বাংলাদেশের বর্তমান
রাজনৈতিক ইসলাম প্রসঙ্গে
;-
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক
রাজনৈতিক আদর্শের মেরুকরণের
ফলে বর্তমানে দেশের
রাজনীতি একটি মৌলিক
আদর্শের জায়গায় পৌছে
যাচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন ৷
এখন যে মৌলিক প্রশ্নটি
দেশের অধিকাংশের ও অধিক মানুষের
মনে জেগে উঠেছে তা হচ্ছে
- বাংলাদেশ কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
এবং ধর্মনিরপেক্ষ উদার
এবং যুক্তিবাদী গণতন্ত্রের
ধারায় এগোবে ?
না কী , আবার পাকিস্তানি আমলের দ্বীজাতিতত্ত্বের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনৈতিক পথ অবলম্বন করে এগোতে থাকবে ?
অর্থাৎ বাংলাদেশ কি আবার পাকিস্তান আমলের ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক অন্ধবিশ্বাসের পথে হাঁটবে আর তালেবান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে এগোতে থাকবে ?
না কী , আবার পাকিস্তানি আমলের দ্বীজাতিতত্ত্বের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনৈতিক পথ অবলম্বন করে এগোতে থাকবে ?
অর্থাৎ বাংলাদেশ কি আবার পাকিস্তান আমলের ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক অন্ধবিশ্বাসের পথে হাঁটবে আর তালেবান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে এগোতে থাকবে ?
বাংলাদেশ কী তাই অসাম্প্রদিয়িক ও উদারনৈতক গণতান্ত্রিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার
বিকাশে যে সব রাজনৈতিক দল অগ্রগামি ভূমিকা
পালন করছে বা কিছুটা হলেও
পালনের চেষ্টা করছে জনগণ তাদেরকে সমর্থন করবে ?
যেমন কিছু বামপন্থী রাজনৈতিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল সহ আওয়ামী লীগের টপ নেতৃত্ব সহ অধিকাংশরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে থাকেন বলে এখন সাধারণ মানুষ মনে করে থাকে ৷ (অবশ্য সুবিধাবাদী একাংশ ছাড়া ) তাই এখন তাদেরকে সহায়তা করতে হবে না কি এ ধারার বিপরিতে যাদের রাজনৈতিক অবস্থান তাদেরকে সমর্থন করে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে ?
আর যদি এই ধারার বিপরিতে থাকতে আগ্রহী হন তবে এদেরকে কি এখন থেকেই প্রতিরোধের কাজে অগ্রসর হতে হবে ?
আর যার যার অবস্থান থেকে তা এখনই আরম্ভ করতে হবে ?
এখন স্বাধীনতা অর্জনের ৪৩ বছর পর বাংলাদেশবাসীদের কাছে ইহা একটা মৌলিক প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে যে তারা কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকবেন না পাকিস্তানি ধারায় আবার ফিরে যাবেন বা ফিরে যেতে চান ?
যেমন কিছু বামপন্থী রাজনৈতিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল সহ আওয়ামী লীগের টপ নেতৃত্ব সহ অধিকাংশরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে থাকেন বলে এখন সাধারণ মানুষ মনে করে থাকে ৷ (অবশ্য সুবিধাবাদী একাংশ ছাড়া ) তাই এখন তাদেরকে সহায়তা করতে হবে না কি এ ধারার বিপরিতে যাদের রাজনৈতিক অবস্থান তাদেরকে সমর্থন করে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে ?
আর যদি এই ধারার বিপরিতে থাকতে আগ্রহী হন তবে এদেরকে কি এখন থেকেই প্রতিরোধের কাজে অগ্রসর হতে হবে ?
আর যার যার অবস্থান থেকে তা এখনই আরম্ভ করতে হবে ?
এখন স্বাধীনতা অর্জনের ৪৩ বছর পর বাংলাদেশবাসীদের কাছে ইহা একটা মৌলিক প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে যে তারা কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকবেন না পাকিস্তানি ধারায় আবার ফিরে যাবেন বা ফিরে যেতে চান ?
এর পটভূমি
ব্যাখ্যা করলে দেখা
যায় যে ১৯৭১ সালে বাংলা দেশের
স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে
অর্জনের পরে পরেই
সে সময়ের তাজউদ্দিন
সরকার যে ৪-টি
রাজনৈতিক দল - ( ১ ) মুসলিম লীগ
, ( ২ ) জামায়াতে ইসলাম
পাকিস্তান , ( ৩ ) নেজামে
ইসলাম এবং ( ৪ ) মাহমদ আলী ও নুরুল আমীনের
নেতৃত্বাদীন পিডিপি ৷ এই চারটি
রাজনৈতিক দলের সকল রাজনৈতিক
কার্যক্রম স্বাধীন বাংলাদেশে
নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল
৷
কিন্তু ১৯৭৫- এ রাষ্ট্র ক্ষমতার পটপরিবর্তনে প্রতিবিপ্লবী এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীরা রাষ্ট্র
ক্ষমতা দখল করতে
সমর্থ হয় ৷ তখন থেকে আবার এই নিষিদ্ধ ঘোষিত চারটি
দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নতুন রাজনৈতিক পরিভাষা অনুসারে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতির
নামে আবার তাদের রাজনীতি করতে সুযোগ দেয়া হয় ৷ যা বর্তমানে
ও অব্যাহত আছে ৷
তবে মুসলিম লীগ ও পিডিপি
ও ভাসানী ন্যাপের
একাংশ নিয়ে পরবর্তিতে বর্তমান বিএনপি
নামের রাজনৈতিক দলটির সৃষ্টি করা হয় ৷
জামায়াতে ইসলাম
পাকিস্তান বর্তমানে জামায়াত
ইসলাম বাংলাদেশ নামে
এবং নেজামে
ইসলাম বর্তমানে আরো কিছু যোগ বিয়োগ এর পর এখন হেফাজতে
ইসলাম নামে পরিচিত
হয়েছে ৷ ( যদিও মূখে বলা হয় হেফাজত
একটা অরাজনৈতক সংগঠন ৷ তবে বাস্তবে বর্তমানে হেফাজতকে
জামায়াতের একটা অঙ্গ
সংগঠন বলে মনে
করা হয় )
এই লেখার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় সম্প্রতি জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের কিছু অংশ এখানে যুক্ত করা হলো ৷
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সব আলেমদের প্রায় প্রত্যেকেই জামায়াতকে অভিহিত করেছেন ইসলামের অপব্যখ্যাকারী বিভ্রান্তকারী গোষ্ঠী হিসাবে। ইসলামের দুর্নামের জন্য দায়ী করে অনেকেই জামায়াতকে ইসলামের শত্রু হিসবে অভিহিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠা থেকেই ধর্মকে ব্যবহার করে অপকর্ম, দেশদ্রোহিতা : উগ্র মৌলবাদী এই দলটির ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট ভারতের হায়দারাবাদে প্রতিষ্ঠা হয় আজকের এই জামায়াতে ইসলামী। মাওলানা আবু আলা মওদুদীর প্রতিষ্ঠিত এই দলের নাম ছিল ‘জামায়াতে ইসলামী হিন্দ’। বৃটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা যখন প্রায় নিশ্চিত ঠিক সেই সময়ও এই মওদুদী বলেছিলেন, ভারতের স্বাধীনতার চেয়ে এই মুহূর্তে বেশি জরুরী হলো এখানে হুকুমতের আইন প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতার কয়েকদিন আগে ১৯৪৭ সালের এপ্রিল মাসে পাটনায় জামায়াতের সম্মেলন করেন মওদুদী। আগস্টে স্বাধীনতার পর মওদুদী পাকিস্তানের লাহোরে একটি বস্তিকে ‘দারুল ইসলাম’ ঘোষণা করে সেখানে অবস্থান নিতে থাকেন। এখান থেকেই দল পরিচালনা করে উগ্রবাদী সব বইপুস্তক প্রকাশ করেন। ’৬২ সাল পর্যন্ত অন্তত ১০০ প্রবন্ধে মওদুদী বলেন, ‘পার্লমেন্টে মহিলা সদস্য আসন নাজায়েজ। অথচ ওই বছরেই ফাতেমা জিন্নার পক্ষে নির্বাচনে তার সঙ্গে কাজ করেন জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা।
এই লেখার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় সম্প্রতি জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের কিছু অংশ এখানে যুক্ত করা হলো ৷
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সব আলেমদের প্রায় প্রত্যেকেই জামায়াতকে অভিহিত করেছেন ইসলামের অপব্যখ্যাকারী বিভ্রান্তকারী গোষ্ঠী হিসাবে। ইসলামের দুর্নামের জন্য দায়ী করে অনেকেই জামায়াতকে ইসলামের শত্রু হিসবে অভিহিত করেছেন।
প্রতিষ্ঠা থেকেই ধর্মকে ব্যবহার করে অপকর্ম, দেশদ্রোহিতা : উগ্র মৌলবাদী এই দলটির ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট ভারতের হায়দারাবাদে প্রতিষ্ঠা হয় আজকের এই জামায়াতে ইসলামী। মাওলানা আবু আলা মওদুদীর প্রতিষ্ঠিত এই দলের নাম ছিল ‘জামায়াতে ইসলামী হিন্দ’। বৃটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা যখন প্রায় নিশ্চিত ঠিক সেই সময়ও এই মওদুদী বলেছিলেন, ভারতের স্বাধীনতার চেয়ে এই মুহূর্তে বেশি জরুরী হলো এখানে হুকুমতের আইন প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতার কয়েকদিন আগে ১৯৪৭ সালের এপ্রিল মাসে পাটনায় জামায়াতের সম্মেলন করেন মওদুদী। আগস্টে স্বাধীনতার পর মওদুদী পাকিস্তানের লাহোরে একটি বস্তিকে ‘দারুল ইসলাম’ ঘোষণা করে সেখানে অবস্থান নিতে থাকেন। এখান থেকেই দল পরিচালনা করে উগ্রবাদী সব বইপুস্তক প্রকাশ করেন। ’৬২ সাল পর্যন্ত অন্তত ১০০ প্রবন্ধে মওদুদী বলেন, ‘পার্লমেন্টে মহিলা সদস্য আসন নাজায়েজ। অথচ ওই বছরেই ফাতেমা জিন্নার পক্ষে নির্বাচনে তার সঙ্গে কাজ করেন জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা।
এর পরেও বর্তমানে
নাকি বাংলাদেশে আরো কমপক্ষে ৩০ / ৩২
টি উগ্র ধর্মীয়
জঙ্গী সংগঠনের অস্থিত্ব
বিদ্যমান আছে ৷ যারা দেশকে একটি
সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয়
তালেবান রাষ্ট্র গঠনে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে ৷ বিভিন্ন
স্তরে এবং ,বিভিন্ন ভাবে এবং দেশি-
বিদেশী আর্থিক সাহায্য
সহায়তায় ৷
তা ছাড়া
ও বর্তমানে বাংলাদেশী
ধর্মীয় মৌলবাদকে সরারসি
পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি
এবং ৭১- এর
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী কিছু আন্তর্জাতিক মুরব্বি
সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ কিছুদিন পূর্বেও
যুক্তরাষ্ট্র জামায়াত ইসলামের
রাজনীতিকে আধুনিক ও গণতান্ত্রিক ধর্মীয়
রাজনৈতিক একটি দল হিশেবে পরিচিতি
দিতে প্রয়াস পেয়েছে
৷ তবে পরবর্তী
পর্যায়ে জামায়াতের সঙ্গে
জঙ্গী রাজনীতির সংযোগ রয়েছে এমন একটা খবর মার্কিনীদের কাছে সত্য প্রমানিত হওয়ায় এই পর্যায়ে এখন জামায়াতের
ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান
ভূমিকা কিছুটা অস্পষ্ট
হয়ে পড়েছে ৷ কিন্তু দেশের
মধ্যে এখন জঙ্গী ও উগ্রবাদের আবির্ভাব
যে ঘটে গেছে তা গত সরকার বিরোধী
আন্দোলনে বিএনপি ও জামায়াত ও হেফাজতের আন্দোলনের
ধারায় যথেষ্ট ভাবে
প্রমাণিত হয়ে গেছে
বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন ৷
তবে জাতিগতভাবে
বাংলাদেশীদের একটা অন্যতম
প্রধান বৈশিষ্ট্য আছে , আর তা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা ও উদারতা ৷ যা এদেশের
মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে ধারণ করে
তা লালন
পালন করে আসছে
৷
তাই ১৯৪৭ সালে দ্বী-জাতিতত্ত্বের মাধ্যমে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তানের সৃষ্টি হওয়ার পর পর ই বাঙালীরা এর বিরোধীতায় রাস্তায় নেমে এসেছিল ৷ যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১- এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এর বাস্তবতা প্রমাণ করে , একটি স্বাধীন ও সার্বভোম রাষ্ট্র গঠনে বাঙালীরা সক্ষম হয়েছে ৷
তাই ১৯৪৭ সালে দ্বী-জাতিতত্ত্বের মাধ্যমে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তানের সৃষ্টি হওয়ার পর পর ই বাঙালীরা এর বিরোধীতায় রাস্তায় নেমে এসেছিল ৷ যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১- এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এর বাস্তবতা প্রমাণ করে , একটি স্বাধীন ও সার্বভোম রাষ্ট্র গঠনে বাঙালীরা সক্ষম হয়েছে ৷
কিন্তু পাকিস্তানি
সহ এদেশীয় তাদের
দোসরা যারা পাকিস্তানের
পরাজয় মেনে নিতে
পারে নি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের
আবির্ভাব চায় নি তারা এটা কোনো ভাবেই
মেনে নিতে পরে নি ৷ এখন দেশের রাজনীতির বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে প্রতিয়মান
হচ্ছে যে কৌশলগত কারণে
তারা সাময়িকভাবে পশ্চাদপসারণ
করেছিলো মাত্র ৷
তাই তারা এখন পরবর্তিত পরিস্থিতিতে এক নতুন আঙ্গিকে এক নতুন শক্তিতে আবার তাদের নিজেদের নতুন ভাবে বিন্যাস করে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ৷ আর তাদের এই জঙ্গী ও উগ্র মৌলবাদী চিন্তাধারাকে জোরপূর্বক সমাজের ওপর চাপিয়ে দেয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে ৷ এ দেশের মানুষের সহজাত ও সরল ধর্মবিশ্বাসকে সফল ভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে ৷ অন্যদিকে তাদের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও সামাজিক শক্তিশালী ভিত্তির কারণে ধর্মীয় মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদ ও এদেশে দ্রুত বিস্তিতি লাভ করতে পারছে ৷
তাই তারা এখন পরবর্তিত পরিস্থিতিতে এক নতুন আঙ্গিকে এক নতুন শক্তিতে আবার তাদের নিজেদের নতুন ভাবে বিন্যাস করে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ৷ আর তাদের এই জঙ্গী ও উগ্র মৌলবাদী চিন্তাধারাকে জোরপূর্বক সমাজের ওপর চাপিয়ে দেয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে ৷ এ দেশের মানুষের সহজাত ও সরল ধর্মবিশ্বাসকে সফল ভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে ৷ অন্যদিকে তাদের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও সামাজিক শক্তিশালী
৷
বাংলাদেশ নীতিগত
ভাবে একটি বহুজাতির
, বহুভাষার ও বহুধর্মের এবং বহু বর্ণের
দেশ ( সংখ্যা যতোই
কম হউক না কেন ) তাই
৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বাঙালীদের
পাশাপাশি আদিবাসী . চা-শ্রমিক সহ দলিত জণগোষ্ঠীর
মানুষ ও অংশ গ্রহন করেছিলো
৷ আর পুরুষের
পাশাপাশি নারীরাও মুক্তিযুদ্ধে যার যার অবস্থান
থেকে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে যুদ্ধের বিভিন্ন ফ্রন্টে ৷
তাই বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনা
ও সমানাধিকারের ভিত্তিতে
ধর্ম - বর্ণ - লিঙ্গ - গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে
সম-মার্যাদা দিয়ে রাষ্ট্রকে
এগোতে হবে ৷ আর এ জন্যে অবশ্যই
রাষ্ট্র নিজে কোনো
নির্দিষ্ট ধর্মবিশ্বাসকে পৃষ্ঠপোষকতা
করতে পারবে না ৷ ধর্মভিত্তিক
রাজনীতি বন্ধ করতে
হবে ৷ কারণ
যতদিন ধর্মনিয়ে রাজনীতি
করার সুযোগ থাকবে
ততদিন দেশে সাম্প্রদায়িকতা ও থাকতে বাধ্য
৷ আর যতদিন
রাষ্ট্রধর্মের নামে একটি
বিশেষ ধর্মের প্রতি
রাষ্ট্রের পক্ষপাতিত্ব থাকবে
ততদিন এই সাম্প্রদায়িকতাও অব্যাহত
থাকবে ৷
কারণ বিশ্বের
সকল ধর্মের ভেতরই
মৌলবাদের উপাদান রয়েছে
৷ শান্তির ধর্ম
ইসলামের নামে সারা
বিশ্বে কী হচ্ছে তা তো মানুষ এখন দেখছে ৷ আজকাল ধর্মের
নামে উগ্র- জঙ্গী ও মৌলবাদের যে উথ্থান
ঘটেছে সমস্ত বিশ্বে , যার আওতায়
এখন বাংলাদেশ ও এসে পড়েছে
এবং ক্রমান্নয়ে দিন দিন এর পরিধি বাড়তে আরম্ভ করছে এর প্রতিরোধ করা এখন সবার
জন্যে জরুরী হয়ে পড়েছে ৷
তাই শান্তির
ধর্ম ইসলামের নামে
রাজনৈতিক ইসলামের ধর্মীয়
রাজনৈতিক ব্যবহার এখনই
সম্পূর্ণ বন্ধ করতে
হবে ৷ এবং রাষ্ট্রের
স্থিতিশীলতা সহ ধর্মনরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রিক ধারা
অব্যাহত রাখতে হলে রাষ্ট্রকে একাজ
এখনই এবং অতিশিঘ্রই
তা করতে হবে ৷ আর এ কাজে সফলতা অর্জন
করতে হলে অবশ্যই বর্তমানে প্রচলিত
মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী
করে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মত ধর্মশিক্ষা
সহ অন্যান্য সব ধরনের শিক্ষা
প্রদানের ব্যবস্থা করতে
হবে পর্যায়ক্রমে এবং অল্পসময়র মধ্যেই
৷ এই সঙ্গে দেশে মুক্তচিন্তার সুযোগ তৈরি করতে দেশের আইনের সংস্কার করতে হবে আবার ৷ কোনো সম্প্রদায়ের কাছে সরকারের গ্রহণ বাড়াতে মুক্তচিন্তা বন্ধের যে আইন প্রণয় করা হয়েছে , দেশ ও জাতির বৃহত্তর সার্থে তা বাতিল করা প্রয়োজন ৷
প্রসঙ্গক্রমে এখানে বর্তমান বাংলাদেশে মৌলবাদী অর্থনীতির কিছু তথ্য সংযোজন করা হল ৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ক সাম্প্রতিক গবেষণায় জঙ্গী তৎপরতা, কর্মকান্ড, আর্থিক উৎস, সহ একটি সার্বিক চিত্র উঠে এসেছে। তিনি এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন ৷
এই বিশাল অংকের মুনাফা কোন্ কোন্ খাত হতে আসে তার বর্ণনায় তিনি বলেছেন - সর্বোচ্চ ২৭ ভাগ আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি থেকে)। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক আট ভাগ আসে বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা থেকে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১০ দশমিক আট ভাগ, ঔষধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১০ দশমিক চার ভাগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৯ দশমিক দুই ভাগ, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে ৮ দশমিক পাঁচ ভাগ, সংবাদ মাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে আসে সাত দশমিক আট ভাগ, পরিবহন যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭ দশমিক পাঁচ ভাগ। এর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বার্ষিক আয় ৫৪০ কোটি টাকার বেশি। খুচরা-পাইকারি-ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে আয় ২১৬ কোটি টাকা, ওষুধ খাত থেকে আয় ২০৮ কোটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৪ কোটি, পরিবহন যোগাযোগ খাত থেকে বার্ষিক আয় দেড় শ’ কোটি টাকা। এ ছাড়াও ২৩১টি বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) রয়েছে যার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। মোটামুটি ৮ ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান গত ৩৭ বছরে বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা যোগ করেছে মৌলবাদের অর্থনীতিতে। এদের সহায়তায় দিনের পর দিন আর্থিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে জঙ্গীবাদ।
এইভাবে দেশ-বিদেশ থেকে সংগৃহীত অর্থ তারা দলকে সুসংগঠিত করার কাজে ব্যয় করছে।
প্রসঙ্গক্রমে এখানে বর্তমান বাংলাদেশে মৌলবাদী অর্থনীতির কিছু তথ্য সংযোজন করা হল ৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক অর্থনীতি বিষয়ক সাম্প্রতিক গবেষণায় জঙ্গী তৎপরতা, কর্মকান্ড, আর্থিক উৎস, সহ একটি সার্বিক চিত্র উঠে এসেছে। তিনি এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন ৷
এই বিশাল অংকের মুনাফা কোন্ কোন্ খাত হতে আসে তার বর্ণনায় তিনি বলেছেন - সর্বোচ্চ ২৭ ভাগ আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি থেকে)। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক আট ভাগ আসে বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা থেকে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১০ দশমিক আট ভাগ, ঔষধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১০ দশমিক চার ভাগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৯ দশমিক দুই ভাগ, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে ৮ দশমিক পাঁচ ভাগ, সংবাদ মাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে আসে সাত দশমিক আট ভাগ, পরিবহন যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭ দশমিক পাঁচ ভাগ। এর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বার্ষিক আয় ৫৪০ কোটি টাকার বেশি। খুচরা-পাইকারি-ডিপার্টমেন্টাল স্টোরসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে আয় ২১৬ কোটি টাকা, ওষুধ খাত থেকে আয় ২০৮ কোটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮৪ কোটি, পরিবহন যোগাযোগ খাত থেকে বার্ষিক আয় দেড় শ’ কোটি টাকা। এ ছাড়াও ২৩১টি বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) রয়েছে যার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। মোটামুটি ৮ ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান গত ৩৭ বছরে বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা যোগ করেছে মৌলবাদের অর্থনীতিতে। এদের সহায়তায় দিনের পর দিন আর্থিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে জঙ্গীবাদ।
এইভাবে দেশ-বিদেশ থেকে সংগৃহীত অর্থ তারা দলকে সুসংগঠিত করার কাজে ব্যয় করছে।
ইহাতে সহজেই আন্দাজ করা যায় যে দেশে হঠাৎ করে এত লোক কেন মৌলবাদের পক্ষে চলে যাচ্ছে আর সূশীল সমাজের তথাকথিত বুদ্ধিজিবীরা কেনো মৌলবাদের পক্ষে কথা বলেন ৷ জামায়াতী সূত্রে প্রকাশ , তাদের বর্তমান টার্গেট ধর্মনিরপেক্ষ বুদ্ধিজিবী সহ ক্ষমতাসীন দলের একাংশ ৷ তারা আরো বিশ্বাস করে যে তাদের এই টার্গেটও পূর্ণহতে বেশী সময়ের প্রয়োজন হবে না ৷
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন