JOHN LENNON
LYRICS of song
"Imagine"
Imagine there's no heaven
It's easy if you try
No hell below us
Above us only sky
Imagine all the people
Living for today...
It's easy if you try
No hell below us
Above us only sky
Imagine all the people
Living for today...
Imagine there's no countries
It isn't hard to do
Nothing to kill or die for
And no religion too
Imagine all the people
Living life in peace...
It isn't hard to do
Nothing to kill or die for
And no religion too
Imagine all the people
Living life in peace...
You may say I'm a dreamer
But I'm not the only one
I hope someday you'll join us
And the world will be as one
But I'm not the only one
I hope someday you'll join us
And the world will be as one
Imagine no possessions
I wonder if you can
No need for greed or hunger
A brotherhood of man
Imagine all the people
Sharing all the world...
I wonder if you can
No need for greed or hunger
A brotherhood of man
Imagine all the people
Sharing all the world...
You may say I'm a dreamer
But I'm not the only one
I hope someday you'll join us
And the world will live as one
But I'm not the only one
I hope someday you'll join us
And the world will live as one
মানুষের পৌরাণিক বিশ্বাস ( মিথোস ) থেকে যুক্তিবাদী বিশ্বাসে
( লোগোসে
) প্রত্যাবর্তনের কাহিনী
:
হাজার হাজার বছর ধরে মানবসমাজে
বুদ্ধি বিত্তি ও সৃজনশীলতার মূলে ছিল মিথ বা
মিথোস ৷
সতের শতকে ইউরোপে
বৈজ্ঞানিক চিন্তাপদ্ধতির প্রসার
ঘটলে উপনিবেশিকতার
সূত্রে তা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে ৷ ফলে মানুষের
চিন্তাজগতে মিথোসের ভূমিকার অনেকটা অবসান ঘটে ৷ এর পরিবর্তে
মানুষের চিন্তা-চেতনায় লোগোস বা
বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তিবিদ্যার উদ্ভব হয় ৷ আধুনিক শিক্ষার মূল শক্তিই হচ্ছে মানুষকে অন্ধ বিশ্বাস , কুসংস্কার , অজ্ঞানতা থেকে মুক্ত করে আনা , আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান করে তোলা , নতুন বিশ্ববীক্ষা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রকৃতি , সমাজ ও চিন্তনকে জানা , বোঝা ও জয় করা ।
বিশ শতকে নৃতত্ত্ববিদ্যার বিকাশের সাথে সাথে মানব ইতিহাসে মিথোসের ভূমিকার ব্যাপারে নতুনভাবে অনুধাবন শুরু হয় এবং পরিণামে সমাজে লোগোস বা বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠা সহজ হয়ে যায় ৷ এরই ধারাবাহিকতার কিছু ঐতিহাসিক বর্ণনা নিম্নে উল্লেখ করা হল ৷ অর্থাৎ কিভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে সমাজে মিথোসকে বা পৌরাণিক মিথ্যা ও অবাস্তব বিশ্বাসকে বিতাড়িত করে যুক্তিবাদী ও বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদী বিশ্বাস , লোগোস সমাজে স্থান করে নিয়েছে ৷
বিশ শতকে নৃতত্ত্ববিদ্যার বিকাশের সাথে সাথে মানব ইতিহাসে মিথোসের ভূমিকার ব্যাপারে নতুনভাবে অনুধাবন শুরু হয় এবং পরিণামে সমাজে লোগোস বা বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠা সহজ হয়ে যায় ৷ এরই ধারাবাহিকতার কিছু ঐতিহাসিক বর্ণনা নিম্নে উল্লেখ করা হল ৷ অর্থাৎ কিভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে সমাজে মিথোসকে বা পৌরাণিক মিথ্যা ও অবাস্তব বিশ্বাসকে বিতাড়িত করে যুক্তিবাদী ও বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদী বিশ্বাস , লোগোস সমাজে স্থান করে নিয়েছে ৷
প্রাগ- আধুনিক বিশ্বে
প্রাচীন ও পৌরাণিক
বিশ্বাস ও জ্ঞানকে মিথ বা মিথোস বলে অবিহিত
করা হত ৷ তাই আধুনিক যুক্তিবিদ্যা
বা লোগোসের বিপরীতে
মিথোসের অবস্থান ছিল ৷
লোগোস হচ্ছে যুক্তিভিত্তিক , প্রমাণসাপেক্ষ , ও বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো
বিষয়ের বর্ণনা যা জ্ঞান ও যুক্তির মাপকঠিতে
প্রকৃত বাস্তবতার পরিচায়ক
৷ অর্থাৎ মিথোসের বিপরীতে
অবস্থান লোগোসের ৷
বর্তমান বিশ্বে কোনো
বিষয়ের বা ঘটনার আধুনিক
যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা
গ্রহণযোগ্য হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মিথোস বা পৌরাণিক
বিশ্বাস ও কাহিনীকে
সমাজে সত্য হিসেবে
গ্রহণ করা হত ৷ তখন যে কোনো পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক ঘটনা
এবং ধর্মবিশ্বাসের ব্যাখ্যা
মিথোসের মাধ্যমে মানুষের
কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলা হত ৷ প্রাচীন
মানুষ সহজেই তা সত্য বলে বিশ্বাস করে নিত ৷
পোলিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস
কোপার্নিকাস (১৪৭৩ - ১৫৪৩ ) এই বিশ্বাসের ধারার পরিবর্তনের সূত্রপাত
করেন প্রথমে ৷ তাঁর হেলিওসেন্ট্রিক বিশ্বের
মতবাদ মানুষের প্রাচীন পৌরাণিক বিশ্বাস
ও ধারণাকে ম্লান করে দেয় ৷ তিনি এতদিনের প্রচলিত
ধর্মীয় বিশ্বাসকে ও মিথ্যা প্রমাণিত করতে সক্ষম হন ৷ অর্থাৎ পৃথিবী
ও অন্যান্য গ্রহ যাহা প্রাচীন বিশ্বাস ও
ধর্মীয় বিশ্বাস মতে মহাবিশ্বের
কেন্দ্রে স্থির অবস্থান
করত বলে বিশ্বাস
করা হত ৷ তিনি তাঁর গবেষণায় ও নতুন আবিষ্কারে প্রমাণ
করতে সক্ষম হন যে , এই ধারণা ও বিশ্বাস আসলে সঠিক ছিল না ৷ কারণ পৃথিবী ও অন্যান্য সমপর্যায়ের গ্রহসমূহ সূর্যের চার দিকে প্রচণ্ড
গতিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে
৷
এর পর জার্মান পদার্থবিদ
ইযোহানেস কেপলার ( ১৫৭১-১৬৩০ )
কোপার্নিকাসের সমর্থনে গানিতিক
প্রমাণ হাজির করেন এবং কোপার্নিকাসের এই ধারণা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন ৷
আর জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও
গ্যালিলি ( ১৫৬৪-১৬৪২ ) টেলিস্কোপের সাহায্যে
গ্রহ-নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করে কপার্নিকাসের ব্যক্তব্য
হাতে কলমে সঠিক বলে প্রমাণ
করে দেন ৷ যদিও গ্যালিলিও
ধর্মীয় নেতাদের কাছে অপদস্ত হতে হয়েছিল এর জন্যে ৷ তবে আধুনিক বিশ্বের ধারণা এই পর্যায়ে পৌঁছার
পরও অনেক বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদকে
ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির সাথে মানানসই মনে করেছেন এবং বলেছেন
যে মিথোস হচ্ছে লোগোসের সম্পূরক
৷ এর সঙ্গে যুক্তিবাদের কোনো বিরোধ নেই ৷
কিন্তু ঈশ্বরে
বিশ্বাসী হয়ে ও ব্রিটিশ
বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটন
( ১৬৪২-১৭২৭ ) তাঁর পূর্বসুরিদের
আবিষ্কারসমূহের সংশ্লেষ ঘটিয়ে দেন ৷ কিন্তু নিউটন লোগোসের
জগতে মগ্ন থাকলেও
ঈশ্বর বিশ্বাস থেকে সম্পূর্ণ সরে আসতে পারেন নি ৷ তবে তাঁর চোখে মিথোলজির রহস্য ছিল , মানুষের চিন্তার
ও চেতনার আদিম ও বর্বর রূপ মাত্র ৷ তিনি মনে করতেন মিথোস বা পৌরাণিক বিশ্বাস ধর্মের
ক্ষেত্রে মানব জাতির উত্তপ্ত ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন অংশ বিশেষ মাত্র ৷ কারণ হিসেবে নিউটন বলেছেন মানুষ সবসময়ই রহস্য প্রিয় ৷ তাই তারা
যেটা সবচেয়ে কমবুঝে
তাকেই তারা বেশি ক'রে পছন্দ করে ৷
তিনি খ্রিষ্টান ধর্মের ট্রিনিটি ও ইনকারনেশনের অযৌক্তিক মতবাদকে ষড়যন্ত্র , জালিয়াতি ও প্রতারণার কাজ বলে মনে করেছেন ৷ তিনি ১৬৮৭ সালে রচিত তাঁর গ্রন্থ ফিলোসোফিয়া নেচারালিস প্রিন্সিপিয়াতের এক নিবন্ধে যুক্তিসহকরে উল্লেখ করেছেন যে , নোয়াহ এক কুসংস্কারমুক্ত ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন ৷ যেখানে কোনো প্রত্যাদিষ্ট বা ঐশীগ্রন্থসহ কোনো রহস্য ছিল না ৷ হয়ত কেবল একজন উপাস্য ছিলেন যাঁকে প্রাকৃতিক বিশ্বের যৌক্তিক ধ্যানের সাহায্যে জানা সম্ভব ছিল ৷ কিন্তু তাঁর পরের প্রজন্মসমূহ এই খাঁটি ধর্মকে কলুষিত করেছে প্রথমে ৷ আর পরে চতুর্থ শতাব্দীতে কিছু বিবেকহীন ধর্মবেত্তাদের হাতে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ট্রিনিটি ও ইনকারনেশনের মতবাদ এর সঙ্গে যোগ করা হয়েছে ৷ তিনি বলেছেন প্রকৃতপক্ষেই , বুক অভ রেভেলেশন ট্রিনিটি মতবাদের উদ্ভবের ভবিষ্যদ্বাণী করছে এই বলে যে ‘ তোমাদের পাশ্চাত্যের এই অদ্ভুত ধর্ম ’ ‘ তিনটি সমান ঈশ্বরের কাল্ট ’ এবং ধ্বংসের অশ্লীলতা ইত্যাদি মাত্র ৷ বিজ্ঞানী নিউটন ছিলেন বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদের পক্ষে তাই তাঁর নিজের বিশ্বাসের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের ব্যাপারে তিনি এই সব কথা বলতে পেরেছেন ৷
তিনি খ্রিষ্টান ধর্মের ট্রিনিটি ও ইনকারনেশনের অযৌক্তিক মতবাদকে ষড়যন্ত্র , জালিয়াতি ও প্রতারণার কাজ বলে মনে করেছেন ৷ তিনি ১৬৮৭ সালে রচিত তাঁর গ্রন্থ ফিলোসোফিয়া নেচারালিস প্রিন্সিপিয়াতের এক নিবন্ধে যুক্তিসহকরে উল্লেখ করেছেন যে , নোয়াহ এক কুসংস্কারমুক্ত ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন ৷ যেখানে কোনো প্রত্যাদিষ্ট বা ঐশীগ্রন্থসহ কোনো রহস্য ছিল না ৷ হয়ত কেবল একজন উপাস্য ছিলেন যাঁকে প্রাকৃতিক বিশ্বের যৌক্তিক ধ্যানের সাহায্যে জানা সম্ভব ছিল ৷ কিন্তু তাঁর পরের প্রজন্মসমূহ এই খাঁটি ধর্মকে কলুষিত করেছে প্রথমে ৷ আর পরে চতুর্থ শতাব্দীতে কিছু বিবেকহীন ধর্মবেত্তাদের হাতে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ট্রিনিটি ও ইনকারনেশনের মতবাদ এর সঙ্গে যোগ করা হয়েছে ৷ তিনি বলেছেন প্রকৃতপক্ষেই , বুক অভ রেভেলেশন ট্রিনিটি মতবাদের উদ্ভবের ভবিষ্যদ্বাণী করছে এই বলে যে ‘ তোমাদের পাশ্চাত্যের এই অদ্ভুত ধর্ম ’ ‘ তিনটি সমান ঈশ্বরের কাল্ট ’ এবং ধ্বংসের অশ্লীলতা ইত্যাদি মাত্র ৷ বিজ্ঞানী নিউটন ছিলেন বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদের পক্ষে তাই তাঁর নিজের বিশ্বাসের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের ব্যাপারে তিনি এই সব কথা বলতে পেরেছেন ৷
ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম ফ্রান্সেস
বেকন ( ১৫৬১-১৬২৬ ) এর রচিত দ্য এডভান্সমেন্ট অভ লার্নিং গ্রন্থে তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেছেন
যে , মিথ থেকে মুক্তির সন্ধান বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদই দিবে মানুষকে ৷ তখন মানবজাতিকে যুক্তিবাদই সত্যের পথে নিয়ে যাবে ৷
ফরাসি বৈজ্ঞানিক
রেনে দেকার্তের ( ১৫৯৬-১৬৬০ ) দার্শনিক ব্যক্তব্যে মানষের পৌরাণিক দৃষ্টিভঙ্গির মৃত্যু সংঘটিত হয়ে যায় ৷ দেকার্ত কেবল লোগোস বা যুক্তিবিজ্ঞানের ভাষাতেই
কথা বলতেন ৷ তাঁর মতে মহাবিশ্ব প্রাণহীন
একটি যন্ত্রবিশেষ ৷ তাই আমাদের সম্মূখের এই
ভৌত
জগত সম্পূর্ণ অনড় ও মৃত ৷ স্বর্গ বা নরক সম্পর্কে কোনো সংবাদ দেয়ার ক্ষমতা তার নেই ৷ মহাবিশ্বে একমাত্র
মানুষের মনই জীবিত বস্তু
, তাই
মানুষই কেবল পারবে তার নিশ্চয়তা
খুঁজে বার করতে ৷ তার মতে মানুষের
নিজস্ব সন্দেহ ও ভাবনার বাইরে আর কিছুর অস্তিস্থ
আছে কি
না তা ও আমরা নিশ্চিত
হতে পারি না ৷
জার্মান ইতিহাসবিদ
হারমান স্যামুয়েল রেইমারাস ( ১৬৯৪-১৭৬৮ ) যুক্তি
দেখিয়ে বলেছেন যে , জেসাস কখনওই নিজকে ঐশী সত্তা বলে দাবী করেন নি
৷ তাঁর লক্ষ্য
ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক
৷ তাই অসাধারণ , সরল , মহান ও বাস্তব ধর্মের এই প্রতিষ্ঠাতাকে একজন মহান নেতা হিসেবেই দেখা উচিত
৷
আর্থাৎ তখন আবার কেউ কেউ মিথোসকে তখন এমনভাবে ব্যাখ্যা করছেন যেন মিথোসই প্রকৃত অর্থে লোগোস ৷
আর্থাৎ তখন আবার কেউ কেউ মিথোসকে তখন এমনভাবে ব্যাখ্যা করছেন যেন মিথোসই প্রকৃত অর্থে লোগোস ৷
এর পর , এর পক্ষে বিপক্ষে
আরো অনেক দার্শনিক
ও বৈজ্ঞানিকগণ তাদের দৃষ্টিভঙ্গীর প্রকাশ
করেছেন ৷ কিন্তু
তাদের কেউই তাদের বক্তব্যের অনুকুলে
কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেননি
৷ তাই এখানে আর তাদের উল্লেখ
করা হল না ৷
এর পরে জর্জ উইলিয়াম ফ্রেডেরিখ
হেগলের ( ১৭৭০-১৮৩১ ) , তার এক রচনায় দুর্জ্ঞেয় ঈশ্বরকে
ভূমিতে টেনে এনে তাঁকে মানুষের
রূপ দিয়েছেন ৷ হেগেলের মতে অতিপ্রাকৃতির মাঝে ঈশ্বরকে পাওয়া যাবে না ৷ ঈশ্বরের
সম্পূর্ণতার সন্ধান খুঁজতে
হবে এই ধরার বুকে ৷ তাই মাটিতেই
তাঁর সন্ধান মিলবে ৷ ১৮০৭ সালে হেগলের ফেনোমেনোলজি
অব মাইন্ড নামক গ্রন্থটি প্রকাশিত
হয় ৷ এই বইয়ে তিনি বলেছেন বিশ্বজনীন
আত্মা কেবল স্থান ও সময়ের সীমিত অবস্থায়
নিজকে স্থাপনে সক্ষম হলেই এর পূর্ণ ক্ষমতা
অর্জন করা সম্ভব ৷ আর মানুষের মনেই তা সবচয়ে বেশি পূর্ণভাবে
বাস্তবায়িত হয়েছে ৷ অর্থাৎ
মানুষের মনোভূমিই এসব কিছুর মূলে ৷ সুতরাং , মানবজাতির নিজেদের বিশ্বাসের কারণে যাকে
এতদিন ঐশী বলে উপলব্ধি করতে পারার ধারণা জন্মেছিল
ছিল তা ছিল নিচক কল্পনা
৷ এখন থেকে তাহা ত্যাগ করে ঈশ্বরের
প্রাচীন দুর্জ্ঞেয়র ধারণাটাকেও বিসর্জন
দিতে হবে ৷ কারণ কিছু যুগ পরে পরে ঐশীবাণী বা ঐশী
সত্তা হতে বঞ্চিত
হয়ে পড়া অঞ্চলের
মানুষের কাছে নতুন করে
ঐ অঞ্চলকে পবিত্রকরণ
করতে ঐ অঞ্চলে ঐশীসত্তার আবিষ্কারের
প্রয়োজন পড়ে ছিল ৷ এখন তার
বিলপ্তি ঘটেছে ৷ হেগেল ২৫০ বছর পূর্বেই
বুঝতে পেরেছেন যে ঐশীবাণী মানব মস্তিষ্কের
একটি বিশেষ উপলব্ধি
যা মানুষের চিন্তা
ও চেতণার গভীরে
অবস্থিত থাকে ৷ মানুষের মস্তিষ্কের
“ GOD SPOT ” আবিষ্কারের পূর্বেই
তিনি এ ধারণা করতে পেরেছিলেন যা বর্তমানে সত্য প্রমাণিত হয়েছে লোগোসের কারণে ৷
দার্শনিক লুদভিগ
ফয়েরবাখ ( ১৮০৪-৭২ ) যাকে অনেকে হেগেলের যৌগ্য শিষ্য মনে করেন ,
তিনি যুক্তি দেখিয়ে
বলেছেন যে , “ ধর্ম মানুষকে তার নিজের থেকেই বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে
… তাই
মানুষ তার নিজের ক্ষমতা কতটুকু
তা না বুঝেই মনে করতে বাধ্য হয়েছে যে ঈশ্বর চিরন্তন
, ঈশ্বর সর্বশক্তিমান ,ঈশ্বর
সম্পূর্ণ আর মানুষ অসম্পূর্ণ , মানুষ ক্ষণস্থায়ী
এবং মানুষ দুর্বল ৷ তাই মানুষ ঐশী সত্তা এবং ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল
হয়ে পড়তে বাধ্য হয়ে ছিল এতদিন ৷
কার্ল মার্ক্সের
( ১৮১৮- ৮৩ ) এর চোখে মানুষের ধর্মবিশ্বাস ছিলো একটি অসুস্থ সমাজের
লক্ষণ ৷ ধর্মবিশ্বাস
মানুষের জন্যে এমন এক নেশা জন্মদানকারী মাদক যা একটি রোগাক্রান্ত সামাজিক
ব্যবস্থাকেও মানুষের কাছে সহনীয় করে তোলে এবং মানুষের চেতণা ও
মনোযোগ এই জগৎ থেকে সরিয়ে নিয়ে
যায় ৷ ফলে এর বিরুদ্ধে
অবস্থান নিয়ে এর একটি প্রতিষেধক
বের করার ইচ্ছাশক্তিটুকু ও মানুষের নষ্ট করে দেয় ধর্মীয় বিশ্বাস
৷
১৮১৯ সালে চার্লস ডারউইনের
রচিত “ দ্য অরিজিন
অভ স্পিসিজ বাই মিনস অভ নেচারাল সিলেকশন ” বইটি প্রকাশিত
পর যুক্তিবাদী বিশ্বে
মিথোসের বা পৌরাণিক
বিশ্বাসের সমাধি রচিত হয়ে যায় ৷ এবং যুক্তিবিজ্ঞানভিত্তিক লোগোসের
ধারণা আধুনিক বিশ্বে
প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্পূর্ণ হয় ৷ তাঁর রচিত
এই বইটি
আধুনিক বিজ্ঞানকে এক নতুন পর্যায়ে
পৌঁছে দেয় ৷ দার্শনিক বেকনের
পরামর্শ অনুসারে তিনি বৈজ্ঞানিক
ডারউইন তথ্য সংগ্রহের
পরিবর্তে একটি প্রকল্প
বাস্তবায়িত করে বলেন যে
, পশু ,
গাছপালা , ও মানুষ একসঙ্গে
সম্পূর্ণ আকারে সৃষ্টি
হয়নি ( ধর্মগ্রন্থগুলো যেমন বলে
) ৷
মানুষ , পশু ও গাছপালা পরিবেশের
সাথে এক উদ্ভুত
অভিযোজনের ভেতর দিয়ে বিবর্তনের দীর্ঘ এক প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে উন্নত হয়ে উঠেছে ৷
হেগেল
১৮৭১ সালে “ দ্য ডিসেন্ট অভ ম্যান
” নামে
আর একটি বই লেখেন ৷ ঐ বইয়ে উল্লেখ করেন যে
হোমো সেপিয়েন্সরা ওরাংউটান
, গরিলা ও শিম্পাঞ্জির আদিপুরুষ
একই আদি নরমানব
থেকে উদ্ভুত হয়েছে ৷ কিন্তু
তখনকার যুগে বিশ্বাসীরা অরিজিন…কে ধর্মের
উপর আক্রমন হিসেবে
না দেখে একটা বৈজ্ঞানিক
তত্ত্বের শোভন ও সযত্ন ব্যাখ্যা
হিসেবে দেখেছেন ৷ এখনকার দিন হলে না জানি কতদেশে
কত প্রাণ ও সম্পদের হানি করা হত এর জন্যে ৷
জ্যোতির্বিজ্ঞানী কোপার্নিকাশ মানুষকে
বিশ্বজগতের কেন্দ্র থেকে উৎখাত করেছিলেন
তার গবেষণার ফলাফল প্রকাশ
করে ৷
দার্শনিক দেকার্তে ও কান্ট তাদের গবেষণার ফল প্রকাশ করে মানুয়কে ভৌত পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন ৷ আর ১৮১৯ সালে চার্লস
ডারউইন তার গবেষণার
ফল প্রকাশ করে বলেন মানুষ স্রেফ আরেকটা
পশুমাত্র ৷ ঈশ্বরের
হাতে বিশেষভাবে সৃষ্টি
হয়নি মানুষ ৷ বরং পৃথিবীর বাকি সমস্ত
কিছুর মতো মানুষও
বিবর্তিত হয়েছে ৷
ধর্ম গ্রন্থগুলোর
ব্যাপারে ও গবেষকরা
অনুসন্ধান চালান এবং কিছু তথ্যও সংগ্রহ করেছেন
গবেষকরা ৷ জার্মান
কিছু পণ্ডিত ব্যক্তি
১৮ শতকের শেষের দিকে বাইবেলের
ক্ষেত্রে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের
বিশ্লেষণ সহ সাহিত্যিক
ও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা
পরিচালনা করেন ৷ গবেষকরা বৈজ্ঞানিকভাবে
সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য
একটি পদ্ধতির প্রযোগ
করে দেখতে পান যে বাইবেলের
প্রথম পাঁচটি পুস্তকের
রচয়িতা মোজেস নন ৷ বাইবেলের
রচনা কালের সময়ের অনেক পরে বেশ কয়েক জন ভিন্ন ভিন্ন লেখকের
হাতে রচিত হয়েছে সে পুস্তকগুলো
৷
বুক অভ ইসায়াহর ও অন্তত দুটো পুস্তকের ভিন্ন ভিন্ন উৎস রয়েছে
বলে গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন বলে তারা উল্লেখ
করেছেন ৷ রাজা ডেভিডও শ্লোক রচনা করেনি বলে তারা মনে করেছেন
৷
ব্রিটিশ যাজকগণ
তাদের গ্রন্থ এসেজ এন্ড রিভিউজ- এ ( ৪র্থ সংস্ক, লন্ডন
প্রকাশ- ১৮৬১ ) যুক্তি দেখিয়ে
বলেছেন যে বাইবেলের
বর্ণিত বেশির ভাগ অলৌকিক কাণ্ডই
স্রেফ সাহিত্যিক হেঁয়ালি
, তবে তা আক্ষরিকভাবে বোঝার উপায় নেই
; অন্যদিকে তাদের মতে বাইবেলের
বহু ঘটনা প্রায় নিশ্চিতভাবেই ঐতিহাসিকভাবে
সত্য নয় ৷ তাই নতুন “ হাইয়ার ক্রিটিসিজম”
মিথের বিরুদ্ধে লোগোসের
যৌক্তিক ডিসকোর্সের বিজয় তুলে ধরেছে ৷ যৌক্তিক
বিজ্ঞান বাইবেলের মিথোই-কে
রেডিক্যাল নিরীক্ষার অধীনে নিয়ে এসে আবিষ্কার করেছে যে
, বাইবেলের কোনো কোনো দাবি “মিথ্যা” ৷ অর্থাৎ বাইবেলিয় কাহিনিসমূহ
কেবলই “ মিথ ” ৷ ফলে হাইয়ার ক্রিটিসিজম
ধর্মীয় মৌলবাদীদের জন্যে জুজুতে পরিণত হয়ে যায় ৷ মানুষের
পূর্বে বিশ্বাস জন্মেছিল যে ,
মতবাদ ও ঐশীগ্রন্থের
বিবরণসমূহই লোগোস ৷ ইহা কোনো মিথ বা পৌরাণিক
কল্পিত কাহিনী নয় ৷
যুক্তিবিজ্ঞান এবং হাইয়ার ক্রিটিসিজম
মানুষের সে বিশ্বাস
ভেঙ্গে দিয়ে লোগোসই যে একমত্র সত্য তা প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে ৷ এরই ফলোশ্রুতিতে
১৮৮২ সালে ফ্রেডেরিখ
নিৎশে ( ১৮৪৪-১৯০০ ) ঈশ্বরের প্রয়াণ ঘটেছে বলে ঘোষণা করে বসেন ৷ অর্থাৎ নিৎশের
বিশ্বাস জন্মেছিল যে , তার এই ঈশ্বরের
প্রয়াণ ঘোষণা মানবজাতিকে বিশ্বাস এর শেকড় থেকে উপড়ে দেবে ৷ আর পৃথিবীকে তার কক্ষপথ থেকে উৎক্ষিপ্ত করে দিয়ে
, পৃথিবীকে মহাশূন্যের
পথহীন অঞ্চলে ভাসিয়ে
দেবে ৷
একসময় মানুষকে যে বিশ্বাস পথের দিশা দেখাত তার সবই এখন উধাও হয়ে গেছে ৷ কিন্তু জগত সংসার প্রকৃতি সবই পূর্বের মতোই চলছে এবং সঠিক নিয়মেও চলছে ৷ বিশ্বাস ভেঙ্গছে কিন্তু কিছুই বদলে যাই নাই ৷ তাই বিশ্বাস থাকা না থাকাতে মানবসভ্যতার কিছু যায় আসে না ৷ প্রসঙ্গক্রমে একটা আমেরিকান বৈজ্ঞানিক গবেষণার অংশবিশেষ এর মূল লেখা এখানে পেইষ্ট করে দেয়া হয়েছে ৷ ধর্মগ্রন্থগুলার ব্যাপারে আমেরিকান বৈজ্ঞানিকরা এই গবেষণাটি প্রকাশ করেছেন ৷
( some more information of religions, from internet for interested readers )
Scientists Prove That All Religious Books Are Man-Made Nonsense
একসময় মানুষকে যে বিশ্বাস পথের দিশা দেখাত তার সবই এখন উধাও হয়ে গেছে ৷ কিন্তু জগত সংসার প্রকৃতি সবই পূর্বের মতোই চলছে এবং সঠিক নিয়মেও চলছে ৷ বিশ্বাস ভেঙ্গছে কিন্তু কিছুই বদলে যাই নাই ৷ তাই বিশ্বাস থাকা না থাকাতে মানবসভ্যতার কিছু যায় আসে না ৷ প্রসঙ্গক্রমে একটা আমেরিকান বৈজ্ঞানিক গবেষণার অংশবিশেষ এর মূল লেখা এখানে পেইষ্ট করে দেয়া হয়েছে ৷ ধর্মগ্রন্থগুলার ব্যাপারে আমেরিকান বৈজ্ঞানিকরা এই গবেষণাটি প্রকাশ করেছেন ৷
( some more information of religions, from internet for interested readers )
Evolutionary origin of religions
From Wikipedia, the free encyclopedia
The evolutionary origin of religions theorizes about the emergence of religious behavior during the course of human evolution.
Nonhuman religious behaviour[edit]
Humanity’s closest living relatives are common chimpanzees and bonobos. These primates share a common ancestor with humans who lived between four and six million years ago. It is for this reason that chimpanzees and bonobos are viewed as the best available surrogate for this common ancestor. Barbara King argues that while non-human primates are not religious, they do exhibit some traits that would have been necessary for the evolution of religion. These traits include high intelligence, a capacity for symbolic communication, a sense of social norms, realization of "self" and a concept of continuity.[1][2][3] There is inconclusive evidence that Homo neanderthalensis may have buried their dead which is evidence of the use of ritual. The use of burial rituals is evidence of religious activity, but there is no other evidence that religion existed in human culture before humans reached behavioral modernity.[4]
Marc Bekoff, Professor Emeritus of Ecology and Evolutionary Biology at the University of Colorado, Boulder, argues that many species grieve death and loss.[5]
Setting the stage for human religion[edit]
Increased brain size[edit]
In this set of theories, the religious mind is one consequence of a brain that is large enough to formulate religious and philosophical ideas.[6] During human evolution, the hominid brain tripled in size, peaking 500,000 years ago. Much of the brain's expansion took place in the neocortex. This part of the brain is involved in processing higher order cognitive functions that are connected with human religiosity. The neocortex is associated with self-consciousness, language and emotion[citation needed]. According to Dunbar's theory, the relative neocortex size of any species correlates with the level of social complexity of the particular species. The neocortex size correlates with a number of social variables that include social group size and complexity of mating behaviors. In chimpanzees the neocortex occupies 50% of the brain, whereas in modern humans it occupies 80% of the brain.
Robin Dunbar argues that the critical event in the evolution of the neocortex took place at the speciation of archaic homo sapiens about 500,000 years ago. His study indicates that only after the speciation event is the neocortex large enough to process complex social phenomena such as language and religion. The study is based on a regression analysis of neocortex size plotted against a number of social behaviors of living and extinct hominids.[7]
Stephen Jay Gould suggests that religion may have grown out of evolutionary changes which favored larger brains as a means of cementing group coherence among savannah hunters, after that larger brain enabled reflection on the inevitability of personal mortality.[8]
Tool use[edit]
Lewis Wolpert argues that causal beliefs that emerged from tool use played a major role in the evolution of belief. The manufacture of complex tools requires creating a mental image of an object which does not exist naturally before actually making the artifact. Furthermore, one must understand how the tool would be used, that requires an understanding of causality.[9] Accordingly, the level of sophistication of stone tools is a useful indicator of causal beliefs.[10] Wolpert contends use of tools composed of more than one component, such as hand axes, represents an ability to understand cause and effect. However, recent studies of other primates indicate that causality may not be a uniquely human trait. For example, chimpanzees have been known to escape from pens closed with multiple latches, which was previously thought could only have been figured out by humans who understood causality. Chimpanzees are also known to mourn the dead, and notice things that have only aesthetic value, like sunsets, both of which may be considered to be components of religion or spirituality.[11] The difference between the comprehension of causality by humans and chimpanzees is one of degree. The degree of comprehension in an animal depends upon the size of the prefrontal cortex: the greater the size of the prefrontal cortex the deeper the comprehension.[12]
Development of language[edit]
See also: Origin of language and Myth and religion
Religion requires a system of symbolic communication, such as language, to be transmitted from one individual to another. Philip Lieberman states "human religious thought and moral sense clearly rest on a cognitive-linguistic base".[13] From this premise science writer Nicholas Wade states:
- "Like most behaviors that are found in societies throughout the world, religion must have been present in the ancestral human population before the dispersal from Africa 50,000 years ago. Although religious rituals usually involve dance and music, they are also very verbal, since the sacred truths have to be stated. If so, religion, at least in its modern form, cannot pre-date the emergence of language. It has been argued earlier that language attained its modern state shortly before the exodus from Africa. If religion had to await the evolution of modern, articulate language, then it too would have emerged shortly before 50,000 years ago."[14]
Another view distinguishes individual religious belief from collective religious belief. While the former does not require prior development of language, the latter does. The individual human brain has to explain a phenomenon in order to comprehend and relate to it. This activity predates by far the emergence of language and may have caused it. The theory is, belief in the supernatural emerges from hypotheses arbitrarily assumed by individuals to explain natural phenomena that cannot be explained otherwise. The resulting need to share individual hypotheses with others leads eventually to collective religious belief. A socially accepted hypothesis becomes dogmatic backed by social sanction.
Morality and group living[edit]
Main articles: Evolution of morality and Morality § Evolutionary perspectives
Frans de Waal and Barbara King both view human morality as having grown out of primate sociality. Though morality awareness may be a unique human trait, many social animals, such as primates, dolphins and whales, have been known to exhibit pre-moral sentiments. According to Michael Shermer, the following characteristics are shared by humans and other social animals, particularly the great apes:
- "attachment and bonding, cooperation and mutual aid, sympathy and empathy, direct and indirect reciprocity, altruism and reciprocal altruism, conflict resolution and peacemaking, deception and deception detection, community concern and caring about what others think about you, and awareness of and response to the social rules of the group".[15]
De Waal contends that all social animals have had to restrain or alter their behavior for group living to be worthwhile. Pre-moral sentiments evolved in primate societies as a method of restraining individual selfishness and building more cooperative groups. For any social species, the benefits of being part of an altruistic group should outweigh the benefits of individualism. For example, lack of group cohesion could make individuals more vulnerable to attack from outsiders. Being part of a group may also improve the chances of finding food. This is evident among animals that hunt in packs to take down large or dangerous prey.
All social animals have hierarchical societies in which each member knows its own place. Social order is maintained by certain rules of expected behavior and dominant group members enforce order through punishment. However, higher order primates also have a sense of reciprocity and fairness. Chimpanzees remember who did them favors and who did them wrong. For example, chimpanzees are more likely to share food with individuals who have previously groomed them.[16]
Chimpanzees live in fission-fusion groups that average 50 individuals. It is likely that early ancestors of humans lived in groups of similar size. Based on the size of extant hunter-gatherer societies, recent Paleolithic hominids lived in bands of a few hundred individuals. As community size increased over the course of human evolution, greater enforcement to achieve group cohesion would have been required. Morality may have evolved in these bands of 100 to 200 people as a means of social control, conflict resolution and group solidarity. According to Dr. de Waal, human morality has two extra levels of sophistication that are not found in primate societies. Humans enforce their society’s moral codes much more rigorously with rewards, punishments and reputation building. Humans also apply a degree of judgment and reason not otherwise seen in the animal kingdom.
Psychologist Matt J. Rossano argues that religion emerged after morality and built upon morality by expanding the social scrutiny of individual behavior to include supernaturalagents. By including ever-watchful ancestors, spirits and gods in the social realm, humans discovered an effective strategy for restraining selfishness and building more cooperative groups.[17] The adaptive value of religion would have enhanced group survival.[18] [19] Rossano is referring here to collective religious belief and the social sanction that institutionalized morality. According to Rossano's teaching, individual religious belief is thus initially epistemological, not ethical, in nature.
Evolutionary psychology of religion[edit]
Main article: Evolutionary psychology of religion
There is general agreement among cognitive scientists that religion is an outgrowth of brain architecture that evolved early in human history. However, there is disagreement on the exact mechanisms that drove the evolution of the religious mind. The two main schools of thought hold that either religion evolved due to natural selection and has selective advantage, or that religion is an evolutionary byproduct of other mental adaptations.[20] Stephen Jay Gould, for example, believed that religion was an exaptation or a spandrel, in other words that religion evolved as byproduct of psychological mechanisms that evolved for other reasons.[21][22][23]
Such mechanisms may include the ability to infer the presence of organisms that might do harm (agent detection), the ability to come up with causal narratives for natural events (etiology), and the ability to recognize that other people have minds of their own with their own beliefs, desires and intentions (theory of mind). These three adaptations (among others) allow human beings to imagine purposeful agents behind many observations that could not readily be explained otherwise, e.g. thunder, lightning, movement of planets, complexity of life, etc.[24] The emergence of collective religious belief identified the agents as deities that standardized the explanation.
Some scholars have suggested that religion is genetically "hardwired" into the human condition. One controversial hypothesis, the God gene hypothesis, states that some variants of a specific gene, the VMAT2 gene, predispose to spirituality.[25]
Another view is based on the concept of the triune brain: the reptilian brain, the limbic system, and the neocortex, proposed by Paul D. MacLean. Collective religious belief draws upon the emotions of love, fear, and gregariousness and is deeply embedded in the limbic system through sociobiological conditioning and social sanction. Individual religious belief utilizes reason based in the neocortex and often varies from collective religion. The limbic system is much older in evolutionary terms than the neocortex and is, therefore, stronger than it much in the same way as the reptilian is stronger than both the limbic system and the neocortex. Reason is pre-empted by emotional drives. The religious feeling in a congregation is emotionally different from individual spirituality even though the congregation is composed of individuals. Belonging to a collective religion is culturally more important than individual spirituality though the two often go hand in hand. This is one of the reasons why religious debates are likely to be inconclusive.[citation needed]
Yet another view is that the behaviour of people who participate in a religion makes them feel better and this improves their fitness, so that there is a genetic selection in favor of people who are willing to believe in religion. Specifically, rituals, beliefs, and the social contact typical of religious groups may serve to calm the mind (for example by reducing ambiguity and the uncertainty due to complexity) and allow it to function better when under stress.[26] This would allow religion to be used as a powerful survival mechanism, particularly in facilitating the evolution of hierarchies of warriors, which if true, may be why many modern religions tend to promote fertility and kinship.
Still another view is that human religion was a product of an increase in dopaminergic functions in the human brain and a general intellectual expansion beginning around 80 kya.[27][28] Dopamine promotes an emphasis on distant space and time, which is critical for the establishment of religious experience.[29] While the earliest shamanic cave paintings date back around 40 kya, the use of ochre for rock art predates this and there is clear evidence for abstract thinking along the coast of South Africa by 80 kya.
Prehistoric evidence of religion[edit]
See also: Paleolithic religion and Prehistoric religion
When humans first became religious remains unknown, but there is credible evidence of religious behavior from the Middle Paleolithic era (300–500 thousand years ago)[citation needed] and possibly earlier.
Paleolithic burials[edit]
The earliest evidence of religious thought is based on the ritual treatment of the dead. Most animals display only a casual interest in the dead of their own species.[30] Ritual burial thus represents a significant change in human behavior. Ritual burials represent an awareness of life and death and a possible belief in the afterlife. Philip Lieberman states "burials with grave goods clearly signify religious practices and concern for the dead that transcends daily life."[13]
The earliest evidence for treatment of the dead comes from Atapuerca in Spain. At this location the bones of 30 individuals believed to be Homo heidelbergensis have been found in a pit.[31] Neanderthals are also contenders for the first hominids to intentionally bury the dead. They may have placed corpses into shallow graves along with stone tools and animal bones. The presence of these grave goods may indicate an emotional connection with the deceased and possibly a belief in the afterlife. Neanderthal burial sites includeShanidar in Iraq and Krapina in Croatia and Kebara Cave in Israel.[32][33][33][34]
The earliest known burial of modern humans is from a cave in Israel located at Qafzeh. Human remains have been dated to 100,000 years ago. Human skeletons were found stained with red ochre. A variety of grave goods were found at the burial site. The mandible of a wild boar was found placed in the arms of one of the skeletons.[35] Philip Lieberman states:
- "Burial rituals incorporating grave goods may have been invented by the anatomically modern hominids who emigrated from Africa to the Middle East roughly 100,000 years ago".[35]
Matt Rossano suggests that the period in between 80,000–60,000 years after humans retreated from the Levant to Africa was a crucial period in the evolution of religion.[36]
The use of symbolism[edit]
The use of symbolism in religion is a universal established phenomenon. Archeologist Steven Mithen contends that it is common for religious practices to involve the creation of images and symbols to represent supernatural beings and ideas. Because supernatural beings violate the principles of the natural world, there will always be difficulty in communicating and sharing supernatural concepts with others. This problem can be overcome by anchoring these supernatural beings in material form through representational art. When translated into material form, supernatural concepts become easier to communicate and understand.[37] Due to the association of art and religion, evidence of symbolism in the fossil record is indicative of a mind capable of religious thoughts. Art and symbolism demonstrates a capacity for abstract thought and imagination necessary to construct religious ideas. Wentzel van Huyssteen states that the translation of the non-visible through symbolism enabled early human ancestors to hold beliefs in abstract terms.[38]
Some of the earliest evidence of symbolic behavior is associated with Middle Stone Age sites in Africa. From at least 100,000 years ago, there is evidence of the use of pigments such as red ochre. Pigments are of little practical use to hunter gatherers, thus evidence of their use is interpreted as symbolic or for ritual purposes. Among extant hunter gatherer populations around the world, red ochre is still used extensively for ritual purposes. It has been argued that it is universal among human cultures for the color red to represent blood, sex, life and death.[39]
The use of red ochre as a proxy for symbolism is often criticized as being too indirect. Some scientists, such as Richard Klein and Steven Mithen, only recognize unambiguous forms of art as representative of abstract ideas. Upper paleolithic cave art provides some of the most unambiguous evidence of religious thought from the paleolithic. Cave paintings at Chauvet depict creatures that are half human and half animal.
Origins of organized religion[edit]
See also: Neolithic religion
Period years ago | Society type | Number of individuals |
---|---|---|
100,000–10,000 | Bands | 10s–100s |
10,000–5,000 | Tribes | 100s–1,000s |
5,000–3,000 | Chiefdoms | 1,000s–10,000s |
3,000–1,000 | States | 10,000s–100,000s |
2,000*–present | Empires | 100,000–1,000,000s |
Organized religion traces its roots to the neolithic revolution that began 11,000 years ago in the Near East but may have occurred independently in several other locations around the world. The invention of agriculture transformed many human societies from a hunter-gatherer lifestyle to a sedentary lifestyle. The consequences of the neolithic revolution included a population explosion and an acceleration in the pace of technological development. The transition from foraging bands to states and empires precipitated more specialized and developed forms of religion that reflected the new social and political environment. While bands and small tribes possess supernatural beliefs, these beliefs do not serve to justify a central authority, justify transfer of wealth or maintain peace between unrelated individuals. Organized religion emerged as a means of providing social and economic stability through the following ways:
- Justifying the central authority, which in turn possessed the right to collect taxes in return for providing social and security services.
- Bands and tribes consist of small number of related individuals. However, states and nations are composed of many thousands of unrelated individuals. Jared Diamond argues that organized religion served to provide a bond between unrelated individuals who would otherwise be more prone to enmity. In his book Guns, Germs, and Steel he argues that the leading cause of death among hunter-gatherer societies is murder.[40]
- Religions that revolved around moralizing gods may have facilitated the rise of large, cooperative groups of unrelated individuals.[41]
The states born out of the Neolithic revolution, such as those of Ancient Egypt and Mesopotamia, were theocracies with chiefs, kings and emperors playing dual roles of political and spiritual leaders.[15] Anthropologists have found that virtually all state societies and chiefdoms from around the world have been found to justify political power through divine authority. This suggests that political authority co-opts collective religious belief to bolster itself.
Invention of writing[edit]
See also: History of writing
Following the neolithic revolution, the pace of technological development (cultural evolution) intensified due to the invention of writing 5000 years ago. Symbols that became words later on made effective communication of ideas possible. Printing invented only over a thousand years ago increased the speed of communication exponentially and became the main spring of cultural evolution. Writing is thought to have been first invented in either Sumeria or Ancient Egypt and was initially used for accounting. Soon after, writing was used to record myth. The first religious texts mark the beginning of religious history. The Pyramid Texts from ancient Egypt are one of the oldest known religious texts in the world, dating to between 2400–2300 BCE.[42][43][44] Writing played a major role in sustaining and spreading organized religion. In pre-literate societies, religious ideas were based on anoral tradition, the contents of which were articulated by shamans and remained limited to the collective memories of the society's inhabitants. With the advent of writing, information that was not easy to remember could easily be stored in sacred texts that were maintained by a select group (clergy). Humans could store and process large amounts of information with writing that otherwise would have been forgotten. Writing therefore enabled religions to develop coherent and comprehensive doctrinal systems that remained independent of time and place.[45] Writing also brought a measure of objectivity to human knowledge. Formulation of thoughts in words and the requirement for validation made mutual exchange of ideas and the sifting of generally acceptable from not acceptable ideas possible. The generally acceptable ideas became objective knowledge reflecting the continuously evolving framework of human awareness of reality that Karl Popper calls 'verisimilitude' – a stage on the human journey to truth.[46]
See also[edit]
another stories
Scientists Research prove Religious materials are Man-Made ?
Scientists Prove That All Religious Books Are Man-Made Nonsense
"Fables should be taught as fables, myths as myths, and miracles as poetic fancies. To teach superstitions as truths is a most terrible thing." - Hypatia of Alexandria (370 - 415 AD)
The scientists, headed by Doctor Julius Sanreso, welcomed the research findings and said that it would be in the interests of those who believe in such nonsense as organised religion or creationism to accept the fact that religious books were written by men as a control system.
“Just think for one second, if ‘God’ or a ‘messenger of God’ had written that particular religious book/bible, how come the writings only occur within a very limited period in human history? Also, consider the fact, that a human writing on a piece of paper, or a few pieces of paper, is not the word of ‘God’. If they were really written by a universal God or entity, the books would not be limited to some pre-medievel costume drama but would encompass all universality, history, the future and science. Language is something created by man, not an all-seeing, all encompassing entity. God would presumably be universal and timeless as well as all-knowing, as is the universe, therefore these man-written books and scriptures, are just that, man-written linguistically created nonsense used to control men and women thousands of years ago. Why would ‘God’ write anything anyway? One must consider the fact that, even now, there are religious zealots and ordinary people still entrenched in a control belief system that is so far removed from reality that it borders on madness. There is no rational or scientific way that organised religions can have a modicum of truth or factual reality because of the very reason that these books are entombed in the time that they were written. These books should therefore simply be viewed as limited parables and historical fiction, as well as a lesson in how millions of people can be so easily controlled.”
The research paper also came to the conclusion that reward/punishment religions, as control systems, were losing their grip on most of the population of the world and only a few die-hard fanatics and delusional maniacs were carrying on with the flame of idiocy.
“The game is up for all religions, how long can this sham carry on, with their ridiculous outdated ceremonies? The priests are deceivers, and they need to come up with some pretty radical solutions to their thousand year old magic trick. People aren’t as dumb or easily swayed as they used to be thousands of years ago, they actually have reasoning powers and can see through the utter nonsense of organised control systems like religion.”
The problem for the world’s political leaders, is that slowly, humans who were controlled for so many years by fictitious writings, may suddenly lose their controlled ‘faith’. This could be quite dangerous, because it would mean that these people would suddenly wake up and realise that they have been fooled for so long by being communally hypnotised.
“We must ensure that the people who have been fooled for so long by fictitious belief systems utilised to control humans do not get too angry when they realise that what they believe in is nonsense written by humans utilising human created language. This could be dangerous for society, so we must either let them carry on believing their fiction or try to somehow support them when they realise the truth,” Dr Sanreso said.
The research paper will be published in its entirety in 2015.
(সূত্র ; স্রষ্টার জন্যে লড়াই
মৌলবাদের
ইতিহাস
ক্যারেন আর্মস্ট্রং
অনুবাদ
শওকত হোসেন
অনুচ্ছেদ ৩ , পৃষ্টা
১০৫ থেকে ১৫০ পৃ ; এর
এক সংক্ষিপ্ত রূপ )
From Wikipedia, the free encyclopedia
WASHINGTON DC – USA – Scientists at the Institute of Historical Research have finally released their findings after five years of dedicated research.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন