বাংলাদেশে মৌলবাদ উৎসের কিছু ঐতিহাসিক কারণ !
ব্রিটিশ শাসিত
ভারতে বা পরবর্তিকালে
স্বাধীন ভারত বা পাকিস্তানে মৌলবাদীদের
অস্থিত্ব ও কার্যক্রম
তেমন প্রকট হতে দেখা যায়নি ৷ তখন এ অঞ্চলে শিক্ষার
হার কম থাকলেও
যারা যতোটুকুই শিক্ষা
অর্জন করতে পারতেন
তা অসাম্প্রদায়িক ও প্রকৃত জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ছিলো ৷ তখন সমাজে দারিদ্র্য ছিল , অশিক্ষা , কুশিক্ষা আর কুসংস্কার সহ অন্ধবিশ্বাসের ও কমতি ছিলো
না ৷ কিন্তু
শিক্ষার আলোর প্রতি
মানুষের একটা প্রবল
আগ্রহ ছিলো ৷ দরিদ্র পরিবারের
লেখাপড়ায় ভাল ছাত্রকে
গ্রামের লোকেরা চাঁদা
তুলে হলেও পড়ালেখায়
সাহায্য করতে দেখা
গেছে ৷ তখন লেখাপড়াতে কোনো
রাজনীতি ছিল না
, ছিলোনা কোনো
হিংস্যা বিদ্ধেষ ৷ যারা সম্পদশালী
ছিলেন তারা তার অঞ্চলে স্কুল
প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার
প্রসার ঘটাতে চেষ্টা
করতে দেখা গেছে ৷ যেভাবে
তখন স্কুল বা কলেজের প্রতিষ্ঠা
করা হচ্ছিল সে ভাবে
কিন্তু শুধু ধর্মের জন্যে আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
গড়ে উঠতে দেখা
যায় নি ৷ প্রথমদিকে হিন্দু
জমিদার বা ধনবানরা
স্কুল কলেজের প্রতিষ্ঠায়
অগ্রগামী থাকলেও পরিবর্তি
কালে সম্পদশালী মুসলমানরা
ও এগিয়ে এসেছিলেন
এবং অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি
করেছেন ৷
কিন্তু
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের
প্রতিষ্ঠার পরে হঠাৎ
যেন এ ধারার
ছন্দপতন হতে আরম্ভ
করে ৷ জ্ঞান অর্জনের
জন্যে পড়ালেখার প্রয়োজন
আগের মত তত অর্থবহ না হয়ে , বিদেশে চাকুরি
করতে যেতে হলে যে সব ভাষা শেখা
প্রয়োজন বিশেষ করে ইংরেজি ও আরবি ভাষা
, সে সব ভাষা শিক্ষা
দানের উপযোগী করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ব্যাপক ভাবে গড়ে তুলা আরম্ভ
করা হলো ৷ কিন্তু
এরও প্রয়োজনীতা অল্পদিনের মধ্যে
শেষ হয়ে যাওয়ায়
বানিজ্যিক ভিত্তিতে
স্কুল , কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠার হিড়িক
পড়ে যায় ৷ তবে এতে খরচের পরিমান
বেশি হওয়ার অনেক
আগ্রহীরা অসুবিধায় পড়ে যান ৷ কিন্তু এক সময়ে তাদের
এই অসুবিধাও দুর হয়ে যায় ৷ প্রাইভেট
স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠায়
যে ভাবে ব্যবসায়ীরা
এগিয়ে এসেছিলেন তাদের
ব্যবসায়ের স্বার্থে , ঠিক তেমনি
ধর্মব্যবসায়ীরাও এগিয়ে এসে মাদ্রাসা , ক্যাডেট মাদ্রাসা
, আবাসিক মাদ্রাসা
ইত্যাদির সহ বিভিন্ন
ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
গড়ে তুলতে আরম্ভ
করে দেন এবং ধর্মশিক্ষার
পাশাপাশি এ সব প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য সাধারণ
শিক্ষা দানেরও ব্যবস্থা
করা হয় প্রথম দিকে ৷ আর এসব প্রতিষ্ঠানে খরচের
পরিমান কম থাকায়
এগুলোর চাহিদা বেড়ে যায় ৷ ফলে সংখ্যা
বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে
শিক্ষার মান পড়ে যেতে থাকে ৷ এই অবস্থা
শুধু মাদ্রাসা শিক্ষায় নয় , স্কুল , কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের
ক্ষেত্রে ও সমান
প্রভাব পড়ে ৷ এক পর্যায়ে
শিক্ষাদান বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ
রূপে সাধারণ ব্যবসায়িক
প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়ে যায় ৷ তখন অন্যান্য
ব্যবসার মত এখানেও
ব্যবসায়িক লাভ ক্ষতি বড়ো হয়ে উঠে ৷
যা এখন শুধু ব্যবসায়িক শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান রূপে পরিচিতি
পেয়েছে ৷ এখন এ সব প্রতিষ্ঠান থেকে
ডিগ্রী এবং সার্টিফিকেট প্রদান
করা হয় শিক্ষার
পরিবর্তে ৷ আর ছাত্ররা সার্টিফেকেট
পেয়ে সমাজে সে একজন শিক্ষিত
ডিগ্রীধারী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি
লাভ করে মাত্র
৷ চাকুরির
বাজারে বা জ্ঞানের
বাজারে তাদের আর কোনো
মূল্য থাকে না ৷ তবে বিয়ের
বাজারে কিছু মূল্য
আছে এখনো , এই যা ৷
অন্যদিকে ১৯৭৭
সালের পরে গ্রাম
ও গণ্জে এমনকি শহর অঞ্চলেও
অসংখ্য পরিমান শুধু ধর্মশিক্ষাভিত্তিক মাদ্রাসার
প্রতিষ্ঠা করা আরম্ভ হয় ৷ প্রথমে বিভিন্ন
ইসলামী এনজিও এগুলো
প্রতিষ্ঠার পথ দেখালেও
পরে বাঙালী প্রবাসীরা
বেহেস্তের পথ সূগম করতে এগিয়ে
আসেন , আর সরকারি
ভাবেও তখন রাজাকার
মন্ত্রী আব্দুল মান্নানের
সময়ে অনেক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা
করা হয় ৷ তখন প্রাইভেট
মাদ্রাসাগুলোকেও সরকারী অনুদান
প্রদান করা হয় ব্যাপকভাবে
৷
আর এত বিপুল সংখ্যক
মাদ্রাসার শিক্ষক সংগ্রহ
করতে হয়েছে প্রাইভেট ও
কৌওমী মাদ্রাসা থেকে
নাম মাত্র শিক্ষা
নিয়ে ও অনেক সময় মাদ্রাসায়
না পড়ে শুধু
অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহকারী দেরকে
শিক্ষকের চাকরি প্রদান করে ৷ ফলে যা হওয়ার
তাই হয়েছে ৷ শিক্ষার মান পডতে পড়তে
একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে ৷ আর দেশ ও সমাজ পেয়েছে
তালেবানি চিন্তাধারার একদল
সাম্প্রদায়িক মধ্যযুগীয় ধ্যান ধারণার
বিশ্বাসী অর্দ্ব শিক্ষিত
মানুষ ৷ যাদেরকে সহজেই
জামায়াত , ইসলামী ছাত্রশিবির ,
ও হেফাজতী সহ ধর্মব্যবসায়ীরা ব্যবহার
করতে পরে , তাদের
নিজদের পার্টির কাজে ও তাদের
নিজদের রাজনৈতিক পার্ঠির , ও রাজনৈতিক স্বার্থে
৷
আর
এরই ফলে আমাদের
সমাজে বর্তমানে যে সামাজিক ও রাজনৈতিক পশ্চাৎপদতার
ও অন্ধ ধর্মবিশ্বাসের
সৃষ্টি হয়েছে
, যার ফলে সমাজের সাংস্কৃতিক
জীবনেও একটি প্রতিক্রিয়ার
সৃষ্টি হয়েছে ৷ আবার আমাদের
অবাধ ও মুক্ত
অর্থনৈতিক ও পুজিবাদী স্বাধীন অর্থনীতির
কারণে দেশে এখন যে অসম অর্থনৈতিক
বৈষম্যের সূষ্টি হয়েছে
আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে
সামাজিক অন্যায় ও অবিচার এবং ন্যায় বিচার
প্রাপ্তির অপ্রাপ্ততা ৷ আর যখনই কোনো
সমাজে শ্রেণী বৈষম্যের
সৃষ্টি হয়ে সমাজে
দারিদ্রতা বৃদ্ধি পায় আর সামাজিক
ন্যায় বিচারের অভাব
পরিলক্ষিত হয় , আর অন্যদিকে
অসম সম্পদের বন্টনের
ফলে সমাজে এক শ্রেণীর পরগাছা
ও সুযোগ সন্ধানি
শ্রেণীর জন্ম হয় ৷ যাদের
কাছে দেশ প্রেম
সহ অন্য যে কোনো
আদর্শের মূল্য থাকে
না ৷ ধর্মেরও নৈতিকতাবোধ
হারিয়ে যায় তাদের
কার্যকলাপ থেকে ৷ তখন ধর্মব্যবসায়িরা মানুষের
ধর্মবিশ্বাস ও সমজে প্রতিষ্ঠিত
নানা কুসংস্কারকে কাজে
লাগিয়ে তাদের স্বার্থ
রক্ষা হবে
, এমন যে কোনো অনৈতিক
এবং অন্যায় কাজে তাদেরকে
ব্যবহার করতে অগ্রগামী ভূমিকা
পালন করতে দেখা
যায় ৷
আর কোনো সমাজে
যখন এই রকম একটা বিশ্বাস
ও অবিশ্বাসের দন্ধের
সৃষ্টি হয় ৷ শুধু রাজনীতির
ক্ষেতেই নয় , সমাজের সর্বস্তরেই
তখন কেউ কাউকে
বিশ্বাস করতে পারে
না ৷
এই অবস্থা যখন কোনো সমাজে সৃষ্টি হয়ে যায় এবং সমাজের
সব ক্রিয়াকর্মে
তা ফুটে উঠতে থাকে , আর তখনই সে সমাজের
মানুষজন অসহিষ্ণু , রেসিষ্ট
, এথনোসেন্ট্রিক , সাম্প্রদায়িক এবং কুসংস্কার
ও
অন্ধ ধর্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে ওঠে ৷ আর তখনই
মৌলবাদীরা এই সমাজে
তাদের কাজের কার্যক্রমের
পরিধি বাড়াতে আগ্রহী
হয়ে ওঠে ।
বাংলাদেশে মৌলবাদীরা সমাজের
এই অবস্থার সুযোগ
গ্রহণ করেছে এখন ৷ তারা
পর্যায়ক্রমে সাধারণভাবে ধর্মীয়
কোনো ইস্যুর সূত্রপাত
করে আন্দোলনের সৃষ্টি
করেছে এবং জণসমর্থনের চেষ্টা
করতে করতে কিছুটা
সফলতা অর্জনে সমর্থ
হয়েছে , মানুষের ধর্মবিশ্বাসের অপব্যবহারের
মাধ্যমে ৷ পরবর্তি
পর্যায়ে তারা এই আন্দোলনকে সশস্ত্র
আন্দোলনের রূপ দিয়ে রাষ্ট্রিয়
ক্ষমতা দখলের উদ্দ্যেশে ধর্মকে
রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার
করে এখন ধর্মকেও
রাজনৈতিক মাঠে
নিয়ে এসেছে ৷ তাদের বিশ্বাস
ইহাতে তারা সমাজে একটা অচল রাজনৈতিক
প্রেক্ষাপটের সৃষ্টি করতে পারবে ৷ তারা এইভাবে
পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
ধ্বংস করে এমন এক সমাজ
ব্যবস্থা গড়তে পারবে ,
যেখানে মধ্যযুগীয় কায়দায়
নারী নির্যাতন বহাল
থাকবে , গরিবদেরকে
গরিব ও কুশিক্ষত ও
কুসংস্কারে নিমোজিত করে রাখার সব ব্যবস্থা থাকবে
, যাতে প্রয়োজনে তারা তাদের
রাজনৈতিক স্বার্থে
গরিবদের ও অন্ধ
ধর্মবিশ্বাসীদের তাদের প্রয়োজন মত ব্যবহার করতে পারবে ৷ তাই তারা
হরতাল সহ বিভিন্ন
প্রক্রিয়ায় সমাজিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে
দীর্ঘায়িত করে এবং মেয়েদের লেখাপড়া
সীমিত রেখে , তাদের মধ্যে
মৌলবাদী ধ্যান ও ধারণার বিস্তার ঘটাবে ৷ আর মৌলবাদী
ধ্যান ধারণা সমাজে
প্রতিষ্ঠার স্বার্থে যাতে গরিররা ও নারীরা সমাজে
স্বাবলম্বি না হতে পারে সে ব্যবস্থা ও তারা করতে চায় এবং করতেছেও ৷ তাই তারা সমাজে
আল্লাহ র হুকুমত কায়েম
এবং বিশ্বাসীদের ঈমানী
দ্বায়িত্ব পালনে উৎসাহিত
করছে মানুষদেরকে ৷ এখন এটাএ অর্থাৎ এ কৌশলই তাদের
রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের
প্রধান হাতিয়ার ৷
ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে
অংশগ্রহণকারিদের নাস্তিকতার
অপবাদ দিয়ে
গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলনের
মাঠ থেকে তাদেরকে বিদায়
করে , আর অন্যদের
টাকা ও অন্যান্য
সুযোগ সুবিধা প্রদান
করে একটি গৃহপালিত এবং তাদের প্রতি
অনুগত একটি শ্রেণী
সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তার
এখন ৷ যারা সব সময়ে
তাদের গুণগান ও মহত্ব প্রচারে
সব সময়ে ব্যস্ত
থাকবে এবং তাদের
নির্দেশ তাদের স্বার্থে সব কাজ করবে
৷
তাদের আশা বিএনপির
অনেক সহ সুবিধাভূগী
সূশীলদের ও অনেকে , তাদের এ কার্যক্রমের
সহযোগী হিশেবে পেয়ে যাবে অনায়াসে
৷
আর ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে
একটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাহীন
অন্ধ ধর্মবিশ্বাসী ও একটি
সাম্প্রদায়িক ও মধ্যযুগীয়
ধর্মবিশ্বাসে বিশ্বাসী একটি
রাষ্ট্র গঠনে সক্ষম
হবে ৷ শেখ হাসিনা সহ কয়েকজন ছাড়া , আওয়ামী লীগ ও বিএনপি
সহ অন্যান্য বেশ কিছু রাজনৈতিক
দলের নেতা ও কর্মীকে
বিভিন্ন সুযোগ
সুবিধার বিনিময়ে তাদের
সঙ্গে পর্যায়ক্রমে
তারা যুক্ত করতে
পারবে বলে তাদের
দৃঢ় বিশ্বাস ৷ অন্যদিকে
সামরিক বাহিনীর একাংশ
সহ সরকারি কর্মকর্তা
ও কর্মচারী ও ব্যবসায়ী ও পেশাদার শ্রেণীকেও তারা সময় মত তাদের পক্ষে পাবে বলে ও তারা
বিশ্বাস করে ৷
ফাইনেলি তারা
এ অঞ্চলে একটি
মিনি পাকিস্তান সৃষ্টিতে
সক্ষম না হলে ও , একটি মুসলিম
বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে সফল হবে বলে তারা
খুবই বিশ্বাসী ৷ আর যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের
এ কাজের অংশীদার
হিসেবে পাবে বলেও
তাদের বিশ্বাস ৷
বাংলাদেশকে ঘিরে তাদের ও পাকিস্তানি আইএসআই সহ পাকিস্তান পন্থীরা ভবিষ্যতে
আরো অনেক কার্যক্রম
পরিচালনার ইচছা ও পরিকল্পনা আছে
, যা সময় এলেই তা বাস্তবায়িত হবে তারা মনে করে ৷
তাই যদি এখন অসাম্প্রদায়িকতা , গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতণায় বিশ্বাসীরা তাদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দেন তবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনকারী বাংলাদেশ আমাদের সবার চোখের সামনেই একটি মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়ে যাবে ! ৷
তাই যদি এখন অসাম্প্রদায়িকতা , গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতণায় বিশ্বাসীরা তাদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দেন তবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনকারী বাংলাদেশ আমাদের সবার চোখের সামনেই একটি মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়ে যাবে ! ৷
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন