 31.10).
Fig. 31.10. Study of religion scientifically.
Clearly IMP allows science and religion to be integrated by recognizing which methodological zones various approaches are most qualified to inhabit. Those zones inhabited by religion (i.e. phenomenology and hermeneutics) can be understood as scientific, through broad empiricism. It also shows how the thirdperson zones can be used to study religion to create a more Integral understanding of religion. Again, as we have demonstrated, one reason why the integration of science and religion has been so difficult is that science and religion can be many things to different people.
Not only does the Integral approach recognize the important truths in the many possible ways to integrate science and religion; it also provides a postdisciplinary framework that illustrates their true but partial nature. IMP unlocks the many meanings and reveals the common postmetaphysical language that unites science and religion. Through its guiding principles of nonexclusion, enfoldment, and enactment, IMP can integrate science and religion regardless of the meaning one has in mind.
If one defines science and religion as domains of inquiry, the RightHand exterior quadrants versus the LeftHand interior quadrants, the Integral approach points out that all four quadrants coarise and are different aspects of the same occasion. Thus, science and religion are inseparable sides of the same Integral coin. If they are defined asmethods, the Integral approach points out there are eight fundamental methodological families that both science and religion can use to investigate reality: either with disciplines of science being used to study religious phenomena, or with religious practices (broad empiricism) investigating aspects of reality. If they are defined aslevels, the Integral approach points out that even though religion is often associated with the ethnocentric level and science with a worldcentric level, worldviews at different developmental levels generate distinct understandings of both science and religion, and therefore take unique approaches to integrating them. Clearly, as a result, science and religion can and must be integrated at multiple levels of understanding.16 So no matter how we define science and religion, the Integral approach brings them together in an inclusive embrace.

Bibliography

—— Engler, J., and Brown, D. (1986) (eds.). Transformations of Consciousness. Boston: Shambhala.Find This Resource

   

The God spots revealed: Scientists find areas of the brain responsible for spirituality 

Scientists have speculated for years that the human brain features a 'God spot,' one distinct area of the brain responsible for spirituality.
Now, University of Missouri researchers have completed research that indicates spirituality is a complex phenomenon and that multiple areas of the brain are responsible for the many aspects of spiritual experiences.
The new work is based on a previously published study that indicated spiritual transcendence is associated with decreased right parietal lobe functioning,
New research has indicated that there is no one God-spot in the human brain and that in fact spirituality is stimulated across all lobes in the brain
New research has indicated that there is no one God-spot in the human brain and that in fact spirituality is stimulated across all lobes in the brain

      
সূত্র ; ইসলাম
  সংক্ষিপ্ত  ইতিহাস
  ক্যারন  আর্মস্ট্রং
অনুবাদ ; শওকত  হোসেন  ৷  এবং

 অভিজিৎ  রায়  ও  রায়হান  আবীর
  অবিশ্বাসের  দর্শন ৷
        

        WASHINGTON DC – USA – Scientists at the Institute of Historical Research have finally released their findings after five years of dedicated researc


     “ Toward A Comprehensive  Intergration  of Science  and Religion :  A Post – Metaphysical  Approach ,  by  Sean Esbjorn- Hargensand  and  Ken Wilber;  The  Oxford  Hand Book  of  Religion and  Science ,  Edited by Philip  Claytan , 2009 ,

 ( ইহা একটি বিজ্ঞানভিত্তিক  লেখা   , কারো  ধর্ম  বিশ্বাসে  আঘাত  করতে  এই  লেখাটি  তৈরি  করা  হয়  নি  ৷  লেখাটি  কোথাও  প্রকাশ  করা  যাবেনা  ৷  শুধু  আগ্রহী  মুক্ত  চিন্তার  পাঠকদের  জন্যে  লেখাটি  তৈরি  করা  হয়েছে  ৷ )



মন্তব্যসমূহ