১৯৭১ এর ১৭ এপ্রিল পলাশীর আম্রকাননে বাঙালী জাতি নতুন করে আবার জন্ম নিলো ;( birth of a independed bangladesh)
একাত্তরের এর সতের এপ্রিলে
কুষ্টিয়ার মেহরপুরের বৈদ্যনাথতলার
আম্রকাননে একটি নতুন বাঙালী জাতি জন্ম নিল ৷
মুক্তিযুদ্ধ একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফসল। জনযুদ্ধ, সামরিক বিদ্রোহ নয়। অসাম্প্রদায়িক, সার্বজনীন, যার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল পাক-হানাদার বাহিনীকে বিতারণ। তৎকালীন জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত ছিল কোন রাষ্ট্রের অংশ স্বাধীনতা ঘোষণা করলে তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে কোন জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র স্বীকৃতি বা সহযোগিতা দেবে না। অথচ বিশ্বের জনমত ও প্রত্যক্ষ সমর্থন ছাড়া কোন রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছে এমন কোন নজির নেই। বঙ্গবন্ধু এই বাস্তবতার আলোকে পাকবাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার পরেই আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। যার ফলে বিশ্ববাসীর সমর্থন পাওয়া যায় এজন্য যে এটি মামুলি কোন বিচ্ছন্নতাবাদী আন্দোলন বা হঠকারিতা নয়। একটি নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের কাছে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর না করে বরং পাক জান্তা সেই দলের নেতাকর্মী এবং সেই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়। অর্থাৎ বাঙালীর জন্য স্বাধীনতা ছাড়া বিকল্প ছিল না এটা বিশ্ববাসীর কাছে নিশ্চিত করতে পারলেই সমর্থন পাওয়া যায়। আর বঙ্গবন্ধু যদি ভারতে যেতেন তাহলেও এতটা ক্রিয়াশীল হতো না। বন্ধী হওয়ার ফলে তার মুক্তি ও স্বাধীনতা সমার্থক হলে বেগবান হয়েছিল (বঙ্গবন্ধুর জন্য রোজা রেখেছেন হাজারো বাঙালী)। বঙ্গবন্ধুর এই কৌশলটি যথাসময়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারঙ্গমতার একটি নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে বিশ্বে প্রশংসিত।
( সূত্র ;৬ নভেম্বরের দৈনিক জনকণ্ঠের চতুরঙ্গ পাতার এম আমীর-উল ইসলামের ধারাবাহিক লেখার একটি অংশ )
মূল অনুষ্টানের বর্ণনা ;
মুক্তিযুদ্ধ একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফসল। জনযুদ্ধ, সামরিক বিদ্রোহ নয়। অসাম্প্রদায়িক, সার্বজনীন, যার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল পাক-হানাদার বাহিনীকে বিতারণ। তৎকালীন জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত ছিল কোন রাষ্ট্রের অংশ স্বাধীনতা ঘোষণা করলে তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে কোন জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র স্বীকৃতি বা সহযোগিতা দেবে না। অথচ বিশ্বের জনমত ও প্রত্যক্ষ সমর্থন ছাড়া কোন রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছে এমন কোন নজির নেই। বঙ্গবন্ধু এই বাস্তবতার আলোকে পাকবাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার পরেই আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। যার ফলে বিশ্ববাসীর সমর্থন পাওয়া যায় এজন্য যে এটি মামুলি কোন বিচ্ছন্নতাবাদী আন্দোলন বা হঠকারিতা নয়। একটি নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের কাছে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর না করে বরং পাক জান্তা সেই দলের নেতাকর্মী এবং সেই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়। অর্থাৎ বাঙালীর জন্য স্বাধীনতা ছাড়া বিকল্প ছিল না এটা বিশ্ববাসীর কাছে নিশ্চিত করতে পারলেই সমর্থন পাওয়া যায়। আর বঙ্গবন্ধু যদি ভারতে যেতেন তাহলেও এতটা ক্রিয়াশীল হতো না। বন্ধী হওয়ার ফলে তার মুক্তি ও স্বাধীনতা সমার্থক হলে বেগবান হয়েছিল (বঙ্গবন্ধুর জন্য রোজা রেখেছেন হাজারো বাঙালী)। বঙ্গবন্ধুর এই কৌশলটি যথাসময়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারঙ্গমতার একটি নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে বিশ্বে প্রশংসিত।
( সূত্র ;৬ নভেম্বরের দৈনিক জনকণ্ঠের চতুরঙ্গ পাতার এম আমীর-উল ইসলামের ধারাবাহিক লেখার একটি অংশ )
মূল অনুষ্টানের বর্ণনা ;
“ কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে
অনুষ্ঠান শুরু হলো ৷ একটি অস্থায়ী মঞ্চে আরোহন
করলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি
, প্রধানমন্ত্রী , মন্ত্রিসভার
সদস্যবর্গ , বারিষ্টার
আমিরুল ইসলাম , আব্দুল মান্নান
এবং ওসমানী ৷ আব্দুল মান্নান
এই অনুষ্ঠান পরিচালনা
করেন ৷ এম ইউসুফ আলী স্বাধীনতার
ঘোষণা পাঠ করেন আর সৈয়দ নজরুল ইসলাম শপথ অনুষ্ঠান
পরিচালনা করেন ৷
ঐ স্থানের
নাম ‘ মুজিব নগর’ নাম করন করা হয় এই অনুষ্টানে
৷ ১৬ই ডিসেম্বর
পাক হানাদার বাহিনীর
আত্মসমর্পণ পর্যন্ত মুজিবনগর
ছিল অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের রাজধানী
৷
১৭ এপ্রিলের
এই এই অনুষ্ঠানেই
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি
নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান ৷
তার অনুপস্থিতিতে
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত
হন উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম
,
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন
আহমদ ,
পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী খন্দকার
মোশতাক আহমেদ ,
অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী
, স্বরাষ্ট্র ও ত্রাণ মন্ত্রী
এ এইচ কামরুজ্জামান
এবং মুক্তিবাহিনীর প্রধান
সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানী ৷
এই অনুষ্ঠানের
পরবর্তী পর্যায়ে অস্থায়ী
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের
পর সেই বিখ্যাত
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার
ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয় ৷
বাংলাদেশের স্বাধীনতার
ঘোষণা পত্র ;-
ঐতিহাসিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র :
“ যেহেতু ১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১৭ই জানুয়ারী
পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে
শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে
গণপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়েছিল -
যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের
জনগণ উক্ত অঞ্চলের
জন্য নির্ধারিত ১৬৯ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী
লীগ দলীয় ১৬৭ টিতে জনপ্রতিনিধি
নির্বাচিত করেছিলেন -
যেহেতু জেনারেল
ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ তারিখে
শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে
নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন
আহবান করেন ও যেহেতু আহুত এই পরিষদ স্বেচ্ছাচার এবং বেআইনীভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন -
যেহেতু পাকিস্তান
কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি
পালন করার পরিবর্তে
বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের সাথে পাস্পরিক আলোচনাকালে
ন্যায়নীতি বহির্ভূত এবং বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভুত
পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের
সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত
নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের
আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার
জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে
স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের
অখন্ডতা ও মর্যাদা
রক্ষার জন্য বাংলাদেশের
জনগণের প্রতি উদাত্ত
আহবান জানান ,
যেহেতু পাকিস্তান
কর্তৃপক্ষ বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনা করছে এবং এখনো বাংলাদেশের বেসামরিক
ও নিরস্ত্র জনগণের
বিরুদ্ধে নজিরবিহীন গণহত্যা
ও নির্যাতন চালাচ্ছে
,
যেহেতু পকিস্তান
সরকার অন্যায় যুদ্ধ ও গণহত্যা
এবং নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার পরিচালনা
দ্বারা বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের একত্রিত
হয়ে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন
করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব
করে তুলেছে -
যেহেতু বাংলাদেশের জনগণের
বীরত্ব , সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের
মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর তাদর কার্যকরী
কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে ,
সেইহেতু সার্বভোম
ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের
জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের
প্রতি যে ম্যান্ডেট
দিয়েছেন সেই ম্যান্ডেট
মোতাবেক আমরা নির্বাচিত
প্রতিনিধিরা পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে
আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ
গঠন করে বাংলাদেশের
জন্য সাম্য , মানবিক
মার্যাদা ও সামাজিক
ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
নামে একটি স্বাধীন
ও সার্বভৌম দেশ গঠনের কথা ঘোষণা করছি এবং এই ঘোষণা দ্বারা
আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্বে যে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন , সেই পবিত্র
ঘোষণাকে অনুমোদন করছি এবং এতদ্বারা
আমরা আরও অনুমোদন
করছি ও সিদ্ধান্ত
ঘোষণা করছি যে শাসনতন্ত্র প্রণীত
না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধানের পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন
এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে
কাজ করবেন ৷
রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের
সশস্ত্রবাহিনী সমূহের
সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত
থাকবেন , রাষ্ট্রপ্রধানই সর্বপ্রকার
প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের
ক্ষমতার
অধিকারী হবেন , তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী
এবং প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার
অন্যান্য সদস্যদর নিয়োগ করতে পারবেন
৷
আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে
, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে
এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের
উপর যে দায়িত্ব
ও কর্তব্য বর্তেছে
তা যথাযথভাবে আমরা পালন করবো ৷
আমরা আরো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে
, আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকারী
বলে গণ্য হবে ৷
আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী
করার জন্য আমরা অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউসুফ আলীকে যথাযথভাবে
ও নিয়মানুগ উপায়ে রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান
পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে তাঁকে এই কাজের জন্য নিযুক্ত
করলাম ৷
স্বাক্ষর ( এম ইউসুফ আলী )
( সূত্র ; মোঃ
আব্দুল আজিজ , বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সর্বাধিনায়ক ওসমানী ,
সময় প্রকাশন ,
প্রথম প্রকাশ , এপ্রিল
২০০০ সাল . পৃ , ৬১- ৬২ ,
এবং একত্তরের
মুক্তিযুদ্ধ , পৃষ্ঠা ২৯৭ - ৯৯ )
কবি সুকান্তের সেই বিখ্যাত কবিতাটি দিয়ে এ লেখার সমাপ্তি করছি :
জাগবার দিন আজ-সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা
জাগবার দিন আজ, দুর্দিন চুপিচুপি আসছে ;
যাদের চোখেতে আজো স্বপ্নের ছায়া ছবি ভাসছে-
তাদেরই যে দুর্দিন পরিণামে আরো বেশী জানবে,
মৃত্যুর সঙ্গীন তাদেরই বুকেতে শেল হানবে ।
আজকের দিন নয় কাব্যের-
আজকের সব কথা পরিণাম আর সম্ভাব্যের ;
শরতের অবকাশে শোনা যায় আকাশের বাঁশরী,
কিন্তু বাঁশরী বৃথা, জমবে না আজ কোন আসর-ই ।
আকাশের প্রান্তে যে মৃত্যুর কালো পাখা বিস্তার-
মৃত্যু ঘরের কোণে, আজ আর নেই জেনো নিস্তার,
মৃত্যুর কথা আজ ভাবতেও পাও বুঝি কষ্ট
আজকের এই কথা জানি লাগবেই অস্পষ্ট ।
তবুও তোমার চাই চেতনা,
চেতনা থাকলে আজ দুর্দিন আশ্রয় পেত না,
আজকে রঙিন খেলা নিষ্ঠুর হাতে করো বর্জন,
আজকে যে প্রয়োজন প্রকৃত দেশপ্রেম অর্জন ;
তাই এসো চেয়ে দেখি পৃথ্বী
কোনখানে ভাঙে আর কোনখানে গড়ে তার ভিত্তি ।
কোনখানে লাঞ্ছিত মানুষের প্রিয় ব্যক্তিত্ব,
কোনখানে দানবের ‘মরণ-যজ্ঞ’ চলে নিত্য ;
পণ করো, দৈত্যের অঙ্গে
হানবো বজ্রাঘাত, মিলবো সবাই এক সঙ্গে ;
সংগ্রাম শুরু করো মুক্তির,
দিন নেই তর্ক ও যুক্তির ।
আজকে শপথ করো সকলে
বাঁচাব আমার দেশ, যাবে না শত্রুর দখলে ;
তাই আজ ফেলে দিয়ে তুলি আর লেখনী,
একতাবদ্ধ হও এখনি ॥
জাগবার দিন আজ-সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা
জাগবার দিন আজ, দুর্দিন চুপিচুপি আসছে ;
যাদের চোখেতে আজো স্বপ্নের ছায়া ছবি ভাসছে-
তাদেরই যে দুর্দিন পরিণামে আরো বেশী জানবে,
মৃত্যুর সঙ্গীন তাদেরই বুকেতে শেল হানবে ।
আজকের দিন নয় কাব্যের-
আজকের সব কথা পরিণাম আর সম্ভাব্যের ;
শরতের অবকাশে শোনা যায় আকাশের বাঁশরী,
কিন্তু বাঁশরী বৃথা, জমবে না আজ কোন আসর-ই ।
আকাশের প্রান্তে যে মৃত্যুর কালো পাখা বিস্তার-
মৃত্যু ঘরের কোণে, আজ আর নেই জেনো নিস্তার,
মৃত্যুর কথা আজ ভাবতেও পাও বুঝি কষ্ট
আজকের এই কথা জানি লাগবেই অস্পষ্ট ।
তবুও তোমার চাই চেতনা,
চেতনা থাকলে আজ দুর্দিন আশ্রয় পেত না,
আজকে রঙিন খেলা নিষ্ঠুর হাতে করো বর্জন,
আজকে যে প্রয়োজন প্রকৃত দেশপ্রেম অর্জন ;
তাই এসো চেয়ে দেখি পৃথ্বী
কোনখানে ভাঙে আর কোনখানে গড়ে তার ভিত্তি ।
কোনখানে লাঞ্ছিত মানুষের প্রিয় ব্যক্তিত্ব,
কোনখানে দানবের ‘মরণ-যজ্ঞ’ চলে নিত্য ;
পণ করো, দৈত্যের অঙ্গে
হানবো বজ্রাঘাত, মিলবো সবাই এক সঙ্গে ;
সংগ্রাম শুরু করো মুক্তির,
দিন নেই তর্ক ও যুক্তির ।
আজকে শপথ করো সকলে
বাঁচাব আমার দেশ, যাবে না শত্রুর দখলে ;
তাই আজ ফেলে দিয়ে তুলি আর লেখনী,
একতাবদ্ধ হও এখনি ॥
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন