রাষ্ট্র , পরিবার , সমাজ ইত্যাদির
ধারনাগুলোর বৈপ্লবিক পরিবর্তন
হচ্ছে যখন , তখন মধ্যযুগীয়
ধর্মগুলির আত্মিক উন্নতির
কিছু বাণী ছাড়া
আর কিছুই আমাদের
দেওয়ার নেই ৷ সেই আত্মিক
উন্নতির নিদান ধর্ম
ছাড়াও বিজ্ঞান থেকেই
পাওয়া যায় ৷ তবুও কেউ
আত্মিক উন্নতির জন্য
ধার্মিক হলে আপত্তি
করার কিছু নেই ৷ কিন্তু
ধর্মপালন যখন তার হিন্দু বা মুসলমান পরিচয়বোধকে
উস্কে দেয় , তখন সেটা
ভয়ংকর হয়ে যায় ৷ ধর্ম থেকে সেই বিষয়টাকে
আলাদা করতে না পারলে
, এগুলো
আমাদের সভ্যতার জন্যে
ক্যান্সার হয়ে আমাদের
সমস্ত অর্জনকে ধ্বংস
করে ফেলবে ” ৷ ( মুক্তমনায় লিখিত
ড়ঃ বিপ্লব পালের
একটি প্রবন্ধের অংশ থেকে নেয়া হয়েছে ৷ )
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক
আমলে ভারতে স্থানীয়ভাবে
বা আঞ্চলিক ভাবে
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে
কিছু কিছু
আন্দোলন হলে ও সেপাই বিদ্রোহের
প্রথম সূত্রপাত হয়েছিলো
১৮৫৭ সালে ভরতের মধ্যপ্রদেশের মিরাট
কেণ্টনমেন্ট টাউনে ৷ এই সময়ে
সমস্ত ভারতে প্রায়
৩ লাখ ভারতীয়
নেটিবরা ব্রিটিশদের অধিনে
সেনাবাহিনীতে সেপাইয়ের কাজে
নিয়োজিত ছিল ৷ এদের একটা
অংশ মিরাটেও কর্মরত
ছিলো ৷ তখন রাইফেলের নলে গুলি বা কার্টিজ ভরতে
হলে কার্টিজের উপরের
অর্থাৎ মূখের অংশকে
দাঁত দিয়ে খামড়দিয়ে
ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে
বাকি বারুদ ভরা অংশকে রাইফেলের
নলে ভরতে হত ৷ আর মূখের অংশ ছিড়ার সুবিধার
জন্যে এ স্থানে
গ্রিজ জাতীয় কিছু
লাগানো থাকত ৷
এসময়ে ব্রিটিশ ঔপনবেশিক
শাসনের বিরোধ্যে কিছু
কিছু অসন্তোষ আরম্ভ
হচ্ছিল , এর থেকে সেপাইরা
ও মুক্ত ছিলনা ,
তারা তাদের চাকুরিতে
ও বৈষম্যের শিকার
ছিল ৷ এই পর্যায়ে ১৮৫৭
সালে সেপাইদের কাছে
নতুন একধরনের রাইফেলের
কার্টিজ বা গুলি সরবরাহ করা হয় ৷ এগুলো ব্যবহারের
পূর্ব সেপাইরা মূখদিয়ে
কাঁমড়িয়ে ছিঁড়ে গুলির সামনের
মূখের অংশ ফেলে দিয়ে বাকিটা
রাইফেলের নলে ভরতে
হত ৷ হাত দিয়ে বা অন্য উপায়ে
তা ছিঁড়া যেত না
, দাঁতের ও মূখের ব্যবহার ছাড়া
৷ তবে ছেড়ে
ফেলার স্থানে গ্রিজের
মত কিছু লাগানো
থাকত ছেঁড়ার সুবিধার
জন্যে ৷
হিন্দু দের কাছে যেমন গো-মাংস
ও গো-চর্বি ভক্ষণ
নিষিদ্ধ তেমনি মুসলমানদের কাছে শুকুরের
মাংস ও চর্বি
নিষিদ্ধ , যার যার ধর্মবিশ্বাসের কারণে
৷
তখন কোনো
ভাবেই ভারতীয় অস্ত্রধারী
চাকুরেদের ব্রিটিশ বিরোধী
অন্দোলনে সহজে যুক্ত করা যেত না ৷ তাই ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক শাসনের
বিরোধ্যে আন্দোলনরত
কিছু লোক
একটি কৌশল গ্রহন
করেন ৷ তারা এখানে
ধর্মবিশ্বাসকে একটা আন্দোলনের
হাতিয়ার হিশেবে ব্যবহারের
চেষ্টা করেন ৷ তারা বুদ্ধিকরে
এবং কৌশল প্রযোগকরে সেপাইদের মধ্যে
এটা প্রচারের ব্যবস্থা
করেন যে , ব্রিটিশ
শাসকরা ভারতের হিন্দু
ও মুসলিম ধর্মবিশ্বাসকে ধ্বংস
করতে রাইফেলের গুলি
বা কার্টিজের মূখের
অংশে ইচ্ছা করে গরু ও শুকুরের চর্বি
লাগিয়ে রেখেছে , আর যখনই
কোনো সেপাই তা মূখ ও দাঁত দিয়ে
ছিঁড়ে খুলে প্রথম
অংশ সরাতে যাবে
, তখনই গরু ও শুকুরের
চর্বি মূখ থেকে খাদ্যনালি দিয়ে ব্যবহরকারীর
পাকস্থলিতে চলে যাবে, এবং তাদের ধর্মের
নিষিদ্ধ করা দ্রব্য
ভক্ষণে তাদের ধর্ম নষ্ট
হবে ৷
এই কৌশল খুবই
কাজ দেয় ৷ সেপাইদের মধ্যে
অসন্তোষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে
পড়ে , আর মিরাট
ক্যান্টনমেন্টে বিদ্রোহ দেখা
দেয় , সর্বস্তরের
সেপাইদের মধ্যে ৷ অনেক কিছুর
পরে এবং অনেক জানমাল ধ্বংসের
পরে ব্রিটিশরা বাধ্য হয়ে এবং সমস্ত
ভারতবর্যে এই বিদ্রোহ
ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই এই কার্টিজগুলো
প্রত্যাহার করে নেয় ৷ আর অনেক পরিশ্রম
ও চেষ্টার পর এবং সেপাইদের
অনেক দাবী দাবা মেনে নেয়ার পরই এ বিদ্রোহ ধমন করতে সক্ষম হয়েছিল ব্রিটিশশাসকরা ৷
ধর্মবিশ্বাসকে একটি
প্রেক্ষিত হিশেবে ব্যবহার
করে ভারতের প্রথম অস্ত্রধারী সশস্ত্র সেপাইরা
যে ব্রিটিশ বিরোধী
বিদ্রোহ ও আন্দোলনের সূচনা করে ছিলো , তাকে ভারতের
সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলনের
প্রথম সূত্রপাত বলে অনেকেই
বিশ্বাস করেন ৷
সৈয়দ মীর নাসের আলী
( তিতুমীর ) ( ১৭৮২ -১৮৩১ ) ২৭ জানুয়ারী , ১৭৮২
সালে পশ্চিম বঙ্গের
২৪ পরগনা জেলার
চান্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেছিলেন ৷ মাদ্রাসা
ও মক্তবে লেখাপড়া
করে ১৮ বছর বয়সে কোরানে
হাফিজ হয়েছিলেন ৷ তিনি বাংলা
, আরবি ও পার্শী ভাষা
শিখেছিলেন ৷ প্রথমে
তিনি সুন্নি ইসলামের ওহাবী
ধারা অনুস্মরণ করতেন
৷ তবে তিনি বিখ্যাত জ্ঞানী
ও পন্ডিত ব্যক্তি
জনাব সৈয়দ আহমেদ
শাহিদ বরল্ বির ( Braelvi )
সংস্পর্শে আসার পর থেকে
তিনি
সুন্নি ওহাবি ধারা
বাদ দিয়ে সুন্নি
বারল্ বি ( Braelvi ) ধারা
অনুসরণে আগ্রহী হয়ে ওঠেছিলেন এবং তার কাছ থেকে মাতৃভূমিকে
ব্রিটিশদের কাছ থেকে ছিনিয়ে
আনতে হলে কী কী উপায় অবলম্বন
করতে হবে তা অবগত হয়ে সে পথে
অগ্রসরের বিভিন্ন পদক্ষেপ
গ্রহণ করেন ৷ ১৮২২ সালে তিতুমীর হজব্রত
পালন করতে মক্কায়
যান এবং আরো অনেক
জ্ঞান অর্জন করেন ৷ ১৮২৭ সালে দেশে
ফিরে আসেন ৷ মক্কায়
অবস্থান কালে তখনকার পুরুষদের বঙ্গীয়
পোষাক দূতির পরিবর্তে লঙ্গিরমত
করে তৈরি করা পোষাক পরিধান
করতেন এবং প্রায়
৫ বছর সেখানে
অবস্থান করার পর দেশমাতৃকার টানে
ফিরে আসেন তার জন্মস্থানে ৷ সেখানে তিনি বারল্
বি সহ
অনেক জ্ঞানী এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশীক
বিরোধী আন্দোলনরত মহান ব্যক্তিদের সংস্পর্শে
আসেন এবং তাদের
কাছ থেকেও নানা বিষয়ে
দীক্ষা
গ্রহণ করেন ৷
প্রথম জীবনে
তিতুমীর স্থানীয় জমিদারের
পেয়াদা বা লাঠিয়ালের
চাকুরি করেছেন এবং অস্ত্র বা হাতিয়ার হিশেবে
বাঁশের লাঠি ব্যবহার
করতেন ৷ তিনি
পরে জমিদারের চাকরি
ছেড়ে দিয়ে স্থানীয়
মসজিদ ও মাদ্রাসা
কেন্দ্রিক একদল তার অনুসারী গড়ে তুলেন
এবং স্থানীয় জমিদার
ও প্রভাবশালীদের অন্যায়
ও অবিচারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে
থাকেন ৷ আর তার সমর্থকদের মাঝে গোপনে সশস্ত্র যুদ্ধের
ও গেরিলা টাইপের
যুদ্ধের প্রশিক্ষণের ট্রেইনিং দেয়া ও
আরম্ভ করেন ৷ কিছুদিনের মধ্যেই স্থানীয় প্রভাবশালীদের অন্যায়
ও অত্যাচারের বিপক্ষে ব্যাপক জনমত ও প্রতিরোধ
গড়ে তুলেন ৷ তবে অস্ত্র
হিশেবে তিনি বিশেষ
ধরনের এবং বিশেষ
প্রক্রিয়ায় তৈরি বাঁশের
লাঠিই ব্যবহার করতেন ৷ আর ক্ষেত্রবিশেষে আর্ম- ডাকাতির মাধ্যমে
ফান্ড সংগ্রহ করতেন
, তবে এর কিছু
অংশ গরিবদের মধ্যে
বিলি করেও দিতেন
৷ এই সময়ে
তার অনুসারির সংখ্যা
১৫ হাজারের ও বেশী ছিলো
, যার মধ্যে
৫ হাজার সশস্ত্র
ট্রেইনিং প্রাপ্ত যুদ্ধা ছিলো ৷ তিনি অন্যায় ও অত্যাচার ছাড়াও
স্থানীয় ধর্মীয় কুসংস্কারের
বিপক্ষে প্রচারনা চালান এবং এর প্রতিরোধের
ব্যবস্থা গ্রহণ করে ও সফল হয়েছিলেন
৷
তিনি অত্যধিক জনপ্রিয়
হয়ে উঠলে এবং তার প্রতিরোধের ব্যাপকতা দিন দিন বাড়তে থাকলে
তর ভয়ে স্থানীয়
জমিদার ও প্রভাবশালীরা এলাকা
ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে
চলে যেতে বাধ্য
হন ৷ তিনি
তখন তার বিখ্যাত সামরিক
দুর্গ তৈরি
করেন এবং এর নামকরণ করেন
বাঁশেরখেল্লা নামে (
A fort of
Bamboo ) ৷
ঐতিহাসিকভাবে বাঁশের কেল্লার গুরুত্ব এখনও আছে ৷ তখন বাঁশের হাতিয়ার ছাড়া অন্য কোনো আধুনিক অস্ত্র সংগ্রহের কোনো সুযোগ ছিলো না তার ৷ তবে তার দলে মুসলমানদের সঙ্গে অত্যাচারিত ও গরিব হিন্দুদের ও সহঅবস্থান ছিল ৷ ফলে এটা একটা সর্বজনীন আন্দোলনে রূপান্তরিত হয় ৷ তাই সমাজে এই আন্দোলন সহজেই গ্রহনযোগ্যতা পেয়ে যায় ৷ স্বাধীনতা আন্দোলনে সর্বযুগেই সাধারণ জনগণকে এর পক্ষে পাওয়া যায় ৷ এ ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ছিলো না ৷
ঐতিহাসিকভাবে বাঁশের কেল্লার গুরুত্ব এখনও আছে ৷ তখন বাঁশের হাতিয়ার ছাড়া অন্য কোনো আধুনিক অস্ত্র সংগ্রহের কোনো সুযোগ ছিলো না তার ৷ তবে তার দলে মুসলমানদের সঙ্গে অত্যাচারিত ও গরিব হিন্দুদের ও সহঅবস্থান ছিল ৷ ফলে এটা একটা সর্বজনীন আন্দোলনে রূপান্তরিত হয় ৷ তাই সমাজে এই আন্দোলন সহজেই গ্রহনযোগ্যতা পেয়ে যায় ৷ স্বাধীনতা আন্দোলনে সর্বযুগেই সাধারণ জনগণকে এর পক্ষে পাওয়া যায় ৷ এ ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ছিলো না ৷
এক পর্যায়ে
তার সশস্ত্র প্রতিরোধ
ব্যবস্থা স্থানীয় পর্যায়
অতিক্রম করে আশে পাশের জেলাতে
ও প্রসারিত হয়ে পড়ে ৷ তখন তার আন্দোলন স্থানীয়দের
ছাড়া ও ব্রিটিশ
ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে
আরম্ভ হয়ে যায় ৷ এটা করার জন্যেই তিনি
প্রথমে তার অনুসারীদের
প্রশিক্ষণ গ্রহনের কার্যক্রমের প্রাথমিক পর্যায়ে
অত্যাচারী স্থানীয়দের বিরুদ্ধে
যুদ্ধে নেমেছিলেন ৷ তার আসল লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশশাসকরা ৷
আর পর্যায়ক্রমে তিনি
২৪ পরগণা , নদিয়া ও ফরিদপুর জেলা
সহ আশে-পাশের অঞ্চল
দখল করে এসব অঞ্চলের স্বাধীনতা
ঘোষনা করে বসেন ৷
তিনি অত্যাচারী ব্রিটিশভক্ত জমিদার ও ব্রিটিশ বাহিনীর
বিরুদ্ধে জনগণকে পক্ষে নিয়ে দেশমাতৃকার
স্বাধীনতা অর্জনে সশস্ত্র যুদ্ধ
আরম্ভ করলে ও আধুনিক অস্ত্রে
সজ্জিত ব্রিটিশ বাহিনীকে
বেশীদিন প্রতিরোধ করে ঠিকে থাকতে
পারেন নাই ৷ তার অস্ত্রের
মধ্যে শুধু বাঁশের
লাঠি ও স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ
করা কিছু দাঁ , বল্লম
ও ভূতা তলোয়ার
ছাড়া আর কিছুই
ছিলো না ৷ তাই
এই অসম যুদ্ধে
তিনি ১৮৩১ সালের
১৪ নভেম্বর যুদ্ধক্ষেত্রে আহত হয়ে ইন্তেকাল
করেন ৷ ফলে এই অধ্যায়ের সমাপ্তি
ঘটে এবং তার বাহিনীকেও
ধ্বংস করে ফেলা হয় এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশদের
বিরুদ্ধের প্রথম স্বাধীনতা
আন্দোলন ও সশস্ত্র
যুদ্ধের এখানে পরিসমাপ্তি
ঘটে ৷
বর্তমান স্বাধীন
বাংলাদেশে তার নামে
নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের নামকরণ
ছাড়াও বুয়েটের ছাত্রদের
একটি হলেরও নাম করন
ও করা
হয়েছে তার নামে ৷ তবে মৌলবাদী জামায়াত
ও ইসলামী ছাত্র
শিবিরের ইনটারনেটে প্রচারিত
বাঁশেরকেল্লার সঙ্গে এর কোনো আদর্শগত
মিল নেই ৷ তারা
জনগণকে ফাঁকি দিয়ে
তাদের নিজস্ব মৌলবাদী
ধান ধারণা প্রচারের
জন্য এই ঐতিহাসিক
নামের অপব্যবহার করছে মাত্র ৷
তিতুমীর প্রথমে
ধর্মের নামে এবং ধর্ম বিশ্বাসকে
ভিত্তি করে তার আন্দোলনের সূত্রপাত
করলেও পরবর্তিকালে তা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের
আন্দোলনে রূপ দিয়ে এই আন্দোলনকে সশস্ত্র
স্বাধীনতা যুদ্ধে রূপান্তরিত করতে
সক্ষম হয়েছিলেন ৷ তার প্রখর বুদ্ধি
আর জনসমর্থনকে কাজে লাগিয়ে তিনি তা করেতে সক্ষম হন ৷ অন্য কারণগুলোর মধ্যে এ আন্দোলন ও সশস্ত্র যুদ্ধ শুধু তার নিজের বা শুধু তার সম্প্রদায়ের স্বার্থের কোনো আন্দোলন ছিলো
না ৷ এটা সমগ্র
বাংলাদেশের স্বাধীনতার
আন্দোলন ছিলো ৷ তিনি ধর্মের
ব্যবহার করে শুধু
তার সমর্থকদের সংখ্যা
বাড়িয়েছিলেন প্রথম পর্যায়ে এবং পরবর্তিকালে শক্তি
অর্জনের পর তিনি
ধর্মের দিক পরিহার
করে দেশ ও দশের স্বার্থে
তার অঞ্চলের তথা বাংলাদেশের
স্বাধীনতার ঘোষণা
দিয়ে প্রমান করে গেছেন যে তিনি
সত্যিকারের একজন দেশপ্রমিক ও স্বাধীনতা
সংগ্রামী ছিলেন ৷
(সূত্র; ইহা কোনো ঐতিহাসিক লেখা নয় , ইহা রাম্য লেখা ,
কিছু তথ্য ইনটারনেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে )
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন