মানুষের সৃজনশীল কল্পনাই কি জন্ম দিয়েছে ধর্মবিশ্বাসের ?
( গ্যালপ ইন্টারন্যাশনাল এ ব্যাপারে একটি জরিপ করেছিল বিশ্বের ৫৭টি দেশের ৫০ হাজার মানুষের ওপরে। জরিপে দেখা যায়, ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৭৭ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬ শতাংশে। এদিকে যারা নিজেদেরকে নাস্তিক বলে দাবি করেন তাদের সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। ফলে বর্তমান বিশ্বে ধর্মে অবিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সব মিলিয়ে ১৩ শতাংশ।)
·
কত
মানুষ কত ধর্ম
, কিন্তু সবার
উপর মানব ধর্ম
সব
ধর্ম , ধর্ম নয় , সব কর্ম
, কর্ম নয় , তাই মানব
ধর্ম কোনো ধর্ম
নয় ৷ তাই বোধহয় বিশ্বমানব
সমাজ নামে কোন একক সমাজ
নেই ৷ তাই বিশ্ব মানবতাবাদীরা মানব
কল্যাণে যে সব কর্ম করে থাকেন , তাতে কোনো
পূণ্য নেই , যাকে নিস্ফল
এবাদত হিশেবে গণ্য
করা যায় ৷ যদিও বিশ্ব
মানবজাতির সহজাত বৃত্তি
বা স্বভাব ধর্ম
একটাই ৷ কমবেশি
সবাই চায় সুখে
ও শান্তিতে পৃথিবীতে
বেঁচে থাকতে , আর আহার-বিহার
ও বংশরক্ষা করে পরবর্তী প্রজন্মের
ভেতর দিয়ে অমর হয়ে থাকতে
৷ আর বিশ্বমানবদের
এই স্বভাব ধর্ম পালনে তাদের
সকলেরই নিজদের মর্ধ্যে
কোনো মতানৈক্য নেই ৷
এর পর ও এই আলোচনায় বিশ্বে বর্তমানে প্রচলিত
যে সব ধর্মের
নাম ও অনুসারিদের
সংখ্যা উল্লেখিত হয়েছে
তাতে মানবতাবাদীদের ধর্মের
বা মানবধর্মের কোন উল্লেখ দেখা
গেল না ৷ জন্মসূত্রে প্রাপ্ত ধর্মবিশ্বাসীদের অনেককেই
মানব ধর্মে ও বিশ্বাস করে তা মানতে
ও দেখা যায় ৷ আর মানবধর্মে বিশ্বাসীদের সংখ্যা
আধুনিক বিশ্বে প্রায় ১০০
কোটির উপরে আছে বলে অনেকে
মনে করেন ৷ এর পরও কেনো যে মানবতাবাদীদেরকে এ আলোচনার অন্তর্ভূক্ত
করা হলো না
, তা বুঝা
গেল না ৷ অর্থাৎ বিশ্ব
মানব ধর্মকে , ধর্মের অন্তর্ভূক্ত করতে
কেউ যেন কখনও
রাজী হতে পারছে
না ৷
আদিম মানুষেরা
সভ্যতার প্রারম্ভে যখনই
কল্পিত ধর্ম জগতে
প্রবেশ করেছে , তখন থেকেই
ভিন্ন ভিন্ন মতবাদের
সৃষ্টি হয়েছ ৷ কারণ কল্পিত
ধর্মে আছে ভিন্ন
ভিন্ন ধর্মগুরু , তাই তদের
মতবাদও ও বিশ্বাস
ও ভিন্ন ৷ অনেক সময় তাদের বিশ্বাসের
স্রষ্টা বা ঈশ্বর
ও ভিন্ন ৷
নিম্নে বর্তমান
বিশ্বে প্রচলিত বিভিন্ন ধর্মের
নাম এবং এসব ধর্ম বিশ্বাসের
অনুসারিদের সংখ্যা এবং এর কিছু সংক্ষৃপ্ত
বিবরণ দেখা যাবে ৷ প্রসঙ্গতঃ
উল্লেখযোগ্য যে , সকল সম্প্রদায়ের
এবং সকল আলাদা
আলাদা ধর্মের বিশ্বাসীরা
বলে থাকেন যে তাদের নিজ নিজ ধর্মই
একমাত্র সত্য ধর্ম
, অন্য কোনো ধর্মই সত্য হয় ৷
কিন্তু মানুষ
সভ্যতা
অর্জনের পূর্বে এবং ধর্মের আবির্ভাবের
আগে , তাদের
সবার আহার- বিহারে , চাল-চলনে
বিশেষ কোনো পার্থক্য
ছিলো না , ছিলো না কোনো কৃত্রিমতা ৷ তখন সবাই পরিশ্রমের মাধ্যমে
যা সংগ্রহ করতে
পারতো তা সকলে
ভাগ করে খেয়ে
ক্ষুধা নিবারণ করতো ,
তাই সবাই তখন সরল এবং স্বাধীন সত্তার
অধিকারী ছিলো বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন ৷ তখন নারী
পুরুষের সবাইকেই পরিশ্রম
করতে হত , আর নারীদের আধিকার
পুরুষদের সমান ছিলো বলে জানা যায় ৷
এখানে প্রথমে
একটি ইংরেজী বিবরণ সরাসরি দেয়া
হলো , ধর্ম বিশ্বাসীদের ধর্মের
নাম এবং এর
অনুসারিদের সংখ্যা সহ ৷ আর পরে
, এই
লেখার শেষ অংশে
এর কিছু ব্যাখ্যা
সহ বাংলায়
ও কিছু তথ্যাদির
উল্লেখ করা হয়েছে ৷ নতুন একটি হিসেব সংযুক্ত করা হল , যাহাতে দেখা যাবে বর্তমানে কোন ধর্মের কত অনুসারী ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে ।রেইট অব গ্রোথ ও দেখা যাবে একটি সমীক্ষায় , যা ইন্টারনেটের ভিবিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ করে এই লেখার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ৷ যা নাম হচ্ছে-.. (
Christianity > Anglican | Catholic | Evangelical | Jehovah's Witnesses | Latter-day Saints | Orthodox | Pentecostal
Islam | Hinduism | Buddhism | Sikhism | Judaism | Baha'i | Zoroastrianism | more links
This list of twelve world religions is, of course, an oversimplification. Also, keep in mind that there are religions (such as the belief systems of Native American and Australian Aborigine peoples) that go back much further than Hinduism, and there have been several large religions that have started since Baha'i.
২০১৪ সন পূর্ববর্তী বিশ্বের মানুষের ধর্ম ও দেবতাদের ইতিহাস :
(
( ফেইস বুকের একটি স্টেটাস থেকে নিম্নের লেখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে , লেখাটিকে তথ্যবহুল করতে ৷ সৌজন্যে রক্তস্ন্যাত...)
Religion Statistics by Growth Rate )
তার আগে নিম্নের চার্টগুলো দেখে নেই :
Christianity > Anglican | Catholic | Evangelical | Jehovah's Witnesses | Latter-day Saints | Orthodox | Pentecostal
Islam | Hinduism | Buddhism | Sikhism | Judaism | Baha'i | Zoroastrianism | more links
Religion Statistics by Growth Rate
Religion
|
New Adherents Annually
|
Growth Rate
|
Christianity
|
25,210,195
|
1.36%
|
Islam
|
22,588,676
|
2.13%
|
Hinduism
|
12,533,734
|
1.69%
|
Buddhism
|
3,687,527
|
1.09%
|
Sikhism
|
392,638
|
1.87%
|
Judaism
|
124,515
|
0.91%
|
Baha'i
|
143,491
|
2.28%
|
Confucianism
|
44,305
|
0.73%
|
Jainism
|
34,951
|
0.87%
|
Shinto
|
-31,993
|
-1.09%
|
Taoism
|
25,242
|
1.00%
|
Zoroastrianism
|
58,471
|
2.65%
|
Origin of Major Religions
This table indicates the approximate date each of the twelve major world religions began, along with the traditional dates for the birth and death of its founder (if applicable). You can click on each religions' link to start reading about it.This list of twelve world religions is, of course, an oversimplification. Also, keep in mind that there are religions (such as the belief systems of Native American and Australian Aborigine peoples) that go back much further than Hinduism, and there have been several large religions that have started since Baha'i.
The 'Common Era' refers to 1 A.D. CE=Common Era, BCE=Before Common Era
date | Near East | India | China/Japan |
1000+ BCE | Judaism: Moses 1500-1350 BCE | Hinduism: 2000 BCE | |
600 BCE | Zoroastrianism: Zoroaster 628-527 BCE | Jainism: Mahavira 599-527 BCE Buddhism: Buddha 563-483 BCE | Taoism: Lao Tse 580-500 BCE Confucianism: Confucius 551-479 BCE |
100 CE | Christianity: Jesus 1-33 CE | Shinto: 100 CE | |
600 CE | Islam: Muhammad 570-632 CE | ||
1500 CE | Sikhism: Guru Nanak 1469-1538 CE | ||
1900 CE | Baha'i: Baha'u'llah 1817-1892 CE |
২০১৪ সন পূর্ববর্তী বিশ্বের মানুষের ধর্ম ও দেবতাদের ইতিহাস :
(
( ফেইস বুকের একটি স্টেটাস থেকে নিম্নের লেখাটি সংগ্রহ করা হয়েছে , লেখাটিকে তথ্যবহুল করতে ৷ সৌজন্যে রক্তস্ন্যাত...)
২০১৪ সনের পৃথিবীর প্রায় সাত’শ কোটি মানুষের মধ্যে খ্রীস্টান ধর্ম অনুসারী ছিল ৩৩%, মুসলমান
তথা ইসলাম ধর্ম অনুসারী ছিল ২১%, ধর্ম স্বীকার করতোনা এমন নাস্তিক বা বস্তুবাদী ১৬%, হিন্দু ধর্ম অনুসারী ছিল
১৪%, আফ্রিকান ট্রেডিশনাল মিশ্র ধর্ম অনুসারী ছিল ৫%, চাইনিজ ট্রাডিশনাল ধর্ম অনুসারী ছিল ৬%, বৌদ্ধ ধর্ম
অনুসারী ছিল ৬%, শিখ ধর্ম অনুসারী ০.৩৬%, ইহুদী (Judaism) ধর্ম অনুসারী ০.২২%, লৌকিক ধর্মানুসারী ৩.৯৭%,
নিউ ধর্মানুসারী ১.৬৮%, বাহাই ০.১২%, কনফুসিয়াস ০.১০%, জৈন ০.০৭%, শিন্টো ০.০৪%, তাও ধর্ম ০.০৪%,
জরথ্রুস্ট ০.০৪%, অন্যান্য মিশ্র লৌকিক ধর্ম ০.০২%, কোন ধর্ম অনুসারী নয় ১১.৯২%, নাস্তিক বা ধর্মহীন ২.৩৫%
মানুষ বসাবাস করতো ২০১৪ পূর্ববর্তী প্রাচীন বিশ্বে।
তথা ইসলাম ধর্ম অনুসারী ছিল ২১%, ধর্ম স্বীকার করতোনা এমন নাস্তিক বা বস্তুবাদী ১৬%, হিন্দু ধর্ম অনুসারী ছিল
১৪%, আফ্রিকান ট্রেডিশনাল মিশ্র ধর্ম অনুসারী ছিল ৫%, চাইনিজ ট্রাডিশনাল ধর্ম অনুসারী ছিল ৬%, বৌদ্ধ ধর্ম
অনুসারী ছিল ৬%, শিখ ধর্ম অনুসারী ০.৩৬%, ইহুদী (Judaism) ধর্ম অনুসারী ০.২২%, লৌকিক ধর্মানুসারী ৩.৯৭%,
নিউ ধর্মানুসারী ১.৬৮%, বাহাই ০.১২%, কনফুসিয়াস ০.১০%, জৈন ০.০৭%, শিন্টো ০.০৪%, তাও ধর্ম ০.০৪%,
জরথ্রুস্ট ০.০৪%, অন্যান্য মিশ্র লৌকিক ধর্ম ০.০২%, কোন ধর্ম অনুসারী নয় ১১.৯২%, নাস্তিক বা ধর্মহীন ২.৩৫%
মানুষ বসাবাস করতো ২০১৪ পূর্ববর্তী প্রাচীন বিশ্বে।
পৃথিবীতে নাস্তিক, বস্তুবাদী তথা ইহবাদী, জুচে (এটি কোন ধর্মে বিশ্বাস না করে ইহবাদী মত প্রচার করতো) এমন
মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১১০ কোটির মত। চীনা লোকধর্ম অনুসরণ করতো প্রায় ৪০-কোটি মানুষ। এ ছাড়াও ২০১৪
সনের পৃথিবীতে পেগান, সামানবাদী ধর্ম অনুসরণ করতো প্রায় ৩০-কোটি মানুষ। আফ্রিকান সনাতন ধর্ম অনুসরণ
করতো প্রায় ১০-কোটি মানুষ। (যার মধ্যে প্রকৃতি, সূর্য, পশু ও বৃক্ষ উপাসক কমপক্ষে ৬৮টি উপজাতি এ ধর্ম মিশ্র
পদ্ধতিতে পালন করতো, যেমন কালাহারীর ব্যুশম্যান; কঙ্গো ও জায়ারের পিগমী; নাইজিরিয়ান প্যাগান, বাগান্ডা,
কিকুই, বান্টু, জুলু, বেচুয়ানা, বাসুতো; সাহারার তুরাগ ও ফুলানি; গিনির মালিঙ্কি, সুসু; সিয়েরা লিওনের ক্রিয়োলেরা,
ম্যান্ডে, টেম্নে, ইয়াঙ্কুনা; লাইবেরিয়ার ভাই, ত্রম্নু, গোলা, পিলি; আইভোরি কোস্টের আসান্তি, কোয়াকোয়া, সেনুফো,
দান, গুরো; টোগোর ইউই, আজাগুয়াটি, কাবরাই-লোসো; ডাহোমির ডাহোমীয়, আজা, আইজো, বারিবা, ইওরুবা,
সোম্বা; নাইজেরিয়ার হসা, তিভ, ন্যুভ, ইবো, ইবিবিও; কঙ্গোর বাটিকি, বোসি, সাংহা; জায়ারের কোঙ্গো, মোঙ্গো, বালুবা,
বালুন্ডা; রোডেশিয়ান বান্ট;, লেসোথোর বাসুতো; রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডির বাহুতু, তুতসি, তোয়া; ইথিওপিয়ান বেজা,
দানকালি, গালা, সোমালি, আমহারা, ফালাসা, নাইলোট নিগ্রো; মালাগাসির বেৎসিলিও, হোভা ইত্যাদি ক্ষুদ্র
উপজাতি)। এ ছাড়াও আফ্রিকার ‘Yoruba’ ট্রাডিশনাল ধর্ম অনুসারী ছিল কমপক্ষে ২-কোটি মানুষ।
মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১১০ কোটির মত। চীনা লোকধর্ম অনুসরণ করতো প্রায় ৪০-কোটি মানুষ। এ ছাড়াও ২০১৪
সনের পৃথিবীতে পেগান, সামানবাদী ধর্ম অনুসরণ করতো প্রায় ৩০-কোটি মানুষ। আফ্রিকান সনাতন ধর্ম অনুসরণ
করতো প্রায় ১০-কোটি মানুষ। (যার মধ্যে প্রকৃতি, সূর্য, পশু ও বৃক্ষ উপাসক কমপক্ষে ৬৮টি উপজাতি এ ধর্ম মিশ্র
পদ্ধতিতে পালন করতো, যেমন কালাহারীর ব্যুশম্যান; কঙ্গো ও জায়ারের পিগমী; নাইজিরিয়ান প্যাগান, বাগান্ডা,
কিকুই, বান্টু, জুলু, বেচুয়ানা, বাসুতো; সাহারার তুরাগ ও ফুলানি; গিনির মালিঙ্কি, সুসু; সিয়েরা লিওনের ক্রিয়োলেরা,
ম্যান্ডে, টেম্নে, ইয়াঙ্কুনা; লাইবেরিয়ার ভাই, ত্রম্নু, গোলা, পিলি; আইভোরি কোস্টের আসান্তি, কোয়াকোয়া, সেনুফো,
দান, গুরো; টোগোর ইউই, আজাগুয়াটি, কাবরাই-লোসো; ডাহোমির ডাহোমীয়, আজা, আইজো, বারিবা, ইওরুবা,
সোম্বা; নাইজেরিয়ার হসা, তিভ, ন্যুভ, ইবো, ইবিবিও; কঙ্গোর বাটিকি, বোসি, সাংহা; জায়ারের কোঙ্গো, মোঙ্গো, বালুবা,
বালুন্ডা; রোডেশিয়ান বান্ট;, লেসোথোর বাসুতো; রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডির বাহুতু, তুতসি, তোয়া; ইথিওপিয়ান বেজা,
দানকালি, গালা, সোমালি, আমহারা, ফালাসা, নাইলোট নিগ্রো; মালাগাসির বেৎসিলিও, হোভা ইত্যাদি ক্ষুদ্র
উপজাতি)। এ ছাড়াও আফ্রিকার ‘Yoruba’ ট্রাডিশনাল ধর্ম অনুসারী ছিল কমপক্ষে ২-কোটি মানুষ।
আফ্রিকান পিগমীরা আবার দেবতা হিসেবে পুজাঁ করতো ‘বনদেবতা’ মোকুন্ডিকে। সবচেয়ে শক্তিশালী মোকুন্ডির নাম
ছিল ‘এজেঙ্গি’ দেবতা! ২০১৪ পূর্ববর্তী প্রাচীন পৃথিবীতে আত্মাবাদ অনুসারী মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ, যার
শুরু হয়েছিল ১৯ শতকে। ‘কাওদাই’ সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল ৪০ লাখ, শুরু হয়েছিল ১৯২৬ সনে। ‘ফালুং গং’ অনুসারী
ছিল প্রায় ২১ লাখ, শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সনে। ‘টেনরিকিও’ সম্প্রদায় ছিল প্রায় ২০-লাখ, সূচনা ১৮৩৮ সনে। ‘নব্য
পেগান’ ছিল প্রায় ১০ লাখ, শুরু হয়েছিল ২০-শতকে। ‘সর্বজনীনতাবাদী’ অনুসরণকারী ছিল প্রায় ৮-লাখ, শুরু ১৯৬১
সনে। ধর্মীয় ‘রাসটাফারি’ আন্দোলন অনুসারী ছিল ৬-লাখ, শুরু ১৯৩০ সনে। ‘সাইন্টোলজি’ মতবাদী ছিল ৫০-লাখ, শুরু
১৯৫২ মসে।
ছিল ‘এজেঙ্গি’ দেবতা! ২০১৪ পূর্ববর্তী প্রাচীন পৃথিবীতে আত্মাবাদ অনুসারী মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ, যার
শুরু হয়েছিল ১৯ শতকে। ‘কাওদাই’ সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল ৪০ লাখ, শুরু হয়েছিল ১৯২৬ সনে। ‘ফালুং গং’ অনুসারী
ছিল প্রায় ২১ লাখ, শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সনে। ‘টেনরিকিও’ সম্প্রদায় ছিল প্রায় ২০-লাখ, সূচনা ১৮৩৮ সনে। ‘নব্য
পেগান’ ছিল প্রায় ১০ লাখ, শুরু হয়েছিল ২০-শতকে। ‘সর্বজনীনতাবাদী’ অনুসরণকারী ছিল প্রায় ৮-লাখ, শুরু ১৯৬১
সনে। ধর্মীয় ‘রাসটাফারি’ আন্দোলন অনুসারী ছিল ৬-লাখ, শুরু ১৯৩০ সনে। ‘সাইন্টোলজি’ মতবাদী ছিল ৫০-লাখ, শুরু
১৯৫২ মসে।
‘Santeria’ ছিল আরেকটি ট্রাডিশনাল ধর্ম, যার অনুসারী ছিল প্রায় ৮-লাখ। এ ছাড়াও আরো যে সকল অপ্রধান ধর্ম
মানুষ অনুসরণ করতো তা হচ্ছে, Voodoo-Vodoun ধর্ম যা পালিত হত হাইতি, কিউবা ও বেনিনে। Spiritism ধর্ম
অনুসারীর সংখ্যা ছিল বিশ্বে কমপক্ষে ১ কোটি ১ লাখ। এ ছাড়াও Unitarian-Universalism ধর্ম অনুসারী ছিল ৫০ লাখ,
Mandeans ধর্ম অনুসারী ছিল ৪৫,০০০, Ch'ondogyo ধর্ম অনুসারী ছিল ৩০ লাখ, Wonbulgyo ধর্ম অনুসারী ছিল
দেড় লাখ, Seicho-No-Ie ধর্ম অনুসারী ছিল ২০ লাখ, Roma ধর্ম অনুসারী ছিল ২০ লাখ, Primal-indigenous ধর্ম
অনুসারী ছিল ২০ লাখ এবং Tribal Religionists-Ethnic Religionists-Animists ধর্ম অনুসারী মানুষের সংখ্যা ছিল
প্রায় ৪-কোটি।
মানুষ অনুসরণ করতো তা হচ্ছে, Voodoo-Vodoun ধর্ম যা পালিত হত হাইতি, কিউবা ও বেনিনে। Spiritism ধর্ম
অনুসারীর সংখ্যা ছিল বিশ্বে কমপক্ষে ১ কোটি ১ লাখ। এ ছাড়াও Unitarian-Universalism ধর্ম অনুসারী ছিল ৫০ লাখ,
Mandeans ধর্ম অনুসারী ছিল ৪৫,০০০, Ch'ondogyo ধর্ম অনুসারী ছিল ৩০ লাখ, Wonbulgyo ধর্ম অনুসারী ছিল
দেড় লাখ, Seicho-No-Ie ধর্ম অনুসারী ছিল ২০ লাখ, Roma ধর্ম অনুসারী ছিল ২০ লাখ, Primal-indigenous ধর্ম
অনুসারী ছিল ২০ লাখ এবং Tribal Religionists-Ethnic Religionists-Animists ধর্ম অনুসারী মানুষের সংখ্যা ছিল
প্রায় ৪-কোটি।
ইংরেজি তথ্যাদি ;…
Major religious groups
by percentage, according to the CIA World Factbook (2010)[1] which agrees closely with World Religion Database estimates of 2010.[2]
Other (11.6%)
The world's principal religions and
spiritual traditions may be classified into a small number of major groups,
although this is by no means a uniform practice. This theory began in the 18th
century with the goal of recognizing the relative levels of civility in
societies.[3]In world cultures, there have traditionally been many different groupings of religious belief. In Indian culture, different religious philosophies were traditionally respected as academic differences in pursuit of the same truth.
In Islam, the Quran mentions three different categories: Muslims, the People of the Book, and idol worshipers. Initially,
Christians had a simple dichotomy of world beliefs: Christian civility versus foreign heresy or barbarity. In the 18th century, "heresy" was clarified to mean Judaism and Islam;[citation needed] along with paganism, this created a fourfold classification which spawned such works as John Toland's Nazarenus, or Jewish, Gentile, and Mahometan Christianity, which represented the three Abrahamic religions as different "nations" or sects within religion itself, the "true monotheism."
Religious traditions fall into super-groups in comparative religion, arranged by historical origin and mutual influence. Abrahamic religions originate in the Middle East, Indian religions in the Indian subcontinent and East Asian religions in East Asia. Another group with supra-regional influence are Afro-American religion, which have their origins in Central and West Africa.
- Abrahamic religions are the largest group,
and these consist mainly of Christianity,
Islam, Judaism and
the Bahá'í Faith. They are named for the patriarch Abraham, and
are unified by the practice of monotheism. Today, around 3.4 billion
people are followers of Abrahamic religions and are spread widely around
the world apart from the regions around East and Southeast Asia. Several
Abrahamic organizations are vigorous proselytizers.[9]
- Indian religions originated in Greater
India and tend to share a number of key concepts, such as dharma and karma. They are
of the most influence across the Indian subcontinent, East Asia, Southeast
Asia, as well as isolated parts of Russia. The main Indian religions are Hinduism, Jainism, Buddhism
and Sikhism.
- East Asian religions consist of several
East Asian religions which make use of the concept of Tao (in Chinese)
or Dō (in Japanese or Korean), namely Taoism and Confucianism,
both of which are asserted by some scholars to be non-religious in nature.
- African diasporic religions practiced
in the Americas,
imported as a result of the Atlantic slave trade of the 16th to 18th
centuries, building on traditional religions of Central
and West Africa.
- Indigenous ethnic religions, formerly found on every continent, now marginalized by the major organized faiths, but persisting as undercurrents of folk religion. Includes traditional African religions,
- Asian Shamanism,
Native American religions, Austronesian and Australian Aboriginal
traditions, Chinese folk religion, and postwar Shinto. Under
more traditional listings, this has been referred to as
"paganism" along with historical polytheism.
- Iranian religions (not listed below due to
overlaps) originated in Iran and include Zoroastrianism,
Yazdânism,
Ahl-e
Haqq and historical traditions of Gnosticism
(Mandaeism,
Manichaeism).
It has significant overlaps with Abrahamic traditions, e.g. in Sufism and in
recent movements such as Bábism and the Bahá'í Faith.
- New religious movement is the term applied to any religious faith which has emerged since the 19th century, often syncretizing, re-interpreting or reviving aspects of older traditions:
- Hindu reform movements, Eckankar, Ayyavazhi,
Pentecostalism, polytheistic reconstructionism,
and so forth.
- আমার কিছু কথা....যা বিজ্ঞান ভিত্তিক বলে আমার ধারনা !..
মানব সমাজে ধর্মের
উৎপত্তি নিয়ে পণ্ডিতদের
মাঝে নানা মত আছে ৷ তবে মোটামোটি
যতটুকু সবার মধ্যে
গ্রহনযোগ্য তা হচ্ছে -
আদিম মানুষেরা প্রাথমিক
পর্যায়ে পর্বতের গুহায়
এবং বৃক্ষ কোটরে বসবাস করত এবং ফলমূল
ইত্যাদি
খেয়ে জীবনধারণ করত ৷ তখন তাদের হাতের
ব্যবহার আর দাঁতের
জোর আর পাথর
ছাড়া অন্য কিছুর ব্যবহারের
পদ্ধতি জানা
ছিলো না ৷ তখন মানুষ
পশু -পাখিদের মতো লড়ে বা শিকারের
ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পশু-
পাখি বা মাছ ইত্যাদি ধরতে হত ৷ পরে তারা ঐ মাছ ও মাংসকে থেঁতলিয়ে
বা ছিঁড়ে খেতে হত ৷ এবং কাঁচা ই খেতে
হত ৷ আবার প্রাকৃতিক
ভাবে যা কুড়িয়ে
পাওয়া যেত তা দিয়ে ক্ষুধা
নিবারণ করতে হত অনেক সময়ে ৷ তখন
পর্যন্ত আদিম মানুষেরা অন্ধকারের মধ্যেই
থাকতে হত ৷ আগুন
আবিস্কারের পরই মাছ ও মাংস
কে সিদ্ধ করে খেতে আরম্ভ
করে আদিম যুগের মানুষেরা ৷ আর কৃষি ও পশুপালন
প্রথার আবিস্কারের পূর্বে
মানুষ ইতর প্রাণী
এবং পশুদের মতোই
তাদের জীবন ধারণ করতে হত ৷ ধাতু. বিশেষ করে লৌহ ও হাতিয়ার
আবিস্কারের পর মানুষ পশুত্বের গন্ডি থেকে বেরিয়ে
এসেছে ৷ আর তাঁত আবিষ্কারের পর মানুষেরা উলঙ্গ
থাকা বা গাছের
ছাল-পাতার ব্যবহার করে অঙ্গকে ঢেকে রাখার পদ্ধতি পরিহার
করতে পেরেছে ৷ আর আদিম
মানুষের এই ধাপ অতিক্রম করতে
হয়েছে নিজেদের প্রচেষ্টায়
, কোনো অলৌকিক কারণ ছাড়া কোনো মহা-পুরুষের
বা কোনো ধর্মগুরুর
সাহায্য সহায়তা ছাড়াই
৷ তাই কোনো আলৌকিক
শক্তি আদিম
মানুষের কোনো সহায়তায়
এগিয়ে আসেনি ৷
আদিম মানুষ
যখন তাদের আদিম যুগের অসভ্য
ও অর্ধসভ্য ধাপগুলো
পেরিয়ে যখন কিছুটা
সভ্য জগতের সন্ধান
পেয়েছে , তখন থেকেই
শুরু হয়েছে সমাজে
মানুষের ন্যায় ও অন্যায় কাজের
বিচার - বিশ্লেষণ
সহ ভাল ও মন্দ ও খারাপ কাজের
চিহ্নিত করনের কাজ ৷
আদিম মানুষ
অনেকটা সমাজবদ্ধ
হয়েই বাস করত এবং একটা বংশ বা একটা গোষ্ঠী
এবং গোত্র মিলে
একটা সমাজের সৃষ্টি
হত , যা বংশগত বা গোষ্ঠীগত সমাজ
বা ক্লান হিসেবে
পরিচিতি পেত ৷ আর এই রকম কয়েকটি ক্লান
মিলে একটা মাঝারি
সমাজ গড়ে উঠতো
, তখন
তকে ট্রাইব বলা হত ৷ আবার অনেক সময় কতিপয়
ট্রাইব একত্রিত হয়ে আরো বড় সমাজ গঠিত হত ৷ যাকে
বর্তমান কনসেপ্ট অনুসারে
কনফেডারেশন অব ট্রাইবস
বা রাষ্ট্র বলা যেতে পারে ৷ কিন্তু
আদিম সমাজে ক্লান এবং ট্রাইবের সকল সদস্যরা মিলে মিশে কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করত এবং তা সকলে সম ভাগ করে ভোগ করতো ৷ তখন ব্যক্তিগত
সম্পদ বলতে কারো
কিছু ছিলো না ৷ তাই ঐ সমাজ
ব্যবস্থাই ছিল আদিম
সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা
৷ তাই আদিম
মানুষেরা যখন বিভিন্ন
ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে অতিক্রম
করে সমাজ বদ্ধ হয়ে বসবাস
আরম্ভ করেছে , তখন থেকেই
সমজে ভাল-মন্দ এবং ন্যায়-অন্যায় , সৎ-অসৎ কাজের
বিচার করতে শেখেছে ৷ ভাল
ও মন্দের ভাগা-ভাগি
করতে শেখেছে , আর তখন থেকেই উদ্ভব
হয়ছে মানুষের ধর্মের
এবং পর্যায় ক্রমে
আদিম রাষ্ট্রের ৷
কিন্তু মানুষ
একমাত্র একটি
ধর্মকে বিশ্বাস করে সকল মানুষ
এর অনুসারি হতে
পারেনি ৷ ভৌগলিক
অবস্থান সহ অন্যান্য বিভিন্ন
কারণ ছাড়াও সময়ের
ব্যবধানে আর মানুষের বুদ্ধি বিত্তির
ক্রম বিকাশের কারণে
বিশ্ব মানব সমাজে
বিভিন্ন ধর্মের যেমন
সৃষ্টি হয়েছে , ঠিক তেমনি
সময়ের বিবর্তনে তা আবার বিলপ্তি
হয়ে নতুন
নতুন ধর্মের সৃষ্টি
হয়েছে ৷
বর্তমান বিশ্বে
প্রধান চারটি প্রধান ধর্ম ছাড়াও
সমস্ত বিশ্বে প্রায়
২১ / ২২ টি ধর্মের
অস্থিত্ব্য বিদ্যমান আছে ৷ আর এই তথ্যটাই
আগ্রহী পাঠকদের মধ্যে
ছড়িয়ে দিতে গিয়েই
এই লেখাটার সূত্রপাত বা প্রয়াস ৷
তবে আদিম
বা প্রাচীন ধর্মগুলো
সময় সময় পরিবর্তিত
হয়ে নতুন ভাবে ,
নতুন
খোলসে আবার আবির্ভূত
হতে হয়েছে সমাজে ঠিকে
থাকার স্বার্থে ৷ এবং পরবর্তি
মানুষের বিশ্বাস অর্জন
করতে ৷ অবশ্য
এব অনেক কারণ
আছে ৷ অনেক
কারণের থেকে সর্বশেষ
কারণগুলোর একটি কারণ
এখনে উল্লেখ করা
হলো , কি ভাবে যুগের
পরিবর্তের সঙ্গে সঙ্গে
ধর্ম বিশ্বাসের ও পরিবর্তন হয়ে যায় , পাঠকদের সে ধারণা দিতে
৷
সব যুগে
এবং সব ঐতিহ্যেই
এমন কিছু মানুষ
থাকে যারা তাদের
পুরানো ধারণা ও বিশ্বাস ছেড়ে
নতুন কিছু গ্রহন
করতে অস্বিকার করে ৷ তাই প্রাচীন বিশ্বে
এ রকম অনেক
ক্রান্তিকালকে অতিক্রম করে সামনের দিকে
এগোতে হয়েছে ৷ এই ধরণের
একটি ক্রান্তিকাল ছিলো ,
খৃষ্টের জন্মের প্রায়
হাজার বছর পূর্বে
৷ যাকে এখন ইতিহাসবিদগণ এক্সিয়েল যুগ হিশেবে আখ্যায়িত
করেছেন ৷ ঐ সময়টা ছিলো
হাজার হাজার বছরের
অর্থনৈতিক , সামাজিক
ও সাংস্কৃতির বিবর্তনের
ফসল এবং সংশ্লেষের
কাল ৷ বিসিই
৪র্থ ও ৩য় সহস্রাব্দের জনগণ
তাদের তাৎক্ষনিক চাহিদা
মেটানোর পরেও কৃষিতে
উদ্বিত্ত ফসল ফলাতে
সক্ষম হয়ে উঠেছিল ৷ যা তাদেরকে
প্রথম পর্যায়ের সভ্যতা
গড়ে তুলতে সাহায্যই
শুধু করেনাই , সঙ্গে সঙ্গে
শিল্পকলার বিকাশ সহ ক্রমবর্ধমান হারে
শক্তিশালী রাজনীতির বিকাশে
ও সক্ষম করে তুলেছিল ৷ যা থেকে
তারা প্রথমে নগর ও পরে রাষ্ট্র
এবং এক পর্যায়ে
সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতে সক্ষম
হয়ে উঠেছে ৷
কিন্তু কৃষিভিত্তিক
সমাজে উৎপাদন ক্ষমতা
স্থানীয় রাজা বা পুরোহিতদের করায়ত্ত
ছিলো না ৷ তবে ক্রমেই
উদ্বৃত্ত সম্পদ বৃহত্তর
পরিসরে বাজার এলাকায়
স্থানান্তরিত হতে থাকলে
, মানুষ উপলব্ধি
করতে শিখে যে
, তাদর পূর্ব-পুরুষের পূর্বের
বিশ্বাস এবং ধ্যান- ধারণা বা প্রাচীন প্যাগান
মতবাদ দিয়ে ক্রমবর্ধমান
নতুন যুগের সঙ্গে
তাল মিলিয়ে চলার
জন্যে উপযোগী নয় ; এবং তা যথেষ্ট ও নয় ৷
তাই অর্থনৈতিক
উন্নতির কারণে জমগণের
দৃষ্টিভঙ্গিও প্রসারিত হতে আরম্ভ করে ৷ তখন তাদের নিজেদের
মধ্যের প্রচলিত পূর্বের ধর্মবিশ্বাস
সহ আগের দৃষ্টিভঙ্গিকে ও সংকীর্ণ মনে হতে থাকে
৷ এই সঙ্গে
স্থানীয় ধর্মসমূহকে সংকীর্ণ
ও অবাস্তব বলে
তাদের মনে হয় ৷ ফলে সমাজে এক নতুন ধারণার
জন্ম হতে আরম্ভ
হয় ৷ তাই তারা আর এক নতুন
আধ্যাত্মিকতার আকাঙ্ক্ষা পোশন করতে
শুরু করে ৷ আবার
অনেকের কাছে কৃষিভিত্তিক
সমাজে কৃষকদের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকাটা ও
, বিশেষ করে যারা উৎপাদনের
সঙ্গে জড়িত ছিলো
না , তাদের
কাছে প্রচলিত প্যাগান
টাইফের বিশ্বাস অগ্রহনযোগ্য হয়ে উঠে ৷ কারণ তারা
প্ররিশ্রম না করে সমাজ থেকে
তাদের পছন্দমত কোনো
সুবিধা আদায় করতে
পারত না তখন ৷ আর এরই ফলশ্রুতিতে সমাজে
বিভিন্ন ধরণের ধর্মীয়
অবতার , ম্যাসেনজার বা নবী ও রসুল সহ ঈশ্বরের প্রতিনিধিদের আবির্ভাব
ঘটতে শুরু হয়ে যায় ৷ এই ভাবেই
এক্সিয়েল যুগের মানবজাতিকে
পথনির্দেশনা দিয়ে চলা মহাকনফেশন্যাল ধর্মবিশ্বাস সমূহ
সভ্য সমাজে প্রতিষ্ঠিত
হয়ে যায় ৷ ফলে সমস্ত
বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন
ধর্ম-মতের উৎপত্তির সূচনা
হয় ৷ যেমন হিন্দু ধর্মমত ;
বুদ্ধ ধর্মমত ; দুরপ্রাচ্যে কনফুসিয়
মতবাদ ও তাওবাদ
সহ অসংখ্য ধর্ম
বিশ্বাসের ৷
তবে এগুলো
সবই ছিলো প্রাচীন
অসভ্য এবং অর্ধসভ্য
ও অন্ধকার যুগের
প্রাচীন অন্ধ বিশ্বাসের উপর গড়ে উঠা আধ্যাত্মিকতার এক আধুনিক
রূপ মাত্র ৷
বর্তমান বিশ্বে
প্রধান প্রধান ধর্মসমূহের
সঙ্গে আরো ১৫ / ১৬ টা ধর্মবিশ্বাসের অনুসারীদের
সন্ধান পাওয়া গেছে
৷ আর তাদের
সংখ্যা ও নেহাত কম নয় ৷
কিন্তু সবচেয়ে
বড়কথা , সবাই
যার যার ধর্মকে
এবং তাদের ধর্মবিশ্বাসকে সঠিক
মনে করে থাকে
৷ কেউ তাদের এই বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে , তকে তারা
তাদের শত্রু বলে গণ্য করে , তারে হত্যা
করতেও পিঁছপা হয় না ৷ শীখ ধর্মে বিশ্বাসিরা
ভারতের এক প্রধান
মন্ত্রীকে হত্যা করেছে ৷ যেহেতু তিনি
ভারতের অখণ্ডতা রক্ষা করতে
তাদের বিরুদ্ধে কিছু
পদক্ষেপ নিতে হয়ে ছিল বলে ৷ ইসলামের
ইতিহাসে শিয়া ও সুন্নিদের বিরোধের
ফলে অসংখ্য মুসলমানকে , অন্য মুসলমানরা হত্যা
করেছে, আর এখনও
করতেছে ৷
সে যাই হউক , বর্তমান বিশ্বে
প্রচলিত বিভিন্ন ধর্ম
বিশ্বাসীদের সংখ্যা নির্ণয়
করে অনেকে অনেক
হিসেব নিকেশ করেছেন
৷ তবে এই সব হিসেবের
কোনো তথ্যগত সঠিক
প্রমান কেউ উপস্থাপন
করেন নাই
৷ তবুও নিম্নে
মোটামোটি একটি জরিপের
অংশ বিশেষের উল্লেখ
করা হলো ৷ যা থেকে
বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসের
অনুসারীদের এবং তাদের
বিশ্বাসের ধর্মের নাম সহ একটা
বিবরণ পাওয়া যেতে
পারে ৷
প্রধান ধর্ম হিসেবে কিছু ধর্মকে অন্যান্য ধর্ম থেকে আলাদা করার সর্বজনীন কোনো উপায় নেই ৷ সাধারণত সকল বিশ্বাসীর নিকট তার নিজের বিশ্বাসই 'প্রধান' ৷ আর নিজের ধর্মই আসল এবং একমাত্র সঠিক ধর্ম । তথাপি - ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা এবং ধর্ম নিয়ে পন্ডিতদের দেওয়া সংজ্ঞার ভিত্তিতে এ ধরনের পার্থক্য করতে দেখা যায়।
কোনো ধর্ম বা ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করাও কঠিন একটি কাজ । অনেক ধর্মের রয়েছে নানা ফেরকা এবং পারস্পরিক বিপরিত সংশ্লিষ্টতা । যেমন, ধর্মের তালিকায় খ্রিস্ট ধর্ম-উদ্ভূত বিভিন্ন ফেরকার কোনটি আলাদা ধর্ম হিসেবে ধরা হবে আর কোনটি খ্রিস্ট ধর্মে অন্তর্ভুক্ত হবে সে বিষয় একমত হওয়া সহজ নয়। একইভাবে, আহ্মাদিয়ারা নিজেদের মুসলিম মনে করলেও অনেক ইসলামি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী তাদের ভিন্ন ধর্মানুসারী বলে দাবী করেন - এমতাবস্থায় আহ্মাদিয়াদের মুসলিম ধরা হবে কিনা সে বিষয়ও বিতর্ক থেকে যায়।
ধর্মসমূহ ও অনুসারী সংখ্যা[সম্পাদনা]
প্রধান ধর্ম নির্ধারণের সবচেয়ে প্রচলিত উপায় হল ধর্মানুসারীদের সংখ্যার ভিত্তিতে তা নির্ধারণ। তবে এই সংখ্যা-উপাত্তও সবসময় যথেষ্ট যাচাই বা নির্ভরযোগ্য নয়। সাধারণত কোনো দেশের আদমশুমারি থেকে এই উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, বা ফ্রান্সের মত যেসব দেশে আদমশুমারিতে ব্যক্তির ধর্মীয় বিশ্বাস সংক্রান্ত তথ্য থাকে না, সেখানে জরিপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই উপাত্তের নির্ভরযোগ্যতার পেছনে অন্তরায়সমূহ হল - সকল আদমশুমারি বা জরিপে একই ধরনের প্রশ্ন করে ব্যক্তির বিশ্বাস সংক্রান্ত তথ্য না নেয়া, ধর্মের পরিধি বা সংজ্ঞা নিয়ে সর্বত্র একই মত না থাকা, জরিপকারী সংস্থার পক্ষপাত ও দৃষ্টিভঙ্গি। তারপরেও এই উপাত্তের সমাহার মোটা দাগে পৃথিবীর বৃহত্তম ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীগুলোকে সনাক্ত করে।
অনুসারীর সংখ্যার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিশ্বাসের তালিকা নিম্নে দেয়া হল। এখানে এমন বিশ্বাসী গোষ্ঠীও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের বিশ্বাস সার্বিকভাবে কোনো ধর্ম গঠন করে না, আবার তারা অন্য কোনো সংঘবদ্ধ ধর্মীয় গোষ্ঠীরও অন্তর্গত নন।
খ্রিস্ট ধর্ম - ২১০ কোটি (গোড়াপত্তন ২৭ খ্রিস্টাব্দ)
রোমান ক্যাথলিক চার্চ - ১২০ কোটি
প্রোটেস্ট্যান্ট মতবাদ (অ্যাঙ্গলিকান মতবাদ ও অন্যান্য ইভান্জালীয় বিশ্বাস সহ) - ৬৭ কোটি ৫০ লক্ষ (গোড়াপত্তন ১৫২০ খ্রিস্টাব্দ)
অর্থোডক্স চার্চ, আসিরীয় চার্চ, মর্মন ও অন্যান্য খ্রিস্টীয় বিশ্বাস - ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ
ইসলাম ধর্ম - ১৪০ কোটি (গোড়াপত্তন ৬২২ খ্রিস্টাব্দ)
সুন্নি ইসলাম - ১২৫ কোটি\
শিয়া ইসলাম - ১৭ কোটি
সুফিবাদ ও অন্যান্য ইসলামি বিশ্বাস - ৮ কোটি
নাস্তিকতাবাদ, অজ্ঞেয়বাদ, ইহবাদ, জুচে, ধর্মহীন ** - ১১০ কোটি
হিন্দু ধর্ম - ৯০কোটি (গোড়াপত্তন আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৫ শতক)
বৈষ্ণব - ৫৮ কোটি
শৈব - ২২ কোটি
শাক্ত/স্মার্ত/আর্য সমাজ ও অন্যান্য হিন্দু বিশ্বাস - ১৫ কোটি
চীনা লোকধর্ম - ৩৯ কোটি ৪০ লক্ষ
বৌদ্ধ ধর্ম - ৩৭ কোটি ৬০ লক্ষ (গোড়াপত্তন আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৬ শতক)
মহাযান - ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ
থেরবাদ - ১২ কোটি ৪০ লক্ষ
বজ্রযান - অজানা
উপজাতীয়দের বিশ্বাসসমূহ - ৩০ কোটি
বিভিন্ন বিশ্বাস এর মধ্যে পড়ে, যেমন - উপজাতীয় বিশ্বাস, শামানবাদ এবং পেগান ধর্ম।
আফ্রিকীয় সনাতন বিশ্বাসসমূহ - ১০ কোটি
শিখ ধর্ম - ২ কোটি ৩০ লক্ষ (গোড়াপত্তন ১৫ শতক)
আত্মাবাদ - ১ কোটি ৫০ লক্ষ (গোড়াপত্তন মধ্য ১৯ শতক)
কোনো একক সংঘবদ্ধ ধর্মীয় গোষ্ঠী নয়।
ইহুদি ধর্ম - ১ কোটি ৪০ লক্ষ (গোড়াপত্তন আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৩ শতক)
বাহাই ধর্ম - ৭০ লক্ষ (গোড়াপত্তন ১৯ শতক)
জৈন ধর্ম - ৪২ লক্ষ (গোড়াপত্তন ৬ শতক)
শিন্টো - ৪০ লক্ষ (গোড়াপত্তন আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩ শতক)
যারা শিন্টোকে ধর্ম হিসেবে মেনে নিয়ে পালন করেন হিসেবে উল্লেখ করেছেন, শুধু তারাই এখানে অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া ইতিহাস, জাতি ও ঐতিহ্যগতভাবে যারা নিজেদের শিন্টো মনে করেন,
তাদেরকেও এখানে অন্তর্ভুক্ত করলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১০ কোটি বা ততোধিক।
কাও দাই - ৪০ লক্ষ (গোড়াপত্তন ১৯২৬)
জরথুস্ত্র ধর্ম - ২৬ লক্ষ (গোড়াপত্তন আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৬ শতক)
ফালুন গং - ২১ লক্ষ* (গোড়াপত্তন ১৯৯২)
বিভিন্ন জরিপকারী সংস্থা একে কোনো আলাদা বিশ্বাস বা ধর্ম মনে না করায় এর অনুসারীদের প্রকৃত সংখ্যা অযাচাইযোগ্য রয়ে গেছে।
টেনরিকিও - ২০ লক্ষ (গোড়াপত্তন ১৮৩৮)
নব্য-পেগান ধর্ম - ১০ লক্ষ (গোড়াপত্তন ২০ শতক)
একত্ববাদী সর্বজনীনতাবাদ - ৮ লক্ষ (গোড়াপত্তন ১৯৬১)
রাসটাফারি আন্দোলন - ৬ লক্ষ (গোড়াপত্তন ১৯৩০ এর গোড়ার দিকে)
সাইন্টোলজি - ৫ লক্ষ (গোড়াপত্তন ১৯৫২)
ফালুন গং ব্যতীত অন্যান্য ধর্মাবলম্বী-সংখ্যার উপাত্ত নেয়া হয়েছে Adherents.com এই পাতার
২০০৫ সংস্করণ হতে। বিভিন্ন উৎস হতে সকল উপাত্ত নিয়ে এই তালিকা সংকলনে যে পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে Adherents.com-এর ব্যাখ্যা দেখুন।
* ফালুন গং-এর উপাত্তটি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ১৯৯৯ সালের উপাত্ত হতে পাওয়া; ২০০৪ সাল নাগাদ তাদের নেতৃত্ব অনুসারীর সংখ্যা ১০ কোটি বলে দাবী করেছেন।
** adherents.com এ জুচে-কে আলাদা ধর্ম হিসেবে দেখানো হলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই মতবাদ কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস প্রচার করে না এবং ইহবাদী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বিধায় এটিকে ধর্মীয় নয় এমন মতবাদের শ্রেণীতে রাখা হল।
অনুসারীর ভিত্তিতে অনুক্রম[সম্পাদনা]
খ্রিস্টান সায়েন্স মনিটর ধর্মগুলোর অনুক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে কেবল সুসংগঠিত ধর্মসমূহ বিবেচনায় এনেছে। এখানে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত একটি তালিকা উল্লেখিত হল। ১৯৯৮ সালে পত্রিকায় "Top 10 Organized Religions in the World" নামে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ১০ টি ধর্মের তালিকা প্রকাশিত হয়:
# ধর্মের নাম অনুসারী সংখ্যা (*১) উৎপত্তির সময়কাল (*২) দ্রষ্টব্য (*২, *৩)
১ খ্রিস্টান ধর্ম ২১০০ মিলিয়ন ২৭ খ্রিস্টাব্দ সবচেয়ে বেশী সংখ্যাক অনুসারী রয়েছে। (*৪)
ইউরোপ, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওশেনিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্ম।
২ ইসলাম ধর্ম ১৪০০ মিলিয়ন ৬১০ খ্রিস্টাব্দ বহুল প্রচারিত একটি ধর্ম। মূলত মধ্য প্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এষিয়া (ফিলিপাইন ও পূর্ব তিমুর বাদে), মধ্য এশিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলে বেশী অনুসারী রয়েছে।
৩ হিন্দু ধর্ম ৯০০ মিলিয়ন ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ, কিছু বিষয়ে ২৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ সুপরচিত ধর্মসমূহের মধ্যে প্রাচীনতম। এজন্য সনাতন ধর্ম নামেও পরিচিত। মূলত ভারত, নেপাল, শ্রীলংকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার, বালি উপ-প্রদেশে আধিক্য রয়েছে।
৪ বৌদ্ধ ধর্ম ৩৭৬ মিলিয়ন খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দী উৎপত্তি ভারতে। পূর্ব এশিয়া ববং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অনুসারী বেশী।
৫ কনফুসীয় ধর্ম ১৫০ মিলিয়ন খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দী পূর্ব চীনে বেশী
৬ শিখ ধর্ম ২৩ মিলিয়ন ১৪৬৯-১৭০৮ খ্রিস্টাব্দ পাঞ্জাব অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী। ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশেরই এতে অংশ রয়েছে।
৭ ইহুদি ধর্ম ১৪ মিলিয়ন খ্রিস্টপূর্ব ১৩শ শতাব্দী ইস্রাইল দেশটিতে ইহুদিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি। তবে সবচেয়ে বেশী ইহুদী বাস করে যুক্তরাষ্ট্রে।
৮ বাহাই ধর্ম ৭ মিলিয়ন ১৯শ শতাব্দী ১০ টি ধর্মের গ্রুপে নবীনতম। খ্রিস্টান ধর্মের পরে সবচেয়ে বেশী প্রচারিত ধর্ম। প্রথম ১০টির মধ্যে শতকরা হারের দিক থেকে সবচেয়ে বর্ধনশীল ধর্ম। (*4)
৯ জৈন ধর্ম ৪.২ মিলিয়ন খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দী মূলত ভারতে
১০ শিন্তো ধর্ম ৪ মিলিয়ন ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ মূলত জাপানে। একসময় এটি জাপানের রাষ্ট্রীয় ধর্ম ছিল।
*১ অনুসারী সংখ্যা Adherents.com[১], থেকে নেয়া। ২০০৫ সালের তথ্য অনুসারে।
*২ কেবল বামের দুইটি কলাম খ্রিস্টান সায়েন্স মনিটর থেকে নেয়া হয়েছে। বাকি তথ্যগুলো এই নিবন্ধের জন্য সংগৃহীত।
*৩ ভৌগোলিক তথ্যসমূহ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা বিশ্বকোষের ককটি টেবিল থেকে নয়া হয়েছে। Worldwide Adherents of All Religions by Six Continental Areas, ২০০২ সালের তথ্য মতে।
*৪ World Christian Encyclopedia-এর ধর্ম পাতার অনুসারী সংখ্যার বিন্যাস অনুসারে করা হয়েছে, David A. Barrett, 2001, p. 4.
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ।
মোটামোটি একটা ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করা হল... সমগ্র বিশ্বে বর্তমানে প্রচলিত বিভিন্ন ধর্মের পরিচয় এবং অনুসারীদের সংখ্যা সহ একটি ধারণা দিতে ৷ বিস্তারিত ভাবে যারা জানতে আগ্রহী তারা সূত্রের সাহায্য নিতে পারেন ৷
রুদ্রু মোহাম্মদ শহিদুল্লার এক বিখ্যাত কবিতার উল্লেখ করে লেখাটা শেষ করা হলো ৷
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
পৃথিবীতে মানুষ তখনও ব্যক্তিস্বার্থে ভাগ হয়ে যায়নি।
ভূমির কোনো মালিকানা হয়নি তখনো।
তখনো মানুষ শুধু পৃথিবীর সন্তান ।
অরন্য আর মরুভূমির
সমুদ্র আর পাহাড়ের ভাষা তখন আমরা জানি।
আমরা ভূমিকে কর্ষণ করে শস্য জন্মাতে শিখেছি।
আমরা বিশল্যকরণীর চিকিৎসা জানি
আমরা শীত আর উত্তাপে সহনশীল
ত্বক তৈরি করেছি আমাদের শরীরে।
আমারা তখন সোমরস, নৃত্য আর
শরীরের পবিত্র উৎসব শিখেছি।
আমাদের নারীরা জমিনে শস্য ফলায়
আর আমাদের পুরুষেরা শিকার করে ঘাই হরিণ।
আমারা সবাই মিলে খাই আর পান করি।
জ্বলন্ত আগুনকে ঘিরে সবাই আমারা নাচি
আর প্রশংসা করি পৃথিবীর।
আমরা আমাদের বিশ্ময় আর সুন্দরগুলোকে বন্দনা করি।
পৃথিবীর পূর্ণিমা রাতের ঝলোমলো জ্যোৎস্নায়
পৃথিবীর নারী আর পুরুষেরা
পাহাড়ের সবুজ অরণ্যে এসে শরীরের উৎসব করে।
তখন কী আনন্দরঞ্জিত আমাদের বিশ্বাস।
তখন কী শ্রমমুখর আমাদের দিনমান।
তখন কী গৌরবময় আমাদের মৃত্যু।
তারপর -
কৌমজীবন ভেঙে আমরা গড়লাম সামন্ত সমাজ।
বন্যপ্রাণীর বিরুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য অস্ত্রগুলো
আমরা ব্যবহার করলাম আমাদের নিজের বিরুদ্ধে।
আমাদের কেউ কেউ শ্রমহীনতায় প্রশান্তি খুঁজে পেতে চাইলো।
দুর্বল মানুষেরা হয়ে উঠলো আমাদের সেবার সামগ্রী।
আমাদের কারো কারো তর্জনী জীবন ও মৃত্যুর নির্ধারক হলো।
ভারি জিনিস টানার জন্যে আমরা যে চাকা তৈরি করেছিলাম
তাকে ব্যবহার করলাম আমাদের পায়ের পেশীর আরামের জন্যে।
আমাদের বন্য অস্ত্র সভ্যতার নামে
গ্রাস করে চললো মানুষের জীবন ও জনপদ।
আমরা আমাদের চোখকে সুদূরপ্রসারী করার জন্যে দূরবীন
আর সুক্ষ নিরীক্ষণের জন্যে অনুবীক্ষণ তৈরি করলাম।
আমাদের বাহুর বিকল্প হলো ভারি যন্ত্র আর কারখানা।
আমাদের পায়ের গতি বর্ধন করলো উড়ন্ত বিমান।
আমাদের কণ্ঠস্বর বর্ধিত হলো,
আমাদের ভাষা ও বক্তব্য গ্রন্থিত হলো,
আমরা রচনা করলাম আমাদের অগ্রযাত্রার ইতিহাস।
আমাদের মস্তিস্ককে আরো নিখুঁত ও ব্যাপক করার জন্যে
আমরা তৈরি করলাম কম্পিউটার।
আমাদের নির্মিত যন্ত্র শৃঙ্খলিত করলো আমাদের
আমাদের নির্মিত নগর আবদ্ধ করলো আমাদের
আমাদের পুঁজি ও ক্ষমতা অবরুদ্ধ করলো আমাদের
আমাদের নভোযান উৎকেন্দ্রিক করলো আমাদের।
অস্তিত্ব রক্ষার নামে আমরা তৈরি করলাম মারনাস্ত্র।
জীবন রক্ষার নামে আমরা তৈরি করলাম
জীবনবিনাশী হাতিয়ার।
আমরা তৈরি করলাম পৃথিবী নির্মূল-সক্ষম পারমানবিক বোমা।
একটার পর একটা খাঁচা নির্মাণ করেছি আমরা।
আবার সে-খাঁচা ভেঙে নতুন খাঁচা বানিয়েছি -
আবার খাঁচা ভেঙেছি, আবার খাঁচা বানিয়েছি-
খাঁচার পর খাঁচায় আটকা পড়তে পড়তে
খাঁচার আঘাতে ভাঙতে ভাঙতে, টুকরো টুকরো হয়ে
আজ আমরা একা হয়ে গেছি।
প্রত্যেকে একা হয়ে গেছি।
কী ভয়ংকর এই একাকীত্ব !
কী নির্মম এই বান্ধবহীনতা !
কী বেদনাময় এই বিশ্বাসহীনতা !
এই সৌরমন্ডলের
এই পৃথিবীর এক কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে
যে-শিশুর জন্ম।
দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে ছুটে বেড়ানোর অদম্য স্বপ্ন
যে-কিশোরের।
জোৎস্না যাকে প্লাবিত করে।
বনভূমি যাকে দুর্বিনীত করে।
নদীর জোয়ার যাকে ডাকে নেশার ডাকের মতো।
অথচ যার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ঔপনিবেশিক জোয়াল
গোলাম বানানোর শিক্ষাযন্ত্র।
অথচ যার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে
এক হৃদয়হীন ধর্মের আচার।
অথচ যাকে শৃঙ্খলিত করা হয়েছে স্বপ্নহীন সংস্কারে।
যে-তরুণ উনসত্তুরের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে
যে-তরুণ অস্ত্র হাতে স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছে
যে-তরুণের বিশ্বাস, স্বপ্ন, সাধ,
স্বাধীনতা-উত্তরকালে ভেঙে খান খান হয়েছে,
অন্তরে রক্তাক্ত যে-তরুণ নিরুপায় দেখেছে নৈরাজ্য,
প্রতারণা আর নির্মমতাকে।
দুর্ভিক্ষ আর দুঃশাসন যার নিভৃত বাসনাগুলো
দুমড়ে মুচড়ে তছনছ করেছে ।
যে-যুবক দেখেছে এক অদৃশ্য হাতের খেলা
দেখেছে অদৃশ্য এক কালোহাত
যে-যুবক মিছিলে নেমেছে
বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছে
আকন্ঠ মদের নেশায় চুর হয়ে থেকেছে
অনাহারে উড়নচন্ডী ঘুরেছে
যে-যুবক ভয়ানক অনিশ্চয়তা আর বাজির মুখে
ছুঁড়ে দিয়েছে নিজেকে ।
যে-পুরুষ এক শ্যামল নারীর সাথে জীবন বিনিময় করেছে
যে-পুরুষ ক্ষুধা, মৃত্যু আর বেদনার সাথে লড়ছে এখনো,
লড়ছে বৈষম্য আর শ্রেণীর বিরুদ্ধে -
সে আমি ।
আমি একা ।
এই ব্রহ্মান্ডের ভেতর একটি বিন্দুর মতো আমি একা।
আমার অন্তর রক্তাক্ত।
আমার মস্তিস্ক জর্জরিত।
\
আমার স্বপ্ন নিয়ন্ত্রিত।
আমার স্বপ্ন নিয়ন্ত্রিত।
আমার শরীর লাবণ্যহীন।
আমার জিভ কাটা।
তবু এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন আমাকে কাতর করে
আমাকে তাড়ায়…
আমাদের কৃষকেরা
শূন্য পাকস্থলি আর বুকে ক্ষয়কাশ নিয়ে মাঠে যায়।
আমাদের নারীরা ক্ষুধায় পীড়িত, হাড্ডিসার।
আমাদের শ্রমিকেরা স্বাস্থ্যহীন।
আমাদের শিশুরা অপুষ্ট, বীভৎস-করুণ।
আমাদের অধিকাংশ মানুষ ক্ষুধা, অকালমৃত্যু আর
দীর্ঘশ্বাসের সমুদ্রে ডুবে আছে।
পৃথিবীর যুদ্ধবাজ লোকদের জটিল পরিচালনায়
ষড়যন্ত্রে আর নির্মমতায়,
আমরা এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তা
আর চরম অসহায়ত্বের আবর্তে আটকা পড়েছি।
কী বেদনাময় এই অনিশ্চয়তা !
কী বিভৎস এই ভালোবাসাহীনতা !
কী নির্মম এই স্বপ্ন হীনতা !
আজ আমরা আবার সেই
বিশ্বাস আর আনন্দকে ফিরে পেতে চাই ।
আজ আমরা আবার সেই
সাহস আর সরলতাকে ফিরে পেতে চাই ।
আজ আমরা আবার সেই
শ্রম আর উৎসবকে ফিরে পেতে চাই ।
আজ আমরা আবার সেই
ভালোবাসা আর প্রশান্তি ফিরে পেতে চাই ।
আজ আমরা আবার সেই
স্বাস্থ্য আর শরীরের লাবণ্যকে ফিরে পেতে চাই ।
আজ আমরা আবার সেই
কান্নাবিহীন আর দীর্ঘশ্বাসহীন জীবনের কাছে যেতে চাই ।
আজ আমরা শোষণ আর শঠতা
অকালমৃত্যু আর ক্ষুধার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চাই।
আমাদের সমৃদ্ধ এই বিজ্ঞান নিয়ে
আমাদের অভিজ্ঞতাময় এই শিল্পসম্ভার নিয়ে
আমাদের দূরলক্ষ্য আর সূক্ষ বীক্ষণ নিয়ে
আমাদের দ্বন্দময় বেগবান দর্শন নিয়ে
আমরা ফিরে যাবো আমাদের বিশ্বাসের পৃথিবীতে,
আমাদের শ্রম, উৎসব, আনন্দ আর প্রশান্তির— পৃথিবীতে।
পরমাণুর সঠিক ব্যবহার
আমাদের শস্যের উৎপাদন প্রয়োজনতুল্য করে তুলবে,
আমাদের কারখানাগুলো কখনোই হত্যার অস্ত্র তৈরি করবে না,
আমাদের চিকিৎসাবিজ্ঞান নিরোগ করবে পৃথিবীকে;
আমাদের মর্যাদার ভিত্তি হবে মেধা, সাহস আর শ্রম।
আমাদের পুরুষেরা সুলতানের ছবির পুরুষদের মতো
স্বাস্থ্যবান, কর্মঠ আর প্রচন্ড পৌরুষদীপ্ত হবে।
আমাদের নারীরা হবে শ্রমবতী, লক্ষীমন্ত আর লাবণ্যময়ী।
আমাদের শিশুরা হবে পৃথিবীর সুন্দরতম সম্পদ।
আমরা শস্য আর স্বাস্থ্যের, সুন্দর আর গৌরবের
কবিতা লিখবো।
আমরা গান গাইবো
আমাদের বসন্ত আর বৃষ্টির বন্দনা করে।
আমরা উৎসব করবো শস্যের
আমরা উৎসব করবো পূর্ণিমার
আমরা উৎসব করবো
আমাদের গৌরবময় মৃত্যু আর বেগবান জীবনের।
কিন্তু -
এই স্বপ্নের জীবনে যাবার পথ আটকে আছে
সামান্য কিছু মানুষ।
অস্ত্র আর সেনা-ছাউনিগুলো তাদের দখলে।
সমাজ পরিচালনার নামে তারা এক ভয়ংকর কারাগার
তৈরি করেছে আমাদের চারপাশে।
তারা ক্ষুধা দিয়ে আমাদের বন্দী করেছে
তারা বস্ত্রহীনতা দিয়ে আমাদের বন্দী করেছে
তারা গৃহহীনতা দিয়ে আমাদের বন্দী করেছে
তারা জুলুম দিয়ে আমাদের বন্দী করেছে
বুলেট দিয়ে বন্দী করেছে।
তারা সবচে কম শ্রম দেয়
আর সবচে বেশি সম্পদ ভোগ করে;
তারা সবচে ভালো খাদ্যগুলো খায়
আর সবচে দামি পোষাকগুলো পরে।
তাদের পুরুষদের শরীর মেদে আবৃত, কদাকার;
তাদের মেয়েদের মুখের ত্বক দেখা যায় না, প্রসাধনে ঢাকা;
তারা আলস্য আর কর্মহীনতায় কাতর, কুৎসিত।
তাদের ঈর্ষা কুটিলতাময়
তাদের হিংসা পর্বতপ্রমাণ
তাদের নির্মমতা ক্ষমাহীন
তাদের জুলুম অশ্রুতপূর্ব।
তারা আমাদের জিভ কেটে নিতে চায়
তারা আমাদের চোখ উপরে ফেলতে চায়
তারা আমাদের মেধা বিকৃত করতে চায়
তারা আমাদের শ্রবণ বধির করে দিতে চায়
তারা আমাদের পেশীগুলো অকেজো করে দিতে চায়
আমাদের সন্তানদেরও তারা চায় গোলাম বানাতে।
একদা অরেণ্যে
যেভাবে অতিকায় বন্যপ্রাণী হত্যা করে
আমরা অরণ্যজীবনে শান্তি— ফিরিয়ে এনেছি,
আজ এইসব অতিকায় কদাকার বন্যমানুষগুলো
নির্মূল করে
আমরা আবার সমতার পৃখিবী বানাবো
সম্পদ আর আনন্দের পৃখিবী বানাবো
শ্রম আর প্রশান্তির— পৃখিবী বানাবো।
কবিতা : ইশতেহার
ধর্মের উৎপত্তি নিয়ে ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা একটি লেখা আগ্রহীদের জন্য যুক্ত করা হল ৷
History of religions
From Wikipedia, the free encyclopedia
For the journal of that name, see History of Religions (journal). For the academic study of religion in general, see Religious studies.
The history of religion refers to the written record of human religious experiences and ideas. This period of religious history begins with theinvention of writing about 5,200 years ago (3200 BCE). The prehistory of religion relates to a study of religious beliefs that existed prior to the advent of written records. The timeline of religion is a comparative chronology of religion.
The word "religion" as it is used today does not have an obvious pre-colonial translation into non-European languages. Anthropologist, Daniel Dubuisson writes that "what the West and the history of religions in its wake have objectified under the name 'religion' is ... something quite unique, which could be appropriate only to itself and its own history".[1] The history of other cultures' interaction with the religious category is therefore their interaction with an idea that first developed in Europe under the influence of Christianity.[2]
History of study[edit]
The school of religious history called the Religionsgeschichtliche Schule was a 19th-century German school of thought which was the first to systematically study religion as a socio-cultural phenomenon. It depicted religion as evolving with human culture, from primitive Polytheism to ethical monotheism.
The Religionsgeschichtliche Schule appeared at a time when scholarly study of the Bible and church history was flourishing in Germany and elsewhere (see higher criticism, also called the historical-critical method). The study of religion is important because it has often shaped civilizations' law and moral codes, social structure, art and music.
Overview[edit]
The 19th century saw a dramatic increase in knowledge about other cultures and religions, and also the establishment of economic and social histories of progress. The "history of religions" school sought to account for this religious diversity by connecting it with the social and economic situation of a particular group.
Typically, religions were divided into stages of progression from simple to complex societies, especially from polytheistic to monotheistic and from extempore to organized. Religions can be classified as circumcising and non-circumcising, proselytizing (attempting to convert people of other religion) and non-proselytizing. Many religions share common beliefs.
Origin[edit]
See also: Evolutionary origin of religions and Timeline of religion
The earliest evidence of religious ideas dates back several hundred thousand years to the Middle and Lower Paleolithic periods. Archaeologists refer to apparent intentional burials of early homo sapiens from as early as 300,000 years ago as evidence of religious ideas. Other evidence of religious ideas include symbolic artifacts from Middle Stone Age sites in Africa. However, the interpretation of early paleolithic artifacts, with regard to how they relate to religious ideas, remains controversial. Archeological evidence from more recent periods is less controversial. A number of artifacts from the Upper Paleolithic (50,000-13,000) are generally interpreted by scientists as representing religious ideas. Examples of Upper Paleolithic remains associated with religious beliefs include the lion man, the Venus figurines, cave paintings from Chauvet Cave and the elaborate ritual burial from Sungir.
In the 19th century, various theories were proposed regarding the origin of religion, supplanting the earlier claims of Christianity of urreligion. Early theorists Edward Burnett Tylorand Herbert Spencer proposed the concept of animism, while archaeologist John Lubbock used the term "fetishism". Meanwhile, religious scholar Max Müller theorized that religion began in hedonism and folklorist Wilhelm Mannhardt suggested that religion began in "naturalism", by which he meant mythological explanation of natural events.[3] All of these theories have since been widely criticized; there is no broad consensus regarding the origin of religion.
Religion at the neolithic revolution[edit]
See also: Neolithic revolution
Through the bulk of human evolution, humans lived in small nomadic bands practicing a hunter gatherer lifestyle. The emergence of complex and organized religions can be traced to the period when humans abandoned their nomadic hunter gatherer lifestyles in order to begin farming during the Neolithic period. The transition from foraging bands to states and empires resulted in more specialized and developed forms of religion that were reflections of the new social and political environments. While bands and small tribes possess supernatural beliefs, these beliefs are adapted to smaller populations.
Neolithic religions[edit]
The religions of the Neolithic peoples provide evidence of some of the earliest known forms of organized religions. The Neolithic settlement of Çatalhöyük, in what is now Turkey, was home to about 8,000 people and remains the largest known settlement from the Neolithic period. James Mellaart, who excavated the site, believed that Çatalhöyük was the spiritual center of central Anatolia.[4] A striking feature of Çatalhöyük are its female figurines. Mellaart, the original excavator, argued that these well-formed, carefully made figurines, carved and molded from marble, blue and brown limestone, schist, calcite, basalt, alabaster, and clay, represented a female deity of the Great Goddess type. Although a male deity existed as well, “…statues of a female deity far outnumber those of the male deity, who moreover, does not appear to be represented at all after Level VI”.[5] To date, eighteen levels have been identified. These careful figurines were found primarily in areas Mellaart believed to be shrines. One, however – a stately goddess seated on a throneflanked by two female lions – was found in a grain bin, which Mellaart suggests might have been a means of ensuring the harvest or protecting the food supply.[6]
The Pyramid Texts from ancient Egypt are one of the oldest known religious texts in the world dating to between 2400-2300 BCE.[7][8] Writing played a major role in sustaining organized religion by standardizing religious ideas regardless of time or location.
Value of religion[edit]
Organized religion emerged as a means of providing social and economic stability to large populations through the following ways:
- Organized religion served to justify the central authority, which in turn possessed the right to collect taxes in return for providing social and security services to the state. The empires of Ancient Egypt and Mesopotamia were theocracies, with chiefs, kings and emperors playing dual roles of political and spiritual leaders.[9] Virtually all state societies and chiefdoms around the world have similar political structures where political authority is justified by divine sanction.
- Organized religion emerged as means of maintaining peace between unrelated individuals. Bands and tribes consist of small number of related individuals. However states and nations are composed of thousands or millions of unrelated individuals. Jared Diamond argues that organized religion served to provide a bond between unrelated individuals who would otherwise be more prone to enmity. He argues that the leading cause of death among hunter gatherer societies is murder.[10]
Axial age[edit]
See also: Axial Age
The period from 900 to 200 BCE has been described by historians as the axial age, a term coined by German philosopher Karl Jaspers. According to Jaspers, this is the era of history when "the spiritual foundations of humanity were laid simultaneously and independently... And these are the foundations upon which humanity still subsists today". Intellectual historian Peter Watson has summarized this period as the foundation of many of humanity's most influential philosophical traditions, including monotheism in Persia andCanaan, Platonism in Greece, Buddhism, Jainism in India, and Confucianism and Taoism in China. These ideas would become institutionalized in time, for example Ashoka's role in the spread of Buddhism, or the role of platonic philosophy in Christianity at its foundation.
Middle Ages[edit]
Present-day world religions established themselves throughout Eurasia during the Middle Ages by: Christianization of the Western world; Buddhist missions to East Asia; thedecline of Buddhism in the Indian subcontinent; and the spread of Islam throughout the Middle East, Central Asia, North Africa and parts of Europe and India.
During the Middle Ages, Muslims were in conflict with Zoroastrians during the Islamic conquest of Persia; Christians were in conflict with Muslims during the Byzantine-Arab Wars,Crusades, Reconquista, Ottoman wars in Europe and Inquisition; Shamans were in conflict with Buddhists, Taoists, Muslims and Christians during the Mongol invasions; and Muslims were in conflict with Hindus and Sikhs during Muslim conquest in the Indian subcontinent.
Many medieval religious movements emphasized mysticism, such as the Cathars and related movements in the West, the Jews in Spain (see Zohar), the Bhakti movement in India and Sufism in Islam. Monotheism reached definite forms in Christian Christology and in Islamic Tawhid. Hindu monotheist notions of Brahman likewise reached their classical form with the teaching of Adi Shankara.
Modern period[edit]
European colonisation during the 15th to 19th centuries resulted in the spread of Christianity to Sub-Saharan Africa, the Americas, Australia and the Philippines. The invention of the printing press in the 15th century played a major role in the rapid spread of the Protestant Reformation under leaders such as Martin Luther and John Calvin. Wars of religion followed, culminating in the Thirty Years War which ravaged central Europe, 1618-1648. The 18th century saw the beginning of secularisation in Europe, gaining momentum after the French Revolution. By the late 20th century religion had declined in most of Europe.
In the 20th century, the regimes of Communist Eastern Europe and Communist China were anti-religious. A great variety of new religious movements originated in the 20th century, many proposing syncretism of elements of established religions. Adherence to such new movements is limited, however, remaining below 2% worldwide in the 2000s (decade). Adherents of the classical world religions account for more than 75% of the world's population, while adherence to indigenous tribal religions has fallen to 4%. As of 2005, an estimated 14% of the world's population identifies as nonreligious.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন