NEW AGE RELIGION বিশ্বাসের বর্তমান , ভবিষ্যৎ এবং এর গোড়ার কথা ;

    
       
                       New   Age   Religion   বিশ্বাসের   কিছু   তথ্য   সহ   গোড়ার   কথা  :

                                           (  ২য়   পর্ব   )  

          New   Age   Religion  হচ্ছে  একটি  বিশ্বাস  যা  সাধারণত    প্রচলিত   বিভিন্ন  ধর্মের  এবং  বিভিন্ন  দর্শনের  মিলিত   (বা  syncretism  )  রূপের  একটি  সংমিশ্রিত  আইডিয়া  মাত্র  ৷  তাই  নিউ  এইজ  রিলিজিয়নকে  কোনো  ভাবেই  প্রচলিত  অন্যান্য  ধর্মের  মত  একে  একটা  ধর্ম  হিশেবে   অবহিত  করা  যায়  না  ৷

        খ্রিষ্টের  জন্মের   ও   প্রায়  ৩ / ৪  শত   বছর  পূর্বে  খ্রিষ্ট-পূর্ব  ৩২৫  সালের  দিকে  নিউ  এইজ  রিলিজিয়ন  বিশ্বাসের  অস্থিত্য  ছিলো  বলে  ইতিহাস  থেকে  জানা  যায়  ৷ তবে  এই  বিশ্বাস  তখনকার  পশ্চিমা  সমাজে  তেমন  বিশ্বাসযোগ্যতা  অর্জন  করতে না  পেরে  ,  হাঁটি  হাঁটি  পা  পা  করে  এগোতেছিলো  ৷  এই  সময়টা  পশ্চিমা  বিশ্বে  Alexander  The   Great  এর  সময়কাল  ছিলো  ৷  আলেকজান্ডার  দি  গ্রেট  তাঁর  শাসনকালে  ,   তাঁর  সাম্রাজ্যে  জ্ঞান  বিজ্ঞান  এবং  ধর্মীয়  বিশ্বাসের  ক্ষেত্রে  ,  প্রাচ্যে  ( Eastern  Regions )   থেকে  জ্ঞান  আরোহের  সুযোগ  তৈরি  করে  দেন তাঁর  দেশের  জনগণের    ৷  ফলে  প্রাচ্যের  ধর্ম  ও  দর্শনের  আকর্ষণীয়  ( Mysticism )  দিকগুলো  পশ্চিমে   রপ্তানি  শুরু  হয়ে  যায়    এবং  তারা  তা  গ্রহন  করতে  আরম্ভ  করেন  ৷  এবং  অনুরূপভাবে  প্রাচ্যে ও    পশ্চিম  থেকে ,  পশ্চিমের   বিশেষ  করে  গৃক  দর্শনের ( Greek  philosophy )  বিভিন্ন  দিক    সহ  যুক্তিবাদ  ইত্যাদি , প্রাচ্যে  ও   গ্রহন   আরম্ভ  হয়ে  যায়  পশ্চিম  থেকে  ৷  অর্থাৎ  তখন  থেকেই  পূর্ব  ও  পশ্চিমের  কৃষ্টি  ও  সাংস্কৃতি  সহ  বিভিন্ন  বিশ্বাস  ও  দর্শনের  আদান  প্রদান  শুরু  হয়েছিলো  বলে  জানা  যায়  ৷

        এই  পর্যায়ের  কিছুকাল  পরে  পশ্চিমা  জগতে  খ্রিষ্ট- ধর্মের  আবির্ভাব  হয়  এবং  এর  প্রভাব  দিন  দিন  বাড়তে  থাকলে , নিউ  এইজ  রিলিজিয়ন  বিশ্বাসের  প্রচার  এবং  এর  বিস্তারে  বিঘ্ন  ঘটে ,  বলতে  গেলে  প্রায়  বন্ধই  (  snuffed  out  ) হয়ে  যায় । কিন্তু  এর  কিছু  দিন  পরে  আবার  ঐ  বিশ্বাসীরা  প্রতিকুল  পরিবেশে  ও   তাদের  ধ্যান  , ধারণার  প্রচার  ও  প্রসার  চালু  করতে  , কিছুটা  হলে  ও  সমর্থ  হয়ে  উঠে  ৷

        New Age  Religion  বিশ্বাসীদের  ধর্মবিশ্বাস   বিশ্লেষণে  দেখা  যায়  যে  , এই  বিশ্বাসীরা  তখনকার,  এমনকি  বর্তমান  সমাজে  প্রচলিত  ও  বিভিন্ন   ধর্মবিশ্বাস  ,  ধ্যান , ধারণা   সহ  যুক্তিবাদ  ও  বৈজ্ঞানিক  দৃষ্টিভঙ্গি এবং  ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পূর্ণরূপে  পরিহার  করে  ,  শুধু  তাদের  নিজেদের  মধ্যে  গড়ে  একটা  অবৈজ্ঞানিক  ধ্যান ,  ধারণা  ও  বিশ্বাসকে  ( mysticism ) তাদের  ধর্ম  বিশ্বাস  হিশেবে  প্রতিষ্ঠিত  করতে  চেয়েছে  , অনেকটা  আবেগ  তাড়িত  হয়েই  ৷ ( New age  religion      no more  than  anything   is  emotional  ,   feeling  in a  valid left  by a secular  culture  and discontent    with  traditional  religions beliefs ) 

        প্রচলিত  বর্তমান  অন্যান্য  ধর্মের  মত  তাদের  কোনো  পবিত্র  ধর্মগ্রন্থ     (Holi text ) বা  কোনো  কেন্দ্রীয়   নিয়ন্ত্রণ  ব্যবস্থা  ও  নেই  ৷  কারো  প্রতি  বিশ্বাস  স্থাপন  করে  তাকে  অনুস্বরণ  করা  বা  বিশেষ  কোনো  Dogma , Crist , ইত্যাদি   ,  অথবা  অন্য  কিছু  প্রাচীন  বিশ্বাস  অনুসারে ,   প্রকৃতির  অনুশীলন  করার  কোনো  বিধান ও তাদের  বিশ্বাসে  নেই  ৷   ইহা  অনেকটা  ভূতপূর্ব   Gnosticism  এর  মত  ,  যা  মূলত:  পদ্ধতিগত  ভাবে  এবং  ব্যক্তি  পর্যায়ে  উদ্ভাবিত  কিছু  অবৈজ্ঞানিক  তথ্য  ও কিছু  অবিকাশিত  বিশ্বাস  এবং  কিছু  অবাস্তব  ও  অপবৈজ্ঞানিক  বিশ্বাসের  সমষ্টি  ৷    তাই  এসব  ব্যাপারে  সংশ্লিষ্ট   বিশ্লেষকরা  একে  বিভিন্ন  দর্শন , বিশ্বাস  এবং  আইডিয়ার  একটা  চলতি  মিশ্রণ  বলে  সংঙ্ঘায়িত  করে  থাকেন  ৷  ( তাদের  ভাষায় -- This  is  a  part  of  continuing  process  of   Syncretisism  . )

      NEW AGE RELIGION  বিশবাসীরা   নিজেরাই  নিজেদের  মধ্যে  গড়ে  ওঠা  কিছু  বিশ্বাসের  মাধ্যমে  অর্জিত একটা  পদ্ধতি গ্রহণ  করে  ,  এর  কার্যক্রম  পরিচালনা  করে  থাকেন  ৷   তারা  স্বাধীন  ও  আধ্যাতিক    ( spiritual ) বিশ্বাসের  একটা  নিজস্ব  এলাকা  তৈরি  করেন     নিজেদের  মধ্যে  ,   এবং  নিজেদের  মতো  করে  তারা  একে  অন্যের  সঙ্গে  মতবিনিময়  করে  থাকেন  ৷  সভা , সমিতি ,  বা  কেন্দ্রিয়ভাবে  সেমিনার , সিমপোজিয়াম  ইত্যাদির  মাধ্যমে    তাদের  ধ্যান , ধারণা  ও  অর্জিত  বিশ্বাস  প্রচারের  ব্যবস্থা  করেন,  এবং  নিজেরাই  তাদের  নিজেদের  কর্ম  পদ্ধতি  প্রস্তুত  করে   , সবকিছুর  দ্বায়িত্ব    নিজেরাই  পালন  করে  থাকেন  ৷  তাদের  মতে  ইহাই  তাদের  মুক্ত  স্বাধীন  আধ্যাতিক বা  spiritual  বিশ্বাসের  স্থান  ৷   বাঙলাদেশের  বাউলদের  চিন্তা  ভাবনা  ও  কার্যক্রমের  সঙ্গে  এর  কিছুটা   আংশিক  মিল  আছে  বলে  অনেকে  মনে  করে  থাকেন  ৷

          নিউ  এইজ  রিলিজিয়ন  বিশ্বাসীদের  তাই  কোনো  Holi  Text ,  central  organization , membership , Formal Clergy  ,   Geographic  centar  ,  Dogma , Creed  ইত্যাদির  কোনো  অস্থিত্য  নেই  ৷

        New age Religion  বিশ্বাসীদের  অস্থিত্য  ইউরোপ  ও  আমেরিকার  কিছু  বড়  শহরে  বিদ্যমান  ছিলো  ,   বর্তমানে  ও  আছে  বলে  জানা  যায়  ৷  তবে  তা  শুধু  কিছু  ব্যক্তিগত  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  বা  কিছু  গ্রুপের  মধ্যেই  সীমাবদ্ধ , পূর্বে  ও  ছিলো  আর  বর্তমানে  ও  তাই  আছে  ৷  কিন্তু  ইহা   একটা  Heterogenious  আন্দোলোন  হলেও   তা  বর্তমানে  কিছু  ব্যক্তি  বিশেষের  মধ্যেই  সীমাবদ্ধ    হয়ে  পড়ায় , সংশ্লিষ্ট  বিশ্লেষকরা  ইহাকে ,  বিভিন্ন  বিশ্বাস  ও  আদর্শের  একটা  কাটপিস বলে মনে  করে  থাকেন  ৷

        ইংলেন্ডে  ১৯৬০  সাল  থেকে  নিউ  এইজ  রিলিজিয়ন  বিশ্বাসীরা  নতুন  ভাবে 
প্রতিষ্ঠিত  হতে  দেখা  গেছে  ৷  প্রথমে  তারা  ক্ষুদ্র  ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত  হয়ে  কাজ  আরম্ভ  করেছিলো  ৷  কিন্তু  ক্রমেই  এর  গতি  বৃদ্ধি  পেয়ে  দ্রত  বিস্তার  লাভ  করতে  থাকে  ৷

        আর  আমেরিকাতে  Association  of  research &  Enlight  eminent  ইত্যাদির  মাধ্যমে  সভা  , সেমিনার  করে  তাদের  বিশ্বাসের  প্রচার  ও  প্রসার  বৃদ্ধি  করতে  সমর্থ  হয়  ৷  আর  ১৯৭১  সালের  দিকে  অভিনেত্রি  Shirley  Muchain  তাদের  কর্ণধার  ছিলেন  বলে  জানা  যায়  ৷ তিনি  তাঁর  তখনকার  জনপ্রিয়তা  কাজে  লাগিয়ে  এই  বিশ্বাসকে  প্রতিষ্ঠার  চেষ্টা  করেন বলে  ও  জানা  যায়  ৷

        তবে  ১৯৭০  সাল  থেকে  নিউ  এইজ  রিলিজিয়ন  বিশ্বাসীরা  খ্রিষ্টানিটি ,  ধর্মনিরপেক্ষ  মতবাদ   এবং  মানবতাবাদ  , আধ্যাতিক  বিশ্বাস  সহ  তাদের  পূর্বের  অনেক  জানা  অজেনা  বিশ্বাস  থেকে  সরে  এসে ,  সম্পূর্ণরূপে নতুন  বিশ্বাস - Astrology  ,  Channeling , Hinduism , Gonostic tradition ,  New – Paganism , spiritualism ,  Theosophy & Wicca   ইত্যাদি  গ্রুপে    এককভাবে  এবং  ক্ষেত্র বিশেষে   সমষ্টিগতভাবে  রূপান্তরিত  হয়ে  গিয়েছিলো  বলে  ও জানা  যায়  ৷  কিন্তু  ১৯৮০  থেকে  ৯০ এর  দশকে  new age religion  বিশ্বাসীরা  আবার  প্রতিকুলের  মধ্যে  পড়ে  যায়  ৷  কারণ  তাদের  Uneritical  বিশ্বাসের  বাস্তবতা  বৈজ্ঞানিকভাবে  অসাড় , অবাস্তব এবং  অসত্য  রূপে  প্রমানিত  হয়ে  যায়   সংশ্লিষ্টদের  কাছে , বিভিন্ন  পরীক্ষা  নিরীক্ষা  এবং  বিশ্লেষণেরর  মাধ্যমে  ৷

        কিন্তু  পরবর্তিকালে  আমেরিকাতে  তাদের  movement  এর  গতি  হঠাৎ  করে  বৃদ্ধি  পায় , এবং  তাদের  এই  বিশ্বাস  নতুন  ভাবে  চাঙ্গা  হয়ে  ওঠে  ৷  তখন  এই  বিশ্বাসীরা  আবার  ভাবতে  আরম্ভ  করে  যে ,  যুক্তিগত  ভাবে  এবং    বৈজ্ঞানিকভাবেই  তাদের  এই  বিশ্বাস  ধীরে  ধীরে  সমাজে  প্রতিষ্ঠিত  হয়ে  এর  ব্যাপকতা  ক্রমান্নয়ে সমাজে  বৃদ্ধি  পাবে  ৷  তাই  তারা  ব্যক্তিগত  ভাবে  ,  অনেকস্থানে  সমষ্টিগত  ভাবে  , গড়ে  তুলেছে  personal  groth cluster , metaphysical  bookstore ,  spiritual  teacher এবং  ব্যক্তিনিয়ন্ত্রিত  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠন  সমূহ , যাকে  পশ্চিমে  এই  ভাবে  প্রকাশ  করা  হয়  যে , ইহা অনেকটা  Heterogenious  movement  of individual  ;  most  graft , some new  age  belief on to  regular  religious  affiliation  .


          কিছুদিন  পূর্বে  নিউ  এইজ  রিলিজিয়ন  বিশ্বাসের  অন্তভূক্ত  গ্রুপগুলোর  মধ্যে  আমেরিকাতে  একটা  সার্ভে  করা  হয়  ৷  ঐ  সার্ভে  অনুসারে    প্রাপ্ত  বয়ষ্করা (Adults )  এখনও  ঐ  বিশ্বাস  কিছুটা  হলে  ও  ধরে  রেখেছেন  ৷  যেমন ; -  

          ১  ,  Astrology  সহ  এই  ধরনের  ভবিষ্যৎ  গণনাকে  ,  মানুষের   ভবিষ্যৎ  গণনারর  একটা  পদ্ধতি  বলে  প্রায়  ৮ %  সার্ভে ভুক্তরা  বিশ্বাস  করেন  ৷

          ২ ,  প্রকৃতিক  উপায়ে  ( Crystal  practice )  মানুষ  তার  প্রয়োজনীয়  নিজস্ব  শক্তি  অর্জনে  সক্ষম ,  এই  রকম  বিশ্বাসীর  সংখ্যা  প্রায়  ৭ %    ৷

          ৩ ,  Tarot   Card /  Life  Astrology   ইত্যাদিতে  উল্লেখিত    পন্থা  অবলম্ভন  করে  চলতে  বিশ্বাস  করেন  প্রায়  ৯ % অংশগ্রহণকারীরা  ৷ 

          ৪ ,  ১  থেকে  ৪  %  আংশগ্রহণকারীরা  যে  কোনো  প্রচলিত  ধারার  বাইরে  গিয়ে  Non Traditional  Concept  দ্ধারা  ঈশ্বরে  বিশ্বাস  করেন  বলে  জানিয়েছেন বলে উল্লেখিত  সার্ভে  থেকে  জানা  যায়    ৷

          ৫ ,  আবার  ১১ %  অংশগ্রহণকারীরা  স্রষ্টা  বা  ঈশ্বরকে    উন্নততর  অবচেতন  মূলক  সাধনার  দ্ধারা  উপলব্ধি  করা  সম্ভব  বলে  বিশ্বাস  করেন  ৷ ( God  is  a  state  of  higher  Consciousness  that  a  person  may reach  )

          ৬ ,    আর  ৪  %  বিশ্বাসীরা  মনে  করেন   স্রষ্টাকে  ব্যক্তিগত উপলব্ধি  ,  বা  বিশেষ  মানবীয়  গুণাগুণ   অর্জনের  মাধ্যমে  প্রকাশ  করা  সম্ভব  ৷  ( GOD  As  Total  Realization  Of  Personal  , Human  Potential  ) 

          ৭ ,  আর  সার্ভেতে  অংশগ্রহণকারী  আলোচিতদের  সর্বশেষ  ৩ %  new age religion  বিশ্বাসীরা    বিশ্বাস  করেন  যে  ,  তারা  নিজেরাই  ঈশ্বর  / স্রষ্টা  বা  GOD  ৷ (  3 % BELIEVE  THAT  EACH  PERSON  IS  GOD  )

          উপরে  উল্লেখিত  গ্রুপ  সার্ভের  হিসাব  মতে  নিউ  এইজ  রিলিজিয়ন  বিশ্বাসীদের  মধ্যে  অনেক  রকম  বিশ্বাসী  গ্রুপের  অস্থিত্ব  বিদ্যমান  আছে   বুঝা     যায়  
         
          তবে  এই  সার্ভের  সংশ্লিষ্টদের  বিশ্লেষণে  দেখা  যায়  যে  , সবচেয়ে  বেশি  যে  গ্রুপ  তারা   পশ্চিমা  সমাজের   প্রচলিত  কৃষ্টি  ,  যেমন ,  খ্রিষ্টমাস  ,  ইসটার  ,  সাধারণ  খ্রিষ্টানিটি  ,  কনভেনশন্যল  খ্রিষ্টানিটি  ,  নিউ  এইজ  বিশ্বাসী  গ্রুপ  ,  বাইবেল  বিশ্বাসী  গ্রুপ  ,  এমনকি  নাস্তিক ,  এগনোসষ্টিক  গ্রুপের ও অন্তর্ভূক্ত  ৷  অন্যদিকে  প্রায়  ২০ %  নিউ  এইজ  বিশ্বাসীরা  এসেছেন  ইহুদি  বা  অন্যান্য  একই  পর্যায়ের  ধর্ম  বিশ্বাস  থেকে  ৷  

        ১৯৯১  সালে  কানাডায়  এক  সার্ভের  ফলাফল  থেকে  জানা  যায় , বৃহত্তর  জনগুষ্টির  মাত্র (0 . OO5 % )  একটা  অংশ  মনে  করেন  ,  যে  তারা  New Age Religiom বিশ্বাসে  বিশ্বাসী  ৷  তবে  এদের  কোনো  প্রভাব  বাকি  জনগুষ্টির  উপর  পড়ে  নাই  ৷  আবার  অনেকে  একই  সঙ্গে  নিজদের  খ্রিষ্টানিটি  বা  অন্যধর্মে  বিশ্বাসী  হয়েও  তারা  আবার  নিজকে  New Age Realision  Cnocept এর  সঙ্গে  জড়িত  বলে বিশ্বাস  করেন এবং  প্রচার  করে  থাকেন  ৷  


          বর্তমানে  তাদের  আশা  ,  তারা  নিজেরই  তাদের  নিজেদের  মধ্যে  এমন  এক  শক্তির  বিকাশ  ঘটাতে  সক্ষম  হবেন ,    যার  মাধ্যমে  তারা  এক  বিশেষ  Psychic  Power  অর্জনের  মাধ্যমে  মহাজাগতিক  কার্যক্রম  সংক্রান্ত  সকল  তথ্য ও  PHENOMENA  বুঝতে  পারবেন  অন্য  কোনো  মাধ্যম  বা  অন্য  কারো  সহায়তা  ছাড়াই  !  তাদের  বিশ্বাস  !  এভাবেই  তারা  অনেকেই যখন  এ  ধরনের  যোগ্যতা  অর্জনে  সক্ষম  হবেন  , তখন  তাদের  মধ্যে  এক   Major  Spiritual ,  physical ,  psychological ,  and  cultural  planet  wide Transformation  শক্তি  অর্জিত  হয়ে ,  তাদের  নিজেদের  মধ্যে  প্রবাহিত  হবে  ,  তখন  ঐ  সব  বিশ্বাসী  সদস্যরাই  স্রষ্টার  সমান  ক্ষমতার  অংশীদার  হয়ে  যাবে  ইত্যাদি  ,  আর  এভাবেই  তাদের  ধারন  করা  ক্ষমতা  ও  শক্তির  সাহায্যে  তারা  যে  যেখানে  থাকবে  সেই  স্থানই  প্রচলিত    বিভিন্ন  ধর্মের  পবিত্র  স্থানের  মত  সে  স্থান  ও  এক  পবিত্র  স্থানে  রূপান্তরিত  হয়ে  যাবে  ৷

          যখন  সবই  স্রষ্টা বা  ঈশ্বরে  রূপান্তরিত  হয়ে  যাবেন ,  তখন  একমাত্র  বাস্তবতা  হবে  , একই  ধারাতে  একই  চিন্তা  ও  চেতনায়  সবাই  একপন্থী  হয়ে  যাবে , তখন  অন্যান্য  প্রচলিত  ধর্মবিশ্বাস  হয়ে  যাবে  এই  নিউ  এইজ  রিলিজিয়ন  বিশ্বাসেরই  একটা  অংশ  !  আর  এক  পর্যায়ে  তাদের  এই  নতুন  বিশ্বাস  সার্বজনিন  আকারে  রূপান্তরিত  হয়ে  বর্তমান  প্রচলিত  সব  ধর্মই  তাদের  নতুন  এই   ধর্মে  পরিনত  হয়ে  যাবে  ৷ 

          তাদের  বিশ্বাস   ,  Anticipate   New Universe Religions   which  contain  element of  all  current  faith  will evolve   and became  generally  accepted  Worldwise  .  অর্থাৎ  বর্তমান  সকল  ধর্মবিশ্বাসীরা  তাদের  এই  নতুন  মন্ত্রে দীক্ষায়িত   হয়ে  একই  ধর্ম  বিশ্বাসে  পরিবর্তিত  হয়ে  যাবে  একসময়ে  ৷ 



          তখন  নতুন  এক  বিশ্বসংস্থার  জন্ম  হবে,  আর  নতুন  এক  ধারণার  প্রবর্তন  হবে ,  যার  মাধ্যমে  সমস্ত  বিশ্ব  একই  সরকারি  পরিচালনায়  রূপান্তরিত  হয়ে  যাওয়ার  পর  সকল  যুদ্ধ-বিদ্রোহ , রোগশোক ,  পরিবেশ  দুষণ  এবং  দারিদ্রতা    ইত্যাদি  দুরভিত  হয়ে  গিয়ে    লিঙ্গ  বোধ  এর  বৈষম্যতা  ,  জাতিগত  বৈষম্য  এবং  ধর্মগত  বিশ্বাসের  পার্থক্য  ইত্যাদি  বিলীন  ( will cease ) হয়ে  যাবে  ,  এবং  বর্তমান  সব  দেশ  ও  জাতিগুষ্টি  পরিস্থাপিত  হবে  এক  সমগ্র  বিশ্ব  জাতিতে  ,  তখন একই  বিশ্বাসের  একই  ধারণার  একই  শাসনাধীন মহাবিশ্বের   প্রতিষ্ঠা  সম্ভব    হয়ে  যাবে,   তাদের  প্রতিষ্ঠিত   বিশ্বাস  ও  New  Age  Religion এর  মাধ্যমে  ৷  

          Dr. Carl- Raschke , professor of  Religion  studies at Universitiy of  Devver , New  Age  Religion বিশ্বাসীদের  কার্যক্রমের  এবং  চিন্তা  ও  চেতণার  ব্যাপারে  তার  এক  বিশ্লেষণে  এক  মন্তব্য  করতে  গিয়ে  বলেছেন  যে  , New age Religion  practices  as the  Spiritual  version  of AIDS ,  কারণ ,  তাঁর  মতে  এই  বিশ্বাস  এবং  ধরণা  মানুষের  Cope  of  function সম্পূর্ণরূপে  ধ্বংস  করে দেয়,  এবং       তাঁর  মতে  ইহা  রাজনীতিকভাবে  সমাজে  Occultism  এর  প্রতিষ্ঠা  করার  একটা  প্রয়াস  মাত্র  ৷  যাকে  তিনি  বর্ণনা  করতে  গিয়ে  এই  মন্তব্য  করছেন  যে ,  It is a Breeding  ground  for  a  new  American  form of  Fascism   .
   (“ Dr. Carl Raschke, professor of Religious Studies at the University of Denver describes New Age practices as the spiritual version of AIDS; it destroys the ability of people to cope and function." He describes it as "essentially, the marketing end of the political packaging of occultism...a breeding ground for a new American form of fascism." )

  
  সমাপ্ত ৷

   
          References Used: ( FROM INTERNATE )

J. Naisbitt and P. Aburdene, Megatrends 2000", William Morrow and Company, New York, NY (1990) 

George Barnia, "The Index of Leading Spiritual Indicators", Word Publishing, Dallas TX, (1996)

Richard Kyle, "The Religious Fringe", InterVarsity Press, Downers Grove, IL (1993), Page 285-298 

J.Gordon Melton, "Whither the New Age?", Chapter 35 of T. Miller, "America's Alternative Religions", SUNY Press, Albany, NY (1995)

Ref. http://www.religioustolerance.org/

Why Calling Environmentalists "Pagans" is Wrong
Cultic Studies Journal Madame Blavatsky's Baboon
[ Article archive 1 ] [ Article archive 2 ] [ Article archive 3 ] [ Article archive 4 ] 
[ Article archive 5 [ Homepage ] [ Guestb

www.religioustolerance.org

মন্তব্যসমূহ