বাঙালীরা কি থামতে জানে না !
এই উপমহাদেশে
বসবাসকারীরা ছাড়াও এই উপমহাদেশে সাময়িক
ভাবে অবস্থানকারীদের মধ্যে
ও কোনো
কাজে একটা এক্সটিমিজম বা চরমপন্থা অবলম্বনের
প্রবনতা বিদ্যমান দেখতে
পাওয়া যায় ৷
বিভিন্ন সময়ে বাঙালীদের কার্যক্রমের পর্যালোচনা করলে বাঙালীদের ও এই প্রবনতা থেকে আলাদা করা যায় না ৷ বাঙালীরা ও যেন তাদের কোনো কাজে লিমিটেশন মানতে চায় না , যেন থামতে জানে না , ধৈর্য্য ধরতে জানে না , তার আরম্ভ করা কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বা একটা পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত ৷ ক্ষেত্র বিশেষে মধ্যে মধ্যে থেমে , কিছু পর্যবেক্ষণ করে বা জনমত বিশ্লেষণ করে কোনো কাজে এগোনোর স্বভাব যেন বাঙালীদের জাতিয় চরিত্রে নেই ৷
আর কিছু কিছু সুবিধাবাদীরা তাদের নিজেদের স্বার্থে বাঙালী চরিত্রের এই বৈশিষ্টকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির সর্ব্বনাশ কারতে পিছ পা হয় না ৷
বিভিন্ন সময়ে বাঙালীদের কার্যক্রমের পর্যালোচনা করলে বাঙালীদের ও এই প্রবনতা থেকে আলাদা করা যায় না ৷ বাঙালীরা ও যেন তাদের কোনো কাজে লিমিটেশন মানতে চায় না , যেন থামতে জানে না , ধৈর্য্য ধরতে জানে না , তার আরম্ভ করা কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বা একটা পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত ৷ ক্ষেত্র বিশেষে মধ্যে মধ্যে থেমে , কিছু পর্যবেক্ষণ করে বা জনমত বিশ্লেষণ করে কোনো কাজে এগোনোর স্বভাব যেন বাঙালীদের জাতিয় চরিত্রে নেই ৷
আর কিছু কিছু সুবিধাবাদীরা তাদের নিজেদের স্বার্থে বাঙালী চরিত্রের এই বৈশিষ্টকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির সর্ব্বনাশ কারতে পিছ পা হয় না ৷
উপনিবেশ আমলে
ব্রিটিশ লর্ড ক্লাইভ সাধারণ সেনা থেকে
শাসক হয়ে ক্ষান্ত হন নি ৷ লুটপাট করে
অনেক সম্পদ সংগ্রহ
করে যখন লন্ডনে
গিয়ে বসবাস আরম্ভ
করেন , তখন তার টাকা
পয়সা খরচের বহর দেখে
সেখানকার সুশীল সমাজের
মানুষের মনে সন্দেহ
দেখা দেয় ৷ তারা তার সম্পদের হিসেব
করে দেখে বুঝতে
পারেন যে , সে যদি ভারতে কোনো অন্যায় ও দূর্নীতি না করে থাকে ,
তবে তার এত সম্পদের মালিক
হওয়া সম্ভব ছিলনা , তার যে বৈধ আয় ছিল তা দিয়ে ৷ নিশ্চয়
সে ভারতে তার ক্ষমতার অপব্যবহার
করেছে ৷ আর তার এ জন্যে
শাস্তি পাওয়া উচিত , ভবিষ্যতে লন্ডনের
সমাজ ব্যবস্থাকে দূর্নীতির
উর্ধে্ব রাখতে একটি দৃষ্টান্ত
হিসেবে , তাই শাস্তি হওয়া
একান্ত কর্তব্য মনে করে সুশীল
সমাজ এ কাজে
আগ্রহী হয়ে ওঠেন ৷ কিন্তু
তার অবসর জীবনে এ সুযোগ না থাকায় , সামাজিক ভাবে
তাকে সকলে বয়কট
আরম্ভ করলে , সে তখন একঘরে হয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে সে এত সম্পদের
মায়া ছেডে আত্মহত্যা
করতে বাধ্য হয়েছিল
৷ অবশ্য এখন ব্রিটেনেও সে অবস্থা নেই ৷ এটা উল্লেখ করা হলো এই জন্যে যে
, উপমহাদেশে না এসে সে যদি তার দেশে অবস্থান
করতো তবে হয়তো
তার জীবনে এ ঘটনা না ও ঘটতে
পারতো , অন্ততঃ সে সময়ের লন্ডনের
পরিবেশের কারণে এ ধারণা করা চলে ৷
অবিভক্ত বাংলায়
এক সময়ে গরীব
চাষীদের এবং প্রজাদের
শোষণ করে হিন্দু
জমিদররা এত সম্পদের
আধিকারী হয়ে পড়ে যে , তরা তাদের কাছে পুঞ্জিভূত অর্থ
খরচের জন্যে রীতিমত
প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে ৷ কে কত টাকা খরচ করে বিভিন্ন
সামাজিক অনুষ্ঠানাদী সম্পন্ন করতে পারে তার প্রর্দশনীর ব্যবস্থা করা তখন একটা বিত্তশীলদের সামাজক নিয়মে পরিণত হয়ে যায় ৷ অন্য জমিদারের
কাছে দৃশ্যমান করা যে , তিনি
কত সম্পদশালী ৷ প্রথমে তারা পূর্বপুরুষদের শেষকৃত্য এবং শ্রাদ্ধ্যানুষ্ঠানের প্রতিযোগিতায় নামে
৷ এক পর্যায়ে
এটা বহুলব্যবহৃত হয়ে পড়লে
, তারা
ভারতের উত্তরপ্রদেশে প্রচলিত
দূর্গাপূজাকে বাঙলায় আমদানী
করে টাকা খরচের
একটা উপলক্ষ প্রস্তুত
করে এবং অঢেল টাকা খরচের
নতুন প্রতিযোগিতায় নামে
৷ কিন্তু তখন
একজন শ্রমজীবী মানুষের
মাসিক বেতনের পরিমান
এক অংকের টাকায়
সীমাবদ্ধ ছিলো ৷ তখন সমজে
টাকা , আনা , পাই ছাড়া
ও আরো ছোট্ট
কড়া ও ক্রান্তির
প্রচলন ছিল ৷ টাকার
সরবরাহের অপ্রতুলতার জন্যে সাধারণ মানুষেরা এই রকম বিনিময় প্রথা প্রবর্তনে বাধ্য হয়েছিল ৷ কিন্তু জমিদাররা তাদের জমিদারী শেষপর্যন্ত রক্ষা করতে ব্যর্থ হতে হয়েছে ৷ এক পর্যায়ে এসে এর ও সমাপ্তি
ঘটে ৷
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠর
পর সেনাপতি জেনারেল
আইয়ুব খাঁন ১০ বছর তার
সাঙ্গপাঙ্গের মাধ্যমে
দেশ শাসন করেন , জনগণের
আশা আকাঙ্খর প্রতি কোনো
দৃষ্টি না দিয়েই
৷ তিনি ক্ষমতা স্থায়ী করতে দেশে
বর্তমানের মত একটা
সুবিধাভোগী শ্রেণীর ও সৃষ্টি করেছিলেন রাষ্ট্রের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সুযোগ
সুবিধা প্রদান করে ৷ অবশ্য এই ধারাবাহিকতা এখনও
ক্ষেত্রবিশেষে অব্যাহত আছে ৷ কিন্তু
শেষ রক্ষা হয় নি ৷ জনগণের আন্দোলনে
তার পতন হয় ৷ তবে শ্রেণী স্বার্থে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা জনপ্রতিনিধির কাছে
হস্তান্তর না করে দেশের অখন্ডতা
রক্ষার অজুহাতে আর এক জেনারেল
ইয়াহইয়ার কাছে রাষ্ট্র
ক্ষমতা দিয়ে চলে যেতে বাধ্য হন ৷ আর ইয়াহইয়া এক পর্যায়ে নির্বাচন
দিলেও , নির্বাচিতদের
কাছে রাষ্ট্রক্ষমতা না দিয়ে দেশকে
এক অংশের বিরুদ্ধে অপর অংশকে যুদ্ধে
নিয়োজিত করেন ৷ এর পরিণামে দেশের পূর্ব অংশের জনগণ একটা স্বাধীন সার্বভৌম
রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করতে
বাধ্য হয় এবং স্বাধীন ও সার্বভোম বালাদেশের প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় ৷
আর বাকি অর্ধ অংশের ক্ষমতা থেকে ও তাকে সরিয়ে দিয়ে তাকে ইতিহাসের আস্তাকূপে নিক্ষিপ্ত করা হয় ৷ ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা যে যতোই ক্ষমতাবান হউক না কেন ৷
আর বাকি অর্ধ অংশের ক্ষমতা থেকে ও তাকে সরিয়ে দিয়ে তাকে ইতিহাসের আস্তাকূপে নিক্ষিপ্ত করা হয় ৷ ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা যে যতোই ক্ষমতাবান হউক না কেন ৷
স্বাধীন বাংলাদেশের
স্থপতি ও অতি দ্রুত দেশের
মঙ্গল করতে চেয়েছিলেন ৷ তিনি তাঁর পছন্দমত কিছু রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ৷ কিন্তু এক সময় জনগণ
থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে হয় তকেও ৷ এক পর্যায়ে প্রতি বিপ্লবী
এবং পাকিস্তান পন্থীদের
দ্বারা সপরিবারে নিহত
হতে হয় জনগণের কোনো
প্রতিরোধ ছাড়াই ৷ তিনি ধর্যসহকারে দেশ শাসনে তাঁর পদক্ষেপগুলো জনগণকে সম্পৃক্ত করে গ্রহণ করলে হয়ত বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যরকম হত আজ ৷
এই হত্যাকান্ডের বেনিফিসিয়ারী জেনারেল
জিয়া ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে পাকিস্তানিসহ এবং এদেশে পাকিস্তানপন্থীদের স্বার্থ
রক্ষা করার ব্যবস্থা করেন ৷ আর তিনি নিজে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জলাণ্জলী দেন ৷ তার ক্ষমতারক্ষার স্বার্থে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের
নামে বাংলাদেশে ধর্মীয়
ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির
নতুন ভাবে আবার গোড়া পত্তন করেন ৷ কিন্তু কোনো কিছুতেই শেষ রক্ষা হয়ে নাই ৷ ক্ষমতার দ্বন্দে তারই সহকর্মীদের
দ্বারা নিহত হতে হয় তাকে ৷ এর আগে কয়েক হাজার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সেনাসদস্যকে
তিনি তার প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে প্রহসনমূলক
বিচারে হত্যা করেন ৷ এর পরও নিজ দলের
লোকদের ষড়যন্ত্রে তিনি নিহত হন ৷ তার স্ত্রী ও ছেলে সহ তার দলের
কেউই তার হত্যার
বিচার পর্যন্ত চান নাই ৷ বরং তড়িঘড়ি করে হত্যাকরীদের সঙ্গে ক্ষমতার অংশীধার
হয়ে যান ৷ আর পরবর্তী
এক পর্যায়ে তাদের
দলীয় লোকজনের ষড়যন্ত্র ও ঝগড়া বিবাদের সুযোগে
আর এক জেনারেল
এবং তাদের মনোনিত প্রধান সেনাপতি
হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে সক্ষম
হন ৷
তিনি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরিতে ১০ বছর দেশ শাসন করে গণআন্দোলনর মূখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ৷ তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী একটি সুবিধাভোগী ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক শ্রেণীর জন্ম দিয়ে গিয়েছেন ৷ আর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সকল সেনা অফিসারদেরও তিনি নির্মূল করেছেন ৷ শুধু ক্ষমতায় ঠিকে থাকে এমন কোনো কাজ তিনি না করেনি , যে কাজ করলে ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে বলে তার কাছে মনে হয়েছে ৷ তবে অতি কুট-কৌশল অবলম্বন করে তিনি এখন ও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পেরেছেন ৷
তিনি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরিতে ১০ বছর দেশ শাসন করে গণআন্দোলনর মূখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ৷ তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী একটি সুবিধাভোগী ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক শ্রেণীর জন্ম দিয়ে গিয়েছেন ৷ আর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী সকল সেনা অফিসারদেরও তিনি নির্মূল করেছেন ৷ শুধু ক্ষমতায় ঠিকে থাকে এমন কোনো কাজ তিনি না করেনি , যে কাজ করলে ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে বলে তার কাছে মনে হয়েছে ৷ তবে অতি কুট-কৌশল অবলম্বন করে তিনি এখন ও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পেরেছেন ৷
অর্থাৎ এই সব ঘটনার
ধারাবাহিকতায় দেখা যাচ্ছে
যে , বাঙালীরা
বেশিদিন একক কারো
শাসনাধীন থাকতে চায় না ৷ তবে
অবশেষে তাদের আন্দোলনে
সরকারের পতন হলেও এর সুফল সাধারণ বাঙালীরা ভোগ করতে পারে না ৷ পরবর্তীতে অন্যরা ক্ষমতা দখল করে নেয় ৷ অর্থাৎ আন্দোলনকারী জনগণের স্বার্থ
কখনই পরবর্তিতে কেউ দেখে
না ৷ তারা
শুধু দাবার গুটি
হিসেবে ব্যবহৃত হতে হতে এখন জনগণ এই সব সরকার
পতনের আন্দোলন থেকে নিজেদের
দূরে রাখতে অভ্যস্ত
হয়ে যাচ্ছে ৷
তাই বোধহয় বিগত বছরদিনের বিএনপি ও জামাত জোটের সরকার হঠাও আন্দোলনে তাদের দলের কর্মী ছাড়া তেমন সাধারণ জনগণের কেউকে অংশ গ্রহন করতে দেখা যায়নি ৷ আবার সরকারের পক্ষেও তাদের দলের সমর্থক ছাড়া সাধারণ জনগণকে অংশ নিতে দেখা যায় নি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের পক্ষে ৷
তাই বোধহয় বিগত বছরদিনের বিএনপি ও জামাত জোটের সরকার হঠাও আন্দোলনে তাদের দলের কর্মী ছাড়া তেমন সাধারণ জনগণের কেউকে অংশ গ্রহন করতে দেখা যায়নি ৷ আবার সরকারের পক্ষেও তাদের দলের সমর্থক ছাড়া সাধারণ জনগণকে অংশ নিতে দেখা যায় নি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের পক্ষে ৷
অবশ্য জনগণের
এই ধারা আগামীতে
অব্যাহত না ও থাকতে পারে
৷ তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার
পক্ষের দাবীদার বর্তমান
সদ্য ক্ষমতাসীন সরকার
জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতি
শ্রদ্ধাশীল না হলে এবং সদ্য সমাপ্ত
কিছু জরিপের ফলাফলের
প্রতি যথাযথ সম্মান
দেখাতে ব্যর্থ হলে এবং বিদেশীদের চাপ ও বিভিন্ন এন জি ও দের বর্তমান
কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে
, ভবিষ্যতে এ সরকারের ঠিকে
থাকাটাও কতটুকু সম্ভব
হবে তা এখনই
উপলব্দিতে এনে বিচার
বিশ্লেষণ করতে হবে ক্ষমতাসীনদের এখনই ৷ অন্যদিকে
দলীয় ক্যাডাদের কার্যক্রম
বন্ধ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
বিশ্বাসী তরুণদের পারিশ্রমিকের বিনিময়ে
হলেও প্রচারের কাজে
নিয়োজিত করে সরকারের
ভাবমূর্তি বাড়ানোর ব্যবস্থা করা এখন একান্ত
প্রয়োজন ৷
এই সঙ্গে
একটি মধ্যবর্তী নির্বাচনের
কথা মাথায় রেখে
সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা
করাকে ও সংশ্লিষ্টরা গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তব সম্মত
মনে করছেন ৷
এখন দেশে দুইটা
ধারার রাজনীতি বিরাজমান আছে ৷ অর্থাৎ
অন্যভাবে বলা যায় যে
দেশে এখন পরস্পর
বিরোধী দু'টি গুষ্ঠির মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলছে আর এর ফলে জনগণের মতামতও
বিভক্ত হয়ে পড়ছে
৷ অনেকের মতে
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান , একটি
ক্রস রোড়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ৷
কারণ দেশে
এখন একদিকে শরিয়াভিত্তিক শাসন
ব্যবস্থার পক্ষে দৃঢ অবস্থানরত বেগম
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন
বিএনপি ও তাদের
অনুসারী পশ্চাৎপদ সামাজিক
ও ধর্মীয় মৌলবাদী
দৃষ্টির অনুসারী সহ সাম্প্রদায়িক রজনৈতিক গোষ্ঠী
এবং একটি সুবিধাবাদী
সুশীল সমাজের একাংশ
৷
অন্যদিকে , শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সেক্যুলার
ও আধুনিক উদারনৈতিক
সমাজের সমর্থনকারীরা একদিকে আর আছে তাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার
ধারক বাহকের পক্ষের একটি গোষ্ঠী
৷
প্রথমদলের সহায়তায় আছে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা আই এস আই ও প্রভাবশালী কিছু দেশের সমর্থন ৷ যারা বাংলাদেশকে তাদের মনোনিত কিছু গেরিলা যুদ্ধাদের একটা নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে আগ্রহী ৷ কারণ তারা চায় বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করে তাদের সমর্থিত একটি গোষ্ঠী যেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করতে সমর্থ হয় ৷
প্রথমদলের সহায়তায় আছে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা আই এস আই ও প্রভাবশালী কিছু দেশের সমর্থন ৷ যারা বাংলাদেশকে তাদের মনোনিত কিছু গেরিলা যুদ্ধাদের একটা নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে আগ্রহী ৷ কারণ তারা চায় বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করে তাদের সমর্থিত একটি গোষ্ঠী যেন ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করতে সমর্থ হয় ৷
তাই উদারপন্থী বুদ্ধিজীবী সহ মুক্তিযুদ্ধের
চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি
ও গোষ্ঠীর সদস্য এবং এই ধারায়
বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলো
সম্মলিতভাবে এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহনে ব্যর্থ হলে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধ্বংস
অনিবার্য হয়ে যাবে আর আবার
পাকিস্তানের আদলে একটি
জঙ্গীবাদি ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের
জন্মের সম্ভবনা প্রবল
হয়ে উঠবে ৷ কারণ বাঙালীরা শেষ দেখা না পর্যন্ত থামতে জানে না ৷ অন্যদিকে সবসময় সাধারণ বাঙালীদের ব্যবহার করে অন্যরা তাদের স্বার্থ আদায়ে সচেষ্ট এবং তৎপর থাকে ৷
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন