ধর্ম নিয়ে যতো কথা (সংকলন) আরজ আলী মতুব্বরের বইয়ের শেষ অংশ ;
(৫) কোরান ; পবিত্র কোরান মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ এবং ইহা ঐশ্বরিক গ্রন্থ বলিয়া পরিচিত । যে সব গ্রন্থকে ঐশ্বরিক গ্রন্থ বলিয়া দাবি করা হয়, পবিত্র কোরান তন্মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট এবং অতুলনীয় । পবিত্র কোরান প্রচারক হজরত মোহাম্মদ(সা.) ৫৭১খ্রী. ২০ এপ্রিল পবিত্র মক্কা নগরে জন্মলাভ করেন । সেকালের আরববাসীরা ছিল নানা দলে বিভক্ত এবং চরিত্র ছিল খুবই মন্দ । ইহুদি, খ্রীস্টান ধর্ম ছাড়াও মুর্তিপুজার প্রচলন ছিল যথেষ্ট । মারামারি, কাটাকাটি, হিংসা ,দ্বেষ, পরনিন্দা ইত্যাদি দুনিয়ার সব অন্যায় অবিচারগুলি যেন জড়ো হয়েছিল আরবে ।ইহা দেখিয়া ব্যথিত হজরত মুহাম্মদ(সা.)কেবলই চিন্তা করিতেন, কিভাবে ইহা রোধ করা যায় । তিনি বিশ্ব মানবের কল্যানের চিন্তায় ডুবিলেন চিন্তাসমুদ্রের গভীর তলদেশে মক্কার অদুরবর্তী হেরা পর্বতের গহ্বরে ।
৪০ বৎসর বয়সে , ৬১০ সালের আগস্ট মাসের ৬ তারিখ , হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্নাবস্থায় শুনিতে পাইলেন যে আল্লাহ্র ফেরেশতাজেব্রাইল আসিয়া তাঁহাকে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন, “আল্লাহ্র বাণী আপনার উপর নাজেল হইল, আপনি আল্লাহ্রর রসূল” । এই দিন হইতে হজরত মুহাম্মদ(সা) হইলেন পয়গম্বর ,আল্লাহ্র প্রেরিত মহান বাণীবাহক । ঐ দিন হইতে জেব্রাইল ফেরেশতার মারফত ,ওহীর মাধ্যমে ,ইহকাল ও পরকাল বিষয় মানুষের কর্তব্য ও করনীয় বিষয়ে আল্লাহ্র বাণীরূপে যে সমস্ত আদেশ--উপদেশাদি প্রাপ্ত হইয়াছেন , তাহারই সঙ্কলন পবিত্র কোরান মহাগ্রন্থখানা ।
পবিত্র কোরানের বিধান ব্যতীত হজরত স্বয়ং ধর্মজগতের অনেক বিধান প্রদান করিয়াছেন । সেই সমস্ত বিধানের সঙ্কলনকে বলা হয় পবিত্র হাদিস গ্রন্থ । ইসলাম ধর্ম প্রধানত প্রবিত্র কোরান ও হাদিস গ্রন্থের বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত ।
( ৬ ) বৌদ্ধ ধর্ম ; বৌদ্ধরা বলেন যে , এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা কেহ নাই; জগত অনন্তকাল বিদ্যমান আছে এবং থাকিবে। চিরকালই বিশ্বের আকৃতি একরূপ আছে এবং থাকিবে। কর্মানুসারে প্রাণীসমুহ সংসারে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে মাত্র ।
খ্রী.পূ. ৫৫৬ সালে ভারতের কপিলাবস্তু নগরে বুদ্ধদেব জন্মগ্রহন করেন । তাঁহার প্রবর্তিত ধর্মে নাম বৌদ্ধধর্ম। বৌদ্ধরা পরকাল বা স্বর্গ-নরকের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। বৌদ্ধ মতে,জীব কামনাবশে পুনঃ পুনঃ জন্মগ্রহন করে এবং জন্মে জন্মে রোগ , শোক, ও নানাবিধ দুঃখ ভোগ করিয়া থাকে। সংসারের নানান দুঃখভোগের চিরসমাপ্তির উপায় হইল জন্ম না লওয়া। যতদিন মানুষের মনে কোনোরূপ কামনা-বাসনার লেশমাত্র থাকিবে, ততদিন পর্যন্ত মানুষ পুনঃ পুনঃ জন্মলাভ ও সুখ-দুঃখ ভোগ করিতে থাকিবে। বিত্ত-সম্পদ ও আত্নীয়-পরিজনাদি যাবতীয় বিষয়ের তাবৎ কামনা হইতে মুক্ত হইতে পারিলে ,তাহার আর পনর্জন্ম হয় না । এমতাবস্থাকে বলা হয় মোক্ষ এবং জন্মহিতাবস্থাকে বলা হয় নির্বাণ । ইহাই বুদ্ধ ধর্মের মূল কথা বা মূল সুত্র ।
7
(৫) কোরান ; পবিত্র কোরান মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ এবং ইহা ঐশ্বরিক গ্রন্থ বলিয়া পরিচিত । যে সব গ্রন্থকে ঐশ্বরিক গ্রন্থ বলিয়া দাবি করা হয়, পবিত্র কোরান তন্মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট এবং অতুলনীয় । পবিত্র কোরান প্রচারক হজরত মোহাম্মদ(সা.) ৫৭১খ্রী. ২০ এপ্রিল পবিত্র মক্কা নগরে জন্মলাভ করেন । সেকালের আরববাসীরা ছিল নানা দলে বিভক্ত এবং চরিত্র ছিল খুবই মন্দ । ইহুদি, খ্রীস্টান ধর্ম ছাড়াও মুর্তিপুজার প্রচলন ছিল যথেষ্ট । মারামারি, কাটাকাটি, হিংসা ,দ্বেষ, পরনিন্দা ইত্যাদি দুনিয়ার সব অন্যায় অবিচারগুলি যেন জড়ো হয়েছিল আরবে ।ইহা দেখিয়া ব্যথিত হজরত মুহাম্মদ(সা.)কেবলই চিন্তা করিতেন, কিভাবে ইহা রোধ করা যায় । তিনি বিশ্ব মানবের কল্যানের চিন্তায় ডুবিলেন চিন্তাসমুদ্রের গভীর তলদেশে মক্কার অদুরবর্তী হেরা পর্বতের গহ্বরে ।
৪০ বৎসর বয়সে , ৬১০ সালের আগস্ট মাসের ৬ তারিখ , হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্নাবস্থায় শুনিতে পাইলেন যে আল্লাহ্র ফেরেশতাজেব্রাইল আসিয়া তাঁহাকে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন, “আল্লাহ্র বাণী আপনার উপর নাজেল হইল, আপনি আল্লাহ্রর রসূল” । এই দিন হইতে হজরত মুহাম্মদ(সা) হইলেন পয়গম্বর ,আল্লাহ্র প্রেরিত মহান বাণীবাহক । ঐ দিন হইতে জেব্রাইল ফেরেশতার মারফত ,ওহীর মাধ্যমে ,ইহকাল ও পরকাল বিষয় মানুষের কর্তব্য ও করনীয় বিষয়ে আল্লাহ্র বাণীরূপে যে সমস্ত আদেশ--উপদেশাদি প্রাপ্ত হইয়াছেন , তাহারই সঙ্কলন পবিত্র কোরান মহাগ্রন্থখানা ।
পবিত্র কোরানের বিধান ব্যতীত হজরত স্বয়ং ধর্মজগতের অনেক বিধান প্রদান করিয়াছেন । সেই সমস্ত বিধানের সঙ্কলনকে বলা হয় পবিত্র হাদিস গ্রন্থ । ইসলাম ধর্ম প্রধানত প্রবিত্র কোরান ও হাদিস গ্রন্থের বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত ।
( ৬ ) বৌদ্ধ ধর্ম ; বৌদ্ধরা বলেন যে , এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা কেহ নাই; জগত অনন্তকাল বিদ্যমান আছে এবং থাকিবে। চিরকালই বিশ্বের আকৃতি একরূপ আছে এবং থাকিবে। কর্মানুসারে প্রাণীসমুহ সংসারে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে মাত্র ।
খ্রী.পূ. ৫৫৬ সালে ভারতের কপিলাবস্তু নগরে বুদ্ধদেব জন্মগ্রহন করেন । তাঁহার প্রবর্তিত ধর্মে নাম বৌদ্ধধর্ম। বৌদ্ধরা পরকাল বা স্বর্গ-নরকের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। বৌদ্ধ মতে,জীব কামনাবশে পুনঃ পুনঃ জন্মগ্রহন করে এবং জন্মে জন্মে রোগ , শোক, ও নানাবিধ দুঃখ ভোগ করিয়া থাকে। সংসারের নানান দুঃখভোগের চিরসমাপ্তির উপায় হইল জন্ম না লওয়া। যতদিন মানুষের মনে কোনোরূপ কামনা-বাসনার লেশমাত্র থাকিবে, ততদিন পর্যন্ত মানুষ পুনঃ পুনঃ জন্মলাভ ও সুখ-দুঃখ ভোগ করিতে থাকিবে। বিত্ত-সম্পদ ও আত্নীয়-পরিজনাদি যাবতীয় বিষয়ের তাবৎ কামনা হইতে মুক্ত হইতে পারিলে ,তাহার আর পনর্জন্ম হয় না । এমতাবস্থাকে বলা হয় মোক্ষ এবং জন্মহিতাবস্থাকে বলা হয় নির্বাণ । ইহাই বুদ্ধ ধর্মের মূল কথা বা মূল সুত্র ।
7
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন