বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার প্রসঙ্গে কিছু কথা :
আজকে আল-কায়েদা
প্রধান আরমান আল - জাওয়াহিরির এনটারনেটে
তাদের ওয়েবসাইডে এক ভিডিও বার্তা
প্রকাশ করেছে ৷ এতদিন তার
এসব ভিডিও বার্তা
পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাপার
থাকলেও , এবারের
বার্তায় বাংলাদেশকে সংশ্লিষ্ট
করা হয়েছে ৷ এতদিন আল-কায়েদার
সঙ্গে জামায়াত ও হেফাজেতের সম্পর্ক থাকার কথা বাতাসে চাউর
থাকলে ও অনেকের
কাছেই এটা বিশ্বাস
যোগ্য ছিল না ৷ আরমান জাওয়াহিরির
আজকের এই ভিডিও বার্তা সকল সন্দেহের অবসান
ঘটালো ৷ অবশ্য সঠিক না বেঠিক তা নিয়ে কিছু টানাটানি চলবে হয়ত কিছুদিন ৷ তবে এতে এই বার্তার অর্থ ভিন্ন হয়ে যাবে না নিশ্চয় ৷
আল-কায়েদা প্রধান
সরাসরি বংলাদেশ জামায়াত
ও তাদের সৃষ্ট
বর্তমানে বাংলাদেশে বহুল
আলোচিত ১৩ দফা
দাবীনামা পেশকরা কারী ইসলামী
নামদারি সংঘটন হেফাজতি
ইসলামের উদ্দেশ্যে বলেছেন
, তারা যেন অচীরেই বাংলাদেশে
আল-কায়েদা স্টাইলে ইসলামী
জিহাদের ডাক দেয় এবং জিহাদ
আরম্ভ করে ৷ তিনি বাংলাদেশের ৭১ সালের স্বাধীনতার যুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধকে ইসলাম
ধ্বংসের একটি পদক্ষেপ
মনে করেন বলে তার বক্তব্যে
উল্লেখ করেছেন ৷ এ প্রসঙ্গে আল-কায়েদা সংক্রান্ত কিছু তথ্য যা পত্র , পত্রিকাতে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছিল , তা এখান সংযোজন করা হলো, আগ্রহীদের জন্যে ৷
২০০১ সালে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটে। বহুল আলোচিত আফগান যুদ্ধে অন্তত ১২ হাজার বাংলাদেশী অংশ নেয় যার মধ্যে ১ হাজার ৮২ জন ছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের। আফগান ফেরত যোদ্ধারা দেশে ফিরে ঢাকার খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘জাগো মুজাহিদ’ নামে একটি সংগঠন করে। ১৯৯৫ সালের দিকে মুফতি হান্নান অন্তত ৩ হাজার আফগান ফেরত যোদ্ধাকে সংগঠিত করে। সংগঠিত দলটিকে হরকত-উল-জিহাদ অব বাংলাদেশ সংক্ষেপে (হুজিবি) নাম দেয়া হয়। হুজিবিই পরবর্তীতে হুজি নাম ধারণ করে। হুজি গঠনে বিএনপি-জামায়াতের একটি অংশ নানাভাবে সহযোগিতা করে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী একটি মুসলিম দেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা হুজি গঠনে আর্থিক সহায়তা করে। আফগান যুদ্ধে অংশ নেয়া ভারতীয় ও পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার মুজাহিদরা হুজি ও জেএমবির সঙ্গে যোগ দেয়। এ দেশীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে প্রাপ্ত মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে আফগান ফেরত জঙ্গীরা দেশের বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মাদ্রাসার নামে ১৫টি ট্রেনিং ক্যাম্প চালু করে। ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব পালন করে মুফতি হান্নান, মুফতি মাওলানা আব্দুস সালাম, শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, ভারতীয় জঙ্গী মুফতি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ও মাওলানা হাবিবুল্লাহ।
২০০২ সালের ২০ অক্টোবর টাইম ম্যাগাজিনের এলেক্স পেরি জঙ্গীবাদের ওপর প্রতিবেদন করেন। সেখানে বলা হয় ২০০১ সালের ২১ ডিসেম্বর আল-কায়দা ও তালেবান জঙ্গী বাংলাদেশে প্রবেশ করে; বিন লাদেনের সেকেন্ড ম্যান মিসরীয় নাগরিক চট্টগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং কয়েক মাস এখানে থাকে। বাংলাদেশে পরিপূর্ণভাবে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছে এ বিষয়টি পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত হয় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বোমা হামলার মধ্যে দিয়ে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) দেশের ৬৩ জেলার (মুন্সীগঞ্জ বাদে) গুরুত্বপূর্ণ সাড়ে ৪শ’ স্থানে প্রায় সাড়ে ৫শ’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গী হামলার প্রকাশ্যে প্রচার চালায়। হামলায় দুজন নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রকাশ্যে জঙ্গী কার্যক্রম।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি, তাঁর সন্তান ও তাঁর কিছু মন্ত্রীবর্গের সহায়তায় জঙ্গী গোষ্ঠীর প্রকাশ্যে তৎপরতা শুরু হয়। এ কথাটিকে এত জোর দিয়ে বলা সম্ভব হচ্ছে এর কারণ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ২০০৪ সালে ছাত্র শিবিরের এক সম্মেলনে বলেছিলেন যে ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদল একই মায়ের দুই সন্তান। এতে জঙ্গী সংগঠনগুলো উৎসাহ নিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বাংলাদেশে জঙ্গীদের অবস্থান সম্পর্কে তৎকালীন সরকারকে জানানো হলে তারা রাগান্বিত হয়। এভাবেই তারা জঙ্গীদের মদদ দিয়ে এসেছে এবং দিচ্ছে। এর পরিণতি আমরা দেখেছি, সিরিজ বোমা হামলায় বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাসহ ৩৩ জন নিহত হন; আহত হন ৪ শতাধিক।
বাংলাদেশ জঙ্গীকবলিত হয়ে পড়ায় সেই ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিম-লে আলোচিত হয়। সিরিজ বোমা হামলার স্থান হিসেবে হাইকোর্ট, সুপ্রীমকোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, বাংলাদেশে থাকা মার্কিন দূতাবাস, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব ও সরকারী-আধাসরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বেছে নেয়া হয়। হামলার স্থানসমূহে জামাতুল মুজাহিদীনের লিফলেট পাওয়া যায়। লিফলেটগুলোতে বাংলাদেশে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে বক্তব্য লেখা ছিল। দেশের কর্মরত বিচারকদের প্রতি একটি বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, দ্রুত এদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে হবে। নতুবা কঠিন পথ বেছে নিতে বাধ্য হবে জেএমবি। ইসলামী হুকুমত কায়েমের বিষয়ে তাদের সঙ্গে দেশ-বিদেশের অনেক শক্তিশালী দেশ ও শীর্ষ রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করেছে। ঐ সময় জঙ্গী গ্রেফতারে তৎপর হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গ্রেফতার হয় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, আতাউর রহমান সানি, খালেদ সাইফুল্লাহসহ আরও অনেকে। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতের অনেকের সঙ্গেই তাদের সখ্য ছিল।
আমাদের দেশে ইসলামী জঙ্গীবাদের আদি উৎসস্থল হচ্ছে বিভিন্ন ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো এবং তাদের শিরোমণি হচ্ছে ‘জামায়াতে ইসলাম। বাংলাদেশে এরকম ১২৫টি জঙ্গী সংগঠন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামী ঐক্যজোট, জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদ, শাহাদৎ-ই-আল হিকমা, আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ (আহাব), হিজবুত তওহিদ, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি), হিজবুত তাহরির, আনসারুল্লাহ মুসলামিন, বাংলাদেশ ইসলাম রক্ষা কমিটি, আল হারাত আল ইসলামিয়া, জামায়াতুল ফালাইয়া, তওহিদী জনতা ইত্যাদি। এ সকল ইসলামী দলগুলো বিভিন্ন নামীদামী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানের ছত্রছায়ায় থেকে তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদের কাজ চালিয়ে নিচ্ছে।
২০০১ সালে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটে। বহুল আলোচিত আফগান যুদ্ধে অন্তত ১২ হাজার বাংলাদেশী অংশ নেয় যার মধ্যে ১ হাজার ৮২ জন ছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের। আফগান ফেরত যোদ্ধারা দেশে ফিরে ঢাকার খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘জাগো মুজাহিদ’ নামে একটি সংগঠন করে। ১৯৯৫ সালের দিকে মুফতি হান্নান অন্তত ৩ হাজার আফগান ফেরত যোদ্ধাকে সংগঠিত করে। সংগঠিত দলটিকে হরকত-উল-জিহাদ অব বাংলাদেশ সংক্ষেপে (হুজিবি) নাম দেয়া হয়। হুজিবিই পরবর্তীতে হুজি নাম ধারণ করে। হুজি গঠনে বিএনপি-জামায়াতের একটি অংশ নানাভাবে সহযোগিতা করে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী একটি মুসলিম দেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা হুজি গঠনে আর্থিক সহায়তা করে। আফগান যুদ্ধে অংশ নেয়া ভারতীয় ও পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার মুজাহিদরা হুজি ও জেএমবির সঙ্গে যোগ দেয়। এ দেশীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে প্রাপ্ত মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে আফগান ফেরত জঙ্গীরা দেশের বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মাদ্রাসার নামে ১৫টি ট্রেনিং ক্যাম্প চালু করে। ট্রেনিংয়ের দায়িত্ব পালন করে মুফতি হান্নান, মুফতি মাওলানা আব্দুস সালাম, শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, ভারতীয় জঙ্গী মুফতি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ও মাওলানা হাবিবুল্লাহ।
২০০২ সালের ২০ অক্টোবর টাইম ম্যাগাজিনের এলেক্স পেরি জঙ্গীবাদের ওপর প্রতিবেদন করেন। সেখানে বলা হয় ২০০১ সালের ২১ ডিসেম্বর আল-কায়দা ও তালেবান জঙ্গী বাংলাদেশে প্রবেশ করে; বিন লাদেনের সেকেন্ড ম্যান মিসরীয় নাগরিক চট্টগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং কয়েক মাস এখানে থাকে। বাংলাদেশে পরিপূর্ণভাবে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছে এ বিষয়টি পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত হয় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বোমা হামলার মধ্যে দিয়ে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) দেশের ৬৩ জেলার (মুন্সীগঞ্জ বাদে) গুরুত্বপূর্ণ সাড়ে ৪শ’ স্থানে প্রায় সাড়ে ৫শ’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জঙ্গী হামলার প্রকাশ্যে প্রচার চালায়। হামলায় দুজন নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রকাশ্যে জঙ্গী কার্যক্রম।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি, তাঁর সন্তান ও তাঁর কিছু মন্ত্রীবর্গের সহায়তায় জঙ্গী গোষ্ঠীর প্রকাশ্যে তৎপরতা শুরু হয়। এ কথাটিকে এত জোর দিয়ে বলা সম্ভব হচ্ছে এর কারণ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ২০০৪ সালে ছাত্র শিবিরের এক সম্মেলনে বলেছিলেন যে ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদল একই মায়ের দুই সন্তান। এতে জঙ্গী সংগঠনগুলো উৎসাহ নিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বাংলাদেশে জঙ্গীদের অবস্থান সম্পর্কে তৎকালীন সরকারকে জানানো হলে তারা রাগান্বিত হয়। এভাবেই তারা জঙ্গীদের মদদ দিয়ে এসেছে এবং দিচ্ছে। এর পরিণতি আমরা দেখেছি, সিরিজ বোমা হামলায় বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাসহ ৩৩ জন নিহত হন; আহত হন ৪ শতাধিক।
বাংলাদেশ জঙ্গীকবলিত হয়ে পড়ায় সেই ঘটনা আন্তর্জাতিক পরিম-লে আলোচিত হয়। সিরিজ বোমা হামলার স্থান হিসেবে হাইকোর্ট, সুপ্রীমকোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, বাংলাদেশে থাকা মার্কিন দূতাবাস, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব ও সরকারী-আধাসরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বেছে নেয়া হয়। হামলার স্থানসমূহে জামাতুল মুজাহিদীনের লিফলেট পাওয়া যায়। লিফলেটগুলোতে বাংলাদেশে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে বক্তব্য লেখা ছিল। দেশের কর্মরত বিচারকদের প্রতি একটি বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, দ্রুত এদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে হবে। নতুবা কঠিন পথ বেছে নিতে বাধ্য হবে জেএমবি। ইসলামী হুকুমত কায়েমের বিষয়ে তাদের সঙ্গে দেশ-বিদেশের অনেক শক্তিশালী দেশ ও শীর্ষ রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করেছে। ঐ সময় জঙ্গী গ্রেফতারে তৎপর হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গ্রেফতার হয় জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, আতাউর রহমান সানি, খালেদ সাইফুল্লাহসহ আরও অনেকে। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াতের অনেকের সঙ্গেই তাদের সখ্য ছিল।
আমাদের দেশে ইসলামী জঙ্গীবাদের আদি উৎসস্থল হচ্ছে বিভিন্ন ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো এবং তাদের শিরোমণি হচ্ছে ‘জামায়াতে ইসলাম। বাংলাদেশে এরকম ১২৫টি জঙ্গী সংগঠন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইসলামী ঐক্যজোট, জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদ, শাহাদৎ-ই-আল হিকমা, আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ (আহাব), হিজবুত তওহিদ, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি), হিজবুত তাহরির, আনসারুল্লাহ মুসলামিন, বাংলাদেশ ইসলাম রক্ষা কমিটি, আল হারাত আল ইসলামিয়া, জামায়াতুল ফালাইয়া, তওহিদী জনতা ইত্যাদি। এ সকল ইসলামী দলগুলো বিভিন্ন নামীদামী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানের ছত্রছায়ায় থেকে তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদের কাজ চালিয়ে নিচ্ছে।
(সূত্র ; ওয়ালিয়র রহমান )
বাংলাদেশের মানুষ
কোনো সময়েই রাজনীতিকে
ধর্মের সঙ্গে একত্রিত
করতে চায় না ৷ তাই
কোনো ধর্মীয় রাজনৈতিক
সভা সমাবেশে
কেউকে তেমন ভাবে
যোগদান করতে দেখা যায় না ৷ যেমন অরাজনৈতিক
ধর্মীয় সংগঠন তাবলীগ
জামাত এর বার্ষিক
সভা বিশ্ব-ইস্তিমাতে স্বেচ্ছায় লাখে লাখে সর্বস্তরের
মানুষ যোগ দিয়ে থাকে ৷
এই উপ-মহাদেশের যেন বর্তমানে
আবার জোর করে নতুন ভাবে
ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠার
চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ আর বাংলাদেশে জামায়াত ও হেফাজত এ ব্যাপারে কার্যকর
ভূমিকা পালনে এগিয়ে
এসেছে ? তারা অর্থ , বুদ্ধি ও পেশাশক্তি বলে বিএনপি সহ ১৮ দলভূক্ত জোটের সকল রাজনৈতিক দলকে
তাদের কার্যক্রমের অংশীদার
করতে সফল হয়েছে ৷ যদিও ঐ সব দলের বা জোটের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনেকেই ধর্মভিত্তিক দল জামায়াত এবং হেফাজতের সঙ্গে রাজনীতিতে থাকতে আগ্রহী নয় ৷ দলের উচ্চ-পর্যায়ের নেতাদের সাথে তরা একটি সমজোতায় পৌছার ফলে জামায়াতরা এই জোটভূক্ত হতে পেরেছে ৷
তবে ব্রিটিশ
ঔপনিবেশিক শাসকরাই প্রথমে এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের
ব্যবহার শুরু করেছিলো তাদের শাসন কার্যের
সুবিধার্থে ৷ তারা
তাদের বহুল আলোচিত ডিভাইড
এন্ড রুল পলিসির
আওতায় তারা পাক-ভারতে
হিন্দু ও মুসলমানদের
ধর্মের মাধ্যমে বিভক্ত
করে সুফল অর্জন করে ৷ পরে মুসলমানদের মধ্যে ও বিভাজনের সৃষ্টি করতে
পেরেছিল ৷ প্রথমে শিয়া
ও সুন্নি এবং
পরে সুন্নিদের মধ্যে
, দেওবন্দি , বাহলভী , সুফিবাদী , তরিকাপন্থি ইত্যাদি
বিভিন্ন উপ-দলে বিভক্ত
করে ৷ আর এই সবকাজে
নেপথ্যে তাদের ( ব্রিটিশদের ) আর্থিক
সহায়তা সহ অন্যান্য
সহায়তা বিদ্যমান ছিলো
বলে পরবর্তীতে প্রকাশ
পেয়েছে ৷
পাকিস্তানিরা ও দেশ বিভাগের
পরে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের চেষ্টা
করে ৷ আর পাকিস্তানিরই বাঙালীদের বাংলাদেশকে একটি
স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করে
দিয়েছিলো ৷ পাকিস্তানিরা রাজনীতিতে
শুধু ধর্মের ব্যবহারই
করে নাই তারা বাঙালী
এবং অবাঙালী বিহারীদের
মধ্যেও দাঙ্গা সৃষ্টি
করে রাজনৈতিক ফায়দা
নিতে চেষ্টা করেছিলো
৷ কিন্তু দূর্জয়
এই বাংলায় পাকিস্তানিদের কোনো
প্রচেষ্টাই সফল হতে পারেনি শেষ পর্যন্ত ৷ বাংলাদেশে ভবিষ্যতেও
নিশ্চয় বিএনপি , জামায়াত
এবং হেফাজতের
মাধ্যমে পাকিস্তান আই এস আই ও অন্যান্যদের সকল চেষ্টা
ব্যর্থ হবে ৷
পাকিস্তানিরা বাঙালীদের বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন
, চুয়ান্নের প্রাদেশিক
নির্বাচন , উনসত্তরের
গণ অভ্যূথ্থান , সত্তরের নির্বাচন
এবং সর্বশেষ ৭১- এর মুক্তিযুদ্ধ
ও স্বাধীনতা যুদ্ধসহ
জনগণের সকল গণতান্তিক
ও অসাম্প্রদায়িক আন্দোলনে
রাজনৈতিক ভাবে ধর্মকে
এসব আন্দোলনের বিরোধ্যে
ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ৷ তবে সবসময়েই এদেশের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ব্যর্থ হয়েছে ৷ যেমন এবার
তরুণদের শাহবাগ গণজাগরণ
মঞ্চের আন্দোলনকে রাজনৈতিক
ভাবে ব্যর্থ করতে বিএনপি , জামায়াত
, হেফাজত সম্মলিত
হয়ে একজোটবদ্ধ হয়ে
মাঠে নেমেছিলো ৷ তবে তারা সফল হতে পারেনি , বরং তারাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বর্তমানে নতুন প্রজন্মর কাছে ৷
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে
ও মুসলিম লীগ
, জামায়াত , নেজামী ইসলাম
ও পিডিপি শুধু
এর বিরোধ্যে অবস্থান
নেয়নি , তারা
সরাসরিভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা
যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও অংশ
নিয়েছিলো ৷ জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানকে সাহায্যে
করতে গঠন করেছিলো রাজাকার , আল-বদর
ও আল-শামস বাহিনীর
এবং নেজামে ইসলাম
প্রতিষ্ঠা করেছিলো মাদ্রাসাভিত্তিক মোজাহিদ
বাহিনীর আর মসলিম
লীগ ও পিডিপি
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে
জাতিসঙ্ঘ সহ সমস্ত
বিশ্বে পাকিস্তানর পক্ষে
এবং মুক্তিযুদ্ধদের বিপক্ষে
প্রচারে অংশ নিয়ে
ছিলো ৷ জেনারেল
জিয়ার মন্ত্রীসভার প্রধানমন্ত্রী শহ্
আজিজ এবং পরবর্তীকালে পাকিস্তানের সমাজকল্যাণ
মন্ত্রী সিলেটের মাহমদ
আলী জাতিসংঘের জেনারেল অধিবেশনে
যোগদান করেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে
বক্তব্য পেশ করেন ৷ আর এদের
সহায়তায় পাকিস্তানিরা মুক্তিযুদ্ধ
চলাকালিন সময়ে ত্রিশ
লাখ মানুষকে হত্যা
করেছে এবং তিন লাখের বেশী
নারীদের তারা অত্যাচার ও ধর্ষণ সহ অনেককে হত্যাও
করেছে ৷
৭১-এ বংলাদেশের
স্বাধীনতা অর্জনের পর এই ধারার
রাজনীতির সমাপ্তি ঘোষিত
হয়েছিলো সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির বাইরে যে কোনো ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে নিষিদ্ধের কারণে ৷ কিন্তু
৭৫-এর ক্ষমতার পটপরির্তনে অর্থাৎ প্রতিবিপ্লবী এবং পাকিস্তানি ধারার
রাজনৈতিক নেতাদের ষড়যন্ত্রে
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে
সপরিবারে হত্যা করা হলে পরবর্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারার
বিপরিতে দেশকে পরিচালিত
করার পেক্ষাপট তৈরি হয় ৷
এরই ধরাবাহিকতার অংশ হিসেবে
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ও অনির্বাচিত জেনারেল জিয়া
এবং তাকে হত্যা
করা হলে তার পরবর্তী সাকসেসার
জেনারেল এরশাদ , মানুষের কাছে সস্তা
জনপ্রিয়তার আশায় নিজের এবং দলের ক্ষমতা চিরস্থায়ি করতে , ধর্মকে নতুন আঙ্গিকে
রাজনীতিতে আমদানি করেন ৷ প্রথম জন , অর্থাৎ জেনারেল জিয়া সংবিধানে বিছমিল্লাহ… যোগ করেন ৷ আর পরের
জন জেনারেল এরশাদ ইসলামকে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে যুক্ত
করেন ৷ কিন্তু রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করেও শেষ অবধি ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে পারেন নি ৷ তবে তার শাসনের ১০ বছরে
তার অনুসারী সুবিধাভোগী
একটি শ্রেণী প্রতিষ্ঠায়
অবশ্য তিনি সক্ষম হয়ে ছিলেন ৷ যাদের অবস্থান
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরিতে ছিলো এবং ধর্ম ব্যবসায়িদের
পক্ষে ছিলো ৷ তবে তাদের
কোনো আদর্শ ছিলো
না ৷ তাই তারা সব সময়েই পরিস্থিতি
বুঝে পক্ষ বদল করেছেন নিজেদের ক্ষমতার অংশীদাররূপে ঠিকে থাকার
স্বার্থে ৷ বংলাদেশে এখনও এই ধারাসহ এদের অস্থিত্ব্ বিদ্যমান আছে ৷ হয়ত চিরকালও থাকবে এই ধারা এই দেশে ৷
৯১-এর পরে বহুদলীয়
গণতন্ত্রের নামে এবং মুক্তযুদ্ধে স্বাধীনতার
ঘোষনাকারী হিসেবে জেনারেল
জিয়াকে প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ তবে নির্বাচনে জিতে বিএনপি সকল সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় রাজনৈতিক
দলের সমন্নয়ে রাজনৈতিক
জোট গঠন করে ৷ এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক
ধারাকে পূনঃর্জীবিত করে সেই ধারায়
দেশকে পরিচালিত করেন ৷ তবে তা জণগণের কাছে
গ্রহনযোগ্য হয়নি ৷
তাই ৯৬-এ আওয়ামী লীগ ৭৫-এর পর আবার ক্ষমতায়
আসতে পেরেছে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ৷ কিন্তু
তারা এত অল্পসময়ে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায়
দেশকে সম্পূর্ণ ফিরিয়ে
আনতে পারেনি ৷ তারা একটি দুর্বল সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল মাত্র সংসদে তাদের আসন কম থাকার জন্যে ৷
আর ২০০১-
এ আবার
বিএনপি জোট সুকৌশলে
ক্ষমতায় ফিরে আসে এবং যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতার
অংশীদার করে এবং মন্ত্রীত্বে
ও অসীন করে৷ তাই তারা আর পরের টার্মে
ক্ষমতায় আসতে পারে নাই ৷ বিভিন্ন
পদক্ষেপ গ্রহন করে ও তারা ক্ষমতায় আসতে ব্যর্থ
হয় ৷
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের
প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায়
এসে তাদের বিচার
আরম্ভ করলে তাদের
জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় ৷ তাই তারা শাসনতন্ত্রে পরিবর্তন
এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
অধিনে নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ৷ এর প্রতিবাদে বিএনপি জোট নির্বাচনে
অংশ গ্রহনে বিরত থাকে ৷ এবং নির্বাচনে প্রধান বিরোধী জোট ছাড়াই প্রায়
একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসেছে ৷ কিন্তু
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি
একাত্বতা প্রকাশ
করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার
প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে মাঠে নামে ৷ কিন্তু বিএনপি ও জামায়াত জোটের আন্দোলনে সাধরণ জনগণ
মাঠে নামে নি ব্যাপকভাবে ৷ তবে বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে এবং এর বিপক্ষে এখন জণগণের মধ্যে
একটা বিভক্তি ষ্পষ্ট হয়ে উঠেছে
৷ আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে
৭১ সালের মত একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের
সূচনা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন ৷
এখন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ জোটের রাজনীতির
আদর্শিক একটি পার্থক্য স্পষ্টতর
হয়ে উঠেছে জনগণের কাছে ৷ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি এবং একটি সাম্প্রদায়িক ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ৷
তাই
আওয়ামী লীগ যদি এখন জণগণের চাহিদা
পূর্ণকরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
বাস্তবায়িত করতে পদক্ষেপ
নেয় এবং শাহবাগের জণজাগরন মঞ্চের গড়ে ওঠা আন্দোলনের
পক্ষে থেকে আর দেশের
নতুন প্রজন্মের তরুণদের
কাজে লাগাতে পারে
এবং তাদের দলীয়
ক্যাডারদের কার্যক্রম বন্ধ
করতে পারে তবে জণগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হতে পারবে ৷ আর সমাজের এই বিভক্তি ও বিভাজন আওয়ামী
লীগের পক্ষেই থাকবে ৷ আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি ও ব্যর্থ হয়ে যাবে চিরতরে ৷
তবে আল-কায়েদা প্রধানের এই জিহাদী ডাক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার
পক্ষে আরো জনমত বাড়তে
সহায়ক হবে নিশ্চয় ৷
আর বিএনপি , জামায়াত ও হেফাজতের বিপক্ষেই
যাবে এবং জণগণের কাছে
একটি ভূল বার্তা
পৌঁছাবে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন ৷ তবে এর সুফল পাওয়া নির্ভর্ করছে ক্ষমতাসীন দলের সঠিক পদক্ষেপের ওপর ৷
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে কোনো ধর্মীয় নেতা ধর্মকে এবং ধর্মশিক্ষাকে কতটুকু গরুত্ব দেন তা সহজেই বুঝা যাবে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত জামাতী ইসলামের কিছু নেতার ছেলেমেয়েদেকে কোন শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন তার বিস্তারিত নিম্নের তথ্য থেকে ৷ জনগণ যতদিন তাদের এই ভন্ডামি জানতে না পারবে এবং এর বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান না নিবে ততদিন তারা তাদের এই মোনাফেকি রাজনীতি টাকাপয়সা খরছ করে চলিয়ে যাবে ৷
জামায়াতের মুনাফেকি শুধু রাজনীতিতে নয়, ব্যক্তি জীবনেও
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে কোনো ধর্মীয় নেতা ধর্মকে এবং ধর্মশিক্ষাকে কতটুকু গরুত্ব দেন তা সহজেই বুঝা যাবে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত জামাতী ইসলামের কিছু নেতার ছেলেমেয়েদেকে কোন শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন তার বিস্তারিত নিম্নের তথ্য থেকে ৷ জনগণ যতদিন তাদের এই ভন্ডামি জানতে না পারবে এবং এর বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান না নিবে ততদিন তারা তাদের এই মোনাফেকি রাজনীতি টাকাপয়সা খরছ করে চলিয়ে যাবে ৷
জামায়াতের মুনাফেকি শুধু রাজনীতিতে নয়, ব্যক্তি জীবনেও
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন